৭ কলেজ সংকট
রোববারের শেষ সময়: অন্তর্বর্তী প্রশাসনের প্রজ্ঞাপন না দিলে সোমবার থেকেই রাজপথে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

সত্য নিউজ:ঢাকার সরকারি সাত কলেজকে "ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়"-এ রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন এবার চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। শনিবার ইডেন মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী নেতারা স্পষ্ট করে দিয়েছেন: "রোববার (আগামীকাল) এর মধ্যে অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি না হলে সোমবার থেকে তারা রাজপথে অবরোধ-সমাবেশসহ কঠোর কর্মসূচিতে ফিরবেন"।এছাড়া, সরকারি দপ্তর ঘেরাওসহ "জনদুর্ভোগ এড়াতে" কৌশলগত পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন তারা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সাত কলেজের জন্য একটি অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব করলেও মন্ত্রণালয় পর্যায়ে প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে গত ৪ মাস ধরে ঝুলে আছে প্রক্রিয়া। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই দীর্ঘসূত্রতার ফলে নতুন সেশনজট তৈরি হয়েছে, ভর্তি প্রক্রিয়া অনিশ্চিত, এবং অতিরিক্ত ফি আদায়ের মতো সংকট তীব্র হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত মূল দাবিগুলো হলো: ১. অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠন: রোববারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি ও প্রশাসক নিয়োগ। ২. একাডেমিক জরুরি সমাধান: সেশনজট নিরসন, ভুয়া ফল প্রত্যাহার, এবং একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ। ৩. ভর্তি পরীক্ষা নিশ্চিতকরণ: অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের ২ কার্যদিবসের মধ্যে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু। ৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রকাশ: ৫ কার্যদিবসের মধ্যে " ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় "-এর লোগো, মডেল ও কাঠামো জনসমক্ষে আনয়ন। ৫. অধ্যাদেশ ও বাজেট বরাদ্দ: ১৬ জুনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারি এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অর্থায়ন নিশ্চিত করা।
কর্মসূচীর নয়া কৌশলকে তুলে ধরেন শিক্ষার্থী নেতা আবিদ হাসান (ঢাকা কলেজ) ও জাফরিন আক্তার (বেগম বদরুন্নেসা কলেজ) স্পষ্ট করেন, "এবার শুধু রাস্তা অবরোধ নয়, সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয় ঘেরাও করব। জনদুর্ভোগ কমাতে চাই, কিন্তু দাবি আদায়ে রাজপথেই থাকব।" ইউজিসি সূত্রে জানা গেছে, "ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়"-এর নাম, লোগো ও প্রশাসনিক কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়েছে, কিন্তু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আটকে আছে প্রক্রিয়া।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল হওয়ার পর গত বছর থেকেই সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের দাবিতে আন্দোলন করছে। গত নভেম্বরে রাস্তায় ব্যারিকেড, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, এবং বহু শিক্ষার্থীর আঘাতপ্রাপ্তির ঘটনায় এই ইস্যু জাতীয় পর্যায়ে আলোচনায় আসে। শিক্ষার্থীদের হেফাজতে থাকা তথ্যমতে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে ২৩ সদস্যের একটি খসড়া অধ্যাদেশ, যা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের হুঁশিয়ারি, "রোববার যদি শেষ চিঠিটিও অগ্রাহ্য হয়, তাহলে সোমবার সকাল থেকেই আমরা অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ করে প্রতিরোধ কর্মসূচি শুরু করব। এবার শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেই সমাধান চাই, কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র যদি আবার বলপ্রয়োগ করে, তাহলে দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।"
উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক চলছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, কলেজ প্রশাসনগুলো নীরবতা বজায় রেখে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতীক্ষায়রয়েছে
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের দীর্ঘ ছুটি, চালু থাকবে জরুরি সেবা
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- সেনাপ্রধানের বক্তব্য, জুলকারনাইন তাতে যা বললেন!
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- বাংলাদেশে আন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে মৌলিক অধিকার হুমকিতে
- দারুননাজাত: নৈতিকতার আলোকবর্তিকা
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত
- ইউজিসি-ম্যাকগিল পিএইচডি স্কলারশিপ: শুধুমাত্রবাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য
- ডিপ্লোমেটিক শেকআপ: জসীম উদ্দিন দূতাবাসে , সচিব হচ্ছেন নজরুল
- ডিসেম্বরে নির্বাচন চান সেনাপ্রধান
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"