বিদেশি দায় পরিশোধে রেকর্ড, বাড়ছে রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২২ ০৯:০৪:৫০
বিদেশি দায় পরিশোধে রেকর্ড, বাড়ছে রিজার্ভ ও রেমিট্যান্স
ছবিঃ সংগৃহীত

২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিদেশি ঋণ পরিশোধে যে অগ্রগতি দেখিয়েছে, তা নজরকাড়া। এ সময়ে সরকার ৫৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার পরিশোধ করেছে, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ১৯ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ৪৭৯ কোটি ৫৪ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা গেছে, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির ফলে বৈদেশিক মুদ্রার জোগান বেড়েছে। এই বাড়তি মুদ্রাপ্রবাহই ঋণ পরিশোধ সহজ করেছে। এর প্রভাবে জুন মাস শেষে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১.৭৭ বিলিয়ন ডলার, যা গত ২৮ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগের সরকারের সময় ডলারের তীব্র সংকট ও মূল্যস্ফীতির কারণে বিদেশি ঋণ পরিশোধে জট তৈরি হয়েছিল। ভারতের আদানি গ্রুপসহ বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দেনা-পাওনা নিয়ে চাপ তৈরি হয়। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থপাচার রোধে জোরালো পদক্ষেপ নেয়। এর প্রভাবেই বেড়েছে প্রবাসী আয় ও বৈদেশিক সহায়তা।

গত অর্থবছরে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠিয়েছেন ৩ হাজার ৩৩ কোটি ডলার, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। একই সময়ে রপ্তানি আয়েও ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জুন মাসে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রেমিট্যান্স ও রপ্তানির প্রবৃদ্ধির ফলে ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা এসেছে এবং টাকার মানও বেড়েছে। শুধু সরকার নয়, আমদানিকারকদের পক্ষ থেকেও দায় পরিশোধে ইতিবাচক প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।

নতুন সরকারের শুরুর সময় মেয়াদোত্তীর্ণ আমদানি বিলের পরিমাণ ছিল ৪৪ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপ ও নীতির ফলে তা জুন শেষে মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে। তবে কিছু বিল রয়েছে যেগুলোর তথ্য ত্রুটিপূর্ণ বা মামলাধীন হওয়ায় পরিশোধ সম্ভব হয়নি। এসব সমস্যার সমাধানে ২০ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিয়ে গ্রাহকের সম্মতিতে এসব দায় পরিশোধের সুযোগ দিয়েছে।

এই পরিস্থিতি থেকে বোঝা যাচ্ছে, সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নজরদারিতে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরছে। রিজার্ভও বাড়ছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক বার্তা।

/আশিক


বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হারে অস্থিরতা

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১০:৫৯:৫৪
বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হারে অস্থিরতা
ছবিঃ সংগৃহীত

আজ শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে প্রকাশিত নতুন বিনিময় হারে দেখা গেছে আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামার প্রভাব সরাসরি টাকার বিপরীতে বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রার মূল্যে প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষ করে, মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ইউরোর মতো প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান কিছুটা দুর্বল হয়েছে, যদিও কয়েকটি এশীয় মুদ্রা ও মধ্যপ্রাচ্যের রিয়াল তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে।

প্রধান মুদ্রার অবস্থা

মার্কিন ডলার (USD): ৪ সেপ্টেম্বর প্রতি ডলার ১২১.৬৫ টাকা থাকলেও ৫ সেপ্টেম্বর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২১.৬২ টাকায়। অর্থাৎ, টাকার বিপরীতে ডলারের মান ৩ পয়সা কমেছে।

ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP): গতকাল ১৬৪.৬০ টাকা থাকলেও আজ তা ১৬৩.৪১ টাকায় নেমে এসেছে। একদিনে ১ টাকা ১৯ পয়সা দরপতন হয়েছে, যা তুলনামূলক বড় পতন।

ইউরো (EUR): এক দিনে ৫৪ পয়সা কমে প্রতি ইউরো ১৪২.৩২ টাকা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১৪১.৭৮ টাকায়।

মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রা

সৌদি রিয়াল (SAR): সামান্য দরপতন, ৩২.৪৪ টাকা থেকে কমে ৩২.৪৩ টাকা।

দুবাই দিরহাম (AED): কোনো পরিবর্তন হয়নি, প্রতি দিরহাম ৩৩.১২ টাকায় অপরিবর্তিত।

কুয়েতি দিনার (KWD): ১৯ পয়সা কমে ৩৯৭.৭৫ টাকায় নেমে এসেছে।

কাতারি রিয়াল (QAR): সামান্য দরপতন, ৩৩.৪২ টাকা থেকে নেমে ৩৩.৪১ টাকা।

ওমানি রিয়াল (OMR): ৩ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৬.০৬ টাকায়।

বাহরাইন দিনার (BHD): ৩ পয়সা কমে ৩২৩.৫১ টাকায় নেমেছে।

এশিয়ার অন্যান্য মুদ্রা

ভারতীয় রুপি (INR): ১ পয়সা বেড়ে ১.৩৮ টাকায় পৌঁছেছে।

চাইনিজ রেন্মিন্বি (RMB): ১৭.০২ টাকা থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৭.০৩ টাকা।

মালয়েশিয়ান রিংগিত (MYR): ২ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.৭৮ টাকায়।

সিঙ্গাপুর ডলার (SGD): ২১ পয়সা কমে ৯৪.৪৩ টাকায় নেমেছে।

ব্রুনাই ডলার (BND): ২২ পয়সা দরপতন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪.৪২ টাকা।

জাপানি ইয়েন (JPY): প্রতি ইয়েন ০.৮২ টাকায় অপরিবর্তিত।

দক্ষিণ কোরিয়ান ওন (KRW): ০.০৮ টাকায় অপরিবর্তিত।

অন্যান্য মুদ্রা

কানাডিয়ান ডলার (CAD): একদিনে ৩৩ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৮.১২ টাকায়।

অস্ট্রেলিয়ান ডলার (AUD): ১০ পয়সা কমে এখন ৭৯.৫১ টাকা।

দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড (ZAR): ২ পয়সা কমে ৬.৮৭ টাকা।

লিবিয়ান দিনার (LYD): ৪ পয়সা কমে ২২.৪৪ টাকা।

মালদ্বীপ রুপিয়া (MVR): ১ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৮৭ টাকা।

তুর্কি লিরা (TRY): ২.৯৫ টাকায় অপরিবর্তিত।

ইরাকি দিনার (IQD): অপরিবর্তিত থেকে যাচ্ছে ০.০৯ টাকায়।


উদ্যোক্তাদের জন্য ৫৪ লাখ টাকার পুরস্কার

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ০৯:২৬:৩৮
উদ্যোক্তাদের জন্য ৫৪ লাখ টাকার পুরস্কার
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রবণতা কমাতে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুরু হলো এক অনন্য প্রতিযোগিতা। যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) ও জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো), বাংলাদেশ। এ কর্মসূচিকে সহযোগিতা করছে নরওয়ে দূতাবাস।

এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা প্লাস্টিক ব্যবহারের বিকল্প বা টেকসই সমাধান ভিত্তিক ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করতে পারবেন। প্রতিটি নির্বাচিত উদ্যোক্তা প্রাথমিকভাবে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার পাবেন। মোট ৫৪ লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে, যা উদ্ভাবনী চিন্তা এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উৎসাহ জোগাবে।

গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপে সারাদেশ থেকে প্রাপ্ত আবেদন যাচাই করে নারী উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, গবেষক, এনজিও এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতের কর্মীদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে ২৫ জনকে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত প্রত্যেকে পাবেন এক লাখ টাকা করে।

এরপর ওই ২৫ জন উদ্যোক্তাকে মেন্টরশিপ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা নিজেদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন একটি বিশেষ জুরি বোর্ডের সামনে, যেখানে অর্থ, পরিকল্পনা, শিল্প, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ এসএমই ফাউন্ডেশন ও ইউনিডোর প্রতিনিধি থাকবেন। এই ধাপ থেকে ৭ জন উদ্যোক্তাকে বাছাই করে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে দুই লাখ টাকা করে। পরবর্তী ধাপে উন্নত প্রশিক্ষণ শেষে সর্বশেষে নির্বাচিত পাঁচজন উদ্যোক্তা পাবেন তিন লাখ টাকা করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মুসফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার ঘাটতি থাকায় দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তিনি বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে উল্লেখ করেন, দেশে বছরে প্রায় ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হলেও এর মাত্র ৩১ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়। শুধু রাজধানী ঢাকাতেই প্রতিদিন উৎপন্ন হয় সারাদেশের ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য, যার পরিমাণ ৬৪৬ টন। এর মধ্যে পুনর্ব্যবহার হয় মাত্র ৩৭ শতাংশ।

তিনি আরও জানান, জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।

সভাপতির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করার অভিযাত্রায় এসএমই ফাউন্ডেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে। উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি টেকসই শিল্পায়নে অবদান রাখছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ, জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউনিডো বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকিউজ্জামান এবং বিশেষজ্ঞ মো. মাহবুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম হাসান সাত্তার।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আব্দুস সালাম সরদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

-রাফসান


ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচের দামে লাগাম টানতে নতুন সুপারিশ

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৪ ২০:২১:৪৪
ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচের দামে লাগাম টানতে নতুন সুপারিশ
ছবি: সংগৃহীত

ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেলে তা আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। একইসঙ্গে আমদানির ওপর সব ধরনের শুল্ক ও কর ছাড় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই সুপারিশ জানিয়ে বাণিজ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।

সম্প্রতি ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছিল, দাম ডজনপ্রতি ১৫০ টাকাও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৪০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ

শুধু ডিম নয়, পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৯০ টাকা পেরোলে একই ধরনের পদক্ষেপ অর্থাৎ আমদানি উন্মুক্ত করা এবং শুল্ক-কর ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে। ট্যারিফ কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭০০ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আমদানি উন্মুক্ত করার পর পেঁয়াজের মূল্য ও সরবরাহ এখন স্থিতিশীল আছে।

একইভাবে, কাঁচামরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাঁচামরিচ আমদানিতে আরোপিত ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। এছাড়া, কাঁচামরিচ আমদানির সময় শুল্কায়নযোগ্য মূল্যের পরিবর্তে প্রকৃত বিনিময় মূল্যে শুল্কায়নের সুপারিশও করা হয়েছে।

সবজির বাজার স্থিতিশীল রাখার তাগিদ

ট্যারিফ কমিশন সবজির বাজার স্থিতিশীল রাখতেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সংস্থাটি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে। তারা সুপারিশ করেছে, সবজির উৎপাদন মূল্য থেকে শুরু করে খুচরা মূল্য পর্যন্ত পুরো সরবরাহ শৃঙ্খল যেন কঠোরভাবে তদারকি করা হয়।


ইতিহাসে সর্বোচ্চ: বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আবারো বাড়লো

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ২১:৩৮:০০
ইতিহাসে সর্বোচ্চ: বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আবারো বাড়লো
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৪৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।

স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির বৈঠকে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।


ড. ইউনূসের নতুন ভিশন: সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে বাংলাদেশের মহাসড়ক

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৮:১৮:৫০
ড. ইউনূসের নতুন ভিশন: সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে বাংলাদেশের মহাসড়ক
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, আমাদের একটি ‘ব্লু ইকোনমি’ বা সমুদ্র অর্থনীতি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি মনে করেন, মহেশখালী ও মাতারবাড়ী এলাকাটি কেবল একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হবে না, বরং সেখান থেকে একটি নতুন শহরের জন্ম হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সংযোগ তৈরি হবে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবগঠিত ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা)’ সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূস বলেন, “আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা বা ফাইন্ডিংস নেই। এর সম্পর্কিত কী কী গবেষণা আছে, অন্য দেশের গবেষণাপত্র যেটা আমাদের সঙ্গেও মিলবে, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা করতে হবে।” তিনি মহেশখালী অঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন এবং প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন।

মিডার পরিকল্পনা ও কর্মসংস্থান

বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুণ মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন এবং আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, প্রকল্পটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে—প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং দেশের জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।

ড. ইউনূস এই বিশাল প্রকল্পের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের ওপরও জোর দেন এবং ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “সেখানকার বনভূমি এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা সেগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই—সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।”

/আশিক


মাতারবাড়ী-মহেশখালী হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর: আশিক চৌধুরী

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৮:০২:০৪
মাতারবাড়ী-মহেশখালী হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর: আশিক চৌধুরী
ছবিঃ সংগৃহীত

আগামী ৩০ বছরের মধ্যে মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে চীনের সাংহাই বা সিঙ্গাপুরের মতো উন্নতমানের বন্দর এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে চায় সরকার। এর মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সভাপতি।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা বলেন।

বিডার নির্বাহী সভাপতি জানান, এই বিশাল প্রকল্পের প্রশাসনিক কার্যক্রম আগামী ১২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এমআইডিএ) এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৩ হাজার একর আয়তনের জমিতে এই উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। পুরো কাজটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে: প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং চূড়ান্ত ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত।

/আশিক


স্টার্ট-আপের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল 

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ০৮:৪৭:২৯
স্টার্ট-আপের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল 
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশে উদ্ভাবনী ব্যবসা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে এগিয়ে নিতে স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাঁচশো কোটি টাকার এই তহবিল থেকে উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ চার শতাংশ সুদ বা মুনাফায় ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন, যা উদ্যোক্তাদের জন্য তুলনামূলকভাবে একটি স্বল্পসুদী সুযোগ তৈরি করবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এ সংক্রান্ত অংশগ্রহণ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৬টি তফসিলি ব্যাংক এবং ৪টি নন-ব্যাংক ফাইন্যান্স কোম্পানি যুক্ত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান অংশীদার ব্যাংক ও ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এসএমই বিভাগের প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।

ঋণের সীমা ও শর্তাবলি

নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, উদ্যোক্তারা এখন থেকে সর্বনিম্ন ২ কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি বা চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগ নিতে পারবেন। এর ফলে উদ্যোক্তারা তাঁদের ব্যবসার প্রাথমিক পর্যায় থেকে সম্প্রসারণ পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ পাবেন।

নতুন উদ্যোগ ও অংশীদারত্ব

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ৫২টি অংশীদার ব্যাংকের সমন্বয়ে একটি ইক্যুইটি বিনিয়োগ কোম্পানি গঠনের বিষয়েও আলোচনা চলছে। এই কোম্পানি গঠিত হলে উদ্যোক্তারা ঋণের পাশাপাশি শেয়ারভিত্তিক অর্থায়নও পেতে সক্ষম হবেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যাশা

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্ভাবনী ব্যবসা উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে স্টার্ট-আপ খাতের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। নতুন এই উদ্যোগ উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন প্রাপ্তিকে আরও সহজ করবে এবং দেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের টেকসই বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

-শরিফুল


বিইআরসির সিদ্ধান্তে কমলো এলপিজির দাম, নতুন মূল্য কার্যকর

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৬:১৪:০৯
বিইআরসির সিদ্ধান্তে কমলো এলপিজির দাম, নতুন মূল্য কার্যকর
ছবি: সংগৃহীত

ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি খাতের তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমানো হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ১২ কেজির একটি সিলিন্ডারের দাম ৩ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ২৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত মাসে এর দাম ছিল ১ হাজার ২৭৩ টাকা।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এই মূল্য ঘোষণা করেন। নতুন নির্ধারিত এই দাম সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে।

একইসঙ্গে গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও কমানো হয়েছে। লিটারে ১৩ পয়সা কমে এর নতুন দাম দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা ১৫ পয়সা। বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির প্রতি কেজির দাম মূল্য সংযোজন করসহ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৫ টাকা ৮৭ পয়সা।

বিইআরসি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সৌদি আরামকো কোম্পানির প্রপেন ও বিউটেনের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রতি মাসে এলপিজির মূল্য ঘোষণা করা হয়। সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮২৫ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো এলপিজির দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি।

/আশিক


স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর আজ থেকে

অর্থনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১০:২৭:৫৬
স্বর্ণের নতুন দাম কার্যকর আজ থেকে
ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বর্ণবাজারে আবারও মূল্যবৃদ্ধি ঘটেছে। দুদিনের ব্যবধানে ভরিপ্রতি ১ হাজার ৪৭০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ফলে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের নতুন দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৮৮ টাকা। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলে সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

নতুন তালিকা অনুযায়ী, ২১ ক্যারেট স্বর্ণের ভরিপ্রতি দাম দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৭৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮২৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম নির্ধারিত হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২ টাকা। তবে রুপার দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বর্তমানে ২২ ক্যারেট রুপার ভরিপ্রতি দাম ২ হাজার ৮১১ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেট ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা।

এর আগে ৩১ আগস্ট বাজুস যে দাম নির্ধারণ করেছিল, তখন ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি দাম ছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ৩১৮ টাকা। একই সময়ে ২১ ক্যারেটের দাম ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৩৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ লাখ ৪২ হাজার ৬২৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ২৮ টাকা। আরও আগে, ২৬ আগস্ট নির্ধারিত দামে ২২ ক্যারেটের ভরিপ্রতি স্বর্ণ ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫১ টাকা।

বাজুসের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, স্বর্ণের বিক্রয় মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস নির্ধারিত ন্যূনতম ৬ শতাংশ মজুরি যোগ করতে হবে। তবে গয়নার নকশা ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দামের ঊর্ধ্বগতি, মুদ্রাবাজারের অস্থিরতা এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধিই সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণের ধারাবাহিক মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ।

-রফিক

পাঠকের মতামত: