বিদ্যুৎহীন বাগেরহাট: ঝড়ে উপড়ে পড়েছে শত গাছ

বাগেরহাটে আকস্মিক ঝড় ও তীব্র বাতাসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) দুপুরে মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী এক দুর্যোগপূর্ণ ঝড়ে জেলার সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর, গোটাপাড়া, বারুইপাড়া ও যাত্রাপুর এলাকার একাধিক গ্রামে অন্তত ২০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরের চালা উড়ে গিয়ে ও গাছ পড়ে ঘরের উপর ধসে পড়ে বহু মানুষ আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হলেও প্রাণহানির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দুপুরের দিকে হঠাৎ করেই শুরু হয় প্রবল দমকা হাওয়া ও ঝড়ো বাতাস। এই ঝড়ের তাণ্ডবে অসংখ্য গাছপালা উপড়ে পড়ে, যার ফলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকায়। ঝড়ের সময় বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম সেখের ঘরসহ খলিল পাইক, একলাস সেখ, একরাম সেখ এবং জুয়েল সেখের ঘরের চালা উড়ে যায় এবং গাছ পড়ে ঘর ভেঙে পড়ে। ঘরে থাকা পরিবারের সদস্যরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান, তবে তাদের ঘরের সমস্ত মালামাল ভিজে সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে।
এই এলাকার কলেজ ছাত্রী সাফিয়া সাবরিনা ও ঘের ব্যবসায়ী মেহেদী মল্লিক জানান, গত কয়েকদিন ধরে চলমান বৃষ্টিপাতের পর আজ সকাল থেকে আবহাওয়া কিছুটা ভালো থাকলেও দুপুরে আকস্মিক ঝড় তাদের সর্বস্ব তছনছ করে দেয়। মরিচ, লাউ, কলা, পেঁপে, পানবরজসহ নানা ধরনের শাকসবজির ক্ষেত সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়েছে। গাছ পড়ে অনেক সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
যাত্রাপুর ও বারুইপাড়া এলাকার কৃষকেরা জানান, টানা বৃষ্টিতে জমিতে জলাবদ্ধতা ছিলই, তার ওপর এই ঝড় নতুন করে দুঃস্বপ্ন ডেকে এনেছে। বীজতলা ও সবজি ক্ষেত পঁচে যাওয়ার পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পানির তোড়ে মৎস্য ঘের ও পুকুর ভেসে গেছে। নদ-নদী ও খাল উপচে পড়ায় বহু বাড়িঘর প্লাবিত হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোতাহার হোসেন জানান, মাঠপর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। বিশেষ করে নিচু জমির আমন বীজতলা ও শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।অন্যদিকে, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, এর আগে টানা বৃষ্টিতে জেলায় ৯১৫টি চিংড়ি ঘের ও ১৭৭টি পুকুর প্লাবিত হয়ে অন্তত অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। আজকের ঝড়ের ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ করা যায়নি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের এই ধাক্কায় এলাকার সাধারণ কৃষক ও খামারিরা পড়েছেন চরম বিপাকে। ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারের দ্রুত সহযোগিতা কামনা করেছেন, যাতে করে তাঁরা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারেন।
চট্টগ্রাম সিইপিজেডের কারখানায় আগুনে ১০৫০ শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করল অ্যালার্ম!
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলের (সিইপিজেড) অ্যাডামস ক্যাপ নামের একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই কারখানা থেকে ১০৫০ জন শ্রমিককে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সিইপিজেড কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক আশেক মুহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
অগ্নিকাণ্ড ও উদ্ধার কাজ
সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অ্যাডামস ক্যাপে ১ হাজার ৫০ জন শ্রমিক নিয়োজিত ছিলেন। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার অ্যালার্ম বেজে ওঠে এবং শ্রমিকরা দ্রুত ভবনটি থেকে বেরিয়ে যান।
নিরাপত্তা: অতিরিক্ত নির্বাহী পরিচালক বলেন, “আগুন প্রথমে ওপরের তলায় লাগার কারণে শ্রমিকরা দ্রুত এবং নিরাপদে বের হয়ে যান। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।”
নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা: ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে এবং আশপাশের ভবনগুলোকে রক্ষার চেষ্টা করছে। ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন জানান, সিইপিজেডের অভ্যন্তরের পুকুর থেকে পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
উৎপাদিত পণ্য: কারখানাটিতে ক্যাপ, তোয়ালে ও মেডিকেল গাউন তৈরি হতো।
সিইপিজেডে আগুন: ৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বাড়ছে ঝুঁকি
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকার (সিইপিজেড) একটি ভবনে চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরির কারখানায় লাগা ভয়াবহ আগুন চার ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর ইউনিট। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে সিইপিজেডের ১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর সড়কের ‘অ্যাডামস ক্যাপ অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড’ নামের ওই কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
আগুন ও উদ্ধার অভিযান
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নগরীর সিইপিজেড, বন্দর, কেইপিজেড ও আগ্রাবাদের মোট ১৫টি ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এছাড়া নৌবাহিনীর ৪টি ইউনিট এবং ইপিজেড, সিইপিজেডে নিয়মিত সেনাবাহিনীর দল আগুনকবলিত এলাকায় উপস্থিত রয়েছে।
উদ্ধার: আগুনকবলিত কারখানা থেকে অন্তত ২০-২৫ জন শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। কারখানায় মোট ৭০০ শ্রমিক কাজ করেন।
ছড়িয়ে পড়া: চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের উপ-পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আটতলা ভবনটির ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম তলায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি জানান, আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি এবং ভেতরে ঢোকা কঠিন।
দাহ্য বস্তু: ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, কারখানায় প্রচুর পরিমাণে দাহ্য বস্তু থাকতে পারে। আগুন লাগার সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
উদ্বেগ ও নিরাপত্তা
সিইপিজেড সূত্র জানায়, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে শ্রমিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং কারো হতাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই। চারপাশে ছড়িয়ে পড়েছে ঘন কালো ধোঁয়া। আগুনকবলিত ভবনটির চারপাশ ঘিরে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন, যাতে অহেতুক লোকজন ভিড় না করে।
জি হং মেডিকেল কোম্পানির শ্রমিক মোছাম্মত শিপা বলেন, “যে জায়গা থেকে আগুনের সূত্রপাত, সেখানে সাধারণত নারীদের যাওয়া নিষেধ।” তিনি দুপুরে খাওয়ার পর ‘আগুন, আগুন’ বলে চিৎকার শুনে নিচে নেমে আসেন। ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ জামির হোসেন জিয়া বলেন, হুড়োহুড়ি করে নারীদের নামতে দেখা গেছে, তবে গুরুতর কেউ আহত হননি।
শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
‘মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, শিক্ষকদের আল্টিমেটাম: শুক্রবারের মধ্যে দাবি মানা না হলে আমরণ অনশনবেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তাদের তিন দফা দাবি আদায়ে ঘোষিত ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন। তবে দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামীকাল শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বেলা ২টার পর আমরণ অনশনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শিক্ষকরা। পাশাপাশি আগামী রোববার (১৯ অক্টোবর) থেকে এমপিওভুক্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা কর্মবিরতি শুরু করবেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৫টায় শহীদ মিনারে এই দুই কর্মসূচির ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
শিক্ষা উপদেষ্টার বিরুদ্ধে ‘প্রহসনের’ অভিযোগ
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী বলেন, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সি আর আবরারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু:
“ওনারা আলোচনার নামে আই-ওয়াশ করেছেন। এটা শিক্ষকদের সঙ্গে প্রহসন। আমরা শিক্ষা উপদেষ্টাকে বলেছি, আমাদের ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু উনি তার বক্তব্যে অনড়। বলেছেন, এর বাইরে তিনি পারবেন না।”
অধ্যক্ষ দেলোয়ার বলেন, শিক্ষকরা বাড়িভাড়া ১০ শতাংশ এবং পরবর্তী বাজেটে বাকি ১০ শতাংশ প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন।
সরকারের প্রস্তাব ও শিক্ষকদের দাবি
সরকারের প্রস্তাব: শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার জানান, সরকার শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া অথবা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা করার সুপারিশ করেছে। তিনি বলেন, নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশে সরকার আগামী বছর শিক্ষকদের আরও সম্মানজনক কাঠামো দিতে সচেষ্ট হবে।
শিক্ষকদের দাবি: মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে বৃদ্ধি।
টানা পঞ্চম দিনের মতো আন্দোলনরত শিক্ষকরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করছেন এবং সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি চলছে।
রূপনগর অগ্নিকাণ্ডের পর সামনে এল ঢাকার আরেক ‘রাসায়নিক বোমা’র খবর
জনবসতি এলাকায় কেমিক্যালের অবৈধ মজুত পুরান ঢাকার পর এবার মিরপুরের রূপনগরের মতো পরিকল্পিত আবাসিক এলাকাকেও যে **‘রাসায়নিক বোমা’**য় পরিণত করেছে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মঙ্গলবারের শিয়ালবাড়ির অগ্নিকাণ্ড। ২৩ ঘণ্টা পার হওয়ার পর বুধবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে রাসায়নিক গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ১৬টি প্রাণ ঝরে গেছে।
আগুন ও উদ্বেগের চিত্র
হতাহতঃ এক পোশাক কারখানা থেকে ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় তাদের পরিচয় ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া নিশ্চিত হওয়া কঠিন। দগ্ধ তিনজন এখনো জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
সূত্রপাত: স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল জানান, রাসায়নিক গুদাম ‘এম এস আলম ট্রেডিং’-এ প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের শিখা আতশবাজির মতো ওপরের দিকে উঠে গিয়ে পাশের তৈরি পোশাক কারখানায় পড়ে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি: আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হলেও বুধবারও আগুনের জায়গা থেকে বিষাক্ত ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। সেই গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন দুর্ঘটনাস্থলের পাশের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা, যাদের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মালিক পলাতক: রাসায়নিক গুদামের মালিক শাহ আলম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ ও বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম জানান, সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাকে বিষয়টি জানানোর পাশাপাশি তিনবার ওই আগুন লাগা গুদামে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ওই গুদামটি অভিযান চালানোর পর্যায়ে ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌহিদুল হক বলেন, “ঢাকার মানুষ বসবাস করছে এক হিসেবে অ্যাটম বোমার সঙ্গে।” তিনি বলেন, কেমিক্যাল সরানোর পদক্ষেপ বারবার ব্যর্থ হচ্ছে।
সরকারের অবস্থান: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ অবৈধভাবে কেমিক্যাল মজুতকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রতিবাদী ঘোষণা: বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এনসিপি নিহতদের প্রতিটি পরিবারকে ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
মহিলা পরিষদ: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ বলেছে, অতীতের অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত কমিটির সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের গাফিলতিই এ বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ২ লাখ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি’ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে বায়োগ্যাস উৎপাদনের কাজ শুরু হয়েছে। এই টেস্ট বোরিং সফল হলে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যেই পূর্ণাঙ্গভাবে প্রকল্পটি চালু হবে এবং জনগণ বিনা মূল্যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা পাবে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরের হালিশহর আনন্দবাজার ল্যান্ডফিল্ডে ‘গ্যাস কূপের টেস্ট বোরিং’ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন এসব কথা বলেন।
বর্জ্য থেকে সম্পদ ও জ্বালানি নিরাপত্তা
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে নতুন এক মাইলফলক অর্জন করেছে। জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ দূষণ রোধে বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার কোনো বিকল্প নেই।” তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে তারা চট্টগ্রামকে একটি ‘ক্লিন, গ্রিন ও হেলদি সিটিতে’ পরিণত করতে চান।
বর্জ্য সংগ্রহ: প্রতিদিন চট্টগ্রাম শহরে প্রায় ৩ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে সিটি করপোরেশন সংগ্রহ করে প্রায় ২২০০ টন। বাকি বর্জ্য নালা ও খালে গিয়ে জলাবদ্ধতা ও দূষণের কারণ হয়। এজন্য ‘ডোর-টু-ডোর’ প্রকল্প চালুর মাধ্যমে শতভাগ বর্জ্য সংগ্রহ নিশ্চিত করতে চান তিনি।
লক্ষ্য: মেয়র জানান, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে শুধু পরিবেশ রক্ষা নয়, বরং বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে জ্বালানি নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা হবে।
অনুষ্ঠানে চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, বি অ্যান্ড এফ কম্পানি লিমিটেডের প্রধান সি ডব্লিউ পার্কসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনীত প্রার্থী আমীর হামজা বলেছেন, “আয়নাঘর ফিরে আসবে না, এই জন্যই আমাদের এই ৫ দফা।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, আয়নাঘর আবার ফিরে এলে তা জনগণ মেনে নেবে না। পিআর পদ্ধতিসহ পাঁচ দফা দাবিতে কুষ্টিয়ায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে জেলা জামায়াত এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা ও পিআর পদ্ধতির দাবি
আমীর হামজা বলেন, “আমি নিজে আয়নাঘরে ছিলাম। এ যে কত কঠিন জায়গা, সেখানে না থাকলে বোঝানো যাবে না।” তিনি উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে এমন নির্যাতন যেন ফিরে না আসে, তাই তাদের এই আন্দোলন।
জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবুল হাশেম বলেন, “আমাদের দাবিগুলো জামায়াতে ইসলামীর দাবি নয়, বরং ৩১টি দলের মধ্যে ২৫টি দল কোনো না কোনোভাবে এই দাবি মেনে নিয়েছে।” তিনি হুঁশিয়ারি দেন, সরকার দাবি মানতে গড়িমসি করলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচন ও সংস্কারের দাবি
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পিআর ছাড়া নির্বাচন হলে আবারও স্বৈরাচার তৈরি হবে। তাই পিআর পদ্ধতিতেই নির্বাচন করতে হবে এবং জুলাই সনদ ঘোষণা করে নির্বাচনের আগেই তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তারা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও একটি ন্যায়ভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন সম্ভব।
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে অচল শাহবাগ, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে অবরোধ
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন। বুধবার দুপুর ২টার দিকে মিছিল নিয়ে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। অবরোধের কারণে শাহবাগ মোড়ের চারপাশের সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে অবরোধ
শিক্ষকরা প্রথমে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শাহবাগ মোড় অভিমুখে রওনা হন। জাতীয় জাদুঘরের সামনে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকে দেয়। এরপর শিক্ষকরা ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
এ সময় তারা স্লোগান দেন, ‘বেতন নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘আমি কে, তুমি কে শিক্ষক শিক্ষক’, ‘প্রজ্ঞাপন দিতে হবে’।
শিক্ষক-কর্মচারীদের তিনটি প্রধান দাবি হলো:
১. মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া দেওয়া।
২. শিক্ষক ও কর্মচারী উভয়ের জন্য চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা।
৩. কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করা।
এর আগে বুধবার সকাল থেকে শিক্ষক-কর্মচারীরা শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, প্রজ্ঞাপন না এলে দুপুর ১২টায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করার কথা জানিয়েছিলেন তারা। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহর অনুরোধে তারা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করেন। এই সময়ের মধ্যে কোনো ফলপ্রসূ সমাধান না আসায় শিক্ষক-কর্মচারীরা মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন।
২৩ ঘণ্টা পরও জ্বলছে রূপনগরের রাসায়নিক গুদাম
রাজধানীর রূপনগরের শিয়ালবাড়ী এলাকায় রাসায়নিকের গুদামে লাগা আগুন ২৩ ঘণ্টা পার হলেও পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এই আগুন লাগে এবং আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায়ও গুদাম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন।
মৃতদেহ উদ্ধার ও স্বজনদের আহাজারি
রাসায়নিক গুদামের বিপরীত পাশের পোশাক কারখানার আগুন মঙ্গলবারই নেভানো গেছে। চারতলা ভবনটি থেকে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুড়ে অঙ্গার হওয়ায় তাদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহগুলো পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে।
রাত থেকেই সেখানে ভিড় জমিয়েছেন নিখোঁজ ব্যক্তির স্বজনেরা। বুধবার সকালে তাদের কেউ কেউ মরদেহ দেখে নিজের স্বজন বলে দাবি করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা বলছেন, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া পরিচয় নিশ্চিত হওয়া কঠিন।
রাসায়নিক গুদামে আগুনের সূত্রপাত
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম সমকালকে বলেন, “রাসায়নিক গুদামের আগুন এখনো নেভানো যায়নি। আরও কত সময় লাগবে, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”
প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি: স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, রাসায়নিকের গুদামে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনের শিখা আতশবাজির মতো ওপরের দিকে উঠে গিয়ে সামনের পোশাক কারখানার ভবনে পড়ে। ওই ভবনে যে আগুন লেগেছে তা প্রথমে কেউ বুঝতে পারেনি।
কারখানার চিত্র: চারতলা ওই পোশাক কারখানার নিচতলায় অ্যামব্রয়ডারি, দোতলায় কাপড়ে স্ক্রিনপ্রিন্ট, তৃতীয় তলায় গার্মেন্টস এবং চতুর্থ তলায় গার্মেন্টসের গুদাম ছিল।
মালিক পলাতক: রাসায়নিক গুদামের মালিক শাহ আলম ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এলাকায় তার একাধিক গুদাম রয়েছে।
নিখোঁজদের খোঁজে রূপনগরে স্বজনদের আহাজারি
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় একটি পোশাক কারখানা ও পাশের রাসায়নিকের গোডাউনে লাগা ভয়াবহ আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। আগুন পুরোপুরি নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট, সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ করছে। অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে অসংখ্য মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ও আহাজারি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।
নিখোঁজদের আহাজারি
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে আর এন ফ্যাশন নামের চারতলা পোশাক কারখানা এবং পাশের শাহ আলমের রাসায়নিকের গুদামে এই আগুন লাগে।
নিখোঁজ স্বজনদের খোঁজে তাদের ছবি নিয়ে ঘটনাস্থলে এসেছেন অনেকে।
আসমা আক্তার: রেশমা আক্তার সমকালকে বলেন, তার ছেলের শ্যালিকা আসমা আক্তার এই কারখানাতেই কাজ করতেন। আগুন লাগার পর থেকে তার খোঁজ মিলছে না।
নজরুল ইসলাম: স্বামী নজরুল ইসলামের খোঁজে এসেছেন নাসিমা আক্তার। নজরুল ১২ বছর ধরে এই গার্মেন্টস কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করেন। আগুন লাগার খবর পেয়ে কল দিলে নজরুল শুধু 'আগুন আগুন' বলে ফোন রেখে দেন। এরপর থেকে তার ফোন বন্ধ।
অন্যান্য নিখোঁজ: বড় বোন লাইজু বেগম তার বোন নারগিস আক্তারকে খুঁজছেন। ইয়াসিন এসেছেন তার ভাগ্নি সুলতানা ও ভাগ্নি জামাই জয়ার ছবি হাতে। নিখোঁজ মাহিরার মামা শফিকুল ইসলাম জানান, তার ভাগ্নি গার্মেন্টসের তিন তলায় কাজ করতেন।
উদ্ধার কাজ ও ঝুঁকি
ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম বিকেলে প্রথমে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানান। এরপর সন্ধ্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬ হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, “পাশের যে কেমিক্যাল গোডাউন রয়েছে, সেখানে এখনও আগুন জ্বলছে। এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। রাসায়নিক পদার্থ থাকায় কাউকে সেখানে যেতে দিচ্ছি না। আমরা সর্বোচ্চ প্রযুক্তি দিয়ে, ড্রোন দিয়ে কার্যক্রম করছি।” তিনি জানান, কোথা থেকে আগুনের সূত্রপাত তা এখনো জানা যায়নি।
পাঠকের মতামত:
- ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- বন্ধুরূপী শত্রু: যে ৫টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার বন্ধুত্বের বন্ধন বিপদজনক
- পায়ের পাতায় লুকানো নীরব ইঙ্গিত: কিডনি বিকলের এই সংকেত অবহেলা করলেই বিপদ
- খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির উন্নয়নে তারেক রহমানের ৬ দফা পরিকল্পনা
- চট্টগ্রাম সিইপিজেডের কারখানায় আগুনে ১০৫০ শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করল অ্যালার্ম!
- রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ? ট্রাম্পের দাবির পর দিল্লি নীরবতা ভাঙল
- জুলাই সনদে সইয়ের বিষয়ে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে: ফখরুল
- সিইপিজেডে আগুন: ৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বাড়ছে ঝুঁকি
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- ১৬ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি
- নির্বাচিত হলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করব: মির্জা ফখরুল
- জুলাই হত্যা মামলার আসামির মুক্তি: আদালত অঙ্গনে তোলপাড়
- এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিস্মিত করেছে, দায় এড়াতে পারে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- রূপনগর অগ্নিকাণ্ডের পর সামনে এল ঢাকার আরেক ‘রাসায়নিক বোমা’র খবর
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- জান্নাত-জাহান্নামের প্রহরী কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য কী?
- জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না এনসিপি, ‘নাটকীয়তায় অংশ নয়’
- রাকসু নির্বাচন: ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে কালির দাগ
- সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ নিয়ে জটিলতা: খসড়ায় ক্ষুব্ধ বিচারকরা
- শিক্ষার মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন: এইচএসসি পরীক্ষায় এত বড় ব্যর্থতার কারণ কী?
- ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট
- খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- ওজন কমাতে সহায়ক: দিনে দুবার পান করুন এই বিশেষ ডিটক্স পানীয়
- সকালে ব্রাশ না করে পানি খেলে কী হয় শরীরের ভেতরে?
- ভারতের ৩টি কাশির সিরাপ নিয়ে WHO-এর বিশ্বব্যাপী সতর্কতা
- দেশের ১০ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা, সতর্কতা জারি করল বিডব্লিউওটি
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জেনে নিন ফলাফল জানার সহজ উপায়
- দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
- ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় ফের অভিযান চালাতে পারে ইসরায়েল
- ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন শুরু, উৎসবে মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- ৪৪ বছর পর চাকসু’তে নেতৃত্বে ফিরল ছাত্রশিবির
- ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
- মাথাব্যথার ৪টি ‘রেড ফ্ল্যাগ’: যে লক্ষণ দেখলে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
- পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
- প্রাচুর্যের আড়ালে নির্মমতা: জাপানের হাশিমার বুকে চাপা পড়া কান্না ও এক রক্তাক্ত অধ্যায়
- আমাজনের গভীরে লুকানো রহস্যময় সোনালী শহর, যা খুঁজছে বিশ্ব
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
- ড. ইউনূস: ‘কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’
- এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না
- আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
- নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
- পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
- আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প
- ট্যাঙ্গো, পাম্পাস আর বিপ্লবের দেশ: আর্জেন্টিনার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি