অকারণে মন খারাপ? ঘরে বসেই মানসিক চাপ কমানোর ছয়টি উপায়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ০৮ ১৫:৫১:০০
অকারণে মন খারাপ? ঘরে বসেই মানসিক চাপ কমানোর ছয়টি উপায়

অফিসের চাপ, আর্থিক টানাপোড়েন, সংসারের ব্যস্ততা কিংবা শারীরিক অসুস্থতা—এসব কারণে হঠাৎ করেই মন খারাপ হয়ে যেতে পারে। যখন মন খারাপ থাকে, কাজ করার মনোবল থাকে না, আর মনও বসে না। এমন পরিস্থিতিতে কিছু অভ্যাস মেনে চললে মানসিক চাপ কমানো সম্ভব এবং মনকে ফুরফুরে রাখা যায়।

১. মুক্ত বাতাসে সময় কাটান

বদ্ধ পরিবেশ শারীরিক ও মানসিক অস্বস্তি বাড়ায়। মাথায় চিন্তার ভার থাকলে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করুন। হাঁটা বা জগিংয়ের মতো ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং মনকে সতেজ করে।

২. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

শরীর ডিহাইড্রেটেড হলে শারীরিক অস্বস্তি হয়। অ্যাংজাইটি বা প্যানিক অ্যাটাকের সময় এক গ্লাস পানি পান করলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।

৩. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন

সময়সাপেক্ষ হলেও নিয়মিত শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করতে পারেন। এটি মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর।

৪. নিজের ঘর সাজান

নিজের ঘর বা পড়ার ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নতুন করে সাজালে মন ভালো থাকে। প্রয়োজনে আসবাবপত্রের বিন্যাস পরিবর্তন করুন। ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস নিশ্চিত করুন।

৫. পছন্দের গান শুনুন

মন খারাপের সময় ‘স্যাড’ গান না শুনে এমন গান শুনুন যা মন ভালো করে, কাজের এনার্জি বাড়ায়। প্রয়োজনে ভালো সিরিজ বা সিনেমা দেখতে পারেন। গল্পের বই পড়াও মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৬. বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলুন

মনের কথাগুলো কাউকে বলার জন্য উপযুক্ত না মনে হলে ডায়েরিতে লিখে ফেলুন। অথবা কাছের বন্ধু বা পরিবারের কারো সঙ্গে ফোনে কথা বলুন। এতে মন হালকা হয়, যদিও সমস্যা সমাধান না হলেও মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়।


নামিদামি ক্রিম নয় বরং গরম পানির ভাপেই মিলবে শীতের শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ২১:১০:২০
নামিদামি ক্রিম নয় বরং গরম পানির ভাপেই মিলবে শীতের শুষ্ক ত্বক থেকে মুক্তি
ছবি : সংগৃহীত

শীতকালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা কয়েকগুণ বেড়ে যায় এবং যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে এই সময়ে তাদের ত্বকের সমস্যা আরও গুরুতর আকার ধারণ করে। দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস বা থাইরয়েডের মতো রোগ থাকলে ত্বক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তার ওপর শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বক থেকে পানির পরিমাণ অনেকটাই কমে যায় এবং ঠান্ডার কারণে পানি খাওয়ার পরিমাণও হ্রাস পায়। এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে মুখের ত্বকে যার ফলে জেল্লা হারিয়ে যায় এবং শুরু হয় জ্বালাভাব ও রুক্ষতা। এমনকি বাজারের নামিদামি প্রসাধন ব্যবহার করেও অনেক সময় ত্বকের সঠিক সুরক্ষা মেলে না।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এই সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে গরম পানির ভাপ বা স্টিম থেরাপি। নিয়মিত গরম পানির ভাপ নিলে শুধু ফুসফুসের সংক্রমণ প্রতিরোধ হয় না বরং ত্বকের নানা সমস্যাও দূর হয়। উজ্জ্বল ত্বকের জন্য কেন ভাপ নেওয়া জরুরি তা নিচে আলোচনা করা হলো।

শীতে ত্বক আর্দ্র রাখা অত্যন্ত জরুরি। স্টিমিং থেরাপি ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখতে দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখে। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে ফেস স্টিমিং করলে তা ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে এবং ত্বক নরম ও কোমল হয়। এছাড়া স্টিমিং থেরাপি মুখের ত্বকের রন্ধ্র খুলে দেয় এবং মৃত কোষ ও ময়লা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত গরম পানির ভাপ নিলে সেগুলো নরম হয়ে যায় এবং সহজেই পরিষ্কার করা সম্ভব হয়।

শীতের সময়ে ত্বক সাধারণত নিস্তেজ ও ক্লান্ত দেখায়। স্টিম থেরাপি মুখের রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। এর ফলে ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ে এবং স্বাভাবিক জেল্লা ফিরে আসে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের চামড়া কুঁচকে যাওয়া বা অল্প বয়সেই মুখে বয়সের ছাপ পড়ার সমস্যা সমাধানেও এটি কার্যকর। নিয়মিত ভাপ নিলে ত্বকে কোলাজেন ও এলাস্টিন উৎপাদন বৃদ্ধি পায় যা ত্বককে মসৃণ ও টানটান রাখতে সাহায্য করে।

ব্রণের সমস্যা থাকলে গরম পানির মধ্যে নিমপাতা দিয়ে ভাপ নেওয়া বেশ উপকারী। আবার ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনতে গরম পানির মধ্যে এক চামচ হলুদ মিশিয়ে ভাপ নিলে ভালো ফল পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে শীতকালে ত্বকের নিয়মিত যত্ন এবং পর্যাপ্ত পানি পান ও গরম পানির ভাপ নেওয়ার অভ্যাস ত্বককে সুস্থ উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।


কীভাবে দেহ তাপমাত্রা ঠিক রাখে জানুন বিস্তারিত

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৮ ১০:১৫:৪৫
কীভাবে দেহ তাপমাত্রা ঠিক রাখে জানুন বিস্তারিত
ছবি: সংগৃহীত

মানুষসহ সকল স্তন্যপায়ী প্রাণীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো উষ্ণ রক্তধারী হওয়া। অর্থাৎ, পরিবেশের তাপমাত্রা পরিবর্তিত হলেও দেহ তার অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রাকে প্রায় স্থির রাখে। এই অবিশ্বাস্য ক্ষমতা গড়ে তোলে হোমিওস্টেসিস একটি স্বয়ংক্রিয় জৈব-ব্যবস্থা যা দেহকে স্থিতিশীল অবস্থায় ধরে রাখতে নানা সমন্বিত প্রক্রিয়া পরিচালনা করে।

মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৯৮.৬°F)। তবে আবহাওয়া, হরমোনের ওঠানামা, বিপাকক্রিয়া বা অসুস্থতা তাপমাত্রায় পরিবর্তন আনতে পারে। অত্যধিক গরম বা ঠান্ডা দুই-ই দেহের জীবনীশক্তিকে বিপন্ন করতে পারে। তাই দেহ প্রতিটি পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে নিজের তাপমাত্রা ঠিক রাখার চেষ্টা করে।

দেহের এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পরিচালনা করে মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস। স্নায়ুতন্ত্র এবং রক্তসংবহন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ থেকে পাওয়া সংকেত বিশ্লেষণ করে হাইপোথ্যালামাস শ্বাস-প্রশ্বাসের হার, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা এবং বিপাকক্রিয়ার গতি সামঞ্জস্য করে। এতে দেহ প্রয়োজন অনুযায়ী তাপ বাড়ায় বা কমায়।

তাপমাত্রা বেশি হলে দেহ পেশির কাজ কমায়, ঘাম উৎপন্ন করে এবং চামড়ার কাছে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় যেন তাপ বাইরে বেরিয়ে যেতে পারে। অপরদিকে, ঠান্ডা অনুভূত হলে দেহ রক্ত সঞ্চালন কমিয়ে দেয়, মেদস্তরের মাধ্যমে তাপ ধরে রাখে এবং প্রয়োজনে কাঁপুনি বা শিভারিংয়ের মাধ্যমে তাপ উৎপন্ন করে।

এই সমন্বিত প্রক্রিয়াগুলোর মাধ্যমে দেহ একটি স্থিতিশীল “হোমিওস্ট্যাটিক প্লাটো” বজায় রাখে। তাপমাত্রা দুই চরম সীমার যেকোনো একটির দিকে গেলে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া (negative feedback) প্রক্রিয়া সক্রিয় হয়ে দেহকে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরায়।

জীবন রক্ষায় এই সূক্ষ্ম জৈব-ব্যবস্থার ভূমিকা অপরিসীম এটি ছাড়া মানুষ পরিবেশগত পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সক্ষম হতো না।

সূত্র: ব্রিটানিকা


মস্তিষ্কের শক্তি ও পড়াশোনায় অদম্য মনোযোগ বাড়ানোর ৯টি সহজ কৌশল

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ২১:২৪:৪৪
মস্তিষ্কের শক্তি ও পড়াশোনায় অদম্য মনোযোগ বাড়ানোর ৯টি সহজ কৌশল
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ সময় পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখা অনেকের কাছেই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। কিছুক্ষণ পড়ার পরই মাথা ভার হয়ে যায় তথ্য মনে থাকে না আর ক্লান্তিতে মনোযোগ ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন শরীরচর্চার মতোই মস্তিষ্কও সঠিক যত্ন পেলে শক্তি পায় এবং শেখার ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে যায়। কিছু সহজ অভ্যাস মেনে চললেই পড়াশোনার সময় মস্তিষ্ককে সতেজ ও সক্রিয় রাখা সম্ভব। এতে শুধু মনোযোগ বাড়ে না স্মৃতিশক্তিও আরও ধারালো হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই ৯টি সহজ উপায়।

১. পড়ার আগে মস্তিষ্ককে ওয়ার্ম আপ করান

ব্যায়ামের আগে যেমন শরীর গরম করতে হয় তেমনি পড়ার শুরুতেই মস্তিষ্ককে একটু চাঙ্গা করে নেওয়া জরুরি। ছোট ধাঁধা সমাধান করা বা আগের দিনের লেসন রিভিউ করা অথবা দ্রুত কোনো ব্রেইন টাস্ক করলে মস্তিষ্ক প্রস্তুত হয় এবং নতুন তথ্য নিতে আরও সক্ষম হয়।

২. পুষ্টিকর স্ন্যাকস দিয়ে মস্তিষ্কে জ্বালানি দিন

খালি পেটে মনোযোগ দেওয়া কঠিন। তাই পড়ার ফাঁকে বাদাম ফল দই ওটস বা হোলগ্রেইন স্ন্যাকস মস্তিষ্কে তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায়। এগুলো মনোযোগ ধরে রাখে মানসিক ক্লান্তি কমায় এবং স্মৃতি শক্তিশালী করে।

৩. ছোট বিরতিতে শরীর নড়াচড়া করুন

একটানা বসে না থেকে পড়ার ফাঁকে দুই মিনিট হাঁটা স্ট্রেচিং বা হালকা ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়। এতে মনোযোগ বাড়ে এবং সৃজনশীলতা জাগে যার ফলে মাথা সতেজ থাকে।

৪. কঠিন বিষয়গুলো দৃশ্যমান করে তুলুন

শুধু মুখস্থ না করে নোটগুলোকে চার্ট ডায়াগ্রাম বা মাইন্ডম্যাপে সাজালে তথ্য অনেক দ্রুত মস্তিষ্কে স্থায়ী হয়। ভিজ্যুয়াল শেখা বা দেখে শেখা স্মৃতিকে আরও শক্তিশালী করে।

৫. নিজেকে পরীক্ষা করে শেখা শক্তিশালী করুন

একটানা নোট পড়ার বদলে নিজের কাছেই ছোট কুইজ নিন। এতে মস্তিষ্ক তথ্য রিট্রিভ করতে বা মনে করতে শেখে এবং তা দীর্ঘমেয়াদী স্মৃতিতে জোরালো হয়।

৬. পর্যাপ্ত পানি পান করে মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখুন

ডিহাইড্রেটেড বা পানিশূন্য অবস্থায় মনোযোগ অর্ধেক কমে যায়। তাই পড়ার টেবিলে পানির বোতল রাখা জরুরি। নিয়মিত পানি পান করলে মস্তিষ্ক সতেজ থাকে ক্লান্তি কমে এবং মনোযোগ বাড়ে।

৭. কঠিন বিষয়গুলো সকালে পড়ুন

সকালে মস্তিষ্ক সবচেয়ে সতেজ থাকে। তাই দিনের শুরুতেই সবচেয়ে জটিল অধ্যায় নতুন ধারণা বা কঠিন বিষয়গুলো মোকাবিলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

৮. পড়াশোনার জায়গাটি মনোযোগের উপযোগী করুন

পরিচ্ছন্ন নীরব এবং আলো বাতাসযুক্ত পরিবেশ মস্তিষ্ককে ফোকাস ধরে রাখতে সাহায্য করে। ডেস্কে অপ্রয়োজনীয় কিছু না রাখলে ফোকাস বাড়ে।

৯. শান্ত ও সৃজনশীল পরিবেশ তৈরি করুন

ডিসট্র্যাকশন বা মনোযোগ ভঙ্গের কারণ যত কম হবে মনোযোগ তত বাড়বে। প্রয়োজন হলে হালকা ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড ভালো আলো এবং আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা মনোযোগ বজায় রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

এই সহজ কৌশলগুলো নিয়মিত অনুশীলন করলে পড়াশোনায় মনোযোগ স্মৃতিশক্তি এবং শেখার শক্তি সবই কয়েকগুণ বেড়ে যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মস্তিষ্ক যত ভালো থাকবে শেখার ক্ষমতাও তত শক্তিশালী হবে।


আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৭ ০৯:২৭:০২
আজকের রাশিফল: ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
ছবি : সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ রোজ রবিবার। আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ রাশি অধিপতি বৃহস্পতি বিঘ্ন সৃষ্টিকারী গ্রহ কেতু ও গ্রহপিতা রবির প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে বৃশ্চিক রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। আজকের দিনে সঞ্চয়ী মিতব্যয়ী ও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ধৈর্য সাহস ও মনোবল বাড়বে এবং দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ সচল হবে।

রাশি অনুযায়ী আজকের (৭ ডিসেম্বর) পূর্বাভাস

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]

হাত বাড়ালেই নিত্যনতুন সুযোগ এসে হাজির হবে। দুর্যোগের মেঘ সরে গিয়ে সুদিনের সূর্য উদিত হবে। পিতা মাতার স্বাস্থ্য ভালোর দিকে যাবে এবং গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্রের পসরা সাজবে। মন সুর সংগীতের প্রতি ঝুঁকবে তবে স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]

টাকা পয়সা হাতে আসার আগে খরচের খাত তৈরি হবে। অংশীদারদের সঙ্গে মতানৈক্য চলতে পারে এবং ব্যবসায় মন্দা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দাম্পত্য কলহ সামাজিক কলহে পরিণত হতে পারে। রাগ জেদ ও হঠকারী সিদ্ধান্ত ঘাতক প্রমাণিত হবে। নেশা ও দুই নম্বরি কাজবাজ থেকে বিরত থাকুন।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন]

দীর্ঘদিনের আটকে থাকা কাজ সচল হবে এবং দূর থেকে শুভ সংবাদ আসবে। সন্তানদের ক্যারিয়ার অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্য চমকে দেবে। শিক্ষার্থীদের মনোবাসনা পূরণ হবে এবং সব মিলিয়ে রাজকীয় দিন উপভোগ করবেন। মামলা মোকদ্দমায় জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]

জীবিকা অর্জনের ভিত মজবুত হবে। কর্মের সুনাম যশ ও পদোন্নতির পথ সুগম করবে। বাণিজ্যিক স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে এবং বিদেশ গমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে। দাম্পত্য ঐক্য বজায় থাকবে এবং মন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]

ডাকযোগে প্রাপ্ত সংবাদ বেকারদের মুখে হাসির ঝলক ফোটাবে। নতুন গৃহবাড়ি ও যানবাহন ক্রয়ের স্বপ্ন আলোর মুখ দর্শন করবে। রাগ জেদ অহংকার ও আবেগ বর্জন করুন। পিতা মাতা ও গুরুজনদের সহযোগিতা পাবেন এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি হবে।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]

আশ্রিত ও প্রতিপালিত ব্যক্তি থেকে সতর্ক থাকুন। কর্মস্থলে অশান্তির পরিবেশ বিরাজ করতে পারে। আয় বুঝে ব্যয় করুন নচেৎ সঞ্চয়ে হাত পড়বে। সন্তানদের আচরণ মনোবেদনার কারণ হতে পারে। ব্যবসায় মন্দাভাব বিরাজ করবে।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]

নিত্যনতুন প্ল্যান প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত হবে। শ্রম প্রযুক্তি কৌশল ও অধ্যবসায় জাগ্রত হবে। প্রেমীযুগলের জন্য দিনটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে এবং সপরিবারে কাছেপিঠে ভ্রমণে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিবাহযোগ্যদের মুখে হাসির ঝলক ফুটবে।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]

শ্রমিক কর্মচারীদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। না বুঝে চুক্তি সম্পাদন ও বিনিয়োগ ঘাতক হতে পারে। আগুন বিদ্যুৎ ও দ্বিচক্রযান বর্জন করুন। দীর্ঘদিনের ভোগ্য ব্যাধিপীড়া থেকে পরিত্রাণ পাবেন। শিক্ষার্থীদের মন ফেসবুক ইউটিউব ও প্রেম প্রসঙ্গে আকৃষ্ট থাকবে।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]

সঞ্চয়ের গ্রাফ চাঙা হবে এবং গৃহবাড়িতে নতুন মুখের আগমন ঘটবে। কর্ম ও ব্যবসায় বাড়তি দায়িত্ব পাবেন। শিক্ষার্থীদের জীবন ধন্য হবে এবং পিতা মাতার স্বাস্থ্য ভালোর দিকে যাবে। মন ধর্মের প্রতি ঝুঁকবে এবং বিদেশ গমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]

দাম্পত্য সুখশান্তি বজায় রাখা কঠিন হবে। অংশীদারি ব্যবসা আলাদা করার উপক্রম তৈরি হতে পারে। অর্থকড়ির ব্যাপারে কাউকে অধিক বিশ্বাস করা ঠিক হবে না। প্রেমীযুগলের মনে অভিমান দানা বাঁধবে তবে সন্তানরা আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]

রাগ জেদ অহংকার ও আবেগ বর্জন করুন। বাণিজ্যিক সফর লাভদায়ক হবে। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর থাকবে। ক্যারিয়ার ব্যবসা ও অর্থভাগ্য চমকে দেবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষ পরাস্ত হবে। প্রেম বন্ধুত্ব ও ভ্রমণ মাইলফলক হয়ে থাকবে।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]

হাত বাড়ালেই নিত্যনতুন সুযোগ আসবে এবং শূন্য পকেট পূর্ণ হবে। হারানো ধনসম্পদ ও সম্পত্তি প্রাপ্তির পথ খুলবে। ধারকর্জ ও ঋণমুক্তির পথ প্রশস্ত হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হবে। গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালঙ্কার আসবে।


ওষুধ ছাড়াই বুকজ্বালা কমাতে পারে রান্নাঘরের যে ৪টি সাধারণ পানীয়

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ২১:৫৩:২২
ওষুধ ছাড়াই বুকজ্বালা কমাতে পারে রান্নাঘরের যে ৪টি সাধারণ পানীয়
ছবি : সংগৃহীত

ভারী খাবারের পর বুকজ্বালা রাতে মুখে টক স্বাদ ওঠা কিংবা বারবার বদহজমের মতো সমস্যাকে অনেকেই তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন না। অথচ বিশেষজ্ঞদের মতে এগুলোই অ্যাসিড বুকজ্বালা বা জিইআরডির সাধারণ লক্ষণ। ওষুধ অবশ্যই কাজ করে কিন্তু সামান্য কিছু স্বাভাবিক পরিবর্তন বিশেষ করে পানীয় নির্বাচনে সচেতনতা অনেক সময় ওষুধের আগেই উপশম এনে দিতে পারে।

গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টরা বলছেন বুকজ্বালা কমানোর ক্ষেত্রে চারটি সাধারণ ও প্রাকৃতিক পানীয়ই বহু মানুষের জন্য কার্যকর সমাধান হতে পারে। এর মধ্যে অ্যালোভেরা বা পেঁপের রস পাচনতন্ত্রকে শান্ত করতে বিশেষ সহায়ক হিসেবে কাজ করে। বিকল্প চিকিৎসায় অ্যালোভেরার ব্যবহার বহুদিনের এবং পাকা পেঁপে বা তার রস পাকস্থলীর অম্লতা কমাতে সাহায্য করে। ২০২৩ সালের এক গবেষণায় বলা হয় অ্যালোভেরা কিংবা পেঁপের রস খাদ্যনালির আবরণকে শান্ত রাখতে এবং অ্যাসিডের প্রভাব কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। বিশেষজ্ঞরা খাবারের পর প্রায় ১০০ মিলিলিটার চিনি ছাড়া অ্যালোভেরা জুস পান করার পরামর্শ দেন। তবে অতিরিক্ত মিষ্টিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলা প্রয়োজন কারণ এগুলো বুকজ্বালা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

আদা চা বুকজ্বালা কমানোর আরেকটি পরীক্ষিত উপায়। আদার প্রদাহনাশক গুণ বমি ভাব কমায় এবং হজমপ্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে আদাভিত্তিক প্রাকৃতিক উপাদান হজমনালি সুরক্ষিত রাখতে এবং অ্যাসিড নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। এক কাপ আদা চা তৈরির জন্য এক চা চামচ তাজা আদা গরম পানিতে পাঁচ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খাবারের পরে ধীরে ধীরে পান করা যেতে পারে। তবে যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ সেবন করেন তাদের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা দরকার।

বুকজ্বালায় ভোগা অনেকেই জানেন না যে পুরো চর্বিযুক্ত গরুর দুধ বা ফুল ফ্যাট ডেইরি পণ্য সমস্যা আরও বাড়াতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞরা বাদাম ওট বা ফ্ল্যাক্স দুধের মতো উদ্ভিদভিত্তিক দুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এসব দুধ কম অম্লীয় এবং হজমে সহজ। গবেষণায় দেখা গেছে উচ্চ চর্বিযুক্ত দুগ্ধজাত খাবারের পরিবর্তে এসব দুধ ব্যবহার করলে বুকজ্বালার তীব্রতা কমে। সকালে কফির পরিবর্তে বাদাম বা ওট দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। স্মুদিতেও এটি ভালোভাবে ব্যবহার করা যায় তবে চিনি বা সাইট্রাস ফল না দেওয়াই ভালো।

ক্ষারধর্মী মিনারেল ওয়াটার বা কম অম্লীয় পানি পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড নিরাময় করতে সক্ষম। ২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে বাইকার্বনেটসমৃদ্ধ মিনারেল ওয়াটার নিয়মিত পান করলে বুকজ্বালা ও অম্লতার পুনরাবৃত্তি কমে। দিনে প্রায় ৫০০ মিলিলিটার ধীরে ধীরে পান করার পাশাপাশি ভারী খাবারের পর ২৫০ থেকে ৩০০ মিলিলিটার পান করলে উপকার মেলে। চিকিৎসকদের মতে এসব প্রাকৃতিক পানীয় শুধু উপশমই দেয় না বরং আধুনিক জিইআরডি চিকিৎসার অংশ হিসেবে জীবনযাপনের পরিবর্তনের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০২৪ সালের এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় বলা হয় খাবারের সময় শোয়ার ভঙ্গি এবং পানীয় নির্বাচনের মতো অভ্যাস ওষুধের পাশাপাশি বুকজ্বালা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

তবে এসব পানীয় কোনোভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। সপ্তাহে দুইবারের বেশি বুকজ্বালা হলে কিংবা রাতে বুকে জ্বালাপোড়ায় ঘুম ভেঙে গেলে দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসাহীন বুকজ্বালা দীর্ঘমেয়াদে খাদ্যনালির প্রদাহ বা ব্যারেটস ইসোফেগাসের মতো জটিলতা তৈরি করতে পারে। বুকে জ্বালাপোড়ায় অতিষ্ঠ হলে ওষুধের ওপর পুরোপুরি নির্ভর না থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপনে চারটি পানীয় অ্যালোভেরা বা পেঁপের রস আদা চা বাদাম দুধ এবং ক্ষারধর্মী পানি যোগ করতে পারেন। নিয়মিত অভ্যাসে অনেকেই দেখবেন বুকজ্বালা কমছে এবং ওষুধের প্রয়োজনও কমে আসছে।


দামি উপহার নয় বরং ছোট ছোট যত্নই যেভাবে গভীর করে ভালোবাসার সম্পর্ক

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ১২:০৫:২৫
দামি উপহার নয় বরং ছোট ছোট যত্নই যেভাবে গভীর করে ভালোবাসার সম্পর্ক
ছবি : সংগৃহীত

প্রিয় মানুষকে খুশি রাখার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। কারণ প্রিয়জনকে হাসিখুশি এবং প্রশান্তিতে রাখতে পারলে জীবন হয়ে ওঠে আনন্দের। কারো প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতে হলে আপনাকে অবশ্যই হতে হবে আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং একই সঙ্গে হৃদয়বান। এমনি এমনিই তো আর আপনার সঙ্গী আপনাকে ভালোবাসবে না বরং তাঁকে ভালোবাসার অদৃশ্য সুতায় বন্দি করে রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা এবং মনোবিজ্ঞানীরা সঙ্গীকে সারাজীবন প্রেমের জালে বন্দি রাখার কিছু বিশেষ কৌশলের কথা বলেছেন।

সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে সবার আগে তাঁর সুবিধা অসুবিধার দিকে খেয়াল রাখা উচিত। সঙ্গী কী খাবে কখন ঘুমাবে খিদে পেয়েছে কি না বা ক্লান্ত কি না এসব বিষয়ের নজর রাখাটা জরুরি। প্রতিদিনের একটু একটু আদর যত্নই ভালোবাসা বাড়িয়ে দেয় অনেক খানি। তাই জীবন সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে প্রতিদিন তাঁর ছোটখাটো বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। এছাড়া উপহার কে না ভালোবাসে। পৃথিবীর সব মানুষই জীবন সঙ্গীর কাছ থেকে উপহার আশা করে। বিশেষ দিনে তো বটেই সাধারণ দিনগুলোতেও মাঝে মধ্যে কিছু একটা কিনে আনা উচিত। উপহার দামি হওয়া জরুরি নয় তবে তার মাঝে থাকতে হবে ভালোবাসার ছোঁয়া। আর কিছু না হোক একটি ফুল দিয়েও চমকে দেওয়া যায়।

নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার কোনো বিকল্প নেই কারণ নিজেকে ভালোবাসলে তবেই আপনি অন্যকে ভালো রাখতে পারবেন। তাই প্রতিনিয়তই নিজের যত্ন নিন এবং জীবন সঙ্গীর পছন্দের সুন্দর পোশাক পরুন ও সুগন্ধি ব্যবহার করুন। নিজেকে গুছিয়ে রাখলে সঙ্গীর মন জিতে নেওয়া খুব সহজ হয়। একটি মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানে নতুন একটি পরিবারের সঙ্গে আত্মীয়তা হওয়া। তাই সঙ্গীর মন জিতে নিতে চাইলে তাঁর পরিবারের সুবিধা অসুবিধার দিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি। তাঁদের বিপদে আপদে সব সময় সাহায্য করলে সঙ্গীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা অর্জন করা যায়।

মনে রাখা জরুরি যে একজন মানুষকে জীবন সঙ্গী করা মানেই তাঁর জীবনের সমস্ত স্বাধীনতা ছিনিয়ে নেওয়া নয়। জীবন সঙ্গীকে যথেষ্ট পরিমাণে স্বাধীনতা দেওয়া উচিত এবং তাঁকে তাঁর নিজস্ব জগতটা উপভোগ করতে দেওয়া প্রয়োজন। সারাক্ষণ পিছে পিছে না থেকে তাঁকে তাঁর মতো করে সময় কাটাতে দিলে সম্পর্কের বাঁধন আরও শক্ত হয়। এছাড়া সম্পর্ক মানেই নিজেকে উজাড় করে দেওয়া নয়। সঙ্গীর কাছে নিজের ব্যক্তিত্বকে উজাড় করে দিলে একটা সময়ের পর সঙ্গী একঘেয়ে বোধ করতে পারেন। তাই সঙ্গীর সঙ্গে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখুন এবং অতিরিক্ত নির্ভরশীল না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হোন যা আপনার সঙ্গীকে মুগ্ধ করবে।


আজকের রাশিফল: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৬ ০৯:৪২:০৫
আজকের রাশিফল: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
ছবি : সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৬ ডিসেম্বর ২০২৫ রোজ শনিবার। আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্যমতে আপনি ধনু রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ অঙ্গীরাজপুত্র বৃহস্পতি প্রেমের দেবতা শুক্রাচার্য ও ভূমিপুত্র মঙ্গলের প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে বৃষ রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। আজকের দিনে প্রতিযোগিতায় জয়ী হওয়ার এবং হারানো বুকের ধন ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বিবাহযোগ্যদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ থাকবে তবে কর্ম ও ব্যবসাবাণিজ্যে ঝুঁকি নেওয়া চলবে না। ভাইবোনদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মিটবে।

রাশি অনুযায়ী আজকের (৬ ডিসেম্বর) পূর্বাভাস

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]

ভাইবোনদের সঙ্গে সম্প্রীতির মেলবন্ধন রচিত হবে। সফলতার চাবি আজ আপনার হাতের মুঠোয় থাকবে। ধৈর্য সাহস ও মনোবল পূর্ণ এক রাজকীয় দিন উপভোগ করবেন। সঞ্চয়ের গ্রাফ চাঙা হবে এবং প্রেম রোমান্স বিনোদন ও ভ্রমণ শুভ হবে।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]

গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্রের পসরা সাজবে। কর্ম ও ব্যবসায় লাগাতার উন্নতি করবেন এবং শিক্ষার্থীদের জীবন ধন্য হবে। ধারকর্জ বা ঋণমুক্ত হবেন এবং শূন্য পকেট পূর্ণ হবে। বিবাহযোগ্যদের বিবাহের সানাই বাজবে। প্রেম বন্ধুত্ব ও ভ্রমণ শুভ।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন]

গৃহবাড়ি ও যানবাহন বদলের পথ খুলবে। ভাগ্যলক্ষ্মীর কৃপা বর্ষিত হবে এবং ধীরে ধীরে দুর্যোগ কাটতে আরম্ভ করবে। নিত্যনতুন স্বপ্ন পূরণ হবে এবং জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ মিটবে। পরিবারের ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]

মামলা মোকদ্দমার রায় বিপক্ষে যেতে পারে। আয় অপেক্ষা ব্যয় বেশি হওয়ায় সঞ্চয়ে হাত পড়বে। শিক্ষার্থীদের মন ভেঙে দিতে পারে এবং দূর থেকে কোনো অপ্রিয় সংবাদ আসতে পারে। দাম্পত্য সুখশান্তি বজায় রাখা কঠিন হবে এবং প্রেমীযুগলকে সাবধানে চলতে হবে।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]

গৃহবাড়িতে মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান হবে। ব্যবসায় মজুতমালের দাম বৃদ্ধি পাবে এবং দূর থেকে কোনো শুভ সংবাদ আসবে। নিঃসন্তান দম্পতির কোল আলোকিত হবে এবং প্রাপ্তির খাতা পূর্ণ হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হবে।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]

কর্মপ্রত্যাশীদের মুখে হাসির ঝলক ফুটবে। বাণিজ্যিক সফর লাভদায়ক হবে। স্বাস্থ্যগত ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। ভ্রমণকালীন পরিচয় আত্মীয়তায় রূপ নিতে পারে। লটারি জুয়া রেস বা শেয়ার হাউজিং এড়িয়ে চলুন। সন্তানগণ আজ্ঞাবহ হয়ে থাকবে।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]

রাগ জেদ অহংকার ও আবেগ বর্জন করুন। দাম্পত্য সুখ ও ঐক্য বজায় রাখতে জীবনসঙ্গীর মতকে গুরুত্ব দিন। মিথ্যা দুর্নাম বা বদনামের মধ্যে পড়তে পারেন। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হবে এবং বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]

আশ্রিত ও প্রতিপালিত ব্যক্তি থেকে সাবধান থাকুন। বাড়ির ইলেকট্রনিকস সামগ্রী বৈদ্যুতিক মিটার বা জলের কল মেরামতে নাজেহাল হতে পারেন। দূর থেকে অপ্রিয় সংবাদ আসতে পারে। সহকর্মী ও অংশীদারদের মন জুগিয়ে চলুন কারণ আজ ধন উপার্জনের চেয়ে ধনক্ষয় বেশি হবে।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]

জীবনসঙ্গী ও শ্বশুরবাড়ি থেকে ভরপুর সহযোগিতা পাবেন। ধৈর্য সাহস ও মনোবল বাড়বে। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য কলহ বিবাদের মীমাংসা হবে। সন্তানদের গতিবিধির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখুন। শত্রুরা পরাস্ত হবে এবং গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র আসতে পারে।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]

শ্রমিক কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কাজ উদ্ধার করতে হবে। আয় বুঝে ব্যয় করতে হবে। সহযোগীরা আজ সহযোগিতার হাত বাড়াবে। ভয় লজ্জা ও দুর্বলতা আপনাকে কুরে কুরে খেতে পারে। সন্তানদের গতিবিধির ওপর নজর দিন কারণ অত্যাবশ্যকীয় প্রাপ্তি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]

পরিবারে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে। চতুর্দিক থেকে উন্নতির জোয়ার বইবে। ভাঙা বন্ধুত্ব জোড়া লাগবে। পিতা মাতার কাছ থেকে ভরপুর সহযোগিতা পাবেন। শিক্ষার্থীদের মন আনন্দে নাচবে এবং মন ধর্মের প্রতি ঝুঁকবে।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]

গৃহবাড়িতে ছোট্ট নতুন মুখের আগমন ঘটবে। আগুন ও বিদ্যুৎ থেকে সাবধান থাকুন। অংশীদারদের পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। দাম্পত্য ঐক্য বজায় রাখা কঠিন হতে পারে। শোক ও দুঃখের অশ্রুজল ঝরতে পারে তবে হারানো বুকের ধন বুকে ফিরবে।


আজকের রাশিফল: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৫ ১১:১৬:১৪
আজকের রাশিফল: ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ জেনে নিন আপনার দিনটি কেমন কাটবে
ছবি : সংগৃহীত

জীবনের প্রতিটি দিন নতুন কিছু সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে আর প্রতিটি দিন আমাদের একটু একটু করে শিখতে ও বিকশিত হতে সাহায্য করে। আজ ৫ ডিসেম্বর ২০২৫ রোজ শুক্রবার। আজকের এই দিনে জন্মগ্রহণ করায় পাশ্চাত্য মতে আপনি ধনু রাশির জাতব্যক্তি। আপনার ওপর আজ দেবগুরু বৃহস্পতি বুদ্ধির দেবতা বুধ ও কর্মফল দাতা শনির প্রভাব বিদ্যমান। আপনার সঙ্গে কন্যা রাশির বন্ধুত্ব শুভফল প্রদান করবে। আজকের দিনে বেকারদের কর্মপ্রাপ্তির বাসনা পূরণ হবে এবং প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির মিলন ঘটবে। নিত্যনতুন ব্যবসাবাণিজ্যের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সুবর্ণ সুযোগ আসবে।

রাশি অনুযায়ী আজকের (৫ ডিসেম্বর) পূর্বাভাস

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]

পিতা মাতার পূর্ণ সহযোগিতা পাবেন। ভাগ্যলক্ষ্মীর কৃপা বর্ষিত হবে এবং অন্ন বস্ত্র ও বাসস্থানের অভাব ঘুচবে। হাত বাড়ালেই নিত্যনতুন সুযোগ আসবে। হারানো ধনসম্পদ ও সম্পত্তি প্রাপ্তির পথ খুলবে এবং দাম্পত্য ঐক্য বজায় থাকবে।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২০ মে]

গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালঙ্কার আসবে। জীবিকা অর্জনের ভিত মজবুত হবে এবং অমাবস্যার অন্ধকার দূর হবে। মনোবল জনবল ও অর্থবলের গ্রাফ চাঙা হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীদের দিনটি গর্বের হবে এবং দুরারোগ্য ব্যাধিপীড়া থেকে পরিত্রাণ পাবেন।

মিথুন [২১ মে-২০ জুন]

আয় বুঝে ব্যয় করতে হবে। টাকা পয়সা হাতে আসার আগেই খরচের খাত তৈরি হবে। দাম্পত্য জীবন কিছুটা কটুতায় ভরে উঠতে পারে। পরিবারের কোনো বয়স্ক লোকের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে এবং ইলেকট্রনিকস সামগ্রী মেরামতে প্রচুর ব্যয় হবে।

কর্কট [২১ জুন-২০ জুলাই]

চতুর্দিক থেকে তরতাজা উন্নতি করবেন। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর হয়ে থাকবে এবং পরিবারের নতুন মুখের আগমন ঘটতে পারে। শূন্য পকেট পূর্ণ হবে এবং ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়বে। দ্রুতগতির বাহন বর্জনীয়। বিচ্ছেদকৃত দাম্পত্য জীবন জোড়া লাগবে।

সিংহ [২১ জুলাই-২০ আগস্ট]

নিত্যনতুন ব্যবসার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে। কর্মপ্রত্যাশীদের মুখে হাসি ফুটবে। শিক্ষার্থীদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিদেশ গমন ও স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পথ খুলবে। শত্রু ও বিরোধীপক্ষরা পরাস্ত হবে এবং মন ধর্মের প্রতি ঝুঁকবে।

কন্যা [২১ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর]

সফলতার সূর্য ফোকাস মারবে। দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। সন্তানদের জন্য দিনটি মাইলফলক হয়ে থাকবে এবং হারানো বুকের ধন বুকে ফিরবে। প্রেম রোমান্স বিনোদন ও ভ্রমণ শুভ হবে। তবে লৌকিকতা পরিহার করুন। পিতা মাতা ও গুরুজনদের সহযোগিতা পাবেন।

তুলা [২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর]

টাকা পয়সা হাতে আসার আগেই খরচের খাত তৈরি হয়ে যাবে। ব্যবসায় মন্দাভাব বিরাজ করবে। নেশা মদ্য ও জুয়া থেকে দূরে থাকুন। সন্তানদের আচরণ মনোবেদনার কারণ হতে পারে। গুপ্ত ও প্রকাশ্য শত্রুর চাপ বাড়বে এবং দাম্পত্য সুখ বিনষ্ট হতে পারে।

বৃশ্চিক [২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর]

গৃহবাড়িতে নতুন আসবাবপত্র ও বস্ত্রালঙ্কার আসবে। অংশীদারি ব্যবসায় বহুল প্রচার ও প্রসার ঘটবে। বিবাহযোগ্যদের জন্য দিনটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রেমীযুগলের মন আনন্দে নাচবে এবং নিঃসন্তান দম্পতির কোল আলোকিত হবে। সন্তানদের জন্য দিনটি স্মরণীয় হবে।

ধনু [২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর]

লটারি জুয়া ও রেস এড়িয়ে চলুন। শ্রমিক কর্মচারীদের মাথায় হাত দিয়ে কাজ উদ্ধার করতে হবে। ভয় লজ্জা ও দুর্বলতা কুরে কুরে খাবে। দুর্ঘটনা ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিজেদের গুটিয়ে রাখতে হবে। প্রেম ও বন্ধুত্বে সতর্ক থাকুন। কলকারখানায় উৎপাদন কমতে পারে।

মকর [২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি]

পিতা মাতার সঙ্গে মতানৈক্য দূর হবে। হাত বাড়ালেই সফলতা পাবেন এবং কর্ম ও ব্যবসায় বাড়তি দায়িত্ব পাবেন। শত্রু ও বিরোধীরা পরাস্ত হবে। গৃহবাড়ি ভূসম্পত্তি ও যানবাহন ক্রয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে। মন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে এবং মেধা প্রযুক্তি কৌশল জাগ্রত হবে।

কুম্ভ [২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি]

অংশীদারি ব্যবসায় বহুল প্রচার ও প্রসার ঘটবে। শূন্য পকেট পূর্ণ হবে তবে লৌকিকতায় প্রচুর ব্যয় হতে পারে। গৃহবাড়ি অতিথি সমাগমে মুখর থাকবে এবং সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধির জোয়ার বইবে। জমিজমার ঝামেলা মিটবে। সন্তানগণ আজ্ঞাবহ থাকবে এবং দাম্পত্য কলহ বিবাদের মীমাংসা হবে।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]

কর্মের সুনাম যশ ও পদোন্নতির পথ সুগম করবে। হারানো বুকের ধন বুকে ফিরবে। স্বপ্ন পূরণ হাতের মুঠোয় আসবে। ক্যারিয়ার অধ্যয়ন ও স্বাস্থ্যবিষয়ক দুশ্চিন্তার অবসান ঘটবে। সন্তানদের গতিবিধির ওপর নজর রাখুন। বৈদেশিক সূত্রে লাভবান হবেন এবং বিবাহযোগ্যদের বিবাহের সানাই বাজবে।


ডায়াবেটিস থেকে পাইলস নিরাময়ে জাদুকরী লজ্জাবতী গাছের ব্যবহার

জীবনযাপন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ০৪ ২১:২৫:০৭
ডায়াবেটিস থেকে পাইলস নিরাময়ে জাদুকরী লজ্জাবতী গাছের ব্যবহার

উদ্ভিদটিকে মিমোসা বা কোনো কোনো অঞ্চলে স্থানীয় ভাষায় জাদুকরী উদ্ভিদ বা টাচ মি নটও বলা হয়। স্পর্শ করলেই নুয়ে পড়া এই গাছটি অনেকের কাছে কেবল খেলার বস্তু মনে হলেও আয়ুর্বেদে লজ্জাবতী গাছের নানা উপকারিতার কথা বিস্তারিত বর্ণনা করা রয়েছে। এই গাছটি আঘাত পেটের পীড়া ও পাইলসসহ নানা জটিল রোগে ঔষধি রূপে ব্যবহার করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে লজ্জাবতী এমন একটি উদ্ভিদ যা সব ঋতুতেই পাওয়া যায় এবং একে চিরহরিৎ উদ্ভিদও বলা হয়। এই গাছ গ্রামাঞ্চলে যেকোনো স্থানে বা শহরাঞ্চলে ছোট ছোট খাল বিল ইত্যাদির চারপাশে প্রাকৃতিকভাবেই জন্ম নেয়। এর অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে যেমন লজ্জাবতী পাতা পেটে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ এবং ডায়রিয়া কমাতে অত্যন্ত কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে লজ্জাবতী গাছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা রোগীর শরীরের ইনসুলিন নিঃসরণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুখবর। এছাড়া যাদের মৃগীরোগ রয়েছে তারাও এই গাছ থেকে উপকার পেতে পারেন। এই গাছের পাতায় প্রদাহ বিরোধী গুণ রয়েছে যা ব্যথা বা ক্ষত উপশমে সাহায্য করে। শরীরের কোথাও আঘাত লাগলে বা কোনো অংশ ফুলে গেলে এই পাতার রস লাগালে ফোলা ভাব কমার পাশাপাশি আরামও পাওয়া যায়। লজ্জাবতী গাছের মূলের পেস্ট বা এর বীজ গুঁড়া করে লাগালেও ফোলাভাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

যাদের পাইলসের মতো কষ্টদায়ক সমস্যা রয়েছে তারা লজ্জাবতী পাতা পিষে তার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন বলে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে উল্লেখ আছে। বর্তমানে অনেকেরই অ্যালোপেশিয়া বা অস্বাভাবিক চুল পড়ার সমস্যা রয়েছে। এই অবস্থায় রোগীর বয়সের বিচার না করেই চুল ঝরে পড়তে থাকে। লজ্জাবতী এই রোগের চিকিৎসাতেও সমান সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এর মূলের ক্বাথ বানিয়ে পান করলেও নানা উপকার পাওয়া যায়। বিশেষ করে যাদের পেটে পাথরের সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে লজ্জাবতীর শিকড় সকাল ও সন্ধ্যায় পিষে রস বের করে পান করলে পেটে পাথরের সমস্যা দূর হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মত দিয়েছেন।

সূত্র : নিউজ ১৮

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত