হার্ট অ্যাটাক নাকি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট? পার্থক্য জানেন?

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৬ ১০:২০:১৫
হার্ট অ্যাটাক নাকি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট? পার্থক্য জানেন?
ছবি: সংগৃহীত

হার্ট অ্যাটাক এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট—এই দুটি শব্দ প্রায়ই একসঙ্গে উচ্চারিত হয় এবং অনেকেই মনে করেন এগুলো একই রোগ। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এগুলোর মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য। দুটোই হৃদযন্ত্রের মারাত্মক সমস্যা এবং জীবনসংকট তৈরি করতে পারে, তবে এসবের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসার পদ্ধতিতে রয়েছে স্পষ্ট ভিন্নতা।

হার্ট অ্যাটাক কী এবং কেন হয়?হার্ট অ্যাটাক ঘটে তখন, যখন হৃদপেশিতে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীগুলো ব্লক হয়ে যায়। এর ফলে হৃদযন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন সঙ্কোচন-প্রসারণের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এই ব্লকেজের ফলে হৃদপেশি পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং রোগীর বুকে তীব্র চাপ, শ্বাসকষ্ট, মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। তবে হার্ট পুরোপুরি বন্ধ হয় না, আর সময়মতো চিকিৎসা পেলে জীবন রক্ষা করা সম্ভব হয়।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কীভাবে আলাদা?কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলো হঠাৎ হৃদযন্ত্র পুরোপুরি কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ার অবস্থা। এতে রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে মস্তিষ্ক ও শরীরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে অক্সিজেন পৌঁছায় না। রোগী হঠাৎ শ্বাস বন্ধ হয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন এবং পালস পাওয়া যায় না। এই অবস্থা এত দ্রুত ঘটে যায় যে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পেলে রোগীকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

লক্ষণ ও ঝুঁকির কারণহার্ট অ্যাটাকের আগে শরীর কিছু সতর্ক সংকেত দিতে পারে, যেমন বুকের মাঝখানে চাপা ব্যথা, বাম কাঁধ বা হাতে ব্যথা, চোয়ালে টান, অতিরিক্ত ঘাম, পিঠে ব্যথা, অস্বস্তি বা গরম লাগা ইত্যাদি। উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, ধূমপান, ডায়াবেটিস, অনিয়মিত জীবনযাপন ও মানসিক চাপ এর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট সাধারণত হঠাৎ করেই ঘটে এবং আগে থেকে তেমন কোনো সতর্কতা দেখা যায় না। তবে যাদের আগে একাধিকবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, হৃদস্পন্দনে অনিয়ম আছে, অতিরিক্ত ওষুধ সেবন করেন বা পারিবারিকভাবে হৃদরোগের ইতিহাস রয়েছে—তাদের মধ্যে এই ঝুঁকি বেশি।

জরুরি করণীয়হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট যেটাই হোক না কেন, রোগীকে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি। চিকিৎসা পেতে দেরি হলে তা মৃত্যুর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই লক্ষণ দেখা মাত্র বিলম্ব না করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে বা নিজ উদ্যোগে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া উচিত।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ