জেনে নিন চুল ঘন করার ঘরোয়া টিপস

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৬ ১৪:৩৪:১৮
জেনে নিন চুল ঘন করার ঘরোয়া টিপস

আজকাল নারী-পুরুষ নির্বিশেষে চুল পড়া এবং পাতলা চুলের সমস্যা একটি সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দূষণ, স্ট্রেস, অনিয়মিত ঘুম, অপুষ্টি, রাসায়নিক প্রসাধনী এবং হরমোনজনিত বিভিন্ন কারণে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে এবং দ্রুত পড়তে শুরু করে। বাজারে নানা ধরনের হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্ট থাকলেও অনেক সময় তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। ফলে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক সমাধানে। নিচে দেওয়া হলো চুল ঘন ও মজবুত করার কিছু পরীক্ষিত, হাদিসসম্মত ও বিজ্ঞানসম্মত ঘরোয়া পদ্ধতি।

১. নিয়মিত তেল মালিশ – রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে ফলিকল জাগ্রত করে

গরম নারকেল তেল, অলিভ অয়েল কিংবা আমন্ড অয়েল হালকা গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে তা চুলের গোড়ায় রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে ফলিকল সক্রিয় করে তোলে। সপ্তাহে অন্তত ২–৩ বার এই ম্যাসাজ করলে চুল পড়া কমে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। চাইলে তেলের সঙ্গে লেবুর রস, মেথি ভেজানো তেল বা ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

২. ডিমের হেয়ার মাস্ক – প্রোটিনের পুষ্টি দিয়ে চুল মজবুত

ডিমের সাদা অংশে উচ্চমাত্রার প্রোটিন থাকে যা চুলের গঠন মজবুত করে। ডিমের সঙ্গে অলিভ অয়েল বা অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে মাথার ত্বকে ও চুলে লাগান। ২০–৩০ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১–২ বার ব্যবহারে ফল মিলতে শুরু করবে।

৩. পেঁয়াজের রস – সালফার দিয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক

পেঁয়াজে রয়েছে উচ্চমাত্রার সালফার যা কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে চুল গজাতে সহায়তা করে। একটি পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে ছেঁকে রস বের করে তা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। পরে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পেঁয়াজের গন্ধ এড়াতে রসের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪. মেথি পানি – খুশকি দূর ও চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে কার্যকর

মেথি বীজে রয়েছে লেক্টিন ও প্রোটিন যা চুল ঘন করতে ও স্ক্যাল্প সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এক রাত ভিজিয়ে রাখা মেথি বীজ ছেঁকে সেই পানি দিয়ে চুল ধুলে খুশকি ও চুল পড়া অনেকটাই কমে।

৫. অ্যালোভেরা জেল – মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার

অ্যালোভেরাতে রয়েছে এনজাইম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মাথার ত্বক ঠান্ডা রাখে, চুলের ফলিকল হাইড্রেট করে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়ক। কাঁচা অ্যালোভেরা পাতার জেল সরাসরি মাথায় ম্যাসাজ করে লাগান। অন্তত ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল কোমল ও ঝলমলে হয়।

৬. গ্রিন টি – অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে চুলের ঘনত্ব বাড়ায়

গ্রিন টি শুধু শরীরের জন্য নয়, চুলের জন্যও উপকারী। গ্রিন টিতে থাকা ক্যাটেচিন নামক উপাদান মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে চুলের ঘনত্ব বাড়াতে সাহায্য করে। গ্রিন টি ঠান্ডা করে মাথার তালুতে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৭. সুষম খাদ্য ও জলপান – ভিতর থেকে চুলকে সুস্থ রাখে

চুল শুধু বাইরের যত্নে সুন্দর হয় না, প্রয়োজন ভেতর থেকে পুষ্টি। প্রচুর পরিমাণে সবজি, ফল, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার (যেমন – ডিম, দুধ, ডাল, মাছ) খেতে হবে। আখরোট, কাঠবাদাম ও চিয়া সিড চুলে ওমেগা–৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যোগায় যা চুলের জন্য অপরিহার্য। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি পান করা জরুরি।

৮. পর্যাপ্ত ঘুম ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ – হরমোন ভারসাম্য বজায় রাখে

স্ট্রেস ও ঘুমহীনতা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, যার প্রভাব পড়ে চুলে। প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম এবং হালকা ব্যায়াম (যেমন – হাঁটা, যোগব্যায়াম) করলে শরীর ও মন দুটোই চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে।

৯. আমলকি, শিকাকাই ও রিটা – আয়ুর্বেদিক পরিচর্যায় নতুন জীবন

চুলের ঐতিহ্যবাহী যত্নে ব্যবহৃত আমলকি, রিটা ও শিকাকাই আজও সমান কার্যকর। এগুলোর গুঁড়া দিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলে লাগালে তা প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করে এবং চুলকে ঘন, মজবুত ও ঝলমলে করে তোলে।

চুল ঘন করার প্রক্রিয়া ধৈর্য ও নিয়মিত যত্নের ব্যাপার। প্রতিদিন বা সপ্তাহে নির্দিষ্ট দিনগুলোতে উপরোক্ত ঘরোয়া উপায়গুলো অনুসরণ করলে কয়েক মাসের মধ্যেই চুলের স্বাস্থ্য, ঘনত্ব ও সৌন্দর্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন আসবে। রাসায়নিক পণ্য নয়, প্রাকৃতিক যত্নেই ফিরুক আপনার চুলের প্রাণ।


বন্ধুরূপী শত্রু: যে ৫টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার বন্ধুত্বের বন্ধন বিপদজনক

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ২১:৪১:২০
বন্ধুরূপী শত্রু: যে ৫টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার বন্ধুত্বের বন্ধন বিপদজনক
ছবিঃ সংগৃহীত

বন্ধুত্বের বন্ধন একটি সুন্দর বন্ধন, যদি বন্ধু নির্বাচনে কোনো ভুল না হয়। তাই বন্ধু নির্বাচনের সময় আমাদের খুব সতর্ক থাকা উচিত। কারণ, ভালো বন্ধু যেমন আমাদের জীবনকে উজ্জ্বল করে, তেমনি খারাপ বন্ধুও আমাদের জীবনকে ধ্বংস করে দিতে পারে। সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন খারাপ বন্ধু ১০০ শত্রুর সমান। তারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কেবল রঙই পরিবর্তন করে না, বরং আপনার পিঠে ছুরি মারতেও দ্বিধা করে না।

আসুন এখন জেনে নেওয়া যাক, সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা খারাপ বন্ধুদের কীভাবে চিনতে বলছেন:

খারাপ বন্ধু চেনার ৫টি লক্ষণ

১. সাফল্যে ঈর্ষান্বিত: যে বন্ধুরা বাইরে থেকে ভালো দেখায়, কিন্তু আপনার ভালো দেখলে গভীরভাবে ঈর্ষান্বিত হয়, তারাই আপনার ধ্বংসের কারণ। খারাপ বন্ধুরা আপনার অগ্রগতিকে ঈর্ষা করবে এবং অন্যদের সামনে আপনার সুনাম নষ্ট করবে।

২. খারাপ সময়ে পালিয়ে যাওয়া: একজন সত্যিকারের বন্ধু হলো সেই ব্যক্তি, যে কেবল আপনার সুখে নয়, আপনার দুঃখেও আপনার পাশে থাকে। কিন্তু খারাপ বন্ধুরা যখন পরিস্থিতি কঠিন হয়, তখন আপনাকে সাহায্য না করেই পালিয়ে যাবে এবং নানা অজুহাত দেবে।

৩. পেছনে গর্ত খোঁড়া: শত্রুরা সাধারণত সামনে থেকে আক্রমণ করে, কিন্তু খারাপ বন্ধুরা পেছনে থেকে আপনার জন্য গর্ত খোঁড়ে। তারা আপনার সব দুর্বলতা জানে, তাই তারা আপনার বিশ্বাসের অপব্যবহার করবে। তারা আপনার সঙ্গে ভালো কথা বলবে, কিন্তু আপনার পেছনে আপনার সম্পর্কে খারাপ কথা বলবে।

৪. ভুল সংশোধন নয়, প্রকাশ: খারাপ বন্ধুরা আপনার ভুল সংশোধন করার পরিবর্তে সেগুলো সবার সামনে প্রকাশ করবে, যাতে তারা আপনার দুর্বলতার সুযোগ নিতে পারে এবং নিজেকে ভালো প্রমাণ করতে পারে।

৫. গোপনীয়তার অপব্যবহার: আপনি আপনার গোপনীয়তা ও দুর্বলতাগুলো যাদের সঙ্গে ভাগ করে নেন, সেইসব তথ্যের অপব্যবহার তারা করবে। এই কারণে এমন বন্ধুদের থেকে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত।

পরামর্শ

সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, সর্বদা এমন বন্ধু নির্বাচন করুন যারা জ্ঞানী এবং আপনার স্বার্থের কথা মনে রাখে। কখনো বোকা বা স্বার্থপর লোকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবেন না।

সূত্র : আজতক বাংলা


খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১১:০০:৫২
খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
ছবিঃ সংগৃহীত

রান্নার স্বাদ বাড়ানোতে মসলা হিসেবে এলাচের তুলনা নেই। কিন্তু স্বাদ ছাড়াও এলাচের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বলছেন, নিয়মিত এলাচের পানি পান করলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি দূর হওয়াসহ আরও পাঁচটি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য পাওয়া যায়।

এই পাঁচটি রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাচের পানি খুব কার্যকর:

১. হজম ও অ্যাসিডিটি দূর: আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকরা বলেন, এলাচের পানি পান করলে গ্যাস ও অ্যাসিডিটি দূর হয়। এটি দ্রুত এবং উন্নত হজমে সহায়তা করে।

২. শরীরকে বিষমুক্ত করা: এলাচের পানি পান করলে তা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (টক্সিন) বের করে দিতে সাহায্য করে, যা শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখে।

৩. মুখের স্বাস্থ্য: এলাচ একটি প্রাকৃতিক মুখশুদ্ধি। এর পানি পান করা মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া কমাতেও উপকারী হতে পারে।

৪. রক্ত সঞ্চালন: এলাচের পানি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে, যা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখতে জরুরি।

৫. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এবং সুস্থ হৃদযন্ত্র বজায় রাখতেও সাহায্য করে।

এলাচের পানি পান করার পদ্ধতি খুবই সহজ:

তৈরির নিয়ম: চার থেকে পাঁচটি গোটা এলাচ দানা এক গ্লাস পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন।

সেবনের সময়: সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন।

সতর্কতা: পানি পান করার পর এক ঘণ্টা কিছু খাওয়া থেকে দূরে থাকবেন।


ওজন কমাতে সহায়ক: দিনে দুবার পান করুন এই বিশেষ ডিটক্স পানীয়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ১০:৫৪:০৯
ওজন কমাতে সহায়ক: দিনে দুবার পান করুন এই বিশেষ ডিটক্স পানীয়
ছবিঃ সংগৃহীত

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই নানা চেষ্টা করে থাকেন, কিন্তু অনেক সময় নিয়ম মেনে চললেও ওজন কমানো সহজ হয় না। এর প্রধান কারণ হলো শরীরের বিপাকক্রিয়া (মেটাবলিজম) ঠিকমতো কাজ না করা। চিকিৎসকরা বলছেন, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু শরীরচর্চা নয়, সঙ্গে দরকার কিছু ঘরোয়া পানীয়। এমন কিছু ডিটক্স পানীয় আছে, যা নিয়মিত পান করলে শরীর থেকে টক্সিন দূর হওয়ার পাশাপাশি বাড়তি ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশেষ এই পানীয়টি দিনে দুবার পান করলে বিপাকক্রিয়ার হার বাড়বে, হজমশক্তি উন্নত হবে এবং পেট পরিষ্কার থাকবে।

এই শক্তিশালী ডিটক্স পানীয়টি তৈরি করতে প্রয়োজন হবে:

উপকরণ:

১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া

১ চা চামচ মৌরি

১ চা চামচ মেথি

১ চা চামচ জোয়ান (Ajwain)

২ টুকরো দারুচিনি

তৈরির পদ্ধতি:

এই উপকরণগুলো একসঙ্গে মিক্সার বা গ্রাইন্ডারে ভালোভাবে গুঁড়া করে সংরক্ষণ করুন।

সেবনের নিয়ম:

দুপুর ও রাতের খাবারের ৩০ মিনিট আগে এক কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন।

উপকারিতা:

এই পানীয়ের মাধ্যমে:

বিপাকক্রিয়ার হার বাড়াতে সাহায্য করবে।

হজমশক্তি উন্নত হবে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করবে।

অম্বলের সমস্যা কমিয়ে আনবে এবং নিয়মিত পানে ওজন কমাতে সহায়ক হবে।

এই ঘরোয়া উপাদান দিয়ে তৈরি পানীয় প্রতিদিন নিয়মিত খাওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও সুষম খাদ্যগ্রহণ করলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা আরও সহজ হয়ে উঠবে।


দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ০৯:৫৫:০৫
দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৫। আজকের দিনে জন্ম নেওয়ায় পাশ্চাত্য মতে আপনি তুলা রাশির জাতক/জাতিকা। আপনার ওপর আজ প্রভাব বিস্তার করছে রাশি অধিপতি শুক্র, বিঘ্ন সৃষ্টিকারী কেতু ও কর্মফল দাতা শনি। দিনটি আপনার জন্য ফলপ্রসূ হতে পারে। ধৈর্য, সাহস ও মনোবল বৃদ্ধি পাবে। দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ এগিয়ে যাবে। পিতা-মাতা ও গুরুজনদের সহযোগিতা মিলবে। ধনু রাশির বন্ধুত্ব আজ বিশেষ শুভ ফল বয়ে আনবে।

মেষ (২১ মার্চ–২০ এপ্রিল): কর্মক্ষেত্র ও ব্যবসায়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব আসবে, তবে তা সুফল বয়ে আনবে। আয় বৃদ্ধি পাবে, পারিবারিক জীবনে সুখের বার্তা আসবে। শিক্ষার্থীদের জন্য শুভ সময়। বিদেশযাত্রা বা প্রবাসফেরতের সম্ভাবনা রয়েছে।

বৃষ (২১ এপ্রিল–২০ মে): অংশীদারিত্বে সমস্যা দেখা দিতে পারে। দাম্পত্য জীবনে অশান্তি বাড়তে পারে। অর্থ লেনদেনে কাউকে অতি বিশ্বাস করা বিপদজনক হবে। আত্মীয় সেজে কেউ ক্ষতি করতে পারে, সতর্ক থাকুন।

মিথুন (২১ মে–২০ জুন): বাণিজ্যিক সফর লাভজনক হবে। রাগ ও অহংকার এড়িয়ে চলুন। পারিবারিক পরিবেশ আনন্দমুখর থাকবে। সন্তানদের সাফল্যে গর্বিত হবেন। কর্মক্ষেত্র ও আর্থিক দিক শুভ।

কর্কট (২১ জুন–২০ জুলাই): অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে। পুরনো ঋণমুক্তি ও হারানো সম্পদ ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নতুন সুযোগ হাতছানি দেবে। গৃহে নতুন সাজসজ্জা ও পরিবারসহ আনন্দঘন সময় কাটবে। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সিংহ (২১ জুলাই–২০ আগস্ট): অসুবিধা কাটিয়ে নতুন সম্ভাবনার সূচনা হবে। পিতামাতার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। গৃহে নতুন সামগ্রী আসতে পারে। তবে শারীরিক বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন।

কন্যা (২১ আগস্ট–২২ সেপ্টেম্বর): অংশীদারদের সঙ্গে মতানৈক্য দেখা দিতে পারে। আয় আসার আগেই খরচের তালিকা বড় হবে। দাম্পত্য ও সামাজিক কলহ এড়িয়ে চলুন। অনৈতিক কাজ ও নেশা থেকে বিরত থাকুন। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা আছে।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর–২২ অক্টোবর): দূরদেশ থেকে সুখবর আসবে। আটকে থাকা কাজ এগিয়ে যাবে। সন্তানদের পড়াশোনা ও ক্যারিয়ার আনন্দ দেবে। বিদেশ থেকে লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। সাধনা ও ভজনে সফলতা মিলবে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর–২১ নভেম্বর): কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি ও সম্মান লাভের সুযোগ আছে। জীবিকার ভিত্তি মজবুত হবে। বিদেশযাত্রা শুভ হতে পারে। দাম্পত্য জীবন সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকবে। মন ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার প্রতি ঝুঁকবে।

ধনু (২২ নভেম্বর–২০ ডিসেম্বর): অপ্রত্যাশিত সুখবর আসতে পারে। চাকরি ও ব্যবসায় ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মিটবে। নতুন বাড়ি বা যানবাহন কেনার পরিকল্পনা সফল হতে পারে। পিতা-মাতার সহায়তা মিলবে।

মকর (২১ ডিসেম্বর–১৯ জানুয়ারি): কর্মক্ষেত্রে চাপ ও বিরোধ দেখা দিতে পারে। অযথা ব্যয় এড়িয়ে চলুন। সন্তানদের আচরণে দুশ্চিন্তা বাড়তে পারে। ব্যবসায় মন্দাভাব বিরাজ করবে, ধৈর্য ধরুন।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি–১৮ ফেব্রুয়ারি): নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। প্রেমের সম্পর্কে নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে। পরিবারে নতুন সদস্যের আগমন ঘটবে। বিবাহযোগ্যদের জন্য সময় অনুকূল। ধর্ম ও ভ্রমণে আগ্রহ বাড়বে।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি–২০ মার্চ): চুক্তি বা বিনিয়োগে সতর্ক থাকুন। কর্মচারীদের সহযোগিতা পাবেন। দুর্ঘটনা এড়াতে সচেতন থাকুন। দীর্ঘদিনের রোগব্যাধি থেকে মুক্তি মিলবে। ভয় ও দুর্বলতা কাটবে। শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ধরে রাখার পরামর্শ রইল।


শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ২১:৫২:৫৬
শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
ছবিঃ সংগৃহীত

শীত পড়তেই অনেকের মাথা জুড়ে খুশকি এবং চিরুনি দিয়ে আঁচড়ালেই গোছা গোছা চুল উঠে আসে। শীতের মরসুমে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে যাওয়ায় ত্বক ও চুলেও এর প্রভাব পড়ে, চুল নিষ্প্রাণ হয়ে যায়। এমন সময় চুলের সঠিক যত্ন নেওয়া জরুরি। কিছু সহজ অভ্যাস নিয়মিত মেনে চললে চুল ঝরা ও খুশকির সমস্যা অনেকটাই কমানো সম্ভব।

চুলের যত্ন নেওয়ার ৬টি জরুরি অভ্যাস

১. তেল মালিশ (ময়েশ্চারাইজ়ার): মুখের মতো চুলেরও ময়েশ্চরাইজেশন প্রয়োজন। মাথার ত্বকে আর্দ্রতা জোগাতে নারকেল, অলিভ বা কাঠবাদামের তেল নিয়মিত মালিশ করুন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং চুলে জেল্লা ফেরে।

২. ঈষদুষ্ণ তেল মালিশ: শুষ্ক চুলে আর্দ্রতা জোগাতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে ঈষদুষ্ণ তেল মাথার ত্বকে হালকা হাতে মাসাজ বা মালিশ করুন। প্রতিদিন সম্ভব না হলে সপ্তাহে অন্তত দু’-তিন দিন এই অভ্যাস বজায় রাখুন।

৩. গরম ভাপ (Steam): তেল মালিশের পর গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে, সেটি নিংড়ে মাথায় জড়িয়ে নিন। তোয়ালে থেকে গরম ভাপ মাথার ত্বকের গভীরে তেল প্রবেশ করাতে সাহায্য করে এবং চুল আর্দ্র রাখে। মিনিট দশেক তোয়ালে জড়িয়ে স্নান বা শ্যাম্পু করে নিন।

৪. গরম জলে স্নান নয়: শীতকালে গরম জলে স্নান করা আরামদায়ক হলেও বেশি গরম জলে স্নান করলে ত্বক এবং চুলের আর্দ্রতা কমে যায়। চুল হয়ে পড়ে জেল্লাহীন। তাই অতিরিক্ত গরম জল এড়িয়ে ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করুন।

৫. চুলকে সুরক্ষা দিন (বর্ম): ধুলো, ধোঁয়া এবং রোদের তাপ থেকে চুল বাঁচাতে পোশাকের সঙ্গে মানানসই টুপি বা স্কার্ফ পরতে পারেন। চুল খোলা না রেখে সুন্দরভাবে কেশসজ্জা করুন এবং যতটা সম্ভব ধুলো-ময়লা থেকে চুলকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

৬. অতিরিক্ত শ্যাম্পু নয়: চুল পরিষ্কার রাখতে অনেকেই প্রতি দিন শ্যাম্পু করেন। নিয়মিত তেল মাখলেও, সপ্তাহে দু’-তিন দিনের বেশি শ্যাম্পু করা ঠিক নয়। এতে চুলের প্রাকৃতিক তেল বা সিবাম নষ্ট হয়ে যায়।

পুষ্টি ও সতর্কতা

চুল ঝরার সমস্যা কমাতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন, ভিটামিনে সমৃদ্ধ স্বাস্থ্যকর খাবার চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, হরমোনের ভারসাম্যের অভাব ঘটলে, কোনো অসুখ এবং ওষুধের প্রভাবেও চুল ঝরতে পারে। তাই সমস্যার কারণটি খুঁজে বের করে সেইমতো সমাধানের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।


ঠান্ডা-সর্দি-কাশি? ওষুধ নয়, লবঙ্গ চায়েই মিলবে আরাম

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৫ ১৮:৪২:২৫
ঠান্ডা-সর্দি-কাশি? ওষুধ নয়, লবঙ্গ চায়েই মিলবে আরাম
ছবিঃ সংগৃহীত

বর্তমানে অনেকেই সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ ধরনের অসুস্থতায় ঘন ঘন ওষুধ না খেয়ে ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে লবঙ্গ চা পান করতে পারেন। এই চা শ্বাসনালীতে স্বস্তি দেয় এবং একই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে।

লবঙ্গ চা কেন কার্যকর?

লবঙ্গ চা সর্দি-কাশির ওষুধ হিসেবে কাজ করার প্রধান কারণ হলো এতে থাকা ইউজেনল নামক শক্তিশালী অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এই উপাদান:

কফ নিরোধক ও প্রদাহরোধী: ইউজেনল নামক যৌগ কফ দূর করতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমিয়ে কাশি ও সর্দি-কাশির লক্ষণ উপশম করে।

শ্বাসনালীতে স্বস্তি: লবঙ্গ চায়ের উষ্ণ ও সুগন্ধযুক্ত বাষ্প শ্বাসনালীতে প্রশান্তি দেয় এবং শ্বাসপ্রশ্বাসকে সহজ করে তোলে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

লবঙ্গ চা তৈরির সহজ পদ্ধতি

১. একটি পাত্রে এক কাপ পানি নিয়ে তাতে কয়েকটি লবঙ্গ যোগ করুন।

২. পানি ফুটে উঠলে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে চা তৈরি করুন।

৩. চা ছেঁকে নিয়ে হালকা গরম অবস্থায় পান করুন।

৪. প্রয়োজনে স্বাদের জন্য মধু ও অন্যান্য উপকরণ যেমন আদা বা তুলসি পাতা যোগ করতে পারেন।


ব্যর্থতাই সাফল্যের পথ: যে ৭টি কৌশলে হারকে পরিণত করবেন জয়ে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৭:৩০:৪২
ব্যর্থতাই সাফল্যের পথ: যে ৭টি কৌশলে হারকে পরিণত করবেন জয়ে
ছবিঃ সংগৃহীত

সাফল্য পেতে হলে ব্যর্থতার স্বাদ নিতে জানতে হবেই। কারণ প্রতিটি সফল মানুষের জীবনে থাকে ব্যর্থতার গল্প। আর সাফল্য মানেই কিন্তু ধনী হওয়া বা ভালো চাকরি করা নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যর্থতা আসলে শেখা ও উন্নতির এক নতুন সুযোগ। এই ৭টি কৌশল অবলম্বন করলে আপনি আপনার ব্যর্থতাকেই সাফল্যে পরিণত করতে পারবেন।

ব্যর্থতাকে সাফল্যে রূপান্তরের ৭ পদক্ষেপ

১. পরিবর্তনশীল মানসিকতা গড়ে তুলুন: স্থবির মানসিকতা ব্যর্থতাকে নিজের অযোগ্যতার প্রমাণ মনে করে। কিন্তু বিকাশমান এবং পরিবর্তনশীল মানসিকতা ব্যর্থতার চ্যালেঞ্জকে শেখা ও উন্নতির সুযোগ হিসেবে দেখে।

২. নেতিবাচক চিন্তা বদলান: যখন ব্যর্থ হবেন, তখন নিজের সঙ্গে কথা বলার ধরন বদলান। ‘আমি এটা পারি না’ বলার বদলে বলুন ‘আমি এখনো এটা পারিনি’। এই ছোট পরিবর্তন আপনার মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করবে যে পরিশ্রমের মাধ্যমে দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব।

৩. শেখার প্রক্রিয়াকে গ্রহণ করুন: বুঝে নিতে হবে যে আসল শেখা অনেক সময় ভুল থেকেই আসে, আর ব্যর্থতা হলো সাফল্যের পথে একটি প্রয়োজনীয় ও অনিবার্য অংশ।

৪. ব্যর্থতা থেকে বিশ্লেষণ ও শিক্ষা নিন: ব্যর্থতাকে ভুলে যাওয়ার বা উপেক্ষা করার বদলে, সৎ ও নিরপেক্ষভাবে বিশ্লেষণ করুন এর কারণ ও পর্যায়গুলো, যাতে এর ভেতর লুকানো শিক্ষা পাওয়া যায়।

৫. অনুভূতিকে স্বীকার করুন: ব্যর্থতার পর হতাশা, রাগ বা দুঃখ অনুভব করা স্বাভাবিক। এগুলো চেপে রাখা ভালো নয়। যখন মন শান্ত হবে, তখন বিষয়টি ঠান্ডা মাথায় বিশ্লেষণ করতে পারবেন।

৬. মূল কারণ খুঁজে বের করুন: কেন ব্যর্থতা ঘটেছে সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার প্রস্তুতি, পরিকল্পনা বা কাজের ধাপগুলো পর্যালোচনা করুন। কারণটা জানলে ভবিষ্যতে একই ভুল এড়ানো সহজ হবে।

৭. দায়িত্ব নিন: দোষ অন্যের ওপর না চাপিয়ে নিজের ভুল স্বীকার করুন। এটি দৃঢ় মানুষদের বৈশিষ্ট্য। এই মানসিকতা আপনাকে উন্নতির ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে এবং নিজের অগ্রগতির নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করবে।


গ্রিন টির চেয়েও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে যে ৩ চা

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৬:২৮:১৫
গ্রিন টির চেয়েও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট: ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে যে ৩ চা
ছবিঃ সংগৃহীত

গ্রিন টি-র জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে। অনেকেই মনে করেন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মানেই গ্রিন টি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন কিছু চা রয়েছে, যেগুলোতে গ্রিন টির থেকেও বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এই বিশেষ উপাদান শরীরের কোষকে বয়সের ছাপ থেকে রক্ষা করে এবং ত্বকে ধরে রাখে তারুণ্যের দীপ্তি।

‘ম্যাজিকাল’ ৩ চা ও তাদের উপকারিতা

পুষ্টিবিদরা বলছেন, দিনে এক থেকে দুই কাপ এই চাগুলো পান করলে শরীরের ভেতরের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং মনও প্রশান্ত থাকে।

১. হোয়াইট টি: এই চা তৈরি হয় সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে, তাই এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পরিমাণ গ্রিন টি-র থেকেও বেশি।

উপকারিতা: নিয়মিত পান করলে এটি কোষের বার্ধক্য কমায়, ত্বক উজ্জ্বল রাখে এবং রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে। হোয়াইট টি-র স্বাদ খুবই হালকা এবং দেখতে প্রায় জলের মতো।

২. জবা চা (Hibiscus Tea): রক্তিম এই চা তৈরি হয় জবা ফুলের পাপড়ি দিয়ে। এতে থাকে ফ্ল্যাভোনয়েডস ও অ্যান্থোসায়ানিন—দুই শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

উপকারিতা: এই চা শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং লিভারের কার্যকারিতাও বাড়ায়। এটি গরম বা ঠান্ডা—দুইভাবেই খাওয়া যায়।

৩. মাচা টি (Matcha Tea): সবুজ রঙা মাচা বর্তমানে স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে নতুন প্রিয় পানীয়।

উপকারিতা: গবেষণায় দেখা গেছে, মাচা চায়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভনয়েড ও ক্যাটেচিন, যা কোষের ক্ষয় রোধ করে, ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি ক্যানসার প্রতিরোধে এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখতেও সহায়ক।

কেন এই চাগুলো খাবেন?

পুষ্টিবিদদের মতে, এই চাগুলো একাধিক স্বাস্থ্য সুবিধা দেয়:

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের টক্সিন দূর করে।

ত্বকের বয়স বাড়ার প্রক্রিয়া ধীর করে।

হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়।

স্ট্রেস কমায় ও মনকে প্রশান্ত রাখে।


রাশিফল: ১৪ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৪ ১৪:৫১:৫০
রাশিফল: ১৪ অক্টোবর দিনটি আপনার জন্য কেমন যাবে?
ছবিঃ সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে। আজ ১৪ অক্টোবর, ২০২৫ দিনটি আপনার জন্য কেমন হতে পারে, কীভাবে সামলাবেন জীবন ও কাজের চ্যালেঞ্জগুলো, তা জানতে পড়ুন আজকের রাশিফল।

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): আপনার কাজে অন্যদের প্রশংসা পাবেন। প্রিয় মানুষের সঙ্গে আলোচনায় স্বস্তি পাবেন। কারো সহযোগিতায় উপকার হবে। চাকরিজীবীর পদস্থদের সুনজরে থাকবেন। জীবনের প্রতি উদার দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন। যেকোনো সিদ্ধান্তে স্থির থাকুন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে): নতুন যোগাযোগে সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য নিয়ে এগোতে পারবেন। ব্যবসায় ভালো সুযোগ আসতে পারে। সাহসী পদক্ষেপে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করুন। ভালো ব্যবহার দিয়ে কাজ আদায় করার চেষ্টা করুন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন): কোনো যোগাযোগ অর্থাগমের পথ দেখাবে। প্রত্যাশা পূরণে বাধাবিপত্তি দূর হবে। আয়ের ক্ষেত্রে পূর্বের তুলনায় অনুকূল অবস্থা থাকবে। লেনদেনে আবেগ পরিহার করতে হবে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে আলস্যের প্রশ্রয় দেবেন না।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই): কোনো কাজ করে মানসিক শান্তি পেতে পারেন। অতীতের কোনো কাজের সুফল এখন পেতে পারেন। নিরলসভাবে কাজ করুন। সঠিক প্রচেষ্টায় ভালো ফল পাবেন। মনের স্থিরতা বজায় রাখুন। ভালো থাকুন।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট): কোনো শুভ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ব্যয় চাপ থাকবে। অযথা উৎকণ্ঠা বিরাজ করতে পারে। কারো সাহচর্যে আনন্দ পাবেন। সমস্যা সমাধানে নিজ বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগান। কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না।

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর): আজ আপনার মধ্যে উদ্যম ও ইতিবাচক মনোভাব থাকবে, যা আপনার চারপাশের মানুষদেরও প্রভাবিত করবে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে উষ্ণতা থাকবে। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করুন। লক্ষ্য অর্জনের কোনো সুযোগ ছাড়বেন না।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর): আজ কাজের ব্যস্ততা থাকবে। ব্যবসায় উল্লেখযোগ্য উন্নতির সম্ভাবনা। আটকে থাকা টাকা উদ্ধার হতে পারে। ব্যক্তিগত জীবনে অতিরিক্ত প্রত্যাশা করবেন না। দীর্ঘদিনের কোনো পরিকল্পনায় পরিবর্তন আসতে পারে।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর): আজ আপনি একটি উদার ও সুন্দর মেজাজে নিজেকে খুঁজে পাবেন। উন্নতির ক্ষেত্রে অন্যের সহযোগিতা পাবেন। মানসিক অস্থিরতা অনেকটা কমবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে সাবধান। লক্ষ্যে স্থির থাকুন। সময় আপনার পক্ষে থাকবে।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর): কর্মক্ষেত্রে মন্দাভাব কেটে যাবে। ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা আছে। প্রিয়জনের শরীর ভালো যাবে না। সন্তানের জন্য ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখুন। পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি): ইচ্ছানুসারে কাজ করার সুযোগ পাবেন। যেকোনো পরিস্থিতিতে গ্রহণযোগ্য ধ্যান-ধারণা পেশ করতে পারবেন। সাফল্য লাভের জন্য কুশলী ও ডিপ্লোম্যাটিক হতে হবে। নিজের ওপর আস্থা রাখুন। সুস্থ থাকুন।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): কোনো পরিকল্পনায় বিলম্বিত হতে পারে। কাজে ভুল হওয়ার আশঙ্কা। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাড়বে। কোনো কিছু নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে পারেন। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিতর্ক এড়িয়ে চলুন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): অপ্রত্যাশিত প্রাপ্তির সম্ভাবনা। কোনো প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হবেন। অন্যরা আপনার ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্বের প্রতি ভালো প্রতিক্রিয়া জানাবে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে একটি সৃজনশীল প্রকল্পে কাজ করার কথা বিবেচনা করুন।

পাঠকের মতামত: