‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির ঘোষণা সারজিস আলমের

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৫ ২১:২১:০৬
‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচির ঘোষণা সারজিস আলমের

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রাজনৈতিক মাঠে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে। দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ নামের একটি পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন, যা ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে সারজিস আলম জানান, "১৬ জুলাই, মার্চ টু গোপালগঞ্জ!" একই পোস্টের মন্তব্যে তিনি লেখেন, "আমরা আসছি! জুলাই পদযাত্রায়, গোপালগঞ্জ জেলা শহরে, সকাল ১১টায়।" এই ঘোষণা দিয়ে তিনি মূলত দলটির নতুন কর্মসূচির সূচনালগ্ন তুলে ধরেন, যা আগামী দিনে আরও বড় আকার নিতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শিরোনামে দেশব্যাপী ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছে দলটি। এই পদযাত্রা কর্মসূচির লক্ষ্য জনগণকে সংগঠিত করা এবং চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় জনগণের শক্তিকে রাজনৈতিক পরিবর্তনের নিয়ামক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা শহরগুলোতে এনসিপি নেতারা নিয়মিত সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন, যাতে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা ও ক্ষোভ সরাসরি দলীয় মঞ্চে প্রতিফলিত হয়।

গোপালগঞ্জকে এই পদযাত্রার গন্তব্য হিসেবে নির্বাচন করা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। কারণ, গোপালগঞ্জই স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রধান রাজনৈতিক ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এই জায়গায় প্রতীকী পদযাত্রা আয়োজনকে অনেকেই একটি ‘রাজনৈতিক বার্তা’ হিসেবে দেখছেন। এনসিপির নেতাদের মতে, এটি শুধুমাত্র প্রতীকী পদক্ষেপ নয়, বরং দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক গতিপথ নির্ধারণে এক নতুন ধারা গড়ে তোলার অংশ।

দলটির একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানিয়েছেন, এনসিপি এখন আর শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি হয়ে উঠছে একটি গণ-আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম। তাঁদের মতে, ক্ষমতার কেন্দ্রে গণমানুষের প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্যই এই ধরনের কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। পদযাত্রার মাধ্যমে দলটি সরাসরি সাধারণ মানুষের দ্বারে পৌঁছাতে চাইছে, তাদের কথা শুনতে এবং সেই বক্তব্য রাজনৈতিক দাবিতে পরিণত করতে।

অন্যদিকে, এই পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসন ও নিরাপত্তা বাহিনীরও নজরদারি বেড়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের বাধা বা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি, তবে একটি বড় অংশের সমাবেশ হওয়ায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।

এখন দেখার বিষয়, এই কর্মসূচি কতটা জনপ্রিয়তা পায় এবং তা দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক চিত্রে কতটা প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ