সুলতানি আমলের সাক্ষী, মুন্সীগঞ্জের গর্ব- মুন্সীগঞ্জের বাবা আদম শহীদ মসজিদ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১১ ১০:১০:৫৬
সুলতানি আমলের সাক্ষী, মুন্সীগঞ্জের গর্ব- মুন্সীগঞ্জের বাবা আদম শহীদ মসজিদ

ঢাকার অদূরে মুন্সীগঞ্জ জেলার রামপালের দরগাবাড়ীতে অবস্থিত ‘বাবা আদম শহীদ (রহ.) মসজিদ’ কেবল একটি ধর্মীয় স্থাপনা নয়, বরং এটি সুলতানি আমলের ইতিহাস, উপমহাদেশে ইসলামের প্রসার এবং ধর্মীয় স্থাপত্যশৈলীর এক অতুলনীয় নিদর্শন। এই মসজিদ পঞ্চদশ শতকের ইসলামী আন্দোলনের প্রতীক হয়ে আজও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে।

মসজিদটি নির্মিত হয় ১৪৮৩ সালে, বাংলার সুলতান জালালউদ্দিন ফতেহ শাহর শাসনামলে। সেসময় বিক্রমপুরের শাসক ছিলেন মালিক কাফুর। ইতিহাসবিদদের মতে, হজরত বাবা আদম শহীদ (রহ.)-এর স্মৃতি রক্ষার্থেই মালিক কাফুর এই মসজিদ নির্মাণ করেন। ১৯৪৮ সালে মসজিদটি বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আওতায় আসে। এরপর থেকে এটি একটি সংরক্ষিত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

শহীদ ধর্মপ্রচারক ও বিক্রমপুরে ইসলামের সংগ্রামী ইতিহাস

হজরত আদম শহীদ (রহ.) ছিলেন একজন ধর্মপ্রচারক, যিনি পঞ্চদশ শতকে বিক্রমপুর অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ঐতিহাসিক সূত্রমতে, তিনি স্থানীয় অত্যাচারী হিন্দু শাসক বল্লাল সেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শাহাদাতবরণ করেন। এই যুদ্ধে তিনি নেতৃত্ব দেন মুসলমানদের পক্ষ থেকে এবং অবশেষে মুসলমানদের বিজয় হয়। মুসলিম বিজয়ের এই ঘটনাকেই স্মরণীয় করে রাখতে এবং ইসলাম প্রচারের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতেই গঠিত হয় বাবা আদম শহীদ (রহ.) মসজিদ।

মসজিদের বর্তমান ইমাম মাওলানা সানাউল্লাহ জানান, কেবল একটি ইবাদতখানা হিসেবেই নয়, এই মসজিদ ছিল দ্বীনের জ্ঞান, আত্মশুদ্ধি (তাজকিয়া) ও আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণের কেন্দ্র। স্থানীয় জনশ্রুতি অনুসারে, হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহ.)-এর একজন খলিফা এ অঞ্চল সফরে এসে ইসলাম প্রচারের কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

স্থাপত্যশৈলীর দ্যুতিময়তা: সুলতানি রীতি ও অলঙ্করণ

মসজিদটি আয়তাকার ভিত্তির উপর গড়ে উঠেছে। উত্তর-দক্ষিণে ৪৩ ফুট ও পূর্ব-পশ্চিমে ৩৬ ফুট পরিমাপের এই মসজিদে রয়েছে ছয়টি গম্বুজ, যা ছাদের ওপর সুশৃঙ্খলভাবে স্থাপিত। প্রতিটি গম্বুজ নিপুণ কারিগরিতে তৈরি। চার কোণায় রয়েছে অষ্টকোণাকৃতির মিনার, যা ছাদের কার্নিশ পর্যন্ত না পৌঁছলেও স্থাপত্যে ভারসাম্য এনেছে।

মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে রয়েছে তিনটি অর্ধবৃত্তাকার মেহরাব। প্রধান মেহরাবটি বাইরের দিকে কিছুটা উদগত এবং অভ্যন্তরের দেয়ালে স্তরের পর স্তর সূক্ষ্ম নকশায় খচিত। দেয়ালজুড়ে জ্যামিতিক অলংকরণ, লতাপাতা, গোলাপ ফুল ও ঝুলন্ত প্রদীপের কারুকার্য এখনও দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে।

প্রবেশপথে রয়েছে খাঁজকাটা অলংকরণ, ঝুলন্ত শিকলে ঘন্টার মতো শোভা—যা মুসলিম স্থাপত্যে সাধারণত দেখা যায় না এবং এটিকে বিশেষ করে তোলে। মূল ফটকের ওপরে আরবি ক্যালিগ্রাফিতে খচিত শিলালিপি নিপুণতার নিদর্শন হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে।

ভেতরের কাঠামো ও নান্দনিক বিন্যাস

মসজিদের অভ্যন্তরে রয়েছে দুটি গ্রানাইট পাথরের স্তম্ভ, যা ছয়টি ভাগে বিভক্ত ছাদকে ধারণ করে। স্তম্ভ দুটি মধ্যভাগ থেকে অষ্টকোণ ও পরবর্তী অংশে ষোলো কোণাকৃতি, যা সুলতানি নির্মাণশৈলীর অনন্য বৈশিষ্ট্য বহন করে। মসজিদের কোনো অংশে বারান্দা না থাকলেও ভিতরের স্থাপত্যকৌশল একে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেছে।

মসজিদের বাইরের দেয়াল পুরু এবং তা পোড়ামাটির চিত্রফলকে অলংকৃত। মূল প্রবেশপথের পাশে এখনও সেসব শৈল্পিক কাজ দৃশ্যমান। এটি শুধু স্থাপত্যের নয়, শিল্প ও সংস্কৃতির এক মূল্যবান দলিল।

ঐতিহ্যের গুরুত্ব ও সংরক্ষণের প্রশ্ন

এই মসজিদ শুধু মুন্সীগঞ্জ নয়, গোটা দেশেরই একটি ঐতিহ্যবাহী সম্পদ। ৬ টাকার ডাকটিকিটেও এই মসজিদকে স্থান দেওয়া হয়েছে, যা তার জাতীয় মর্যাদার প্রমাণ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, সময়ের পরিক্রমায় এই মূল্যবান স্থাপনাটি আজ সংস্কারের অভাবে ঝুঁকির মুখে।

স্থানীয়দের দাবি, সরকার ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এই মসজিদের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণ ও পর্যটন সুবিধা বাড়ানোর জন্য পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

বাবা আদম শহীদ (রহ.) মসজিদ বাংলাদেশের ইসলামী ইতিহাস, স্থাপত্য ও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের এক সমন্বিত স্মারক। এটি শুধু ইবাদতের স্থান নয়, বরং একটি সংগ্রামী অতীতের সাক্ষ্য, যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতা, আত্মত্যাগ এবং সাংস্কৃতিক গৌরব একসূত্রে বাঁধা। এই ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করা আমাদের নৈতিক ও সাংস্কৃতিক দায়িত্ব।


১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ২১:৪৫:০২
১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
ছবিঃ সংগৃহীত

শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪১ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে (AM) (জুমার নামাজ), আসর ০৩টা ৫৭ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৯ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে (PM)।

(সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৫ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৯ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৯ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৮ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৩ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৭ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ০৭টা ০১ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৭ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৯ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৪ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


জান্নাত-জাহান্নামের প্রহরী কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য কী?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১১:৪৫:৩২
জান্নাত-জাহান্নামের প্রহরী কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য কী?
ছবিঃ সংগৃহীত

জান্নাত ও জাহান্নাম ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জান্নাত ও জাহান্নামের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা ছাড়া কোনো ব্যক্তি মুমিন হতে পারে না। পবিত্র কোরআনের বর্ণনা অনুসারে, আল্লাহ জান্নাত ও জাহান্নামে দ্বাররক্ষী বা প্রহরী নিযুক্ত করবেন, যেন কেউ আল্লাহর অনুমতি ছাড়া জান্নাতে প্রবেশ করতে না পারে এবং জাহান্নাম থেকে বের হতে না পারে।

জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে বিশ্বাস

আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাতের বিশ্বাস হলো—জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে কোরআন ও হাদিসে যা এসেছে, তা সত্য। ইমাম তহাবি (রহ.) বলেন, জান্নাত ও জাহান্নাম আল্লাহর এমন সৃষ্টি, যা কখনো ধ্বংস হবে না, কিন্তু তা (আল্লাহর সত্তা ও গুণাবলির মতো) চিরন্তনও নয়। ইমাম আবু জুরআহ রাজি (রহ.)-এর মতে, জান্নাত ও জাহান্নাম এখনো বিদ্যমান।

জান্নাত ও জাহান্নামের প্রহরী কারা?

পবিত্র কোরআনে জান্নাত ও জাহান্নামের প্রহরীদের ‘খাজানাতু’ শব্দ দ্বারা ব্যক্ত করা হয়েছে, যার অর্থ প্রহরী ও রক্ষক। আলেমরা এ বিষয়ে একমত যে জান্নাত ও জাহান্নামের প্রহরী হবেন ফেরেশতারা।

জাহান্নামের প্রধান প্রহরী: পবিত্র কোরআনের আয়াত দ্বারা প্রমাণিত যে জাহান্নামের প্রধান প্রহরীর নাম ‘মালিক’। ইরশাদ হয়েছে, “তারা চিৎকার করে বলবে, হে মালিক! তোমার প্রতিপালক যেন আমাদের নিঃশেষ করে দেন। সে বলবে, তোমরা এভাবেই থাকবে।” (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৭৭)

জান্নাতের প্রধান প্রহরী: জান্নাতের প্রধান প্রহরীর নাম কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত নয়। তবে তাঁর নাম ‘রিদওয়ান’ বলে প্রচলিত, যা ‘রিদা’ (সন্তুষ্টি) থেকে গৃহীত।

দরজা ও দ্বাররক্ষীর সংখ্যা

জাহান্নাম: পবিত্র কোরআনের বর্ণনা থেকে অনুমান করা যায়, জাহান্নামের প্রহরীর সংখ্যা হবে ১৯ জন (সুরা : মুদ্দাসির, আয়াত : ২৭-৩০)। আর জাহান্নামের দরজা হবে সাতটি। (সুরা : হিজর, আয়াত : ৪৩-৪৪)

জান্নাত: হাদিসে এসেছে, জান্নাতের দরজা আটটি। (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ১৭৬৫৭)

যেমন হবেন জান্নাতের প্রহরী

১. নির্দেশ পালনে কঠোর: তারা আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কাউকে জান্নাতে প্রবেশ করতে দেবেন না। জান্নাতে প্রবেশের আগে নবীজি (সা.)-এরও অনুমতির প্রয়োজন হবে। (সহিহ মুসলিম : ৩৭৪)

২. কোমল হৃদয়: জান্নাতের প্রহরীরা জান্নাতিদের প্রতি কোমল হৃদয় হবেন এবং জান্নাতে প্রবেশের সময় তাদের অভিনন্দন জানাবেন। (সুরা : ঝুমার, আয়াত : ৭৩)

৩. জান্নাতিদের ডেকে নেওয়া: জান্নাতের প্রহরীরা কিয়ামতের দিন জান্নাতিদের ডেকে নেবেন।

যেমন হবেন জাহান্নামের প্রহরী

১. নির্দেশ পালনে কঠোর: তারা আল্লাহর নির্দেশ পালনে অত্যন্ত কঠোর হবেন। (সুরা : তাহরিম, আয়াত : ৬)

২. নির্মম হৃদয়ের অধিকারী: তাদের হৃদয় হবে অত্যন্ত নির্মম। জাহান্নামিদের আর্তনাদ তাদের অন্তরে কোনো দয়ার উদ্রেক করবে না।

৩. আর্তনাদ উপেক্ষাকারী: জাহান্নামের প্রহরীরা জাহান্নামিদের আর্তনাদ ও আবেদনের প্রতি ভ্রুক্ষেপহীন হবেন। (সুরা : মুমিন, আয়াত : ৫০)


১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ২১:৫৮:৩৮
১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
ছবিঃ সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪১ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৭ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৯ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে (PM)।

( সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৫ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৯ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৯ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৮ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৩ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৭ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ০৭টা ০১ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৭ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৯ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৪ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৯:৩৬:৪৪
আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
ছবি: পেক্সেলস

মুসলিম জীবনের সর্বোচ্চ লক্ষ্য হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। এটি এমন একটি জীবনব্যাপী সাধনা, যা বান্দার হৃদয়ে শান্তি, আত্মায় প্রশান্তি এবং জীবনে সুখ নিয়ে আসে। তবে এই পথে চলতে গিয়ে প্রায়ই মানুষের অসন্তুষ্টি, সমাজের চাপ এবং নিজের ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে ছোট ছোট কাজে খাঁটি নিয়তের মাধ্যমেই অপার সাফল্যের দ্বার খুলে যায়।

আল্লাহর সন্তুষ্টি বনাম মানুষের সন্তুষ্টি

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে একজন মুসলিমকে প্রায়ই মানুষের অসন্তুষ্টির সম্মুখীন হতে হয়। রাসূল (সা.) বলেছেন:

“যে ব্যক্তি মানুষের অসন্তুষ্টির মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি তালাশ করে, আল্লাহ তাকে মানুষের বোঝা থেকে মুক্তি দেবেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর অসন্তুষ্টির মাধ্যমে মানুষের সন্তুষ্টি তালাশ করে, আল্লাহ তাকে মানুষের ওপর ছেড়ে দেবেন।” (তিরমিজি, হাদিস: ২৪১৪)

মানুষের সন্তুষ্টি অস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর সন্তুষ্টি চিরস্থায়ী ও সর্বোত্তম। কোরআনে আল্লাহ বলেন, “দুনিয়ার জীবনের উপকরণ সামান্য, আর আখেরাত তাদের জন্য উত্তম যারা তাকওয়া অবলম্বন করে।” (সুরা নিসা, আয়াত: ৭৭)

ক্ষতিগ্রস্ত আমল: রাসূল (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন যে ব্যক্তি মানুষের প্রশংসা ও সম্মানের জন্য শহীদ হয়েছে, জ্ঞান অর্জন করেছে বা দান করেছে—তাদের আমল বাতিল বলে গণ্য হবে, কারণ নিয়ত খাঁটি ছিল না। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ১৯০৫)

আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য নিম্নলিখিত উপায়গুলো আমাদের জীবনে প্রয়োগ করা উচিত:

১. খাঁটি নিয়ত: প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করা অপরিহার্য। খাঁটি নিয়ত হৃদয়কে শক্তিশালী করে এবং আল্লাহর কাছ থেকে সাফল্য আকর্ষণ করে।

২. আল্লাহর আদেশে দ্রুত সাড়া: আল্লাহর আদেশ পালনে কোনো অলসতা বা বিলম্ব করা উচিত নয়। (সুরা তাহা, আয়াত: ৮৪)

৩. নিজেকে উৎসর্গ করা: জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহর আনুগত্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া। (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০৭)

৪. নেতিবাচক গুণাবলি পরিহার: রাগ, অহংকার, আত্মম্ভরিতা ও বড়াই পরিহার করা।

৫. সাধারণ নেয়ামতের শুকরিয়া: খাবার বা এক ঢোক পানি পানের জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৭৩৪)

৬. অল্পে সন্তুষ্ট থাকা: জীবনের প্রাপ্তিতে আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্ট থাকা।

৭. হালাল উপার্জন: হালাল উপার্জনের জন্য ক্লান্ত হয়ে রাত্রি যাপন করা।

৮. পিতামাতার সন্তুষ্টি: রাসূল (সা.) বলেছেন, “আল্লাহর সন্তুষ্টি পিতামাতার সন্তুষ্টির মধ্যে রয়েছে।” (বায়হাকি, শু’আবুল ঈমান)

৯. তকদিরের প্রতি সন্তুষ্টি: আল্লাহর ভাগ্যলিপির প্রতি সন্তুষ্ট থাকা।


নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৯:২৯:২৯
নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
ছবিঃ সংগৃহীত

নামাজ চলাকালে কারও মোবাইল ফোন বেজে উঠলে তা ইমাম ও জামাতের মনোযোগ নষ্ট করে এবং অন্যদের খুশু-খুজু (নিবিষ্টতা) ভঙ্গ করে। এই পরিস্থিতিতে অনেকে দ্বিধায় পড়ে যান—এ সময় মোবাইল বন্ধ করা যাবে কি না, নাকি নামাজ ভেঙে যাবে?

এক হাতে মোবাইল বন্ধ করা জায়েজ

ইসলামি শরিয়তে নামাজে অতি সামান্য ও প্রয়োজনীয় কাজ করার অনুমতি দিয়েছে, যদি তা মনোযোগ নষ্ট না করে বা নামাজের মূল কাঠামো ভেঙে না দেয়। হাদিসে আছে, রাসুল (সা.)-এর আমলে সাহাবিরা নামাজে সেজদার জায়গা থেকে কাঁকর সরিয়ে নিতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৫৪৬)।

ইমাম নববির মত: ইমাম নববি (রহ.) বলেন, “যদি কোনো কাজ স্বল্প হয় এবং ইবাদতের স্বভাব পরিবর্তন না করে, তবে তা নামাজ নষ্ট করে না।”

ফিকহি মতামত: হানাফি মাজহাবের ফতোয়া অনুযায়ী, যদি নামাজে হালকা নড়াচড়া (যেমন—এক হাতে মোবাইল বন্ধ করা) প্রয়োজনীয় কারণে হয়, তবে নামাজ বাতিল হয় না। (আল-ফাতাওয়া আল-হিন্দিয়্যা)।

অতএব, নামাজে একটি হাত নেড়ে মোবাইল সাইলেন্ট বা বন্ধ করা শরিয়তসম্মত ও অনুমোদিত কাজ, কারণ এটি অপ্রয়োজনীয় নয়; বরং ইবাদতের সংরক্ষণমূলক কাজ।

খুশু ও দায়িত্বশীলতার গুরুত্ব

কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, “নিশ্চয়ই মুমিনরা সফল হয়েছে, যারা নামাজে বিনম্রভাবে মনোযোগী।” (সুরা মুমিনুন, আয়াত: ১–২)।

অন্যের মনোযোগ রক্ষা: রাসুল (সা.) বলেছেন, “যে ব্যক্তি অন্যের নামাজ নষ্ট করে, সে অন্যায়ের কাজ করে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬৭৫)। যদি কারও মোবাইল বেজে ওঠে এবং সে সেটি বন্ধ না করে, ফলে অন্যদের মনোযোগ নষ্ট হয়, তাহলে সে নামাজের শিষ্টাচারবিরুদ্ধ কাজ করছে।

সচেতনতা জরুরি: নামাজের আগে মোবাইল সাইলেন্ট বা ভাইব্রেটে রাখা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক এবং অন্যের ইবাদত রক্ষার একটি আদব।

যদি নামাজ চলাকালীন মোবাইল বেজে ওঠে, তাহলে আতঙ্কিত বা বিভ্রান্ত না হয়ে সংযতভাবে এক হাতে মোবাইল সাইলেন্ট বা বন্ধ করা উচিত, যাতে অন্যদের খুশু নষ্ট না হয়।


১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার: নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ২২:০০:৩৪
১৫ অক্টোবর ২০২৫, বুধবার: নামাজের সময়সূচি
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামীকাল বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪১ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৭ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৯ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে (PM)।

( সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৫ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৯ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ১৫ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৯ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৮ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৩ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৭ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ০৭টা ০১ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৭ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৯ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৪ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার: নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ২১:৫৫:১৯
১৪ অক্টোবর ২০২৫, মঙ্গলবার: নামাজের সময়সূচি
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামীকাল মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪১ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৭ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৯ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে (PM)।

(দ্রষ্টব্য: সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৫ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৯ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৯ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৯ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৪ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৭ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ০৭টা ০১ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৭ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৯ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৭ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫১ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৪ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪২ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৮ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


দেনমোহর পরিশোধ না করলে স্ত্রীর সঙ্গে থাকা জায়েজ? জেনে নিন শরীয়তের বিধান

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ২১:৪২:৩৭
দেনমোহর পরিশোধ না করলে স্ত্রীর সঙ্গে থাকা জায়েজ? জেনে নিন শরীয়তের বিধান
ছবিঃ সংগৃহীত

শরীয়তসম্মত পন্থায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর স্বামীর জিম্মায় নারীর জন্য একটি যৌক্তিক বিনিময় নির্ধারিত হয়, যাকে ফিকহের পরিভাষায় মোহর বলা হয়। ইসলামে নারীকে মোহরের পূর্ণ মালিকানা প্রদান এক অনন্য বৈশিষ্ট্য, এবং মোহর আদায় করা স্বামীর অবশ্যপালনীয় কর্তব্য।

মোহরের গুরুত্ব ও সময়

মোহর স্বামীর নিঃস্বার্থ সেবার প্রকৃত বিনিময় হতে না পারলেও এটি স্বামী-স্ত্রীর মাঝে হৃদ্যতা ও ভালোবাসা সৃষ্টিতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। কুরআন মজীদ থেকে মোহর বাবদ ‘প্রভূত সম্পদ’ দেওয়ার বৈধতা পাওয়া যায় (সুরা নিসা : ২০)। মোহরের কোনো সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি, তা পুরুষের ইচ্ছা ও সঙ্গতির ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বিয়ের আকদ ও মোহর নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্ত্রীর সম্মতি অপরিহার্য।

নগদ আদায়ের তাগিদ: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যথাসম্ভব আকদের সময়ই মোহর পরিশোধ করার, অন্তত কিছু অংশ আদায় করার তাকিদ করেছেন। একবার এক সাহাবিকে তিনি বলেছিলেন, “যাও একটি লোহার আংটি হলেও জোগাড় কর!” (বুখারি)। এটি মোহরের গুরুত্ব ও নগদ আদায়ের তাগিদ স্পষ্ট করে।

আদায় না করলে পরিণতি ও স্ত্রীর অধিকার

মোহর আদায় না করে সারা জীবন পার করে দেওয়া, বা স্ত্রীর কাছ থেকে মাফ করিয়ে নেওয়া, কিংবা আদায় না করে স্ত্রীর দেনা কাঁধে নিয়ে মৃত্যুবরণ করা—শুধু কঠিন অন্যায়ই নয়, হীন ও কাপুরুষোচিত কাজও বটে।

ব্যভিচারী হিসেবে গণ্য: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, মোহর আদায় না করার নিয়তে কেউ যদি কোনো নারীকে বিয়ে করে, তাহলে কিয়ামতের দিন সে ব্যভিচারী রূপে উপস্থিত হবে। (আহমদ)

স্ত্রীর অধিকার: মোহর নগদ আদায় না হলেও বিবাহ শুদ্ধ হবে, তবে পরে আদায়ের মেয়াদ নির্ধারিত করে নিতে হবে। যদি কোনো মেয়াদ নির্ধারিত না থাকে এবং স্ত্রী মোহর দাবি করেন, তাহলে মোহর উসূল না হওয়া পর্যন্ত স্ত্রী নিজেকে স্বামীর হাতে অর্পণ করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন। এই অবস্থাতেও স্বামীকে নিয়মিত স্ত্রীর ব্যয়ভার বহন করতে হবে, কারণ স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও মোহর সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস।

শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন: মোহর উসুল না হওয়া পর্যন্ত স্বামীকে যৌনসম্পর্ক স্থাপন, এমনকি চুম্বন-আলিঙ্গন ইত্যাদি থেকে বাধা দেওয়া এবং স্বামীর সঙ্গে সফরে যেতে অস্বীকার করার অধিকারও স্ত্রীর রয়েছে। (দুররে মুখতার)


মৃত্যু যখন সুন্দরের প্রতীক: ভালো মৃত্যুর ১৫টি আলামত

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ১৭:১৬:০৯
মৃত্যু যখন সুন্দরের প্রতীক: ভালো মৃত্যুর ১৫টি আলামত
ছবিঃ সংগৃহীত

মৃত্যু জীবনের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী। জন্ম নিলে একদিন মারা যেতে হবে। রাব্বুল আলামিন মহাগ্রন্থ আল কোরআনে ইরশাদ করেন, “প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল সম্পূর্ণভাবেই কিয়ামতের দিন পাবে।” (সুরা আলে ইমরান : ১৮৫)। কোনো মানুষই অপ্রত্যাশিত মৃত্যু কামনা করে না। প্রতিটি মুমিনেরই একান্ত চাওয়া, তার মৃত্যু যেন ইমানি হালতে হয়, কারণ শেষ সময়টাই আল্লাহ তায়ালার নিকট সবিশেষ গ্রহণযোগ্য। নবীজি (সা.) বলেছেন, “শেষ আমলই গ্রহণযোগ্য।” (ইবনে হিব্বান : ৩৪০)

ফুকাহায়ে কেরাম (ইসলামী আইনজ্ঞরা) বলেন, ভালো মৃত্যুর অনেক আলামত আছে। এর মধ্যে কিছু আলামত শুধু মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তি নিজে বুঝতে পারেন এবং কিছু আলামত অন্যান্য মানুষও জানতে পারে। প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার মুফতি আরিফ বিন হাবিবের বয়ান থেকে ভালো মৃত্যুর ১৫টি আলামত নিচে তুলে ধরা হলো:

ভালো মৃত্যুর ১৫টি আলামত

১. কালেমা পাঠ করা: নবীজি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তির সর্বশেষ কথা হবে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’, তিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন। (আবু দাউদ : ৩১১৬)

২. কপাল ঘেমে যাওয়া: ইমানদার মারা যাওয়ার সময় যদি কপাল ঘেমে যায়, তবে বুঝবে তার মৃত্যু খুবই সুন্দর। (নাসাঈ : ১৮২৮)

৩. জুমার দিনে/রাতে মৃত্যু: নবীজি (সা.) বলেছেন, কোনো মুসলিম যদি বৃহস্পতিবার দিনের সূর্য ডোবার পর থেকে নিয়ে শুক্রবার দিনের সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন, আশা করা যায় কবরের আজাব থেকে আল্লাহ তাকে হেফাজত করবেন। (তিরমিজি : ১০৭৪)

৪. শহীদি মৃত্যু: আল্লাহর পথে (সৎকাজে) বের হয়ে রাস্তায় মারা যাওয়া, প্লেগ রোগে মারা যাওয়া এবং পেট খারাপের রোগে মারা যাওয়া—এগুলো শাহাদাতের মর্যাদা। (মুসলিম : ৪৮৩৫)

৫. ধসে পড়ে মৃত্যু: দেয়াল বা কোনো কিছু ধসে পড়ে কেউ মারা গেলে আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন। (বোখারি : ৬৫২)

৬. গর্ভবতী অবস্থায় নারীর মৃত্যু: কোনো নারী যদি পেটে বাচ্চা নিয়ে অথবা বাচ্চা প্রসবকালে মারা যান, আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন। (ইবনে মাজা : ২৮০৩)

৭. বিষফোড়া নিয়ে মৃত্যু: বিষফোড়ার আঘাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন। (নাসাঈ : ১৮৪৬)

৮. আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া: আগুনে পুড়ে মারা গেলে আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন। (নাসাঈ : ১৮৪৬)

৯. নিজের সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু: নিজের সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেলে আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন। (বোখারি : ২৮৪০)

১০. পরিবার রক্ষা করতে গিয়ে মৃত্যু: পরিবার রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেলে আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন। (নাসাঈ : ৪০৯৫)

১১. দ্বীন রক্ষা করতে গিয়ে নিহত: ইসলাম রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হলে আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন। (নাসাঈ : ৪০৯৫)

১২. নিজের প্রাণ রক্ষা করতে গিয়ে নিহত: কোনো মুসলিম নিজের প্রাণ রক্ষা করতে গিয়ে মারা গেলে আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন। (নাসাঈ : ৪০৯৫)

১৩. জুলুম প্রতিহত করতে গিয়ে মৃত্যু: জুলুম প্রতিহত করতে গিয়ে নিহত হলে আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করেন। (নাসাঈ : ৪০৯৬)

১৪. আল্লাহর রাস্তায় প্রহরীর দায়িত্ব পালন: আল্লাহর রাস্তায় পাহারা দিতে গিয়ে মারা গেলে কবরের আজাব থেকে হেফাজত থাকবে এবং কিয়ামত পর্যন্ত তার আমল বাড়তে থাকবে। (তিরমিজি : ১৬৬৫)

১৫. সদকা করার পরপরই মৃত্যু: সদকা করার একটু পর মারা গেলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। নফল রোজা রাখা অবস্থায় মারা গেলেও আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন। (মুসনাদে আহমদ : ২৩৩৭২)

পাঠকের মতামত: