মাইলস্টোন দুর্ঘটনা
‘ভাইয়া, আমাকে ধরে রাখো’—এই কথায় বেঁচে গেল আলবীরা

ক্লাস চলছিল স্কুলে। ছুটির ঘণ্টা বাজার আগমুহূর্তেই ঘটে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা। হঠাৎ আকাশ থেকে আগুনের গোলার মতো একটি প্রশিক্ষণ বিমান এসে পড়ে স্কুল ভবনে। মুহূর্তেই বিস্ফোরণ, চারদিকে ধোঁয়া, চিৎকার আর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়।
ওই সময় স্কুল ভবনের ভেতরে ছিল ১০ বছরের ছোট্ট মেয়ে রুবাইদা নূর আলবীরা। সে বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় বসবাসকারী মো. জসিম উদ্দিন ও নাহিদা ইসলাম দম্পতির মেয়ে। পড়ত রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুলের চতুর্থ শ্রেণিতে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পর আতঙ্কে দিকবিদিক ছোটাছুটি শুরু হয়। সেই ভয়াল মুহূর্তে আলবীরা একজন সিনিয়র শিক্ষার্থীর হাতে ধরে বলেছিল, “ভাইয়া, আমাকে একটু ধরে রাখো। আমি পড়ে যাচ্ছি।” সেই সহপাঠীর সহায়তাতেই প্রাণে রক্ষা পায় সে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হলেও আলবীরা প্রাণে বেঁচে গেছে। আগুনে তার শরীরের প্রায় ১০ শতাংশ পুড়ে গেছে। মুখেও এসেছে গভীর ক্ষত। দ্রুত বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে শেষমেশ ভর্তি করা হয় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।
মঙ্গলবার সকালে তার হাতে অস্ত্রোপচার এবং মুখে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে এবং বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত। বর্তমানে সে হাসপাতালে ৫২০ নম্বর ওয়ার্ডের ২১ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন।
আলবীরার বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, “আমার মেয়ে বেঁচে আছে আল্লাহর অশেষ রহমতে। ওর সাহস আর উপস্থিত বুদ্ধি আমাদের গর্বিত করেছে। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন যেন আবার আগের মতো স্কুলে ফিরতে পারে।”
আলবীরার সহপাঠী, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা এখন তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করছেন।
/আশিক

সেনা কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন। আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে সেনা হেফাজতে থাকা এই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।
কারাগারে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া
আত্মসমর্পণ: ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বলেন, “৮ অক্টোবর তিনটি মামলায় সাবেক-বর্তমান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এই কর্মকর্তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেনি।”
আবেদন: আইনজীবী জানান, আদালত তাদের ওকালতনামা স্বাক্ষর করার অনুমতি দিয়েছেন। তারা তিনটি আবেদন করেছেন—এর মধ্যে একটি জামিনের আবেদন, প্রিভিলেজ কমিউনিকেশন এবং তাদের যেন সাব-জেলে রাখা হয়। এই আবেদনগুলোর শুনানি পরবর্তী তারিখে হবে।
প্রশাসনিক সুবিধা: আইনজীবী বলেন, নিরাপত্তা এবং প্রশাসনিক সুবিধার কারণে কর্মকর্তাদের একটি গাড়িতে করে আনা হয়েছে।
সাব-জেল ও পরবর্তী শুনানি
আদালত এই কর্মকর্তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। সাব-জেল নিয়ে আইনজীবী বলেন, “এ ব্যাপারটি জেল কর্তৃপক্ষ দেখবে। এখন তাদের সেনানিবাসে যে সাব-জেল (উপকারাগার) ঘোষণা করা হয়েছে, সেখানে নেওয়া হবে।”
অন্যদিকে, পলাতক আসামিদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির তারিখ রয়েছে এবং এই মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক আসামিদের আদালতে হাজির করার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলার শুনানি ও পরবর্তী তারিখ
গুম সংক্রান্ত এই দুটি মামলায় পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে এই তিনটি মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগের (ফর্মাল চার্জ) ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম-খুন এবং জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা তিনটি পৃথক মামলায় অভিযুক্ত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আজ বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই আদেশ দেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ পলাতকদের হাজিরার নির্দেশ
আদালত এই ১৫ জন কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর পাশাপাশি মামলার অন্যতম আসামি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য পলাতক ব্যক্তিদের আদালতে হাজির করার লক্ষ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২০ নভেম্বর ধার্য করেছেন।
সেনাবাহিনীর পূর্বের বক্তব্য
এর আগে গত ১১ অক্টোবর সেনা সদরের এক ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চার্জশিটে নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানিয়েছিলেন, সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে মোট ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে লিয়েন পিওরিয়ডে (LPR) থাকা একজন এবং সার্ভিসে থাকা ১৫ জনসহ মোট ১৬ জনকে সেনা সদরে সংযুক্ত হতে বলা হয়েছিল।
মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান জানান, মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ ছাড়া বাকি ১৫ জন সেনা সদরে এসেছেন এবং তাদের হেফাজতে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, দেশে চাকরিরত অবস্থায় এত সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি এটাই প্রথম।
দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ‘১০টি চুক্তি বা প্রকল্প বাতিলের’ তথ্য সঠিক নয়। তিনি দাবি করেছেন, প্রকৃতপক্ষে শুধু একটি চুক্তিই বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
চুক্তি বাতিলের সত্যতা
এর আগে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে দাবি করেছিলেন, হাসিনা সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে করা ১০টি চুক্তি ও প্রকল্প বাতিল হয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এম তৌহিদ হোসেনের বক্তব্য সেই দাবিকে চ্যালেঞ্জ করেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য: এম তৌহিদ হোসেন বলেন, “যে তালিকাটি এসেছে, সম্ভবত একজন উপদেষ্টা তা প্রচার করেছেন। হয়তো এটা তিনি না করলেও পারতেন। তবে যে তালিকা সেখানে এসেছে, সেটি সঠিক নয়। এর অধিকাংশ চুক্তিই বাস্তবে নেই।”
বাতিল হওয়া চুক্তি: তিনি নিশ্চিত করেন, শুধু একটি চুক্তিই বাতিল হয়েছে, সেটি হলো ভারতীয় প্রতিরক্ষা কোম্পানি জিআরএসইর সঙ্গে টাগবোট সরবরাহ সংক্রান্ত চুক্তি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন চুক্তি পর্যালোচনা প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আসিফ মাহমুদের প্রকাশিত তালিকা
গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে ভারতের সঙ্গে বাতিল ও বিবেচনাধীন চুক্তি/প্রকল্পগুলোর একটি তালিকা প্রকাশ করেছিলেন। সেই তালিকায় তিনি ত্রিপুরা-চট্টগ্রাম রেল সংযোগ প্রকল্প, ফেনী নদী পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্প, আশুগঞ্জ-আগরতলা করিডর, ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ (মিরসরাই ও মোংলা আইইজেড) মোট ১০টি চুক্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন।
১৩ প্রকল্প অনুমোদন একনেক
গ্রামীণ মাটির রাস্তা সংস্কারসহ মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ ৫৩ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অনুমোদিত প্রধান প্রকল্পগুলো
একনেকে অনুমোদিত ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে:
খাদ্য ও কৃষি: রেজিলিয়েন্স স্ট্রেংদেনিং থ্রো অ্যাগ্রি-ফুড সিস্টেম ট্রান্সফরমেশন প্রকল্প।
নগর উন্নয়ন: খুলনা বিভাগীয় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১-৫ নং জোনের অভ্যন্তরীণ রাস্তা, নর্দমা ও ফুটপাত নির্মাণ, এবং উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্প।
স্বাস্থ্য: পাবনা মানসিক হাসপাতালকে আন্তর্জাতিক মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে রূপান্তর প্রকল্প।
যোগাযোগ ও রেলওয়ে: কিশোরগঞ্জ-পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর-টোক জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ, রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটগুলোর পুনর্বাসন ও মানোন্নয়ন প্রকল্প।
অন্যান্য: ঘোড়াশাল ৩য় ইউনিট রি-পাওয়ারিং প্রকল্প, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় বাংলাদেশ চ্যান্সারি ভবন নির্মাণ, এবং বিএসটিআই পদার্থ ও রসায়ন পরীক্ষণ ল্যাবরেটরি সম্প্রসারণ।
আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে?
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে বিএনপি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বসবে এই বৈঠক, যেখানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল অংশ নেবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং নিশ্চিত করেছে যে, বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হবে জাতীয় নির্বাচন, জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং বিরোধী দলগুলোর ভূমিকা।
এটি হবে বিএনপি ও ড. ইউনূসের মধ্যে দ্বিতীয় বৈঠক—এর আগে ৩১ আগস্টও তারা মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবারের বৈঠকটি আরও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা, কারণ জুলাই জাতীয় সনদে বিএনপির সক্রিয় অংশগ্রহণের পর এটি হতে যাচ্ছে প্রথম আনুষ্ঠানিক সংলাপ।
রাজনৈতিক মহলে জল্পনা—বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য কী? কেবল আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, নাকি নতুন একটি রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনের প্রচেষ্টা? সূত্রমতে, বিএনপি এবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা এবং রাজনৈতিক মুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতের রোডম্যাপ চাইতে পারে। অন্যদিকে ড. ইউনূসের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত হিসেবে পারস্পরিক সংলাপ ও আস্থার পরিবেশ তৈরির ওপর জোর দেওয়া হতে পারে।
একজন জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা বলেন, “এটি কেবল আনুষ্ঠানিক বৈঠক নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের পথচিত্র নির্ধারণ করবে।” রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, যদি বৈঠকে মৌলিক ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়, তবে এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পুনরুত্থানের নতুন ভিত্তি হতে পারে।
সম্প্রতি স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদ—যেখানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল স্বাক্ষর করেছে—রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করেছে। বৈঠকের সময়সূচি ঘোষণার পর অনেকেই মনে করছেন, এই আলোচনায় সনদের বাস্তবায়নই মুখ্য বিষয় হবে। বিএনপি নেতারা মনে করছেন, সনদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন ছাড়া দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্ভব নয়।
মির্জা ফখরুল ইতোমধ্যে একাধিকবার বলেছেন, “জুলাই সনদ কেবল কাগজ নয়; এটি গণআকাঙ্ক্ষার দলিল।” তাই বৈঠকে তিনি সরকারের কাছ থেকে এই সনদের সময়সূচি ও বাস্তবায়ন কাঠামো সম্পর্কে পরিষ্কার আশ্বাস চাইতে পারেন।
বিএনপি এবার সংলাপে অংশ নিচ্ছে তুলনামূলকভাবে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রেখে। একদিকে তারা প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আস্থা রাখছে, অন্যদিকে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চাপও অনুভব করছে। দলটির নীতি নির্ধারকরা বলছেন, “আমরা সংলাপে যাচ্ছি, কিন্তু জনগণের রায়ের বাইরে কোনো সমাধান গ্রহণ করবো না।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই কৌশল ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বিএনপি এবার সরাসরি মুখোমুখি সংঘাতের পথে নয় বরং নীতি ও আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে চায়।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্য এই বৈঠকও সমান গুরুত্বপূর্ণ। জুলাই সনদে তার ভূমিকা যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি এর বাস্তবায়নে বিলম্ব ও রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগও উঠেছে। বিএনপির সঙ্গে এই বৈঠক তার জন্য এক ধরনের “টেস্ট কেস”—যেখানে তাকে প্রমাণ করতে হবে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সত্যিই নিরপেক্ষ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক।
সরকারি সূত্র বলছে, ইউনূসের লক্ষ্য হলো আসন্ন ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে সর্বসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য করে তোলা। তিনি চান রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনার টেবিলে ফিরুক, যাতে “নতুন বাংলাদেশ”-এর স্বপ্ন বাস্তব রূপ পায়।
নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এআই অপব্যবহার রোধে সমন্বিত সেল গঠনের নির্দেশ সিইসি’র
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই-এর অপব্যবহার এখন একটি বৈশ্বিক মাথা ব্যথার কারণ। এই সমস্যা মোকাবিলায় আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এআই-এর অপব্যবহার রোধ করতে এটিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার সঙ্গে একীভূত করার চেষ্টা চলছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বলেন, ভুল তথ্য বা মিথ্যা তথ্যের দ্রুত মোকাবেলায় গঠিত সেলকে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।
কর্মশালার লক্ষ্য ও চ্যালেঞ্জ
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত ‘নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এআই অপব্যবহার প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এই মন্তব্য করেন।
সুনির্দিষ্ট সমাধান: সিইসি বলেন, “আমরা সবাই মিলে একত্রে চিন্তা করলে আরো অনেক ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে। এই কর্মশালা থেকে শুধুমাত্র নীতিগত নির্দেশিকা নয়, বরং বাস্তবায়নযোগ্য খুটিনাটিসহ সুনির্দিষ্ট কিছু পরামর্শ চাই।”
পাহাড়ি অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ: তিনি বলেন, পাহাড়ের দুর্গম অঞ্চল বা সমুদ্র উপকূলের অফশোর আইল্যান্ডগুলো থেকে অস্বাভাবিক বা মিথ্যা তথ্য আসতে পারে। সেই তথ্যের কাছে পৌঁছানো এবং সেগুলোকে মোকাবেলা করার উপায় বের করা জরুরি।
ফ্যাক্ট চেকিংয়ের দাবি
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন ফ্যাক্ট চেকিংয়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়ে মৌলিক সুপারিশ চেয়েছেন:
সময়সীমা: ভুল তথ্য বা মিথ্যা তথ্যের দ্রুত মোকাবেলায় গঠিত সেলকে অবশ্যই ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে হবে।
পদ্ধতি: ফ্যাক্ট চেকিংয়ের পদ্ধতি কেমন হবে, কত দ্রুত তথ্য যাচাই করা যাবে এবং কোন কোন সংস্থাকে এর জন্য কাজে লাগানো হবে—এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সমাধান দরকার।
জনবল: প্রয়োজনে প্রতি শিফটে কতজন কর্মী নিয়োগ করতে হবে এবং তাদের শিক্ষাগত পটভূমি বা অভিজ্ঞতা কেমন হতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত সুপারিশ দিতে হবে।
সিইসি বলেন, এই কর্মশালাটি অত্যন্ত কার্যকর হবে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে তার যাত্রাপথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা ১৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সিআর) আবরার।
সমঝোতা ও কার্যকরের সময়
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য বাড়ি ভাড়া ভাতা হিসেবে ১ নভেম্বর থেকে মূল বেতনের ৭.৫ শতাংশ এবং পরবর্তী জুলাই মাস থেকে ১৫ শতাংশ দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে।
আহ্বান: সিআর আবরার শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনে ইতি টেনে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শিক্ষকদের আন্দোলন আমাদের বাস্তবতা বুঝিয়েছে, সরকার দায়িত্বশীলভাবে সাড়া দিয়েছে, আর সবাই মিলে আমরা আজ এমন এক অবস্থানে এসেছি, যেখানে সম্মান, সংলাপ আর সমঝোতাই জিতেছে। এখন সময় ক্লাসে ফিরে যাওয়ার।”
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য: তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই সমঝোতা পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং গুণগত মানসম্মত শিক্ষাকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে এক নতুন সূচনা করবে।
আগের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
এর আগে গত রোববার (১৯ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে জানিয়েছিল, বাজেট সীমাবদ্ধতার কারণে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ হারে (সর্বনিম্ন ২০০০ টাকা) দেওয়া হবে। কিন্তু শিক্ষকরা ওই আদেশ প্রত্যাখ্যান করে আমরণ অনশনসহ সব ধরনের কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। নতুন এই ১৫ শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের মূল দাবির (২০ শতাংশ) কাছাকাছি পৌঁছেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, উক্ত বাড়ি ভাড়া ভাতা পরবর্তী জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে সমন্বয় করতে হবে এবং এই আদেশ আগামী ১ নভেম্বর ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।
উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন দিগন্ত: সরকারের স্থানিক পরিকল্পনা উদ্যোগ
দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনায় স্থানিক পরিকল্পনা (Spatial Planning) সংযুক্ত করতে এবং জাতীয় স্থানিক পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর কৌশল নির্ধারণে সরকার নয় সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এই টাস্কফোর্সে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে দেশের ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খ্যাতনামা নগর পরিকল্পনাবিদ ও শিক্ষাবিদদের, যারা জাতীয় পরিকল্পনার সঙ্গে স্থানিক দৃষ্টিকোণ যুক্ত করে উন্নয়ন কাঠামোকে আরও বাস্তবসম্মত ও টেকসই করতে সুপারিশ প্রণয়ন করবেন।
পরিকল্পনা কমিশনের জারি করা এক অফিস আদেশ অনুযায়ী, এ টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রখ্যাত নগর পরিকল্পনাবিদ ড. এ.টি.এম. নুরুল আমিন—যিনি এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এমেরিটাস অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)-এর সম্মানিত সদস্য।
টাস্কফোর্সের অন্যান্য সদস্যরা হলেন ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ও বিআইপির সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. সেলিম রশিদ; বিআইপির সভাপতি অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান; সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদী আহসান; সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (সিজিআইএস)-এর ড. ফারহানা আহমেদ; বিআইপি সদস্য এ.কে.এম. রিয়াজ উদ্দিন; বিআইপির সহ-সভাপতি সৈয়দ শাহরিয়ার আমিন; এবং বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক মুসলেহ উদ্দিন হাসান।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)-এর একজন প্রতিনিধি টাস্কফোর্সের সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শর্তাবলীতে বলা হয়েছে, প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ শেষে টাস্কফোর্স দুই মাসের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে। প্রয়োজনে টাস্কফোর্স অতিরিক্ত সদস্য যুক্ত করার ক্ষমতাও রাখবে। টাস্কফোর্সের কাজের সার্বিক প্রশাসনিক ও কারিগরি সহায়তা দেবে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি)।
এই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সরকার দেশের উন্নয়ন কাঠামোয় একটি দীর্ঘমেয়াদি, অঞ্চলভিত্তিক এবং তথ্যনির্ভর দৃষ্টিভঙ্গি সংযোজনের চেষ্টা করছে। নগরায়ণ, পরিবেশ সংরক্ষণ, ভূমি ব্যবহার ও অবকাঠামো পরিকল্পনা—সবকিছুকে এক ছাতার নিচে এনে ‘ন্যাশনাল স্পেশাল প্ল্যানিং’-এর মাধ্যমে উন্নয়ন পরিকল্পনার একটি সমন্বিত রূপরেখা তৈরি করাই এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। এটি বাস্তবায়িত হলে জাতীয় পরিকল্পনার মান আরও বৃদ্ধি পাবে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (SDGs) অর্জনের পথে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
-নাজমুল হাসান
পাঠকের মতামত:
- ফারমিনের হ্যাটট্রিক, রাশফোর্ডের জোড়া—এল ক্লাসিকোর আগে উড়ছে বার্সেলোনা
- নিজ সরকারের বিরুদ্ধেই ট্রাম্পের মামলা: মার্কিন রাজনীতিতে নজিরবিহীন ঘটনা
- কুমিল্লায় প্রবাসীর স্ত্রীকে বেঁধে লাঠিপেটা করলেন যুবলীগ নেতা
- “অবৈধ অনুপ্রবেশ”–অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে চীনের অভিযোগে কূটনৈতিক টানাপোড়েন
- সেনা কর্মকর্তারা স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করেছেন
- শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
- ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশে দুর্নীতি ও লুটপাট থাকবে না:গোলাম পরওয়ার
- মস্কোর কৌশলী অবস্থান: ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে কেন ‘সময়সীমা নেই’?
- কানাডায় প্রবেশ করলে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করা হবে, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
- ২২ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- প্রাণের উৎস পানি, কিন্তু পানির জন্ম কোথায়? উত্তর মিললো বিজ্ঞান ও কোরআনে
- পিরামিডের আড়ালে লুকিয়ে থাকা রহস্য: কোরআনের আলোয় ফারাওদের উত্থান-পতনের ইতিহাস
- প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে বিএনপির উদ্বেগ: ফখরুল জানালেন আলোচনার বিষয়
- দুই উপদেষ্টার মতবিরোধ: ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল নিয়ে বিতর্ক
- জ্বীনের অদৃশ্য জগৎ: বিজ্ঞান কি খুলতে চলেছে সেই রহস্যের দরজা?
- টানা ১০ দিন চিনি না খেলে শরীরে কী হয়?
- আই লাভ মুহাম্মদ লেখা নিয়ে ভারতে উত্তেজনা: পুলিশের গুলি ও উচ্ছেদ অভিযান
- মির্জা ফখরুল, সালাহউদ্দিন আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যমুনায়
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- লিংকডইনে চাকরি খুঁজছেন? প্রোফাইল আকর্ষণীয় করার ৫টি কৌশল
- মহাজাগতিক দৃশ্য: আজ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসছে দুই বিরল ধূমকেতু
- ধীরগতির ওয়াইফাই: আপনার ঘরের এই ৮টি জিনিসই সিগনাল দুর্বল করছে
- সালমান শাহ হত্যা মামলা: নতুন করে আসামি হলেন যারা
- ঘরে বসেই বানান নিখুঁত ভ্যানিলা স্পঞ্জ কেক, রইল সহজ রেসিপি
- ১৩ প্রকল্প অনুমোদন একনেক
- দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেলেন অন্ধ রোগীরা: চোখে মাইক্রোচিপ প্রতিস্থাপনে ‘চমকপ্রদ’ সাফল্য
- ২১ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গলা ব্যথা ও সর্দি: ওষুধ নয়, এই ৪টি ঘরোয়া প্রতিকারে মিলবে দ্রুত স্বস্তি
- মস্তিষ্কের ক্যানসার: যে ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ অবহেলা করা উচিত নয়
- রোনালদোকে নিয়ে হতাশা ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের
- আজ সন্ধ্যায় বিএনপি-ইউনূস বৈঠক: কী আছে আলোচনার টেবিলে?
- নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এআই অপব্যবহার রোধে সমন্বিত সেল গঠনের নির্দেশ সিইসি’র
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আন্দোলন প্রত্যাহার
- জবি ছাত্রদল নেতা হত্যা: ‘তুমি না মরলে আমি মাহীরের হব না’—প্রেমিকার নির্মমতা প্রকাশ
- শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত
- আলোয় আলোকিত বলিউড: দীপাবলির ঝলমলে উৎসবে তারকাদের উচ্ছ্বাস
- নারী নেতৃত্বে জাপান: তাকাইচি পেলেন পার্লামেন্টের আস্থা
- ট্রাম্পের হুমকিতে উত্তাল বোগোতা: যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করল কলম্বিয়া
- উন্নয়ন পরিকল্পনায় নতুন দিগন্ত: সরকারের স্থানিক পরিকল্পনা উদ্যোগ
- গাজায় রক্ত ঝরছে, মার্কিন দূতরা ইসরায়েলে: শান্তিচুক্তি কি টিকে থাকবে?
- সুপ্রিম কোর্টে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু
- ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে ১০০ কেজি গাঁজা উদ্ধার
- মিরপুরের উইকেট: স্পিনারদের প্রতি মুশতাক আহমেদের বিশেষ বার্তা
- নতুন পে স্কেল: এক দশক পর বেতন কাঠামোয় আসছে বড় পরিবর্তন
- ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- পোড়া খাবারের গন্ধ দূর করার সহজ ৩টি ঘরোয়া উপায়
- ফ্রান্স: সভ্যতা, প্রজাতন্ত্র ও মানবমুক্তির দীপ্ত ইতিহাস
- ইবন খালদুন: রাজনীতি, সমাজ ও ইতিহাসের এক অবিনশ্বর তাত্ত্বিক
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- রিশাদ ম্যাজিক স্পিনে উড়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- শীতকাল আসছে: সুস্থ থাকতে এখনই বর্জন করুন এই ৫টি অভ্যাস
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- অভিভাবকতন্ত্রের প্রলোভন: জেনারেল ভূঁইয়ার বয়ান ও গণতন্ত্রের ঘড়ি থামানোর বিপদ
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- মাইগ্রেনের সমস্যা: যে ৬টি অভ্যাস আজই আপনাকে পরিবর্তন করতে হবে
- বান্দরবান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি
- ২০ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- ২১ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ‘জুলাই সনদ’-এর ৫ নম্বর দফা সংশোধনের প্রস্তাব দিলেন সালাহউদ্দিন আহমদ