জানুন আগুন ও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার করণীয় দোয়া

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২১ ১৬:৪২:২৩
জানুন আগুন ও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার করণীয় দোয়া

মানবজীবনে হঠাৎ ঘটে যাওয়া বিপদ যেমন অগ্নিকাণ্ড কিংবা দুর্ঘটনা, মুহূর্তেই সবকিছু তছনছ করে দিতে পারে। ইসলামে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদ থেকে বাঁচার জন্য কেবল বাহ্যিক সতর্কতাই নয়, বরং আধ্যাত্মিক প্রতিরক্ষার মাধ্যম হিসেবেও কিছু দোয়ার নির্দেশনা রয়েছে। রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কিরামের জীবন থেকে পাওয়া এসব দোয়া মানুষের আত্মা ও মনকে প্রশান্তি দেয়, একইসঙ্গে বিপদ থেকে আল্লাহর রহমত ও সাহায্য কামনার পথ তৈরি করে।

আগুনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে দোয়া ও আমল

আগুন কিয়ামতের একটি শাস্তি হওয়া সত্ত্বেও দুনিয়াতেও অনেক সময় মানুষের জন্য চরম বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বিভিন্ন হাদীসে আগুনের ভয়াবহতা থেকে বাঁচার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।

বিশিষ্ট সাহাবি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন:

"তোমরা যখন আগুন দেখ, তখন তাকবীর দাও।"কারণ, "তাকবীর (আল্লাহু আকবার) আগুন নিভিয়ে দেয়।"(মুসনাদে আহমদ)

এছাড়া, আগুনের হাত থেকে বাঁচার জন্য একাধিকবার এই দোয়াটি পাঠ করা যায়:

"حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ"উচ্চারণ: হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিলঅর্থ: "আল্লাহ আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই উত্তম অভিভাবক।"

এই দোয়ার মাধ্যমে আল্লাহর উপর নির্ভরতা ও আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটে, যা যে কোনো ধরনের বিপদে সুরক্ষার ঢাল হয়ে দাঁড়ায়।

২. দুর্ঘটনা বা অপ্রত্যাশিত বিপদ থেকে সুরক্ষার দোয়া

পথে চলতে, গাড়ি চালাতে, বা দৈনন্দিন জীবনের যেকোনো সময়েই দুর্ঘটনার মুখোমুখি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এসব দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে রাসূল (সা.) কিছু দোয়া আমাদের শিখিয়েছেন, যা আমাদের অন্তরে আশ্রয়ের অনুভব জাগিয়ে তোলে।

বিশিষ্ট হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ (সা.) এই দোয়াটি পাঠ করতেন:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلَاءِ وَشَرِّ قَضَاءِ وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِউচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাহদিল বালাই, ওয়া শাররি কাযাইকা, ওয়া শামাতাতিল আ’দাঅর্থ: “হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই দুঃসহ বিপদ, খারাপ তাকদির এবং শত্রুদের বিদ্রূপ থেকে।”

এই দোয়া মানুষকে মানসিকভাবে দৃঢ় করে তোলে এবং আল্লাহর দয়া ও হেফাজতের আশ্রয় গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে।

এছাড়া, আগেই বর্ণিত "হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল" দোয়াটিও দুর্ঘটনা কিংবা বিপদজনক পরিস্থিতিতে পাঠ করা অত্যন্ত উপকারী।

আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি ও আত্মনির্ভরতার গুরুত্ব

দোয়া পাঠের পাশাপাশি একজন মুসলমান হিসেবে আমাদের উচিত দৈনন্দিন জীবনে নৈতিকতা বজায় রাখা, বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করা, এবং বিপদের সময় সজাগ থাকা। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:

"যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় সাতবার এই দোয়া পাঠ করবে, সে আল্লাহর নিরাপত্তায় থাকবে— 'হাসবিয়াল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হু...' (আবু দাউদ)

Holiday Village

২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ২১:৩২:৪৯
২৩ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
Sheikh Zayed Grand Mosque Center Abu Dhabi/ছবিঃ সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৭ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৩ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৪৭ মিনিটে (PM)।

(সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৭ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৩ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৬ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৬ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৮ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৮ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩২ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৮ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


ফরজ গোসলে দেরি করলে কি গুনাহ হয়? জেনে নিন ইসলামি স্কলারদের মত

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২২ ২০:৫৬:১৪
ফরজ গোসলে দেরি করলে কি গুনাহ হয়? জেনে নিন ইসলামি স্কলারদের মত
ছবিঃ সংগৃহীত

সহবাস, স্বপ্নদোষ, ইচ্ছাকৃত বীর্যপাত ও নারীদের হায়েজ-নেফাসের পর গোসল করা ফরজ। এমন অবস্থায় যত দ্রুত পারা যায় গোসলের মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা উচিত, কারণ আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন। (সুরা তাওবা : ১০৮)। তবে সমাজে প্রচলিত আছে যে, ফরজ গোসলে দেরি করলে পাপ হয়, মাটি অভিশাপ দেয় বা নারীদের কারণে সংসারের অকল্যাণ হয়।

এই প্রচলিত ধারণাগুলো ইসলামে কতটা ভিত্তি রাখে, চলুন বিশেষজ্ঞ আলেমদের ভাষ্যমতে তা জেনে নিই।

দেরি করা উচিত নয়, তবে পাপ নয়

প্রখ্যাত ইসলামি স্কলার শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, গোসল ফরজ হলে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করা উচিত। তিনি জানান, ব্যক্তি নাপাক অবস্থায় থাকায় আল্লাহর রহমত থেকে দূরে থাকে। তবে দেরি করলেও বড় কোনো গুনাহ হবে না।

সুন্নাহর বিধান: তিনি পরামর্শ দেন, যদি কোনো কারণে দেরি করতে হয়, তাহলে সুন্নত হলো অজু করে নেওয়া। অজু না করলে বড় কোনো গুনাহ হবে না, তবে তা সুন্নাহর খেলাফ।

কুসংস্কারের জবাব: তিনি বলেন, “নারীরা দেরিতে গোসল করলে সংসারের অকল্যাণ হয়—এই কথা যারা বলেন, তারা নারীদের প্রতি এক ধরনের অবিচার করেন। আমাদের সমাজে নারীদের নিয়ে এরকম অনেককিছু বলা হয়। এসব কুসংস্কার।”

নামাজ কাজা না করার সতর্কতা

রাজধানীর জামিয়া ইকরার ফাজিল মুফতি ইয়াহইয়া শহিদ বলেন, ফরজ গোসল এত দেরিতে করা উচিত নয় যে, পরবর্তী ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়ে যায়। নামাজ কাজা করা নিঃসন্দেহে কবিরা গুনাহ। তাই ফরজ গোসল করতে না পারার জন্য নামাজ কাজা করার অজুহাত শরিয়তে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

নবীজির (সা.) আমল: হজরত আয়শা (রা.) বলেন, “রাসুল (সা.) কখনো কখনো জুনুবি (নাপাক) অবস্থায় ঘুমিয়ে যেতেন, এমনকি পানি স্পর্শও করতেন না।” (তিরমিজি : ১১৮)। এই হাদিস থেকে বোঝা যায়, দেরি করা যেতে পারে, তবে তা যেন পরের ফরজ নামাজ নষ্ট না করে।

কাজেই মুমিনের উচিত হলো দ্রুত ফরজ গোসল আদায় করে নেওয়া, তবে দেরি করলেও গুনাহ হবে না—যদি নামাজ ঠিক ওয়াক্তমতো আদায় করা হয়।


২২ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২১ ২১:৩৮:২৭
২২ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
The Blue Mosque, Istanbul (Turkey)/ছবিঃ সংগৃহীত

বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৭ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৩ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৪৭ মিনিটে (PM)।

(সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৭ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৩ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ২২ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৬ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৬ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৮ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৮ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩২ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৮ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


২১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ২১:১৫:২১
২১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
Omar Ali Saifuddien Mosque/ছবিঃ সংগৃহীত

মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৭ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৩ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৪৭ মিনিটে (PM)।

(সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৭ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৩ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ২১ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৬ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৬ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৮ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৮ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩২ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৮ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


আমার বুক আপনার ঢাল:উহুদ যুদ্ধে নবীজিকে বাঁচাতে গিয়ে এক হাত অবশ হলো যে সাহাবির

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ২০ ১৮:৩৪:৫০
আমার বুক আপনার ঢাল:উহুদ যুদ্ধে নবীজিকে বাঁচাতে গিয়ে এক হাত অবশ হলো যে সাহাবির
ছবিঃ সংগৃহীত

সাহাবি হজরত আবু তালহা যায়েদ ইবনে সাহল আনসারি (রা.) ছিলেন ইসলামের ইতিহাসে একজন মহান বীর, যার জীবনের প্রতিটি অধ্যায় ত্যাগ, বীরত্ব ও ঈমানের এক অনন্য উদাহরণ। তিনি একসময় মূর্তিপূজক থাকলেও, তাঁর বিবাহ ও জীবনের সিদ্ধান্তগুলো ছিল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। জীবনের শেষ লগ্নে সত্তর বছর বয়সেও তিনি জিহাদের পথে বেরিয়ে যান।

অভাবনীয় মোহর ও ইসলাম গ্রহণের ঘটনা

আবু তালহা (রা.) ছিলেন বনু নাজ্জার নামের খাযরাজ গোত্রের এক বংশের সন্তান। তিনি যখন উম্মু সুলাইম (রা.)-কে বিয়ের প্রস্তাব দেন, তখন নারীটি ছিলেন মুসলিম।

উম্মু সুলাইম তখন বলেছিলেন, “আমি এক আল্লাহর ইবাদতকারী আর তুমি মূর্তির পূজারী। আফসোস, আমি এক আল্লাহর ইবাদাতকারী আর তুমি মূর্তির পূজারী। আমাদের কীভাবে বিয়ে হতে পারে?” উম্মু সুলাইমের কথাগুলো ঝড় তোলে আবু তালহার হৃদয়ে। কিছুদিন ভাবাভাবি চলে। তারপর একদিন হুট করে উম্মু সুলাইমের কাছে গিয়ে ইসলাম কবুল করেন আবু তালহা। উম্মু সুলাইম এতটাই খুশি হন, তখনই বলে ফেলেন, “এখন আমি তোমাকে বিয়ে করতে প্রস্তত। আমার কোনো মোহর লাগবে না। তোমার ইসলামগ্রহণই আমার মোহর।”

উম্মু সুলাইম তখন আগের স্বামীর ঘরের এক সন্তানের মা; ছেলেটির নাম আনাস ইবনে মালেক (রা.)। আনাস (রা.)-এর হাতেই সম্পন্ন হয় আবু তালহা ইবনে যায়েদ (রা.)-এর বিবাহ। এই বিয়ের প্রসঙ্গ এলে আনাস (রা.) বলতেন, “আবু তালহা (রা.)-এর সঙ্গে এক অভাবিত মোহরে হয়েছিল আমার মায়ের বিয়েটা।”

মেহমানের আপ্যায়ন ও দানশীলতার দৃষ্টান্ত

নবুয়ত লাভের ১৩তম বছর। মসজিদে নববিতে এক মুসাফির নবীজি (সা.)-এর কাছে সাহায্য চাইলে, নবীজি (সা.) স্ত্রীদের ঘরে খোঁজ নেন। খাবার না পেয়ে তিনি সাহাবিদের দিকে ফিরে বলেন, “কেউ কী আছ, যে আল্লাহর এই বান্দাকে মেহমান বানাতে পারবে?”

আবু তালহা (রা.) সবিনয়ে বলেন, “মেহমানকে আমি বাড়ি নিয়ে যাব।” বাড়ি গিয়ে স্ত্রী উম্মু সুলাইমকে জানান, “বাচ্চাদের জন্য সামান্য রান্না করেছি। এছাড়া কিছু নেই।” আবু তালহা (রা.) স্ত্রীকে বলেন, “বাচ্চাদের ঘুম পাড়িয়ে দাও। ওরা ঘুমিয়ে গেলে ওদের খাবার দিয়েই মেহমানকে আপ্যায়ন করব। তুমি বাতি ঠিক করার বাহানায় সময় নষ্ট করবে। অন্ধকারে একাই খেয়ে উঠবে মেহমান। বুঝতে পারবে না কিছুই। আমরাও খাবার খাচ্ছি এমন শব্দে অভিনয় করে যাব।” মেহমান খেয়ে ওঠেন। মেজবান দুজনই ক্ষুধার্ত থেকে যান, সঙ্গে ঘুমন্ত বাচ্চারাও।

পরদিন সকালে মেজবান সাহাবি নবীজি (সা.)-এর দরবারে হাজির হলে তিনি বলেন, “রাতে তোমরা মেহমানকে যেভাবে আপ্যায়ন করেছ, আল্লাহ খুব খুশি হয়েছেন। ওহি পাঠিয়েছেন—‘তারা নিজেরা ক্ষুধার্ত থেকে হলেও অপরকে প্রাধান্য দেয়।’”

আবু তালহা (রা.) যখন নবীজির মুখে সদ্য নাজিল হওয়া আয়াত (“কখনোই প্রতিদান পাবে না; নিজের প্রিয় জিনিস যদি না আল্লাহর পথে খরচ করো”) শোনেন, তখন তিনি দাঁড়িয়ে যান। তিনি বলেন, “আল্লাহর রাসুল, আমার কাছে অনেক প্রিয় এই বাগান। বাগানটি আমি আল্লাহর রাস্তায় দান করছি। ঘোষণাটা যদি গোপন হতো, তাহলে আমি গোপনেই দান করে দিতাম!” নবীজি (সা.) সেই বাগানটিকে তাঁর উত্তরাধিকারদের ভেতর বণ্টন করে দিতে বলেন।

ত্যাগের মহিমা ও বীরত্ব

সন্তানের মৃত্যু: একবার আবু তালহা (রা.) সফরে থাকা অবস্থায় তাঁর ছেলে মারা যান। উম্মু সুলাইম (রা.) তাকে খাবার খেতে দেন এবং পরে ছেলের মৃত্যুর কথা জানান। উম্মু সুলাইম বলেন, “তবে আমাদের ছেলের ব্যাপারে তোমাকে ধৈর্য ধরতে হবে; আল্লাহ তার প্রদেয় আমানত নিয়ে নিয়েছেন।” আবু তালহা (রা.) সকালে নবীজির কাছে রাতের ঘটনা সবিস্তারে শোনালে তিনি বলেন, “আল্লাহ তোমাকে এই সন্তানের বদলা দেবেন।” সেই ঘটনার পরই জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল্লাহ ইবনে আবু তালহা।

উহুদ যুদ্ধ: উহুদ যুদ্ধে মুসলিমরা যখন সাময়িকভাবে পিছু হটে, তখন আবু তালহা (রা.) নবীজি (সা.)-এর সামনে ঢাল নিয়ে দাঁড়ান এবং শত্রুপক্ষের উপর একের পর এক তীর ছুঁড়ে যান। সেদিন তার হাতেই বিধ্বস্ত হয় শত্রুপক্ষের তিন তিনটি কামান। নবীজি (সা.) যখনই মাথা উঁচু করে সামনের গতিবিধি বুঝতে চেষ্টা করছিলেন, তখনই আবু তালহার সতর্কবার্তা ভেসে আসছিল—“আমার পিতা-মাতা আপনার ওপর কুরবান হোক! মাথা উঁচু করবেন না। তির লেগে যাবে। আমার বুক আপনার ঢাল। চিন্তার কিছু নেই।” নবীজিকে বাঁচাতে গিয়ে তার এক হাত অবশ হয়ে যায়। তাঁর বীরত্ব দেখে নবীজি (সা.) বলেন, “আবু তালহার আওয়াজ, হাজার মানুষের আওয়াজ থেকে উত্তম।”

মক্কা বিজয় ও বিদায় হজ: মক্কা বিজয়ের সময় তিনি নবীজি (সা.)-এর সঙ্গী ছিলেন। বিদায় হজের শেষদিকে নবীজি (সা.) মাথা মুণ্ডিয়ে ফেলেন এবং মাথার বা-দিকের চুলগুলো আবু তালহাকে দিয়ে দেন। এমন দান পেয়ে তিনি খুশিতে ফেটে পড়েন।

শেষের পথে জীবন

আবু বকর ও উমর (রা.)-এর খেলাফতকালেও তিনি যথারীতি যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। তখন তাঁর বয়স ছিল ৭০। একদিন কোরআন পড়তে পড়তে সুরা বারাআতের এই আয়াতে এসে আটকে যান—“গা ঝাড়া দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ো। জীবন ও সম্পদ কুরবানির মাধ্যমে করো আল্লাহর পথে জিহাদ।” তখনই তিনি জিহাদের জন্য প্রস্তুত হয়ে পড়েন এবং সমুদ্র অভিযানে অংশ নেন। যুদ্ধের মাঝপথেই তিনি ইন্তিকাল করেন। সাত দিন পর একটি দ্বীপের উপকণ্ঠে জাহাজ পৌঁছালেও তাঁর লাশ সম্পূর্ণ অবিকৃত ছিল। ৫১ হিজরিতে মুয়াবিয়া (রা.)-এর শাসনামলে সেই অজানা দ্বীপেই তাঁকে দাফন করা হয়।

সূত্র : রওশন সিতারে, আব্দুল্লাহ ফারানি, পৃষ্ঠা : ২১৯-২২৮


২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৯ ২১:২০:৩১
২০ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
Zahir Mosque – Kedah, Malaysia /ছবিঃ সংগৃহীত

সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৭ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৩ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৪৭ মিনিটে (PM)।

( সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৭ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৩ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ২০ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৬ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৬ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৮ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৮ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩২ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৮ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ২১:২৫:৫০
১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
ছবিঃ সংগৃহীত

রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৮ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৭ মিনিটে (AM), আসর ০৩টা ৫৩ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৪৭ মিনিটে (PM)।

(সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৭ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৩ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ১৯ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৬ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৬ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৬ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৩ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৮ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৬টা ০১ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৯ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫২ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৮ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩২ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৮ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪৩ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।


৪০-৪৫ দিনের রেণুবিন্দু: বিজ্ঞান বনাম কোরআন, গর্ভের শিশুর নিয়তি কখন লেখা হয়?

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৮ ১৯:২০:০১
৪০-৪৫ দিনের রেণুবিন্দু: বিজ্ঞান বনাম কোরআন, গর্ভের শিশুর নিয়তি কখন লেখা হয়?
ছবিঃ সংগৃহীত

মানব সৃষ্টির সূচনা কোনো কাকতালীয় প্রক্রিয়া নয়; এটি নির্ধারিত পরিকল্পনার এক নিখুঁত ধারাবাহিকতা। মায়ের গর্ভে যে রেণুবিন্দু জমা হয়, আল্লাহর নির্দেশে সেটিই ধীরে ধীরে এক জীবন্ত সত্তায় রূপান্তরিত হয়। হাদিসে মানবজীবনের প্রথম ধাপের চমৎকার একটি ধারাবিবরণী উঠে এসেছে।

গর্ভে ফেরেশতার আগমন ও নিয়তির লিখন

হুযাইফাহ্ ইবনু আসিদ (রা.) থেকে মারফু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত:

“জরায়ুতে চল্লিশ অথবা পঁয়তাল্লিশ দিন রেণু জমা থাকার পর সেখানে ফেরেশতা গমন করে। অতঃপর সে বলতে থাকে, হে আমার প্রভু! সে কি হতভাগ্য না সৌভাগ্যবান? তখন উভয়টাতে লিপিবদ্ধ করা হয়। তারপর সে বলতে থাকে, হে আমার রব! সে কি পুরুষ না মহিলা? তখন আদেশ অনুসারে উভয়টা লিপিবদ্ধ করা হয়। তার আমল, আচরণ, মৃত্যুক্ষণ ও জীবনোপকরণ লিপিবদ্ধ করা হয়। তারপর ফলকটিকে পেঁচিয়ে দেওয়া হয়। তাতে কোনো অতিরিক্ত করা হবে না এবং ঘাটতিও হবে না!” (মুসলিম, হাদিস : ২৬৪৪)

এই হাদিস মানবজীবনের প্রথম ধাপকে শুধু জীববৈজ্ঞানিক নয়, আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যায়ও পরিণত করেছে। আল্লাহ বলেন, “তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির নির্যাস থেকে, তারপর বীর্যবিন্দু থেকে, তারপর তিনি তোমাদের যুগল বানিয়েছেন।” (সুরা ফাতির : ১১)

নিয়তি ও বিজ্ঞানের সম্পর্ক

হাদিস অনুযায়ী, ফেরেশতা চারটি বিষয়ে লিখে নেন: ১. সে সৌভাগ্যবান না হতভাগ্য, ২. সে পুরুষ না নারী, ৩. তার আমল বা কর্মপথ, ৪. তার মৃত্যুর সময় ও জীবনোপকরণ।

কর্মের মূল্য: এখানে প্রশ্ন ওঠে, সবকিছু যদি পূর্বনির্ধারিত হয়, তবে মানুষের আমলের মূল্য কী? ইমাম নববী (রহ.) বলেন, “এই হাদিস মানুষের কর্মকে অকার্যকর করে না; বরং বোঝায় যে, যে যেমন কাজ করবে, আল্লাহ তার জন্য সে পথ সহজ করে দেবেন।” (শরহে মুসলিম)

বিজ্ঞান ও ঐশী প্রশাসন: আধুনিক বিজ্ঞানে শিশুর লিঙ্গ নির্ধারিত হয় নিষেকের মুহূর্তে (জৈবিক প্রক্রিয়া)। অন্যদিকে ইসলাম ব্যাখ্যা করে ঐশী প্রশাসন (আল্লাহর আদেশে ফেরেশতার লিখন)। ইবনু হাজার আসকালানি (রহ.) বলেন, “ফেরেশতার এই লিখন কোনো নতুন সিদ্ধান্ত নয়, বরং পূর্বনির্ধারিত বিধান বাস্তবায়নের অংশ।” (ফাতহুল বারী, ১১/৪৮১)

অর্থাৎ বিজ্ঞান বলে ‘কীভাবে’ একটি মানবদেহ গঠিত হয়, আর হাদিস বলে ‘কেন’ ও কার ইচ্ছায় সেই সত্তার নিয়তি নির্ধারিত হয়। এভাবে হাদিস ও বিজ্ঞান পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, বরং একে অন্যের ব্যাখ্যা সম্পূর্ণ করে।

সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্ব ও দায়িত্ব

পবিত্র কোরআন ঘোষণা করে, “আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সর্বোত্তম গঠনে, তারপর তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি নিকৃষ্টতম স্তরে, তবে তারা ব্যতিক্রম যারা ঈমান এনেছে ও সৎকর্ম করেছে।” (সুরা : আত-তীন, আয়াত : ৪–৬)। মানুষ তার নিয়তি লিখতে পারে না, কিন্তু নিজের কর্মের মাধ্যমে নিয়তিকে সম্মানিত করতে পারে। গর্ভের ফেরেশতা যখন সেই শিশুর ভবিষ্যৎ লিখে যায়, তখন থেকেই তার দায়িত্ব শুরু হয়—জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে সেই লিখনের মর্যাদা রক্ষা করা।


১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ অক্টোবর ১৬ ২১:৪৫:০২
১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
ছবিঃ সংগৃহীত

শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ইংরেজি তারিখের জন্য ঢাকা এবং বাংলাদেশের অন্যান্য প্রধান বিভাগের দৈনিক নামাজের সময়সূচি নিচে দেওয়া হলো। (এই সময়সূচি বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য ইসলামিক ক্যালেন্ডার থেকে সংগৃহীত। স্থানীয় তারতম্যের জন্য ২/১ মিনিট ভিন্ন হতে পারে)।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সময়সূচি

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য ফজর ০৪টা ৪১ মিনিটে (AM), সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে (AM), জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে (AM) (জুমার নামাজ), আসর ০৩টা ৫৭ মিনিটে (PM), মাগরিব ০৫টা ৩৯ মিনিটে (PM), এবং ইশা ০৬টা ৫২ মিনিটে (PM)।

(সাহরির শেষ সময় থাকবে ০৪টা ৩৫ মিনিটে (ভোর), এবং ইফতারের সময় হবে ০৫টা ৩৯ মিনিটে (সন্ধ্যা)।)

অন্যান্য প্রধান বিভাগীয় শহরের আনুমানিক সময়সূচি

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে প্রধান বিভাগীয় শহরগুলোর সময়সূচিতে সামান্য পার্থক্য আসে। ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ তারিখের জন্য প্রধান বিভাগগুলোর নামাজের আনুমানিক সময়সূচি নিম্নরূপ:

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৯ মিনিটে, আসর ০৩টা ৫৯ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৮ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৩ মিনিটে।

খুলনা: খুলনায় ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৫ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৪ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

রাজশাহী: রাজশাহীতে ফজর ০৪টা ৪৪ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৯ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫৩ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৭ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৬ মিনিটে এবং ইশা ০৭টা ০১ মিনিটে।

সিলেট: সিলেটে ফজর ০৪টা ৩৬ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৪৭ মিনিটে, জোহর ১১টা ৪৪ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৩৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৪৯ মিনিটে।

রংপুর: রংপুরে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫২ মিনিটে, আসর ০৪টা ০৪ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪৩ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৯ মিনিটে।

বরিশাল: বরিশালে ফজর ০৪টা ৪২ মিনিটে, সূর্যোদয় ০৫টা ৫৬ মিনিটে, জোহর ১১টা ৫০ মিনিটে, আসর ০৪টা ০২ মিনিটে, মাগরিব ০৫টা ৪০ মিনিটে এবং ইশা ০৬টা ৫৬ মিনিটে।

পাঠকের মতামত: