প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে দুর্বল হলে উপকারে আসতে পারে কিছু সহজ যোগব্যায়াম

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৪ ০৯:৩১:৩৩
প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে দুর্বল হলে উপকারে আসতে পারে কিছু সহজ যোগব্যায়াম
ছবি: সংগৃহীত

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা পরিবর্তন আসে। এর মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা হলো প্রস্রাব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে না পারা, যা অনেক সময় অস্বস্তিকর ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যাঘাত ঘটায়। এই সমস্যার পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে মূত্রনালী নিয়ন্ত্রণকারী স্ফিংটার পেশির দুর্বলতা।

এ ধরনের সমস্যা পুরোপুরি নিরসনের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। তবে সহায়ক পন্থা হিসেবে কিছু যোগাসন রয়েছে, যা মূত্রাশয় ও পেলভিক অঞ্চলের পেশি শক্তিশালী করতে সহায়তা করতে পারে। এসব আসন নিয়মিত অভ্যাস করলে প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণে কিছুটা উন্নতি আসতে পারে। নিচে উল্লেখ করা হলো এমন তিনটি কার্যকর যোগাসন—

মালাসন

এই আসনটি পেলভিক পেশিগুলো প্রসারিত ও শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।

কীভাবে করবেন:

দুই পা সামান্য ফাঁক করে সোজা হয়ে দাঁড়ান। হাঁটু ভাঁজ করে নিচু হয়ে বসুন, যাতে নিতম্ব পায়ের গোড়ালির কাছাকাছি আসে। পায়ের পাতা মাটির সঙ্গে সমান্তরাল রাখুন। দুই হাত বুকের সামনে নমস্কারের ভঙ্গিতে আনুন এবং কনুই দিয়ে ভেতরের দিকে হাঁটুতে চাপ দিন। মেরুদণ্ড সোজা রেখে সামনে তাকান। এই অবস্থায় ২০-৩০ সেকেন্ড থাকুন, তারপর ধীরে উঠে দাঁড়ান।

সেতুবন্ধাসন

এই আসন পেলভিক ফ্লোর এবং পেটের পেশি শক্তিশালী করে।

কীভাবে করবেন:

সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন, হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন এবং নিতম্বের কাছে রাখুন। দুই হাত শরীরের পাশে রাখুন। শ্বাস নিতে নিতে কোমর ও পিঠ ওপরে তুলুন, যাতে শরীর কাঁধ থেকে হাঁটু পর্যন্ত সরলরেখা তৈরি করে। পেলভিক পেশি কিছুক্ষণ সংকুচিত করে রাখুন। ২০-৩০ সেকেন্ড পরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আসন থেকে ফিরে আসুন।

সুপ্ত বদ্ধকোনাসন

এই আসনটি পেলভিক অঞ্চলে রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং মূত্রাশয়ের স্নায়ুগুলোকে শিথিল করে।

কীভাবে করবেন:

সোজা হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা একসঙ্গে জোড়া করুন। হাঁটু দুটি মাটির দিকে নামিয়ে দিন। দুই হাত শরীরের পাশে বা মাথার ওপরে ছড়িয়ে দিন। চোখ বন্ধ করে স্বাভাবিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। এই অবস্থায় ১-৫ মিনিট পর্যন্ত থাকতে পারেন। এরপর ধীরে হাঁটু সোজা করে বিশ্রাম নিন।

উল্লেখ্য, এসব যোগাসন রোগ নিরাময়ের বিকল্প নয়, বরং একটি সহায়ক উপায়। গুরুতর বা দীর্ঘমেয়াদি প্রস্রাবজনিত সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সূত্র : আজকাল

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ