যমুনার বৈঠকে বড় বার্তা দিল জামায়াত-ইসলামী আন্দোলন

রাজধানীর উত্তরা এলাকায় সামরিক বিমান বিধ্বস্তের প্রেক্ষাপট ও চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই একটি গুরুত্বপূর্ণ গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে যমুনা নদীসংলগ্ন একটি অজ্ঞাত স্থানে। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক টেবিলে বসেন বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং ইসলামী আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আইন-শৃঙ্খলা, নির্বাচনপূর্ব প্রস্তুতি এবং বহুল আলোচিত ‘জুলাই সনদ’ নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বৈঠক শেষে জামায়াত ইসলামী এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রতিনিধিরা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেও বিএনপি ও এনসিপির নেতারা নীরব ছিলেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তাদের বক্তব্য না দেওয়াকে একটি কৌশলগত অবস্থান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এক বিবৃতিতে বলেন, “গতকাল মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, আমরা সে ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছি। আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে এবং নিহতদের পরিবার যেন যথাযথ সহায়তা পায়, সে আহ্বান আমরা সরকারের প্রতি জানিয়েছি।”
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমানে একটি বিশেষ মহল দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চক্রান্ত করছে। আমরা সরকারকে বলেছি—আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই দেশে ফ্যাসিবাদের আর কোনো স্থান নেই। জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এই অপশক্তিকে প্রতিহত করবে।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের আগেই একটি শান্তিপূর্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা ছাড়া কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।”
ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম-মহাসচিব গাজী আতাউর রহমানও বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, “বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে কেউ কেউ গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই অপতৎপরতা রুখতে রাজনৈতিকভাবে ঐক্য বজায় রাখতে হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু সবাই একমত যে, আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে আর যেন পুনর্বাসিত করা না যায়। যে যেই অবস্থানে থাকি না কেন, এই স্বৈরাচারী প্রবণতার বিরুদ্ধে সম্মিলিত অবস্থান জরুরি।”
সচিবালয়ে বারবার হামলার বিষয়টি তুলে ধরে তিনি প্রশ্ন তোলেন, “পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে তো সচিবালয়ে এমন বারবার হামলার ঘটনা ঘটেনি। তাহলে এই সরকারের আমলে কেন ঘটছে? প্রশাসনিক ব্যর্থতা রয়েছে কি না, সেটি খতিয়ে দেখা জরুরি।”
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নির্বাচনের পূর্বে যেন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটে, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার যেন আরও কঠোর হয়।”
-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারে দলীয় লোকজন থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী মন্তব্য করেছেন, বর্তমান সরকারে যদি দলীয় লোকজন থেকে যায়, তাহলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দলীয় লোকজনকে সরিয়ে দিতে হবে।
বুধবার (২২ অক্টোবর) নয়া পল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দলীয়করণ ও জুলাই সনদ
রিজভী অভিযোগ করেন, এ দেশের সর্বক্ষেত্রে চরমভাবে দলীয়করণ হয়েছে। ফলে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের অনেককেই দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে।
জুলাই সনদ: তিনি বলেন, জুলাই সনদ মোটাদাগে সবাই মেনে নিয়েছে এবং এতে থাকা প্রতিশ্রুতিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি।
শেখ হাসিনার সমালোচনা: রিজভী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো ভেবেছিলেন তাদের জমিদারি চিরস্থায়ী, কিন্তু ৫ আগস্টের পর অনেকের মানসিকতা বদলাতে শুরু করেছে।
আইন-শৃঙ্খলা: তিনি স্বীকার করেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো স্বস্তিদায়ক নয়।
পরিবেশ ও নির্বাচন
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষণার কথা উল্লেখ করে রিজভী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ২৫ কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে।
রিজভী বলেন, বিএনপির স্বাভাবিক ও সুস্থ রাজনৈতিক যাত্রাপথে বহু বাধা ও ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনকে নিরপেক্ষ হতে হবে।
তারেক রহমানের নির্দেশে প্রার্থী বাছাই ২০০ আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চলতি অক্টোবরের মধ্যেই প্রায় ২০০ আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করবে। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ আসনে প্রার্থিতা মোটামুটি চূড়ান্ত করে ফেলেছে। দলের স্থায়ী কমিটির কোনো কোনো সদস্য চান, বিভ্রান্তি এড়াতে এসব প্রার্থিতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হোক।
আসন সংকট ও সাংগঠনিক পদক্ষেপ
জরিপ ও চূড়ান্তকরণ: প্রার্থী বাছাইয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে পাঁচটি জরিপ হয়েছে। একাধিক প্রার্থী এবং কোন্দল থাকায় শতাধিক আসনকে ‘জটিলতা’ বিবেচনা করে সংকট নিরসনে সাংগঠনিক উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
কঠোর নির্দেশনা: এসব আসনের প্রার্থীকে কেন্দ্রে ডেকে দল থেকে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।
প্রতিপক্ষ জামায়াত: ‘কার্যক্রম নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগ নির্বাচনের মাঠে না থাকায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীকেই বিএনপির প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
প্রশাসনে জামায়াতীকরণ ও ইসির উদ্যোগ
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন নিয়ে কিছু উপদেষ্টা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছেন এবং প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে জামায়াতীকরণ করা হচ্ছে।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা: আলোচনায় উঠে আসে, সারাদেশে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার যে প্যানেল প্রস্তুত করা হচ্ছে, সেটির অধিকাংশ কর্মকর্তা ছাত্রজীবনে শিবির এবং বর্তমানে জামায়াতপন্থি। এতে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইসি বৈঠক: এ লক্ষ্যে আজ (বুধবার) বিএনপি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সতর্কতার সঙ্গে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দিয়ে প্যানেল প্রণয়ন করার আহ্বান জানাবে।
রাজনৈতিক কৌশল ও প্রচার
বিএনপি নির্বাচনে ধর্মীয় প্রচারের বিপরীতে রাজনৈতিক কৌশল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের নারী সংগঠনকে প্রত্যেক আসনে পুরোপুরি মাঠে নামানো হবে। জেন-জি প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে ছাত্র ও যুব সংগঠনকেও সক্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রতিশ্রুতি: বিএনপি ক্ষমতায় এলে এক বছরের মধ্যে এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থান এবং কৃষক কার্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রচার চালাবে।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ স্থায়ী কমিটির প্রায় সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এনসিপি’র সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আজ: জুলাই সনদের সমাধান কী আসবে?
রাজনৈতিক সংলাপের অংশ হিসেবে আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-এর প্রতিনিধিদল।
এনসিপি ও জামায়াতের কর্মসূচি
এনসিপি: বিকাল সাড়ে ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন জানিয়েছেন, দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।
জামায়াতে ইসলামী: সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যাবেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
এর আগে, মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না:গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিয়ে পরীক্ষা করুন।” তিনি বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না, কারণ জামায়াত ঘুষ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস করে না।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে খুলনা-৫ আসনের শাহপুর আঞ্চলিক অফিসে ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া, রঘুনাথপুর ও রুদাঘরা ইউনিয়নের ভোটকেন্দ্র প্রতিনিধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশ পরিচালনায় পরিবর্তনের আহ্বান
গোলাম পরওয়ার বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে তিনটি দল—আওয়ামী লীগ ২১ বছর, বিএনপি ১৫ বছর এবং জাতীয় পার্টি ৯ বছর ক্ষমতায় ছিল। তারা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি, শুধু নিজেদের পরিবর্তন করেছে।
তিনি বলেন:
“ক্ষমতায় যায়নি শুধু জামায়াতে ইসলামী। এবার জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিয়ে পরীক্ষা করুন। দেশের মানুষকে ভালো রাখবে, ইনশাআল্লাহ।”
গোলাম পরওয়ার অভিযোগ করেন, একটি পক্ষ জামায়াতের গণজোয়ার রুখে দিতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তিনি বলেন, জামায়াত ঘর দখল করে না, জমি দখল করে না, বালু উত্তোলন করে না। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে বেকার থাকবে না। কারিগরি শিক্ষার মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব দূর করা হবে। সৃষ্টিকর্তার বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালিত হলে হিন্দু-মুসলিম সবাই ভালো থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বিএনপির উদ্বেগ: ফখরুল জানালেন আলোচনার বিষয়
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে এখন থেকেই কেয়ারটেকার সরকারের আদলে রূপ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনকে অর্থবহ, নিরপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করতে এই মুহূর্ত থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকায় যেতে হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কাছে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
প্রশাসনের নিরপেক্ষতার ওপর জোর
বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল (অন্য দুই সদস্য হলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ) সন্ধ্যা ৬টার কিছুক্ষণ পরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করে।
বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে কেয়ারটেকারের আদলে রূপ দিতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন হবে প্রশাসনকে পুরোপুরিভাবে নিরপেক্ষ একটা ধারণা জনগণের মধ্যে তৈরি করা।
সচিবালয় ও জেলা প্রশাসন: তিনি বলেন, সচিবালয় এবং জেলা প্রশাসনে যারা এখনো ‘চিহ্নিত ফ্যাসিস্টের দোসর’ হিসেবে কাজ করছেন, তাদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য আমরা বলেছি।
পুলিশ ও নিয়োগ: পুলিশের নিয়োগের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে যে সমস্ত নতুন নিয়োগ বা পদোন্নতি দেওয়া হবে, সেই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ অবস্থা নেওয়ার কথা আমরা বলেছি।
বিচার বিভাগ: বিএনপি মহাসচিব বিচার বিভাগ, বিশেষ করে বিচার বিভাগের উচ্চপর্যায়ে এখনো থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের সরিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ বিচারক দেওয়ার ব্যবস্থা করার দাবিও জানান।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকারকে সম্পূর্ণভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য এবং সরকারের মধ্যে যদি কোনো দলীয় লোক থেকে থাকেন, তাদের অপসারণ করার জন্য দাবি জানানোই ছিল সাক্ষাতের মূল উদ্দেশ্য।
মির্জা ফখরুল, সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যমুনায়
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রবেশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৫টা ৫৭ মিনিটে তারা যমুনায় প্রবেশ করেন।
প্রতিনিধি দলের বাকি দুজন হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ। ধারণা করা হচ্ছে, এই সাক্ষাতে তারা সরকারের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ তুলে ধরবেন।
আইআরআইয়ের সঙ্গে বৈঠক
এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে ঢাকায় সফররত ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই)-এর একটি প্রতিনিধিদল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করে। গুলশান চেয়ারপারসনের অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে এই বৈঠকে আরও ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ডক্টর আব্দুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আইআরআই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আইআরআই বোর্ড সদস্য ক্রিস্টোফার ফাসনার এবং সেন্টার ফর এ নিউ আমেরিকান সিকিউরিটি (সিএনএএস)-এর ইন্দো-প্যাসিফিক সিকিউরিটি প্রোগ্রামের সিনিয়র ফেলো লিসা কার্টিস। প্রতিনিধিদলে আরও ছিলেন কারিগরি বিশেষজ্ঞ জেসিকা কিগানসহ নয়জন সদস্য।
আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিএনপি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বসবে এই বৈঠক, যেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং নিশ্চিত করেছে যে, বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হবে জাতীয় নির্বাচন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং বিরোধী দলগুলোর ভূমিকা।
এটি হবে বিএনপি ও ড. ইউনূসের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক—এর আগে ৩১ আগস্টও তারা মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবারের বৈঠকটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা, কারণ জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপির সক্রিয় অংশগ্রহণের পর এটি হতে যাচ্ছে প্রথম আনুষ্ঠানিক সংলাপ।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা—বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য কী? কেবল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, নাকি নতুন একটি রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের প্রচেষ্টা? সূত্রমতে, বিএনপি এবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের রোডম্যাপ চাইতে পারে। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে পারস্পরিক সংলাপ ও আস্থার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হতে পারে।
একজন জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা বলেন, “এটি কেবল আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের পথচিত্র নির্ধারণ করবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বৈঠকে মৌলিক ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়, তবে এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনরুত্থানের নতুন ভিত্তি হতে পারে।
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদ—যেখানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল স্বাক্ষর করেছে—রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। বৈঠকের সময়সূচি ঘোষণার পর অনেকেই মনে করছেন, এই আলোচনায় সনদের বাস্তবায়নই মুখ্য বিষয় হবে। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সনদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ছাড়া দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
মির্জা ফখরুল ইতোমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, “জুলাই সনদ কেবল কাগজ নয়; এটি গণআকাঙ্ক্ষার দলিল।” তাই বৈঠকে তিনি সরকারের কাছ থেকে এই সনদের সময়সূচি ও বাস্তবায়ন কাঠামো সম্পর্কে পরিষ্কার আশ্বাস চাইতে পারেন।
বিএনপি এবার সংলাপে অংশ নিচ্ছে তুলনামূলকভাবে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রেখে। একদিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রাখছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চাপও অনুভব করছে। দলটির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, “আমরা সংলাপে যাচ্ছি, কিন্তু জনগণের রায়ের বাইরে কোনো সমাধান গ্রহণ করবো না।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই কৌশল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিএনপি এবার সরাসরি মুখোমুখি সংঘাতের পথে নয় বরং নীতি ও আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চায়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য এই বৈঠকও সমান গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই সনদে তার ভূমিকা যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি এর বাস্তবায়নে বিলম্ব ও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগও উঠেছে। বিএনপির সঙ্গে এই বৈঠক তার জন্য এক ধরনের “টেস্ট কেস”—যেখানে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সত্যিই নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।
সরকারি সূত্র বলছে, ইউনূসের লক্ষ্য হলো আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সর্বসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। তিনি চান রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার টেবিলে ফিরুক, যাতে “নতুন বাংলাদেশ”-এর স্বপ্ন বাস্তব রূপ পায়।
নারী নেতৃত্বে জাপান: তাকাইচি পেলেন পার্লামেন্টের আস্থা
জাপানের রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন সানায়ে তাকাইচি। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ মঙ্গলবার তাঁকে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। ৬৪ বছর বয়সী এই রক্ষণশীল রাজনীতিক ও চীনবিরোধী কণ্ঠস্বর অপ্রত্যাশিতভাবে প্রথম দফার ভোটেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পান।
নির্বাচনের পর মঙ্গলবারই সম্রাটের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তাকাইচি। এভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী জাপানি রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে, যেখানে প্রথমবারের মতো নারী নেতৃত্বে দেশটির সরকার পরিচালিত হবে।
রক্ষণশীল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) দীর্ঘদিনের সদস্য তাকাইচি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশেষ করে প্রতিরক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি নিয়ে কঠোর অবস্থানের জন্য পরিচিত। চীনের সম্প্রসারণবাদী নীতির বিরোধিতা এবং জাপানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে তাঁর অবস্থান আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও আলোচিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তাকাইচির নেতৃত্বে জাপান আরও দৃঢ় পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারত্ব ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে। পাশাপাশি, তাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়া জাপানের সামাজিক কাঠামোতেও নারীর নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
-হাসানুজ্জামান
বিএনপি-জামায়াত কেউ এককভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবে না: সারজিস আলম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মন্তব্য করেছেন, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী কেউ এককভাবে দেশ পরিচালনা করার মতো শক্তিশালী নয়। তিনি বলেন, আপাতত দৃষ্টিতে যা দেখা যায় আর মাঠের বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য আছে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বগুড়ায় এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধনের আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তরুণ নেতৃত্বের প্রয়োজন
সারজিস আলম বলেন, আগামীতে আওয়ামী লীগ ও আধিপত্যবাদ প্রশ্নে বিএনপি বা জামায়াত কেউ এককভাবে দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে না। তিনি বলেন:
“এই জায়গায় এনসিপির শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব রাজপথে যেমন লাগবে, সংসদেও প্রয়োজন, সেই লক্ষ্যে সাংগঠনিক শক্তি বাড়াতে কাজ করছি।”
তিনি আরও বলেন, আগামীর সংসদে তরুণরা যদি প্রতিনিধিত্ব করতে না পারে, তাহলে গতানুগতিক কালচার পরিবর্তন সম্ভব নয়। এনসিপি দেশের মানুষের স্বার্থ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করবে।
জুলাই সনদ ও আপসহীনতা
এনসিপি নেতা জানান, সংস্কার ও বিচারের জন্য এনসিপি সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে এবং আগামীতেও করবে। তিনি জুলাই সনদের বিষয়ে এনসিপির কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন:
“জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও আইনগত ভিত্তির প্রশ্নে সকলে একপথে গেলেও এনসিপি সেই স্রোতে গা ভাসায়নি। এনসিপি জনগণের প্রশ্নে আপসহীন থেকে সনদের আইনগত ভিত্তির নিশ্চয়তা চেয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চয়তা না পাবে ততক্ষণ পর্যন্ত জুলাই সনদে সাক্ষর থাকবে না।”
পাঠকের মতামত:
- বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়নি, শুধু নিরপেক্ষতা চেয়েছে: ড. আসিফ নজরুল
- সরকারে দলীয় লোকজন থাকলে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়: রিজভী
- তারেক রহমানের নির্দেশে প্রার্থী বাছাই ২০০ আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত
- কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার নয়, ইউএনওদের প্রতি সিইসি’র কঠোর নির্দেশ
- ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরও ক্লান্তি? ঘুমের গুণমান নষ্ট করছে ৬টি অভ্যাস
- শুষ্ক কাশির সমাধান: এই ৪টি ঘরোয়া উপাদানই যথেষ্ট
- পেটের মেদ কমাবে ৫ পানীয়: সকালে পান করলেই মিলবে চমকপ্রদ ফল
- ২২ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২২ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- এনসিপি’র সেই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক আজ: জুলাই সনদের সমাধান কী আসবে?
- প্রবাসীরাও এবার ভোট দেবেন: অ্যাপ চালু নিয়ে ইসি’র বড় ঘোষণা
- সত্যিকারের অপরাধী ভারতে,আত্মসমর্পণ করা ১৫ সেনা কর্মকর্তা নির্দোষ
- ড্রাইভিং লাইসেন্স পদ্ধতিতে আসছে আমূল পরিবর্তন
- আইন উপদেষ্টা: রাজনৈতিক অনৈক্যের কারণে ফেব্রুয়ারির নির্বাচন নিয়ে সংশয়
- ফারমিনের হ্যাটট্রিক, রাশফোর্ডের জোড়া—এল ক্লাসিকোর আগে উড়ছে বার্সেলোনা
- নিজ সরকারের বিরুদ্ধেই ট্রাম্পের মামলা: মার্কিন রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা
- কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীকে বেঁধে লাঠিপেটা করলেন যুবলীগ নেতা
- “অবৈধ অনুপ্রবেশ”–অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চীনের অভিযোগে কূটনৈতিক টানাপোড়েন
- সেনা কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন
- শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
- ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না:গোলাম পরওয়ার
- মস্কোর কৌশলী অবস্থান: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে কেন ‘সময়সীমা নেই’?
- কানাডায় প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
- ২২ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- প্রাণের উৎস পানি, কিন্তু পানির জন্ম কোথায়? উত্তর মিললো বিজ্ঞান ও কোরআনে
- পিরামিডের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্য: কোরআনের আলোয় ফারাওদের উত্থান-পতনের ইতিহাস
- প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বিএনপির উদ্বেগ: ফখরুল জানালেন আলোচনার বিষয়
- দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক
- জ্বীনের অদৃশ্য জগৎ: বিজ্ঞান কি খুলতে চলেছে সেই রহস্যের দরজা?
- টানা ১০ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয়?
- আই লাভ মুহাম্মদ লেখা নিয়ে ভারতে উত্তেজনা: পুলিশের গুলি ও উচ্ছেদ অভিযান
- মির্জা ফখরুল, সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যমুনায়
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- লিংকডইনে চাকরি খুঁজছেন? প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি কৌশল
- মহাজাগতিক দৃশ্য: আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসছে দুই বিরল ধূমকেতু
- ধীরগতির ওয়াইফাই: আপনার ঘরের এই ৮টি জিনিসই সিগনাল দুর্বল করছে
- সালমান শাহ হত্যা মামলা: নতুন করে আসামি হলেন যারা
- ঘরে বসেই বানান নিখুঁত ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক, রইল সহজ রেসিপি
- ১৩ প্রকল্প অনুমোদন একনেক
- দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন অন্ধ রোগীরা: চোখে মাইক্রোচিপ প্রতিস্থাপনে ‘চমকপ্রদ’ সাফল্য
- ২১ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গলা ব্যথা ও সর্দি: ওষুধ নয়, এই ৪টি ঘরোয়া প্রতিকারে মিলবে দ্রুত স্বস্তি
- মস্তিষ্কের ক্যানসার: যে ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ অবহেলা করা উচিত নয়
- রোনালদোকে নিয়ে হতাশা ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের
- আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে?
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- অভিভাবকতন্ত্রের প্রলোভন: জেনারেল ভূঁইয়ার বয়ান ও গণতন্ত্রের ঘড়ি থামানোর বিপদ
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ‘জুলাই সনদ’-এর ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ