চাপের মুখে রপ্তানি: যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক ও বন্দরে ফি বৃদ্ধির দ্বৈত আঘাত

বাংলাদেশের রপ্তানি ও বাণিজ্য খাত বর্তমানে এক গভীর সঙ্কটে নিপতিত হতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান শুল্ক আলোচনার এখনো নিষ্পত্তি হয়নি, যার ফলে আগামী ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি রয়েছে। এর ফলে মোট শুল্ক হার বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৫০ শতাংশে, যা আমেরিকায় ব্যবসা করা বাংলাদেশের রপ্তানিকারকদের জন্য চরম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে।
এই চাপের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে ৩০–৪০ শতাংশ পর্যন্ত সার্ভিস চার্জ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত, যা অনেক ক্যাটাগরিতে প্রযোজ্য হবে। একই সময়ে বেসরকারি কনটেইনার ডিপোগুলো তাদের ম্যানেজমেন্ট ফি বাড়াচ্ছে ৩০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত। এই খরচ সরাসরি আমদানি ও রপ্তানিকারকদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে, যা ব্যবসায়িক ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়িয়ে দেবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বন্দরে সর্বশেষ সার্ভিস চার্জ হালনাগাদ করা হয়েছিল ১৯৮৬ সালে। প্রায় চার দশক পর এবার সমন্বয় হচ্ছে, যেখানে কিছু চার্জ কমলেও গড় বৃদ্ধির হার ৩০–৪০ শতাংশ। সরকারী গেজেট প্রকাশের পর নতুন চার্জ কার্যকর হবে। এতে বন্দরের রাজস্ব আদায়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ১৫০০ কোটি টাকার অতিরিক্ত আয় তৈরি করতে পারে।
অন্যদিকে, প্রাইভেট কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশন ইতোমধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে তাদের সার্ভিস চার্জ ৩০ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
এমন এক সময় এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হচ্ছে, যখন দেশের অর্থনীতি বহুমুখী চাপে রয়েছে। বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, “ঝড়ের মধ্যে নৌকা ভাসানো যায় না। বাণিজ্য খাত এখন ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান এখনো হয়নি। এই সময়ে চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী।”
তিনি বলেন, “৩৯ বছর পর চার্জ বাড়ানো হচ্ছে, তাহলে আর ছয় মাস পর করলেও কী ক্ষতি হতো? এখন যারা বলছেন, ৮০–১০০ ডলার বাড়লেও কিছু আসে যায় না — তারা বুঝছেন না, এই সময় একটা কলাগাছও ডুবতে যাওয়া মানুষকে বাঁচাতে পারে।”
এহসান আরও বলেন, “সরকার একই সময়ে শ্রম আইন সংশোধনের উদ্যোগও নিচ্ছে, যার সময়ও এখন নয়। আইএলও সময় দিয়েছে মার্চ পর্যন্ত, তাহলে আগস্টেই কেন সব শেষ করতে হবে? এসব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ক্ষতির মাত্রা আমরা এখনও নির্ধারণ করতে পারছি না, কিন্তু মানসিকভাবে বিনিয়োগকারীরা বিপর্যস্ত হবেন এটা নিশ্চিত। তাই এই সিদ্ধান্তগুলো আপাতত স্থগিত রাখা উচিত। আমরা আশা করছি, আগামী ছয় মাসে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে — তখন নতুন করে ভাবা যেতে পারে।”
-নাজমুল হাসান, নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ, উদ্যোক্তাদের সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত
বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে নজিরবিহীন সংস্কার উদ্যোগ হিসেবে পাঁচটি দুর্বল ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উদ্যোক্তাদের মালিকানাধীন সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং এর বিপরীতে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না। কারণ এই ব্যাংকগুলোর নিট সম্পদ বর্তমানে ঋণাত্মক অবস্থায় রয়েছে। নতুনভাবে গঠিত ব্যাংক শতভাগ সরকারি মালিকানায় পরিচালিত হবে এবং এর জন্য নতুন পরিচালনা পর্ষদ ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে।
একীভূত হওয়ার তালিকায় রয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এসআইবিএল), ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং এক্সিম ব্যাংক। এর মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে এস আলম গ্রুপের মালিকানায় ছিল। তবে বাকি চারটি ব্যাংক ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে যায়। নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর এসব ব্যাংকে শুরু হয় ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট, যার বড় অংশ পাচার হয়ে যায় বিদেশে। ফলস্বরূপ ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে এবং গ্রাহকদের আমানত ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে নীতি সহায়তা দিয়ে আসছিল এবং ব্যাংকগুলোর জন্য গ্যারান্টি দিয়েছিল। তবুও ব্যাংকগুলো স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে পারেনি। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ব্যাংক একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। এখন এটি ওয়ার্কিং কমিটির আসন্ন বৈঠকে চূড়ান্ত করা হবে এবং পরে বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।
নতুন ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার থেকে আসবে ২০ হাজার কোটি টাকা, আমানত বিমা তহবিল থেকে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আসবে ৩ হাজার কোটি টাকা। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব তহবিল থেকে কোনো অর্থ দেওয়া হবে না। নতুন ব্যাংক কার্যক্রম শুরু করার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ সরবরাহ ও নীতি সহায়তা প্রদান করবে।
একীভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাঁচ ব্যাংকের সব সম্পদ ও দায় নতুন ব্যাংকের নামে হস্তান্তর করা হবে। বর্তমানে এই ব্যাংকগুলোর রয়েছে ৭৬০টি শাখা ও ৬৯৮টি উপশাখা। অনেক এলাকায় একাধিক শাখা থাকায় সেগুলোকে পুনর্বিন্যাস করা হবে। সুবিধাজনক শাখা রাখা হবে এবং বাকি শাখাগুলো অন্য এলাকায় স্থানান্তর করা হবে যাতে ব্যাংকটির কার্যক্রম লাভজনক হয়। একইভাবে, কাছাকাছি অবস্থিত শাখাগুলো সমন্বয় করে কার্যকর অবস্থানে আনা হবে।
বর্তমানে পাঁচ ব্যাংকের পাঁচজন সিইও আছেন। তবে নতুন ব্যাংকে থাকবেন একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, যিনি নতুনভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন। বিদ্যমান কোনো এমডি ওই পদে যেতে পারবেন না। তবে নিচের স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছাঁটাই করা হবে না, প্রয়োজনে তাদের পদ বা কর্মস্থলে পরিবর্তন আনা হতে পারে।
উদ্যোক্তাদের সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত করা হবে, কারণ ব্যাংকগুলোর নিট সম্পদ ঋণাত্মক এবং শেয়ারের বিপরীতে কোনো সম্পদ অবশিষ্ট নেই। বরং তারা লোকসানে রয়েছে। তাই উদ্যোক্তারা কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না। তবে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের আংশিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক তথ্য সংগ্রহ করছে।
অন্যদিকে, আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সাময়িক মোরাটোরিয়াম আরোপ হতে পারে, যার ফলে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আমানতকারীরা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে অর্থ তুলতে পারবেন। তবে এটি সাময়িক ব্যবস্থা। কারণ সরকারি মালিকানায় নতুন ব্যাংক গঠনের পর গ্রাহকদের আস্থা বাড়বে এবং নতুন আমানতের প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত করা হবে যাতে দ্রুত তারল্য সংকট কেটে যায়।
প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীদের ক্ষেত্রেও সমাধান রাখা হয়েছে। যেসব প্রাতিষ্ঠানিক গ্রাহকের বিপুল অঙ্কের অর্থ ফেরত দেওয়া যাচ্ছে না, তাদের নতুন ব্যাংকের শেয়ার প্রদান করা হবে। যেহেতু ব্যাংকটি সরকারি মালিকানায় থাকবে, তাই তারা এ শেয়ার নিতে আগ্রহী হবেন বলে ধারণা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
-রাফসান
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ঝড়ের উত্থান: ২৮২ শেয়ার দাম বাড়ল, লেনদেনে রেকর্ড ৭৭৮ কোটি টাকা!
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ছিল প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক ধারায়। মোট ৪০১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ২৮২টির দর বেড়েছে, ৫৪টির কমেছে এবং ৬৫টি অপরিবর্তিত থেকেছে। মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৭৮.৩ কোটি টাকা। এদিন মোট ট্রেড হয়েছে ২,০৮,৪০১টি এবং প্রায় ২৩.৩৭ কোটি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দিন শেষে ডিএসই–এর মোট বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭২.৪৬ লাখ কোটি টাকা।
সেক্টরভিত্তিক পারফরম্যান্সে ব্যাংকিং খাত ছিল সবচেয়ে শক্তিশালী। বিশেষ করে ব্র্যাক ব্যাংক ব্লক মার্কেটে এককভাবে প্রায় ৫৬৯.৮৪ কোটি টাকার লেনদেন করেছে, যা পুরো বাজারে শীর্ষ অবস্থান দখল করেছে। প্রাইম ব্যাংকও প্রায় ৫৯.৮৪ কোটি টাকার লেনদেন করেছে। এসব তথ্য থেকে স্পষ্ট যে ব্যাংকিং সেক্টরের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শিল্প ও উৎপাদন খাতেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। KBPPWBIL প্রায় ৮২.৪১ কোটি টাকার লেনদেন করেছে, পাশাপাশি Orion Infusion ও Meghna Cement–এর মতো কোম্পানিও স্থিতিশীল লেনদেন বজায় রেখেছে।
খাদ্য ও ভোক্তা পণ্য খাতে Lovello এবং Fine Foods শেয়ার বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কাড়তে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে, টেলিকম খাতেও ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। গ্রামীণফোন (GP) ব্লক ট্রেডে ৭.৫৫ কোটি টাকার লেনদেন করেছে, যা টেলিকম সেক্টরের স্থিতিশীলতা ও দীর্ঘমেয়াদি ডিভিডেন্ড সম্ভাবনার প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে প্রতিফলিত করে।
আজকের বাজারে বিশেষভাবে বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হয়েছে কয়েকটি কোম্পানি। এর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক, KBPPWBIL, প্রাইম ব্যাংক, Orion Infusion এবং গ্রামীণফোন শীর্ষে রয়েছে। এগুলোই মূলত আজকের বাজারকে প্রাণবন্ত করেছে এবং উচ্চ লেনদেনে অবদান রেখেছে।
ভবিষ্যতের বাজার প্রবণতা বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ব্যাংক ও আর্থিক খাত সামনের দিনগুলোতে বাজার চালিত করার সক্ষমতা রাখে। পাশাপাশি ফার্মাসিউটিক্যালস ও সিমেন্ট খাতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। খাদ্য ও টেলিকম খাতও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীল রিটার্নের জন্য সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে জেড–ক্যাটাগরির শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন, কারণ সেখানে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
সর্বোপরি, আজকের লেনদেন বিনিয়োগকারীদের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করছে। আস্থা ফিরে আসার পাশাপাশি তারল্যের প্রবাহ বাড়ছে, যা আগামীতে বাজারকে আরও সক্রিয় করে তুলতে পারে। ব্যাংক, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিমেন্ট এবং টেলিকম খাত ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগকারীদের প্রধান আগ্রহের জায়গা হয়ে উঠবে বলে ধারণা করা যায়। তবে স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় সতর্ক থাকা জরুরি।
অল্প সময়েই ছয় দফা বৃদ্ধি: স্বর্ণের বাজারে আগুন
দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য আবারও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। সর্বশেষ সমন্বয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ভরিপ্রতি ১ হাজার ২৬০ টাকা বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ৮১০ টাকা। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, এ নতুন দাম আগামী মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে জারি করা এক আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজুসের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, নতুন মূল্য কাঠামোয় ২১ ক্যারেটের স্বর্ণের ভরি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ভরি ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতিতে তৈরি স্বর্ণের ভরি ১ লাখ ২৩ হাজার ৯৪২ টাকা।
এ ছাড়া ক্রেতাদের জানানো হয়, ঘোষিত মূল্যের সঙ্গে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস কর্তৃক নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি অবশ্যই যুক্ত করতে হবে। গহনার নকশা ও মানের ভিন্নতার কারণে মজুরির অঙ্ক পরিবর্তিত হতে পারে।
এর আগে, গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বাজুস একবার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সে সময় ২২ ক্যারেটের ভরি প্রতি ২ হাজার ৭১৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা, যা দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের সব রেকর্ড অতিক্রম করে। মূলত স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির কারণে বাজুস এ সমন্বয় করে।
গত ২৭ আগস্ট থেকে শুরু করে ৩১ আগস্ট, ২ সেপ্টেম্বর ও ৪ সেপ্টেম্বর মাত্র নয় দিনের ব্যবধানে চার দফা স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পায়। এর পর ৭ সেপ্টেম্বর এবং সর্বশেষ ৯ সেপ্টেম্বরের ঘোষণায় আরও দুই দফা দাম বাড়ানো হলো। অর্থাৎ, অল্প কয়েক দিনের ব্যবধানেই দেশের স্বর্ণবাজারে একের পর এক মূল্যবৃদ্ধি ঘটছে।
বাজুস বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামের পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় তেজাবি স্বর্ণের দামে ক্রমবর্ধমান চাপ তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সার্বিক বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে বারবার দাম সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।
বাণিজ্যযুদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ’, তবে চ্যালেঞ্জ আছে ৫টি
বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ। তার মতে, চীন থেকে আমেরিকার আমদানি সরছে এবং আমেরিকান কোম্পানিগুলো বিকল্প বাজার খুঁজছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হতে পারে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে—৩২ শতাংশ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘চায়না প্লাস ওয়ান’ কৌশল গ্রহণ করছে। একইভাবে, ৭২ শতাংশ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান মনে করে, বাণিজ্য ও উৎপাদন স্থানান্তরের জন্য অ-রাজনৈতিক দেশগুলোই হবে সেরা পছন্দ। এ কারণে বাংলাদেশের সামনে বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে পাঁচটি বড় দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
যে দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে
মাসরুর রিয়াজ বাংলাদেশের করণীয় তুলে ধরে বলেন, “প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বর্তমানে গ্লোবাল কম্পিটেটিভ ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫, যেখানে ভারত ও ভিয়েতনাম প্রায় ৬০-এর কাছাকাছি।” তিনি আরও বলেন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন উন্নত করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, তৈরি পোশাকের বাইরে বিকল্প খাত তৈরি করা এবং পাবলিক-প্রাইভেট সংলাপে সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব ও এফবিসিসিআই এর ভূমিকা
মাসরুর রিয়াজ জানান, বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে ২০২৫ সালে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশিত ৩ শতাংশ থেকে কমে ২ শতাংশে নেমে আসবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আবদুল হক বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ৬৫ শতাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রনির্ভর, যা দেশের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি বলেন, “অবকাঠামোগত ঘাটতি, জ্বালানি ও ডলার সংকট এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা দ্বিধাগ্রস্ত।”
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল্লাহ চৌধুরী বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এফবিসিসিআই কার্যত অকার্যকর ছিল এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবসায়ীদের অবস্থা ‘এতিমের মতো’, কারণ তারা কার কাছে যাবেন, কী করবেন, তা বুঝতে পারছেন না। আবদুল হক বলেন, “ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে পোর্ট চার্জ বাড়ানো ও নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।”
অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
লন্ডনের স্বর্ণবাজারে আসছে ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’, বদলাবে লেনদেন পদ্ধতি
বিশ্বের অন্যতম বড় স্বর্ণবাজার লন্ডনে আসতে যাচ্ছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। শত শত বছরের প্রচলিত লেনদেন ব্যবস্থাকে বদলে দিয়ে সেখানে এবার চালু করা হচ্ছে ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’। এই উদ্যোগের ফলে বিনিয়োগকারীরা সহজেই ছোট অঙ্কের বিনিয়োগ করেও সোনার মালিকানা লাভ করতে পারবেন।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) এই নতুন পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, লন্ডনের সুরক্ষিত ভল্টে রাখা আসল সোনার বারগুলোকে ভিত্তি করে ডিজিটাল টোকেন চালু করা হবে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পুলেড গোল্ড ইন্টারেস্ট (পিজিআই)’। এই টোকেনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রথমবারের মতো ৪০০ আউন্স ওজনের বড় সোনার বারের ভগ্নাংশও কিনতে পারবেন।
ডব্লিউজিসির বাজার কাঠামো ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান মাইক ওসউইন জানান, এই ডিজিটাল স্বর্ণ শুধু বিনিয়োগের জন্য নয়, জামানত হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এতে বাজারে অংশগ্রহণ ও নতুন ব্যবহার অনেক বাড়বে।
বর্তমানে লন্ডনের স্বর্ণবাজারের মূল্য প্রায় ৯৩০ বিলিয়ন ডলার। এতদিন এখানে দুই পদ্ধতিতে লেনদেন হতো: ‘অ্যালোকেটেড গোল্ড’ ও ‘আনঅ্যালোকেটেড গোল্ড’। আনঅ্যালোকেটেড পদ্ধতিতে ঝুঁকি হলো, যে প্রতিষ্ঠানের কাছে সোনা রাখা হয়, সেটি দেউলিয়া হলে বিনিয়োগকারীর দাবি ঝুঁকির মুখে পড়ে। নতুন ডিজিটাল স্বর্ণ এই ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনবে, কারণ টোকেনধারীদের ভল্টে থাকা সোনার আইনি মালিকানা নিশ্চিত করা হবে।
তবে এই পদক্ষেপ নিয়ে সবার মধ্যে একমত নেই। বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এজে বেলের পরিচালক রাস মোল্ড মনে করেন, প্রকৃত স্বর্ণপ্রেমীরা ডিজিটাল স্বর্ণে আগ্রহী হবেন না। তাদের কাছে সোনার মূল আকর্ষণ হলো এর বাস্তব প্রকৃতি, যা অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাজ করে। তবুও বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তির এই সংযোজন ভবিষ্যতের স্বর্ণবাজারকে আরও স্বচ্ছ, সহজ ও বহুমাত্রিক করে তুলবে। প্রথম ধাপে লন্ডনকেন্দ্রিক হলেও, এই উদ্যোগ একসময় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য বাজারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সিএনবিসি
বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হারে অস্থিরতা
আজ শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে প্রকাশিত নতুন বিনিময় হারে দেখা গেছে আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামার প্রভাব সরাসরি টাকার বিপরীতে বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রার মূল্যে প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষ করে, মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ইউরোর মতো প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান কিছুটা দুর্বল হয়েছে, যদিও কয়েকটি এশীয় মুদ্রা ও মধ্যপ্রাচ্যের রিয়াল তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে।
প্রধান মুদ্রার অবস্থা
মার্কিন ডলার (USD): ৪ সেপ্টেম্বর প্রতি ডলার ১২১.৬৫ টাকা থাকলেও ৫ সেপ্টেম্বর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২১.৬২ টাকায়। অর্থাৎ, টাকার বিপরীতে ডলারের মান ৩ পয়সা কমেছে।
ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP): গতকাল ১৬৪.৬০ টাকা থাকলেও আজ তা ১৬৩.৪১ টাকায় নেমে এসেছে। একদিনে ১ টাকা ১৯ পয়সা দরপতন হয়েছে, যা তুলনামূলক বড় পতন।
ইউরো (EUR): এক দিনে ৫৪ পয়সা কমে প্রতি ইউরো ১৪২.৩২ টাকা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১৪১.৭৮ টাকায়।
মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রা
সৌদি রিয়াল (SAR): সামান্য দরপতন, ৩২.৪৪ টাকা থেকে কমে ৩২.৪৩ টাকা।
দুবাই দিরহাম (AED): কোনো পরিবর্তন হয়নি, প্রতি দিরহাম ৩৩.১২ টাকায় অপরিবর্তিত।
কুয়েতি দিনার (KWD): ১৯ পয়সা কমে ৩৯৭.৭৫ টাকায় নেমে এসেছে।
কাতারি রিয়াল (QAR): সামান্য দরপতন, ৩৩.৪২ টাকা থেকে নেমে ৩৩.৪১ টাকা।
ওমানি রিয়াল (OMR): ৩ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৬.০৬ টাকায়।
বাহরাইন দিনার (BHD): ৩ পয়সা কমে ৩২৩.৫১ টাকায় নেমেছে।
এশিয়ার অন্যান্য মুদ্রা
ভারতীয় রুপি (INR): ১ পয়সা বেড়ে ১.৩৮ টাকায় পৌঁছেছে।
চাইনিজ রেন্মিন্বি (RMB): ১৭.০২ টাকা থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৭.০৩ টাকা।
মালয়েশিয়ান রিংগিত (MYR): ২ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.৭৮ টাকায়।
সিঙ্গাপুর ডলার (SGD): ২১ পয়সা কমে ৯৪.৪৩ টাকায় নেমেছে।
ব্রুনাই ডলার (BND): ২২ পয়সা দরপতন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪.৪২ টাকা।
জাপানি ইয়েন (JPY): প্রতি ইয়েন ০.৮২ টাকায় অপরিবর্তিত।
দক্ষিণ কোরিয়ান ওন (KRW): ০.০৮ টাকায় অপরিবর্তিত।
অন্যান্য মুদ্রা
কানাডিয়ান ডলার (CAD): একদিনে ৩৩ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৮.১২ টাকায়।
অস্ট্রেলিয়ান ডলার (AUD): ১০ পয়সা কমে এখন ৭৯.৫১ টাকা।
দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড (ZAR): ২ পয়সা কমে ৬.৮৭ টাকা।
লিবিয়ান দিনার (LYD): ৪ পয়সা কমে ২২.৪৪ টাকা।
মালদ্বীপ রুপিয়া (MVR): ১ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৮৭ টাকা।
তুর্কি লিরা (TRY): ২.৯৫ টাকায় অপরিবর্তিত।
ইরাকি দিনার (IQD): অপরিবর্তিত থেকে যাচ্ছে ০.০৯ টাকায়।
উদ্যোক্তাদের জন্য ৫৪ লাখ টাকার পুরস্কার
বাংলাদেশে পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রবণতা কমাতে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুরু হলো এক অনন্য প্রতিযোগিতা। যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) ও জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো), বাংলাদেশ। এ কর্মসূচিকে সহযোগিতা করছে নরওয়ে দূতাবাস।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা প্লাস্টিক ব্যবহারের বিকল্প বা টেকসই সমাধান ভিত্তিক ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করতে পারবেন। প্রতিটি নির্বাচিত উদ্যোক্তা প্রাথমিকভাবে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার পাবেন। মোট ৫৪ লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে, যা উদ্ভাবনী চিন্তা এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উৎসাহ জোগাবে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপে সারাদেশ থেকে প্রাপ্ত আবেদন যাচাই করে নারী উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, গবেষক, এনজিও এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতের কর্মীদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে ২৫ জনকে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত প্রত্যেকে পাবেন এক লাখ টাকা করে।
এরপর ওই ২৫ জন উদ্যোক্তাকে মেন্টরশিপ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা নিজেদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন একটি বিশেষ জুরি বোর্ডের সামনে, যেখানে অর্থ, পরিকল্পনা, শিল্প, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ এসএমই ফাউন্ডেশন ও ইউনিডোর প্রতিনিধি থাকবেন। এই ধাপ থেকে ৭ জন উদ্যোক্তাকে বাছাই করে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে দুই লাখ টাকা করে। পরবর্তী ধাপে উন্নত প্রশিক্ষণ শেষে সর্বশেষে নির্বাচিত পাঁচজন উদ্যোক্তা পাবেন তিন লাখ টাকা করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মুসফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার ঘাটতি থাকায় দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তিনি বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে উল্লেখ করেন, দেশে বছরে প্রায় ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হলেও এর মাত্র ৩১ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়। শুধু রাজধানী ঢাকাতেই প্রতিদিন উৎপন্ন হয় সারাদেশের ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য, যার পরিমাণ ৬৪৬ টন। এর মধ্যে পুনর্ব্যবহার হয় মাত্র ৩৭ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।
সভাপতির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করার অভিযাত্রায় এসএমই ফাউন্ডেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে। উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি টেকসই শিল্পায়নে অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ, জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউনিডো বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকিউজ্জামান এবং বিশেষজ্ঞ মো. মাহবুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম হাসান সাত্তার।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আব্দুস সালাম সরদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
-রাফসান
ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচের দামে লাগাম টানতে নতুন সুপারিশ
ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেলে তা আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। একইসঙ্গে আমদানির ওপর সব ধরনের শুল্ক ও কর ছাড় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই সুপারিশ জানিয়ে বাণিজ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছিল, দাম ডজনপ্রতি ১৫০ টাকাও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৪০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ
শুধু ডিম নয়, পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৯০ টাকা পেরোলে একই ধরনের পদক্ষেপ অর্থাৎ আমদানি উন্মুক্ত করা এবং শুল্ক-কর ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে। ট্যারিফ কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭০০ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আমদানি উন্মুক্ত করার পর পেঁয়াজের মূল্য ও সরবরাহ এখন স্থিতিশীল আছে।
একইভাবে, কাঁচামরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাঁচামরিচ আমদানিতে আরোপিত ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। এছাড়া, কাঁচামরিচ আমদানির সময় শুল্কায়নযোগ্য মূল্যের পরিবর্তে প্রকৃত বিনিময় মূল্যে শুল্কায়নের সুপারিশও করা হয়েছে।
সবজির বাজার স্থিতিশীল রাখার তাগিদ
ট্যারিফ কমিশন সবজির বাজার স্থিতিশীল রাখতেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সংস্থাটি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে। তারা সুপারিশ করেছে, সবজির উৎপাদন মূল্য থেকে শুরু করে খুচরা মূল্য পর্যন্ত পুরো সরবরাহ শৃঙ্খল যেন কঠোরভাবে তদারকি করা হয়।
ইতিহাসে সর্বোচ্চ: বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আবারো বাড়লো
বাংলাদেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৪৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির বৈঠকে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
- হাসিনা, রাজাপাকসে, শর্মা–এর পর কি এবার মোদি? মণিপুরের অস্থিরতায় দিল্লিতে কাঁপন
- ডাকসু নির্বাচন কি জাতীয় রাজনীতির পূর্বাভাস? জানালেন পিনাকী ভট্টাচার্য
- ঢাকার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম: কোন পণ্য বেড়েছে, কোথায় মিলছে স্বস্তি
- জাহাঙ্গীরনগরে রাতভর ভোট গণনা, বিক্ষোভ ও বর্জনে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস
- নেপালে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ: নিহত ৩৪, আহত দেড় হাজারের বেশি
- জাকসু ভোট গণনায় ট্র্যাজেডি: দায়িত্ব পালনে এসে সহকারী অধ্যাপকের মৃত্যু
- UNHRC-তে মুখোমুখি ভারত–সুইজারল্যান্ড, পাকিস্তানকে আক্রমণ দিল্লির
- দুর্বল পাঁচ ব্যাংক একীভূতকরণ, উদ্যোক্তাদের সব শেয়ার বাজেয়াপ্ত
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- ফাউন্ডেশনাল ইলেকশন সামনে: জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জোর দিলেন ড. ইউনূস
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ঝড়ের উত্থান: ২৮২ শেয়ার দাম বাড়ল, লেনদেনে রেকর্ড ৭৭৮ কোটি টাকা!
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের বর্জন—প্রশ্নের মুখে ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন
- শির্কের ভয়াবহতা বুঝতে সহজ উদাহরণ
- দিনের বেলা ভাতঘুম: উপকারী নাকি ক্ষতিকর?
- সপ্তাহের শেষ দিনে ডিএসইতে সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
- জাকসুতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সাদীর
- গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ক
- ডাকসুতে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে যত কৌশল
- অস্থির নেপাল থেকে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ ফুটবল দল
- নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান পছন্দ সুশিলা কার্কি, বলছে ‘জেন জেড’ আন্দোলন
- মার্কিন রাজনীতিতে নতুন বিভাজনের আশঙ্কা
- নেপালে রাজনৈতিক শূন্যতা: সেনা তত্ত্বাবধানে উত্তাল দেশ, নতুন নেতৃত্ব কে?
- ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: নিরাপত্তা, অনিয়ম ও বিতর্কে সরগরম ক্যাম্পাস
- ১০ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারের সার্বিক চিত্র ও বিশ্লেষণ
- ডিএসই ব্লক মার্কেট: বড় লেনদেনে যেসব কোম্পানি
- ১০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- জলবায়ু ইস্যুতে গণমাধ্যমের দায়িত্ব বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান
- ১০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা: নিরাপত্তায় ১২০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- ১০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ৬২৫
- ভাঙ্গায় ১১ ঘণ্টা অবরোধ শেষে ফের নতুন ঘোষণা
- জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে আর জিডি করতে হবে না: ইসি
- ডাকসুতে জয়ীদের উদ্দেশ্যে জামায়াত আমিরের বার্তা
- কর ফাঁকি তদন্তে শেখ হাসিনার ব্যাংক লকার সিলগালা
- "ষড়যন্ত্র ভেদ করে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে হবে"
- ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫: কারা পেলেন সেরা সম্মাননা
- যুক্তরাষ্ট্রে আটক কোরীয় শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে চার্টার্ড ফ্লাইট
- কাপ্তাই বাঁধে ১৬ গেট খোলা: কর্ণফুলীতে তীব্র পানি প্রবাহ
- জরায়ুর যত্নে সচেতনতা: নারীর সুস্থ জীবনের অপরিহার্য শর্ত
- মহেশখালী-মাতারবাড়ি: পর্যটন ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত
- ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়, কেন এত এখন জরুরি
- একীভূতকরণ প্রসঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের ব্যাখ্যা
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গোয়ালন্দে কবর অবমাননার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলের অঙ্গীকার জরুরি: বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের সামনে এক অমীমাংসিত সংকট
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- লিটনের ব্যাটে স্মার্ট জয়: হংকংকে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ
- উটাহে চার্লি কার্ক হত্যা: রাজনৈতিক সহিংসতার নতুন ধাক্কায় আমেরিকার গণতন্ত্র ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা
- জাকসু নির্বাচন: প্রার্থীদের জন্য আজ বাধ্যতামূলক ডোপ টেস্ট
- রজনীকান্ত–কমল হাসান আবারও একসঙ্গে বড় পর্দায়
- নিরাপদ কাতারেও হামলা! দোহায় ইসরাইলি হামলায় তোলপাড় আরব বিশ্ব