আমদানি ব্যয় ৮০ টাকা, খুচরায় ৩০০: কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে চলছে কারসাজি

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৩ ১১:২৮:২৪
আমদানি ব্যয় ৮০ টাকা, খুচরায় ৩০০: কাঁচা মরিচের দাম নিয়ে চলছে কারসাজি
ছবিঃ সংগৃহীত

অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে দেশে কাঁচা মরিচের উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে আমদানি বেড়েছে। গত এক মাসে শুধু বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়েই এক হাজার ৫২১ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। তবে, আমদানির পরিমাণ স্বাভাবিক থাকলেও খুচরা বাজারে দাম অনেক বেশি।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) ১১টি ট্রাকে ১৬৫ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকদের নথিপত্র অনুযায়ী, ভারত থেকে প্রতি কেজি মরিচ আমদানিতে সর্বোচ্চ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা খরচ হয়। অথচ বাজারে তা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বেনাপোলের কাঁচা মরিচ আমদানিকারক হাফিজ আহমেদ জানান, তারা কম লাভে বিক্রি করলেও হাতবদল হয়ে খুচরা বাজারে দাম কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে সরকারকে ৩৬ টাকা শুল্ক দিতে হয়। যদি শুল্ক কমানো হয়, তাহলে আমদানি ব্যয় এবং বাজারে দাম কমবে।

বেনাপোলের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা আনন্দ জানান, আমদানি করা মরিচগুলো সাধারণত বিভাগীয় ও জেলা শহরে চলে যাওয়ায় স্থানীয় বাজারে সরবরাহ কম থাকে, যে কারণে দাম ঊর্ধ্বমুখী।

/আশিক


জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর: এক ভরি স্বর্ণ কিনতে কত টাকা লাগবে?

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৩ ০৯:৫৯:২৬
জেনে নিন আজকের স্বর্ণের বাজারদর: এক ভরি স্বর্ণ কিনতে কত টাকা লাগবে?
ছবিঃ সংগৃহীত

স্বর্ণের প্রতি মানুষের আগ্রহ চিরকালীন। বিয়ে, উৎসব কিংবা বিনিয়োগ—সব ক্ষেত্রেই স্বর্ণ এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর তাই বাজারে স্বর্ণের দামের ওঠানামা নজর কাড়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদেরও।

শনিবার (২৩ আগস্ট) দেশের বাজারে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ভরিতে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকায়। সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) স্বর্ণের দাম সমন্বয় করে। সমন্বয়কৃত দামেই দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণ।

নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।

এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে সবশেষ গত ২৩ জুলাই দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।

চলতি বছরে মোট ৪৫ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৯ বার, আর কমেছে মাত্র ১৬ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।


গভীর সংকটে দেশের ব্যাংক খাত: মূলধন সংরক্ষণে দক্ষিণ এশিয়ায় তলানিতে বাংলাদেশ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৩ ০৯:২৪:৪৯
গভীর সংকটে দেশের ব্যাংক খাত: মূলধন সংরক্ষণে দক্ষিণ এশিয়ায় তলানিতে বাংলাদেশ
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের ব্যাংক খাত গভীর সংকটে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এর মূলধন সংরক্ষণের হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় সবচেয়ে খারাপ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের মূলধন পর্যাপ্ততা নাটকীয়ভাবে কমে মাত্র ৩ দশমিক ০৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্বাভাবিক হারে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধি পাওয়াই এই পরিস্থিতির প্রধান কারণ। বিশেষ করে বিগত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নেওয়া ঋণগুলো সরকার পতনের পর খেলাপি হিসেবে দেখানো হয়। এছাড়া, ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হলেও অধিকাংশ অর্থ ফেরত আসেনি এবং আমদানি-রপ্তানির আড়ালে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলো যেমন পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কা তাদের ব্যাংক খাতের মূলধন পর্যাপ্ততা যথাক্রমে ২০.৬%, ১৬.৭% এবং ১৮.৪% এ উন্নীত করতে পেরেছে। শ্রীলঙ্কা দেউলিয়াত্বের পর কঠোর পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ব্যাংক খাতকে টেনে তুলেছে, এবং পাকিস্তান ও ভারতও কঠোর নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে।

ব্যাংকগুলোর মূলধন কমে যাওয়ায় তারা এখন বিনিয়োগ বা পুনর্বিনিয়োগ করতে পারছে না, যা দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। অর্থনীতিবিদরা এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য খেলাপি ঋণ কঠোরভাবে আদায় করা, ব্যাংকগুলোকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা, দুর্নীতি দমন করা এবং অর্থপাচার বন্ধে স্বাধীন আর্থিক গোয়েন্দা কার্যক্রম চালুর পরামর্শ দিয়েছেন।

/আশিক


বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক ধারা: বাড়ল ৫০ মিলিয়ন ডলার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ২২:০০:৪০
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ইতিবাচক ধারা: বাড়ল ৫০ মিলিয়ন ডলার
ছবিঃ সংগৃহীত

দেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে এখন ৩০৮৫৬ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন বা ৩০ দশমিক ৮৫ ডলার বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র শাহরিয়ার সিদ্দিকী এ তথ্য জানিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, ২১ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩০৮৫৬ দশমিক ৭৯ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৫৮৬১ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এর আগে গত ১৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩০৮০৯ দশমিক ৯৬ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫৮০৬ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।


অর্ধেক ঋণই ঝুঁকিপূর্ণ: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের নতুন রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১৩:১১:২৮
অর্ধেক ঋণই ঝুঁকিপূর্ণ: বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের নতুন রিপোর্টে ভয়াবহ চিত্র
ছবিঃ সংগৃহীত

২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে দুর্দশাগ্রস্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। আগের বছরের তুলনায় এই ঋণের পরিমাণ ২ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত ‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট ২০২৪’–এ এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের শেষে এ ধরনের ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা। এক বছরে তা ৪৪.২১ শতাংশ বেড়েছে, যা মোট বিতরণকৃত ঋণের প্রায় অর্ধেক। আইএমএফের সংজ্ঞা অনুযায়ী, খেলাপি, পুনঃতফসিল এবং অবলোপনকৃত (রাইট-অফ) ঋণকে সম্মিলিতভাবে ‘দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ’ হিসেবে গণ্য করা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৪ সালের শেষে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা, পুনঃতফসিলকৃত ঋণ ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা এবং অবলোপনকৃত ঋণের পরিমাণ ৬২ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক প্রভাব, দুর্নীতি ও তদবিরের মাধ্যমে দেওয়া ঋণ এখন খেলাপিতে রূপ নিচ্ছে। আগে এসব তথ্য গোপন থাকলেও এখন আইএমএফের চাপের মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিতভাবে এসব তথ্য প্রকাশ করছে।

প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, ২০২৪ সালে দেশের ব্যাংক খাত চরম চাপের মুখে পড়ে, বিশেষ করে মূলধন পর্যাপ্ততার ক্ষেত্রে। সিআরএআর (ক্যাপিটাল টু রিস্ক-ওয়েইটেড অ্যাসেট রেসিও) মাত্র ৩.০৮ শতাংশে নেমে এসেছে, যেখানে তা কমপক্ষে ১০ শতাংশ থাকার কথা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক, বিশেষায়িত ব্যাংক ও বেশকিছু ইসলামি ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, দেশের আর্থিক খাত সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও খেলাপি ঋণ, বৈদেশিক মুদ্রার চাপ এবং সুশাসনের অভাব এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সময়োপযোগী নীতিমালা, কঠোর তদারকি এবং প্রযুক্তিনির্ভর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই এই খাতকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

/আশিক


নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি: টিসিবির লাইনে এখন মধ্যবিত্ত ও শিক্ষার্থীরা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১২:৩২:৩৮
নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি: টিসিবির লাইনে এখন মধ্যবিত্ত ও শিক্ষার্থীরা
ছবিঃ সংগৃহীত

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ আয়ের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। চাল, ডাল, তেলসহ জরুরি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় শুধু নিম্নবিত্ত নয়, এখন মধ্যবিত্ত পরিবার এবং শিক্ষার্থীরাও টিসিবির ট্রাকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই লাইনে যোগ দিয়েছেন। নিয়মিত বাজারের চড়া দামে তাদের পড়াশোনা ও জীবনযাপনের খরচ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। কবি নজরুল কলেজের এক শিক্ষার্থী জানান, মেসের আর্থিক চাপে তারা সপ্তাহে একদিন একজন করে টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে তাদের ক্লাসও মিস করতে হচ্ছে।

টিসিবির শ্রমিকদের ভাষ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ট্রাক থেকে তিনটি পণ্য বিক্রি হচ্ছে: সয়াবিন তেল (প্রতি লিটার ১১৫ টাকা), মসুর ডাল (প্রতি কেজি ৭০ টাকা) ও চিনি (প্রতি কেজি ৮০ টাকা)। প্রতিজন সর্বোচ্চ দুই লিটার তেল, দুই কেজি ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারছেন। শিক্ষার্থীরা প্রায়ই মাছ, মাংস ও তরকারি সরবরাহের দাবি তুলছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন ট্রাকে দেখা গেছে, সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবী, গৃহিণী থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীরাও লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছেন। কেউ কেউ নাম-পরিচয় গোপন রেখে বলছেন, বেতন একই থাকলেও বাজারের দাম বেড়ে যাওয়ায় টিসিবির লাইনে দাঁড়ানো ছাড়া তাদের আর কোনো উপায় নেই।

টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৬৫ লাখ পরিবারের কাছে স্মার্ট কার্ড সরবরাহ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৫৪ লাখ কার্ড সক্রিয়। এই কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া মিললেও ডালসহ কিছু পণ্যের দাম বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১০ আগস্ট থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে ৬০টি ট্রাকে প্রতিদিন পণ্য বিক্রি চলছে এবং এর চাহিদা আরও বাড়ছে।

/আশিক


আজকের মুদ্রা বাজার: বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে কোন মুদ্রার দাম কত?

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২১ ১০:৪৬:৩১
আজকের মুদ্রা বাজার: বাংলাদেশি টাকার বিপরীতে কোন মুদ্রার দাম কত?

বিশ্বের অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিন দিন বাড়ছে। এই বাণিজ্যিক লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার জানা থাকা জরুরি। আজ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার এখানে তুলে ধরা হলো:

বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র অনুযায়ী আজকের বিনিময় হার:

ইউএস ডলার: ১২১ টাকা ৬৫ পয়সা

ইউরোপীয় ইউরো: ১৪১ টাকা ৭৪ পয়সা

ব্রিটেনের পাউন্ড: ১৬৩ টাকা ৭১ পয়সা

অস্ট্রেলিয়ান ডলার: ৭৮ টাকা ২৬ পয়সা

জাপানি ইয়েন: ৮২ পয়সা

কানাডিয়ান ডলার: ৮৭ টাকা ৬৮ পয়সা

সুইডিশ ক্রোনা: ১২ টাকা ৬৮ পয়সা

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪ টাকা ৬৬ পয়সা

চীনা ইউয়ান রেনমিনবি: ১৬ টাকা ৯৩ পয়সা

ভারতীয় রুপি: ১ টাকা ৩৯ পয়সা

শ্রীলঙ্কান রুপি: ২ টাকা ৪৮ পয়সা

গুগলের সূত্র অনুযায়ী আজকের বিনিময় হার:

সিঙ্গাপুর ডলার: ৯৪ টাকা ৩৫ পয়সা

মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত: ২৮ টাকা ৭৩ পয়সা

সৌদি রিয়াল: ৩২ টাকা ৩৩ পয়সা

কুয়েতি দিনার: ৩৯৭ টাকা ০০ পয়সা

যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।

/আশিক


রাজস্ব আদায়ে বড় উল্লম্ফন: জুলাইয়ে এনবিআরের প্রবৃদ্ধি ২৪.৩৩ শতাংশ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২০ ২২:০২:৪৪
রাজস্ব আদায়ে বড় উল্লম্ফন: জুলাইয়ে এনবিআরের প্রবৃদ্ধি ২৪.৩৩ শতাংশ

চলতি অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রথম মাস জুলাইয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আহরণে ২৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

এনবিআরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে মোট ২৭ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা। গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪ সালের একই মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ৯১৬ দশমিক ০৮ কোটি টাকা।

তবে, গত মাসের জন্য এনবিআরের সামগ্রিক রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ১১০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ২ হাজার ৮৬১ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা কম হয়েছে।

এনবিআরের তথ্যমতে, জুলাই মাসে কাস্টমস উইং থেকে আদায় হয়েছে ৯ হাজার ৬০২ কোটি টাকা, যা ১৭ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে। একই সময়ে, ভ্যাট উইং থেকে ১১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা ৩২ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং ইনকাম ট্যাক্স উইং থেকে ৬ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা আদায় হয়েছে, যা ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।

/আশিক


দেশের স্বর্ণের বাজার স্থিতিশীল, জানুন ভরি প্রতি দাম

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২০ ০৯:৪১:৩৯
দেশের স্বর্ণের বাজার স্থিতিশীল, জানুন ভরি প্রতি দাম
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বাজারে স্বর্ণের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বুধবার (২০ আগস্ট) সর্বশেষ ঘোষিত মূল্যেই বেচাকেনা হচ্ছে এই মূল্যবান ধাতু। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা নির্ধারিত রয়েছে।

এর আগে জুলাই মাসে দু’দফায় স্বর্ণের দাম বেড়ে গেলেও পরবর্তীতে সামান্য হ্রাস পায়। ২৪ জুলাই বাজুস এক ঘোষণায় জানায়, স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা কমানো হয়েছে। সেই সমন্বয়ের পর থেকে বাজারে কার্যকর আছে নতুন দাম।

বর্তমানে ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ভরি প্রতি মূল্য ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা হলেও, ২১ ক্যারেটের এক ভরি বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকায়। অন্যদিকে ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির ভরি প্রতি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকায়।

বাজুস আরও জানিয়েছে, স্বর্ণের নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে অবশ্যই সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং সংগঠনটির নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে এই মজুরির পরিমাণে তারতম্য হতে পারে।

এর আগে ২৩ জুলাই বাজুস স্বর্ণের দাম সমন্বয় করে। সেই সময় ২২ ক্যারেটের এক ভরির দাম ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭৩ হাজার ১৭৫ টাকা করা হয়। একই সঙ্গে ২১ ক্যারেটের ভরিপ্রতি মূল্য দাঁড়ায় ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম হয় ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৮৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণ নির্ধারিত হয় ১ লাখ ১৭ হাজার ২২৩ টাকায়। এই দাম কার্যকর হয়েছিল ২৪ জুলাই থেকে।

শুধু স্বর্ণ নয়, দেশের বাজারে রুপার দামও বর্তমানে অপরিবর্তিত রয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়।

-রফিক


বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নতুন কৌশল: বাণিজ্য মেলার নাম পরিবর্তন

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ১৮ ২০:০৯:২৪
বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে নতুন কৌশল: বাণিজ্য মেলার নাম পরিবর্তন
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশি ক্রেতা ও দর্শনার্থীর আকর্ষণ কমে যাওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মেলার ব্র্যান্ড ইমেজ দুর্বল হয়ে পড়ায় ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-এর নাম পরিবর্তন করে ‘ঢাকা বাণিজ্য মেলা (ডিটিএফ)’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিচালনা পর্ষদের ১৪৮তম সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইপিবির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এই সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান সহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণের জন্য ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের পূর্ণাঙ্গ মেলা ক্যালেন্ডার এবং ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরের আংশিক মেলা ক্যালেন্ডার অনুমোদন করা হয়।

দেশের বাইরে মেলায় অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটি মেলা সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণ থাকা দরকার। যেখানে আমাদের দেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ প্রয়োজন, সেখানেই কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। শুধু অংশগ্রহণ নয়, বরং দেশের উন্নতি ও ব্যবসা বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ দিতে হবে।’

রপ্তানিমুখী শিল্প ও উৎপাদকদের জন্য বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণ এবং সরকারের বাজার বহুমুখীকরণের কৌশলকে সামনে রেখে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো একটি স্বতন্ত্র আন্তর্জাতিক সোর্সিং ফেয়ার আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সভায় আগামী নভেম্বর মাসে ‘সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২৫’ নামে একটি মেলা আয়োজনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সোর্সিং মেলার গুরুত্ব তুলে ধরে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘এ ধরনের মেলা আয়োজন করা না হলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশীয় পণ্যের পরিচিতি বাড়বে না এবং আমাদের সক্ষমতাও তৈরি হবে না।’ তিনি বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোর মাধ্যমে এই সোর্সিং মেলার প্রচার বাড়ানোর উপর জোর দেন।

সভার সিদ্ধান্তে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নাম পরিবর্তনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয় যে, ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর আয়োজিত এই মেলার প্রধান লক্ষ্য ছিল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করে স্থানীয় বাজারকে বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কমে এসেছে।

/আশিক

পাঠকের মতামত: