রাসুল (সা.) রাতে ঘুমানোর আগে যে ৭টি আমল করতেন 

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৬ ১৪:২৫:৩৩
রাসুল (সা.) রাতে ঘুমানোর আগে যে ৭টি আমল করতেন 

ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনবিধান, যা শুধু দিনের কাজ নয়, রাতের আমলকেও গুরুত্ব দিয়েছে। প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) রাতের বেলায় কিছু নির্দিষ্ট সূরা ও আয়াত পাঠ করতেন, যা আমাদের জন্যও অত্যন্ত উপকারী ও ফজিলতপূর্ণ। এসব আমলে রয়েছে আত্মশুদ্ধি, নিরাপত্তা এবং আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের অপার সুযোগ। হাদিস শরিফে ঘুমের আগে বিভিন্ন সূরা ও আয়াত পাঠের কথা সুস্পষ্টভাবে এসেছে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

১. সূরা সাজদাহ ও সূরা মুলক: ঘুমের আগে নিয়মিত আমল

রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনো এই দুই সূরা পাঠ না করে ঘুমাতেন না। হজরত জাবির (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমাতে যাওয়ার আগে ‘আলিফ লাম তানযীল’ (সূরা সাজদাহ) এবং ‘তাবারাকাল্লাযি বিইয়াদিহিল মুলক’ (সূরা মুলক) পাঠ করতেন।” (তিরমিজি: ২৮৯২, সহিহ)

এই দুটি সূরা পাঠের মাধ্যমে একজন মুমিন শয়তানের আক্রমণ ও কবরের আজাব থেকে নিরাপদ থাকতে পারেন বলে হাদিসে এসেছে। সূরা মুলকে আছে মৃত্যুর পরকার্য, আসমান-জমিনের শাসনব্যবস্থা ও তাকওয়ার শিক্ষা।

২. সূরা যুমার ও সূরা ইসরা: চিন্তাশীল অন্তরের প্রস্তুতি

হজরত আয়েশা (রা.) হতে বর্ণিত, “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুমানোর আগে সূরা যুমার ও সূরা বনি ইসরাঈল (সূরা ইসরা) পাঠ করতেন।” (তিরমিজি: ৩৪০৫)

এই সূরাগুলোতে রয়েছে তাওহিদের ব্যাখ্যা, কিয়ামতের বর্ণনা এবং আল্লাহর প্রতি প্রত্যাবর্তনের স্মরণ। ঘুমের আগে এমন সূরা পাঠ অন্তরকে স্মরণ ও ভয়ভীতির মাধ্যমে পরিশুদ্ধ করে।

৩. সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস: আত্মরক্ষার ঢাল

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) ঘুমাতে যাওয়ার সময় দুই হাত তালু করে তিনটি সূরা- ইখলাস, ফালাক ও নাস পাঠ করে তাতে ফুঁ দিয়ে তাঁর মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের ওপর মাসেহ করতেন। তিনি এ কাজ তিনবার করতেন। (বুখারি: ৫০১৭)

এই আমল রুহানিয়াত ও আত্মরক্ষার এক অনুপম পন্থা। এটা শয়তানের ক্ষতি, জাদু, হিংসা ও অন্যান্য অদৃশ্য বিপদ থেকে রক্ষা করে।

৪. সূরা কাফিরূন: শিরকমুক্ত আত্মার অঙ্গীকার

রাসুল (সা.) হজরত নুফল (রা.)-কে বলেছিলেন, “সূরা কাফিরূন পাঠ করে ঘুমাতে যাও। এতে শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা রয়েছে।” (আবু দাউদ: ৫০৫৫)

এই সূরা পাঠের মাধ্যমে একজন মুমিন বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন যে, তার জীবন শুধু এক আল্লাহর ইবাদতের জন্য নিবেদিত, কোনো মিশ্রতা নয়।

৫. আয়াতুল কুরসী: রাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত

হজরত আবু হুরাইরা (রা.)-এর বিখ্যাত হাদিসে এসেছে, “ঘুমানোর সময় আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে একজন ফেরেশতা সকাল পর্যন্ত পাহারা দেন। শয়তান তার নিকট আসতে পারে না।” (বুখারি: ৩২৭৫)

আয়াতুল কুরসী আল্লাহর ক্ষমতা, জ্ঞান ও অধিপত্যের অনুপম পরিচয় বহন করে। এটি পাঠ করা মানে নিজেকে আল্লাহর হেফাজতে সমর্পণ করা।

৬. সূরা বাকারা-এর শেষ দুই আয়াত: সারা রাতের জন্য নিরাপত্তা

প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, “সূরা বাকারা-এর শেষ দুই আয়াত (آمَنَ الرَّسُولُ... إلَى خَاتِمِ السُّورَةِ) যে পাঠ করবে, তা তার জন্য সারা রাতের জন্য যথেষ্ট হবে।” (বুখারি: ৪০০৮, মুসলিম: ৮০৭)

এই আয়াতদ্বয়ে আছে ঈমান, আনুগত্য, ক্ষমা ও আল্লাহর রহমত লাভের প্রার্থনা। একজন মুমিনের হৃদয়কে প্রশান্ত করতে এসব আয়াত অপরিহার্য।

৭. সূরা আলে ইমরান-এর শেষ দশ আয়াত: গভীর অধ্যবসায়ের উদ্বুদ্ধতা

হজরত ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, “রাসুল (সা.) রাতের নির্জনে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই সূরা আলে ইমরানের শেষ দশটি আয়াত পাঠ করতেন।” (বুখারি: ৯৯২, মুসলিম: ৭৬৩)

এই আয়াতগুলো আল্লাহর সৃষ্টি, কিয়ামতের স্মরণ ও আল্লাহভীতি জাগ্রত করে। গভীর চিন্তাশীলতার মাধ্যমে আত্মার জাগরণ ঘটায়।

ঘুমানোর পূর্বে রাসুল (সা.)-এর এই নিয়মিত আমলগুলো কেবল আধ্যাত্মিক উপকারে নয়, বরং মানসিক শান্তি ও দৈনন্দিন জীবনের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি আয়াত ও সূরার রয়েছে বিশেষ ফজিলত, যা রাত্রিকালীন সময়কে পরিণত করতে পারে রহমত, বরকত ও আত্মিক উন্নয়নের এক অনুপম সুযোগে।

আসুন, প্রিয় রাসুল (সা.)-এর এই সুন্নত আমলগুলো আমাদের জীবনের অংশ বানাই এবং আল্লাহর নিকট থেকে দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করি। আল্লাহ আমাদেরকে আমল করার তাওফিক দিন। আমিন।


নৈতিক সমাজ ও মানসিক প্রশান্তির খোঁজে ইসলামি বিয়ে এবং নবীজির সা. নির্দেশনা

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ২১:২৬:৪০
নৈতিক সমাজ ও মানসিক প্রশান্তির খোঁজে ইসলামি বিয়ে এবং নবীজির সা. নির্দেশনা
ছবি : সংগৃহীত

মানবসভ্যতার ইতিহাসে বিবাহ এমন এক প্রতিষ্ঠান যা যুগে যুগে মানুষের নৈতিকতা সমাজব্যবস্থা ও আধ্যাত্মিক ভারসাম্যের কেন্দ্রে অবস্থান করেছে। ইসলাম এই সম্পর্ককে কেবল সামাজিক চুক্তি হিসেবে বিবেচনা করেনি বরং এটিকে মানুষের অস্তিত্ব দায়িত্ববোধ ও শান্তিময় জীবনব্যবস্থার অন্যতম ভিত্তি হিসেবে ঘোষণা করেছে। কুরআন একে বর্ণনা করে সাকিনাহ অর্থাৎ অন্তরের প্রশান্তি ও নিরাপত্তার আধার হিসেবে।

পরম করুণাময় আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা রুমে ইরশাদ করেন তিনি তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদেরই জন্য সৃষ্টি করেছেন সহধর্মিণী যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে স্থাপন করেছেন মমতা ও দয়া। এই আয়াত শুধু একটি সম্পর্কের বর্ণনা নয় বরং এটি মানবজীবনের গভীর মনস্তত্ত্ব ও সৃষ্টির দর্শনকে ব্যাখ্যা করে। বিবাহ মানুষের বাস্তব জীবনকে যেমন স্থিতি দেয় তেমনি আধ্যাত্মিক জীবনে প্রস্ফুটন আনে দয়া মহব্বত ও নৈতিক সংযম।

রাসুলুল্লাহ সা. বিবাহকে তাঁর সুন্নত হিসেবে ঘোষণা করে বলেন বিবাহ আমার সুন্নত। যে আমার সুন্নত থেকে বিমুখ হলো সে আমার অন্তর্ভুক্ত নয়। নবীজির এই বাণীতে স্পষ্ট যে বিবাহ শুধু আকাঙ্ক্ষার বৈধতা নয় বরং এটি মানুষের ব্যক্তিত্ব গঠন নৈতিক শুদ্ধতা ও সামাজিক ভারসাম্যের অপরিহার্য উপাদান। যুবসমাজকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন হে যুবসমাজ তোমাদের মধ্যে যার সামর্থ্য আছে সে যেন বিবাহ করে কারণ বিবাহ চোখকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানকে পবিত্র রাখে।

ইসলামের চার ইমাম তথা ইমাম আবু হানিফা ইমাম মালিক ইমাম শাফেয়ী এবং ইমাম আহমদ রহ. সবাই একমত যে বিবাহ মানবসমাজের নৈতিক কাঠামোকে সুদৃঢ় করতে অপরিহার্য। ইমাম গাজ্জালি তাঁর ইহইয়াউ উলূমিদ্দীন গ্রন্থে বিবাহকে আধ্যাত্মিক শুদ্ধির অনুশীলন হিসেবে উল্লেখ করেন যেখানে মানুষ দায়িত্ব ধৈর্য বিশ্বস্ততা ও আত্মসংযমের উৎকৃষ্ট শিক্ষা লাভ করে।

কুরআন পরিবারকে মিসাকান গালীয বা অত্যন্ত দৃঢ় চুক্তি বলে অভিহিত করেছে। এই শব্দবন্ধে পরিবারকে একটি পবিত্র আমানত আর দাম্পত্যকে নৈতিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধনের দৃঢ়তম বিন্যাস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইসলাম স্পষ্ট জানিয়ে দেয় পরিবারের ভিত্তি ভেঙে গেলে সমাজের ভিত্তিও নড়বড়ে হয়ে যায়। পরিবার কেবল দুই ব্যক্তির মিলন নয় এটি আগামী প্রজন্মের চরিত্র ও মানবিকতার কারখানা।

ইসলাম বিবাহকে ব্যাখ্যা করে পরস্পরকে একে অপরের জন্য আবরণ বা আচ্ছাদন হিসেবে। এটি কেবল কাব্যিক উপমা নয় বরং দাম্পত্য সম্পর্কের গভীরতম অর্থ একজন আরেকজনের দুর্বলতা ঢেকে রাখা প্রয়োজনীয়তা পূরণ করা এবং পরস্পরের মর্যাদাকে সম্মানে আবৃত করা। আজকের দ্রুতগতির পৃথিবীতে যখন পরিবার ব্যবস্থার ওপর নানা চাপ সৃষ্টি হচ্ছে তখন ইসলামের বিবাহ দর্শন আমাদের মনে করিয়ে দেয় নৈতিক সমাজ জবাবদিহিমূলক নাগরিকতা এবং মানসিক প্রশান্তির কেন্দ্রেই রয়েছে পরিবার। আর সেই পরিবারের প্রথম ইট হচ্ছে বিবাহ যা ইসলাম শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানবতার জন্য আশীর্বাদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

লেখক: শিক্ষার্থী, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, কায়রো, মিশর


আজকের নামাজের সময়সূচি ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ০৯:২৬:২৮
আজকের নামাজের সময়সূচি ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ সোমবার
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ। সময়মতো নামাজ আদায়ের জন্য যারা সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয় এবং নামাজের জন্য অপেক্ষা করে ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সময়মতো নামাজ আদায় করা।

আজ সোমবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। রাজধানী ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো।

আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা)

ফজর: ওয়াক্ত শুরু হয়েছে ভোর ৫টা ০৯ মিনিটে।

জোহর: ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে।

আসর: ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে।

মাগরিব: নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে।

এশা: ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১২ মিনিটে এবং আজ সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ২৯ মিনিটে।

আগামীকালের ফজর আগামীকাল মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১১ মিনিটে এবং সূর্যোদয় হবে ৬টা ২৯ মিনিটে।

বিভাগীয় শহরের জন্য সময়ের সমন্বয় ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় নির্ধারণ করতে হলে নিচের নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে।

বিয়োগ করতে হবে:

চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট।

সিলেট: ০৬ মিনিট।

যোগ করতে হবে:

খুলনা: ০৩ মিনিট।

রাজশাহী: ০৭ মিনিট।

রংপুর: ০৮ মিনিট।

বরিশাল: ০১ মিনিট।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমীন।


আজকের নামাজের সময়সূচি ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ০৯:২৩:২৫
আজকের নামাজের সময়সূচি ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রবিবার
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম এবং পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। ইমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত হয়। কিয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজের বাইরে ওয়াজিব সুন্নত ও কিছু নফল নামাজ রয়েছে। যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

আজ রবিবার ৭ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। রাজধানী ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো।

আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা)

জোহর: ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে।

আসর: ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে।

মাগরিব: নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে।

এশা: ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে।

আগামীকালের ফজর আগামীকাল সোমবার ৮ ডিসেম্বর ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ০৯ মিনিটে।

বিভাগীয় শহরের জন্য সময়ের সমন্বয় ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় নির্ধারণ করতে হলে নিচের নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে।

বিয়োগ করতে হবে:

চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট।

সিলেট: ০৬ মিনিট।

যোগ করতে হবে:

খুলনা: ০৩ মিনিট।

রাজশাহী: ০৭ মিনিট।

রংপুর: ০৮ মিনিট।

বরিশাল: ০১ মিনিট।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমীন।


আজকের নামাজের সময়সূচি ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার 

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ০৯:৫৭:৩০
আজকের নামাজের সময়সূচি ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার 
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ। সময়মতো নামাজ আদায়ের জন্য যারা সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয় এবং নামাজের জন্য অপেক্ষা করে ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সময়মতো নামাজ আদায় করা।

আজ শনিবার ৬ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে আজকের নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো।

আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা):

ফজর: ওয়াক্ত শুরু হয়েছে ভোর ৫টা ০৯ মিনিটে।

জোহর: ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৪ মিনিটে।

আসর: ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে।

মাগরিব: নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৫ মিনিটে।

এশা: ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত: আজ ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ২৭ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে।

বিভাগীয় শহরের জন্য সময়ের সমন্বয়: ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় নির্ধারণ করতে হলে নিচের নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে:

বিয়োগ করতে হবে:

চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট।

সিলেট: ০৬ মিনিট।

যোগ করতে হবে:

খুলনা: ০৩ মিনিট।

রাজশাহী: ০৭ মিনিট।

রংপুর: ০৮ মিনিট।

বরিশাল: ০১ মিনিট।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমীন।


আজ পবিত্র জুমাবার: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৫ ১১:৩৩:৫৩
আজ পবিত্র জুমাবার: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের পঞ্চম স্তম্ভ হচ্ছে নামাজ। সময়মতো নামাজ আদায়ের জন্য যারা সময়ের আগেই মসজিদে উপস্থিত হয় এবং নামাজের জন্য অপেক্ষা করে, ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করেন। তাই প্রত্যেক মুসলমানের উচিত সময়মতো নামাজ আদায় করা।

আজ শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে আজকের নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো:

আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা)

ফজর: ওয়াক্ত শুরু হয়েছে ভোর ৫টা ০৭ মিনিটে।

জুম্মা/জোহর: ওয়াক্ত শুরু হয়েছে দুপুর ১১টা ৫১ মিনিটে।

আসর: ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে।

মাগরিব: নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে।

এশা: ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত: আজ ঢাকায় সূর্যোদয় হয়েছে ভোর ৬টা ২৭ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১১ মিনিটে।

আগামীকালের ফজর: আগামীকাল শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ০৯ মিনিটে এবং সূর্যোদয় হবে ৬টা ২৭ মিনিটে।

বিভাগীয় শহরের জন্য সময়ের সমন্বয়: ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগীয় শহরের নামাজের সময় নির্ধারণ করতে হলে নিচের নিয়মটি অনুসরণ করতে হবে:

বিয়োগ করতে হবে:

চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট।

সিলেট: ০৬ মিনিট।

যোগ করতে হবে:

খুলনা: ০৩ মিনিট।

রাজশাহী: ০৭ মিনিট।

রংপুর: ০৮ মিনিট।

বরিশাল: ০১ মিনিট।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন। আমীন।


আজকের নামাজের সময়সূচি: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ০৯:৪৯:৫৪
আজকের নামাজের সময়সূচি: ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে আজকের নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো:

আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা)

জোহর: ওয়াক্ত শুরু হয়েছে দুপুর ১১টা ৫২ মিনিটে।

আসর: ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে।

মাগরিব: নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে।

এশা: ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে।

আগামীকালের ফজর: আগামীকাল শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১১ মিনিটে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত: আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১০ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ২২ মিনিটে।

সূত্র: ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।

নামাজের সময়সূচি এলাকাভেদে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তাই স্থানীয় মসজিদের সময়সূচি অনুসরণ করার জন্য মুসল্লিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাসময়ে আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন।


আজকের নামাজের সময়সূচি: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৩ ০৯:১৪:৫৫
আজকের নামাজের সময়সূচি: ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

আজ বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি। রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে আজকের নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো:

আজকের নামাজের সময়সূচি (ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা)

জোহর: ওয়াক্ত শুরু হয়েছে দুপুর ১১টা ৫২ মিনিটে।

আসর: ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৫ মিনিটে।

মাগরিব: নামাজের সময় শুরু হবে সন্ধ্যা ৫টা ১৪ মিনিটে।

এশা: ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে।

আগামীকালের ফজর: আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১০ মিনিটে।

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত: আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৫টা ১০ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ২২ মিনিটে।

নামাজের সময়সূচি এলাকাভেদে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। তাই স্থানীয় মসজিদের সময়সূচি অনুসরণ করার জন্য মুসল্লিদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ যথাসময়ে আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক সময়ে নামাজ আদায়ের তৌফিক দান করুন।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


ঢাকার আজকের নামাজের সময়সূচি: ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০২ ০৯:২৫:২৩
ঢাকার আজকের নামাজের সময়সূচি: ২ ডিসেম্বর মঙ্গলবার
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের পাঁচ রুকনের অন্যতম হলো নামাজ, যা ইমানের পর মুসলমানের জীবনে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হিসেবে বিবেচিত। কোরআনে ৮২ বার সালাতের উল্লেখ নামাজের মর্যাদা ও তাৎপর্য স্পষ্ট করে। প্রতিদিনের ব্যস্ততার মাঝেও ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা একজন মুসলমানের প্রধান দায়িত্ব।

আজ মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫ (১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বাংলা, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি) উপলক্ষে ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার পূর্ণাঙ্গ নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ঢাকার আজকের নামাজের সময়সূচি

ফজরওয়াক্ত শুরু: ভোর ৫:০৬শেষ সময়: ভোর ৬:২৪আগামীকাল ফজর: ৫:০৫

জোহরওয়াক্ত শুরু: দুপুর ১১:৫১শেষ সময়: বিকেল ৩:৩৪

আসরওয়াক্ত শুরু: বিকেল ৩:৩৫শেষ সময়: বিকেল ৪:৫৩

মাগরিবওয়াক্ত শুরু: সন্ধ্যা ৫:১৪শেষ সময়: সন্ধ্যা ৬:৩২

ইশাওয়াক্ত শুরু: সন্ধ্যা ৬:৩৩শেষ সময়: রাত ৫:০১(তবে মধ্যরাতের আগেই ইশা আদায় করা উত্তম)

বিভাগভেদে সময় সমন্বয়

বিয়োগ করতে হবে:চট্টগ্রাম – ৫ মিনিটসিলেট – ৬ মিনিট

যোগ করতে হবে:

খুলনা – ৩ মিনিটরাজশাহী – ৭ মিনিটরংপুর – ৮ মিনিটবরিশাল – ১ মিনিট

আজকের সেহরি ও ইফতার

সেহরির শেষ সময়: ৫:০০ মিনিটইফতার: সন্ধ্যা ৫:১৪ মিনিট

নফল নামাজের উত্তম সময়

ইশরাক: ৬:৩৯–৮:২৬চাশত: ৮:২৭–১১:৪৪তাহাজ্জুদ: রাত ১০:০০–৫:০১(ইশার নামাজের পর থেকেই সময় শুরু হয়)

আজ তিন নিষিদ্ধ সময়

সূর্যোদয়: ৬:২৫–৬:৩৮

দুপুর: ১১:৪৫–১১:৫০

সূর্য ডোবার আগ মুহূর্ত: ৪:৫৪–৫:১০(তবে প্রয়োজনে আসরের কাজা এগুলোতে পড়া যাবে)

নামাজ শুধুই ইবাদত নয় এটি মানুষকে পবিত্রতা, নিয়মানুবর্তিতা ও স্রষ্টার প্রতি নিবেদনের চর্চায় ফেরায়। আজকের এই সময়সূচি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, ব্যস্ততার মাঝেও আল্লাহর ডাকে সাড়া দেওয়াই প্রকৃত সাফল্য।


৩৬০ আউলিয়ার দেশ সিলেটে ইসলামের পতাকা ওড়ার নেপথ্য কাহিনী

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ৩০ ২০:৫৬:৩৮
৩৬০ আউলিয়ার দেশ সিলেটে ইসলামের পতাকা ওড়ার নেপথ্য কাহিনী

সিলেট, যাকে বলা হয় ৩৬০ আউলিয়ার দেশ। বাংলাদেশের এই উত্তর-পূর্ব জনপদের প্রতিটি ধূলিকণায় মিশে আছে আধ্যাত্মিকতার ছোঁয়া। কিন্তু এই পবিত্র ভূমিতে ইসলামের বিজয়ের ইতিহাসটি ছিল এক বিশাল সংঘাত ও অলৌকিক ঘটনার সমষ্টি। ইতিহাসের পাতা ও লোকমুখে প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী, ইয়েমেনের মাটি থেকে আসা সুফি সাধক হযরত শাহজালাল (রহ.) এবং তৎকালীন সিলেটের অত্যাচারী রাজা গৌর গোবিন্দের মধ্যে যে লড়াই হয়েছিল, তা কেবল অস্ত্রশস্ত্রে সীমাবদ্ধ ছিল না; এটি ছিল সত্যের আধ্যাত্মিক শক্তির সঙ্গে মিথ্যার কালো জাদুর লড়াই।

গৌর গোবিন্দের অত্যাচার ও বুরহান উদ্দিনের আর্তনাদ

চতুর্দশ শতাব্দীর শুরুর দিকে সিলেট (তৎকালীন শ্রীহট্ট) শাসন করতেন রাজা গৌর গোবিন্দ। তিনি ছিলেন অত্যন্ত শক্তিশালী কিন্তু নিষ্ঠুর শাসক। ঐতিহাসিক বর্ণনা মতে, রাজ্যে মুসলমানরা বসবাস করলেও তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ছিল অত্যন্ত সীমিত। ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন শেখ বুরহান উদ্দিন নামক এক মুসলিম তার নবজাতক পুত্রের জন্ম উপলক্ষে একটি গরু জবাই করেন। এই খবর রাজার কানে পৌঁছালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বুরহান উদ্দিনের নবজাতক শিশুটিকে হত্যা করেন এবং তার হাত কেটে ফেলার নির্দেশ দেন।

হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর আগমন

নিরুপায় বুরহান উদ্দিন বিচারের আশায় দিল্লির সুলতানের দ্বারস্থ হন। সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক তার ভাগ্নে সিকান্দার গাজীর নেতৃত্বে সৈন্য পাঠান, কিন্তু গৌর গোবিন্দের যাদুবিদ্যা ও শক্তির কাছে তারা পরাস্ত হন। পরবর্তীতে হযরত শাহজালাল (রহ.) তার ৩৬০ জন সফরসঙ্গী বা আউলিয়াকে নিয়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা হন। তার আধ্যাত্মিক শক্তি এবং আল্লাহভীরুতা ছিল তার মূল সম্বল।

কালো জাদু বনাম আধ্যাত্মিক শক্তি

লোকশ্রুতি রয়েছে, রাজা গৌর গোবিন্দ তার রাজ্যকে রক্ষা করতে কালো জাদুর আশ্রয় নিয়েছিলেন। তিনি তার প্রাসাদের চারপাশে জাদুকরী আগুনের বেষ্টনী তৈরি করেছিলেন এবং লোহার বিশাল সব বল ছুড়ে মুসলিম বাহিনীকে প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন। সাধারণ অস্ত্রের মাধ্যমে এই জাদু প্রতিহত করা সম্ভব ছিল না।

কথিত আছে, হযরত শাহজালাল (রহ.) ও তার সঙ্গীরা যখন সুরমা নদীর তীরে পৌঁছান, তখন নদী পার হওয়ার কোনো নৌকা ছিল না। তখন শাহজালাল (রহ.) তার জায়নামাজ বিছিয়ে অলৌকিকভাবে নদী পার হন। এরপর যখন গৌর গোবিন্দের জাদুকরী প্রতিরোধের সম্মুখীন হন, তখন হযরত শাহজালাল (রহ.) তার সঙ্গীদের আজান দেওয়ার নির্দেশ দেন। আজানের সুমধুর ও শক্তিশালী ধ্বনিতে গৌর গোবিন্দের জাদুকরী প্রাসাদ কাঁপতে শুরু করে এবং তার সমস্ত কালো জাদু নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে।

সিলেট বিজয় ও ইসলামের প্রচার

অবশেষে ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে রাজা গৌর গোবিন্দ পরাজিত হয়ে পালিয়ে যান এবং সিলেটে ইসলামের বিজয় পতাকা উড্ডীন হয়। হযরত শাহজালাল (রহ.) কেবল একজন বিজেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন সংস্কারক। তার আগমনের মাধ্যমেই সিলেটে এবং পরবর্তীতে বাংলার এই অঞ্চলে ইসলামের সুমহান বাণী ছড়িয়ে পড়ে। জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষ তার আধ্যাত্মিকতার ছায়াতলে আশ্রয় নেয়।

সিলেটে ইসলাম বিজয়ের এই ইতিহাস আজও মানুষের মনে জীবন্ত। হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভিড় করেন। গৌর গোবিন্দের দম্ভ চূর্ণ করে যেভাবে সত্য ও ন্যায়ের বিজয় হয়েছিল, তা ইতিহাসের পাতায় এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত