তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় প্রকাশ, পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশ বাতিল

২০২৫ জুলাই ০৮ ১৬:১৮:২৩
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের রায় প্রকাশ, পঞ্চদশ সংশোধনীর অংশ বাতিল

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির বিধান করে সংবিধানে আনা পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিল করে হাই কোর্ট যে রায় ঘোষণা করেছিল, তার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি মঙ্গলবার (৮ জুলাই) প্রকাশ করা হয়েছে। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর স্বাক্ষরের পর ১৩৯ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশিত হয়।

সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুইটি রিট আবেদনের শুনানি শেষে ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সংবিধানে গণভোটের বিধান পুনর্বহাল করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে—গণতন্ত্র হলো সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশ, যা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই বিকশিত হয়।

রায়ে আদালত উল্লেখ করেছে, বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হলেও তা জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটায়নি। বরং এর ফলে জনগণের মধ্যে বিশ্বাস সংকট তৈরি হয়েছে, যা জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানে রূপ নিয়েছে।

আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জনগণের অভিপ্রায় অনুযায়ী সংবিধানে সংযোজিত হয়েছিল এবং তা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর অংশে পরিণত হয়।

২০১১ সালে সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ৫৪টি ধারা ও অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনা হয়। এর মধ্যে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিলুপ্তি-সংক্রান্ত আইনটির ২০ ও ২১ ধারা অসাংবিধানিক ঘোষণা করে বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি, অনুচ্ছেদ ৭ক, ৭খ এবং ৪৪ (২)–ও বাতিল ঘোষণা করেছে আদালত।

এই সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ করে ‘সুশাসনের জন্য নাগরিক’ (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক ২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট হাই কোর্টে রিট দায়ের করেন। পরদিন ১৯ আগস্ট আদালত রুল জারি করে সংশোধনীটি কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চান। পরে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় দেওয়া হয়।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ