গাইবান্ধায় বিএনপির বিক্ষোভে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে হুঙ্কার

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৬ ১৭:৫১:১২
গাইবান্ধায় বিএনপির বিক্ষোভে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে হুঙ্কার

দেশব্যাপী ক্রমাবনতি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অশালীন ভাষা প্রয়োগ এবং ভয়াবহ সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে গাইবান্ধায় এক ব্যতিক্রমী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে প্রবল বর্ষণের মধ্যেই সদর থানা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়, যেখানে নেতাকর্মীরা বৃষ্টিতে ভিজে দাঁড়িয়ে থাকেন দৃঢ় অবস্থানে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির গ্রাম সরকার বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান বাবু। তিনি বলেন, “দেশ আজ গভীর রাজনৈতিক সঙ্কটে। একদিকে সারাদেশে রাষ্ট্রপৃষ্ঠপোষিত চাঁদাবাজি, খুন-গুম আর সন্ত্রাসের রাজত্ব চলছে, অন্যদিকে গণতান্ত্রিক শক্তিকে দমন করতে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ ও অশালীন বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, বিএনপি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেনি, এবারও করবে না।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন্নবী টিটুল, সহ-সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ ও আব্দুল আউয়াল আরজু, যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাবু এবং শহর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, সরকারের মদদপুষ্ট একটি গোষ্ঠী বিএনপির জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে চক্রান্তের পথ বেছে নিয়েছে। তারা বলেন, “চাঁদাবাজ চক্র রাস্তায়, এমনকি মসজিদের সামনেও মানুষ হত্যা করছে এই নৈরাজ্য দেশের জনগণ মেনে নেবে না। আর এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে বিএনপির প্রতিবাদে নেমে আসা সময়ের দাবি।”

নেতারা আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে অশালীন ভাষা ব্যবহার, চরিত্র হননের অপচেষ্টা এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করে জনগণকে ধোকা দেওয়া যাবে না। জনগণ এখন এসব ষড়যন্ত্র বুঝতে শিখেছে এবং খুব শিগগিরই এর প্রতিবাদে রাজপথ উত্তাল হবে।

বিক্ষোভ সমাবেশে অংশগ্রহণকারী বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী প্রবল বৃষ্টিতে ভিজেও সমাবেশ ত্যাগ করেননি। বরং এই ভিজে ওঠা প্রতিবাদ ছিল একপ্রকার প্রতীকী দৃঢ়তা একটি রাজনৈতিক বার্তা যে, বিএনপি কোনো সন্ত্রাস, ষড়যন্ত্র কিংবা চাপের কাছে নতস্বীক নয়।

স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই ধরনের প্রতিবাদমূলক কর্মসূচি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক বাস্তবতাকে আরও তীব্র ও সংঘাতপূর্ণ করে তুলতে পারে, বিশেষ করে যখন সাধারণ মানুষ রাজনৈতিক শিষ্টাচারের অবক্ষয়ে ক্ষুব্ধ এবং সহিংসতার আতঙ্কে জর্জরিত।

বিএনপির নেতারা সমাবেশ শেষে জনগণের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি গণতান্ত্রিক, শান্তিপূর্ণ, দুর্নীতিমুক্ত ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কারণ, “এই পথ কণ্টকাকীর্ণ হলেও আমাদের লক্ষ্য সুস্পষ্ট গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।”

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ