নারীদের মধ্যে জিঙ্কের ঘাটতির ১২টি লক্ষণ

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২০ ১০:১১:২৫
নারীদের মধ্যে জিঙ্কের ঘাটতির ১২টি লক্ষণ
ছবিঃ সংগৃহীত

জিঙ্ক হয়তো আমাদের আলোচনায় খুব বেশি আসে না, কিন্তু এটি শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজে জড়িত। বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্যে এর ঘাটতি হলে দেখা দিতে পারে একাধিক জটিলতা। হরমোন নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে ত্বক, চুল, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং মানসিক সুস্থতা—সব কিছুর সঙ্গেই জিঙ্কের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। জিঙ্কের অভাবে শরীর নানান সংকেত দেয়, যেগুলো অনেক সময় আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখি না। নিচে নারীদের মধ্যে জিঙ্কের ঘাটতির কিছু সাধারণ লক্ষণ তুলে ধরা হলো:

১. অনিয়মিত মাসিক ও গর্ভধারণে সমস্যা

জিঙ্ক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর ঘাটতিতে মাসিক চক্র অনিয়মিত হতে পারে, সময়মতো না হওয়া কিংবা বন্ধ হয়ে যাওয়া—সবই এর লক্ষণ হতে পারে। এমনকি গর্ভধারণেও সমস্যা দেখা দেয়।

২. চুল ও নখ দুর্বল হয়ে যাওয়া

চুল পড়া বেড়ে যাওয়া, নখে সাদা দাগ বা সহজেই ভেঙে যাওয়া—এগুলোও জিঙ্কের অভাবের ইঙ্গিত হতে পারে। কারণ, জিঙ্ক কেরাটিন তৈরিতে ভূমিকা রাখে, যা চুল ও নখের গঠনে জরুরি।

৩. খিটখিটে মেজাজ ও মানসিক অস্থিরতা

জিঙ্কের ঘাটতি মানসিক অবস্থার ওপরও প্রভাব ফেলে। মুড সুইং, অল্পতেই রেগে যাওয়া, বিষণ্ণতা বা একঘেয়েমির অনুভূতি হতে পারে এর ফল।

৪. ত্বকের নানা সমস্যা

ব্রণ, শুষ্কতা, র‍্যাশ বা ঘন ঘন ত্বকে ইনফেকশন হওয়া জিঙ্কের ঘাটতির চিহ্ন হতে পারে।

৫. বারবার অসুস্থ হওয়া ও ক্ষত শুকাতে দেরি

জিঙ্ক শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে সক্রিয় রাখে। এর অভাবে সর্দি-জ্বর বা সংক্রমণ বেশি হতে পারে, এবং ক্ষত ভালো হতে সময় লাগে।

৬. হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা ক্ষুধামান্দ্য

জিঙ্ক না থাকলে খিদে কমে যায়, ফলে ওজন হ্রাস পেতে পারে।

৭. হজমে সমস্যা

ডায়রিয়া, গ্যাস বা হজমের জটিলতা দেখা দিতে পারে।

৮. স্বাদ ও গন্ধের পরিবর্তন

খাবারের স্বাদ ফিকে লাগা বা গন্ধ ভালো না পাওয়া জিঙ্ক ঘাটতির আরেকটি লক্ষণ।

৯. সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগা ও মনোযোগে ঘাটতি

যথেষ্ট ঘুমানোর পরেও যদি সারাদিন ক্লান্ত লাগে বা মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন হয়, তা জিঙ্কের ঘাটতির কারণে হতে পারে।

১০. মুখে ঘা বা জিহ্বায় সাদা প্রলেপ

জিঙ্কের অভাবে মুখে ঘা, সংবেদনশীলতা বা জিহ্বায় সাদা স্তর দেখা দিতে পারে।

১১. চোখে সমস্যা

জিঙ্ক চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ঘাটতিতে রাতকানা, আলোতে অস্বস্তি বা ঝাপসা দেখা হতে পারে।

১২. হাড় ও গাঁটে সমস্যা

জিঙ্ক হাড় ও গাঁটের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়। এর ঘাটতিতে জয়েন্টে ব্যথা বা হাড় দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

জিঙ্কের ঘাটতি পূরণ করবেন কীভাবে?খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনলেই অনেকটা সমাধান পাওয়া যায়। জিঙ্কসমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত গ্রহণ করতে হবে। যেমন—

সামুদ্রিক খাবার: ঝিনুক, কাঁকড়া, লবস্টার

মাংসজাত খাবার: গরুর মাংস, মুরগি

বাদাম ও বীজ: কুমড়ার বীজ, কাজু, সূর্যমুখী বীজ

ডাল ও শিমজাত: মসুর ডাল, সয়াবিন

দুগ্ধজাত: দুধ, পনির

তবে যেকোনো সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

সূত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া


কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: যেসব ফল খেলে মিলবে সমাধান

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ২১:৫৫:২১
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: যেসব ফল খেলে মিলবে সমাধান
ফাইল ছবি

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা, যা পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং অনিয়মিত মলত্যাগের কারণ হয়। এটি সাধারণত ভুল খাদ্যাভ্যাস, অপর্যাপ্ত ঘুম, দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা এবং মানসিক চাপের মতো বিভিন্ন কারণে দেখা দেয়। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে সঠিক ফল খাওয়া একটি কার্যকর প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে। চলুন জেনে নিই, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কোন ফলগুলো উপকারী।

১. কলা

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ফাইবার-সমৃদ্ধ কলা দীর্ঘকাল ধরে একটি ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পাকা কলা হজমে সহায়তা করে এবং অন্ত্রের মাইক্রোভিলাইকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখতে হবে, এর জন্য পুরোপুরি পাকা কলা খাওয়া জরুরি। কাঁচা কলায় প্রচুর পরিমাণে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের বিপরীত প্রভাব ফেলে এবং ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে।

২. কমলা

কমলা হলো ফাইবার ও ভিটামিন সি-এর একটি দারুণ উৎস। এই সাইট্রাস ফলে কিছুটা রেচক প্রভাব থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, কমলায় থাকা ‘ন্যারিংজেনিন’ নামক একটি যৌগ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তাই ফাইবার পেতে নিয়মিত কমলা খেতে পারেন।

৩. নাশপাতি

নাশপাতি শুধু ফাইবারেই সমৃদ্ধ নয়, এতে ফ্রুকটোজ এবং সরবিটলও রয়েছে। এই দুটি উপাদান মল নরম করে এবং মলত্যাগ সহজ করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই নিয়মিত নাশপাতি খেলে পেটের সমস্যা অনেকটাই কমে আসে।

৪. আপেল

আপেল কোষ্ঠকাঠিন্য এবং ডায়রিয়া উভয়ই উপশম করতে সহায়ক। কোষ্ঠকাঠিন্যের ক্ষেত্রে আপেল খোসাসহ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এর খোসায় থাকা অদ্রবণীয় ফাইবার মলত্যাগ বৃদ্ধি করে। আপেলের ভেতরের অংশে ‘পেকটিন’ নামক দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা হজমে সহায়তা করে। তবে পাতলা পায়খানা হলে খোসা ছাড়িয়ে আপেল খাওয়া ভালো।

৫. পেঁপে

পেঁপে একটি কম ক্যালরিযুক্ত ফল, যা পানি ও ফাইবারে সমৃদ্ধ। এটি মলত্যাগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হজমে সহায়তা করে। এতে ‘পেপেইন’ নামক একটি এনজাইম থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে কার্যকর। পেঁপে অন্য কোনো খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে না খেয়ে আলাদাভাবে খাওয়াই ভালো। নিয়মিত এই সুস্বাদু ফল খেলে পেটের সুস্থতা নিশ্চিত থাকে।


আবারও সিটি স্ক্যানের জন্য নেওয়া হচ্ছে নুরকে, উদ্বেগ বাড়ছে

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৭:৪২:৪৭
আবারও সিটি স্ক্যানের জন্য নেওয়া হচ্ছে নুরকে, উদ্বেগ বাড়ছে
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর রমনা এলাকায় হামলায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আবারও সিটি স্ক্যানের জন্য নেওয়া হয়েছে।

নুরের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে নুরকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তার সঙ্গে রয়েছেন দলের নেতাকর্মী ও চিকিৎসকরা। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘নুর ভাইকে আবারও সিটি স্ক্যান করার জন্য নেওয়া হচ্ছে!’ এটি নুরের ফেসবুক আইডির অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

নুরের এই পোস্টে তার সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন অনুসারীরা। অনেকে মন্তব্য করেছেন, ‘আল্লাহ ভাইকে সুস্থতার নিয়ামত দান করুক, আমিন।’ কেউ কেউ তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হামলায় গুরুতর আহত হন নুরুল হক নুর। রক্তাক্ত অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

/আশিক


বাড়তি চিনি ও ক্যালরি: প্রোটিন শেকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সতর্কবার্তা

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৬:৫৮:১৯
বাড়তি চিনি ও ক্যালরি: প্রোটিন শেকের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে সতর্কবার্তা
প্রতীকী ছবি

ইদানীং তরুণদের মধ্যে প্রোটিন শেক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি মূলত একটি খাদ্য সম্পূরক, যা নিয়মিত খাবারের বিকল্প নয়। চিকিৎসকদের মতে, পেশি গঠন বা ব্যায়ামের পর দেহের ক্ষয়পূরণের জন্য প্রোটিন শেক উপকারী হতে পারে, তবে সবার জন্য এটি নিরাপদ নয়।

ব্যবহার ও সতর্কতা

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা মাঝারি বা ভারী ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য ২০ থেকে ৩০ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ শেক গ্রহণ করা যেতে পারে। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একাধিকবার প্রোটিন শেক পান করা উচিত নয়। আর যারা হালকা ব্যায়াম করেন, তাদের জন্য ১০ গ্রাম প্রোটিনযুক্ত পানীয়ই যথেষ্ট। প্রয়োজন না থাকলে উচ্চমাত্রার প্রোটিন-সমৃদ্ধ পানীয় এড়িয়ে চলাই ভালো।

যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে

প্রোটিন শেকে অতিরিক্ত প্রোটিনের পাশাপাশি বাড়তি চিনি এবং ক্যালরি থাকতে পারে, যা দেহে মেদ বাড়াতে পারে। তাই কেনার সময় প্রোটিনের পাশাপাশি চিনি ও ক্যালরির মাত্রা ভালোভাবে দেখে নেওয়া জরুরি।

এছাড়াও, কোনো কোনো প্রোটিন শেকে ভারী ধাতু ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পাওয়া যায়, যা দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই মানসম্মত ও নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের শেক বেছে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।

উপকারী প্রোটিন শেকগুলোতে পর্যাপ্ত ইলেকট্রোলাইট ও ভিটামিন ডি থাকতে পারে, যা শরীরের জন্য বেশ ভালো। তবে যাদের লবণ গ্রহণে বিধিনিষেধ আছে, তাদের ইলেকট্রোলাইটের ব্যাপারে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে, প্রোটিন শেক হলো খাবারের পরিপূরক, বিকল্প নয়।


আইসিইউ থেকে কেবিনে নুরুল হক নুর, চিকিৎসকরা দিলেন সতর্কবার্তা

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১৯:২১:৫৩
আইসিইউ থেকে কেবিনে নুরুল হক নুর, চিকিৎসকরা দিলেন সতর্কবার্তা
ছবি: সংগৃহীত

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিন দিন আইসিইউতে পর্যবেক্ষণে থাকার পর সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে তাকে কেবিনে নেওয়া হয়। গণঅধিকার পরিষদের গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন।

আবু হানিফ বলেন, নুরের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো আশঙ্কামুক্ত নন। মাথা ও মুখে মারাত্মক আঘাতের কারণে তার বয়সের কারণে এখন শরীরের অবস্থা স্থিতিশীল থাকলেও ভবিষ্যতে বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। সাধারণত এ ধরনের আঘাতের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব থাকে।

চিকিৎসকদের মতে, Traumatic Subarachnoid Haemorrahage (TSAH) আঘাতের কারণে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়তে পারে, যার ফলে নানা ধরনের স্নায়বিক অসুবিধা, কথা বলতে বা ভারসাম্য ঠিক রাখতে সমস্যা এবং স্মৃতিভ্রমের মতো সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও মাথায় ফ্র্যাকচার থাকায় ইনফেকশন (মেনিনজাইটিস) হওয়ারও ঝুঁকি রয়েছে। তাই এসব চিকিৎসার জন্য উন্নত চিকিৎসা এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণ জরুরি।

নুরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক ও স্পাইন সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসেন রাসেল। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন এবং ২০১৯ সালের ডাকসু ভবনের হামলায়ও নুর গুরুতর আহত হয়েছিলেন, তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়া জরুরি।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দিয়ে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় দুই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলন করার জন্য গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে নুরুল হক নুর গুরুতর আহত হন। প্রথমে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, তার মাথায় আঘাত লেগেছে এবং নাকের হাড় ভেঙে গেছে।

/আশিক


নীরব ঘাতক স্ট্রোক, যে চারটি লক্ষণ দেখলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩১ ২২:০২:৪৮
নীরব ঘাতক স্ট্রোক, যে চারটি লক্ষণ দেখলে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের অন্যতম প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক। সামান্য সচেতনতার অভাবে এটি মুহূর্তের মধ্যেই প্রাণঘাতী হতে পারে। চিকিৎসকরা বলছেন, স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হঠাৎ করেই দেখা দেয় এবং তা অবহেলা করলে অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মুখ বেঁকে যাওয়া, হাত-পায়ে দুর্বলতা বা কথা জড়িয়ে যাওয়া—এ ধরনের কোনো উপসর্গ দেখলেই দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।

স্ট্রোক কেন হয়?

স্ট্রোক মূলত মস্তিষ্কে অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ঘটে। এটি দু’ভাবে হতে পারে:

ইসকেমিক স্ট্রোক: রক্ত জমাট বেঁধে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া।

হেমোরেজিক স্ট্রোক: মস্তিষ্কের ভেতরে রক্তনালী ফেটে রক্তক্ষরণ হওয়া।

স্ট্রোক শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মস্তিষ্কের কোষগুলো মারা যেতে শুরু করে। কয়েক মিনিটের মধ্যে এর স্থায়ী ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। চিকিৎসকরা বলেন, স্ট্রোকের পর প্রথম ৩ থেকে ৪.৫ ঘণ্টাকে ‘গোল্ডেন আওয়ার’ বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে চিকিৎসা শুরু হলে মস্তিষ্কের স্থায়ী ক্ষতি ঠেকানো এবং রোগীর স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সম্ভাবনা বাড়ে।

স্ট্রোকের প্রধান লক্ষণ

স্ট্রোকের সতর্কবার্তাগুলো হঠাৎ করে দেখা দেয়। এ জন্য চিকিৎসকরা FAST নিয়ম মনে রাখার পরামর্শ দেন:

F (Face Drooping): মুখের এক পাশ হঠাৎ বেঁকে যাওয়া বা অবশ হয়ে যাওয়া।

A (Arm Weakness): হাত তুলতে না পারা বা হাত দুর্বল হয়ে পড়া।

S (Speech Difficulty): কথা জড়িয়ে যাওয়া বা অস্পষ্ট উচ্চারণ।

T (Time to Act): সময় নষ্ট না করে দ্রুত হাসপাতালে যাওয়া।

এছাড়াও, হঠাৎ তীব্র মাথাব্যথা, ঝাপসা দেখা, ভারসাম্য হারানো বা কথা বুঝতে সমস্যা হওয়াও স্ট্রোকের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।

প্রতিরোধের উপায়

চিকিৎসকরা বলছেন, ৮০ শতাংশ স্ট্রোকই প্রতিরোধ করা সম্ভব। এজন্য জীবনধারায় পরিবর্তন আনা এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি:

স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ: উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

ধূমপান ও অ্যালকোহল: ধূমপান থেকে বিরত থাকা এবং অ্যালকোহল সেবন কমিয়ে আনা।

ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন প্রতিদিন ৩০ মিনিট।

সুষম খাদ্য: খাবারে বেশি ফলমূল, শাকসবজি ও বাদাম রাখুন এবং লবণ কম খান।

চিকিৎসকরা আরও বলেন, যাদের পরিবারে স্ট্রোকের ইতিহাস আছে, তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করলে বড় ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।


ডা. তাহেরের বিতর্কিত মন্তব্যে চিকিৎসক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩১ ১২:০২:৩৪
ডা. তাহেরের বিতর্কিত মন্তব্যে চিকিৎসক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরের সাম্প্রতিক মন্তব্য নিয়ে চিকিৎসক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) তাঁর বক্তব্যকে সম্পূর্ণ ‘অপমানজনক’ ও ‘বিভ্রান্তিকর’ আখ্যা দিয়ে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং অবিলম্বে বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি করেছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) দেওয়া এক বক্তব্যে ডা. তাহের অভিযোগ করেন, দেশের চিকিৎসকরা বিভিন্ন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেন। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এ ধরনের অনৈতিক লেনদেনের কারণে চিকিৎসা ব্যয় গড়ে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এই বক্তব্য প্রচারিত হওয়ার পর চিকিৎসক সমাজে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ এবং মহাসচিব ডা. মো. জহিরুল ইসলাম শাকিল এক যৌথ বিবৃতিতে এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, একজন রাজনৈতিক নেতার মুখ থেকে চিকিৎসকদের সম্মান ক্ষুণ্নকারী এমন মন্তব্য দুঃখজনক এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন। তারা সতর্ক করে বলেন, এই ধরনের ঢালাও অভিযোগ চিকিৎসকদের প্রতি সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও আস্থা নষ্ট করতে পারে।

ড্যাবের মতে, চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অযথা দোষারোপ মানুষকে বিভ্রান্ত করবে। এর ফলে দেশে চিকিৎসা গ্রহণের বদলে বিদেশমুখী হওয়ার প্রবণতা বাড়তে পারে, যা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হবে। ড্যাব স্পষ্ট করে জানায়, চিকিৎসকদের কঠোর পরিশ্রম, দীর্ঘমেয়াদি পড়াশোনা এবং মানবিক সেবার মানসিকতা উপেক্ষা করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী।

ড্যাব তাদের বিবৃতিতে চিকিৎসকদের অবদানের প্রসঙ্গও স্মরণ করিয়ে দেয়। তারা উল্লেখ করে, জাতীয় দুর্যোগ বা আন্দোলনের মতো সংকটকালীন সময়ে চিকিৎসকরাই সর্বাগ্রে জনগণের পাশে দাঁড়ান। সাম্প্রতিক জুলাই বিপ্লব কিংবা কোভিড-১৯ মহামারির মতো বৈশ্বিক সংকটেও চিকিৎসকরা নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলে সাধারণ মানুষকে সেবা দিয়েছেন।

ড্যাব জোর দিয়ে বলে, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা এখনো প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম আর্থিক সুবিধায় কাজ করে যাচ্ছেন। সীমিত বেতন ও নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তারা জনগণের সেবায় নিয়োজিত আছেন। এই বাস্তবতা অস্বীকার করে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অন্যায্য অভিযোগ করা নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

চিকিৎসকদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে ড্যাব। তারা বলেন, দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা উন্নত করতে হলে চিকিৎসকদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। চিকিৎসক সমাজকে অযথা অপমান করার বদলে স্বাস্থ্যখাতের সমস্যা সমাধানে গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

ড্যাব ঘোষণা করে যে, তারা দেশের সাধারণ চিকিৎসকদের পাশে থাকবে এবং চিকিৎসকদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়াই চালিয়ে যাবে। একই সঙ্গে তারা প্রতিশ্রুতি দেয়, জনগণের চিকিৎসা সুবিধা উন্নত করতে এবং স্বাস্থ্যখাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবে।

-রাফসান


চিয়া বীজ কি সবার জন্য নিরাপদ? জেনে নিন কাদের জন্য এটি বিপজ্জনক

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ৩০ ০৯:১৭:৩০
চিয়া বীজ কি সবার জন্য নিরাপদ? জেনে নিন কাদের জন্য এটি বিপজ্জনক
ছবিঃ সংগৃহীত

সারা বিশ্বে সুপারফুড হিসেবে চিয়া বীজের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কম ক্যালোরি, প্রচুর ফাইবার, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই বীজ ওজন নিয়ন্ত্রণ, হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকর। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো সুপারফুডই সবার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে। কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক সমস্যা থাকলে চিয়া বীজ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

যাদের চিয়া বীজ এড়িয়ে চলা উচিত

হজমজনিত সমস্যা: চিয়া বীজে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা পানি শোষণ করে পেটে ফুলে যায়। যাদের আইবিএস, গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেট ফোলাভাবের মতো সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এটি হজমের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ গ্রহণকারী: চিয়া বীজ প্রাকৃতিকভাবে রক্তচাপ কমায়। তাই যারা ইতিমধ্যেই উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের জন্য অতিরিক্ত চিয়া বীজ খাওয়া মাথা ঘোরা বা দুর্বলতার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

রক্ত পাতলা করার ওষুধ গ্রহণকারী: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে চিয়া বীজ রক্ত পাতলা করার ক্ষমতা রাখে। যারা ব্লাড থিনার বা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তাদের জন্য অতিরিক্ত চিয়া বীজ খাওয়া রক্তপাত বা শরীরে সহজে কালচে ছোপ পড়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

বীজজাতীয় অ্যালার্জি: যারা তিল, সরষে বা ফ্ল্যাক্স সিডে অ্যালার্জিতে ভোগেন, তাদের জন্য চিয়া বীজও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। চিয়া বীজ খাওয়ার পর জ্বর, ফুসকুড়ি বা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা: চিয়া বীজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হলেও এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের ওষুধের প্রভাব বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি ঘন ঘন বা অতিরিক্ত খাওয়া সমস্যার কারণ হতে পারে।

কিডনির রোগী: চিয়া বীজে থাকা ফসফরাস ও পটাশিয়াম কিডনি রোগীদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। কিডনির সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া চিয়া বীজ খাওয়া উচিত নয়।

সতর্কতার সঙ্গে গ্রহণ

যদি উল্লিখিত কোনো সমস্যা না থাকে, তবে চিয়া বীজ খেতে পারেন। তবে প্রতিদিন পরিমাণমতো খাওয়া এবং খাওয়ার আগে ভালোভাবে ভিজিয়ে নেওয়া নিরাপদ। মনে রাখতে হবে, কোনো সুপারফুডই ভুলভাবে বা অতিরিক্ত গ্রহণ করলে উপকারের চেয়ে ক্ষতির ঝুঁকিই বেশি থাকে।


এই এক ফলই যথেষ্ট: মাত্র এক সপ্তাহে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৮ ০৯:৪৮:১৩
এই এক ফলই যথেষ্ট: মাত্র এক সপ্তাহে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্য
ছবিঃ সংগৃহীত

ব্যস্ত জীবনযাপন ও ভুল খাদ্যাভ্যাসের কারণে আজকাল অনেকেই রক্তাল্পতা, দুর্বলতা ও কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যায় ভোগেন। বিশেষত নারী ও শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন।

রক্তের ঘাটতি পূরণে খেজুর

আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা. আইজল প্যাটেল বলেন, খেজুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা শরীরে দ্রুত হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মাত্র দুটি খেজুর খেলে এক সপ্তাহের মধ্যেই এর উপকারিতা দেখা যায়। এটি শুধু রক্তের ঘাটতিই পূরণ করে না, বরং শরীরকে শক্তিশালী ও প্রাণবন্ত করে তোলে। খেজুরকে বলা হয় প্রাকৃতিক এনার্জি বুস্টার। হালকা গরম দুধের সঙ্গে খেজুর খেলে এর উপকারিতা আরও বেশি হয়।

খেজুরের অন্যান্য উপকারিতা

হাড় ও হৃদযন্ত্র: খেজুরে থাকা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন বি৬ হাড় মজবুত করে ও হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।

হজমশক্তি: এতে থাকা ফাইবার হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

রোগ প্রতিরোধ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, প্রদাহ কমায় এবং ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

উচ্চ রক্তচাপ: খেজুর উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখে।

সর্দি-কাশি: ঋতু পরিবর্তনের সময় সর্দি-কাশির মতো সাধারণ রোগ প্রতিরোধে এটি বেশ কার্যকর।

সতর্কতা

খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি বেশি থাকায় ডায়াবেটিস রোগীদের এটি খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও, অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই প্রতিদিন মাত্র এক বা দুটি খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

/আশিক


ডার্ক চকলেটের জাদু: মস্তিষ্ক সচল রাখার এক গোপন রহস্য

স্বাস্থ্য ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ২৮ ০৯:৩০:৩৫
ডার্ক চকলেটের জাদু: মস্তিষ্ক সচল রাখার এক গোপন রহস্য
ছবিঃ সংগৃহীত

মানুষের শরীরের সবচেয়ে জটিল এবং কার্যকর অঙ্গ হলো মস্তিষ্ক। মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা, মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা বা সৃজনশীল চিন্তাভাবনা—সবকিছুই নির্ভর করে তার সঠিক পুষ্টি ও রক্ত সঞ্চালনের ওপর। আর এই মস্তিষ্ককে সচল রাখতে যেসব খাদ্য উপাদানের প্রয়োজন হয়, তার মধ্যে ডার্ক চকলেট বিশেষভাবে উপকারী। অনেকেই ডার্ক চকলেটকে কেবল একটি বিলাসী খাবার হিসেবে দেখলেও, গবেষণা বলছে এটি মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটি খাবার।

ডার্ক চকলেটে থাকা কোকো বীজ ফ্ল্যাভোনয়েড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্যাফেইনের মতো নানা পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এই উপাদানগুলো মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, অক্সিজেন সরবরাহ উন্নত করে এবং নিউরনের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। নিয়মিত অল্প পরিমাণে ডার্ক চকলেট খেলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকে, ক্লান্তি দূর হয় এবং একাগ্রতা বেড়ে যায়।

ফ্ল্যাভোনয়েড মস্তিষ্কের রক্তনালীতে তৈরি হওয়া প্রতিবন্ধকতা কমাতে সাহায্য করে এবং নতুন স্নায়ু সংযোগ তৈরি করতেও ভূমিকা রাখে। এর ফলে মস্তিষ্কে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষমতা বাড়ে এবং স্মৃতিশক্তি দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই শিক্ষার্থী বা যারা বিশ্লেষণমূলক কাজ করেন, তাদের জন্য এটি একটি অসাধারণ সহায়ক খাবার হতে পারে।

ডার্ক চকলেটের ভেতরের ক্যাফেইন ও থিওব্রোমিন নামের যৌগ মস্তিষ্ককে সাময়িকভাবে উদ্দীপ্ত করে। এতে মনোযোগ বাড়ে এবং মানসিকভাবে সতেজ অনুভব করা যায়। দীর্ঘ সময় কাজের পর যখন ক্লান্তি আসে, তখন সামান্য ডার্ক চকলেট সেই ক্লান্তি দূর করতে পারে।

এটি প্রাকৃতিকভাবে মেজাজ উন্নত করে এবং মানসিক চাপ কমায়। কারণ ডার্ক চকলেট খাওয়ার পর শরীরে সেরোটোনিন ও এন্ডরফিনের মতো হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে, যা মানসিক প্রশান্তি আনে।

বয়সজনিত মানসিক অবনতি ঠেকাতে ডার্ক চকলেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আলঝেইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগে মস্তিষ্কের কোষ ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকে। ডার্ক চকলেটের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সেই ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করে। যদিও এটি কোনো রোগ সারিয়ে তুলতে পারে না, তবে এর প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে। ফলে বৃদ্ধ বয়সেও তুলনামূলক ভালোভাবে স্মৃতি ধরে রাখা সম্ভব হয়।

তবে ডার্ক চকলেট খাওয়ার ক্ষেত্রে সংযম খুবই জরুরি। এতে ক্যালরি ও চিনি থাকে, তাই অতিরিক্ত খেলে ওজন বাড়তে পারে। সাধারণত, দিনে এক বা দুই টুকরো ডার্ক চকলেট খাওয়াকে উপকারী মনে করেন গবেষকরা। এটিকে মূল খাবার হিসেবে নয়, বরং একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্যের পরিপূরক হিসেবে গ্রহণ করা উচিত।

/আশিক

পাঠকের মতামত: