‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির ঘোষণা সারজিস আলমের

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজনৈতিক মাঠে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নামের একটি পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন, যা ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সারজিস আলম জানান, "১৬ জুলাই, মার্চ টু গোপালগঞ্জ!" একই পোস্টের মন্তব্যে তিনি লেখেন, "আমরা আসছি! জুলাই পদযাত্রায়, গোপালগঞ্জ জেলা শহরে, সকাল ১১টায়।" এই ঘোষণা দিয়ে তিনি মূলত দলটির নতুন কর্মসূচির সূচনালগ্ন তুলে ধরেন, যা আগামী দিনে আরও বড় আকার নিতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শিরোনামে দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে দলটি। এই পদযাত্রা কর্মসূচির লক্ষ্য জনগণকে সংগঠিত করা এবং চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় জনগণের শক্তিকে রাজনৈতিক পরিবর্তনের নিয়ামক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা শহরগুলোতে এনসিপি নেতারা নিয়মিত সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন, যাতে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও ক্ষোভ সরাসরি দলীয় মঞ্চে প্রতিফলিত হয়।
গোপালগঞ্জকে এই পদযাত্রার গন্তব্য হিসেবে নির্বাচন করা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, গোপালগঞ্জই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রধান রাজনৈতিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই জায়গায় প্রতীকী পদযাত্রা আয়োজনকে অনেকেই একটি ‘রাজনৈতিক বার্তা’ হিসেবে দেখছেন। এনসিপির নেতাদের মতে, এটি শুধুমাত্র প্রতীকী পদক্ষেপ নয়, বরং দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে এক নতুন ধারা গড়ে তোলার অংশ।
দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, এনসিপি এখন আর শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি হয়ে উঠছে একটি গণ-আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম। তাঁদের মতে, ক্ষমতার কেন্দ্রে গণমানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্যই এই ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। পদযাত্রার মাধ্যমে দলটি সরাসরি সাধারণ মানুষের দ্বারে পৌঁছাতে চাইছে, তাদের কথা শুনতে এবং সেই বক্তব্য রাজনৈতিক দাবিতে পরিণত করতে।
অন্যদিকে, এই পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীরও নজরদারি বেড়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের বাধা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি, তবে একটি বড় অংশের সমাবেশ হওয়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
এখন দেখার বিষয়, এই কর্মসূচি কতটা জনপ্রিয়তা পায় এবং তা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক চিত্রে কতটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়।
খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির উন্নয়নে তারেক রহমানের ৬ দফা পরিকল্পনা
বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “বাংলাদেশের শক্তি সবসময় ছিল সেই হাতেই, যারা এই মাটিকে চাষ করে। বিএনপি সেই হাতগুলোকে আরও শক্তিশালী করবে, যাতে তারাই আগামী বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারে।” তিনি বলেন, প্রতিটি মেয়ের স্বপ্নপূরণের পথে রাষ্ট্রকে তার সঙ্গী করব।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এই মন্তব্য করেন এবং খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি উন্নয়নের জন্য ছয় দফা পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
কৃষি ও নারীর ক্ষমতায়ন
তারেক রহমান বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে সেচ সম্প্রসারণ ও খাল পুনঃখননের মাধ্যমে বাংলাদেশ আত্মনির্ভরতার পথে যাত্রা শুরু করে। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সময়ে সার ভর্তুকি এবং ‘কাজের বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচির মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল।
বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে খাদ্য নিরাপত্তা, নারী ও পরিবেশের বিষয়গুলো:
১. ফার্মার্স কার্ড উদ্যোগ: প্রতিটি কৃষক পাবেন একটি নিরাপদ ডিজিটাল পরিচয়পত্র, যার মাধ্যমে তারা মধ্যস্বত্বভোগী ছাড়াই সরাসরি ভর্তুকি, ন্যায্য দাম ও ঋণ সুবিধা পাবেন। এতে শোষণের অবসান ঘটবে।
২. পানি নিরাপত্তা: ২০ হাজার কিলোমিটার নদী ও খাল পুনরুদ্ধার, সম্প্রদায়ভিত্তিক সেচ ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন এবং আধুনিক তিস্তা ও গঙ্গা ব্যারাজ নির্মাণের লক্ষ্য নিয়েছেন।
৩. পানি-সংরক্ষণমূলক কৃষি: ‘অল্টারনেট ওয়েটিং অ্যান্ড ড্রাইং’ ধান চাষ সম্প্রসারণ করা হবে, যা পানির অপচয় কমিয়ে কার্বন ক্রেডিট থেকে কোটি কোটি ডলার আয় করতে সহায়তা করবে।
৪. পুষ্টি ও মানব উন্নয়ন: ‘ফ্যামিলি কার্ড’ উদ্যোগের মাধ্যমে নারীদের গৃহপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার নেত্রী হিসেবে ক্ষমতায়ন করা হবে।
৫. কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন: আধুনিক শস্য, কোল্ড স্টোরেজ এবং লজিস্টিকসের মাধ্যমে ১৩ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। তরুণদের কৃষি উদ্যোগে যুক্ত করতে ড্রোন প্রযুক্তি ও স্টার্টআপ ফান্ডিং করা হবে।
৬. পরিবেশ ও টেকসই উন্নয়ন: একটি জাতীয় ‘সার্কুলার ইকোনমি’ মডেলে বর্জ্য থেকে জ্বালানি উৎপাদন এবং গ্রামীণ বায়োগ্যাস সিস্টেমের মাধ্যমে পরিবেশ রক্ষা করা হবে।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আহ্বান
তারেক রহমান গাজা, সুদান, ইয়েমেন এবং বাংলাদেশের সীমান্তের কাছে রোহিঙ্গা সংকটের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ১১.৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় নিয়েছে, যেখানে আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়ায় পরিবারগুলো মাসে মাত্র ছয় ডলারের খাদ্য সহায়তায় বেঁচে আছে। তিনি খাদ্য সহায়তা পুনঃস্থাপন এবং জীবিকা শক্তিশালী করার জন্য সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা ও দাতা দেশগুলোর জরুরি যৌথ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
জুলাই সনদে সইয়ের বিষয়ে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তার দল জুলাই জাতীয় সনদে সই করবে কি না, এ বিষয়ে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল উপজেলা বিএনপি আয়োজিত এক পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
সনদে স্বাক্ষরের শর্ত
মির্জা ফখরুল জানান, পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি নিয়ে দুটি দল সই করবে না বলে দিয়েছে। তবে বিএনপি’র অবস্থান ভিন্ন। তিনি বলেন:
“আমরা বলেছি, বিএনপি যে কথাগুলো বলেছে, সেগুলো যদি লিপিবদ্ধ করা হয় এবং যেগুলো অসম্মতি দেইনি, সেগুলো যদি লিপিবদ্ধ করা হয়—অবশ্যই জুলাই সনদে সই করা হবে। এ জন্য আগামীকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”
দিনের কর্মসূচি
এর আগে আজ সকালে মির্জা ফখরুল সদর উপজেলার বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের দানারহাটে সুধী সমাজ, মহিলা ও হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়সভা করেন। পরে বিকালে তিনি হরিপুর উপজেলা স্টেডিয়ামে মির্জা রুহুল আমীন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন। এরপর সদর উপজেলা রহিমানপুর ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আরো একটি মতবিনিময়সভায় যোগ দেন মির্জা ফখরুল।
নির্বাচিত হলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করব: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তার দল ক্ষমতায় গেলে দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করবে। সেই সঙ্গে নির্বাচিত হলে ১৫ মাসে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানারহাট ঈদগাহ মাঠে নিজের নির্বাচনী আসনের জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন।
সরকার ও পিআর পদ্ধতির সমালোচনা
কৃষকদের দাবি ও সার সংকট নিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, কৃষকদের সারের দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে ডিসি অফিস ঘেরাও করা হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশে আমলাতন্ত্র চলবে না।
শেখ হাসিনার সমালোচনা: মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে বিএনপিকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দেয়নি। শেখ হাসিনার সরকার কেয়ারটেকার সরকার বাতিল করেছে এই ভয়ে যে, কেয়ারটেকার সরকার রাখলে তারা জিততে পারবে না।” তিনি বলেন, “আমরা ১৫ বছর ধরে একটি জিনিসের জন্য লড়াই করেছি, সেটা হলো ভোটাধিকার।”
পিআর পদ্ধতি: পিআর পদ্ধতির দাবিতে আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের পর পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত হবে, পিআর হবে কি হবে না। তিনি পিআর-এর দাবি বাদ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশ গড়ার আহ্বান জানান।
আগামী নির্বাচনের বার্তা
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার সুযোগ পাবে। তিনি নির্বাচনে জয়ী হলে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধান করার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জেলা সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলীসহ দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না এনসিপি, ‘নাটকীয়তায় অংশ নয়’
জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করবে না জুলাই আন্দোলনের মুখ্য শক্তি খ্যাত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
আইনি ভিত্তি না থাকায় অনীহা
‘জুলাই সনদে কোনো ছাড় নয়’ উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নাটকীয়তায় অংশ নেবে না এনসিপি।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক শেষে দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেছিলেন, “যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়গুলো জাতির কাছে অস্পষ্ট থাকে, তাহলে জুলাই সনদ স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা যেটা অর্জন করতে চাই; সেটাকে অর্জন হিসেবে সামনের দিকে প্রাপ্ত হওয়া অনিশ্চিত থেকে যাবে। এ কারণেই আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করব কি করব না—সে বিষয়গুলো বিবেচনাধীন রেখেছি।”
জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। বুধবার (১৫ অক্টোবর) নয়াপল্টনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি মন্তব্য করেন, গণভোট আগে হলে জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব হবে এবং জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত না এলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে।
শীর্ষ নেতাদের অভিন্ন বার্তা
রুহুল কবির রিজভী মনে করেন, সময়মতো নির্বাচন আয়োজন না করলে দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
অন্যদিকে, একই দিনে ঠাকুরগাঁওয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও গণসংযোগের মাধ্যমে এই অভিন্ন বার্তা দেন। তিনি বলেন:
“আর বিভাজন করবেন না, আর কোনো দাবি তুলে বিভেদ তৈরি করবেন না। গণভোট, পিআর নিয়ে আর আন্দোলন করবেন না। নির্বাচনটা হতে দিন, দেশের মানুষ বাঁচুক। দেশের মানুষকে বাঁচাতে তাড়াতাড়ি ভোট হতে দিন।”
রিজভী ও ফখরুলের বক্তব্যে স্পষ্ট, রাজনৈতিক জটিলতা এড়াতে এবং জনগণের নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক জীবন নিশ্চিত করতে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে আয়োজন করা উচিত।
শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা বৃদ্ধিসহ শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা শাহবাগ মোড় অবরোধ শেষে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে তারা অবরোধ প্রত্যাহার করলেও, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি মানা না হলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে যাত্রার ঘোষণা দিয়েছেন।
অবরোধ ও দাবির চিত্র
শিক্ষকরা দুপুর ২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ মোড় অভিমুখে রওনা হন। পুলিশ প্রথমে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দিলেও, শিক্ষকরা তা ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নেন, যার ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দাবিসমূহ: মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ১ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীতকরণ এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে বৃদ্ধি—এই তিন দফা দাবিতে শিক্ষকরা অনড়।
এনসিপি নেতার সমর্থন: এনসিপি’র উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে শিক্ষকদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের দুর্দশাগ্রস্ত রেখে জাতির অগ্রগতি কখনোই সম্ভব নয়।”
আন্দোলনের ধারাবাহিকতা
গতকাল মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ‘মার্চ টু সচিবালয়’ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে শিক্ষকরা হাইকোর্ট মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডে আটকে পড়েন। সেখান থেকে দেওয়া আলটিমেটামে তারা জানান, বুধবার বেলা ১১টার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।
শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই বুধবার দুপুরে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। গত ৩০ সেপ্টেম্বর সরকার এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করলেও শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন।
অবরোধ তুলে নেওয়ার পর শাহবাগ দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
দেশটাকে বাঁচান, নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “দয়া করে দেশটাকে বাঁচান, আর বিভাজন সৃষ্টি করবেন না। নতুন করে দাবি তুলে, আন্দোলন করে আর নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করবেন না।” তিনি মনে করেন, এখন বিভেদ ভুলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার গঠনে মনোযোগ দেওয়া উচিত।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া বটতলায় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত সুধিসমাজ, সনাতন ধর্মালম্বী ও মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
পিআর পদ্ধতি ও জনগণের ভোটাধিকার
মির্জা ফখরুল সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর’ পদ্ধতি নিয়ে চলমান বিতর্কের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন:
“দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতি বোঝে না। পিআর হচ্ছে এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে প্রার্থীকে নয়, দলকে ভোট প্রদান করতে হবে। সাধারণ মানুষ যদি তার প্রার্থীর কাছে না যেতে পারে, তার প্রার্থীকে না চিনতে পারে, তাহলে তারা যাবে কোথায়? সাধারণ মানুষ পিআর বোঝে না, আমরাও বুঝি না।”
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর সাধারণ মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এখন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, তাই ভোট প্রদানের সুযোগও সৃষ্টি করতে হবে, তবেই সঠিক প্রতিনিধি পাওয়া যাবে।
বিএনপির প্রতিশ্রুতি
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জনগণের জন্য যে প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করবে, তার মধ্যে রয়েছে:
কর্মসংস্থান: এক লাখ মানুষের চাকরির ব্যবস্থা করা।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষা: স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া।
ফ্যামিলি কার্ড: প্রতিটি পরিবারকে একটি করে কার্ড প্রদান করা হবে, যা নিয়ে নারীরা দেশের সকল সুবিধা ভোগ করবেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সংস্কারের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো যেগুলো বিষয়ে সম্মত হয়েছে, সেই সনদই আগামী ১৭ তারিখে স্বাক্ষর হবে। আর যেগুলোতে সম্মত হয়নি, সেগুলো সংসদে জনগণের মতামতের ভিত্তিতেই পাস করা হবে।
সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন বিএনপির
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। দলের নীতিনির্ধারকদের অভিযোগ, কিছু উপদেষ্টার বক্তব্য, তৎপরতা ও কার্যক্রমে সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। বিএনপি মনে করে, প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে রদবদল-পদায়ন নিয়ে কিছু উপদেষ্টা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন এবং একটি বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করছেন। এই পরিস্থিতিতে বিএনপি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত ও উদ্বেগ
গত সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সাক্ষাতের সিদ্ধান্ত: বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিএনপি শিগগিরই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। সেখানে এই বিষয়গুলো অবহিত করার পাশাপাশি তাদের উদ্বেগের কথাও জানানো হবে।
নিরপেক্ষতার আহ্বান: বিএনপি নেতারা মনে করছেন, যেহেতু নির্বাচন আসন্ন, তাই অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত নিজেদের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে সাজানো, যাতে প্রশাসনিক বা সিদ্ধান্তগ্রহণমূলক কোনো কাজ নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে।
প্রশাসনে রদবদল: দলটির নীতিনির্ধারকরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বিগত ১৭ বছরের ফ্যাসিবাদী সরকারের লোকজনকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব থেকে সরানো হয়নি, তেমনি আরও একটি বিশেষ দলের লোকজনকেও নতুন করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বসানো হয়েছে।
জুলাই সনদ ও নির্বাচনী প্রস্তুতি
জুলাই সনদ: বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৭ অক্টোবর সনদ স্বাক্ষরের দিন শতাধিক নেতার সমন্বয়ে গঠিত বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল যোগদান করবে। দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ সনদে স্বাক্ষর করবেন।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা: বৈঠকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্যানেল ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়। বিএনপি নেতারা আশঙ্কা করছেন, সারা দেশে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার যে প্যানেল প্রস্তুত করা হচ্ছে, তার অধিকাংশ কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে একটি বিশেষ ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, যা নির্বাচনে একটি বিশেষ দলকে বিজয়ী করতে ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রচারণায় গতি: বিএনপি নেতারা মাঠ পর্যায়ে তাদের প্রচারে ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করছেন। এ লক্ষ্যে দলের মিডিয়া সেল ও কমিউনিকেশন সেলকে আরও সক্রিয় করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দলের বিরুদ্ধে ছড়ানো অপপ্রচারের বিরুদ্ধে নতুন নতুন বক্তব্য (ন্যারেটিভ) দিয়ে তা মোকাবেলা করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
শাপলা প্রতীক না পেলে আদায় করে নেব: এনসিপি নেতার হুঁশিয়ারি
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির কোনো আইনগত বাধা নেই। তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী যে নির্বাচন কমিশন এসেছে, তারা অবশ্যই এ স্বেচ্ছাচারিতা করবে না। আমরা আশা করি, অবশ্যই শাপলা প্রতীক পাব, এ প্রতীকেই আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব।”
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে নেত্রকোনার জেলা সমন্বয় সভায় অংশ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি’র প্রতি অনাস্থার শঙ্কা
সারজিস আলম বলেন, “নির্বাচন কমিশনের মতো একটি প্রতিষ্ঠান তাদের ওপর আমরা আগামীতে আস্থা রাখতে চাই। সেই নির্বাচন কমিশন যদি তার আগে কোনো না কোনো চাপে আমাদের যে বৈধ অধিকার শাপলা প্রতীক দিতে পিছুটান বা চাপ অনুভব করে, তাহলে তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনে আস্থা পাওয়া কিন্তু আমাদের কঠিন হয়ে পড়বে।”
শাপলা প্রতীক না পেলে কী করবেন—এমন প্রশ্নের জবাবে এনসিপির এ নেতা বলেন:
“যদি না পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আইনগতভাবে যেহেতু কোনো বাধা নেই, তাই শাপলা প্রতীক আমরা পাবই। না পাওয়ার কোনো অপশন নেই। আমরা এটা আদায় করে নেব। সেটা রাজনৈতিকভাবে বা অন্য যে কোনোভাবে আদায় করে নেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাব।”
নির্বাচনী প্রস্তুতি ও জোট
আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এনসিপি সারাদেশে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য কাজ করছে এবং আসনভিত্তিক বিভিন্ন বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। অধিকাংশ প্রার্থী হয়তো দলের ভেতর থেকে আসবেন, আবার দলের বাইরেও স্থানীয়ভাবে অনেক যোগ্য প্রার্থী আসতে পারেন।
তিনি জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে বলেন, “বিএনপি-জামায়াত বা এমন বড় দলে হলেই যে আমরা তাদের সঙ্গে ইলেক্ট্রোরাল কমিটমেন্টে যাব, এমনটা নয়। আগামীর বাংলাদেশের জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা, সেই আকাঙ্ক্ষার সাথে যে দলের কমিটমেন্ট থাকবে সেই দলের সাথে নির্বাচনী ঐক্য হতে পারে এনসিপির। পরিবর্তনের কমিটমেন্টটা তাদের থাকতে হবে।”
পাঠকের মতামত:
- ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- বন্ধুরূপী শত্রু: যে ৫টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার বন্ধুত্বের বন্ধন বিপদজনক
- পায়ের পাতায় লুকানো নীরব ইঙ্গিত: কিডনি বিকলের এই সংকেত অবহেলা করলেই বিপদ
- খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির উন্নয়নে তারেক রহমানের ৬ দফা পরিকল্পনা
- চট্টগ্রাম সিইপিজেডের কারখানায় আগুনে ১০৫০ শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করল অ্যালার্ম!
- রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ? ট্রাম্পের দাবির পর দিল্লি নীরবতা ভাঙল
- জুলাই সনদে সইয়ের বিষয়ে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে: ফখরুল
- সিইপিজেডে আগুন: ৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বাড়ছে ঝুঁকি
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- ১৬ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি
- নির্বাচিত হলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করব: মির্জা ফখরুল
- জুলাই হত্যা মামলার আসামির মুক্তি: আদালত অঙ্গনে তোলপাড়
- এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিস্মিত করেছে, দায় এড়াতে পারে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- রূপনগর অগ্নিকাণ্ডের পর সামনে এল ঢাকার আরেক ‘রাসায়নিক বোমা’র খবর
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- জান্নাত-জাহান্নামের প্রহরী কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য কী?
- জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না এনসিপি, ‘নাটকীয়তায় অংশ নয়’
- রাকসু নির্বাচন: ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে কালির দাগ
- সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ নিয়ে জটিলতা: খসড়ায় ক্ষুব্ধ বিচারকরা
- শিক্ষার মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন: এইচএসসি পরীক্ষায় এত বড় ব্যর্থতার কারণ কী?
- ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট
- খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- ওজন কমাতে সহায়ক: দিনে দুবার পান করুন এই বিশেষ ডিটক্স পানীয়
- সকালে ব্রাশ না করে পানি খেলে কী হয় শরীরের ভেতরে?
- ভারতের ৩টি কাশির সিরাপ নিয়ে WHO-এর বিশ্বব্যাপী সতর্কতা
- দেশের ১০ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা, সতর্কতা জারি করল বিডব্লিউওটি
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জেনে নিন ফলাফল জানার সহজ উপায়
- দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
- ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় ফের অভিযান চালাতে পারে ইসরায়েল
- ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন শুরু, উৎসবে মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- ৪৪ বছর পর চাকসু’তে নেতৃত্বে ফিরল ছাত্রশিবির
- ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
- মাথাব্যথার ৪টি ‘রেড ফ্ল্যাগ’: যে লক্ষণ দেখলে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
- পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
- প্রাচুর্যের আড়ালে নির্মমতা: জাপানের হাশিমার বুকে চাপা পড়া কান্না ও এক রক্তাক্ত অধ্যায়
- আমাজনের গভীরে লুকানো রহস্যময় সোনালী শহর, যা খুঁজছে বিশ্ব
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
- ড. ইউনূস: ‘কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’
- এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না
- আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
- নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
- পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
- আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প
- ট্যাঙ্গো, পাম্পাস আর বিপ্লবের দেশ: আর্জেন্টিনার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি