পোড়া স্থানে বরফ নয়, পানি ব্যবহার করাই নিরাপদ: বিশেষজ্ঞ পরামর্শ

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২২ ১০:৫৭:১০
পোড়া স্থানে বরফ নয়, পানি ব্যবহার করাই নিরাপদ: বিশেষজ্ঞ পরামর্শ
ছবিঃ সংগৃহীত

পোড়ার পর বরফ ব্যবহার করলে আরাম মিলবে—এমন ধারণা অনেকের মধ্যে প্রচলিত। কিন্তু চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধারণা ভুল। বরং পোড়া স্থানে সরাসরি বরফ দিলে ক্ষতির মাত্রা আরও বাড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বরফের অতিরিক্ত ঠান্ডা প্রভাব ত্বকের টিস্যুকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এতে রক্তনালীগুলো সংকুচিত হয়ে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। ফলে ত্বকের কোষগুলো প্রয়োজনীয় অক্সিজেন ও পুষ্টি পায় না, যা নিরাময় প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। বরফ কিছুক্ষণের জন্য ব্যথা কমালেও, ত্বকের প্রকৃত ক্ষতির মাত্রা ঢেকে রাখে, যা সঠিক চিকিৎসা নিতে বাধা সৃষ্টি করে।

কী করা উচিত নয়

পোড়া স্থানে বরফ, মাখন, তেল বা যেকোনো ঘরোয়া উপাদান লাগানো উচিত নয়।

ফোসকা ফাটানো যাবে না, কারণ এটি সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

করণীয়

১. পোড়ার উৎস থেকে আক্রান্তকে সরিয়ে ফেলুন এবং গায়ে থাকা গয়না বা কাপড় খুলে ফেলুন।

২. পোড়া স্থানে ঠাণ্ডা (কিন্তু বরফঠাণ্ডা নয়) প্রবাহমান পানি ১০-২০ মিনিট ধরে দিন।

৩. হালকা সাবান ও পানি দিয়ে পরিষ্কার করে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে শুকিয়ে নিন।

৪. নন-স্টিক ব্যান্ডেজ দিয়ে ঢেকে রাখুন।

৫. ব্যথা কমাতে প্রয়োজন হলে প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন খেতে পারেন।

৬. সংক্রমণ প্রতিরোধে অ্যান্টিবায়োটিক মলম ব্যবহার করুন।

ফোসকা হলে করণীয়

ফোসকা না ফাটানোই ভালো। যদি ফেটে যায়, তাহলে এলাকা জীবাণুমুক্ত করে নতুন ব্যান্ডেজ দিন।

কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন?

পোড়ার স্থান যদি মুখ, হাত, পা বা যৌনাঙ্গে হয়

পোড়ার আকার যদি ৩ ইঞ্চির বেশি হয়

যদি ত্বক সাদা, কালো বা পোড়ার মতো দেখায় (তৃতীয়-ডিগ্রি পোড়া)

জ্বর, অতিরিক্ত ব্যথা বা লালভাব দেখা দিলে (সংক্রমণের লক্ষণ)

পোড়ার ধরণ

প্রথম-ডিগ্রি: ত্বকের ওপরের স্তরে, হালকা লাল ও ব্যথাযুক্ত, দ্রুত সারে।

দ্বিতীয়-ডিগ্রি: ত্বকের নিচের স্তরে, ফোসকা ও ব্যথা হয়, সেরে যেতে সময় লাগে।

তৃতীয়-ডিগ্রি: ত্বকের সব স্তর আক্রান্ত, ত্বক সাদা বা পোড়ার মতো হয়, ব্যথা কম হলেও খুবই বিপজ্জনক।

সতর্কভাবে নেওয়া প্রাথমিক পদক্ষেপই নির্ধারণ করে পোড়ার পর সুস্থতার গতি। তাই ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বরফ ব্যবহার না করে, নিরাপদ উপায়ে চিকিৎসা নিন। বরফের বদলে ঠাণ্ডা পানি ব্যবহারে দ্রুত আরাম পাওয়া সম্ভব এবং তা নিরাপদও।

সূত্র : ফার্স্ট এইড প্রো

Holiday Village

জিরা পানির ম্যাজিক: ত্বক-চুল থেকে ডায়াবেটিস—যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ৭টি রোগ

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ২১:০০:৫৩
জিরা পানির ম্যাজিক: ত্বক-চুল থেকে ডায়াবেটিস—যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ৭টি রোগ
ছবিঃ সংগৃহীত

জিরা রান্নাঘরের গুরুত্বপূর্ণ মসলা, যা শুধু খাবারের স্বাদ-গন্ধ বাড়ায় না, স্বাস্থ্যেরও অনেক উপকার করে। জিরাতে রয়েছে আয়রন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-সি, জিঙ্ক ও পটাশিয়াম। এ কারণে রোজ সকালে জিরাপানি পান করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি বিশেষ করে যারা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেন, তাদের জন্য উপকারী। জিরা পানি গ্যাস, পেট ফাঁপা, বদহজম এবং পেট ভার হয়ে থাকার সমস্যাও দূর করতে পারে।

জিরা পানির ৭টি স্বাস্থ্য উপকারিতা

১. হজম ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা: এটি দ্রুত এবং উন্নত হজমে সহায়তা করে। গ্যাস জমে পেট ফুলে যাওয়া, পেট ভার হয়ে থাকা, পেটে অস্বস্তি বা পেট ব্যথা—সবকিছু সারাতে পারে জিরা পানি।

২. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: জিরা পটাশিয়াম, আয়রন ও ফাইবারের ভালো উৎস। নিয়মিত জিরা পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ ও ডিটক্স: জিরা পানি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে পারে। পরিপাকক্রিয়া ঠিক রাখায়, শরীর থেকে টক্সিন সহজেই পরিষ্কার হয়, ফলে ওজন হ্রাস এবং ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।

৪. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: খালি পেটে জিরা পানি পান ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য উপকারী। জিরা শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

৫. হৃদরোগ ও রক্তচাপ: উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম থাকায় জিরা পানি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এটি ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগজনিত নানা জটিলতা হ্রাস করে।

৬. ক্যানসার ঝুঁকি হ্রাস: জিরা পানিতে থাকা অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি হ্রাস করতে অত্যন্ত কার্যকরী।

৭. ত্বক ও চুলের যত্ন: জিরা পানিতে থাকা উপকারী উপাদানগুলো ত্বক উজ্জ্বল করে। এটি ব্রণের সমস্যা দূর করে, সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে এবং চুল পড়া প্রতিরোধ করে।

জিরা পানি তৈরির পদ্ধতি

জিরা পানি তৈরি করার নিয়মটি সহজ:

১. প্রথমে ১ চামচ জিরা পাত্রে সামান্য গরম করে নিন।

২. এরপর জিরা ভালোভাবে ধুয়ে নিন।

৩. এক কাপ কুসুম গরম পানিতে জিরা ঢেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিন।

৪. ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন পানির রং হলদে ভাব আসা পর্যন্ত।

৫. পানি ছেঁকে নিয়ে সকালে খালি পেটে নিয়মিত এই পানীয় পান করলে এক সপ্তাহের মধ্যেই উপকার পাবেন।


হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: বাড়িতে বসেই হৃদযন্ত্র সুস্থ কিনা, জানুন ৩ সহজ উপায়ে

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৬:২১:৩৪
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: বাড়িতে বসেই হৃদযন্ত্র সুস্থ কিনা, জানুন ৩ সহজ উপায়ে
ছবিঃ সংগৃহীত

হৃদপিণ্ড আমাদের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির মধ্যে একটি। এটি সারাদিন-রাত নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে। কিন্তু আধুনিক জীবনযাত্রার চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং ব্যায়ামহীনতা আমাদের হার্টের ওপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করছে, ফলে বয়স বাড়ার আগেই হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। অনেকেই মনে করেন, হার্টের যত্ন নেওয়া মানে নিয়মিত হাসপাতালের পরীক্ষা। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, বাড়িতেই কিছু সহজ পরীক্ষা করে জানা যায় আপনার হৃদযন্ত্র কতটা সুস্থ।

হৃদযন্ত্রের সুস্থতা যাচাইয়ের ৩টি ঘরোয়া পদ্ধতি

১. হৃদস্পন্দন পরিমাপ (Heart Rate): আপনার হার্ট কতটা শক্তিশালী, তা বোঝার অন্যতম সহজ উপায় হলো নাড়ির হার পরিমাপ করা।

পদ্ধতি: তর্জনী ও মধ্যমা আঙুল কব্জির ভিতরের দিকে, বৃদ্ধাঙ্গুলির নিচে রাখুন। ঘড়ি বা স্টপওয়াচে ১০ সেকেন্ড গণনা করে স্পন্দন গুনুন। সংখ্যাটিকে ৬ দিয়ে গুণ করুন—এটাই প্রতি মিনিটে আপনার হৃদস্পন্দন।

সতর্কতা: বিশ্রামের সময় প্রতি মিনিটে ৬০ থেকে ১০০ বিট স্বাভাবিক ধরা হয়। যদি হৃদস্পন্দন ১০০-এর বেশি বা ৬০-এর কম হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

২. সিঁড়ি পরীক্ষা (Stair Test): হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের কার্যক্ষমতা যাচাইয়ের সহজ উপায় হলো ‘সিঁড়ি পরীক্ষা’।

পদ্ধতি: প্রায় ৪ তলা বা ৬০ ধাপ সিঁড়ি স্বাভাবিক গতিতে ওঠার চেষ্টা করুন।

ফলাফল বিশ্লেষণ: যদি ৯০ সেকেন্ডের কম সময় লাগে এবং শ্বাসকষ্ট না হয়, আপনার হৃদপিণ্ড সম্ভবত ভালো অবস্থায় আছে। কিন্তু বুক জ্বালাপোড়া, ব্যথা, ঘাম বা মাথা ঘোরা দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

৩. স্মার্ট ডিভাইস ও অ্যাপ ব্যবহার: প্রযুক্তির যুগে নিজের হার্টের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ এখন আরও সহজ। স্মার্টওয়াচ, ফিটনেস ব্যান্ড বা মোবাইল অ্যাপ হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপের পরিবর্তন নজরে রাখে।

ব্যবহার পদ্ধতি: নিয়মিত রক্তচাপ, ওজন, ব্যায়াম ও ঘুমের ডেটা অ্যাপে রেকর্ড করুন। কিছু উন্নত ডিভাইস অনিয়মিত হৃদস্পন্দনও শনাক্ত করতে পারে। সেই তথ্য চিকিৎসকের সঙ্গে শেয়ার করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অ্যাপ বা ডিভাইসগুলো কোনোভাবেই চিকিৎসা পরীক্ষার বিকল্প নয়। যদি কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায়, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিয়মিত ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক চাপ কমানো এবং সুষম খাদ্যাভ্যাসই হলো সুস্থ হৃদয়ের চাবিকাঠি।


উপকারী না ক্ষতিকর? শুঁটকি মাছ নিয়ে পুষ্টিবিদের বিশ্লেষণ

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৬:০২:৫৫
উপকারী না ক্ষতিকর? শুঁটকি মাছ নিয়ে পুষ্টিবিদের বিশ্লেষণ
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশের গ্রামীণ ও উপকূলীয় সংস্কৃতিতে শুঁটকি একটি পরিচিত ও জনপ্রিয় খাবার। শতাব্দী ধরে খাদ্য তালিকায় থাকা এই শুকনো মাছ শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য। গবেষণা বলছে, শুঁটকি মাছ উচ্চ প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের দারুণ উৎস। তবে সঠিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না হলে এই খাবারটি স্বাস্থ্যহানিকর হয়ে উঠতে পারে।

শুঁটকির ৫টি প্রধান স্বাস্থ্য উপকারিতা

শুঁটকি মাছকে পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতার লিপি একটি কার্যকর পুষ্টিকর খাবার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। পুষ্টিবিদের মতে, এর উপকারিতাগুলো হলো:

১. প্রোটিনের ভান্ডার: শুঁটকিতে প্রায় ৮০-৮৫% প্রোটিন থাকে, যা কোষ গঠনে, পেশি মজবুত রাখতে, চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে এবং ক্ষত সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

২. আয়রনের উৎস: এটি রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরের কোষে অক্সিজেন পরিবহন নিশ্চিত করে। আয়রনের অভাবে সৃষ্ট অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে এটি সহায়ক।

৩. ক্যালসিয়াম ও হাড়ের যত্ন: শুঁটকি ক্যালসিয়ামের অন্যতম ভালো উৎস। এটি হাড় ও দাঁত মজবুত করে এবং বয়স্কদের অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

৪. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: এটি হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্মৃতিশক্তি ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক।

৫. ফসফরাস ও ভিটামিন: এতে থাকা ফসফরাস হাড় ও কোষীয় স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর। এছাড়া ভিটামিন এ, ডি ও বি-কমপ্লেক্স স্নায়ুতন্ত্র ও শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি ও সতর্কতা

যদিও শুঁটকি পুষ্টিকর, তবে প্রচলিত উৎপাদন পদ্ধতির কারণে এটি স্বাস্থ্যহানিকর হতে পারে।

প্রক্রিয়াজাতকরণের সমস্যা: সাধারণত মাছ ধরার পর সরাসরি রোদে শুকানো হয়, যেখানে সঠিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব থাকে। এতে ধুলোবালি, কীটপতঙ্গ, এমনকি কুকুর বা বিড়ালের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি থাকে।

রাসায়নিকের ব্যবহার: অনেক সময় শুঁটকি সংরক্ষণে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বাসি বা নষ্ট মাছ দিয়ে শুঁটকি তৈরি করা হলে তার গুণগত মান কমে যায়।

শুঁটকি খাওয়ার সময় করণীয়

পুষ্টিবিদ হাসিনা আকতার লিপি সতর্ক করে বলেন, শুঁটকি খাওয়ার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি:

১. লবণ: শুঁটকিতে প্রাকৃতিকভাবেই লবণ থাকে, তাই অতিরিক্ত লবণ দিয়ে রান্না করা ঠিক নয়।

২. বিশুদ্ধতা: বাজারজাত অনেক শুঁটকিতে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানো হয়। তাই ভালো ব্র্যান্ড বা বিশ্বস্ত উৎস থেকে কেনা উচিত।

৩. তেল-মসলা: অতিরিক্ত তেল ও মসলা শুঁটকির হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রিক বা উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে।

৪. কিডনি রোগী: যাদের কিডনি সমস্যা রয়েছে বা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি, তাদের জন্য শুঁটকি খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, শুঁটকি যাতে স্বাস্থ্যবান্ধব ও নিরাপদ হয়, তার জন্য প্রয়োজন উন্নত ও বিজ্ঞানভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থা।


সাবধান! কম ঘুম ছোট করে দিতে পারে মস্তিষ্ককে, নতুন গবেষণার ভয়াবহ তথ্য

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ১০:৫৭:৫২
সাবধান! কম ঘুম ছোট করে দিতে পারে মস্তিষ্ককে, নতুন গবেষণার ভয়াবহ তথ্য
ছবিঃ সংগৃহীত

রাতে কম ঘুমানো শুধু ক্লান্তি বাড়ায় না, বরং মস্তিষ্কের আকারও ছোট করে দিতে পারে—সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমনটাই চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। একটি বৃহৎ আকারের এমআরআই-ভিত্তিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের মস্তিষ্ক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ২ শতাংশ পর্যন্ত সঙ্কুচিত হতে পারে।

হিপোক্যাম্পাস ও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি

গবেষকদের মতে, কম ঘুমের কারণে প্রতি বছর মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস অংশের আয়তন গড়ে ০.২২ শতাংশ বেশি হ্রাস পায়। হিপোক্যাম্পাস হলো মস্তিষ্কের সেই অংশ, যা স্মৃতি, শেখার ক্ষমতা এবং মানসিক ভারসাম্যের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত।

স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি: গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মানুষ মধ্যবয়সে নিয়মিত ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান, তাদের মধ্যে ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ বেশি।

বার্ধক্যের প্রভাব: এমনকি তাদের মস্তিষ্কের গঠন তুলনামূলকভাবে ২.৬ বছর বেশি বয়স্ক মনে হয়েছে, যারা নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম বজায় রেখেছেন তাদের তুলনায়।

গবেষকদের সতর্কবার্তা

ঘুমকে অনেকেই নমনীয় বিষয় বলে মনে করলেও, গবেষকরা বলছেন, ঘুমই হচ্ছে মস্তিষ্কের দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষার সবচেয়ে কার্যকর ‘প্রাকৃতিক টুল’। নিয়মিত সময়মতো ঘুমানো শুধু স্মৃতি ও মনোযোগই নয়, বরং মানসিক স্থিতিশীলতাও রক্ষা করে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানীয় অবক্ষয় (cognitive decline) ধীর করে।

সংক্ষেপে, প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম ঘুম মানে শুধু পরদিনের ক্লান্তি নয়—এটি হতে পারে আপনার মস্তিষ্কের ধীরে ধীরে সঙ্কোচনের সূচনা। তাই এখনই ঘুমকে গুরুত্ব দিন—এটাই হতে পারে ভবিষ্যতে স্মৃতি ও মানসিক সুস্থতা রক্ষার সবচেয়ে সহজ উপায়।


পায়ে সামান্য ব্যথা বা ঘা: নীরব ঘাতক ‘রক্তনালির ব্লকের’ সংকেত নয়তো?

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ২০:৫১:০১
পায়ে সামান্য ব্যথা বা ঘা: নীরব ঘাতক ‘রক্তনালির ব্লকের’ সংকেত নয়তো?
ছবিঃ সংগৃহীত

সাধারণ মনে হলেও সামান্য ব্যথা, পায়ে খিল ধরা বা আঙুলে ঘা—এই উপসর্গগুলো মারাত্মক বিপদের প্রকাশ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে এক ধরনের নীরব রোগ দ্রুত ছড়াচ্ছে, যা প্রাথমিকভাবে অল্প সমস্যা মনে হলেও হঠাৎ করে গুরুতর অবস্থায় পৌঁছায়। এটি হলো পায়ের রক্তনালিতে ব্লক।

প্রাথমিক পর্যায়ে রোগী এই সমস্যাকে সাধারণ ব্যথা বা হালকা ঘা বলে এড়িয়ে দেন। কিন্তু ধীরে ধীরে হাঁটার সময় সীমা কমতে থাকে।

অবহেলার পরিণতি

বিশেষজ্ঞরা জানান, অনেকেই প্রথমে বলেন, "খিল ধরে গেছে," বিশ্রামে ব্যথা কমে আসে। কিন্তু কয়েক মাস বা বছর পর দেখা যায়, সামান্য হাঁটলেই তীব্র ব্যথা হয়। এরপর আঙুলে ঘা দেখা দেয়, যা সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগেও শুকায় না, পচন ধরে। অনেক ক্ষেত্রে রোগী চিকিৎসকের কাছে আসার সময় এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায়, যেখানে পা কাটার সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শত রোগীর মধ্যে প্রায় ৯৭-৯৮ জনের সমস্যা সাধারণ রক্তনালির ব্লক, যা সঠিক সময়ে ধরা পড়লে চিকিৎসাযোগ্য। ব্লক শুরু হয় শরীরে জন্ম থেকেই, গর্ভকাল বা শিশুকাল থেকেই ধীরে ধীরে ঝুঁকি বাড়তে থাকে।

কাদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি?

জীবনযাপন: ধূমপানকারী, অনিয়মিত জীবনযাপনকারী এবং ব্যায়ামে অনিয়মিত ব্যক্তিদের ঝুঁকি বেশি।

স্বাস্থ্যগত কারণ: বংশগতভাবে রক্তে চর্বি জমার প্রবণতা থাকা, নিয়ন্ত্রণহীন ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপও বড় কারণ। তবে নিয়ন্ত্রণে থাকলে ঝুঁকি অনেক কমানো যায়।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যদি হাঁটতে গেলে ব্যথা হয়, আঙুলের ঘা শুকায় না বা ছোট ইনফেকশন দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সময়মতো ব্যবস্থা নিলে চিকিৎসা সম্ভব, নাহলে শেষ পর্যন্ত বিকল্প হয়ে দাঁড়াবে শুধুই অস্ত্রোপচার।


চিকিৎসা বিজ্ঞানে বড় সাফল্য,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে কৃত্রিম কিডনি

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৮:৫৯:২৮
চিকিৎসা বিজ্ঞানে বড় সাফল্য,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে কৃত্রিম কিডনি
ছবি: ফ্রিপিক।

কিডনি বিকল হওয়ার সমস্যা ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠলেও, এবার কৃত্রিম কিডনি নিয়ে বড় সাফল্য দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কানাডা ও চীনের বিজ্ঞানীরা এমন এক ‘ইউনিভার্সাল কিডনি’ গড়ে নজির গড়তে চলেছেন, যা যেকোনো রক্তের গ্রুপের ব্যক্তির শরীরেই সক্রিয় হবে এবং কিডনির মতো দ্রুত কাজ করবে।

‘ইউনিভার্সাল কিডনি’ যেভাবে কাজ করবে

কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়ার গবেষকেরা জানিয়েছেন, মানুষের শরীরেরই কোষ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই কৃত্রিম কিডনি।

প্রতিস্থাপন: তলপেটে যেখানে শরীরের দু’পাশে কিডনি রয়েছে, সেখানেই যেকোনো এক দিকে এই কিডনি বসিয়ে দেওয়া যাবে। হার্ট থেকে আসা রক্তই একে চালাবে এবং এই কৃত্রিম কিডনি রক্তকে ফিল্টার করে নেবে।

ডায়ালিসিসের বিকল্প: এটি শরীরের ভিতরেই হিমো-ডায়ালিসিসের প্রক্রিয়া চালাবে। আসল কিডনি রক্ত থেকে শুধু বিষ বা দূষিত পদার্থ ছেঁকে নিলেও, কৃত্রিম কিডনির গায়ে আলাদা করে ‘মেমব্রেন’ বা ঝিল্লির স্তর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা যেকোনো রকম টক্সিনকে চিনে নিয়ে ছেঁকে বার করে দেবে।

বায়ো-রিঅ্যাক্টর: এর সঙ্গে একটি বায়ো-রিঅ্যাক্টরও থাকবে, যা কিডনির সুস্থ, সবল কোষগুলি দিয়ে তৈরি। এগুলি শরীরের স্বাভাবিক ডায়ালিসিস প্রক্রিয়াকে চালু রাখবে।

বাণিজ্যিক উৎপাদনের পথে

গবেষকরা জানিয়েছেন, আপাতত ব্রেন ডেথ হওয়া এক রোগীর শরীরে এই কৃত্রিম কিডনি বসিয়ে দেখা গিয়েছে, সেটি দিব্যি কাজ করছে। সব ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়ি এটি বাণিজ্যিক ভাবে বাজারে নিয়ে আসাও হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে কিডনির অসুখ ক্রমেই বাড়ছে। কিডনি প্রতিস্থাপন বা বারবার ডায়ালিসিসের খরচ সবার সাধ্যের মধ্যে না থাকায়, এই সমস্যার সমাধান যদি কৃত্রিম কিডনি দিয়ে হয়, তা হলে বহু মানুষের প্রাণ বাঁচবে।


মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৫:৩৭:৫৮
মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
ছবিঃ সংগৃহীত

শব্দ, আলো, গন্ধ, বাতাসের চাপের তারতম্য অথবা কিছু খাবার খেলে অনেকেরই মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। এই ব্যথা একবার শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে এবং প্রায় ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। মাইগ্রেনের সময় আলো, শব্দ সবকিছুই বিরক্তিকর মনে হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ কারণ বা অভ্যাস এই ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে তোলে, যা এড়িয়ে চললে মাইগ্রেন থেকে কিছুটা হলেও দূরে থাকা সম্ভব।

চলুন জেনে নিই মাইগ্রেন বাড়ানোর ৬টি কারণ:

১. মানসিক চাপ (স্ট্রেস): দীর্ঘদিনের স্ট্রেস বা মানসিক চাপ মাইগ্রেনের একটি বড় কারণ। দুশ্চিন্তা কমিয়ে হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করা উচিত।

২. অনিদ্রা: যথেষ্ট ঘুম না হলে মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়ে। প্রতিদিন অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।

৩. খাবারে অনিয়ম: ঠিক সময়ে না খেলে বা খাবার বাদ দিলে মাইগ্রেনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিয়ম করে সময়মতো খাওয়া জরুরি।

৪. ডিহাইড্রেশন (পানিশূন্যতা): কম পানি পান করলে শরীরে মিনারেলসের অভাব হয়, যা মাইগ্রেন বাড়াতে পারে। দিনে অন্তত ২ লিটার পানি পান করা উচিত।

৫. উজ্জ্বল আলো: উজ্জ্বল আলো চোখের স্নায়ুতে চাপ সৃষ্টি করে মাইগ্রেন বাড়ায়। ব্যথা শুরু হলে দ্রুত অন্ধকার ঘরে গিয়ে বিশ্রাম নিন।

৬. অতিরিক্ত ক্যাফেইন: কম পরিমাণে ক্যাফেইন (কফি বা চা) উপকারী হলেও, অতিরিক্ত পান করা মাইগ্রেনের কারণ হতে পারে।

অতিরিক্ত সতর্কতা

উচ্চ শব্দ: জোরে শব্দ বা গান শুনলে মাথাব্যথা বাড়তে পারে। সম্ভব হলে শান্ত পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।

প্রতিকার: মাইগ্রেনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে এই কারণগুলো থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন। স্বাস্থ্যকর ঘুম, পরিমিত খাবার, পর্যাপ্ত পানি ও মানসিক শান্তিই হতে পারে আপনার মাথাব্যথা কমানোর চাবিকাঠি।


যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় গোলাবর্ষণ

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১১:০৯:৫৯
যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় গোলাবর্ষণ
ছবিঃ সংগৃহীত

‘ফিলিস্তিনের ম্যান্ডেলা’খ্যাত মারওয়ান বারগুতিকে ইসরায়েলের কারাগারে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকি কারারক্ষীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে, যার ফলে তিনি কারাগারের মধ্যেই অচেতন হয়ে পড়েন বলে বারগুতির পরিবার অভিযোগ করেছে। তবে ইসরায়েলের প্রিজন সার্ভিস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

কারাগারে নির্যাতনের অভিযোগ

বারগুতির ছেলে বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা মুক্তি পাওয়া পাঁচ পৃথক বন্দির কাছ থেকে বারগুতিকে নির্যাতনের কথা জানতে পেরেছেন। বারগুতিকে প্রহরীরা হাতকড়া পরিয়ে নির্যাতন করে।

শারীরিক আঘাত: তাকে মেঝেতে ফেলে দিয়ে লাথি মেরে আহত করা হয়। বারগুতির মাথা ও বুকে আঘাত করা হয়েছে এবং পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ফুলে গেছে।

পরিণতি: নির্যাতনে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা অচেতন ছিলেন এবং তার শরীর থেকে রক্তপাত হয়েছে।

বারগুতিকে ইসরায়েল পাঁচবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে বন্দী আছেন।

বারগুতির রাজনৈতিক গুরুত্ব

১৯৫৯ সালে রামাল্লাহর কাছে কোবার গ্রামে জন্মগ্রহণকারী বারগুতি কিশোর বয়সে ফাতাহ আন্দোলনে যোগ দেন এবং ২০০০ সালের গোড়ার দিকে তিনি দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতাদের একজন ছিলেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, বারগুতির প্রভাব ফাতাহ আন্দোলন ছাড়িয়ে সমগ্র ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপৃত। জনমত জরিপেও তিনি ফিলিস্তিনের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার সবচেয়ে সম্ভাবনাময় প্রার্থী। এ কারণেই তাঁকে মুক্তি দিতে ভয় পায় ইসরায়েল।

গাজা ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি

যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ: আল জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখনও উত্তর গাজার শুজাইয়ার পূর্বাঞ্চলে গোলাবর্ষণ করছে। গত ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর থেকে প্রায় দুই ডজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ত্রাণ সংকট: জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ জানায়, যুদ্ধবিরতির এক সপ্তাহ পরও গাজার বাসিন্দাদের মধ্যে খাদ্যাভাব ও হাহাকার রয়েই গেছে। এক কেজি টমেটোর দাম এখন ১৫ ডলার।

আন্তর্জাতিক বাহিনী: রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্রান্স ও ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী দিনে গাজায় আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েনের প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ করছে।


হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক: যে ৪টি মূল কারণে প্রায় ৯৯% ঝুঁকি বাড়ে

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৭ ১৪:৫৮:১৪
হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক: যে ৪টি মূল কারণে প্রায় ৯৯% ঝুঁকি বাড়ে
ছবিঃ সংগৃহীত

হঠাৎ বুকে ব্যথা, ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধা—হার্ট অ্যাটাক অনেক সময়ই কোনো পূর্বশঙ্কা ছাড়াই এসে পড়ে। সুস্থ-সবল মানুষও এই রোগের কবলে পড়তে পারেন। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এবং আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষকরা বলছেন, প্রায় ৯৯ শতাংশ হার্ট অ্যাটাক মূলত চারটি কারণে ঘটে।

হার্ট অ্যাটাকের মূল ৪টি কারণ

১. উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে স্ট্রোক বা হার্টের কার্যক্ষমতা ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী রক্তচাপ ১৩০ পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা হয়। এর বেশি হলে হার্টের স্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে।

২. উচ্চ কোলেস্টেরল: মন্দ কোলেস্টেরল (LDL) বৃদ্ধি পেলে রক্তনালিতে জমাট বাঁধার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ে।

৩. রক্তে উচ্চ শর্করা: ডায়াবেটিস বা রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে ধমনীতে চর্বি, কোলেস্টেরল ও অন্যান্য পদার্থ জমে ‘প্লাক’ তৈরি করে। এই ব্লকেজ হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের জন্য বিপজ্জনক।

৪. অতিরিক্ত ধূমপান: ধূমপান রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং ভালো কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়। ফলে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধে এবং হার্ট ও মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাধাপ্রাপ্ত হয়।

সতর্কতা ও করণীয়

গবেষকরা বলছেন, হার্ট সুস্থ রাখতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। ধূমপান যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সুষম খাদ্যাভ্যাস ও নিয়মিত শরীরচর্চা অপরিহার্য।

হার্টের সমস্যার প্রাথমিক সনাক্তকরণের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা যেমন—অ্যাঞ্জিওগ্রাম, ইলেক্ট্রোকার্ডিয়োগ্রাম, ইকোকার্ডিয়োগ্রাম, স্ট্রেস টেস্ট, কার্ডিয়াক এমআরআই করা যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিয়মিত পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ।

পাঠকের মতামত: