পৃথিবী প্রদক্ষিণ শেষে বিধ্বস্ত মহাকাশ ক্যাপসুল, ১৬৬ মৃত মানুষের ছাই হারিয়ে গেল সাগরে

প্রযুক্তি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৮ ১৪:০৪:৪৯
পৃথিবী প্রদক্ষিণ শেষে বিধ্বস্ত মহাকাশ ক্যাপসুল, ১৬৬ মৃত মানুষের ছাই হারিয়ে গেল সাগরে

দুইবার পৃথিবীকে সফলভাবে প্রদক্ষিণ করেছিল একটি মহাকাশ ক্যাপসুল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ঘটে গেল প্রযুক্তিগত বিপর্যয়। জার্মানির একটি স্টার্টআপ ‘দ্য এক্সপ্লোরেশন কোম্পানি (TEC)’ কর্তৃক উৎক্ষেপিত ক্যাপসুলটি প্রশান্ত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়, যাতে ১৬৬ মৃত মানুষের দেহভস্ম বহন করা হচ্ছিল।

গত ২৩ জুন ‘Mission Possible’ নামক বিশেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয় এই ক্যাপসুলটি। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসভিত্তিক মহাকাশ অন্ত্যেষ্টি প্রতিষ্ঠান ‘সেলেস্টিস’ (Celestis)-এর উদ্যোগে ক্যাপসুলটির মাধ্যমে মৃতদের ছাই মহাকাশে পাঠিয়ে পুনরায় ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা ছিল।

উৎক্ষেপণের কিছুক্ষণের মধ্যেই ক্যাপসুলে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয় এবং এটি পুনরায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। TEC জানায়, ক্যাপসুলটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ ও কক্ষপথে পে-লোড পরিচালনার পর পুনঃপ্রবেশের সময় পর্যন্ত স্থিতিশীল ছিল। এমনকি ব্ল্যাকআউট কাটিয়ে পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগও স্থাপন করেছিল। কিন্তু অবতরণের কয়েক মিনিট আগে সংস্থাটি ক্যাপসুলটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ হারিয়ে ফেলে। পরে সেটি প্রশান্ত মহাসাগরে বিধ্বস্ত হয়।

এক বিবৃতিতে TEC জানিয়েছে, “আমাদের ক্লায়েন্টদের প্রতি আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি, যারা এই মিশনে বিশ্বাস রেখেছিলেন।”

সংস্থাটির সিইও হেলেন হুবি লিঙ্কডইনে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “আমরা সবাই সম্পূর্ণ সফলতা কামনা করেছিলাম। আংশিক সফলতাও এই যাত্রার একটি অংশ। আমি এই ব্যর্থতার সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি এবং আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।”

সেলেস্টিস জানায়, এটি ছিল তাদের প্রথম মিশন যেখানে মহাকাশে পাঠানো ছাই পুনরায় পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্যাপসুলটি বিধ্বস্ত হওয়ায় ছাইগুলো সাগরের পানিতে বিলীন হয়ে গেছে। তারা মনে করছে, এগুলো আর উদ্ধার করা সম্ভব নয়।

তবে এক বিবৃতিতে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, “যদিও ক্যাপসুলগুলো উদ্ধার করা যায়নি, আমরা আশা করি প্রিয়জনদের পরিবার এই ভেবে স্বান্ত্বনা পাবেন যে, তাঁরা একটি ঐতিহাসিক যাত্রার অংশ হয়েছেন— মহাকাশে পাঠানো হয়েছে, পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেছেন এবং এখন প্রশান্ত মহাসাগরের বিশালতায় চিরনিদ্রায় শায়িত।”

শুধু ছাই নয়, ছিল গবেষণার উপাদানওউল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ক্যাপসুলটিতে শুধুমাত্র মৃতদেহের ভস্ম ছিল না। “Martian Grow” নামে একটি নাগরিক বিজ্ঞান প্রকল্পের অংশ হিসেবে গাঁজা গাছের কিছু উপাদান ও বীজও পাঠানো হয়েছিল। গবেষণাটি মঙ্গলগ্রহে উদ্ভিদ চাষের সম্ভাবনা নিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল।

সূত্র: এনডিটিভি

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

জামালপুরে প্রতিদিন মিলবে ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস

জামালপুরে প্রতিদিন মিলবে ৫০ লাখ ঘনফুট গ্যাস

জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় গ্যাস অনুসন্ধান কূপ 'জামালপুর-১'-এ বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনযোগ্য গ্যাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড... বিস্তারিত