'জুলাই শহীদরা রচনা করেছেন বীরত্বের মহাকাব্য'—ড. ইউনূস

২০২৫ জুলাই ১৫ ২০:২৩:৪৫
'জুলাই শহীদরা রচনা করেছেন বীরত্বের মহাকাব্য'—ড. ইউনূস

‘চব্বিশের স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন, তারা বাঙালির ইতিহাসে এক মহাকাব্যিক বীরত্বগাথা রচনা করে গেছেন’—জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এমন মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বুধবার (১৬ জুলাই) দেওয়া বাণীতে তিনি বলেন, “জুলাই শহীদরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রের। তাঁদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই ঐতিহাসিক সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টা জানান, শহীদ ও আহতদের অবদান অম্লান রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ ও ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করেছে। শহীদদের স্মৃতি সংরক্ষণ ও তাঁদের পরিবারের কল্যাণে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন চলছে।

তিনি বলেন, “প্রতিটি শহীদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা সহায়তা এবং মাসিক ভাতা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আহতদের জন্যও একইরকম সহায়তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজও চলছে, যা গেজেটে প্রকাশ করা হবে।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, “আমরা জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে নতুন বাংলাদেশের পথে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাব—এই হোক আমাদের আজকের অঙ্গীকার। শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।”

দেশে এবারই প্রথমবারের মতো পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে চট্টগ্রাম, রংপুর ও ঢাকায় অন্তত ছয়জন আন্দোলনকারী শহীদ হন। তারা বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থা বিলোপের দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন।

এই আন্দোলন অল্প সময়েই সরকারবিরোধী গণআন্দোলনে রূপ নেয়। লাখো মানুষ রাজপথে নেমে আসে, বাড়তে থাকে শহীদের সংখ্যা। জনগণের তীব্র প্রতিরোধের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে দীর্ঘদিনের স্বৈরাচারী শাসনের, জন্ম হয় নতুন এক বাংলাদেশের।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ