মাইলস্টোন দুর্ঘটনা

পোড়া ড্রেস জড়িয়ে কান্না, সন্তান হারানোর শোকে স্বজনরা পাগলপ্রায়

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২২ ০৯:৫৭:০১
পোড়া ড্রেস জড়িয়ে কান্না, সন্তান হারানোর শোকে স্বজনরা পাগলপ্রায়
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন কলেজের ছাদে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় শোকাচ্ছন্ন গোটা দেশ। দুর্ঘটনায় আহতদের অনেকেই এখন চিকিৎসাধীন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। সেখানে ভিড় জমিয়েছেন স্বজনরা। কারও চোখে পানি, কেউ সন্তান হারানোর শোক বইতে পারছেন না। সোমবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যায় হাসপাতালজুড়ে ছিল হৃদয়বিদারক দৃশ্য।

চতুর্থ তলায় আইসিইউর সামনে ভিড় করেছেন আহত শিক্ষার্থীদের পরিবার। কেউ মেঝেতে বসে কাঁদছেন, কেউ একদৃষ্টে তাকিয়ে আছেন শূন্যে। সবার মুখেই আতঙ্ক আর অসহায়তা।

পাঁচতলায় গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের করিডোরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন ফাহাদ নিয়ন। তার ভাগনি মেহরিন চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। নিয়ন বলেন, “ও খুব ভদ্র, নিষ্পাপ। সারা দিন শুধু পড়াশোনা করে। এখন মুখ আর দুই হাত পুড়ে গেছে। আমি কিছুই করতে পারছি না।” তার পাশেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এক নারী, যিনি নিয়নকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

অন্য এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ইয়াসমিন আক্তার। তার মেয়ে নুরে জান্নাত পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। মেয়েটির মুখ ও কপাল পুড়ে গেছে, মাথায় চোট লেগেছে, পিঠও ঝলসে গেছে। কাঁদতে কাঁদতে ইয়াসমিন বলেন, “মেয়ে বলে মা, আমার সব জ্বলে। আমার মেয়ে বাঁচবে তো?”

নাসিমা বেগমের ছেলেও একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে। সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া রোহান এখন যন্ত্রণায় কাতর। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নাসিমা বলেন, “এমন অবস্থা হইল কেমনে? কত মায়ের বুক খালি হইছে। আমার রোহান কষ্টে ছটফট করতাছে।”

এই বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত আহতদের অনেকেই বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। কেউ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে, কেউবা আশঙ্কামুক্ত নয়। হাসপাতালে কান্না, দুশ্চিন্তা আর অসহায়তার দৃশ্য বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছে—এই দুর্ঘটনা শুধু একটি খবর নয়, শতাধিক পরিবারের দুঃস্বপ্ন।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

লেনদেনের শীর্ষ দশে যেসব শেয়ার

লেনদেনের শীর্ষ দশে যেসব শেয়ার

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২১ জুলাই) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ছিল কিছুটা চাঙা। এই দিনে লেনদেনের... বিস্তারিত