রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ করা ট্রাম্পকে জবাব দিলেন ওবামা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৩ ১২:৩৫:১৬
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ করা ট্রাম্পকে জবাব দিলেন ওবামা
ছবি: সংগৃহীত

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক ও বিভ্রান্তিকর’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি দাবি করেন, ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের ‘প্রমাণ তৈরি করে’ ওবামা তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতির চেষ্টা করেছিলেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওবামার দপ্তর থেকে এক বিরল বিবৃতি দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, “প্রেসিডেন্টের পদমর্যাদার প্রতি সম্মান দেখিয়ে সাধারণত এমন ভিত্তিহীন দাবির জবাব দেওয়া হয় না। কিন্তু এবারের অভিযোগ এতটাই অসংগত যে তার প্রতিক্রিয়া জানানো জরুরি হয়ে পড়েছে। এটি শুধুমাত্র বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা এবং দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর দুর্বল প্রয়াস।”

ওবামার পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, কংগ্রেস সদস্য তুলসি গ্যাবার্ড সম্প্রতি একটি ১১ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, যেখানে জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী ষড়যন্ত্রের’ অভিযোগ আনা হয়। গ্যাবার্ড বিচার বিভাগের কাছে এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশও করেন। তবে ওবামা দপ্তরের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই প্রতিবেদনে এমন কিছু নেই যা নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাবের ব্যাপারে প্রতিষ্ঠিত মূল্যায়নকে খণ্ডন করে।

ট্রাম্প এই মন্তব্য করেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠককালে। তিনি দাবি করেন, “এই চক্রান্তের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ওবামা। হিলারি ক্লিনটনসহ অনেকে যুক্ত ছিলেন, তবে নেতৃত্ব ছিল ওবামার হাতে। এটি রাষ্ট্রদ্রোহ, যা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি।”

ট্রাম্প আরও জানান, গ্যাবার্ড তাঁকে বলেছেন, আরও হাজার হাজার নথি প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।

তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গ্যাবার্ডের নথিতে মূলত বিভিন্ন ইস্যু একত্রে মিশিয়ে ২০১৭ সালের গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন এবং পরবর্তী সময়ে রবার্ট মুলার ও সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির তদন্তে বারবার উঠে এসেছে— রাশিয়া ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পকে সহায়তা করতে এবং হিলারি ক্লিনটনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চেয়েছিল। তবে রাশিয়া সরাসরি ভোট ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি।

সাবেক সিআইএ বিশ্লেষক ফালটন আর্মস্ট্রং বলেন, গ্যাবার্ডের প্রতিবেদন ‘একপেশে রাজনৈতিক আক্রমণ’ হিসেবে লেখা হয়েছে, যা বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অস্পষ্ট ব্যাখ্যার মাধ্যমে মিথ্যা বার্তা ছড়াতে চায়।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ