টানা পতনের পর ঘুরে দাঁড়াল শেয়ারবাজার

শেয়ারবাজার ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৬ ১১:৪১:৪৯
টানা পতনের পর ঘুরে দাঁড়াল শেয়ারবাজার

নিরাপত্তাহীনতা ও বিনিয়োগ আস্থার সংকটে টানা পতনের পর দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (১৬ জুলাই) লেনদেন শুরু হয়েছে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ নিয়ে। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচক ও লেনদেন উভয়ই ঊর্ধ্বমুখী অবস্থানে রয়েছে। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, যা সাম্প্রতিক বাজার পরিস্থিতির তুলনায় আশাব্যঞ্জক প্রবণতা।

ডিএসই সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হওয়ার পর প্রথম ঘণ্টায় (১১টা পর্যন্ত) প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ২৬ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৮৮ পয়েন্টে। বাজারে পুঁজি ফিরে আসার ইঙ্গিত হিসেবে এ সূচকটি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

একই সময়ে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ‘ডিএসইএস’ ৬ দশমিক ২১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১০৮ পয়েন্টে, আর ব্লু-চিপ বা সুনির্দিষ্ট ভালো পারফর্মিং কোম্পানির সূচক ‘ডিএস-৩০’ বেড়েছে ৮ দশমিক ১৩ পয়েন্ট, যা অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৯৯ পয়েন্টে।

প্রথম ঘণ্টার তথ্য অনুযায়ী, ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে মোট ২০১ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। এই অঙ্কটি আগের দিনের তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আস্থা ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

লেনদেন হওয়া মোট ৩৯২টি কোম্পানির মধ্যে ২৬৮টির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছে ৬২টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টির দাম। বেশিরভাগ শেয়ারের দরবৃদ্ধি বাজারে সম্ভাব্য পজিটিভ মনোভাবের প্রতিফলন।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্তর্জাতিক শুল্ক চাপের প্রেক্ষাপটে বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে শিল্প-রফতানি খাতের নেতারা একযোগে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে আগ্রহী হওয়ায় বিনিয়োগকারীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এতে করে বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরেছে।

তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলছেন, সূচকে এই অল্প দিনের ইতিবাচক গতি দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখতে হলে বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ, স্বচ্ছ নিয়ন্ত্রণ কাঠামো এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরি। না হলে এই অস্থায়ী গতি পুনরায় পতনে রূপ নিতে পারে।

তবে সামগ্রিকভাবে, সপ্তাহের মাঝামাঝি এমন একটি দিন বিনিয়োগকারীদের জন্য কিছুটা আশার বাতিঘর হয়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামীর দিনগুলোতে এই প্রবণতা ধরে রাখতে হলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং সরকারকে বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ