রেলওয়ের আয় ১ টাকা, খরচ ২.৫! নৈপথ্যে কারন? 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ মে ১৬ ০৭:৪৭:৩৯
রেলওয়ের আয় ১ টাকা, খরচ ২.৫! নৈপথ্যে কারন? 

সত্য নিউজ: বাংলাদেশ রেলওয়ে বর্তমানে আর্থিক সংকটে জর্জরিত একটি রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহন সংস্থা, যা প্রতি ১ টাকা আয় করতে ব্যয় করছে প্রায় আড়াই টাকা। বছরের পর বছর ধরে লোকসান গুনতে থাকা এই গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগত সেবাখাতকে লাভজনক করতে সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করছে একগুচ্ছ স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। লক্ষ্য, দ্রুত সময়ের মধ্যে অপারেটিং রেশিও ২-এর নিচে নামিয়ে আনা এবং দীর্ঘ মেয়াদে রেলকে টেকসই ও মুনাফাযোগ্য প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা।

আয় ও ব্যয়ের অসম সাম্য: পরিসংখ্যান যা ভাবায়

রেলওয়ের সর্বশেষ হিসাব বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংস্থাটি পরিচালনা খাতে ব্যয় করেছে ৩,৫৪৮ কোটি টাকা, যেখানে আয় ছিল মাত্র ৮৩৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি ১ টাকা আয়ের বিপরীতে ব্যয় ছিল প্রায় ২ টাকা ৫৭ পয়সা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপারেটিং রেশিও যত বেশি, একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালন দক্ষতা ততটাই দুর্বল।

রেলওয়ে ২০০৫ সালে প্রতি ১ টাকা আয় করতে ব্যয় করত ১ টাকা ৪৬ পয়সা। অথচ স্বাধীনতার পর একমাত্র ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরেই লাভের মুখ দেখেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

আয় বাড়াতে ও ব্যয় কমাতে বাস্তবায়নাধীন কর্মপরিকল্পনা

রেলওয়ে ব্যয়ের প্রধান খাতগুলো হলো: বেতন-ভাতা, অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন, জ্বালানি, রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রশাসনিক ব্যয়। এর মধ্যে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পেনশন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৯৪৬ কোটি টাকা, যা কমানোর সুযোগ নেই। তবে এই ব্যয় যেন অর্থ মন্ত্রণালয় বহন করে, সেই দাবি জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।

অন্যদিকে, রেল এখন অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা, প্রকল্প ব্যয় ও গাড়ি ব্যবহারে কঠোরতা আনছে। মেরামত খাতে ব্যয় যৌক্তিক করা, দেশ–বিদেশে ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণ এবং অতিরিক্ত শ্রমিক নিয়োগ বন্ধের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

ভূমি, মালামাল ও যাত্রী পরিবহনে নতুন কৌশল

সরকারি হিসাব অনুযায়ী রেলওয়ের আছে প্রায় ৬২ হাজার একর জমি, যার মধ্যে প্রায় ৩,৬১৪ একর জমি বেদখল। ভূমি পুনরুদ্ধার করে তা ইজারা দিয়ে আয়ের উৎস বাড়াতে চায় রেলওয়ে। অপটিক্যাল ফাইবার এবং স্টেশন-ভিত্তিক বিজ্ঞাপন থেকেও আয় বাড়ানোর চিন্তা করছে সংস্থাটি।

মালামাল পরিবহন, বিশেষত খাদ্যপণ্য, সার, জ্বালানি পরিবহন বাড়াতে নেওয়া হচ্ছে মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা। যমুনা রেলসেতু চালুর ফলে উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকার দিকে পণ্য পরিবহনের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এ জন্য টঙ্গী, তেজগাঁও, মির্জাপুর, নিমতলীতে মালামাল পরিবহনের কেন্দ্র গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

আন্তনগর ট্রেনে পরিবর্তন ও কমিউটার ট্রেনের প্রসার

ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথে যাত্রী চাহিদা বেশি। রেলপথ মন্ত্রণালয় বলছে, সেখানে নতুন ট্রেন চালু করলে আয় বাড়বে। বর্তমানে অধিকাংশ আন্তনগর ট্রেনে ১০-১৪টি কোচ ব্যবহার করা হলেও, ১৮-২০টি কোচ চালুর মাধ্যমে একই ইঞ্জিন ও জ্বালানিতে বেশি যাত্রী বহন সম্ভব। এতে ব্যয় বাড়বে না, বরং আয় বাড়বে।

শহরকেন্দ্রিক গণপরিবহনে রেলের ব্যবহার বাড়াতে কমিউটার ও সার্কুলার ট্রেন চালুর সুপারিশ এসেছে বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে। মাসিক টিকিট চালু হলে আগাম আয় নিশ্চিত করা যাবে।

দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা: রেলের রূপান্তরের পথে

রেলওয়ে দীর্ঘমেয়াদি ৯টি উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-

নতুন ইঞ্জিন ও কোচ: ৮০টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ ইঞ্জিন, ৫০০টি কোচ ও ২০০টি কনটেইনার সংগ্রহ।

বাণিজ্যিক স্থাপনা: রেলের অপ্রয়োজনীয় জমিতে বিপণিবিতান, হোটেল, অফিস নির্মাণ করে ভাড়া দেওয়া।

নতুন রেললাইন: ঢাকা-লাকসাম-চট্টগ্রাম নতুন রেললাইন নির্মাণ, যা দূরত্ব প্রায় ৯০ কিমি কমাবে। ফৌজদারহাট-লাকসাম শুধুমাত্র মালবাহী রেলপথ নির্মাণ।

আন্তর্জাতিক তুলনা ও শিক্ষণীয় দিক

বিশ্বের অনেক দেশেই রেল লাভজনকভাবে পরিচালিত হয়। কানাডায় প্রতি ১ ডলার আয় করতে খরচ হয় ৬৩ সেন্ট। ভারতের রেলওয়ের অপারেটিং রেশিও মাত্র ৯৮.৩২, অর্থাৎ তারা লাভে আছে। যুক্তরাষ্ট্রে বেসরকারি খাতে রেল পরিচালিত হয়, এবং কোম্পানিগুলো আয়ের তুলনায় ৩০–৪০ শতাংশ কম খরচে রেল চালায়।

বিশেষজ্ঞ মত

বুয়েটের পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. সামছুল হক বলেন, “রেলের আয় বাড়াতে হলে কনটেইনার ও মালামাল পরিবহন বাড়াতে হবে। জমি থেকে প্রকৃত আয় নিশ্চিত করতে হবে। কেনাকাটায় স্বচ্ছতা, অপচয় রোধ ও দুর্নীতি বন্ধ করলেই দৃশ্যমান পরিবর্তন সম্ভব।” তিনি শহরকেন্দ্রিক ট্রেন সেবা এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের এই অর্থনৈতিক সংকট শুধু একটি প্রতিষ্ঠানের নয়, বরং জাতীয় সম্পদের সুরক্ষার প্রশ্ন। সরকার, রেল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সুসংহত, স্বচ্ছ ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে একসময় লাভজনক রেলব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব—যা হবে দেশের পরিবহন অবকাঠামোয় এক নবযাত্রার সূচনা।


ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা জানালেন ইসি সচিব 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ২০:১৫:৪০
ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা জানালেন ইসি সচিব 
ছবিঃ সংগৃহীত

তৃতীয় ধাপের হালনাগাদের পর দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। রোববার (২ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইসি সচিব জানান, বর্তমানে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭২ জন; এছাড়াও হিজড়া ভোটারের সংখ্যা হলো ১ হাজার ২৩০ জন।

তিনি বলেন, এই ভোটার তালিকা দিয়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত হালনাগাদের এই ধাপে নতুন ভোটার হিসেবে ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন যুক্ত হয়েছেন।

ইসি সচিব আরও বলেন, দাবি-আপত্তি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে; তবে দাবি-আপত্তি শুধু এই নতুন যুক্ত হওয়া ভোটারদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তিনি উল্লেখ করেন, চলতি মাসের ১৮ তারিখ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে।


ড. ইউনুস বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমের মধ্যে ৫০তম

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৯:৪৮:২৭
ড. ইউনুস বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমের মধ্যে ৫০তম
ছবি: সংগৃহীত

জর্ডানভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘দ্য রয়াল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার’ সম্প্রতি ‘দ্য মুসলিম ৫০০: ৫০০ ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস ২০২৬’ শীর্ষক তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্থান পেয়েছেন। তিনি তালিকায় ৫০তম স্থানে আছেন এবং তাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২৬ সালের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত মুফতি ও ইসলামি স্কলার শেখ মুহাম্মদ তাকি উসমানি, এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইয়েমেনি সুফি আলেম শেখ হাবিব উমর বিন হাফিজ।

শীর্ষ দশে আরও যারা স্থান পেয়েছেন তারা হলেন:৪র্থ—ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি,৫ম—জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ইবনে আল-হুসেইন,৬ষ্ঠ—আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড শেখ ড. আহমদ মুহাম্মদ আল-তায়্যিব,৭ম—তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রজব তাইয়্যেব এরদোগান,৮ম—সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল-আজিজ আল-সৌদ,৯ম—সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান,১০ম—মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

শীর্ষ ৫০-এর মধ্যে আরও উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—ইরাকের আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী হুসেইন আল-সিস্তানি, সৌদি স্কলার শেখ সালমান আল-আওদা, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ান্তো, ভারতের মাওলানা মাহমুদ মাদানী, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামি নেতা শেখ হামজা ইউসুফ হ্যানসন, পাকিস্তানের মাওলানা তারিক জামীল, মিশরীয় ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ, তালিবান নেতা মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং মালয়েশিয়ার দার্শনিক সৈয়দ মুহাম্মদ নাকীব আল-আত্তাস।

বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা মোট বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। মুসলিমরা বিশ্বের ৫৬টি দেশে বাস করে, এবং এদের প্রায় ২০% এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সমাজসেবা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও মিডিয়া খাতে প্রভাবশালী মুসলিমদের এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এটি বিশ্বের মুসলিম সমাজে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব ও অবস্থান নির্ধারণের একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।


এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসে দাম কমানো হলো যত টাকা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৮:৫৯:২৩
এলপি গ্যাস ও অটোগ্যাসে দাম কমানো হলো যত টাকা
ছবি: সংগৃহীত

ভোক্তাদের জন্য নভেম্বর মাসে এলপি গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (BERC) রোববার জানিয়েছে, প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১,২৪১ টাকা থেকে ২৬ টাকা কমিয়ে ১,২১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন এই দাম আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।

সাথে অটোগ্যাসের দামও হ্রাস করা হয়েছে। পূর্বের ৫৬ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ টাকা ৫৮ পয়সা।

এর আগে, অক্টোবর মাসে প্রতি ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৯ টাকা কমানো হয়েছিল এবং সেসময় দাম নির্ধারিত হয়েছিল ১,২৪১ টাকা। সেই সময় অটোগ্যাসের দামও হ্রাস পেয়ে ১ টাকা ৩৮ পয়সা কমে ৫৬ টাকা ৭৭ পয়সা হয়েছিল।

কমিশন সূত্র জানিয়েছে, বাজার পরিস্থিতি, তেলের আন্তর্জাতিক বাজারের দামের ওঠাপড়া এবং জ্বালানি সরবরাহের ব্যয়ের ওপর ভিত্তি করে ভোক্তাপর্যায় গ্যাস ও অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক জ্বালানির দাম সামান্য কমায় ভোক্তাদের জন্য এ হ্রাস কার্যকর করা হলো।

এই হ্রাস নতুন দাম প্রয়োগের পর সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য কিছুটা স্বস্তি অনুভব করতে পারবেন। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক বাজারের উত্থান-পতনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

-রফিক


জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৪:৪৯:১১
জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার ডা. জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আগমনকে মোটেও ভালোভাবে দেখছে না ভারত; এ নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকাকে বার্তা দেওয়ার পর এবার জাকির নায়েকের সফর প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জাকির নায়েক আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন বলে জানা গেছে। জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতে একাধিক মামলা থাকায়; তিনি ঢাকায় পা রাখলে তাকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়, বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভারত এমনটাই প্রত্যাশা করছে।

জাকির নায়েকের ঢাকায় আসার বিষয়টি নিয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছিল। তবে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন তাদের জানিয়েছেন, বিষয়টি তার এখতিয়ারে নেই।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, "এটা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার, তাদের এখতিয়ারে; আপনারা জানেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বলেছেন যে তিনি এই ব্যাপারে অবহিত নন।" তিনি বলেন, বিদেশী কোনো মেহমান দেশে এলে তার দেখভাল করেন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। তিনি পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি; তিনি ভারতে ওয়ান্টেড।" তিনি আশা করেন, জাকির নায়েক যেখানেই যান না কেন; সংশ্লিষ্ট দেশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম বাসসকে বলেছিলেন, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের নজরে এসেছে। তিনি আরও বলেন, "আমরাও বিশ্বাস করি যে, কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।"


জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৪:৪৯:১১
জাকির নায়েকের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশিষ্ট ইসলামি স্কলার ডা. জাকির নায়েকের বাংলাদেশে আগমনকে মোটেও ভালোভাবে দেখছে না ভারত; এ নিয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঢাকাকে বার্তা দেওয়ার পর এবার জাকির নায়েকের সফর প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জাকির নায়েক আগামী ২৮ ও ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশের একটি দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকায় আসবেন বলে জানা গেছে। জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ভারতে একাধিক মামলা থাকায়; তিনি ঢাকায় পা রাখলে তাকে যেন ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হয়, বাংলাদেশ সরকারের কাছে ভারত এমনটাই প্রত্যাশা করছে।

জাকির নায়েকের ঢাকায় আসার বিষয়টি নিয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ধর্ম উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেছিল। তবে ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন তাদের জানিয়েছেন, বিষয়টি তার এখতিয়ারে নেই।

তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, "এটা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার, তাদের এখতিয়ারে; আপনারা জানেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ইতোমধ্যে বলেছেন যে তিনি এই ব্যাপারে অবহিত নন।" তিনি বলেন, বিদেশী কোনো মেহমান দেশে এলে তার দেখভাল করেন স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; ধর্ম উপদেষ্টা হিসেবে তিনি কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। তিনি পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন।

এর আগে গত ৩০ অক্টোবর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, "জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি; তিনি ভারতে ওয়ান্টেড।" তিনি আশা করেন, জাকির নায়েক যেখানেই যান না কেন; সংশ্লিষ্ট দেশ তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম বাসসকে বলেছিলেন, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মন্তব্য বাংলাদেশের নজরে এসেছে। তিনি আরও বলেন, "আমরাও বিশ্বাস করি যে, কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।"


বিশ্ব ইজতেমার সময় পরিবর্তন ঝুঁকি এড়াতে সরকার কী কৌশল নিল,জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৪:০৯:০৭
বিশ্ব ইজতেমার সময় পরিবর্তন ঝুঁকি এড়াতে সরকার কী কৌশল নিল,জানালেন ধর্ম উপদেষ্টা
ছবিঃ সংগৃহীত

২০২৬ সালের বিশ্ব ইজতেমা আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের পর অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। নির্বাচন সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং যেকোনো ঝুঁকি এড়াতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রবিবার (২ নভেম্বর) সচিবালয়ে শুরায়ে নেজাম ও সাদপন্থিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ধর্ম উপদেষ্টা এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, যদি ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয়ার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়; তাহলে রমজানের পর দুই পক্ষের জন্য আলাদা আলাদাভাবে ইজতেমার আয়োজন করা হবে।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও জানান, ইজতেমা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের জন্য একটি কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; এই কমিটি দুই পক্ষের মধ্যে বিদ্যমান সব ধরনের সমস্যা সমাধানে কাজ করবে। তিনি নিশ্চিত করেন, দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই ইজতেমার চূড়ান্ত তারিখ ঠিক করা হবে।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী; শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান; এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।


নৌকা উপহার ঘিরে ফেসবুকে ফাওজুল কবিরের ব্যাখ্যা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১২:১৪:৪৮
নৌকা উপহার ঘিরে ফেসবুকে ফাওজুল কবিরের ব্যাখ্যা
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেল ওহাব সালদানি বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে একটি নৌকার মডেল উপহার দিয়েছেন। এই উপহারটি দেওয়া হয় গত ১ নভেম্বর আলজেরিয়ার বিপ্লবের ৭১তম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে, যেখানে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনোনয়নক্রমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন, রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে উপহারটি কূটনৈতিক সৌজন্যের অংশ হিসেবে প্রদত্ত।

ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে এই উপহারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা ও সমালোচনা দেখা যায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কি কারণে একজন সরকারি উপদেষ্টা এমন উপহার গ্রহণ করেছেন এবং এর রাজনৈতিক বা নির্বাচনী প্রেক্ষাপটে কোনো প্রভাব আছে কি না। এ নিয়ে বিভ্রান্তি প্রতিরোধের জন্য মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান নিজেই বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন।

ফেসবুকে প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, উপহারটি ‘পালতোলা দাঁড় পরিচালনাকারী মাঝিসহ নৌকা’ আকারের। তিনি জোর দিয়ে স্পষ্ট করেছেন, এই নৌকার মডেলটি কোনো রাজনৈতিক বা নির্বাচনী প্রতীক বহন করে না। এটি কেবল কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রদত্ত, এবং রাষ্ট্রদূত বা দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বা প্রভাব সৃষ্টি করার জন্য নয়।

উপদেষ্টা আরও উল্লেখ করেছেন, তিনি এখন উপহারটি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে চারটি বিকল্প বিবেচনা করছেন। প্রথম বিকল্প হলো এটি সরাসরি আলজেরিয়ার দূতাবাসে ফেরত পাঠানো, যা কূটনৈতিক দিক থেকে নিখুঁত হলেও কিছু ক্ষেত্রে অসৌজন্যমূলক বা হীনমন্যতার তত্ত্বও সৃষ্টি করতে পারে। দ্বিতীয় বিকল্প হলো সরকারি তোশাখানায় জমা রাখা, যা সরকারি দপ্তরীয় প্রটোকলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। তৃতীয় বিকল্প হলো শৈলান প্রবীণ নিবাসে সংরক্ষণ করা, যা ব্যক্তিগতভাবে উপহারের ঐতিহাসিক ও প্রতীকী মূল্য ধরে রাখবে। চতুর্থ বিকল্প হলো উপহারটি নিজে রেখে দেওয়া, যা কেবল কূটনৈতিক সৌজন্য হিসেবে গ্রহণের অর্থ বহন করবে এবং ব্যক্তিগত স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেও থাকবে।

ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, উপহারটি কোনো ব্যয়বহুল বা মূল্যবান বস্তু নয়। এটি সম্পূর্ণ প্রতীকী এবং কূটনৈতিক বিনিময় হিসেবে প্রদত্ত। তিনি জনসাধারণের ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চেয়ে বলেন, তিনি এই বিষয়টি যথাযথভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন যাতে বিতর্ক, ভুল বোঝাবুঝি বা রাজনৈতিক ব্যাখ্যার সুযোগ সৃষ্টি না হয়।

উপদেষ্টার পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, এই উপহার গ্রহণ বা সংরক্ষণে কোনো রাজনৈতিক বা নির্বাচনী ইঙ্গিত নেই। এটি কেবল কূটনৈতিক সৌজন্যের অংশ এবং রাষ্ট্রের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বজায় রাখার একটি আনুষ্ঠানিক দিক। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, তার নেওয়া সিদ্ধান্ত যথাযথভাবে ব্যাখ্যা করা হবে এবং ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো সম্ভব হবে।

-শরিফুল


আঞ্চলিক শান্তি-নিরাপত্তায় যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিল ঢাকা–দোহা

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১১:৫৬:৫২
আঞ্চলিক শান্তি-নিরাপত্তায় যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দিল ঢাকা–দোহা
ছবিঃ বি এস এস

বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে—এমন প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, কাতারের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বে কোনো হুমকি দেখা দিলে বাংলাদেশ সবসময় কাতারের পাশে থাকবে।

শনিবার বাহরাইনে অনুষ্ঠিত ২১তম IISS মানামা সংলাপের অবকাশে কাতারের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ আশ্বাস দেন তিনি। বৈঠকের তথ্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে রাজনৈতিক সমন্বয়, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব, জ্বালানি সহযোগিতা এবং মানবসম্পদ উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগ জোরদারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তৌহিদ হোসেন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় কাতারের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। একই সঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কাতারের সক্রিয় কূটনৈতিক ভূমিকার প্রশংসা করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরেকটি বৈঠকে অংশ নেন এশিয়ার আস্থাবর্ধক ও সহযোগিতা বিষয়ক সম্মেলন (CICA)-এর মহাসচিবের সঙ্গে। সেখানে তিনি রাজনৈতিক সংলাপ, আঞ্চলিক শান্তি এবং সহযোগিতা বাড়াতে সংগঠনের ভূমিকা আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি উল্লেখ করেন, সহযোগিতাপূর্ণ বহুপাক্ষিক কাঠামোই বর্তমানে এশিয়া অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির পূর্বশর্ত।

উল্লেখ্য, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ২১তম মানামা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নীতিনির্ধারকেরা মধ্যপ্রাচ্যসহ বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সামরিক সহযোগিতা এবং মানবিক সংকট নিয়ে গভীর আলোচনা করছেন।

-নাজমুল হাসান


প্রবাসী ও বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত: বাহরাইনের কাছে ভিসা সুবিধা চাইল বাংলাদেশ

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১১:৪৯:৪৬
প্রবাসী ও বিনিয়োগে নতুন দিগন্ত: বাহরাইনের কাছে ভিসা সুবিধা চাইল বাংলাদেশ
ছবিঃ বি এস এস

বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। ব্যবসায়ী, পেশাজীবী এবং দক্ষ ও অদক্ষ কর্মীদের জন্য বাহরাইনে ভিসা প্রক্রিয়া পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এতে দুই দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি, শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ এবং অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততা আরও জোরদার হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শনিবার বাহরাইনে চলমান ২১তম IISS মানামা সংলাপের অবকাশে বাহরাইনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা আদেল বিন খলিফা আল ফাদেলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ অনুরোধ জানান। বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বাহরাইনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ফ্যামিলি ভিসা প্রদান সহজতর করার অনুরোধও জানান। তিনি বলেন, কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা পাশে থাকতে পারলে সামাজিক বন্ধন দৃঢ় হবে, তাদের মানসিক প্রশান্তি বাড়বে এবং উৎপাদনশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

এর জবাবে, বাহরাইনের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের কর্মীদের অবদানকে মূল্যায়ন করে বলেন, দেশটির অর্থনীতিতে বাংলাদেশি প্রবাসীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জানান, ধাপে ধাপে বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা সুবিধা পুনরায় চালুর বিষয়ে তাদের সরকার সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।

বৈঠকে অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত নাগরিকদের নিজ দেশে শাস্তি ভোগের সুযোগ দেওয়ার জন্য দুই দেশের মধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের হস্তান্তর চুক্তি করার সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়। এতে মানবিক বিবেচনা এবং আইনগত সহযোগিতা উভয় দিকই মজবুত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বর্তমানে ২১তম মানামা সংলাপে অংশ নিচ্ছেন। এই বৈশ্বিক নিরাপত্তা সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতা,মন্ত্রী ও নীতি–নির্ধারকেরা আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, কৌশলগত সম্পর্ক এবং মানবিক সংকটসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছেন।

-আলমগীর হোসেন

পাঠকের মতামত:

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে

বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে। নির্বাসনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট পত্রিকাকে... বিস্তারিত