ভারতজুড়ে হিন্দির প্রচারে মোদি সরকারের আসল উদ্দেশ্য কী?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৫ ১৬:০৩:০৮
ভারতজুড়ে হিন্দির প্রচারে মোদি সরকারের আসল উদ্দেশ্য কী?

ভারতের বহুভাষিক সমাজব্যবস্থায় ভাষা বরাবরই এক সংবেদনশীল ইস্যু। রাজনৈতিকভাবে বিস্ফোরক এই বিষয়টি দেশটির ঐক্য ও বিভেদের দুই প্রান্তে অবস্থান করে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার হিন্দি ভাষার প্রসার ঘটানোর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা ঘিরে আবারও উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশটির রাজনীতি। বিশেষ করে দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের কয়েকটি রাজ্যে এই হিন্দিকেন্দ্রিক শিক্ষা নীতির বিরুদ্ধে দেখা দিয়েছে প্রবল প্রতিক্রিয়া।

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হিন্দি ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু রাজ্যজুড়ে তীব্র জনমত গড়ে উঠলে সরকারের পক্ষ থেকে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা, বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সমাজকর্মীরা এটিকে মারাঠি ভাষার ওপর আগ্রাসন হিসেবে দেখেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, এটা সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা।

আর দক্ষিণের তামিলনাড়ু রাজ্য—যেখানে ভাষাগত পরিচয় অত্যন্ত শক্তিশালী—সেখানেও মোদি সরকারের নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্টালিন অভিযোগ করেছেন, শিক্ষানীতির আড়ালে কেন্দ্র সরকার শিক্ষার্থীদের হিন্দি ভাষা শেখাতে বাধ্য করছে। তামিলনাড়ুর মতে, হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া মানে তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে ধ্বংস করার চেষ্টা।

এই ভাষাকেন্দ্রিক উত্তেজনা একদিনে তৈরি হয়নি। ১৯৬০-এর দশকে তামিলনাড়ুতে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় যে দাঙ্গা হয়েছিল, তার স্মৃতি এখনো অনেকের মনে টাটকা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে—তামিলনাড়ু নতুন শিক্ষানীতি মানতে না চাইলে শিক্ষা খাতে কেন্দ্রীয় সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই অবস্থান আরও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, যার ফলে মে মাসে রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাষাগত বৈচিত্র্যই ভারতের সবচেয়ে বড় শক্তি। মানবাধিকার ও শিক্ষাবিষয়ক কর্মী নিরঞ্জনারাধ্য ভি পি মন্তব্য করেছেন, একটি নির্দিষ্ট ভাষা চাপিয়ে দিলে তা দেশের জাতীয় ঐক্যকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে। তাঁর মতে, ভাষা শিক্ষার বিষয়টি স্বেচ্ছায় নির্ধারণ করার সুযোগ থাকা উচিত, চাপিয়ে দেওয়ার নয়।

সাহিত্য ও ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ভারতের হিন্দি ও ইংরেজি দুইটি সরকারি ভাষা হলেও দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে হাজারেরও বেশি ভাষা ও উপভাষায় মানুষ কথা বলে। বিশেষত দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে স্থানীয় ভাষার প্রতি আবেগ অত্যন্ত প্রবল। যেমন, তামিল ভাষা শুধু একটি মাধ্যম নয়, এটি একটি সংস্কৃতি, একটি গর্বের বিষয়। লেখিকা নির্মলা লক্ষ্মণ বলেন, তামিল ভাষা সাহিত্যে ও কবিতায় যে সমৃদ্ধতা অর্জন করেছে, সেটি সহজে বিলুপ্ত করার নয়।

কেন্দ্রীয় সরকারের ভাষানীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুধু সামাজিক মাধ্যমেই সীমাবদ্ধ নয়। মহারাষ্ট্রে বিনিয়োগকারী সুশীল কেদিয়ার একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তাঁর অফিসে হামলা পর্যন্ত হয়েছে। কেদিয়া বলেছিলেন, তিনি দীর্ঘদিন রাজ্যে থেকেও মারাঠি ভাষা শিখতে পারেননি। এই মন্তব্যের পর তাঁকে ব্যাপক ট্রলের শিকার হতে হয় এবং শেষে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হন।

এই ইস্যু রাজনৈতিক সমীকরণেও বড় পরিবর্তন আনছে। প্রায় দুই দশক আগে যে দুই চাচাতো ভাই রাজ ও উদ্ধব ঠাকরে আলাদা হয়ে রাজনৈতিক দল গড়েছিলেন, তারা আবার একসঙ্গে মঞ্চে এসেছেন মারাঠি ভাষার স্বার্থে। এই ঐক্য ইঙ্গিত দেয়, ভাষার প্রশ্নে রাজনীতির বিভেদও পিছিয়ে যেতে পারে।

মোদি সরকারের একাধিক প্রকল্প—হোক সেটা শিক্ষা, কৃষি কিংবা উন্নয়ন সংক্রান্ত—যেভাবে হিন্দি ভাষায় নামকরণ ও প্রচার করা হচ্ছে, তাতে অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ভারতকে একটি হিন্দি-ভিত্তিক হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্রে রূপান্তরের চেষ্টাই এর পেছনে কাজ করছে।

ভারতের বৈচিত্র্যের শিকড় অনেক গভীরে। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াস যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে তা জাতীয় ঐক্যকে সুদূরপ্রসারী ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।


পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ২১:১৯:১৭
পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
ছবিঃ সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী মুসলিম দেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তান বুধবার একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসলামাবাদ। এর আগে সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ ও বিমান হামলায় এক ডজনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটাই দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ।

আকাশপথে হামলা ও ধ্বংসের দাবি

সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ ও উত্তেজনার মধ্যেই আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল ও কান্দাহার প্রদেশে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন পিটিভি নিউজ জানিয়েছে, পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনী আফগানিস্তানের ভেতরে ‘নির্ভুল হামলা’ চালিয়েছে, যা আফগান তালেবানের হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে করা হয়েছে।

সামরিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই হামলায় আফগান তালেবানের ‘বাটালিয়ন নম্বর ৪’ ও ‘বর্ডার ব্রিগেড নম্বর ৬’ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এবং ডজনখানেক আফগান ও বিদেশি যোদ্ধা নিহত হয়েছে। পরবর্তীতে একটি আপডেটে পিটিভি নিরাপত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, কাবুলেও হামলা চালানো হয়েছে।

যুদ্ধবিরতি ও পাল্টাপাল্টি দাবি

যুদ্ধবিরতি: পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই দেশ ৪৮ ঘণ্টার একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে, যা বুধবার গ্রিনিচ মান সময় (জিএমটি) দুপুর ১টা থেকে কার্যকর হয়েছে।

দাবির ভিন্নতা: ইসলামাবাদ জানায়, আফগান তালেবান সরকারের অনুরোধে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এসেছে। তবে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, পাকিস্তানের অনুরোধ ও জোরাজুরির ফলে যুদ্ধবিরতি এসেছে।

পাকিস্তানের ক্ষয়ক্ষতি: ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর) জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী বালুচিস্তান সীমান্তে আফগান তালেবানের একটি হামলা প্রতিহত করেছে। আই এস পি আরের দাবি, আফগান বাহিনীর হামলায় পাকিস্তানি বাহিনীর ২৩ সেনা নিহত ও ২৯ জন আহত হয়েছেন। বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ২০০-এর বেশি তালেবান ও সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয়।

হামলার কারণ: আফগানিস্তান দাবি করেছে যে তারা প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলেছে, তারা যেকোনো বহিরাগত আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার সম্পূর্ণ সক্ষমতা ও প্রস্তুতি রাখে।


এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৯:৪৩:১৫
এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণহানি বেড়েছে/ ফাইল ছবি: এএফপি

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে সহিংসতা থামেনি। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নতুন করে আরও অন্তত দুই ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে অধিকৃত পশ্চিম তীরে অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলের গণগ্রেফতার অভিযান। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ইসরায়েল আদৌ এই শান্তিচুক্তি মানবে কি না।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বুধবার (১৫ অক্টোবর) জানিয়েছে, গাজা সিটির শুজায়েয়া এলাকায় ইসরায়েলি গোলাবর্ষণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

হতাহতের সংখ্যা ও মানবিক বিপর্যয়

আল-জাজিরার মাঠ-প্রতিবেদকরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর ছিটেফোঁটা হামলায় নতুন করে প্রাণহানি ঘটছে। এর আগের দিনও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অবরুদ্ধ উপত্যকায় অন্তত নয়জন নিহত হয়েছিলেন।

সর্বশেষ পরিস্থিতি: গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ২৫ জনের মরদেহ আনা হয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়। আহত হয়েছেন আরও ৩৫ জন।

মোট হতাহত: ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় মোট ৬৭ হাজার ৯৩৮ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬৯ জন আহত হয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৈনিক পরিসংখ্যান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বহু মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন, কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা সেখানে পৌঁছাতে পারছেন না।

পশ্চিম তীরে গ্রেফতার অভিযান

কথিত যুদ্ধবিরতির মধ্যেও অধিকৃত পশ্চিম তীরে গণগ্রেফতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদন অনুসারে:

আল-ইসাওয়িয়া শহরে: জেরুজালেমের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আল-ইসাওয়িয়া শহরে অভিযানে এক ফিলিস্তিনি নারী ও তার শিশুকে গ্রেপ্তার করেছে ইসরায়েলি সেনারা।

শারীরিক নির্যাতন: স্থানীয় গভর্নর কার্যালয় জানায়, সৈন্যরা বাড়িতে প্রবেশ করে তল্লাশি করে এবং পরিবারের সদস্যদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়।

অন্যান্য গ্রেপ্তার: জেনিনের কাছে সেলেম সামরিক ক্যাম্পে সাক্ষাৎ দিতে যাওয়ার পর টুবাস শহরের এক তরুণকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দি অধিকার সংগঠন ‘প্রিজনারস ক্লাব’।

এই নতুন সহিংসতা ও নিপীড়নের ঘটনা যুদ্ধবিরতি টেকসই হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।


গ্যাং সহিংসতায় বিপর্যস্ত পেরু: আইনশৃঙ্খলা পুনর্গঠনে তরুণ প্রেসিডেন্টের কঠোর পদক্ষেপ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১২:০৮:৫৬
গ্যাং সহিংসতায় বিপর্যস্ত পেরু: আইনশৃঙ্খলা পুনর্গঠনে তরুণ প্রেসিডেন্টের কঠোর পদক্ষেপ
ছবিঃ সংগৃহীত

অপরাধ দমনে কঠোর অবস্থান নিতে পেরুর নতুন প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি তাঁর মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দিয়েছেন এক সাবেক কঠোরপন্থী সেনা কর্মকর্তাকে। সংগঠিত অপরাধ, মাদক ব্যবসা ও গ্যাং সহিংসতায় বিপর্যস্ত দেশটিতে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

৩৮ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট হোসে জেরি গত সপ্তাহে পদে আসীন হন, যখন দেশটির পার্লামেন্ট অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তেকে অভিশংসনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে। দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র এক সপ্তাহের মাথায় মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) তিনি নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেন এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন ৬১ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ জেনারেল ভিসেন্তে টিবুরসিওকে।

টিবুরসিও পূর্বে পেরুর কুখ্যাত বিদ্রোহী সংগঠন ‘শাইনিং পাথ’-এর বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে নেতৃত্ব দেন এবং কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত। সরকার জানায়, সংগঠিত অপরাধ, মাদক পাচার ও সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কারণে তাঁকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।

দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান চাঁদাবাজি ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট জেরি ইতিমধ্যেই “অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” ঘোষণা করেছেন। মঙ্গলবার এক ভাষণে তিনি গ্যাং নেতাদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, “যদি তারা এখনো কারাগার থেকে রাস্তায় প্রভাব বিস্তার চালিয়ে যায়, তাহলে আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব। যা পরিবর্তন করা দরকার, তা পরিবর্তন করব—এটাই শেষ সতর্কতা।”

নতুন মন্ত্রিসভায় ১৯ সদস্য রয়েছেন, যার মধ্যে চারজন নারী। মন্ত্রিসভার প্রধান (প্রধানমন্ত্রীর সমতুল্য পদে) নিয়োগ পেয়েছেন ৬৪ বছর বয়সী আইনজীবী ও সাবেক সাংবিধানিক আদালতের সভাপতি এরনেস্তো আলভারেজ।

বিরোধ, অস্থিতিশীলতা ও দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত পেরুতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেতৃত্বের সংকট ক্রমশ গভীর হয়েছে। গত নয় বছরে দেশটিতে সাতজন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালন করেছেন, যাদের মধ্যে তিনজনকেই পার্লামেন্ট অভিশংসনের মাধ্যমে অপসারণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগামী বছর নির্ধারিত সময়েই দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে—যে সময়টি ছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট দিনা বোলুয়ার্তের মেয়াদপূর্তির বছর। বর্তমানে তিনি দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে একাধিক তদন্তের মুখোমুখি।

বিশ্লেষকদের মতে, তরুণ প্রেসিডেন্ট জেরির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা একসঙ্গে বজায় রাখা। অপরাধ দমন ও জনআস্থা পুনরুদ্ধারে তাঁর কঠোর অবস্থান আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।

-হাসানুজ্জামান


মানবিক সহায়তা প্রবাহ স্বাভাবিক করতে রাফাহ সীমান্ত খুলে দিল ইসরায়েল

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১১:২২:৪১
মানবিক সহায়তা প্রবাহ স্বাভাবিক করতে রাফাহ সীমান্ত খুলে দিল ইসরায়েল
ছবিঃ সংগৃহীত

গাজা উপত্যকার সঙ্গে মিশরের রাফাহ সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। একইসঙ্গে স্থগিত থাকা মানবিক সহায়তা প্রবাহও স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম কান (Kan)।

এর আগে, ইসরায়েল সরকার আজ বুধবার থেকে গাজায় মানবিক সহায়তা সীমিত করা এবং রাফাহ সীমান্ত বন্ধ রাখাসহ নতুন কিছু নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের পরিকল্পনা করেছিল। তবে শেষ মুহূর্তে এসব সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে বলে টাইমস অফ ইসরায়েলকে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

জিম্মিদের মরদেহ হস্তান্তর

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রাতে হামাস আরও চারজন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের হাতে তুলে দিয়েছে। এই নিয়ে হামাস মোট ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে ৮ জনের মরদেহ হস্তান্তর করল। ফেরত পাওয়া মরদেহগুলো ফরেনসিক প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে, যেখানে শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দুই দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। হামাস এখন পর্যন্ত ফেরত দেওয়া এই চারজনের পরিচয় প্রকাশ করেনি।

মধ্যপ্রাচ্যের এক কূটনীতিক এবং সংশ্লিষ্ট সূত্র টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, আজকের মধ্যেই হামাস আরও চারজন জিম্মির মরদেহ ইসরায়েলের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।


যুদ্ধবিরতি ঝুঁকিতে: স্বভাব বদলায়নি ইসরায়েলের

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ২২:০৪:৫২
যুদ্ধবিরতি ঝুঁকিতে: স্বভাব বদলায়নি ইসরায়েলের
গাজায় ইসরায়েলের হামলা-অবরোধ অব্যাহত/ ফাইল ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে গাজায় আবারও হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে। এই অব্যাহত হামলার ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, ইসরায়েল আদৌ এই শান্তিচুক্তি মানবে কি না।

বাড়ি ফেরা ফিলিস্তিনিরা লক্ষ্যবস্তু

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, উত্তর গাজার গাজা সিটি এবং দক্ষিণের খান ইউনিসে নিজেদের পুরোনো বাড়িতে ফেরার চেষ্টা করছিলেন ফিলিস্তিনিরা। এ সময় ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়া খান ইউনিসে ইসরায়েলের চালানো একটি ড্রোন হামলায়ও বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি হতাহত হয়েছেন।

মানবতার চরম বিপর্যয়

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৪টি মরদেহ আনা হয়েছে এবং আহত অবস্থায় এসেছেন আরও ২৯ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এবং বহু মানুষ এখনো চাপা পড়ে আছেন।

নিহতের সংখ্যা: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৭ হাজার ৯১৩ জন। আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৭০ হাজার ১৩৪ জন ফিলিস্তিনি।

ত্রাণ অবরোধ: ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানিয়েছে, ইসরায়েল এখনও মানবিক সহায়তা সরঞ্জাম গাজায় ঢুকতে দিচ্ছে না। খাদ্য, ওষুধ, পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী ও আশ্রয়সামগ্রী—সবকিছুই এখন গাজার বাইরের গুদামে পড়ে আছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এসব হামলা ও সহায়তা অবরোধের ফলে নবঘোষিত যুদ্ধবিরতি এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে।


 ইতালি তাহলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে? গাজা শান্তি সম্মেলনের নতুন বার্তা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৯:৪৭:১২
 ইতালি তাহলে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিচ্ছে? গাজা শান্তি সম্মেলনের নতুন বার্তা
ছবিঃ সংগৃহীত

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ঘোষণা করেছেন, তার দেশ স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে শিগগিরই ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) মিশরের শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত ‘গাজা শান্তি সম্মেলন’-এ তিনি এই ঘোষণা দেন।

শান্তি চুক্তির পর স্বীকৃতির পথে ইতালি

মেলোনি বলেন, ইতালি গাজায় যুদ্ধবিরতির অপেক্ষায় ছিল। তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ইস্যুতে একটি সময়োপযোগী পরিকল্পনা প্রস্তাব করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী বলেন:

“আমরা দেখব—পরিকল্পনাটির সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন ঘটে কি না। যদি ঘটে, সেক্ষেত্রে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে আমাদের সামনে আর কোনো বাধা থাকবে না। অর্থাৎ এক কথায় বললে, ইতালি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে প্রস্তুত এবং বর্তমানে আমরা এর খুব কাছাকাছি আছি।”

তিনি আরও বলেন, ইতালির লক্ষ্য হলো একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন। ইতালি যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুনর্গঠনে অংশ নিতেও আগ্রহী। মেলোনি বলেন, “আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি খুবই গর্বিত যে এই সম্মেলনে ইতালির উপস্থিতি আছে।”


শ্রমঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়ার নতুন ঘোষণা, বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ সুবিধা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৭:১৭:৫৫
শ্রমঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়ার নতুন ঘোষণা, বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ সুবিধা
মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল। ছবি : সংগৃহীত

নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি খাতে শ্রমঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে বিদেশি কর্মী নিয়োগে বিশেষ অনুমোদন-সুবিধা ঘোষণা করেছে মালয়েশিয়া। চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিদেশি কর্মী কোটার আবেদনগুলো ‘কেস বাই কেস’ ভিত্তিতে অনুমোদন দেওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটির সরকার।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন।

যেসব খাতে মিলবে বিশেষ সুবিধা

সরকার তিনটি প্রধান খাত ও ১০টি উপখাতে বিদেশি কর্মী কোটার আবেদনের জন্য এই বিশেষ সুবিধা দিতে রাজি হয়েছে।

প্রধান ৩টি খাত: বৃক্ষরোপণ, কৃষি, খনি ও খনন।

১০টি উপখাত: নিরাপত্তা পরিষেবা, ধাতু ও স্ক্র্যাপ সামগ্রী, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও ভবন রক্ষণাবেক্ষণ, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা, লন্ড্রি, রেস্তোরাঁ, স্থলভিত্তিক গুদামজাতকরণ, কার্গো হ্যান্ডলিং, সরকারি প্রকল্পের অধীনে নির্মাণকাজ এবং মালয়েশিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি কর্তৃক অনুমোদিত নতুন বিনিয়োগ।

নাসুশন ইসমাইল বলেন, “এই সুবিধা দেওয়ার মাধ্যমে সরকার শুধু গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোর শ্রম চাহিদা পূরণ করছে না, বরং অর্থনৈতিক স্বার্থ ও জনগণের কল্যাণের মধ্যে ভারসাম্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে মাদানি সরকারের অঙ্গীকারও প্রতিফলিত হচ্ছে।”

নিয়োগ প্রক্রিয়া ও মূল্যায়ন

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই বিশেষ প্রক্রিয়ার অধীনে যেসব নিয়োগকর্তার বিদেশি কর্মী প্রয়োজন, তারা সরাসরি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা ওয়ান স্টপ সেন্টার (ওএসসি) ফর ফরেন ওয়ার্কার ম্যানেজমেন্টে তাদের কোটা আবেদন জমা দিতে পারবেন।

যাচাইকরণ: প্রতিটি আবেদন উপদ্বীপ মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগ (জেটিকেএসএম) এবং সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর মূল্যায়নের সাপেক্ষে বিবেচিত হবে। নিয়োগকর্তাদের প্রয়োজনীয় সব সহায়ক নথি জমা দিতে হবে।

লক্ষ্য: এই নমনীয় পদ্ধতি শিল্পগুলোকে দক্ষতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে এবং প্রতিযোগিতামূলক থাকতে সাহায্য করবে। এই পদক্ষেপ সরকারকে আগামী বছর বিদেশি কর্মী নিয়োগের নীতি ও ব্যবস্থাপনার প্রক্রিয়া পর্যালোচনা ও শক্তিশালী করার সুযোগ দেবে, যা ২০৩০ সালের মধ্যে মোট কর্মশক্তির ১০ শতাংশে বিদেশি কর্মীর সংখ্যা সীমাবদ্ধ করার জাতীয় লক্ষ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।


হজ যাত্রীদের জন্য ৪ টিকা বাধ্যতামূলক করল সৌদি আরব

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৪:২৭:০৩
হজ যাত্রীদের জন্য ৪ টিকা বাধ্যতামূলক করল সৌদি আরব
ছবিঃ সংগৃহীত

২০২৬ সালের হজ মৌসুমকে সামনে রেখে হজযাত্রী ও হজসংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য কঠোর চিকিৎসা নির্দেশনা প্রকাশ করেছে সৌদি আরবের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এ বছর টিকা গ্রহণ ও শারীরিক যোগ্যতা যাচাই আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, করোনাভাইরাস, মেনিনজাইটিস, পোলিও ও ইয়েলো ফিভার—এই চারটি টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এই টিকাগুলো না নিলে কোনো হাজি দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম

কোভিড-১৯ টিকা: টিকা অবশ্যই সৌদি অনুমোদিত প্রস্তুতকারকের হতে হবে। সর্বশেষ ডোজ ২০২১ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে নেওয়া থাকতে হবে এবং যাত্রার অন্তত দুই সপ্তাহ আগে তা সম্পন্ন করতে হবে।

মেনিনজাইটিস টিকা: এই টিকা পাঁচ বছর পর্যন্ত বৈধ থাকবে, তবে সৌদিতে প্রবেশের কমপক্ষে দশ দিন আগে নিতে হবে।

পোলিও ও ইয়েলো ফিভার: পোলিও নজরদারিতে থাকা দেশগুলোর হাজিদের টিকা যাত্রার অন্তত চার সপ্তাহ আগে নিতে হবে। ইয়েলো ফিভারের টিকা নয় মাস বয়সের ঊর্ধ্বে সব যাত্রীর জন্য বাধ্যতামূলক।

যাদের হজে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ

সৌদি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তি গুরুতর শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন, তারা হজে অংশ নিতে পারবেন না। গুরুতর হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে:

প্রধান অঙ্গ বিকল হওয়া রোগী।

জটিল দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, মানসিক বা স্নায়বিক সমস্যাযুক্ত ব্যক্তি।

উচ্চঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা বা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি।

ক্যান্সারের চলমান চিকিৎসায় থাকা রোগী।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হজের মতো শারীরিকভাবে পরিশ্রমসাপেক্ষ ইবাদতের সময় যাত্রীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হজ করতে ইচ্ছুকরা নির্ধারিত টিকা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন না করলে তাদের সৌদি প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে বা প্রয়োজনে কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।


মেলোনিকে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ তুর্কি প্রেসিডেন্টের

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৪:০৯:০৮
মেলোনিকে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ তুর্কি প্রেসিডেন্টের
ছবিঃ সংগৃহীত

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিকে প্রকাশ্যে ধূমপান ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। মিশরের শারম এল-শেখে অনুষ্ঠিত গাজা শান্তি সম্মেলনের ফাঁকে এক অনানুষ্ঠানিক কথোপকথনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট মেলোনিকে এই পরামর্শ দেন।

অনানুষ্ঠানিক কথোপকথন

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে মিশরে আয়োজিত ‘গাজা শান্তি সম্মেলন’-এর ফাঁকে এই আলোচনা হয়।

ইহলাস নিউজ এজেন্সি (তুর্কি সংবাদ সংস্থা) সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, এরদোয়ান মেলোনির উদ্দেশে বলছেন:

“আমি আপনাকে বিমান থেকে নেমে আসতে দেখেছি। আপনাকে দারুণ লাগছে। কিন্তু আপনার ধূমপান বন্ধ করাতে হবে।”

তাদের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এরদোয়ানের কথা শুনে তিনি হেসে উঠে বলেন, “এটা অসম্ভব!”

এ সময় মেলোনি জবাব দেন, “ধূমপান ছাড়লে আমি কম সামাজিক হয়ে যেতে পারি। আমি জানি, আমি জানি। আমি কাউকে হত্যা করতে চাই না।”

মেলোনি এর আগে একটি বইয়ে স্বীকার করেছিলেন যে, ধূমপান তাকে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদসহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে সহায়তা করেছে।

পাঠকের মতামত: