নিহতদের স্মরণে গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৩ ১২:০৮:৪২
নিহতদের স্মরণে গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে দোয়া মাহফিল

রাজধানীর উত্তরায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশজুড়ে বিশেষ দোয়া মাহফিল ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। এই শোকাবহ ঘটনার পর রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সামাজিক বিভিন্ন সংগঠন একযোগে গভীর সহানুভূতির সঙ্গে নিহতদের স্মরণে দোয়ার আয়োজন করে।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাদ আছর এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা, যাদের মধ্যে ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, নিরাপত্তা টিমের প্রধান সমন্বয়কারী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম (অবঃ), জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন মৃধা এবং চেয়ারপারসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা অ্যাডভোকেট মেহেদুল ইসলাম মেহেদী। দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা হুমায়ুন কবির খান, যিনি মর্মাহত হৃদয়ে নিহতদের শান্তি ও আহতদের আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা করেন।

এই দোয়া মাহফিল শুধু রাজধানীতেই সীমাবদ্ধ ছিল না। দেশের নানা প্রান্তেও একযোগে দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। ঢাকার ভাষানটেক এতিমখানা, মিরপুরের বাউনিয়াবাদ মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও এতিমখানা, বগুড়ার গাবতলী উপজেলার পদ্মপাড়ার মসজিদে আর রহমান, লাঠিগঞ্জ অন্ধ মাদ্রাসা ও এতিমখানা এবং পদ্মপাড়া কারিগরি এতিমখানায়ও একই ধরনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং ধর্মপ্রাণ মানুষজন একত্রিত হয়ে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং প্রার্থনায় অংশগ্রহণ করেন।

-রফিক, নিজস্ব প্রতিবেদক


যে সাহস শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ পারেনি, ছাত্রদল দেখাচ্ছে: সারজিস আলম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ১০:৩৪:৫৩
যে সাহস শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ পারেনি, ছাত্রদল দেখাচ্ছে: সারজিস আলম
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ঘোষণা দিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে যারা চোর, বাটপার, চাঁদাবাজ ও হুমকিদাতা তাদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, সমাজে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কারও পরিচয় গোপন রাখা হবে না।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক কর্মশালা ও সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। সভাটি বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের দাবিতে আয়োজন করা হয়।

সারজিস আলম বলেন, পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদল এখন স্কুলগুলোতে কমিটি দেওয়া শুরু করেছে। শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ যে সাহস দেখাতে পারেনি, ছাত্রদল আজ সেই সাহস দেখাচ্ছে। তিনি কঠোর ভাষায় বলেন, “বাংলাদেশের কোনো স্কুল-কলেজে ছাত্ররাজনীতির নামে লেজুরবৃত্তি রাজনীতি চলবে না।” তার অভিযোগ, আহ্বায়ক কমিটির নামে বিএনপি আওয়ামী লীগের পদক্ষেপ নকল করে অযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে সভাপতি বানিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, এনসিপি চায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজনীতির কলুষমুক্ত থাকুক। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে কোনো দলকে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে দেওয়া হবে না। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দুর্নীতি ও অপরাধ দমনের পাশাপাশি রাজনৈতিক সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে হবে।

সভায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ পঞ্চগড় জেলা এনসিপি ও জাতীয় যুবশক্তির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় সংস্কার, জবাবদিহিতা এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়।

-রাফসান


বাংলাদেশে যত উন্নয়ন হয়েছে, সব বিএনপির সময়ে: শামা ওবায়েদ

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৯:৫৯:০৬
বাংলাদেশে যত উন্নয়ন হয়েছে, সব বিএনপির সময়ে: শামা ওবায়েদ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, জনগণের জন্য বাংলাদেশে যত উন্নয়ন হয়েছে, তার সবকিছু বিএনপির সময়েই হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা প্রতিজ্ঞা করতে চাই, বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনো গুম-খুন হবে না। কেউ মিথ্যা মামলায় জেলে যাবে না। আর কোনো নারী ধর্ষিত হবে না।”

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) নিজ নির্বাচনী এলাকা ফরিদপুরের সালথা উপজেলা সদরের বাইপাস সড়ক মোড়ে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

শামা ওবায়েদ আরও বলেন, এই দেশে একটি স্বচ্ছ সংসদ চান তারা, যার সদস্যরা জনগণের জন্য কাজ করবেন, কোনো বিদেশি শক্তির হয়ে নয়। তিনি বলেন, “ষড়যন্ত্র এখনো চলছে, যাতে বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন না হয়। ষড়যন্ত্র চলমান আছে, বাংলাদেশ অস্থিতিশীল করার জন্য। তাই আমাদের সকলকে সাবধান থাকতে হবে।”

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এই দিনে যারা শহীদ জিয়াউর রহমানকে দেখেননি বা বেগম খালেদা জিয়াকে চেনেন না, তাদের বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে। এই প্রকৃত ইতিহাস গত ১৭ বছরে ধ্বংস করা হয়েছে, তাই নতুন প্রজন্মকে তা জানাতে হবে। তিনি বলেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুধু বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী না, এই দিনটি হচ্ছে বাংলাদেশের নবজাগরণ ও নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দিন। স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার দিন।”

শামা ওবায়েদ বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯ দফা দিয়ে শুরু করেছিলেন, এখন তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছেন। তিনি বলেন, যদি বিএনপি জনগণের ভোটে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করে, তাহলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি যুবককে চাকরি দিবে। শিক্ষা, খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের মতো সব সুবিধা যাতে বাংলাদেশের জনগণ সমানভাবে পায়, সেই উদ্যোগের কথা ৩১ দফায় বলা আছে।


উচ্চকক্ষ নিয়ে সরকারের অনুরোধ উপেক্ষা, বিএনপি তার সিদ্ধান্তে অটল

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৯:৪৮:০৩
উচ্চকক্ষ নিয়ে সরকারের অনুরোধ উপেক্ষা, বিএনপি তার সিদ্ধান্তে অটল
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা ‘পিআর পদ্ধতি’-তে সংসদের উচ্চকক্ষ গঠনের বিষয়টি মেনে নিতে অন্তর্বর্তী সরকার বিএনপিকে অনুরোধ করেছিল, কিন্তু বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকার ও বিএনপির একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, গত ৩১ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠকে সরকারের একজন উপদেষ্টা এই অনুরোধ জানান।

উচ্চকক্ষ গঠন নিয়ে মতভিন্নতা

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠনের বিষয়ে ঐকমত্য হলেও, উচ্চকক্ষের নির্বাচন বা গঠনপদ্ধতি নিয়ে তীব্র মতভিন্নতা রয়েছে। ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত হলো, উচ্চকক্ষ বা সিনেট হবে ১০০ সদস্যের, যারা নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচিত হবেন।

তবে বিএনপি ও এনডিএম এই পদ্ধতির সঙ্গে একমত নয়। তারা চায়, নিম্নকক্ষে একটি দল যত আসন পাবে, তার ভিত্তিতে উচ্চকক্ষে আসন বণ্টন করা হোক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিএনপির এই চাওয়া অনুযায়ী উচ্চকক্ষ গঠন করা হলে তা হবে নিম্নকক্ষেরই প্রতিচ্ছবি এবং এটি অনর্থক হবে। আইনসভায় ভারসাম্য আনা এবং একক দলের ক্ষমতা কমানোর জন্যই উচ্চকক্ষ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

লন্ডন বৈঠক ও বিএনপির শক্ত অবস্থান

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো মনে করছে, গত জুন মাসে লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর থেকে সরকার সংস্কারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিএনপির চাওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। এর ফলে জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপির মনে সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে সরকারের সঙ্গে বিএনপির কোনো বিশেষ সমঝোতা হয়েছে।

সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে মতভিন্নতা

জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন পদ্ধতি নিয়েও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। জামায়াত ও এনসিপি চায়, জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট বা রাষ্ট্রপতির নির্দেশে জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হোক। অন্যদিকে, বিএনপি মনে করে সংবিধান-সংক্রান্ত প্রস্তাবগুলো আগামী সংসদ ছাড়া বাস্তবায়নের কোনো বৈধ পথ নেই। তারা আগামী সংসদ গঠিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে এসব প্রস্তাব বাস্তবায়নের পক্ষে। এই মতভিন্নতার কারণে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতা বাড়ছে এবং নির্বাচন নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হচ্ছে।

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সামগ্রিকভাবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে তারা সুপারিশ দেবেন। তারা আশা করছেন, বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে একটি পথ-পদ্ধতি পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন, উচ্চকক্ষ গঠনের পদ্ধতি ও ক্ষমতা নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্ত খুবই ভালো, কারণ এতে সংসদে ভারসাম্য থাকবে।


শেখ হাসিনার মতো আর কাউকে একনায়ক হতে দেব না:  সারজিস আলম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৮:২৯:২৩
শেখ হাসিনার মতো আর কাউকে একনায়ক হতে দেব না:  সারজিস আলম
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের কোথাও শেখ হাসিনার মতো আর কাউকে একনায়ক হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আজও অনিয়ম, দুর্নীতি, হুমকি ও অপকর্ম চলছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে। তিনি বলেন, “যেই হোক চোর, বাটপার, চাঁদাবাজ বা হুমকিদাতা, আমরা তাদের নাম-পরিচয়সহ তালিকা প্রকাশ করব।”

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার ছাত্রলীগ যা করতে পারেনি, আজ বিএনপির ছাত্রদল স্কুল পর্যায়ে কমিটি গঠন করে সেই নোংরা চর্চা শুরু করেছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “কোনো স্কুল-কলেজে রাজনীতির নামে নোংরা চর্চা ঢুকতে দেওয়া হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা আমরা প্রতিরোধ করব।”

এনসিপি নেতা বলেন, তাদের প্রতিপক্ষ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তিনি বলেন, “বিএনপি বা অন্য কোনো দল যদি ভালো কাজ করে, আমরা তাদের সম্মান জানাব। তবে কোনো অপকর্ম হলে তা যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করা হবে। যে অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে জনগণ গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, সেই ধরনের অপচেষ্টা সহ্য করা হবে না।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে এনসিপির নতুন কর্মীদের বিএনপি নেতাকর্মীরা হুমকি দিচ্ছেন। তিনি একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বিএনপি সমর্থিত ফরিদুল ইসলাম সম্প্রতি এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে এবং তার বাবাকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন। সারজিস আলম এটিকে বাংলাদেশের রাজনীতির স্থিতিশীলতার জন্য ভয়ংকর দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ পঞ্চগড় জেলা এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো আর কোনো একনায়ক জন্ম নেবে না: সারজিস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৮:২৩:৫৪
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো আর কোনো একনায়ক জন্ম নেবে না: সারজিস
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে একনায়কতন্ত্রের পুনরাবৃত্তি রোধ এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের কোথাও শেখ হাসিনার মতো আর কাউকে একনায়ক হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।”

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে এনসিপির জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান’ শীর্ষক কর্মশালা ও সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এখনও অনিয়ম, দুর্নীতি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষ আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থা হারাতে শুরু করেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা চোর, বাটপার, চাঁদাবাজ বা হুমকিদাতা—তাদের নাম-পরিচয়সহ তালিকা প্রকাশ করা হবে। তার ভাষায়, “আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, শেখ হাসিনার মতো আর কোনো একনায়ক বাংলাদেশের কোথাও জন্ম নিতে পারবে না।”

তিনি সমালোচনা করে বলেন, শেখ হাসিনা ও তার ছাত্রলীগ যা করতে পারেনি, এখন বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল সেটি শুরু করেছে। তারা স্কুল পর্যায়ে কমিটি গঠন করছে। সারজিস আলম স্পষ্ট ভাষায় জানান, “কোনো স্কুল-কলেজে রাজনীতির নামে নোংরা চর্চা ঢুকতে দেওয়া হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা আমরা প্রতিহত করব।”

এনসিপি নেতা আরও বলেন, তাদের প্রতিপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নয়। বিএনপি বা অন্য কোনো দল যদি দেশের জন্য ভালো কিছু করে, এনসিপি তাদের সম্মান জানাবে। কিন্তু যদি কেউ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে বা জনগণকে কষ্ট দেয়, তবে তার বিরুদ্ধাচরণ করা হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যে ধরনের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে জনগণ গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, সেই ধরনের অপচেষ্টা আর সহ্য করা হবে না।”

সভায় সারজিস আলম অভিযোগ করেন, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে এনসিপির নতুন কর্মীদের বিএনপির নেতাকর্মীরা হুমকি দিচ্ছেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম সম্প্রতি এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে এবং তার বাবাকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন। সারজিস আলম এ ঘটনাকে বাংলাদেশের রাজনীতির স্থিতিশীলতার জন্য ভয়ংকর দৃষ্টান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

কর্মশালা ও সমন্বয় সভায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় নেতারা বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

-রফিক


মুন্সীগঞ্জে বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রণক্ষেত্র, হাসপাতালে ৮

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৮:০৬:৩৬
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রণক্ষেত্র, হাসপাতালে ৮
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে আনন্দপুর এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয় এবং এতে অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধ হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা ওয়াহিদ মোল্লা ও উজির আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার রাতে সেই বিরোধের জেরে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে শহিদুল মাদবর (৪৫), মজনু সরকার (৫৫), শামীম সরকার (২৭), জাহাঙ্গীর সরকার (৩৫), নজরুল সরকার (৬৫), শরীফ মাদবর (৬৫), সোহেল (৩৫) ও লিটন (২৫) গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের মধ্যে সোহেল ও লিটনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদ পারভেজ জানান, গুলিবিদ্ধ আটজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির আঘাত রয়েছে।

ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম বলেছেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার বিষয়ে তাদের কাছে আনুষ্ঠানিক তথ্য নেই। তিনি আরও জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

-রফিক


সংসদকেন্দ্রিক সংস্কারের ওপর জোর, সরকারের সমালোচনায় গয়েশ্বর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৭:৩৯:৫৫
সংসদকেন্দ্রিক সংস্কারের ওপর জোর, সরকারের সমালোচনায় গয়েশ্বর
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মনে করেন, সংসদকে বাদ দিয়ে কোনো সংস্কার স্থায়ী হতে পারে না। তার মতে, সংস্কারের আসল শর্ত হলো মানসিক পরিবর্তন এবং জনগণের আস্থা অর্জন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কেন্দ্রীয় পরিষদের শপথগ্রহণ ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, যদি প্রকৃত সংস্কার করতে হয়, তাহলে আগে মানসিক সংস্কার করতে হবে। কেবল বক্তব্য দিলেই হবে না, সেটিকে জনগণের আস্থায় আনতে হবে। চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিভাগের নানা দাবি-দাওয়া ও যৌক্তিকতা থাকতে পারে। কিন্তু এসব নিয়ে রাস্তাঘাটে জটলা তৈরি করা কিংবা যানজট সৃষ্টি করার মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, একজন গর্ভবতী নারী সন্তান জন্ম না দেওয়া পর্যন্ত সবসময় উদ্বেগে থাকেন। একইভাবে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া এবং ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জনগণও অনিশ্চয়তায় ভুগবে। সরকারের দায়িত্ব সেই আশঙ্কা দূর করা, আর রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হলো জনগণকে গণতান্ত্রিক পথে রাখার ব্যবস্থা করা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সমস্যার প্রতি কোনো মনোযোগ দেয় না। তাদের শোনার কান নেই, চোখ থাকলেও দেখা হয় না। কারণ, জনগণের প্রতি তাদের কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। সরকার কোনো প্রস্তুতি নিয়েই ক্ষমতায় আসেনি। তিনি সরকারের উপদেষ্টাদের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তার মতে, উপদেষ্টাদের মধ্যে সমন্বয় নেই, এমনকি তারা একে অপরকে চিনেন কি না, রাতের বেলায় তারা একসঙ্গে বসে আলাপ করেন কি না, সেটিও সন্দেহের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, সরকারের কার্যক্রমে দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। বরং কয়েকজন ব্যক্তি সক্রিয় হয়ে নতুন ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যারা একসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশংসিত ছিলেন, তারাই এখন নতুন বৈষম্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনূসের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে এমনটি তিনি মনে করেন না। একইভাবে নির্বাচন কমিশনেরও আন্তরিকতা নেই এ কথাও তিনি বলবেন না। তবে তাদের আন্তরিকতা পর্যাপ্ত নয় বলেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কাঙ্ক্ষিতভাবে এগোচ্ছে না।

গয়েশ্বর সরকারের ভেতরে দ্বৈত অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেন। তার মতে, প্রধান উপদেষ্টা একরকম বক্তব্য দেন, আর তার ব্যক্তিগত সহকারী অন্যরকম কিছু বলেন। এই অসঙ্গতিই সরকারের দুর্বলতাকে প্রকাশ করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জবাবদিহিতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা না হলে কোনো সংস্কার কার্যকর হবে না।

-শরিফুল


“২০২৬ নির্বাচনে ধানের শীষে বিজয়, তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী”

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৭:৩৪:৪৫
“২০২৬ নির্বাচনে ধানের শীষে বিজয়, তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী”
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দেশনায়ক তারেক রহমান জিয়া পরিবারের উত্তরসূরি হিসেবে বাংলাদেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং জনগণ বিজয়ের মালা পরিয়ে তাকে সেই আসনে বসাবে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক দল যুব কমিটির উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির কার্যালয় মাঠে দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন তার বক্তব্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভূমিকা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া চাইলে তার দুই সন্তান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে নিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে সীমাবদ্ধ থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এরশাদের স্বৈরশাসন, দমননীতি, নির্যাতন ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে রাজপথে নেমে আসেন। সেই সময় তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে শক্তিশালী করেন এবং দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে গতিশীল করেন। তার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই এরশাদ সরকারের পতন দ্রুত ঘটে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বারবার এরশাদের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। ১৯৮৬ সালে তিনি এরশাদের নির্বাচনে যোগ দিলেও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অদম্য নেতৃত্বের কারণে আর অংশগ্রহণ করতে পারেননি। অন্যদিকে, ১৯৯১ সালের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে দেশের জনগণ ভোট দিয়ে খালেদা জিয়াকে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছিল। পরবর্তী সময়ে নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যেও তিনি জনগণের পাশে থেকেছেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়াকে হটানোর জন্য মাইনাস টু ফর্মুলা প্রয়োগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তখন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, অথচ খালেদা জিয়া দেশের মানুষের সঙ্গে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। তার মতে, বিগত ১৬ বছরে দেশে অমানবিক নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মৌলিক অধিকার খর্ব হলেও বিদেশে থেকে তারেক রহমান সংগঠনকে একত্রিত রেখেছেন এবং সারা দেশের ১৬ কোটি মানুষের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাম্প্রতিক জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে সংগঠিত ও উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রেও তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর শ্রমিক দল যুব কমিটির সভাপতি হাসিবুর রহমান বিপ্লব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন ও নির্মাণ শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মিটু ইসলাম। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম এবং বিভাগীয় শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় শ্রমিক দলের সদস্য অপু সিংহ, মহানগর যুব কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হোসেন, সহ-সভাপতি মো. পারভেজ, আজিজ মিয়া, লাকি আক্তার, মো. শহীদুল্লাহ, মো. শাহজান, আব্দুর রহমান, রেজাউল করিম, যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ মাহমুদ বাপ্পি, হাজেরা বেগম তানিয়া, জামাল হোসেন, সহ-সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মো. মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রুবেল, দপ্তর সম্পাদক সোহাগ হোসেন, প্রচার সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আলভী, মহিলা সম্পাদিকা জান্নাতুল ফেরদৌস রুবি, অর্থ সম্পাদক রমজান আলী, ধর্ম সম্পাদক মো. সুমন এবং সদস্য মো. কাশেম প্রমুখ।

-রফিক


দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থায় আস্থা প্রকাশ করলেন জামায়াতের আমির

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১৩:১৬:৪০
দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থায় আস্থা প্রকাশ করলেন জামায়াতের আমির
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখী হওয়ার পথে হাঁটেননি। শুধু অর্থ সাশ্রয় করার জন্য নয়, বরং দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস থেকেই তিনি দেশের অভ্যন্তরে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। তাঁর মতে, এটি বিদেশমুখী মানসিকতার বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ এবং দেশের সক্ষমতার প্রতি আস্থা জাগ্রত করার একটি উদাহরণ।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এক মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয় মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ইব্রাহীমপুর শাখায়। এ সময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব চিকিৎসা-অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, তিনি দেশে থেকে সফলভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং এতে তিনি সন্তুষ্ট। এজন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, দেশের চিকিৎসকরা আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে মানুষের আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশমুখী চিকিৎসার প্রবণতা কমে আসবে।

জামায়াতের তরুণ ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, যদি দলের কেউ নির্বাচিত হয় তবে তারা যেন স্বল্পমূল্যে ফ্ল্যাট কিংবা ট্যাক্সবিহীন গাড়ির মতো ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ না করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা জনসেবার জন্য দায়িত্ব নেবো, কিন্তু ব্যক্তিগত স্বার্থে লিপ্ত হবো না।”

তিনি আরও দাবি করেন, অতীতে জামায়াতের দুজন মন্ত্রী জনগণের কল্যাণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, যা দলীয় নীতি ও আদর্শের প্রতিফলন। শফিকুর রহমান বলেন, “আল্লাহ সবকিছু দেখেন। তাঁকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। যারা এই বিশ্বাসে জীবন পরিচালনা করে, তারা জনগণের সম্পদে কখনো হাত দিতে পারে না।”

-রাফসান

পাঠকের মতামত: