খবর পাঠাতে গিয়ে অনাহারে, গাজার সাংবাদিকদের করুণ বাস্তবতা

বিশ্ব ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৪ ২০:১৩:০৯
খবর পাঠাতে গিয়ে অনাহারে, গাজার সাংবাদিকদের করুণ বাস্তবতা
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত সাহায্য কেন্দ্রগুলোর কাছে শত শত ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যার ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, সংকটে পড়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরাও। খবর সংগ্রহ ও প্রচারে নিয়োজিত এই সাংবাদিকদের অনেকেই এখন নিজেদের ও পরিবারের খাবার জোগাতে পারছেন না। এ নিয়ে যৌথভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে চারটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম—এএফপি, এপি, রয়টার্স ও বিবিসি।

এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, “অনেক মাস ধরে গাজা থেকে খবর জানাচ্ছেন যারা, তারাই এখন দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন। তারা যেসব মানবিক বিপর্যয়ের খবর দিচ্ছেন, এখন নিজেরাও সেই একই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন।”

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই স্বাধীন সাংবাদিকরা গাজার ভেতর থেকে বিশ্বকে তথ্য জানাচ্ছেন। কিন্তু এখন ক্রমাগত খাদ্যসংকটে ভুগছেন তারা ও তাদের পরিবার। যুদ্ধক্ষেত্রে সাংবাদিকরা বরাবরই নানা বিপদে থাকেন, তবে এবার তাদের জন্য নতুন হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে অনাহার।”

গাজায় দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় সাংবাদিকদের ওপর নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো, কারণ ইসরায়েল বিদেশি সংবাদকর্মীদের গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয় না। এ অবস্থায় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে আবারও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের প্রতি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি, যেন সাংবাদিকদের গাজায় প্রবেশ ও সেখান থেকে বের হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। একইসঙ্গে, গাজার মানুষজনের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ পৌঁছানো অত্যন্ত জরুরি।”

স্থানীয় পরিস্থিতি সম্পর্কে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, অপুষ্টির কারণে সেখানে অন্তত ৪৫ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।

মার্চের শুরুতে যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল নতুন করে আক্রমণ শুরু করার পর গাজায় ত্রাণ সরবরাহ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে কিছুটা অবরোধ শিথিল করা হলেও খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি আরও বেড়েছে।

এদিকে, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF) নামে ত্রাণ কার্যক্রম চালু হলেও, বিভিন্ন কেন্দ্রের সামনে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা বহু মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব বলছে, গাজার অন্তত এক-চতুর্থাংশ মানুষ এখন দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতিতে বাস করছেন।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ