বিবিসির বিশ্লেষণ

জাপানের সঙ্গে চুক্তি: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চাপ কৌশলের সুফল?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৩ ২০:৩৯:৫৫
জাপানের সঙ্গে চুক্তি: যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক চাপ কৌশলের সুফল?
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের মধ্যে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে, যেটিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি "বড় অর্জন" হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এই চুক্তিকে অনেকে তাঁর প্রশাসনের আগ্রাসী বাণিজ্য কৌশলের সফলতা হিসেবে দেখছেন।

বাণিজ্য আলোচনা শুরু থেকেই মার্কিন কর্মকর্তারা এই চুক্তির ব্যাপারে আশাবাদী থাকলেও, বেশ কয়েকটি প্রতিনিধিদলের সফরের পরও এটি দীর্ঘদিন অনিশ্চিত ছিল। চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ এখনো প্রকাশ না করা হলেও বিশ্লেষকরা বলছেন, এটি উভয় দেশের কৌশলগত সমঝোতার ফল।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, জাপানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে, যা যুক্তরাজ্যের শুল্কহার (১০ শতাংশ) এর চেয়ে বেশি হলেও, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের তেমন কোনো বাণিজ্য উদ্বৃত্ত না থাকায় তা বিশেষ প্রভাব ফেলবে না।

বিশ্লেষক ফয়সাল ইসলাম জানান, বাণিজ্য আলোচনার সময় জাপানি প্রতিনিধিদের ক্ষোভ প্রকাশ মার্কিন কূটনীতিকদের নজর কাড়ে। সাধারণত ভদ্র ব্যবহারে পরিচিত জাপানিদের এমন আচরণ ওয়াশিংটনকে ভাবিয়ে তোলে। টোকিও তখন কঠোর অবস্থানে ছিল, কারণ তাদের হাতে ছিল ১.১ ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কিন ট্রেজারি বন্ড, যা দরকারে আলোচনার হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার হতে পারতো।

এই চুক্তি এমন এক সময় সম্পন্ন হলো, যখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা টোকিও সফরে ছিলেন। এর আগে ধারণা করা হচ্ছিল, জাপান, ইইউ ও কানাডা একত্রে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাবে। কিন্তু নতুন চুক্তি সে সম্ভাবনা বন্ধ করে দিল।

যদিও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে জাপানি কৃষিপণ্যের প্রবেশ কিছুটা সীমিত হচ্ছে, তবু জাপান যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও বেশি চাল আমদানিতে সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে জাপানের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় আধা ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়া হতে পারে।

বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, জাপান চাইলে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে পারতো—বিশেষ করে ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার আগে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া দেখার সুযোগ ছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক চাপ এবং দুর্বল অবস্থান হয়তো তাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।

সব মিলিয়ে বোঝা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার প্রধান মিত্রদের ওপর যেভাবে শুল্ক আরোপ করছে, তা এক সময় অকল্পনীয় ছিল। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, প্রতিরোধ নয়—অনেক দেশই আলোচনার টেবিলে ফিরে আসছে এবং চুক্তি করছে। জাপান-যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি সেটিরই এক বাস্তব উদাহরণ।


 অনুমোদনের অপেক্ষায় রাশিয়ার ক্যান্সার ভ্যাকসিন

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৬:৩৮:১৩
 অনুমোদনের অপেক্ষায় রাশিয়ার ক্যান্সার ভ্যাকসিন
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার উদ্ভাবিত একটি পরীক্ষামূলক ক্যান্সার ভ্যাকসিন সফলভাবে প্রাক-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে। ট্রায়ালে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ এবং কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

ফেডারেল মেডিকেল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল এজেন্সির (এফএমবিএ) প্রধান ভেরোনিকা স্কভোর্তসোভা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “কয়েক বছর ধরে এই ভ্যাকসিনের উন্নয়ন চলছে এবং গত তিন বছর ধরে বাধ্যতামূলক প্রাক-ক্লিনিক্যাল গবেষণা পরিচালিত হয়েছে।” স্কভোর্তসোভার মতে, ভ্যাকসিনটি এখন ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত, শুধু আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের অপেক্ষা।

তিনি জানান, একাধিক ডোজ প্রয়োগের পরেও ভ্যাকসিনে কোনো ঝুঁকি দেখা যায়নি। বরং এটি ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ফল দিয়েছে। ক্যান্সারের ধরনভেদে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে টিউমার সংকুচিত হয়েছে এবং রোগের অগ্রগতি ধীর হয়েছে। একইসঙ্গে রোগীদের বেঁচে থাকার হারও বেড়েছে।

ভেরোনিকা স্কভোর্তসোভা আরও জানান, প্রথমে এই ভ্যাকসিন কোলোরেক্টাল ক্যান্সারের চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হবে। পাশাপাশি গ্লিওব্লাস্টোমা ও মেলানোমার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণা চলছে।

এই ঘোষণা তিনি ভ্লাদিভোস্তকে ৩ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ১০ম ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে (ইইএফ) দেন। এবারের ফোরামে ৭৫টিরও বেশি দেশ থেকে ৮ হাজার ৪০০ জনের বেশি প্রতিনিধি অংশ নেন। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, বর্তমানে প্রোস্টেট ও ব্লাডার ক্যান্সারের জন্য কিছু ভ্যাকসিন ব্যবহৃত হচ্ছে, তবে আরও কার্যকর ক্যান্সার ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্বজুড়ে গবেষণা চলছে।


নেপালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৬:২৮:২২
নেপালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল রাজপথ
ছবি: সংগৃহীত

নেপালে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ এবং ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে ‘জেনারেল জেড’ নামে পরিচিত তরুণরা। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এই আন্দোলন রাজপথে সহিংস রূপ নেয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালালে পাঁচজন নিহত এবং ৮০ জনেরও বেশি আহত হন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভোর থেকেই পরিস্থিতি অস্থির হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনের কাছে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করলে পুলিশ একাধিক স্থানে গুলি চালায়। এরপর কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজধানীতে কারফিউ জারি করে।

সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধের প্রতিবাদে তীব্র আন্দোলন

বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভের মাঝে গত ৪ সেপ্টেম্বর নেপাল সরকার ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইউটিউবসহ ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পরই ‘জেন-জি’ নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা এই পদক্ষেপকে ভিন্নমত ও সমালোচনামূলক কণ্ঠস্বর দমনের একটি প্রত্যক্ষ চেষ্টা হিসেবে দেখছে।

সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ থাকলেও তরুণরা টিকটক এবং রেডিটের মতো বিকল্প প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করে আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়। সোমবার বিক্ষোভে স্কুল ও কলেজের পোশাক পরা অনেক শিক্ষার্থীকেও দেখা গেছে। তাদের হাতে ছিল ‘স্বাধীন কণ্ঠস্বর আমাদের অধিকার’ এবং ‘করদাতাদের টাকা কোথায় গেল?’ লেখা প্ল্যাকার্ড। তারা পুলিশের দিকে ডালপালা এবং পানির বোতল নিক্ষেপ করে।

প্রধানমন্ত্রী ওলির কঠোর অবস্থান

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি অনিবন্ধিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করার সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন। ক্ষমতাসীন নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির (ইউনিফাইড মার্কসবাদী-লেনিনবাদী) এক সম্মেলনে তিনি বলেন, “মুষ্টিমেয় কিছু ব্যক্তির চাকরি হারানোর চেয়ে জাতির স্বাধীনতা অনেক বড়।” তিনি আরও বলেন, “আইন অমান্য করা এবং সংবিধানকে অবজ্ঞা করা গ্রহণযোগ্য নয়।”


ইসরায়েলে বাসে হামলা: হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, চলছে ব্যাপক অভিযান

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৪:৫৫:০২
ইসরায়েলে বাসে হামলা: হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, চলছে ব্যাপক অভিযান
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের জেরুজালেম শহরের রামোট জংশনের প্রবেশপথে একটি বাসে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত পাঁচজন নিহত এবং ২২ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) এই হামলা হয় বলে জরুরি সেবা সংস্থা মাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানিয়েছে।

এমডিএ জানিয়েছে যে, বন্দুকধারীরা ৬২ নম্বর বাসে উঠে যাত্রীদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে। পরে হামলায় জড়িত দুইজনকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। এই ঘটনার পর জেরুজালেমের ভেতরে এবং বাইরের সব প্রবেশ ও বেরোনোর পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এমডিএ-র প্যারামেডিক নাদাভ তাইব বলেন, "আমরা গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছি। যখন আমরা পৌঁছাই, তখন রাস্তায় এবং বাসস্টপের কাছে ফুটপাতে অচেতন অবস্থায় মানুষ পড়ে থাকতে দেখেছি। মেঝেতে প্রচুর ধ্বংসযজ্ঞ এবং ভাঙা কাঁচ ছিল। আমরা আহতদের চিকিৎসা প্রদান শুরু করেছি এবং তাদের হাসপাতালে স্থানান্তর অব্যাহত রেখেছি।"

ইউনাইটেড হাতজালাহ মেডিকেল টিমও ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকজন আহতকে প্রাথমিক চিকিৎসা সহায়তা দিয়েছে। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে যে, ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে ব্যাপক অভিযান চলছে। তবে হামলাকারীরা নিহত হয়েছে নাকি পালিয়ে গেছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সুত্র: জেরুজালেম পোস্ট


যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে এই শাবানা মাহমুদ

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৪:১৩:১৪
যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে এই শাবানা মাহমুদ
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শাবানা মাহমুদকে নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে শাবানা মাহমুদ দেশটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করলেন। গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রণালয় অভিবাসন, পুলিশিং এবং জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা তদারকি করে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানায়।

অ্যাঞ্জেলা রেইনার ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারির কারণে উপপ্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরই শাবানা মাহমুদের এই নিয়োগ ঘোষণা করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি বলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান হলো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়া। সরকারের প্রথম দায়িত্ব হলো নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আর প্রতিদিন আমি সে লক্ষ্যেই কাজ করব।”

১৯৮০ সালে বার্মিংহামে জন্ম নেওয়া শাবানা মাহমুদের শিকড় পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের মিরপুরে। তার বাবা-মা লুধারের ভোহরিয়ান গ্রামে বসবাসের পর সৌদি আরবে কিছুদিন কাটান এবং পরবর্তীতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে যুক্তরাজ্যে চলে আসেন। অক্সফোর্ডের লিংকন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষে তিনি ব্যারিস্টারি পেশায় যুক্ত হন।

২০১০ সালে বার্মিংহামের লেডিওয়ুড আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে ব্রিটিশ রাজনীতিতে শক্ত অবস্থান তৈরি করেন শাবানা। তিনি ছিলেন দেশটির প্রথম দিককার মুসলিম নারী এমপিদের একজন। পরবর্তীতে ছায়া অর্থমন্ত্রী, ছায়া কারাগারবিষয়ক মন্ত্রীসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

২০২৪ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টির বিজয়ের পর তিনি বিচারমন্ত্রী ও লর্ড চ্যান্সেলরের দায়িত্ব পান। এ সময়ে তিনি কারাগারে অতিরিক্ত বন্দির চাপ কমানো এবং বিচারব্যবস্থার জট নিরসনে নানা পদক্ষেপ নেন। কারাগার সংস্কার বিষয়ে সম্প্রতি তিনি বড় একটি বিল সংসদে উপস্থাপন করেন। তবে এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তাকে আরও জটিল দায়িত্ব নিতে হচ্ছে—বিশেষ করে অভিবাসন সংকট, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য হোটেল, রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসীর চ্যানেল অতিক্রম এবং সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের মতো চ্যালেঞ্জ তার সামনে।

শাবানা স্পষ্ট করে বলেছেন, অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ ছাড়া ব্রিটেন বিভাজিত হয়ে পড়তে পারে। তবে তিনি লেবার পার্টির দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেছেন, ব্রিটেনকে তিনি “পড়শি-সুলভ জাতি”তে রূপ দিতে চান। ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন নিয়েও সংস্কারের প্রস্তাব এনেছেন তিনি। বিশেষ করে অভিবাসন মামলায় ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের অধিকার (আর্টিকেল ৮) প্রয়োগে কড়াকড়ি আনার পরিকল্পনা রয়েছে তার। বিচারমন্ত্রী থাকাকালে তিনি বিদেশি অপরাধীদের দ্রুত বহিষ্কারের প্রস্তাব করেছিলেন। তার ভাষায়, “যদি কেউ আমাদের আতিথেয়তার অপব্যবহার করে আইন ভাঙে, তবে তাকে দ্রুত দেশে ফেরত পাঠানো হবে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পর লর্ড গ্লাসম্যান তাকে লেবার পার্টির গুরুত্বপূর্ণ অংশের নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে শাবানা মাহমুদ নানান হয়রানি, ভুয়া তথ্য প্রচার এবং ঘৃণার শিকার হয়েছেন। স্থানীয় পাকিস্তানি কমিউনিটিতেও তাকে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। নির্বাচনী এলাকায় নারী বিদ্বেষী প্রচারণা, পোস্টার ছেঁড়াসহ নানা হয়রানি তাকে মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবুও তিনি বলেছেন, “মুসলিম নারী হয়েও সংসদে গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হওয়া আমাকে অনুপ্রাণিত করে।”

ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংঘাত প্রসঙ্গে শাবানা বলেন, গাজার যুদ্ধ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে নিরীহ শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অমানবিক। তিনি স্পষ্ট করে জানান, লেবার পার্টি দুই রাষ্ট্র সমাধানে বিশ্বাসী এবং এটিই একমাত্র শান্তির পথ।

-রফিক


রাশিয়ার নজিরবিহীন হামলার পর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৮ ১১:২৭:১৪
রাশিয়ার নজিরবিহীন হামলার পর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
ছবিঃ সংগৃহীত

রাশিয়ার নজিরবিহীন আকাশ হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার মস্কোর বিরুদ্ধে আরও নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইউক্রেনজুড়ে চালানো এই হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয় এবং রাজধানী কিয়েভের মন্ত্রিপরিষদ ভবনসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনায় আগুন ধরে যায়।

ভোরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন একযোগে আছড়ে পড়ে কিয়েভ ও আশপাশের এলাকায়। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী জানায়, মাত্র এক রাতে রাশিয়া অন্তত ৮১০টি ড্রোন ও ১৩টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে—যা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় আক্রমণ। হামলায় সরকারি স্থাপনার পাশাপাশি আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জরুরি সেবা বিভাগ জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে অনেক নারী-শিশু রয়েছে। একজন গর্ভবতী নারী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে সন্তান প্রসব করেছেন; মা ও নবজাতক দুজনের জীবনই ঝুঁকিতে রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি ‘দৃঢ় প্রতিক্রিয়া’ জানানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, “পুতিন বিশ্বের ধৈর্য পরীক্ষা করছেন। আমাদের অংশীদারদের শক্ত প্রতিক্রিয়াই এখন সময়ের দাবি।” তিনি আরও জানান, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন এবং ফ্রান্স ইউক্রেনকে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারে সহায়তা দেবে।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া স্ভিরিদেঙ্কো কিয়েভের মন্ত্রিপরিষদ ভবনের ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ভিডিও প্রকাশ করে বলেন, “আমরা ভবনগুলো পুনর্নির্মাণ করব, কিন্তু প্রাণগুলো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না।” এদিকে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় সাতটি ঘোড়াও মারা গেছে। তারা এক বিবৃতিতে লিখেছে, “বিশ্ব হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না, যখন একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র প্রতিদিন মানুষ ও প্রাণের জীবন কেড়ে নিচ্ছে।”

হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ বলেছেন, রাশিয়া ‘যুদ্ধ ও সন্ত্রাসের যুক্তিতে’ ক্রমেই ডুবে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার এটিকে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ আখ্যা দিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ফন ডার লেইয়েন মন্তব্য করেছেন, ক্রেমলিন এখন কার্যত ‘কূটনীতির প্রতি উপহাস’ করছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, রুশ তেল আমদানি করা দেশগুলোর ওপরও শুল্ক আরোপ করা হতে পারে। তাঁর মতে, এতে রাশিয়ার অর্থনীতি ভেঙে পড়বে এবং প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আলোচনার টেবিলে আসতে বাধ্য করা যাবে।

রাশিয়া অবশ্য দাবি করেছে, তারা কেবল কিয়েভের একটি প্ল্যান্ট ও লজিস্টিকস হাবকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, সাধারণ জনগণকে নয়। তবে আন্তর্জাতিক মহল রাশিয়ার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।

উল্লেখ্য, আগস্টের মাঝামাঝি ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ার পর থেকেই রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা আরও তীব্র করেছে। এদিকে যুদ্ধবিরতির যেকোনো প্রস্তাব তদারকির জন্য ইউরোপের দুই ডজনের বেশি দেশ নিজেদের সম্পৃক্ত করার অঙ্গীকার করেছে। এমনকি কয়েকটি দেশ প্রয়োজনে মাটিতে সেনা পাঠাতেও আগ্রহ দেখিয়েছে, যা নিয়ে মস্কো কঠোর আপত্তি জানিয়েছে।

তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এ সংঘাতে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করেছে রাশিয়া। ইউরোপের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী এই সংঘাতে ইতিমধ্যেই লাখো মানুষ গৃহহীন এবং কয়েক হাজার প্রাণ হারিয়েছে।

-সুত্রঃ এ এফ পি


হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান ইসরায়েলের

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ২১:৪১:১২
হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান ইসরায়েলের
গাজা শহরের বহুতল ভবনে ইসরায়েলের হামলা। ছবি: এএফপি (ফাইল)

গাজায় চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছে ইসরায়েল। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজার সবচেয়ে বড় শহরের কেন্দ্রে বিমান হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সাআর জেরুজালেমে বলেন, “যদি হামাস গাজায় আটকে থাকা বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেয় এবং অস্ত্র সমর্পণ করে, তাহলে এই যুদ্ধ অবিলম্বে শেষ হতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা রাজনৈতিক উপায়ে এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে খুবই খুশি হবো।”

এর জবাবে, হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেন, তারা অস্ত্র সমর্পণ করবে না। তবে ইসরায়েল যদি যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং গাজা থেকে তাদের বাহিনী প্রত্যাহার করতে রাজি হয়, তাহলে তারা সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে। এটি দীর্ঘদিন ধরে এই ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির অবস্থান।

গত মাসে ইসরায়েল গাজা সিটিতে হামলা শুরু করে এবং বর্তমানে তাদের সেনারা শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, রাতভর হামলায় শহরজুড়ে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গাজা সিটির দক্ষিণে একটি স্কুলেও হামলা হয়েছে, যেখানে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিল।

স্কুলে হামলা প্রসঙ্গে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা হামাসের একজন যোদ্ধাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল এবং হামলা চালানোর আগে বেসামরিক নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছিল। সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, “ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের জন্য যেকোনো হুমকি দূর করতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজা উপত্যকায় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাবে।

সূত্র: রয়টার্স


রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে নতুন মোড়: বাফার জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে কি বাংলাদেশ?

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৭:২৩:২৩
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে নতুন মোড়: বাফার জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে কি বাংলাদেশ?
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান ঘটাতে বিশ্বব্যাপী কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, যুদ্ধবিরতি হলে দুই দেশের মাঝখানে একটি ‘বাফার জোন’ বা নিরস্ত্রীকরণ এলাকা গড়ে উঠতে পারে। আর সেই বাফার জোনের নিরাপত্তা তদারকির জন্য বাংলাদেশসহ একাধিক ন্যাটো-বহির্ভূত দেশের সেনা মোতায়েন করা হতে পারে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, বাফার জোনের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সৌদি আরব ও বাংলাদেশের মতো একাধিক দেশের সেনাদের সেখানে মোতায়েন করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের মতে, সৌদি কিংবা বাংলাদেশের সেনাদের অংশগ্রহণ নিরাপত্তা জোরদার করবে এবং রাশিয়ার ভবিষ্যৎ আগ্রাসন ঠেকাতে সহায়তা করবে।

যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ নেই

তবে জটিল বাস্তবতায় যুদ্ধ থামার কোনো দ্রুত সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। গত মাসে আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মুখোমুখি বৈঠক করলেও মস্কো এখনো শান্তিচুক্তির কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক নিয়েও অনাগ্রহ দেখাচ্ছেন পুতিন, যা ট্রাম্পের হতাশা বাড়াচ্ছে।

বাফার জোন হলো সংঘাতপূর্ণ দুই অঞ্চলের মাঝখানে গড়ে ওঠা একধরনের নিরপেক্ষ বা নিয়ন্ত্রিত এলাকা, যার মূল উদ্দেশ্য হলো উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ প্রতিরোধ করা।

এর আগে আগস্টে হোয়াইট হাউসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দেন, যেকোনো শান্তিচুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দেবে। বৈঠকের পর জেলেনস্কি এটিকে তার দেখা “সেরা বৈঠক” আখ্যা দেন এবং জানান, যুক্তরাষ্ট্র শুধু সমন্বয় করবে না, বরং নিরাপত্তা নিশ্চয়তারও অংশীদার হবে, যা ইউক্রেনের জন্য বড় অগ্রগতি।

আলোচনায় প্রস্তুত ইউক্রেন

জেলেনস্কি আবারও জানিয়েছেন, ইউক্রেন আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। তবে ভূখণ্ড বিনিময়ের মতো সংবেদনশীল ইস্যু সরাসরি তার ও পুতিনের আলোচনার মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে। সম্প্রতি ট্রাম্প বলেন, ইউরোপীয় দেশগুলো প্রতিরক্ষার প্রথম সারিতে থাকবে, তবে যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে যথেষ্ট সহায়তা করবে।


ইউক্রেনের মন্ত্রিসভার ভবনে রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৪:৫৭:০০
ইউক্রেনের মন্ত্রিসভার ভবনে রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রধান সরকারি ভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। আজ রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ভোরে রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় রাজধানীর মন্ত্রিসভা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ইউলিয়া সিভিবিদেঙ্কো। ২০২২ সালে মস্কো সামরিক অভিযান শুরু করার পর এই প্রথম ভবনটি হামলার শিকার হলো।

ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার কিয়েভে রাতভর হামলায় রাশিয়া রেকর্ডসংখ্যক, অর্থাৎ আট শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। সর্বশেষ এসব হামলায় ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫৬টি ড্রোন ৩৭টি স্থানে আঘাত হেনেছে।

ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রিসভা ভবনের ছাদ ও ওপরের তলাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, "শত্রু প্রতিদিন দেশের মানুষের ওপর ভয়ের সৃষ্টি করছে।"

সিভিবিদেঙ্কো জানান, “আজ ভোরে আমরা ইনডিপেনডেনস স্কয়ারের আকাশে ধোঁয়ার এক বড় কুণ্ডলী উঠতে দেখেছি। এরপর আমরা (বিস্ফোরণের শব্দ) শুনেছি এবং দেখেছি, দুটি রুশ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছুটে চলছে। এরপর আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে।”


চাপের মুখে পদত্যাগ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৪:১৪:৪৭
চাপের মুখে পদত্যাগ, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু
ছবি: সংগৃহীত

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরু পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোববার দেশটির গণমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ড এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে।

গত বছরের অক্টোবরে শিগেরু জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। সম্প্রতি সংসদের উচ্চকক্ষে তার নেতৃত্বাধীন জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে নিজ দলের নেতাদের সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।

দলীয় চাপের মুখে সাত দিন আগেও ইশিবার পদত্যাগের গুঞ্জন উঠেছিল। তখন তিনি এমন খবর নাকচ করে দিলেও, ঠিক এক সপ্তাহ পর তিনি এই সিদ্ধান্তে পৌঁছালেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার সময় ইশিবা মুদ্রাস্ফীতি মোকাবিলার পাশাপাশি নিজের দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিতে (এলডিপি) সংস্কার আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যেই তার দল সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়।

আগামীকাল সোমবার এলডিপিতে বিশেষ নেতৃত্ব বাছাইয়ের কথা রয়েছে। আল জাজিরার খবর অনুযায়ী, দলের ভেতর সম্ভাব্য বিভক্তি এড়াতেই ইশিবার এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত।

পাঠকের মতামত: