২৩০০ সালে জনসংখ্যা কমে দাঁড়াতে পারে ১০ কোটিতে: যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৯ ১৮:২৯:০২
২৩০০ সালে জনসংখ্যা কমে দাঁড়াতে পারে ১০ কোটিতে: যুক্তরাষ্ট্রের অধ্যাপক

মানবসভ্যতা কি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কাছে হার মানবে? এমনই ভয়ংকর ভবিষ্যতের আশঙ্কা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা স্টেট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার বিজ্ঞানী অধ্যাপক সুবাশ কাক। তাঁর মতে, প্রযুক্তির লাগামহীন অগ্রগতি এবং বৈশ্বিক জন্মহারের পতনের ফলে ২৩০০ সালের মধ্যে পৃথিবীর জনসংখ্যা কমে মাত্র ১০ কোটিতে দাঁড়াতে পারে।

বর্তমানে বিশ্বের জনসংখ্যা যেখানে প্রায় ৮০০ কোটি, সেখানে কয়েক শতাব্দীর ব্যবধানে এমন ড্রাস্টিক পতন সভ্যতার অস্তিত্বকেই হুমকির মুখে ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন এই প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ।

কর্মসংস্থান হ্রাস ও জন্মহারের পতনঅধ্যাপক কাক বলেন, “কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে, যেখানে মানুষকে আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য প্রয়োজন হবে না। রোবটরা অফিস, কারখানা এমনকি বাসাবাড়ির কাজ পর্যন্ত করে দেবে।” ফলে মানুষের প্রচলিত চাকরি হারিয়ে যাবে, তৈরি হবে ব্যাপক বেকারত্ব।

এই অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে মানুষ সন্তান নিতে অনিচ্ছুক হয়ে উঠবে। পরিবার গড়ার আগ্রহ কমবে। ফলে বিশ্বজুড়ে জন্মহারে ধস নামবে। ইতোমধ্যে ইউরোপ, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীনে এর লক্ষণ দৃশ্যমান।

‘দ্য এইজ অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ বইয়ের লেখক কাক আশঙ্কা করছেন, এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে শহরগুলো একসময় জনমানবশূন্য হয়ে পড়বে। নিউইয়র্ক, লন্ডনের মতো বিশাল নগরীগুলো রূপ নেবে 'ঘোস্ট সিটিতে'—যেখানে রোবটরা কাজ করবে, কিন্তু মানুষ থাকবে না।

তিনি বলেন, “রোবট বা কম্পিউটার কখনোই সচেতন হবে না, তবে তারা আমাদের প্রায় সব কাজ করে ফেলবে। এতে সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়বে।”

এই ভবিষ্যৎ ভাবনার সঙ্গে একমত বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্কও। তিনি বহুদিন ধরে এই বিষয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন। তাঁর মতে, এআই যদি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং একইসঙ্গে জন্মহার ধসে পড়ে, তাহলে মানবজাতি একসময় বিলুপ্তির পথে যেতে পারে।

এই কারণেই তিনি চান, মানুষ যেন মহাকাশে নতুন উপনিবেশ গড়ে তোলে—যাতে ভবিষ্যতে যদি কোনো বৈশ্বিক দুর্যোগ ঘটে, মানব সভ্যতার টিকে থাকার বিকল্প ব্যবস্থা থাকে।

অধ্যাপক কাক যদিও বলেন, “মানবজাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে—এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা না গেলেও, চলমান প্রক্রিয়া থেকে আমরা উদ্বেগজনক ইঙ্গিত পাচ্ছি। জন্মহারের পতন এখনই দৃশ্যমান।” তবে তাঁর মতে, এই বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই ভাবনা ও প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=GiNGTjLJthc


মানুষের বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে যাবে এআই, ‘সিঙ্গুলারিটি’ কি তবে সন্নিকটে?

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৯:২১:৪৬
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ছাড়িয়ে যাবে এআই, ‘সিঙ্গুলারিটি’ কি তবে সন্নিকটে?
ছবিঃ সংগৃহীত

পৃথিবীতে মানুষ আবির্ভূত হওয়ার পর থেকে প্রায় তিন লাখ বছর ধরে প্রাণিজগতে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রজাতি হিসেবে টিকে আছে মানুষ। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI)-এর দ্রুত উন্নতি সেই শ্রেষ্ঠত্বের অবস্থানকে দীর্ঘদিন অক্ষুণ্ন রাখবে কি না, তা নিয়ে এখনই প্রশ্ন উঠছে। বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছেন, এমন এক সময় দ্রুত এগিয়ে আসছে, যখন এআই প্রযুক্তি মানুষের মস্তিষ্কের ক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে যাবে। এই মুহূর্তটিকেই তাঁরা বলছেন ‘সিঙ্গুলারিটি’।

সিঙ্গুলারিটির নতুন সময়সীমা

‘সিঙ্গুলারিটি’ হলো সেই বিন্দু, যেখান থেকে এমন এক যুগের সূচনা হবে, যেখানে যন্ত্র মানুষের চেয়েও দ্রুত ও নিখুঁতভাবে চিন্তা করবে এবং মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়ে নিজেই নিজের উন্নয়ন ঘটাতে শুরু করবে।

গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এআইমাল্টিপলের একটি বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছর আগেও বিজ্ঞানীরা মনে করতেন, ২০৬০ সালের আগে এআই মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে ছাড়িয়ে যেতে পারবে না। কিন্তু এখন অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, সেই সময় হয়তো আর দূরে নয়—সম্ভবত কয়েক বছরের মধ্যেই ঘটতে পারে এই ঐতিহাসিক পরিবর্তন।

এআইমাল্টিপলের প্রধান বিশ্লেষক সেম দিলমেগানি বলেন, “সিঙ্গুলারিটি একটি কাল্পনিক ঘটনা, যা ঘটলে যন্ত্রের বুদ্ধিমত্তা হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের মতো বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থায় একটি সিস্টেম মানুষের মতো চিন্তা করতে পারবে, কিন্তু গতিতে হবে অতিমানবীয় এবং স্মৃতিতে হবে প্রায় নিখুঁত।”

বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস

অ্যানথ্রপিকের সিইও দারিও আমোদি তার প্রবন্ধে জানিয়েছেন, ২০২৬ সালেই সিঙ্গুলারিটি ঘটতে পারে। তখনকার এআই বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নোবেলজয়ী মানুষের চেয়েও বুদ্ধিমান হবে।

প্রবৃদ্ধির গতি: সেম দিলমেগানির মতে, জেনারেটিভ এআইয়ের অগ্রগতি এত দ্রুত গতিতে ঘটছে যে, বর্তমানে শীর্ষ এআই মডেলগুলোর সক্ষমতা গড়ে প্রতি সাত মাসে দ্বিগুণ হচ্ছে। এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ‘বুদ্ধিমত্তার বিস্ফোরণ’ ঘটার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সূত্র: ডেইলি মেইল


লাল তারার বিস্ফোরণ: মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে মানুষের উপস্থিতি

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৪:৪৬:০৩
লাল তারার বিস্ফোরণ: মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে মানুষের উপস্থিতি
ছবিঃ সংগৃহীত

মহাবিশ্বের এক মহারহস্যের পর্দা এবার যেন সরে গেল। প্রথমবারের মতো নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ এক বিশাল লাল তারার বিস্ফোরণের ঠিক আগ মুহূর্তের ছবি তুলেছে। নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের নেতৃত্বে করা এই পর্যবেক্ষণ জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে এক অভূতপূর্ব সাফল্য। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এতদিন যেসব বিশাল তারা হঠাৎ ‘অদৃশ্য’ হয়ে যাচ্ছিল, তারা আসলে ধূলার আড়ালে লুকিয়ে ছিল।

‘এসএন২০২৫পিএইচটি’ ও রহস্যময় ধুলা

বিস্ফোরণের কেন্দ্র: গবেষণার কেন্দ্রবিন্দু ‘এসএন২০২৫পিএইচটি’, একটি সুপারনোভা যা ২০২৫ সালের ২৯ জুন পৃথিবী থেকে প্রায় চার কোটি আলোবর্ষ দূরের ‘এনজিসি ১৬৩৭’ গ্যালাক্সিতে প্রথম শনাক্ত হয়।

শনাক্তকরণ: জেমস ওয়েবের ইনফ্রারেড দৃষ্টিতে বিজ্ঞানীরা হাবল টেলিস্কোপের পুরোনো ছবির সঙ্গে তুলনা করে বিস্ফোরিত তারাটিকে শনাক্ত করেছেন। এটি ছিল একটি গভীর লাল, বিশালাকার সুপারজায়ান্ট, যা সূর্যের চেয়ে প্রায় এক লাখ গুণ বেশি উজ্জ্বল।

ধুলার রহস্য: আশ্চর্যের বিষয় হলো, ধুলার ঘন আবরণ তার প্রকৃত উজ্জ্বলতাকে ঢেকে দিয়েছিল। ফলে যা দেখা যাচ্ছিল, তা আসলের একশ ভাগের এক ভাগ মাত্র। এই তারার চারপাশের ধুলা ছিল কার্বনসমৃদ্ধ, যেখানে সাধারণত সুপারজায়ান্ট তারায় ধুলা হয় অক্সিজেনভিত্তিক।

বৈজ্ঞানিক তাৎপর্য

বিজ্ঞানীদের মতে, এটাই এখন পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে লাল, সবচেয়ে ধুলায় ঢাকা সুপারজায়ান্ট বিস্ফোরিত তারা। মৃত্যুর আগে তারাটির অভ্যন্তরীণ প্রবাহে পরিবর্তন এসেছিল, যার ফলে গভীর স্তর থেকে কার্বন উঠে এসে পৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ে এবং তার ধুলার রসায়ন বদলে যায়। জেমস ওয়েবের এই ছবি মহাবিশ্বের বৃহৎ তারাগুলোর জীবন ও মৃত্যু বোঝার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এ ছবি শুধু এক তারার শেষ অধ্যায় নয়, এ যেন মহাবিশ্বের গোপন নাট্যমঞ্চে প্রথমবারের মতো মানুষের উপস্থিতি।


ফোন স্লো হয়ে গেলে কী করবেন? স্টোরেজ খালি করার ১০ সহজ কৌশল

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৩ ১৭:০৭:৩৫
ফোন স্লো হয়ে গেলে কী করবেন? স্টোরেজ খালি করার ১০ সহজ কৌশল
ছবিঃ সংগৃহীত

স্মার্টফোনে জায়গা কমে গেলে ফোন ধীরগতিতে কাজ করে এবং নতুন অ্যাপ বা ফাইল ডাউনলোড করা কঠিন হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এবং ফোনের গতি স্বাভাবিক রাখতে সময়মতো স্টোরেজ খালি রাখা জরুরি। নিচে এমন ১০টি সহজ কৌশল দেওয়া হলো, যা আপনার ফোনের স্টোরেজ ফাঁকা রাখতে সাহায্য করবে।

স্টোরেজ খালি করার ১০ কৌশল

১. ভিডিও ও ছবি ক্লাউডে রাখুন: বড় ভিডিও ও ছবি ফোনে জমে থাকে। গুগল ড্রাইভ বা গুগল ফটোসের মতো ক্লাউড স্টোরেজে সংরক্ষণ করলে ফোনের অনেক জায়গা খালি থাকে।

২. ক্যাশে মেমোরি মুছে ফেলুন: প্রতিটি অ্যাপ ব্যবহারের সময় ক্যাশে তথ্য জমা হয়। ফোনের সেটিংসে গিয়ে অ্যাপের ক্যাশ ক্লিয়ার করলে অনেক জায়গা খালি হবে।

৩. অব্যবহৃত অ্যাপ ডিলিট করুন: যে অ্যাপগুলো আপনি কম ব্যবহার করেন বা প্রয়োজন নেই, সেগুলো মুছে ফোনের স্টোরেজ খালি করুন।

৪. অটোমেটিক ডাউনলোড বন্ধ করুন: হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম-এর মতো অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে মিডিয়া ডাউনলোড করে। এটি বন্ধ করলে স্টোরেজ সাশ্রয় হয়।

৫. চ্যাট অ্যাপের মিডিয়া ফাইল মুছে দিন: হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের ছবি, ভিডিও ও অডিও ফাইলগুলো অ্যাপের সেটিংস থেকে ডিলিট করলে স্টোরেজ খালি হয়।

৬. পুরোনো ডাউনলোড ফাইল ডিলিট করুন: ডাউনলোড ফোল্ডারে অনেক পুরোনো ফাইল জমে থাকে। অপ্রয়োজনীয় ফাইল খুঁজে বের করে মুছে স্টোরেজ ফাঁকা করুন।

৭. স্টোরেজ অপটিমাইজেশন ব্যবহার করুন: অনেক ফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অপ্রয়োজনীয় ফাইল সরানোর অপশন থাকে। এটি ব্যবহার করে জায়গা খালি রাখা যায়।

৮. জরুরি ফাইল ই-মেইলে সংরক্ষণ করুন: দরকারি ফাইল বা ছবি ই-মেইলে সংরক্ষণ করলে তা ফোনে বাড়তি জায়গা নেবে না।

৯. কম রেজোলিউশনের ছবি ব্যবহার করুন: কম গুরুত্বপূর্ণ ছবিগুলো কম রেজোলিউশনে সংরক্ষণ করলে স্টোরেজ কম লাগে।

১০. ফোন রিস্টার্ট করুন: মাঝে মাঝে ফোন রিস্টার্ট করলে অস্থায়ী ফাইল ও সিস্টেম ক্যাশ মুছে যায়। ফলে ফোন দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করে।

এই সহজ কৌশলগুলো অনুসরণ করলে আপনার ফোনের স্টোরেজ খালি থাকবে এবং প্রয়োজনের সময় দ্রুত কাজ করবে।


ইউটিউবে সাফল্য: আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করার ৮টি সহজ টিপস

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৯:৪৭:০৫
ইউটিউবে সাফল্য: আপনার চ্যানেলকে জনপ্রিয় করার ৮টি সহজ টিপস
ছবিঃ সংগৃহীত

আজকের দিনে ইউটিউব কেবল ভিডিও দেখার জায়গা নয়, এটি ক্যারিয়ার গড়ার অন্যতম বড় সুযোগ। কিন্তু ইউটিউবে সফল হতে শুধু ভিডিও বানালেই হবে না, সঠিক কিছু কৌশল অবলম্বন করা জরুরি। নিচে এমন ৮টি সহজ কিন্তু কার্যকর টিপস দেওয়া হলো, যা আপনার ইউটিউব চ্যানেলকে দ্রুত জনপ্রিয় করে তুলবে।

ইউটিউব চ্যানেল সফল করার ৮ কৌশল

১. আকর্ষণীয় থাম্বনেইল ব্যবহার করুন: প্রথম দেখায় মানুষ থাম্বনেইল দেখে আকৃষ্ট হয়। তাই রঙিন, পরিষ্কার, এবং ভিডিওর বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে—এমন থাম্বনেইল ব্যবহার করুন, যা দর্শক টানবে বেশি।

২. ভিডিওর শুরুতেই মনোযোগ কাড়ুন: দর্শক যদি প্রথম ৫-১০ সেকেন্ডে আগ্রহ হারায়, তাহলে তারা ভিডিও ছেড়ে দেবে। তাই শুরুতে চমক—মজার প্রশ্ন, তথ্য বা ছোট গল্প দিন, যা মানুষকে পুরো ভিডিওটি দেখতে আগ্রহী করে তুলবে।

৩. নিয়মিত ভিডিও দিন, মান বজায় রাখুন: হাতেগোনা কয়েকটি ভালো ভিডিও নয়, বরং নিয়ম করে ভালো মানের ভিডিও দিতে পারলে তবেই আপনি দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে পারবেন। সপ্তাহে এক বা দুবার নির্দিষ্ট দিনে ভিডিও আপলোড করুন, যেন দর্শক অপেক্ষা করে।

৪. কাজের শব্দ (Keyword) ব্যবহার করুন: আপনার ভিডিও মানুষ কীভাবে খুঁজে পাবে? এর উত্তর হলো—ভিডিওর টাইটেল, ডিসক্রিপশন (বর্ণনা) ও ট্যাগে সঠিক কীওয়ার্ড বা শব্দ ব্যবহার করে। যেমন, কুকিং ভিডিওর জন্য ‘চিকেন বিরিয়ানি রেসিপি’ বা ‘৫ মিনিটে সহজ রান্না’—এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করুন।

৫. কমেন্টে উত্তর দিন, সম্পর্ক তৈরি করুন: দর্শক শুধু দেখেই না, কথাও বলতে চায়। তাই ভিডিওতে প্রশ্ন করুন, মতামত জানতে চান, আর যারা কমেন্ট করেছে, তাদের রিপ্লাই দিন। এতে ফলোয়াররা আপনাকে কাছের মানুষ ভাববে।

৬. অন্যান্য মাধ্যমে ভিডিও শেয়ার: আপনার ভিডিও শুধু ইউটিউবেই সীমাবদ্ধ রাখবেন না। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ বা টিকটকে শেয়ার করুন। কোলাবরেশন (সহযোগিতা) করলে নতুন দর্শক পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।

৭. ভিডিওগুলো সিরিজ আকারে সাজান: একই ধরনের ভিডিও এক জায়গায় (প্লেলিস্টে) রাখলে মানুষ একটার পর একটা দেখতে চায়। এতে ভিউ এবং ওয়াচ টাইম—উভয়ই বাড়ে।

৮. ভিডিও শেষে সাবস্ক্রাইব করতে বলুন: অনেকে ভালো ভিডিও দেখেও সাবস্ক্রাইব করতে ভুলে যায়। তাই ভিডিওর শেষে একটা ছোট্ট অনুরোধ রাখুন—ভালো লাগলে সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না।

ইউটিউবে সফল হতে সময় লাগে, কিন্তু ভালো কনটেন্ট, ধৈর্য আর দর্শকের সঙ্গে সম্পর্ক—এই তিনটিই সফলতার চাবিকাঠি।

সূত্র : প্রযুক্তি


সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১২ ১৬:০২:৫০
সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে

হোয়াটসঅ্যাপ বর্তমানে আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পরিবার, বন্ধু বা কাজের কথা বলার জন্য এটি যেমন সুবিধাজনক, তেমনি ভুল করে অথবা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে আপনার অ্যাকাউন্টে কেউ ঢুকে গেলে, আপনার ব্যক্তিগত বার্তা, ছবি বা তথ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে। তবে চিন্তার কিছু নেই—আপনি নিজেই খুব সহজে ৫টি উপায়ে দেখে নিতে পারেন, আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কেউ ব্যবহার করছে কি না।

সুরক্ষা নিশ্চিতের ৫টি সহজ উপায়

১. লিঙ্কড ডিভাইস চেক করুন: আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপে যান। এরপর Settings > Linked Devices অপশনে যান। এখানে যদি কোনো অজানা ডিভাইস (যেমন অচেনা ফোন, কম্পিউটার বা ব্রাউজার) যুক্ত থাকে, তাহলে সেটি থেকে Log out করে দিন। চাইলে এখান থেকেই আপনি সব ডিভাইস থেকে একবারে লগ আউট করতে পারবেন।

২. ওয়েব/ডেস্কটপে লগইনের নোটিফিকেশন: কেউ যদি হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব বা ডেস্কটপে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢোকে, তাহলে আপনার ফোনে একটি নোটিফিকেশন আসার কথা। এমন কিছু দেখলে দ্রুত সতর্ক হোন এবং যাচাই করে দেখুন।

৩. অচেনা চ্যাট বা বার্তা দেখলে খেয়াল করুন: আপনি লেখেননি, এমন কোনো বার্তা যদি কারও কাছে যায়, অথবা আপনি হঠাৎ কোনো নতুন গ্রুপে যুক্ত হয়ে যান—তাহলে বুঝবেন কেউ আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাক্সেস করছে।

৪. লাস্ট সিন বা অনলাইন স্ট্যাটাস মিলিয়ে দেখুন: আপনি অ্যাপে ঢোকেননি, অথচ কেউ আপনাকে ‘online’ বা ‘last seen recently’ দেখছে? এমন হলে ধরে নিন, কিছু একটা গড়বড় হচ্ছে এবং আপনার অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা যাচাই করা প্রয়োজন।

৫. সিকিউরিটি কোড চেঞ্জ নোটিফিকেশন চালু করুন: কেউ আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকলে এনক্রিপশন সিকিউরিটি কোড বদলাতে পারে। এটি জানতে হলে Settings > Account > Security তে যান এবং Show Security Notifications অপশনটি চালু করুন।

বিশেষ পরামর্শ

দ্রুত পদক্ষেপ: অজানা কোনো ডিভাইসে লগ ইন থাকলে সঙ্গে সঙ্গে লগ আউট করুন।

নিরাপত্তা যাচাই: অচেনা বার্তা বা আচরণ দেখলে অ্যাকাউন্ট নিরাপত্তা যাচাই করুন।

রিসেট: প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট রিসেট করুন এবং নতুন পিন ব্যবহার করুন।

নিজের তথ্য নিজেরই সুরক্ষা করতে হবে। একটু সচেতন থাকলেই হোয়াটসঅ্যাপে নিরাপদ থাকা সম্ভব।


চাঁদ কি ধ্বংস হতে চলেছে? বিজ্ঞানীদের পারমাণবিক হামলার পরিকল্পনা!

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৯:১৫:০৪
চাঁদ কি ধ্বংস হতে চলেছে? বিজ্ঞানীদের পারমাণবিক হামলার পরিকল্পনা!

মহাকাশে এক অভূতপূর্ব ও সাহসী পদক্ষেপের কথা ভাবছেন পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা: চাঁদে আঘাত হানতে ছুটে আসা একটি গ্রহাণুকে ধ্বংস করতে পারমাণবিক বিস্ফোরণের সিদ্ধান্ত! এই বিস্ফোরণ হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ব্যবহৃত বোমার চেয়েও পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি শক্তিশালী হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ কেন এমন চরম সিদ্ধান্ত এবং এর ফলে চাঁদ ও পৃথিবীর ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে?

২০৩২ সালের সম্ভাব্য হুমকি

বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, ২০৩২ সালে একটি গ্রহাণু চাঁদে আঘাত হানতে পারে। যদি এমনটা ঘটে, তাহলে চাঁদের টুকরো টুকরো ধ্বংসাবশেষ পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা কৃত্রিম উপগ্রহ (স্যাটেলাইট) এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনগুলোর (International Space Station) জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করবে।

বিকল্প পদক্ষেপের চিন্তা

এই সম্ভাব্য বিপর্যয় এড়াতে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটিকে তার গতিপথ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চিরাচরিত পদ্ধতির পরিবর্তে একটি ভিন্ন এবং শক্তিশালী পদক্ষেপের কথা ভাবছেন। তারা সরাসরি গ্রহাণুটির ওপর পারমাণবিক হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছেন।

'2024 YR4' গ্রহাণু

প্রাথমিকভাবে '2024 YR4' নামক প্রায় ৬০ মিটার প্রশস্ত এই গ্রহাণুটিকে পৃথিবীর জন্য হুমকি মনে করা হলেও, বর্তমানে বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি পৃথিবীতে নয়, বরং চাঁদে আঘাত হানবে। পৃথিবীর জন্য তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ হলেও, চাঁদের জন্য এটি বেশ বিপজ্জনক। এর ফলে পৃথিবীর জন্যও বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে।

উল্কা বৃষ্টির আশঙ্কা ও গবেষণা

যদি এই গ্রহাণুটি চাঁদে আঘাত হানে, তাহলে মহাকাশে প্রচুর পরিমাণে চাঁদের ভূমির ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়বে। এতে পৃথিবী থেকে ব্যাপক উল্কা বৃষ্টি দেখা যেতে পারে। নাসার গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টারের ব্রেন্ট বার্বের নেতৃত্বে একটি দল এই বিপদ কমানোর জন্য বিভিন্ন সম্ভাবনা বিশ্লেষণ করেছে এবং তাদের গবেষণার ফলাফল একটি প্রি-প্রিন্ট পেপারে প্রকাশিত হয়েছে।

পারমাণবিক হামলার প্রস্তাবনা

অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, গ্রহাণুটির গতিপথ পরিবর্তন করতে বড় কোনো বস্তু দিয়ে এটির পাশে আঘাত করা উচিত। নাসার ডার্ট মিশনের (DART mission) মতো করে আঘাত করার পরিকল্পনা চলছে, যেখানে একটি মহাকাশযান ব্যবহার করে ডিমরফস (Dimorphos) গ্রহাণুর কক্ষপথ সফলভাবে পরিবর্তন করা হয়েছিল। তবে, '2024 YR4' গ্রহাণুর ক্ষেত্রে গতিপথ পরিবর্তনের চেষ্টা করলে উল্টো তা পৃথিবীর দিকে চলে আসার ঝুঁকি রয়েছে, কারণ এর ভর ও গঠন সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য নেই।

সময় এবং তথ্যের সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে বিজ্ঞানীরা গ্রহাণুটির গতিপথ পরিবর্তনের পরিবর্তে এটিকে ধ্বংসের কথা ভাবছেন। গবেষকরা গ্রহাণুটিকে পারমাণবিক বিস্ফোরকের দুটি ১০০ কিলোটনের ডিভাইস দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন, যা ১৯৪৫ সালে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে ফেলা পারমাণবিক বোমার চেয়ে প্রায় পাঁচ থেকে আট গুণ বেশি শক্তিশালী হবে। এই গবেষণাটি 'জার্নাল অফ দ্য অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল সায়েন্সেস' (Journal of the Astronautical Sciences) এ জমা দেওয়া হয়েছে।


সাত মিলিয়ন ডাউনলোড: হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী ‘আরাত্তাই’

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১১ ১৪:৪৩:৪৯
সাত মিলিয়ন ডাউনলোড: হোয়াটসঅ্যাপের প্রতিদ্বন্দ্বী ‘আরাত্তাই’
ছবিঃ সংগৃহীত

ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের মতো জনপ্রিয় বার্তা আদান-প্রদানের নতুন দেশীয় অ্যাপ ‘আরাত্তাই’ চালু হয়েছে। জোহো করপোরেশনের তৈরি এই অ্যাপটি সম্প্রতি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি, মাত্র এক সপ্তাহে এটি সাত মিলিয়নবার (৭০ লাখ বার) ডাউনলোড হয়েছে, যা একটি অতি উচ্চ সংখ্যা।

জনপ্রিয়তার কারণ

‘আরাত্তাই’ শব্দের অর্থ তামিল ভাষায় ‘আলাপ-আলোচনা’। ২০২১ সালে সীমিত পরিসরে চালু হলেও তখন সাড়া কম ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রচারণা এবং দেশীয় পণ্য ব্যবহারের আহ্বানে অ্যাপটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মন্ত্রীরা দেশীয় অ্যাপ ব্যবহার প্রচারে উৎসাহ দিয়েছেন।

জোহোর সিইও মণি ভেম্বু জানিয়েছেন, “মাত্র তিন দিনে দৈনিক সাইনআপ বেড়ে ৩ হাজার থেকে ৩ লাখ ৫০ হাজার হয়েছে। এটি প্রমাণ করে ভারতীয় ব্যবহারকারীরা দেশীয় পণ্যে আগ্রহী।”

সুবিধা ও চ্যালেঞ্জ

অ্যাপটিতে হোয়াটসঅ্যাপের মতো বার্তা পাঠানো, ভয়েস ও ভিডিও কল, ব্যবসায়িক টুলসের সুবিধা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করেছে, এটি কম দামের ফোন ও দুর্বল ইন্টারনেটেও ভালোভাবে কাজ করে।

তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, হোয়াটসঅ্যাপের ৫০ কোটি সক্রিয় ব্যবহারকারী থাকা অবস্থায় আরাত্তাইকে সেটি টপকে যাওয়া সহজ হবে না। নতুন অ্যাপটির গোপনীয়তা ও এনক্রিপশন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বর্তমানে ভিডিও ও ভয়েস কলে এনক্রিপশন থাকলেও, বার্তায় এটি এখনো নেই। জোহো জানিয়েছে, শিগগিরই সব বার্তাতেই এনক্রিপশন চালু করা হবে।

প্রযুক্তি আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসবুকের মতো অভ্যাসগড়া অ্যাপগুলোর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আরাত্তাইয়ের টিকে থাকা এখনো চ্যালেঞ্জিং।


সাবধান! হোটেলকক্ষে গোপন ক্যামেরা শনাক্তের ৬ কৌশল

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১০ ১৪:৪৬:০২
সাবধান! হোটেলকক্ষে গোপন ক্যামেরা শনাক্তের ৬ কৌশল

বিদেশে বা দেশের কোথাও ভ্রমণের সময় নিয়মিত হোটেলে থাকেন অনেকেই। সাম্প্রতিক সময়ে হোটেলকক্ষে গোপন ক্যামেরা বসানোর মতো অভিযোগ বাড়ছে, যা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য এক বড় ধরনের হুমকি। প্রযুক্তি সহজলভ্য হওয়ায় গোপন ক্যামেরা এখন ঘড়ি, স্মোক ডিটেক্টর, চার্জার অ্যাডাপ্টার কিংবা সাজসজ্জার জিনিসের ভেতরে সহজেই লুকিয়ে রাখা যায়। তাই হোটেলে থাকার সময় আপনার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

হোটেলকক্ষে গোপন ক্যামেরা দ্রুত শনাক্তের কার্যকরী ছয়টি কৌশল নিচে তুলে ধরা হলো:

গোপন ক্যামেরা শনাক্তের কৌশল

১. কক্ষের চারপাশ পর্যবেক্ষণ: প্রথমেই কক্ষটি ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। স্মোক ডিটেক্টর, ঘড়ি, বৈদ্যুতিক সকেট, দেয়ালের সাজসজ্জা, খেলনা বা আয়না—এগুলোর কোনোটি অস্বাভাবিক জায়গায় বসানো থাকলে বা আশপাশের জিনিসের তুলনায় নতুন মনে হলে ভালোভাবে পরীক্ষা করতে হবে।

২. অন্ধকারে টর্চলাইট ব্যবহার: ঘরের সব আলো নিভিয়ে টর্চলাইট জ্বালিয়ে হোটেলকক্ষের চারপাশ দেখতে হবে। ক্যামেরার লেন্স আলো প্রতিফলিত করে, তাই কোথাও আলোর প্রতিফলন দেখা গেলে বুঝতে হবে, সেখানে ক্যামেরা রয়েছে। আয়না, ঘরের কোণ বা ছবির ফ্রেমও পরীক্ষা করতে হবে।

৩. ফোনের ক্যামেরায় ইনফ্রারেড শনাক্ত: গোপন ক্যামেরা থেকে নির্গত অতি লাল বা ইনফ্রারেড আলো খালি চোখে দেখা সম্ভব নয়। তবে স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে তা শনাক্ত করা যায়। এর জন্য কক্ষের আলো নিভিয়ে স্মার্টফোনের ক্যামেরা চালু থাকা অবস্থায় সন্দেহজনক স্থানগুলো পরীক্ষা করুন। ক্যামেরার পর্দায় ক্ষুদ্র আলোকবিন্দু বা ঝলক দেখা গেলে, সেটি ইনফ্রারেড আলোর উৎস হতে পারে।

৪. ওয়াই–ফাই নেটওয়ার্কে অচেনা যন্ত্রের সন্ধান: ওয়্যারলেস ক্যামেরা সাধারণত একই ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকে। স্মার্টফোনের ওয়াই-ফাই সেটিংসে গিয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত যন্ত্রগুলোর তালিকা দেখতে হবে। তালিকায় যদি ‘আইপি ক্যামেরা’ বা ‘ক্যামেরা’-এর মতো অপরিচিত বা সন্দেহজনক নামের যন্ত্র দেখা যায়, তবে সতর্ক হতে হবে।

৫. রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর ব্যবহার: কম দামের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর ব্যবহার করে সহজেই ক্যামেরা বা মাইক্রোফোনের অবস্থান শনাক্ত করা সম্ভব। কক্ষে এ ধরনের কোনো যন্ত্র চালু থাকলে ডিটেক্টরে আলো জ্বলবে বা শব্দ হবে।

৬. আয়না পরীক্ষা করা: আয়নার পেছনে ক্যামেরা লুকানো থাকতে পারে। তাই আয়নার নির্দিষ্ট স্থানে আঙুল দিয়ে পরীক্ষা করুন। যদি আপনার আঙুল ও তার ছবির মধ্যে কোনো ফাঁক দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে, সেটি সাধারণ আয়না। আর ফাঁকা না থাকলে সতর্ক হতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


গুগল জেমিনি প্রো বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১০ ১৪:৩৫:০১
গুগল জেমিনি প্রো বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল ‘জেমিনি প্রো’ বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ চালু করেছে গুগল। এই নতুন সুবিধা চালুর ফলে শিক্ষার্থীরা গবেষণা, কোডিং, সৃজনশীল কাজ এবং জটিল সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে নিজেদের শিক্ষাজীবন আরও গতিশীল করতে পারবেন।

শিক্ষার্থীদের জন্য সুবিধা

জেমিনি প্রো হলো গুগলের তৈরি সবচেয়ে শক্তিশালী এআই মডেলগুলোর মধ্যে একটি। মডেলটি দ্রুত এবং নির্ভুল তথ্য জানানোর পাশাপাশি কোডিং, তথ্য বিশ্লেষণ, কঠিন গাণিতিক সমস্যা সমাধান এবং জটিল ধারণাগুলোকে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই নির্দিষ্ট বিষয়ে অ্যাসাইনমেন্ট, প্রতিবেদন, উপস্থাপনা, এমনকি কুইজ ও বিভিন্ন বিষয়বস্তুর খসড়া তৈরি করতে পারবেন।

ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায়ে শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক বুশরা হুমায়রা বলেন, “গুগল জেমিনি প্রো বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের এআইনির্ভর দক্ষতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরাও এতে উপকৃত হবেন।”

নিবন্ধন প্রক্রিয়া ও সময়সীমা

গুগলের তথ্যমতে, বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে জেমিনি প্রো ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।

পদ্ধতি: শিক্ষার্থীদের অবশ্যই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অফিশিয়াল ই–মেইল ঠিকানা ব্যবহার করে জিমেইল অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করতে হবে। এরপর জেমিনির অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে জেমিনি প্রো চালু করতে হবে।

সময়সীমা ও সুবিধা: এই সুযোগ পেতে হলে শিক্ষার্থীদের আগামী ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা প্রাথমিকভাবে এক বছরের জন্য জেমিনি ২.৫ প্রো মডেল, ডিপ রিসার্চ, অডিও ওভারভিউসহ বিভিন্ন টুলসের পাশাপাশি অনলাইনে বিনা মূল্যে ২ টেরাবাইট ধারণক্ষমতা পাবেন। এছাড়া ভিও ৩ মডেল ব্যবহার করে যেকোনো ছবিকে ভিডিওতে পরিণত করতে পারবেন।

গুগল জানিয়েছে, সম্প্রতি চালু করা ‘জেমিনি ফর এডুকেশন’ হলো শিক্ষামূলক চাহিদার ওপর ভিত্তি করে তৈরি জেমিনি অ্যাপের নতুন সংস্করণ। এটি শুধু উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের ‘শেখার সঙ্গী’ হিসেবে কাজ করবে।

সূত্র: গুগল ব্লগ, জেমিনি ডট গুগল

পাঠকের মতামত: