গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের হত্যার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা, লাইভে এসে নির্দেশনা দেন সাদ্দাম! 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ১৮ ১৩:৩৪:৪২
গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাদের হত্যার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা, লাইভে এসে নির্দেশনা দেন সাদ্দাম! 
এনসিপি নেতাদের হত্যার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা (বামে), লাইভে এসে নির্দেশনা দেন সাদ্দাম (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত ও পরিমার্জিত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘১৬ জুলাই: মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচি পণ্ড করতে পরিকল্পিতভাবে সংঘটিত হয় সন্ত্রাসী হামলা। এনসিপির অভিযোগ, ওই হামলার পেছনে ছিল ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি নির্দেশনা। জানা গেছে, ভারত থেকে মোবাইল ফোনে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন শেখ হাসিনা এবং এনসিপির শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে দলটির গোপালগঞ্জ কর্মসূচি ধ্বংস করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। তার পাঠানো একাধিক অডিও বার্তাও এই ঘটনার প্রমাণ হিসেবে উঠে এসেছে।

ভয়াবহ অডিও বার্তায় শেখ হাসিনার কণ্ঠ

যুগান্তরের হাতে থাকা একটি অডিও বার্তায় শোনা যায়, শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালকে বলেন, “ওরা নাকি গোপালগঞ্জে যাচ্ছে। টুঙ্গিপাড়ায় আমার বাবার কবর ভেঙে ফেলার ঘোষণা দিয়েছে। এর আগে ৩২ নম্বরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এবার টুঙ্গিপাড়ায় হামলা চালাবে। তোমরা বসে আছ কেন? প্রতিহত করো। ওদের কাউকে যেন গোপালগঞ্জের মাটি থেকে জীবিত ফিরে যেতে না দেওয়া হয়।”

আরেকটি অডিও বার্তায় শেখ হাসিনাকে গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লাকে বলতে শোনা যায়, “ওরা আশপাশের জেলা থেকে লোক জড়ো করছে। পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, ফরিদপুর—সব দিক থেকে ঢুকবে গোপালগঞ্জে। একটাই নির্দেশ—প্রতিহত করো। যদি টুঙ্গিপাড়ায় ঢুকেই পড়ে, একজনও যেন জীবিত না ফিরে যায়।”

হামলার বাস্তবায়নে মাঠপর্যায়ে সহিংসতা

এই অডিও বার্তাগুলোর পরদিনই, ১৭ জুলাই সকালে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশের দিন আতাউর রহমান পিয়ালের নেতৃত্বে পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন লাগানো হয়। একইদিন শহরের মোহাম্মদপাড়ায় এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে গুলি ও বোমা হামলাও চালানো হয়।

ভারতে ও লন্ডনে থাকা নেতাদের সমন্বয় ও উসকানি

এই হামলার পেছনে শুধু ছাত্রলীগ নয়, জড়িত ছিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। অভিযোগ রয়েছে, কলকাতা থেকে শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ ফুপাত ভাই ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম হামলাকারীদের সমন্বয় করেন। লন্ডন থেকে তদারকি করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান এবং শরীয়তপুর-১ এর সাবেক সাংসদ ইকবাল হোসেন অপু। গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুব আলী খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম কাজল মাঠপর্যায়ের তৎপরতা পরিচালনা করেন।

লাইভে এসে নির্দেশনা দেন সাদ্দাম

কলকাতায় আত্মগোপনে থাকানিষিদ্ধঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ফেসবুক লাইভে এসে সরাসরি বলেন, “ওদের প্রতিহত করতে হবে, কাউকে ছেড়ে দিও না।” ওই লাইভ থেকেই এনসিপির কর্মসূচিতে হামলার নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

নারীদের সংগঠনে জড়িত মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী

এনসিপির অভিযোগ অনুযায়ী, কলকাতায় আত্মগোপনে থাকা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী ও শফিকুল আলম কাজলের স্ত্রী ইয়াসমিন আলম স্থানীয় নারী নেত্রীদের সংঘবদ্ধ করে এনসিপি কর্মীদের ওপর হামলায় অংশগ্রহণ করান। পরে পুলিশ তাকে আটক করে।

গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। এনসিপির ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি ইতোমধ্যেই দেশজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৭ জুলাই গোপালগঞ্জে সমাবেশ ও রোডমার্চের আয়োজন করে এনসিপি। গোপালগঞ্জে কর্মসূচি শেষে দলটির শরীয়তপুরের জাজিরায় যাওয়ার কথা ছিল।

শুরু থেকেই আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো এই পদযাত্রাকে ঠেকাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। এনসিপির ভাষ্য অনুযায়ী, ‘গোপালগঞ্জে ঢুকতে দেওয়া হলেও, বের হতে দেওয়া হবে না’—এই ছিল শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ মহলের নির্দেশনা। এবং সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা, উসকানি ও হামলা—সবই সমন্বিতভাবে চালানো হয়।


পিআর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী: ‘জনগণ তো এটা চায় না’

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৫:০৮:০৮
পিআর পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে রিজভী: ‘জনগণ তো এটা চায় না’
ছবি: সংগৃহীত

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলই বিজয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও র‌্যালির আগে তিনি এই মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, “ছাত্রদল হলো আন্দোলন, সংগ্রাম ও নীতি-আদর্শের দল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি অবাধভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে ছাত্রদলের প্যানেলই জয়ী হবে।”

বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে আলোচিত ‘পিআর’ পদ্ধতি (প্রportional Representation) সম্পর্কে তিনি বলেন, “হঠাৎ করে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল এই পদ্ধতি নিয়ে অনেক কথা বলছে। পিআর পদ্ধতি কী? এ দেশের সাধারণ জনগণ বা গ্রামের মানুষ কি এর সম্পর্কে জানে?” তিনি প্রশ্ন রাখেন, “এটি তো জনগণ চায় না।”

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেন, “আপনারা কি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চান?” জবাবে কর্মীরা সমস্বরে ‘না’ বলে স্লোগান দেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণ সরাসরি পদ্ধতিতেই নির্বাচন চায়।

আলোচনা সভায় ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খোন্দকার আবু আশফাক সভাপতিত্ব করেন এবং সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় সঞ্চালনা করেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি জাহিদুল কবির এবং ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ডা. তৌহিদ আওয়ালসহ প্রমুখ।

/আশিক


নুরের ওপর হামলা প্রমাণ করে দেশ এখনও স্বৈরাচারমুক্ত নয়: দুদু

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৪:৫৫:১৩
নুরের ওপর হামলা প্রমাণ করে দেশ এখনও স্বৈরাচারমুক্ত নয়: দুদু
ছবি-সমকাল

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভারতসহ বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গেলেও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং জাগপার সভাপতি লুৎফর রহমানের ওপর হামলা প্রমাণ করে যে শেখ হাসিনা ও তার দোসররা এখনো সক্রিয়। এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

নুর ও লুৎফরের ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “তাদেরকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই এই হামলা করা হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, এই হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা যত বড় ক্ষমতাশালীই হোক না কেন, তাদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনা উচিত।

বিএনপি নেতা বলেন, “২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষ স্বাভাবিকভাবেই মনে করেছিল যে দেশে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে এবং শেখ হাসিনা ও তার দোসররা পালিয়েছেন। মানুষ ভেবেছিল দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং তারা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই আমরা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, তা অত্যন্ত মর্মান্তিক।”

সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হতে পারে, ভালো নির্বাচন না হয়, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল ক্ষমতায় না আসে, আমাদের নেতা তারেক রহমান যাতে প্রধানমন্ত্রী না হতে পারেন—এসব নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে।” তিনি বলেন, এই ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেই সবাইকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, সাবেক এমপি জুতি, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদি এবং জাতীয়তাবাদী চালক দলের সভাপতি জসিম উদ্দিন কবিরসহ প্রমুখ।


অন্তর্বর্তী সরকার এখন বিএনপি ও জামায়াতের নির্দেশে চলছে: সামান্তা শারমিন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৪:২৪:৪৫
অন্তর্বর্তী সরকার এখন বিএনপি ও জামায়াতের নির্দেশে চলছে: সামান্তা শারমিন
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন মন্তব্য করেছেন যে, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আর অন্তর্বর্তী নেই, বরং এটি মূলত বিএনপি ও জামায়াতের নির্দেশে চলছে। সম্প্রতি দৈনিক যুগান্তরকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

সাক্ষাৎকারে সামান্তা শারমিন বলেন, “আমরা দেখলাম যে ছাত্রদলের মনোনীত ভিপি খুবই জনপ্রিয়তা পেলেন, এরপরই তার বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হলো। এটা এক ধরনের আশঙ্কা তৈরি করে যে ছাত্রদল নির্বাচনে জিতবে কিনা।” তিনি মনে করেন, এই অবস্থা বিএনপির মনে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করেছে এবং তারা সম্ভবত পরাজয়ের ভয় পাচ্ছেন।

এনসিপি নেত্রীর মতে, ছাত্ররা যাতে ভোট দিতে না যায়, সেজন্য একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা হতে পারে। তিনি বলেন, “যাতে করে ভোট বানচাল হয় এবং দায়টা ভোটারের ওপর পড়ে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার কোনো সুযোগ নেই। যারা জাতীয় নির্বাচন চান, তাদের জন্যই ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে জয়লাভ করা আরো বেশি প্রয়োজন। সামান্তা শারমিন বলেন, “যদি তারা বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রের মধ্যে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন, তবে সেটা তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।”

সামান্তা শারমিন অভিযোগ করেন, “সৈকত সাহেব বলেছেন, ডাকসু নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তিনি প্রগতিশীল ছাত্রদের আহ্বান জানিয়েছেন। আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাস বলে, নানা সময়ে আওয়ামী লীগকে নেগলেট করার কাজটি প্রগতিশীল বা যারা নিজেদের প্রগতিশীল দাবি করেন, তাদের যোগসাজশে হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা এ ক্ষেত্রেও দেখলাম যখন রিটটা করা হচ্ছে, রিট করার কোনো প্রমাণ হাজির করা যায়নি।”


জার্মানিতে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৩ ০৯:১০:২৩
জার্মানিতে নানা আয়োজনে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে জার্মানি বিএনপি। এ উপলক্ষে সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বার্লিনে স্থানীয় একটি হলরুমে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।

দিনব্যাপী আয়োজনে অংশ নেন জার্মানির বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আগত বিপুলসংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী। এছাড়া অনেকেই ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক সভাপতি আকুল মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গনি সরকার। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সূচনা করেন যুবদল নেতা আবু তাহের। এরপর জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসী শিল্পী তাহ্মিনা ফেরদৌসি।

সভাপতির বক্তব্যে আকুল মিয়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রগঠনের অবদান তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক, যিনি স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক দলীয় বিভাজন ভুলে মিলেমিশে রাষ্ট্রগঠনের লক্ষ্য সামনে রেখে একসাথে কাজ করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। সদ্য সাবেক প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক মান্নান নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান, সকল মতবিরোধ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।

বার্লিন বিএনপির সাবেক সভাপতি জসিম শিকদার বলেন, “আমরা যে কোনো আলোচনায় বসতে প্রস্তুত, তবে বিশৃঙ্খলা মেনে নেওয়া হবে না।”

ফ্রাংকফুর্ট থেকে আগত জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক উপদেষ্টা মিজানুর রহমান (ফিরোজ) তাঁর বক্তব্যে দলের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।

এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন জার্মান বিএনপির সদ্য সাবেক সহ-সভাপতি কাজী রেজাউল হক সাঈদ, বার্লিন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুল ব্যাপারী, বিএনপি নেতা মাশরুল আলম বাবলী, আনহার মিয়া, সাইফুল ইসলামসহ অনেকে। সভায় উপস্থিত ছিলেন যুবদলকর্মী রুহেল আহমদে, রেদওয়ান আহমদসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও জিয়া সাইবার ফোর্সের নেতারা। মো. মাহবুবুর রহমান অনুষ্ঠান শেষে কবিতা আবৃত্তি করেন।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মিউনিখের সদ্য সাবেক সভাপতি রিয়াজ শরিফ ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হোসাইন, এনআরভি’র সদ্য সাবেক সভাপতি গোলাম মাহবুব ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ আলী, বাডেনবুর্টেমবার্গের সদ্য সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম মুক্তি ও সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম, হেসেনের সদ্য সাবেক সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম এবং ফ্রাংকফুর্টের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেল খান।

-রাফসান


অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ২১:১৬:৫৩
অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুললেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান
সংবাদ সম্মেলনে এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের আচরণ ও কার্যক্রমে যথেষ্ট দৃঢ়তা এবং সমন্বয়ের অভাব রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। তিনি সতর্ক করেছেন যে, সরকারের কর্মকাণ্ডে যদি দৃঢ়তা স্পষ্ট না হয়, তাহলে আগামী নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা কাটবে না।

মঙ্গলবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আহ্বানে ৭টি রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ দলের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদুদ্দিন মাহমুদ, সি আর আবরার, আদিলুর রহমান খান ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, নুরুল হক নুরের ওপর হামলা এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে তুচ্ছ ঘটনায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয়হীনতার প্রমাণ স্পষ্ট। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।

মঞ্জু আরও বলেন, নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারীদের ক্ষেত্রে লটারির মাধ্যমে পোস্টিং না দিয়ে তাদের দক্ষতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, নির্বাচনী সহিংসতা রোধে জাতীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের নিয়ে নির্বাচন সমন্বয় কমিটি গঠনের ওপরও তিনি জোর দেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে প্রধান উপদেষ্টাকে ফিজিক্যাল ও ভার্চুয়াল মিটিং করার অনুরোধ জানান তিনি।

/আশিক


জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করা বিএনপির কাজ নয়: রুহুল কবির রিজভী

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৯:০১:৩২
জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করা বিএনপির কাজ নয়: রুহুল কবির রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করা বিএনপির দায়িত্ব নয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠায় সব ধরনের সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি। যারা ফ্যাসিবাদকে সহায়তা করেছে তাদের 'প্রোটেকশন' দেওয়ার কাজ বিএনপির নয়।”

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করে ‘উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম’। এর আগে, জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম পাটোয়ারী বলেছিলেন, জাতীয় পার্টিকে রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির।

শামীম পাটোয়ারীর বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “বিএনপি তো রাষ্ট্র ক্ষমতায় নেই, এখনও তো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। আপনি (শামীম) কিসের দায়দায়িত্বের কথা বলছেন? বিএনপি জাতীয় পার্টির দায়িত্ব নেবে কেন? আপনারা কারা?” তিনি প্রশ্ন তোলেন, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম ও সাইফুল ইসলাম হিরুসহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী যখন গুম হয়েছিলেন, তখন জাতীয় পার্টি কোথায় ছিল?

রিজভী আরও বলেন, “২০১৪ সালের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার ছিল না। সেই নির্বাচনে যাবো না, যাবো না করতে করতে আপনারা (জাতীয় পার্টি) গেলেন। ২০১৮ সালে বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর প্রায় ৪৫ জন প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হলো। বিএনপি নির্বাচনে আসুক, সেটা শেখ হাসিনা চাননি। সেদিন জাতীয় পার্টি কী ভূমিকা রেখেছিল?”

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা সংবাদমাধ্যমের সমালোচনা করে বলেন, “১ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অনেক সংবাদপত্র প্রয়াত জিয়াউর রহমান লিখেছেন। যে ব্যক্তি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে যাকে শহীদ করা হলো, তাঁর নামের আগে দিচ্ছেন প্রয়াত। শহীদ কথাটা তাঁর নামের আগে দেন না, স্বাধীনতার ঘোষক কথাটা দেন না।”

সভায় উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

/আশিক


 বেগম জিয়া নিরাপদ,তারেক রহমানও নিরাপদ থাকবেন: হান্নান মাসউদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৮:১০:৫৪
 বেগম জিয়া নিরাপদ,তারেক রহমানও নিরাপদ থাকবেন: হান্নান মাসউদ
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ। তিনি বলেছেন, “আমরা চাই তারেক রহমান দেশে আসুক।”

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে যমুনা টেলিভিশনের একটি টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, “বেগম জিয়া দেশে নিরাপদে আছেন, এ দেশের মানুষ তাকে বরণ করে নিয়েছে। যে দেশের মানুষ খালেদা জিয়াকে নিরাপত্তা দিয়েছে, তারা তারেক রহমানকেও নিরাপত্তা দিতে পারবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশের মাটি ও মানুষের ঘ্রাণ তারেক রহমানের দ্রুত নেওয়া দরকার। এটা দেশপ্রেমেরও বহিঃপ্রকাশ। কারণ দূর থেকে দেশের মানুষকে খুব সহজে অনুভব করা যায় না।”

বিএনপি কি বিরোধী দল?

এনসিপি বিএনপিকে বিরোধী দল মনে করে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, “আমার মনে হয় না বিএনপির সঙ্গে আমাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছে। আমরা বিএনপির কিছু কাজের সমালোচনা করি, জামায়াতেরও সমালোচনা করি। আমরা সব রাজনৈতিক দলেরই বিভিন্ন কাজের সমালোচনা করি। তারাও আমাদের সমালোচনা করে। এখন এটাকে যদি বিরোধীতা বা আক্রমণ হিসেবে ধরেন তাহলে বিষয়টা অসুন্দর লাগে।”

তিনি বিএনপির সমালোচনার কারণও ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “বিএনপির প্রতি আমাদের এই অবস্থান একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে। ১৯৭৯ সালে বিএনপি ক্যান্টনমেন্টে জন্ম নিতে পারে বা সরকারি সুযোগ-সুবিধায় বেড়ে উঠতে পারে। কিন্তু বেগম জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বিএনপি গণমানুষের দলে পরিণত হয়েছে। তেমনই ২০০৮ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বেগম জিয়ার আপোসহীনতার কারণে গণমানুষের আস্থা অর্জন করেছে। সে হিসেবে বিএনপিকে আমরা শ্রদ্ধা করি।”

হান্নান মাসউদ আরও বলেন, “বিএনপির যারা নির্যাতনের শিকার হয়েছে, তাদের আমরা ভাই মনে করি। কিন্তু বিএনপির সবাই তো আর এক না। বিএনপির যারা এখন অত্যাচারী হয়ে উঠেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা কথা বলি। যেসব কারণে আমরা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করেছি, সেগুলো যদি আমি করি তাহলে আমার বিরুদ্ধে বলা হবে না?”


নুরের ওপর হামলায় জামায়াত জড়িত: ছাত্রদল নেতা আমানউল্লাহর 

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৭:৪৮:৩৯
নুরের ওপর হামলায় জামায়াত জড়িত: ছাত্রদল নেতা আমানউল্লাহর 
ছবি : কালবেলা

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলায় সরাসরি জামায়াতে ইসলামী জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান। তিনি দাবি করেন, নির্বাচন ঘোলাটে করতে এবং পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জামায়াত পরিকল্পিতভাবে সারাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্যারিস রোডে শাখা ছাত্রদল আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের সভাপতির প্রার্থিতার বিরুদ্ধে রিট করা এক নারী শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের হুমকি, রাবিতে ছাত্রদল নেত্রীদের হেনস্তা এবং সারাদেশে নারী শিক্ষার্থীদের ওপর অব্যাহত সাইবার বুলিংয়ের প্রতিবাদে।

আমানউল্লাহ আমান বলেন, “ছাত্রশিবিরের মূল সংগঠন জামায়াতে ইসলামী। তারা এই মুহূর্তে কোনো নির্বাচন চায় না। তাই ‘নির্বাচনের পরিবেশ নেই’—এটা প্রমাণ করতে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা ছড়াচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনাসহ সাম্প্রতিক প্রায় সব ঘটনার উভয়পক্ষেই জামায়াতের লোকজন ছিল। তারা ভেতরে ঢুকে ‘স্যাবোটাজ’ তৈরি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করছে এবং তারপর বলছে দেশে নির্বাচনের পরিবেশ নেই।” তিনি মনে করেন, জামায়াত মূলত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে।

ডাকসু এবং রাকসু প্রসঙ্গেডাকসু নির্বাচন নিয়ে হাইকোর্টে রিট করা নারী শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের হুমকির প্রসঙ্গে আমান বলেন, “শিবির সবসময় দাবি করে তারা ‘চেইন অব কমান্ড’ মেনে চলে। তাহলে তাদের নেতাকর্মীরা যে নারী কর্মীকে হেনস্তা করেছে, সেটাও কি চেইন অব কমান্ডের ভেতরে? যদি তাই হয়, তবে এটিই তাদের প্রকৃত আদর্শিক অবস্থান।”

রাকসু নির্বাচন নিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরিকল্পিতভাবে শিবিরকে জেতানোর জন্য কাজ করছে। পুরো প্রশাসনই জামায়াতকরণ হয়ে গেছে। তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো রগ কাটার ইতিহাস ফিরতে দেওয়া হবে না—আমরা আমাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে তা হতে দেব না।”

এর আগে, রাবি শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্যারিস রোড থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন, যা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার প্যারিস রোডে এসে অবস্থান কর্মসূচিতে মিলিত হয়। এই কর্মসূচিতে শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন।

/আশিক


পুলিশের মধ্যে ট্রমা আছে, তারা ভয় পায়: পুলিশ নিয়ে মান্নার বিস্ফোরক মন্তব্য

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৬:২০:৪৩
পুলিশের মধ্যে ট্রমা আছে, তারা ভয় পায়: পুলিশ নিয়ে মান্নার বিস্ফোরক মন্তব্য
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না

সব ধরনের সংস্কারের আগে পুলিশ বাহিনীর সংস্কার করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, “কোনো কোনো এলাকায় পুলিশ কারও কথা শোনে না। সরকার বলে কিছু আছে? সাদা পাথর বা বালু চলে যায়, সরকার ঠেকাতে পারে না।”

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) শফিকুল কবির মিলনায়তনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ড. ইউনূসের নাম উল্লেখ করে মান্না বলেন, “ড. ইউনূস বলেছিলেন আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার হলো পুলিশ সার্ভিস। আমি ১৩ মাস পর সরকারকে জিজ্ঞাসা করতে পারি, এখন পুলিশের কী অবস্থা? পুলিশ কোন জায়গায় তাদের দায়িত্ব পালন করছে?” তিনি আরও বলেন, “পুলিশের মধ্যে একটি ট্রমা আছে, তারা ভয় পায়, কোথাও যেতে চায় না। সরকারের দায়িত্ব ছিল সবার আগে পুলিশকে ঠিক করা।”

নির্বাচনের দিন নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কার কথা তুলে ধরে মান্না বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কী অবস্থা দেখেন! প্রত্যেক জায়গায় স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে ছাত্রদের হানাহানি চলছে। এত বছর যারা অন্যায়ভাবে ক্ষমতায় ছিল, তাদের কথা বাদ দিলাম। কিন্তু এই সরকার আসার পর এগুলো কেন হচ্ছে?”

তিনি বলেন, “রাতের বেলা প্রক্টর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ফেসবুকে কাঁদছেন এবং বলছেন, আমরা অসহায়, আমাদের বাঁচান। কিন্তু কেউ বাঁচাতে যায়নি। একইভাবে ভোটের দিন যদি প্রার্থীরা মার খায়, তারা বলবে ‘আমাকে বাঁচান’, কিন্তু কেউ বাঁচাতে পারবে না।”

ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে মান্না বলেন, “আমরা তার কাছে প্রস্তাব করলাম, আপনার উচিত সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি কাউন্সিল করা। যখন দরকার হবে, আপনারা বসবেন, কথা বলবেন এবং সংকট এলে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশ চালাবেন। কিন্তু তিনি একদিনও তা করেননি। এখন শুধু যখন সংকট হয়, তখন আমাদের ডাকেন।”

ড. ইউনূসের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, “আমি প্রফেসর ইউনূসকে বলি, 'নির্বাচন হবেই'—এমন দৃঢ়তা দেখানোর কোনো দরকার নেই। আপনি বললেই তো হবে না। আপনি বললেই তো পাথর আটকাতে পারেন না, বালু আটকাতে পারেন না, ধর্ষণ আটকাতে পারেন না। কারণ আপনি যে সরকার চালান, সেই সরকার শব্দটা আপনি জানেন না। আপনার কারও ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।”

/আশিক

পাঠকের মতামত: