নীলা মার্কেট: ঢাকার সন্নিকটে খাদ্য-প্রেমীদের স্বপ্নীল গন্তব্য

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল উপশহরের বুক চিরে বালু নদীর তীরে বিস্তৃত একটি বিশাল খাবারের হাট গড়ে উঠেছে, যা স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ‘রসনার হাট’ নামে। একদিকে নদীর কলতান আর অন্যদিকে লেকের শীতল বাতাস এই মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে প্রায় দুই শতাধিক বাহারি খাবারের দোকান ও রেস্টুরেন্ট। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই খাবারের রাজ্যে জমে ওঠে বিশাল ভোজনরসিকদের ভিড়, যা শুধু খাদ্যপ্রেমীদের জন্য নয়, বরং স্থানটির সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
নীলা মার্কেট ও এর আশপাশের ফুড জোনটি পূর্বাচল উপশহরের বিভিন্ন সেক্টরের সেক্টর-১, ১১ ও ১২ এবং ময়েজউদ্দিন চত্বর ক্ষেত্রে ছড়িয়ে রয়েছে। এই এলাকা ৩০০ ফিট এক্সপ্রেসওয়ের ঠিক পাশে অবস্থিত, যা ঢাকার সঙ্গে সহজ যোগাযোগের কারণে দর্শনার্থী ও ভোজনরসিকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে।
প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে নীলা মার্কেটের খাবার দোকানগুলো ব্যস্ত হতে শুরু করে। সকালে কাঁচা মাংস কাটার কাজ চললেও, সূর্য পশ্চিমে ডুবতে শুরু করার সাথে সাথেই শুরু হয় রান্নার মহোৎসব। বড় বড় কড়াইয়ায় তৈরি হয় দেশি হাঁসের ঝাল ঝাল মাংস, গরুর মাংস, দেশি মুরগি ভুনা এবং নানা ধরনের ভর্তা। গরম গরম রুমালি রুটি, আটার রুটি ও চালের চাপটি পিঠা এসব মাংসের সঙ্গে পরিবেশিত হয়, যা নীলা মার্কেটের খাবারের বিশেষ আকর্ষণ।
হাঁসের মাংস ভুনা এখানে এতটাই জনপ্রিয় যে, প্রায় সব দোকানে বিক্রি হয় দেশি পাতি হাঁসের ঝাল ঝাল মাংস। একটি প্লেটে পাওয়া যায় পাঁচ পিস মাংসসহ আনলিমিটেড ঝোল, যার দাম প্রায় ৩০০ টাকা। গরুর মাংস ২৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৩০০ টাকা, আর গরুর বট ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। মাংসের পাশাপাশি নানা প্রকারের পিঠা যেমন চাপটি, আটার রুটি, ডিম চাপটি ও চিতই পিঠা জনপ্রিয়। প্রচলিত গ্রামীণ পিঠাগুলোকে এখানে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়, যা খাবারের স্বাদ ও নৈপুণ্যকে করে তোলে আরও সমৃদ্ধ।
নীলা মার্কেটের আরেকটি বিশিষ্টতা হলো এখানে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রকার সামুদ্রিক মাছ ও সীফুড। তাজা চিংড়ি, কাঁকড়া, স্যামন, কোরাল এবং লবস্টারের বারবিকিউ সরাসরি গ্রিল করে পরিবেশন করা হয়, যা প্রত্যেক দর্শনার্থী ও ভোজনরসিকের মন জয় করে নেয়। এই মেনুর কারণে রূপগঞ্জের এই খাবারের হাট যেন একবারে সমুদ্র উপকূলের স্বাদ উপভোগ করার জায়গায় পরিণত হয়েছে।
নীলা মার্কেটে রয়েছে বাহারি মিষ্টির দোকান, যেখানে পাওয়া যায় রসগোল্লা, বালিশ মিষ্টি, মালাই চপ, সন্দেশ, ল্যাংচা, গোলাপ জামুন, ছানা ও দধি। এছাড়া রয়েছে ৫০ ও ৬০ টাকার মধ্যে দুই ধরনের তন্দুরি চা, যা সন্ধ্যার আড্ডায় বিশেষ আকর্ষণ। বিভিন্ন ফলমূলের দোকানও এখানে রয়েছে, যা ভোজনের পর তৃপ্তি জোগায়।
খাবারের পাশাপাশি নীলা মার্কেট স্থায়ী একটি আনন্দমেলার রূপ নিয়েছে। এখানে রয়েছে শিশুদের জন্য বিভিন্ন রাইডস, নাগরদোলা, নৌকা ভ্রমণসহ বিভিন্ন বিনোদনের আয়োজন। পুরো এলাকায় সাজানো হয় বিভিন্ন ধরনের হস্তশিল্প, পোশাক ও খেলনার স্টল, যা পরিবার-পরিজন নিয়ে আসা দর্শনার্থীদের বিনোদন নিশ্চিত করে।
নীলা মার্কেট ও এর আশপাশের ফুড জোনটি স্থানীয় অর্থনীতিতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। প্রতিদিন কয়েক লাখ টাকার বেচাকেনা হয় এখানে। কয়েকশ কর্মী ও উদ্যোক্তা এই হাটের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন। এর ফলে খাদ্য সংস্কৃতি, উদ্যোক্তা চেতনা এবং পর্যটনের মেলবন্ধন তৈরি হয়েছে।
নীলা মার্কেটের এই ফুড জোনটি নদী ও লেকের তীরে গড়ে উঠায় এটি একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেরও কেন্দ্র। বাতাসের সান্নিধ্য এবং জলরাশির কলতান এই জায়গাটিকে অন্যান্য শহুরে ফুড জোন থেকে আলাদা করে তোলে। পরিবেশ সংরক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতার দিকে গুরুত্ব দিয়ে এখানকার ব্যবসায়ীরা দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণে উদ্যোগী।
নীলা মার্কেটের রসনার হাট এখন শুধু খাদ্যপ্রেমীদের জন্য নয়, বরং রূপগঞ্জবাসী ও আশপাশের এলাকার মানুষের সামাজিক মিলনস্থল, অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের জায়গা হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হচ্ছে যে, সঠিক উদ্যোগ ও উদ্যোক্তা চেতনায় নতুন নতুন স্থানে খাদ্যসংস্কৃতি ও পর্যটন বিকাশ সম্ভব।
-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক

বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে তীব্র গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত থেকে এই গোলাগুলি শুরু হয় এবং স্থানীয় বাসিন্দারা থেমে থেমে গুলির শব্দ শুনতে পান, যা বাংলাদেশ সীমান্তে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
লড়াই ও হতাহতের আশঙ্কা
স্থানীয় সূত্র ও বাসিন্দাদের ধারণা, আরকান আর্মি, আরসা এবং আরএসও—এই তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের কারণে এই গোলাগুলি চলছে। এ ঘটনায় অনেক হতাহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বলেন, সীমান্তের ৩৬, ৩৭ ও ৫৬ পিলারের ওপারে রাতভর প্রচণ্ড গোলাগুলি হয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরের এ ঘটনায় অন্তত ১৮-২০ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বিজিবির সূত্রে জানা যায়, সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: ‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না’—প্রেমিকার নির্মমতা প্রকাশ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসেন হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, এটি ছিল প্রেমিকা বর্ষা এবং তার দীর্ঘদিনের প্রেমিক মাহীরের পরিকল্পিত হত্যা। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই এই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
হত্যার কারণ ও ষড়যন্ত্র
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, বর্ষার সঙ্গে মাহীরের ৯ বছরের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু মাঝে বর্ষা জুবায়েদের ওপর দুর্বল হয়ে পড়লে মাহীরকে সম্পর্ক না রাখার কথা জানান। পরে কিছুদিন পরেই বর্ষা তার বয়ফ্রেন্ড মাহীরকে জানান, জোবায়েদকে আর ভালো লাগে না। ঠিক তখনই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বর্ষা ও মাহীর।
হুমকি: নজরুল ইসলাম বলেন, "বর্ষা মাহীরকে জানায়, জোবায়েদকে না সরালে তোমার কাছে ফিরতে পারব না।" বর্ষার পরিকল্পনা অনুসারে জোবায়েদকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় মাহীর ও তার বন্ধু আয়লানসহ তিনজন।
ঘটনার বিবরণ: ঘটনার দিন মাহীর তার দুই বন্ধুকে নিয়ে নতুন দুটি সুইচগিয়ার ছুরি কিনে আনে। মাহীর জোবায়েদকে বর্ষার থেকে সরে আসতে বললে তর্কাতর্কি হয়। এরপরই মাহীর জোবায়েদের ওপর এলোপাতাড়ি ছুরি চালায়।
বর্ষার নির্মম ভূমিকা
ডিএমপির প্রেস ব্রিফিংয়ে লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী এই হত্যাকাণ্ডে বর্ষার নির্মম ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।
“জোবায়েদ তখন মারা যায়নি। বাঁচার জন্য দোতলা থেকে ওপরে ওঠে। তিনতলায় দাঁড়িয়ে ছিল বর্ষা। তখন বর্ষাকে দেখে জোবায়েদ বলে, আমাকে বাঁচাও। কিন্তু বর্ষা বলে, তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না। বর্ষা তার মৃত্যু কনফার্ম করে যায়।”
জুবায়েদ বাঁচার আকুতি জানালেও বর্ষা তার মৃত্যু নিশ্চিত করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নূরুল ইসলামের বাড়ির ছাদ থেকে বিপুল পরিমাণ ১০০ কেজি গাঁজাসহ একজনকে আটক করেছে পুলিশ। মাদকবিরোধী এই অভিযান চলাকালীন ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান।
অভিযান ও আটকের বিবরণ
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম এবং এসআই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ উত্তর শশীদল এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে।
গাঁজা উদ্ধার: প্রথমে নূরুল ইসলাম মেম্বারের বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে তল্লাশি চালিয়ে ৪০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আটককৃত কাউছারের (৩০) তথ্যের ভিত্তিতে মেম্বারের বাড়ির ছাদে শুকানো অবস্থায় আরও ৬০ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়।
আটক: ঘটনাস্থল থেকে আটক হওয়া কাউছার শশীদলের বাসিন্দা এবং ইউপি সদস্য নূরুল ইসলামের সহযোগী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পলাতক: অভিযানের সময় ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, “শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নূরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার ও কাউছার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলছে। পলাতক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
চট্টগ্রামে চবি শিক্ষার্থীর হাত-পায়ের রগ কাটা লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী শামীম মাসউদ খান জয়-এর হাত-পায়ের রগ কাটা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় নগরীর বন্দর থানার আনন্দবাজার এলাকায় আউটার রিং রোডসংলগ্ন কাঁশবনের ভেতর থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বন্দর থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
ঘটনার বিবরণ ও পরিবারের অভিযোগ
নিহত শামীম মাসউদ খান জয় ঢাকার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি) থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি নগরীর বড়পোল এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
লাশ উদ্ধার: মৃত শামীমের বাবা, সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম খান, বলেন—রোববার সন্ধ্যায় তার মেজো ছেলের মোবাইল ফোনে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে কল করে শামীমের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানানো হয়।
আঘাতের চিহ্ন: তিনি বলেন, “সেখানে গিয়ে দেখি হাত-পায়ের রগ কাটা অবস্থায় আমার ছেলে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তার পাশে একটি এন্টি কাটারও ছিল।”
শেষ যোগাযোগ: তার বাবা জানান, রোববার দুপুর ১২টার দিকে শামীম বাসা থেকে বের হয়েছিল। বের হওয়ার আগে তার মোবাইলে একটি কল এসেছিল এবং সে তার মাকে বলেছিল, কারো সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছে; কিন্তু কার সঙ্গে, সেটি বলেনি।
তদন্তের দাবি: শহীদুল ইসলাম খান বিশ্বাস করেন, তার ছেলের সঙ্গে কারো কোনো ঝামেলা ছিল না এবং তার মোবাইল নাম্বারের সূত্র ধরে তদন্ত করলেই প্রশাসন খুনিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারবে।
পুলিশের পদক্ষেপ
বন্দর থানার ওসি মো. আফতাব উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শামীমের হাত ও পায়ের রগ কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি এন্টি কাটার আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।
জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হত্যা: অভিযুক্ত মাহিরকে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন তার মা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মো. জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে মো. মাহির রহমান নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত জোবায়েদের পরিবারের করা অভিযোগের ভিত্তিতে মাহিরকে শনাক্ত করা হয়। সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোরে মাহিরের মা নিজেই ছেলেকে নিয়ে বংশাল থানায় হাজির হন এবং তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
হত্যার প্রেক্ষাপট ও মামলার জটিলতা
রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আরমানিটোলায় টিউশনিতে গিয়ে খুন হন পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ও জবি ছাত্রদল আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেন। আরমানিটোলার ‘রওশন ভিলা’ নামের বাড়ির সিঁড়ি থেকে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরিবারের অভিযোগ: জোবায়েদের বড় ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, তারা পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করতে চেয়েছেন—শিক্ষার্থী বর্ষা, তার বাবা-মা, বর্ষার প্রেমিক মাহির রহমান এবং মাহিরের বন্ধু নাফিসকে।
ওসির বক্তব্য: সৈকতের অভিযোগ, বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম মামলা নিতে রাজি হননি এবং অভিযুক্তের সংখ্যা কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তবে ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, “তারা যাদের নাম দিতে চান, আমরা সেই নামেই মামলা নেব। শুধু পরামর্শ দিয়েছি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন।”
প্রতিবাদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পদক্ষেপ
পুলিশ জানায়, রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে মরদেহ উদ্ধারের সময় সিসিটিভি ফুটেজে দুজন তরুণকে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। ঘটনার পর বর্ষাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়।
হত্যার প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীরা বংশাল থানার সামনে অবস্থান নিয়ে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তারা তাঁতিবাজার মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এবং কিছু সময়ের জন্য আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানায়। নিহতের স্মরণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দুই দিনের শোক ঘোষণা করেছে এবং ২২ অক্টোবর নির্ধারিত বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের সব আয়োজন স্থগিত করেছে।
শিক্ষকদের আমরণ অনশন শুরু আজ
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ বা ন্যূনতম ২ হাজার টাকা নির্ধারণকে প্রত্যাখ্যান করে আজ সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে আমরণ অনশনে বসছেন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে দেশের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান কর্মবিরতি আরও তীব্র করা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
দাবি ও আন্দোলনের তীব্রতা
রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় এক অফিস আদেশে জানায়, বাজেট সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনায় নিয়ে বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (কমপক্ষে দুই হাজার টাকা) দেওয়া হবে। শিক্ষকরা এই আদেশ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোট’-এর সদস্যসচিব দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, “আমরা শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরারের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করছি। তার প্রতি কোনো আস্থা নেই। এখন আমরা প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
আন্দোলনের দাবি: মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ১৫০০ টাকা এবং উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে শিক্ষকরা আন্দোলনে আছেন।
বিক্ষোভ: রোববার বিকেলে শিক্ষকরা রাজধানীতে ‘ভুখা মিছিল’ কর্মসূচি পালন করতে গেলে হাইকোর্টের মাজার গেট এলাকায় পুলিশ ও বিজিবির বাধার মুখে পড়েন। পরে তারা আবার শহীদ মিনারে ফিরে গিয়ে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বাড়ি ভাড়া ভাতা ৫০০ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হলেও, শিক্ষকরা তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনের ডাক দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) জুবায়েদ হোসাইন নামে এক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে টিউশনিতে যাওয়ার পথে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে তার টিউশনির বাসায় লাশ পাওয়া গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম।
হত্যার কারণ ও পরিচয়
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, “ছুরিকাঘাতে জুবায়েদ হোসাইন নিহত হয়েছেন। ওই বাসাটিই ছিল তার টিউশনের বাসা। এখনো মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আমরা তদন্ত করছি।”
পরিচয়: নিহত জুবায়েদ হোসাইন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি জবিস্থ কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, “মৃত্যুর খবর শুনেছি। এখনো কারণ জানা যায়নি। খুবই বেদনাদায়ক এটি। পুলিশকে সব সিসিটিভি ক্যামেরা দেখতে বলেছি। আমি স্পটে (ঘটনাস্থল) যাচ্ছি।”
পরিকল্পিত আগুন: কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বড় অভিযোগ
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুনকে ‘পরিকল্পিত’ বলে মনে করছে ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি বলেছে, তাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এটি কেবল দুর্ঘটনা নয়, বরং দেশের শিল্পকারখানা, আমদানি-রপ্তানি খাত এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষতি করে জাতীয় অর্থনীতিকে অচলের নীলনকশার অংশ হতে পারে।
রোববার (১৯ অক্টোবর) সংগঠনের সভাপতি মিজানুর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
তদন্ত ও ক্ষয়ক্ষতি
তদন্তের দাবি: মিজানুর রহমান বলেছেন, ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের জন্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করা দরকার এবং দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ক্ষয়ক্ষতি: সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমদানি পণ্যের গুদামে সংরক্ষিত সব পণ্য ভস্মীভূত হয়েছে। কিছু পণ্য অবিকৃত দেখা গেলেও তাপ ও ধোঁয়ার কারণে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
উদ্বেগ ও সংস্কারের আহ্বান
ঢাকা কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন মনে করে, ঘটনাটি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম ব্যাহত করার পরিকল্পিত অপচেষ্টার অংশ কি না, তা বিস্তারিতভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো:
বিমানবন্দর এলাকায় নিরাপত্তা ও অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কার্যকারিতা পুনর্মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও আধুনিকায়ন নিশ্চিত করা।
ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপূরণের পদক্ষেপ নেওয়া।
জরুরি ভিত্তিতে আমদানি পণ্যের নির্মাণাধীন গুদাম অস্থায়ীভাবে চালু করা।
সংগঠনটির অভিযোগ, আগুন লাগার পর সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও ফায়ার সার্ভিস যথাসময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে অনেকটাই ব্যর্থ হয়েছে।
কার্গো ভিলেজে আগুন: ক্ষতির আশঙ্কা বিলিয়ন ডলার
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে লাগা ভয়াবহ আগুনে এক বিলিয়ন ডলারের (১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি) বেশি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে ধারণা করছেন ইন্টারন্যাশনাল এয়ার এক্সপ্রেস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএইএবি) সভাপতি কবির আহমেদ। তিনি বলেন, “এয়ার এক্সপ্রেস ইউনিট পুরোপুরি পুড়ে গেছে।”
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তিনি সাংবাদিকদের এই আশঙ্কার কথা জানান। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন।
বিস্ফোরণ ও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট, সেনা, বিমান, নৌবাহিনী ও বিজিবি কাজ করছে।
দাহ্য পদার্থ: কুরিয়ারের মাস্টার ইয়ার কোম্পানির সিএনএফ এজেন্ট মো. রোকন মিয়া বলেন, ‘স্কাই লাউঞ্জে কেমিক্যাল, ফেব্রিক, মেশিনারিজসহ সব ধরনের মালামাল রাখা হয়। আমাদের ধারণা, কেমিক্যাল থেকেই আগুন লেগেছে।’
বিস্ফোরক: আমদানি সেকশনে কাজ করা সোহেল মিয়া জানান, আগুন লাগার স্থানটি ছিল আট নম্বর গেটের সঙ্গে লাগানো কুরিয়ার সার্ভিসের গোডাউন, যেখানে বিস্ফোরকদ্রব্যও রাখা হতো। তিনি বলেন, “বিস্ফোরকদ্রব্যের গোডাউনে আগুন লেগেছে। সেখানে রাখা বিস্ফোরকদ্রব্যগুলো বিকট আওয়াজ করে ফুটছিল।”
ব্যবসায়ীদের হতাশা: সিএনএফ-এর এক কর্মচারী বলেন, “কার্গোর সব কাপড়চোপড় ও কেমিক্যাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগামী দুই তিন মাস হয়তো আমরা কোনো কাজই করতে পারব না।” দুপুরে নামানো তামিম এক্সপ্রেস লিমিটেডের আড়াই টন আমদানি করা গার্মেন্টস পণ্যও পুড়ে ছাই হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
বিমান চলাচল ও ভোগান্তি
আগুনের ভয়াবহতা বেড়ে যাওয়ায় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ উড্ডয়নের অপেক্ষায় থাকা উড়োজাহাজ নিরাপদে সরিয়ে নেয় এবং সব ধরনের বিমান ওঠানামা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
ফ্লাইটের গতি পরিবর্তন: ঢাকামুখী ৮টি ফ্লাইট চট্টগ্রামে এবং একটি ফ্লাইট সিলেটে অবতরণ করেছে। এতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটের যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পাঠকের মতামত:
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না:গোলাম পরওয়ার
- মস্কোর কৌশলী অবস্থান: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে কেন ‘সময়সীমা নেই’?
- কানাডায় প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
- ২২ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- প্রাণের উৎস পানি, কিন্তু পানির জন্ম কোথায়? উত্তর মিললো বিজ্ঞান ও কোরআনে
- পিরামিডের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্য: কোরআনের আলোয় ফারাওদের উত্থান-পতনের ইতিহাস
- প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বিএনপির উদ্বেগ: ফখরুল জানালেন আলোচনার বিষয়
- দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক
- জ্বীনের অদৃশ্য জগৎ: বিজ্ঞান কি খুলতে চলেছে সেই রহস্যের দরজা?
- টানা ১০ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয়?
- আই লাভ মুহাম্মদ লেখা নিয়ে ভারতে উত্তেজনা: পুলিশের গুলি ও উচ্ছেদ অভিযান
- মির্জা ফখরুল, সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যমুনায়
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- লিংকডইনে চাকরি খুঁজছেন? প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি কৌশল
- মহাজাগতিক দৃশ্য: আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসছে দুই বিরল ধূমকেতু
- ধীরগতির ওয়াইফাই: আপনার ঘরের এই ৮টি জিনিসই সিগনাল দুর্বল করছে
- সালমান শাহ হত্যা মামলা: নতুন করে আসামি হলেন যারা
- ঘরে বসেই বানান নিখুঁত ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক, রইল সহজ রেসিপি
- ১৩ প্রকল্প অনুমোদন একনেক
- দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন অন্ধ রোগীরা: চোখে মাইক্রোচিপ প্রতিস্থাপনে ‘চমকপ্রদ’ সাফল্য
- ২১ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গলা ব্যথা ও সর্দি: ওষুধ নয়, এই ৪টি ঘরোয়া প্রতিকারে মিলবে দ্রুত স্বস্তি
- মস্তিষ্কের ক্যানসার: যে ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ অবহেলা করা উচিত নয়
- রোনালদোকে নিয়ে হতাশা ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের
- আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে?
- নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এআই অপব্যবহার রোধে সমন্বিত সেল গঠনের নির্দেশ সিইসি’র
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
- জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: ‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না’—প্রেমিকার নির্মমতা প্রকাশ
- শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
- আলোয় আলোকিত বলিউড: দীপাবলির ঝলমলে উৎসবে তারকাদের উচ্ছ্বাস
- নারী নেতৃত্বে জাপান: তাকাইচি পেলেন পার্লামেন্টের আস্থা
- ট্রাম্পের হুমকিতে উত্তাল বোগোতা: যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া
- উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন দিগন্ত: সরকারের স্থানিক পরিকল্পনা উদ্যোগ
- গাজায় রক্ত ঝরছে, মার্কিন দূতরা ইসরায়েলে: শান্তিচুক্তি কি টিকে থাকবে?
- সুপ্রিম কোর্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু
- ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
- মিরপুরের উইকেট: স্পিনারদের প্রতি মুশতাক আহমেদের বিশেষ বার্তা
- নতুন পে স্কেল: এক দশক পর বেতন কাঠামোয় আসছে বড় পরিবর্তন
- ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- পোড়া খাবারের গন্ধ দূর করার সহজ ৩টি ঘরোয়া উপায়
- জিরা পানির ম্যাজিক: ত্বক-চুল থেকে ডায়াবেটিস—যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ৭টি রোগ
- সুখবর: রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের পাসপোর্ট ফি নিয়ে বড় ঘোষণা
- বিএনপি-জামায়াত কেউ এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না: সারজিস আলম
- চট্টগ্রামে চবি শিক্ষার্থীর হাত-পায়ের রগ কাটা লাশ উদ্ধার
- কোটি কিলোমিটার নয়: মঙ্গলে যাওয়ার স্বপ্নপূরণ হচ্ছে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে!
- উপুড় হয়ে শোয়ার অভ্যাস: ৪টি বড় বিপদ, যা আপনার অজান্তেই ক্ষতি করছে শরীর
- আমার বুক আপনার ঢাল:উহুদ যুদ্ধে নবীজিকে বাঁচাতে গিয়ে এক হাত অবশ হলো যে সাহাবির
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- অভিভাবকতন্ত্রের প্রলোভন: জেনারেল ভূঁইয়ার বয়ান ও গণতন্ত্রের ঘড়ি থামানোর বিপদ
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ‘জুলাই সনদ’-এর ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ