ডুয়েটে সমকামিতার অভিযোগে ৫ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট)-এ সমকামিতার অভিযোগ ঘিরে ছড়িয়ে পড়েছে উত্তেজনা। পাঁচজন শিক্ষার্থীকে আবাসিক হল থেকে সাময়িক বহিষ্কারের পর সাধারণ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, কিছু শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন যে, পাঁচজন ছাত্র সমকামিতায় জড়িত। এই অভিযোগের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে এবং প্রাথমিকভাবে অভিযোগের কিছু সত্যতা পাওয়ার পর মঙ্গলবার (২২ জুলাই) অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইটি আবাসিক হল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।

বহিষ্কৃত ছাত্রদের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলাম (কেএনআই) হলের তিনজন এবং শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ (এসটিএ) হলের দুইজন রয়েছেন।

ডুয়েটের পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে এবং ক্যাম্পাসে একটি নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থেই এই সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তবে এই ঘটনায় ক্যাম্পাসে ছাত্রদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগের ভিত্তিতে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে থাকলেও, অনেকে দাবি তুলেছেন তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ন্যায়বিচারের পরিপন্থী হতে পারে।

বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, অভিযুক্তদের কেবল হল থেকে নয়, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করতে হবে। তাঁদের মতে, এই ধরনের কার্যকলাপ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি ও পরিবেশকে কলুষিত করছে।

এদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ব্যক্তিগত যৌন অভিমুখ বা আচরণের ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আগে আইনি কাঠামো ও প্রমাণের ভিত্তিতে ন্যায্য বিচার হওয়া প্রয়োজন।

-রাফসান, নিজস্ব প্রতিবেদক