দেশে যাওয়া-আসায় আর বাধা নেই, মাল্টিপল ভিসা দিচ্ছে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য এক সুখবর। দেশটির সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন।
হাইকমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক ও নিরবচ্ছিন্ন কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” এতে আরও জানানো হয়, এ সংক্রান্ত একটি অফিসিয়াল নির্দেশনা মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ থেকে সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা কাজের প্রয়োজনে বা পারিবারিক কারণে দেশে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো ধরনের জটিলতায় পড়বেন না। একাধিকবার যাতায়াতের অনুমতি পাওয়ায় তাদের ভিসা নবায়নের জন্য আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে না, সময় ও অর্থ—দুয়ের সাশ্রয় হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশিদের দীর্ঘদিনের একটি দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে দেশটির সরকার। এই সিদ্ধান্ত কেবল প্রবাসী কর্মীদের সুবিধা বাড়াবে না, দুই দেশের শ্রমবাজার সম্পর্কেও আরও স্থিতিশীলতা আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে কাজ করছেন। তাঁদের অনেকেই নানা বাধার কারণে দেশে ফিরতে কিংবা দেশে গিয়ে পুনরায় মালয়েশিয়ায় ফিরে যেতে সমস্যায় পড়েন। মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু হওয়ায় এই ধরনের সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পদ্ধতি প্রবাসীদের জানিয়ে দেওয়া হবে খুব শিগগিরই।
ওমানে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত ৭ বাংলাদেশি
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে সাতজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বিকেলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সাতজন বাংলাদেশির সবার বাড়ি চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সারিকাইত ইউনিয়নে।
৫ নম্বর ওয়ার্ড সারিকাইত ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুর্ঘটনার বিবরণ
জানা গেছে, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িতে মোট ১১ জন যাত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই ১০ জনের মৃত্যু হয়। নিহত সাতজন বাংলাদেশির মধ্যে পাঁচজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে: বাবলু, সাহাবুদ্দিন, আমিন সওদাগর, আরজু ও রকি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুকুম সিদরা এলাকার সাগর থেকে মাছ ধরে ফেরার সময় প্রবাসীদের বহনকারী গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বর্তমানে মরদেহগুলো দুকুম হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
ওমানপ্রবাসী বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ দেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাংলাদেশ দূতাবাসও বিষয়টি তদারক করছে।
ভাগ্যের চাকা ঘুরলো হারুন সর্দারের: দুবাইয়ে এক দিনেই কোটিপতি বাংলাদেশী ড্রাইভার!
একটি মাত্র ফোন কল আর মুহূর্তেই প্রায় ৬৬ কোটি টাকারও বেশি অর্থ! এই অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটেছে দুবাইতে বসবাসকারী বাংলাদেশী প্রবাসী হারুন সর্দারের জীবনে, যিনি স্থানীয় এক আরব পরিবারের ব্যক্তিগত ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এক সামান্য ড্রাইভার থেকে লটারির বদৌলতে কোটিপতি হয়ে ওঠা এই গল্প এখন প্রবাসীদের মুখে মুখে।
১৫ বছরের প্রবাস জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিল বিগ টিকিট
৪৪ বছর বয়সী হারুন সর্দার গত প্রায় দেড় দশক ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাজ করছেন। তার দীর্ঘদিনের অভ্যাস ছিল প্রতি মাসে বিগ টিকিটের লটারি কেনা। বিগ টিকিট হলো আরব আমিরাতের একটি জনপ্রিয় লটারি ড্র, যেখানে নির্দিষ্ট অর্থের টিকিট কিনে কোটি টাকার পুরস্কার জেতার সুযোগ থাকে। হারুন সর্দারও সেই আশাতেই প্রতি মাসে টিকিট কিনতেন, এই ভাবনা নিয়ে যে হয়তো একদিন তার ভাগ্য ফিরবে।
১৪ সেপ্টেম্বর তিনি ১০০০ দিরহাম (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩০,২০০ টাকা) দিয়ে দুটি বিগ টিকিট কিনেছিলেন। তবে গল্পের মোড় নেয় অন্য দিকে – তিনি সরাসরি কেনা টিকিটগুলোতে জেতেননি। বিগ টিকিটের নিয়ম অনুযায়ী, কেউ যদি একই ধরনের দুটি টিকিট কেনেন, তবে বোনাস হিসেবে আরও দুটি টিকিট দেওয়া হয়। এই বোনাস টিকিটগুলোর একটিতেই হারুন সর্দারের ভাগ্য খুলে যায়!
একসাথে দশ জনের ভাগ্য বদল
অবশেষে তিনি প্রাইজ মানি হিসেবে জিতেছেন ২০ মিলিয়ন দিরহাম, যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। তবে এই বিশাল অঙ্কের টাকা তিনি একা পাচ্ছেন না। কারণ এই ১০০০ দিরহামের টিকিট তিনি আরও ১০ জন সঙ্গীর সঙ্গে যৌথভাবে কিনেছিলেন। তার দলের সদস্যরাও সবাই সাধারণ প্রবাসী—কেউ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, কেউবা নির্মাণ শ্রমিক। ফলে, এই বিপুল পরিমাণ অর্থ তাদের ১১ জনের মধ্যে ভাগ হয়ে যাবে। প্রত্যেকের ভাগে পড়বে প্রায় ৬ কোটি টাকা করে, যা কোনো অংশেই কম নয়!
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: আরব আমিরাতেই ব্যবসা
হারুন সর্দার জানিয়েছেন, তারা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি এই বিশাল অঙ্কের অর্থ দিয়ে কী করবেন। তবে তাদের ইচ্ছা এই অর্থ সঠিক উপায়ে ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাতেই একটি ব্যবসা দাঁড় করানো। এর মাধ্যমে তারা নিজেদের আয় আরও বাড়াতে চান এবং ভবিষ্যতে নিজেদের টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি তাদের পরিবারকে বাংলাদেশে থেকে আরব আমিরাতে নিয়ে আসার স্বপ্ন দেখছেন।
উল্লেখ্য, হারুন সর্দার প্রথম কোনো বাংলাদেশী নন যিনি বিগ টিকিটের লটারি জিতেছেন। এর আগেও সবুজ মিয়া নামক একজন প্রবাসী বিগ টিকিটে প্রায় ৬৫ কোটি টাকা জিতেছিলেন। হারুন সর্দারের এই জয় অন্যান্য প্রবাসীদের মধ্যেও আশার সঞ্চার করেছে, যা প্রমাণ করে ভাগ্য কখন কার দুয়ারে কড়া নাড়ে, তা বলা মুশকিল।
আমিরাতে ধরপাকড় বেড়েছে, বিপাকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন অনেক বাংলাদেশি কর্মী। গত বছর আমিরাতের সাধারণ ক্ষমার সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায়, তাদের এখন কারাভোগ শেষে দেশে নির্বাসিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক বাংলাদেশি কর্মী এক কাপড়ে দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন। দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ, দেশীয় স্পন্সরকে পর্যাপ্ত টাকা দেওয়ার পরও তাদের ভিসা নবায়ন করা হয়নি। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা অবৈধ হয়ে পড়েন।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মোহাম্মদ কামরুল প্রায় সাত বছর আমিরাতে কাজ করেছেন। তিনি জানান, শেষবার ভিসা নবায়নের জন্য বাংলাদেশি স্পন্সরকে সাত হাজার দিরহাম (প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা) দিলেও তার ভিসা নবায়ন করা হয়নি। দুই বছর অবৈধভাবে থাকার পর তিনি আটক হন এবং কারাভোগ শেষে গত ১৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেছেন। তার সঙ্গে একই ফ্লাইটে আরও ১৭ জন বাংলাদেশি ফিরেছেন।
দেশে ফেরা কর্মীদের অভিযোগ
বরিশালের মোহাম্মদ শাহীন এবং বগুড়ার বাবুল মিয়াও একই অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, বাংলাদেশি স্পন্সর দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভিসা নবায়ন করেননি, যার ফলে তারা অবৈধ হয়ে পড়েছেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় কারাভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন নোয়াখালীর জাকির হোসেন, চাঁদপুরের ছমির উদ্দিন এবং সিলেটের মোহাম্মাদ মিজানও।
মোহাম্মাদ মিজান জানান, আবুধাবির সুইহান কারাগারে বহু বাংলাদেশি আটক আছেন। তাদের কাউকে এক সপ্তাহ, কাউকে ১৫ দিন, আবার কাউকে এক মাস কারাভোগ শেষে দেশে পাঠানো হচ্ছে।
দূতাবাসের তথ্য
আবুধাবি দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মোহাম্মদ উল্লাহ খান জানান, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত দূতাবাসের আউটপাস নিয়ে ৫০২ জন দেশে ফিরেছেন। সর্বশেষ ৯ দিনে নির্বাসিত হয়েছেন ৭৯ জন।
আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জানান, “সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধ বাংলাদেশিদের সঠিক পরিসংখ্যান দূতাবাসে নেই, সংখ্যাটি পরিবর্তনশীল।” তিনি বলেন, “ভিসা শেষ হওয়ার পর কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তবে তাদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। অনেকে নিজেরা ব্যবস্থা করেন।”
বাংলাদেশ মিশনের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসের সাধারণ ক্ষমায় প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি নিজেদের বৈধতা নিশ্চিত করেছিলেন।
মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের ভোট নিয়ে নতুন আলোচনা, বিএনপিতে বিভাজন
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রবাসী ভোটকে ঘিরে নতুন করে আলোচনায় এসেছে মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গন। বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার ও পোস্টাল ভোটে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করতে মালয়েশিয়া বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মালয়েশিয়া শাখার তৎপরতা নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
বিএনপিতে নেতৃত্ব সংকট, দুর্বল সাংগঠনিক তৎপরতা
একসময় প্রবাসী বাংলাদেশিদের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবশালী সংগঠন ছিল মালয়েশিয়া বিএনপি। কিন্তু বর্তমানে এটি একাধিক গ্রুপে বিভক্ত। দীর্ঘদিন ধরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, নেতৃত্ব সংকট এবং মনোনয়নকেন্দ্রিক ব্যস্ততার কারণে সাংগঠনিক তৎপরতায় স্থবিরতা তৈরি হয়েছে। মালয়েশিয়ায় যুবদল প্রায় আট বছর ধরে নেতৃত্বহীন, এবং শ্রমিক দল ও স্বেচ্ছাসেবক দল কার্যত নিষ্ক্রিয়।
মালয়েশিয়া বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজি সালাহ উদ্দিন সরাসরি সাংগঠনিক দুর্বলতার কথা স্বীকার করে বলেছেন, “আমাদের সাধারণ কর্মীরা সচেতন নন। প্রবাসী ভোটে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, যদি হাইকমান্ড এগিয়ে এসে এর গুরুত্ব না বোঝায়।”
সহ-সভাপতি তালহা মাহমুদ অভিযোগ করেছেন যে, সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সাংগঠনিক কার্যক্রম উপেক্ষা করছেন। এ সংকট নিরসনে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অন্যদিকে, সভাপতি বাদলুর রহমান খানের সমর্থকরা বলছেন, বিদেশে রাজনৈতিক দল পরিচালনা আইনের মধ্যে পড়ে না। তাই যেটুকু করা সম্ভব আমরা করছি এবং মালয়েশিয়া বিএনপি সবচেয়ে সুসংগঠিত।
জামায়াতে সাংগঠনিক দক্ষতা ও সুশৃঙ্খলতা
সাম্প্রতিক ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের সক্রিয় ভূমিকার পর প্রবাসেও সাংগঠনিক দক্ষতা ও সুশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডের জন্য আলোচনায় এসেছে জামায়াত। দলটির নেতারা দাবি করছেন, তাদের আদর্শভিত্তিক কার্যক্রম, জবাবদিহিমূলক রাজনীতি এবং কর্মীদের একনিষ্ঠ অংশগ্রহণ সংগঠনটিকে মালয়েশিয়ায়ও শক্ত অবস্থানে রেখেছে।
জামায়াতে ইসলামী মালয়েশিয়া শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এনামুল হক জানিয়েছেন, প্রবাসীরা ভোটাধিকার প্রয়োগে আগ্রহী ও সচেতন। প্রশাসনিক সহযোগিতা পেলে তারা উৎসাহের সঙ্গে ভোট দেবেন এবং দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবেন।
১৫ লাখ প্রবাসীর ভোট, কে পাবে সুবিধা?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী প্রায় ১৫ লাখ প্রবাসীর ভোট বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। বিএনপির বিভক্তি, নেতৃত্ব সংকট ও সাংগঠনিক দুর্বলতা যদি কাটানো না যায়, তবে সংগঠিত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ জামায়াত পোস্টাল ভোটে এগিয়ে যেতে পারে।
আখতার হোসেনকে ডিম নিক্ষেপ: গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা মিজানুর জামিন পেলেন
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক সফররত ড. ইউনূসের প্রতিনিধি দলের সদস্য আখতার হোসেনকে ডিম নিক্ষেপ করা যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় জামিনে মুক্তি পান তিনি। ওয়াশিংটন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জাগো নিউজকে এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকার নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে নিউইয়র্ক পুলিশ।
ডিম নিক্ষেপের ঘটনা
সোমবার ড. ইউনূসের প্রতিনিধি দলে থাকা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেনকে ডিম মেরে লাঞ্ছিত করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। প্রধান উপদেষ্টা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ফ্লাইট নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর এই ঘটনা ঘটে।
আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কর্মীরা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এনসিপি সদস্যসচিব আখতার হোসেন এবং এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারাকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আখতার হোসেনকে লক্ষ্য করে ডিম ছোড়া হয়। একইসঙ্গে তাসনিম জারাকেও অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। পরে পুলিশের সহায়তায় তারা বিমানবন্দর এলাকা ত্যাগ করেন।
সৌদি আরবে অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ
সৌদি আরবে অবৈধভাবে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর এসেছে। দেশটির সরকার কর্মক্ষেত্র থেকে পলাতক (হুরুবপ্রাপ্ত) প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এসব প্রবাসী নতুন কোম্পানি বা নিয়োগকর্তা খুঁজে কুয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তাদের বৈধতা দেওয়া হবে।
সৌদি আরবে বর্তমানে প্রায় ৩২ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন, যাদের মধ্যে অনেকেই হুরুবপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে অবৈধ হয়ে পড়েছিলেন। নতুন এই উদ্যোগের ফলে তারা বৈধভাবে কাজ করার সুযোগ পাবেন।
বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়া
সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হুরুবপ্রাপ্ত প্রবাসীরা কুয়া প্ল্যাটফর্মে গিয়ে নতুন কোম্পানি বা কফিল ঠিক করে আবেদন করতে পারবেন। এরপর কাফালা বা ট্রান্সফারের মাধ্যমে তাদের বৈধতা দেওয়া হবে। এই ট্রান্সফারের জন্য কত ফি লাগবে, তা আবেদন করার পরেই কুয়া প্ল্যাটফর্মে জানা যাবে।
উদ্যোগের সুবিধা
এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রবাসীরা। তারা বলছেন, এতে এতদিন অবৈধভাবে থাকা প্রবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে এবং তাদের নানা সমস্যার সমাধান হবে। প্রবাসীরা মনে করেন, এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সবাইকে বৈধ পথে ফিরে আসা উচিত। এতে তাদের জীবন যেমন স্বাভাবিক হবে, তেমনি দেশের অর্থনীতিও আরও শক্তিশালী হবে।
তবে কর্তৃপক্ষ একটি বিষয় স্পষ্ট করেছে: যারা সৌদি আরবে আসার এক বছরের মধ্যেই কফিল কর্তৃক হুরুবপ্রাপ্ত হয়েছেন, তারা এই সুযোগের আওতায় আসবেন না।
জিরো থেকে পাবলিকেশন: গবেষণায় নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিল বিআরটিসি কোর্স
সম্প্রতি বাংলাদেশ অ্যাডভান্সড রিসার্চ ট্রেইনিং সেন্টার (বিআরটিসি) আয়োজিত উন্নত গবেষণা প্রশিক্ষণ কোর্স ‘কমপ্লিট রিসার্চ ট্রেনিং: ফ্রম জিরো টু পাবলিকেশন’ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এ কর্মসূচিতে অনলাইনের মাধ্যমে অংশ নেন দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী ও গবেষক, যা দেশ-বিদেশের গবেষণা আগ্রহীদের মধ্যে এক বিরল সাড়া জাগিয়েছে।
এই কোর্সের মূল বক্তা ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য গবেষক প্রফেসর ড. মঈন উদ্দিন খন্দকার। বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ার সানওয়ে ইউনিভার্সিটির অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স অ্যান্ড রেডিয়েশন টেকনোলজিস বিভাগে অধ্যাপনায় নিয়োজিত আছেন। তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস-এর ফেলো এবং Elsevier–Stanford তালিকাভুক্ত বিশ্বের শীর্ষ ২ শতাংশ গবেষকের অন্যতম। ইতিমধ্যে এসকোপাস ইনডেক্সড জার্নালে তার প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধের সংখ্যা ৭৫০ ছাড়িয়েছে, যা ২০ হাজার বারেরও বেশি উদ্ধৃত হয়েছে একটি অসাধারণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
প্রশিক্ষণে ড. খন্দকার অংশগ্রহণকারীদের শেখান কীভাবে গবেষণার সঠিক বিষয় নির্বাচন করতে হয় এবং গবেষণার মানোন্নয়নের মাধ্যমে সমাজে বাস্তব ও ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা যায়। তিনি বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করেন লিটারেচার রিভিউ-এর ওপর। তার মতে, এটি কেবল তথ্যসংগ্রহ বা সারসংক্ষেপ নয়; বরং সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ, গবেষণার শূন্যতা চিহ্নিতকরণ এবং নতুন গবেষণার দিকনির্দেশনা খুঁজে বের করার একটি কার্যকর প্রক্রিয়া।
রোববার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শক্তিশালী ও বিশ্লেষণধর্মী লিটারেচার রিভিউ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ফেসবুক, ইউটিউব ও জুম প্ল্যাটফর্মে সরাসরি সম্প্রচারিত এই প্রশিক্ষণে প্রায় ১ হাজার ৫০০ জন অংশগ্রহণকারী রিয়েল-টাইমে যুক্ত হন। সব মিলিয়ে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের রেকর্ডিং প্রকাশের পরও এটি বিপুল সাড়া জাগায়।
কোর্সের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রাণবন্ত প্রশ্নোত্তর পর্ব। অংশগ্রহণকারীরা গবেষণা বিষয়কে নতুনভাবে উপস্থাপন, লিটারেচার রিভিউতে ফাঁকফোকর শনাক্ত, প্রবন্ধ রচনার কাঠামো নির্ধারণ এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশের কৌশল নিয়ে প্রশ্ন করেন। ড. খন্দকার প্রতিটি প্রশ্ন ধৈর্য সহকারে উত্তর দেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা থেকে ব্যবহারিক উদাহরণ উপস্থাপন করেন।
তিনি জোর দিয়ে উল্লেখ করেন, গবেষণার কাজ শুধুমাত্র তথ্য সংগ্রহে সীমাবদ্ধ নয়; বরং সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, বিশ্লেষণ এবং নতুন জ্ঞান সংযোজনই গবেষণাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করে।
অংশগ্রহণকারীদের অভিমত, এই প্রশিক্ষণ তাদের গবেষণা যাত্রায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি যুক্ত করেছে। তারা উপলব্ধি করেছেন যে, লিটারেচার রিভিউ কেবল পুরোনো তথ্য সাজানো নয়; বরং এটি গবেষকের নিজস্ব চিন্তা, বিশ্লেষণ এবং জ্ঞানের মৌলিক অবদান রাখার এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।
-রাফসান
ইতালির পথে আবারও ট্রাজেডি, ভূমধ্যসাগরে প্রাণহানি
একজন বাংলাদেশি অভিবাসী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালির লাম্পেদুসা উপকূলে পৌঁছানোর সময় নৌকাতেই মারা গেছেন। ইতালীয় কোস্টগার্ড এবং আর্থিক পুলিশের সদস্যরা সোমবার রাতে ১০ মিটার দীর্ঘ একটি নৌকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। একই নৌকা থেকে আরও ৫১ জন অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
সন্দেহ বিষাক্ত ধোঁয়া
কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক ধারণা, সম্ভবত নৌকাটির জ্বালানির বিষাক্ত ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি কালা পিসানার মর্গে পাঠানো হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষে
উদ্ধার হওয়া ৫১ জন অভিবাসীর মধ্যে মিসরীয়, বাংলাদেশি, ইরিত্রীয়, ইথিওপীয়, সিরীয় এবং সুদানের নাগরিকরা রয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন নারী এবং একজন অপ্রাপ্তবয়স্কও রয়েছে। তাদের সবাইকে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় ইমব্রিয়াকোলা জেলার অভিবাসনকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোমবার রাতে লাম্পেদুসার ফাভারোলো জেটিতে পৌঁছানোর পর অভিবাসীরা জানান, উদ্ধারকারীরা আসার আগেই তাদের একজন সঙ্গী সমুদ্রে পড়ে যান এবং তাকে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
অভিবাসী পরিস্থিতি
ইতালি সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে ২০২৪ সাল থেকে দেশটিতে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কমেছিল। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে অনিয়মিত অভিবাসীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। ২০২৪ সালের শুরু থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল ৪২,৯৯৯ জন, যা চলতি বছর একই সময়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩,৮৬০ জনে। তবে ২০২৩ সালের একই সময়ের তুলনায় (১,১৪,৮৬৭ জন) এই সংখ্যা এখনো অনেক কম।
চলতি বছর ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালিতে পৌঁছানো অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষে রয়েছে। প্রায় ১৩,২৭১ জন বাংলাদেশি এভাবে ইতালিতে পৌঁছেছেন। এরপরই আছে ইরিত্রিয়া (৫,৮১১ জন) এবং মিসর, পাকিস্তান, সুদান, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার নাগরিকরা।
সূত্র : ইনফোমাইগ্রেন্টস/আনসা
জার্মানিতে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে জার্মানি বিএনপি। এ উপলক্ষে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বার্লিনে স্থানীয় একটি হলরুমে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
দিনব্যাপী আয়োজনে অংশ নেন জার্মানির বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী। এছাড়া অনেকেই ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি আকুল মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গনি সরকার। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সূচনা করেন যুবদল নেতা আবু তাহের। এরপর জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসী শিল্পী তাহ্মিনা ফেরদৌসি।
সভাপতির বক্তব্যে আকুল মিয়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রগঠনের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, যিনি স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক দলীয় বিভাজন ভুলে মিলেমিশে রাষ্ট্রগঠনের লক্ষ্য সামনে রেখে একসাথে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সদ্য সাবেক প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক মান্নান নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান, সকল মতবিরোধ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
বার্লিন বিএনপির সাবেক সভাপতি জসিম শিকদার বলেন, “আমরা যে কোনো আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবে না।”
ফ্রাংকফুর্ট থেকে আগত জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক উপদেষ্টা মিজানুর রহমান (ফিরোজ) তাঁর বক্তব্যে দলের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি কাজী রেজাউল হক সাঈদ, বার্লিন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুল ব্যাপারী, বিএনপি নেতা মাশরুল আলম বাবলী, আনহার মিয়া, সাইফুল ইসলামসহ অনেকে। সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবদলকর্মী রুহেল আহমদে, রেদওয়ান আহমদসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতারা। মো. মাহবুবুর রহমান অনুষ্ঠান শেষে কবিতা আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মিউনিখের সদ্য সাবেক সভাপতি রিয়াজ শরিফ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হোসাইন, এনআরভি’র সদ্য সাবেক সভাপতি গোলাম মাহবুব ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী, বাডেনবুর্টেমবার্গের সদ্য সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, হেসেনের সদ্য সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম এবং ফ্রাংকফুর্টের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেল খান।
-রাফসান
পাঠকের মতামত:
- ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- বন্ধুরূপী শত্রু: যে ৫টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার বন্ধুত্বের বন্ধন বিপদজনক
- পায়ের পাতায় লুকানো নীরব ইঙ্গিত: কিডনি বিকলের এই সংকেত অবহেলা করলেই বিপদ
- খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির উন্নয়নে তারেক রহমানের ৬ দফা পরিকল্পনা
- চট্টগ্রাম সিইপিজেডের কারখানায় আগুনে ১০৫০ শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করল অ্যালার্ম!
- রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ? ট্রাম্পের দাবির পর দিল্লি নীরবতা ভাঙল
- জুলাই সনদে সইয়ের বিষয়ে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে: ফখরুল
- সিইপিজেডে আগুন: ৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বাড়ছে ঝুঁকি
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- ১৬ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি
- নির্বাচিত হলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করব: মির্জা ফখরুল
- জুলাই হত্যা মামলার আসামির মুক্তি: আদালত অঙ্গনে তোলপাড়
- এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিস্মিত করেছে, দায় এড়াতে পারে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- রূপনগর অগ্নিকাণ্ডের পর সামনে এল ঢাকার আরেক ‘রাসায়নিক বোমা’র খবর
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- জান্নাত-জাহান্নামের প্রহরী কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য কী?
- জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না এনসিপি, ‘নাটকীয়তায় অংশ নয়’
- রাকসু নির্বাচন: ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে কালির দাগ
- সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ নিয়ে জটিলতা: খসড়ায় ক্ষুব্ধ বিচারকরা
- শিক্ষার মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন: এইচএসসি পরীক্ষায় এত বড় ব্যর্থতার কারণ কী?
- ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট
- খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- ওজন কমাতে সহায়ক: দিনে দুবার পান করুন এই বিশেষ ডিটক্স পানীয়
- সকালে ব্রাশ না করে পানি খেলে কী হয় শরীরের ভেতরে?
- ভারতের ৩টি কাশির সিরাপ নিয়ে WHO-এর বিশ্বব্যাপী সতর্কতা
- দেশের ১০ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা, সতর্কতা জারি করল বিডব্লিউওটি
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জেনে নিন ফলাফল জানার সহজ উপায়
- দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
- ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় ফের অভিযান চালাতে পারে ইসরায়েল
- ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন শুরু, উৎসবে মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- ৪৪ বছর পর চাকসু’তে নেতৃত্বে ফিরল ছাত্রশিবির
- ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
- মাথাব্যথার ৪টি ‘রেড ফ্ল্যাগ’: যে লক্ষণ দেখলে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
- পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
- প্রাচুর্যের আড়ালে নির্মমতা: জাপানের হাশিমার বুকে চাপা পড়া কান্না ও এক রক্তাক্ত অধ্যায়
- আমাজনের গভীরে লুকানো রহস্যময় সোনালী শহর, যা খুঁজছে বিশ্ব
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
- ড. ইউনূস: ‘কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’
- এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না
- আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
- নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
- পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
- আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প
- ট্যাঙ্গো, পাম্পাস আর বিপ্লবের দেশ: আর্জেন্টিনার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি