আমদানি-রপ্তানিতে আর দেরি নয়, খালাস হবে ৬৫ পণ্য এক ক্লিকে!

চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং আমদানি-রপ্তানি প্রক্রিয়ায় গতি আনতে বেসরকারি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোগুলো (আইসিডি) বা অফ-ডকগুলোর মাধ্যমে খালাসযোগ্য পণ্যের সংখ্যা বাড়িয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন থেকে ৬৫ ধরনের আমদানি পণ্য এসব ডিপোর মাধ্যমে খালাস, আনস্টাফিং ও ডেলিভারির অনুমতি পাবে।
বুধবার (২৩ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানিয়েছে, এর আগে ৩৮টি পণ্যের ক্ষেত্রে এই সুবিধা চালু ছিল। এরপর গত ৮ এপ্রিল নতুন করে ১২টি এবং ১৭ জুলাই আরও ১৫টি পণ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে অফ-ডক ব্যবস্থায় খালাসযোগ্য পণ্যের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫টিতে।
এই সিদ্ধান্তের ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর চাপ কমবে এবং সেখানে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া আরও দ্রুত সম্পন্ন হবে। একইসঙ্গে, চট্টগ্রামে অবস্থিত ১৯টি অনুমোদিত আইসিডি বা অফ-ডক তাদের পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপে বাণিজ্য কার্যক্রমে গতি আসবে এবং দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ, পণ্য খালাসের প্রক্রিয়া দ্রুত ও সাশ্রয়ী হলে রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকদের সময় ও খরচ দুটোই কমবে।
/আশিক
বাণিজ্যযুদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ’, তবে চ্যালেঞ্জ আছে ৫টি
বৈশ্বিক বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ। তার মতে, চীন থেকে আমেরিকার আমদানি সরছে এবং আমেরিকান কোম্পানিগুলো বিকল্প বাজার খুঁজছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় গন্তব্য হতে পারে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, বৈশ্বিক জরিপে দেখা গেছে—৩২ শতাংশ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ‘চায়না প্লাস ওয়ান’ কৌশল গ্রহণ করছে। একইভাবে, ৭২ শতাংশ বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান মনে করে, বাণিজ্য ও উৎপাদন স্থানান্তরের জন্য অ-রাজনৈতিক দেশগুলোই হবে সেরা পছন্দ। এ কারণে বাংলাদেশের সামনে বড় সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে বাংলাদেশকে পাঁচটি বড় দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
যে দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে
মাসরুর রিয়াজ বাংলাদেশের করণীয় তুলে ধরে বলেন, “প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়াতে হবে। বর্তমানে গ্লোবাল কম্পিটেটিভ ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৫, যেখানে ভারত ও ভিয়েতনাম প্রায় ৬০-এর কাছাকাছি।” তিনি আরও বলেন, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন উন্নত করা, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, তৈরি পোশাকের বাইরে বিকল্প খাত তৈরি করা এবং পাবলিক-প্রাইভেট সংলাপে সক্ষমতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাব ও এফবিসিসিআই এর ভূমিকা
মাসরুর রিয়াজ জানান, বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে ২০২৫ সালে বাংলাদেশের বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি প্রত্যাশিত ৩ শতাংশ থেকে কমে ২ শতাংশে নেমে আসবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিকলস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সভাপতি আবদুল হক বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় ৬৫ শতাংশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রনির্ভর, যা দেশের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করছে। তিনি বলেন, “অবকাঠামোগত ঘাটতি, জ্বালানি ও ডলার সংকট এবং নীতিগত অনিশ্চয়তার কারণে বিনিয়োগকারীরা দ্বিধাগ্রস্ত।”
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল্লাহ চৌধুরী বলেন, পূর্ববর্তী সরকারের আমলে এফবিসিসিআই কার্যত অকার্যকর ছিল এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেনি। তিনি বলেন, বর্তমান ব্যবসায়ীদের অবস্থা ‘এতিমের মতো’, কারণ তারা কার কাছে যাবেন, কী করবেন, তা বুঝতে পারছেন না। আবদুল হক বলেন, “ব্যবসায়ীরা হঠাৎ করে পোর্ট চার্জ বাড়ানো ও নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।”
অনুষ্ঠানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান এবং বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
লন্ডনের স্বর্ণবাজারে আসছে ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’, বদলাবে লেনদেন পদ্ধতি
বিশ্বের অন্যতম বড় স্বর্ণবাজার লন্ডনে আসতে যাচ্ছে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। শত শত বছরের প্রচলিত লেনদেন ব্যবস্থাকে বদলে দিয়ে সেখানে এবার চালু করা হচ্ছে ‘ডিজিটাল স্বর্ণ’। এই উদ্যোগের ফলে বিনিয়োগকারীরা সহজেই ছোট অঙ্কের বিনিয়োগ করেও সোনার মালিকানা লাভ করতে পারবেন।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) এই নতুন পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, লন্ডনের সুরক্ষিত ভল্টে রাখা আসল সোনার বারগুলোকে ভিত্তি করে ডিজিটাল টোকেন চালু করা হবে, যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পুলেড গোল্ড ইন্টারেস্ট (পিজিআই)’। এই টোকেনের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রথমবারের মতো ৪০০ আউন্স ওজনের বড় সোনার বারের ভগ্নাংশও কিনতে পারবেন।
ডব্লিউজিসির বাজার কাঠামো ও উদ্ভাবন বিভাগের প্রধান মাইক ওসউইন জানান, এই ডিজিটাল স্বর্ণ শুধু বিনিয়োগের জন্য নয়, জামানত হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে। এতে বাজারে অংশগ্রহণ ও নতুন ব্যবহার অনেক বাড়বে।
বর্তমানে লন্ডনের স্বর্ণবাজারের মূল্য প্রায় ৯৩০ বিলিয়ন ডলার। এতদিন এখানে দুই পদ্ধতিতে লেনদেন হতো: ‘অ্যালোকেটেড গোল্ড’ ও ‘আনঅ্যালোকেটেড গোল্ড’। আনঅ্যালোকেটেড পদ্ধতিতে ঝুঁকি হলো, যে প্রতিষ্ঠানের কাছে সোনা রাখা হয়, সেটি দেউলিয়া হলে বিনিয়োগকারীর দাবি ঝুঁকির মুখে পড়ে। নতুন ডিজিটাল স্বর্ণ এই ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনবে, কারণ টোকেনধারীদের ভল্টে থাকা সোনার আইনি মালিকানা নিশ্চিত করা হবে।
তবে এই পদক্ষেপ নিয়ে সবার মধ্যে একমত নেই। বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান এজে বেলের পরিচালক রাস মোল্ড মনে করেন, প্রকৃত স্বর্ণপ্রেমীরা ডিজিটাল স্বর্ণে আগ্রহী হবেন না। তাদের কাছে সোনার মূল আকর্ষণ হলো এর বাস্তব প্রকৃতি, যা অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে কাজ করে। তবুও বিশ্লেষকদের মতে, প্রযুক্তির এই সংযোজন ভবিষ্যতের স্বর্ণবাজারকে আরও স্বচ্ছ, সহজ ও বহুমাত্রিক করে তুলবে। প্রথম ধাপে লন্ডনকেন্দ্রিক হলেও, এই উদ্যোগ একসময় যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্যান্য বাজারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সিএনবিসি
বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হারে অস্থিরতা
আজ শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোতে প্রকাশিত নতুন বিনিময় হারে দেখা গেছে আন্তর্জাতিক বাজারের ওঠানামার প্রভাব সরাসরি টাকার বিপরীতে বিভিন্ন বিদেশি মুদ্রার মূল্যে প্রতিফলিত হয়েছে। বিশেষ করে, মার্কিন ডলার, ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ইউরোর মতো প্রধান আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান কিছুটা দুর্বল হয়েছে, যদিও কয়েকটি এশীয় মুদ্রা ও মধ্যপ্রাচ্যের রিয়াল তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে।
প্রধান মুদ্রার অবস্থা
মার্কিন ডলার (USD): ৪ সেপ্টেম্বর প্রতি ডলার ১২১.৬৫ টাকা থাকলেও ৫ সেপ্টেম্বর তা কমে দাঁড়িয়েছে ১২১.৬২ টাকায়। অর্থাৎ, টাকার বিপরীতে ডলারের মান ৩ পয়সা কমেছে।
ব্রিটিশ পাউন্ড (GBP): গতকাল ১৬৪.৬০ টাকা থাকলেও আজ তা ১৬৩.৪১ টাকায় নেমে এসেছে। একদিনে ১ টাকা ১৯ পয়সা দরপতন হয়েছে, যা তুলনামূলক বড় পতন।
ইউরো (EUR): এক দিনে ৫৪ পয়সা কমে প্রতি ইউরো ১৪২.৩২ টাকা থেকে নেমে দাঁড়িয়েছে ১৪১.৭৮ টাকায়।
মধ্যপ্রাচ্যের মুদ্রা
সৌদি রিয়াল (SAR): সামান্য দরপতন, ৩২.৪৪ টাকা থেকে কমে ৩২.৪৩ টাকা।
দুবাই দিরহাম (AED): কোনো পরিবর্তন হয়নি, প্রতি দিরহাম ৩৩.১২ টাকায় অপরিবর্তিত।
কুয়েতি দিনার (KWD): ১৯ পয়সা কমে ৩৯৭.৭৫ টাকায় নেমে এসেছে।
কাতারি রিয়াল (QAR): সামান্য দরপতন, ৩৩.৪২ টাকা থেকে নেমে ৩৩.৪১ টাকা।
ওমানি রিয়াল (OMR): ৩ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৬.০৬ টাকায়।
বাহরাইন দিনার (BHD): ৩ পয়সা কমে ৩২৩.৫১ টাকায় নেমেছে।
এশিয়ার অন্যান্য মুদ্রা
ভারতীয় রুপি (INR): ১ পয়সা বেড়ে ১.৩৮ টাকায় পৌঁছেছে।
চাইনিজ রেন্মিন্বি (RMB): ১৭.০২ টাকা থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৭.০৩ টাকা।
মালয়েশিয়ান রিংগিত (MYR): ২ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২৮.৭৮ টাকায়।
সিঙ্গাপুর ডলার (SGD): ২১ পয়সা কমে ৯৪.৪৩ টাকায় নেমেছে।
ব্রুনাই ডলার (BND): ২২ পয়সা দরপতন হয়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪.৪২ টাকা।
জাপানি ইয়েন (JPY): প্রতি ইয়েন ০.৮২ টাকায় অপরিবর্তিত।
দক্ষিণ কোরিয়ান ওন (KRW): ০.০৮ টাকায় অপরিবর্তিত।
অন্যান্য মুদ্রা
কানাডিয়ান ডলার (CAD): একদিনে ৩৩ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৮.১২ টাকায়।
অস্ট্রেলিয়ান ডলার (AUD): ১০ পয়সা কমে এখন ৭৯.৫১ টাকা।
দক্ষিণ আফ্রিকান রেন্ড (ZAR): ২ পয়সা কমে ৬.৮৭ টাকা।
লিবিয়ান দিনার (LYD): ৪ পয়সা কমে ২২.৪৪ টাকা।
মালদ্বীপ রুপিয়া (MVR): ১ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৭.৮৭ টাকা।
তুর্কি লিরা (TRY): ২.৯৫ টাকায় অপরিবর্তিত।
ইরাকি দিনার (IQD): অপরিবর্তিত থেকে যাচ্ছে ০.০৯ টাকায়।
উদ্যোক্তাদের জন্য ৫৪ লাখ টাকার পুরস্কার
বাংলাদেশে পরিবেশ সুরক্ষায় প্লাস্টিক ব্যবহারের প্রবণতা কমাতে উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শুরু হলো এক অনন্য প্রতিযোগিতা। যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমই ফাউন্ডেশন) ও জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো), বাংলাদেশ। এ কর্মসূচিকে সহযোগিতা করছে নরওয়ে দূতাবাস।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উদ্যোক্তারা প্লাস্টিক ব্যবহারের বিকল্প বা টেকসই সমাধান ভিত্তিক ব্যবসায়িক ধারণা উপস্থাপন করতে পারবেন। প্রতিটি নির্বাচিত উদ্যোক্তা প্রাথমিকভাবে এক লাখ টাকা করে পুরস্কার পাবেন। মোট ৫৪ লাখ টাকা পুরস্কার হিসেবে উদ্যোক্তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে, যা উদ্ভাবনী চিন্তা এবং কার্যকর ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উৎসাহ জোগাবে।
গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবনে এসএমই ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপে সারাদেশ থেকে প্রাপ্ত আবেদন যাচাই করে নারী উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, গবেষক, এনজিও এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতের কর্মীদের বিশেষভাবে অগ্রাধিকার দিয়ে ২৫ জনকে নির্বাচিত করা হবে। নির্বাচিত প্রত্যেকে পাবেন এক লাখ টাকা করে।
এরপর ওই ২৫ জন উদ্যোক্তাকে মেন্টরশিপ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে তারা নিজেদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা উপস্থাপন করবেন একটি বিশেষ জুরি বোর্ডের সামনে, যেখানে অর্থ, পরিকল্পনা, শিল্প, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়সহ এসএমই ফাউন্ডেশন ও ইউনিডোর প্রতিনিধি থাকবেন। এই ধাপ থেকে ৭ জন উদ্যোক্তাকে বাছাই করে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে দুই লাখ টাকা করে। পরবর্তী ধাপে উন্নত প্রশিক্ষণ শেষে সর্বশেষে নির্বাচিত পাঁচজন উদ্যোক্তা পাবেন তিন লাখ টাকা করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মুসফিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ ক্রমাগত বাড়ছে এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষতার ঘাটতি থাকায় দূষণ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তিনি বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে উল্লেখ করেন, দেশে বছরে প্রায় ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হলেও এর মাত্র ৩১ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়। শুধু রাজধানী ঢাকাতেই প্রতিদিন উৎপন্ন হয় সারাদেশের ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য, যার পরিমাণ ৬৪৬ টন। এর মধ্যে পুনর্ব্যবহার হয় মাত্র ৩৭ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, জাতীয় কর্মপরিকল্পনায় ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিক ব্যবহারের পরিমাণ অর্ধেকে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতা সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।
সভাপতির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তর করার অভিযাত্রায় এসএমই ফাউন্ডেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটকের ভূমিকা পালন করছে। উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি টেকসই শিল্পায়নে অবদান রাখছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সৈয়দ শাহজাহান আহমেদ, জাতীয় প্রকল্প পরিচালক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ইউনিডো বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. জাকিউজ্জামান এবং বিশেষজ্ঞ মো. মাহবুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য দেন এসএমই ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিম হাসান সাত্তার।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা খান, মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আব্দুস সালাম সরদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
-রাফসান
ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচের দামে লাগাম টানতে নতুন সুপারিশ
ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে গেলে তা আমদানির অনুমতি দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। একইসঙ্গে আমদানির ওপর সব ধরনের শুল্ক ও কর ছাড় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই সুপারিশ জানিয়ে বাণিজ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছিল, দাম ডজনপ্রতি ১৫০ টাকাও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৪০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে।
পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ আমদানিতে শুল্ক ছাড়ের সুপারিশ
শুধু ডিম নয়, পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ৯০ টাকা পেরোলে একই ধরনের পদক্ষেপ অর্থাৎ আমদানি উন্মুক্ত করা এবং শুল্ক-কর ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে। ট্যারিফ কমিশন জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৪৪ লাখ ৪৮ হাজার ৭০০ টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। আমদানি উন্মুক্ত করার পর পেঁয়াজের মূল্য ও সরবরাহ এখন স্থিতিশীল আছে।
একইভাবে, কাঁচামরিচের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২২০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাঁচামরিচ আমদানিতে আরোপিত ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে ট্যারিফ কমিশন। এছাড়া, কাঁচামরিচ আমদানির সময় শুল্কায়নযোগ্য মূল্যের পরিবর্তে প্রকৃত বিনিময় মূল্যে শুল্কায়নের সুপারিশও করা হয়েছে।
সবজির বাজার স্থিতিশীল রাখার তাগিদ
ট্যারিফ কমিশন সবজির বাজার স্থিতিশীল রাখতেও বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। সংস্থাটি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে। তারা সুপারিশ করেছে, সবজির উৎপাদন মূল্য থেকে শুরু করে খুচরা মূল্য পর্যন্ত পুরো সরবরাহ শৃঙ্খল যেন কঠোরভাবে তদারকি করা হয়।
ইতিহাসে সর্বোচ্চ: বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আবারো বাড়লো
বাংলাদেশের বাজারে আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ৪৪ টাকা বেড়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে স্বর্ণের সর্বোচ্চ দাম।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম বাড়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) থেকে এই নতুন দাম কার্যকর হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বাজুসের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটির বৈঠকে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ড. ইউনূসের নতুন ভিশন: সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে বাংলাদেশের মহাসড়ক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, আমাদের একটি ‘ব্লু ইকোনমি’ বা সমুদ্র অর্থনীতি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি মনে করেন, মহেশখালী ও মাতারবাড়ী এলাকাটি কেবল একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র হবে না, বরং সেখান থেকে একটি নতুন শহরের জন্ম হবে এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের সংযোগ তৈরি হবে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় নবগঠিত ‘মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা)’ সদস্যদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা বা ফাইন্ডিংস নেই। এর সম্পর্কিত কী কী গবেষণা আছে, অন্য দেশের গবেষণাপত্র যেটা আমাদের সঙ্গেও মিলবে, সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা করতে হবে।” তিনি মহেশখালী অঞ্চলে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন এবং প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন।
মিডার পরিকল্পনা ও কর্মসংস্থান
বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুণ মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন এবং আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, প্রকল্পটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে—প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং দেশের জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।
ড. ইউনূস এই বিশাল প্রকল্পের পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণের ওপরও জোর দেন এবং ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার বিষয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “সেখানকার বনভূমি এখন কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা সেগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই—সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।”
/আশিক
মাতারবাড়ী-মহেশখালী হবে বাংলাদেশের সিঙ্গাপুর: আশিক চৌধুরী
আগামী ৩০ বছরের মধ্যে মাতারবাড়ী ও মহেশখালীকে চীনের সাংহাই বা সিঙ্গাপুরের মতো উন্নতমানের বন্দর এবং বাণিজ্যিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত করতে চায় সরকার। এর মাধ্যমে প্রায় ২৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সভাপতি।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এই কথা বলেন।
বিডার নির্বাহী সভাপতি জানান, এই বিশাল প্রকল্পের প্রশাসনিক কার্যক্রম আগামী ১২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এমআইডিএ) এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ৩৩ হাজার একর আয়তনের জমিতে এই উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হবে। পুরো কাজটি তিনটি ধাপে সম্পন্ন হবে: প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং চূড়ান্ত ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত।
/আশিক
স্টার্ট-আপের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল
বাংলাদেশে উদ্ভাবনী ব্যবসা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে এগিয়ে নিতে স্টার্ট-আপ উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ পুনঃঅর্থায়ন তহবিল চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাঁচশো কোটি টাকার এই তহবিল থেকে উদ্যোক্তারা সর্বোচ্চ চার শতাংশ সুদ বা মুনাফায় ঋণ গ্রহণ করতে পারবেন, যা উদ্যোক্তাদের জন্য তুলনামূলকভাবে একটি স্বল্পসুদী সুযোগ তৈরি করবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এ সংক্রান্ত অংশগ্রহণ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৬টি তফসিলি ব্যাংক এবং ৪টি নন-ব্যাংক ফাইন্যান্স কোম্পানি যুক্ত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান অংশীদার ব্যাংক ও ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের এসএমই বিভাগের প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।
ঋণের সীমা ও শর্তাবলি
নতুন সার্কুলার অনুযায়ী, উদ্যোক্তারা এখন থেকে সর্বনিম্ন ২ কোটি টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৮ কোটি টাকা পর্যন্ত মেয়াদি বা চলতি মূলধন ঋণ/বিনিয়োগ নিতে পারবেন। এর ফলে উদ্যোক্তারা তাঁদের ব্যবসার প্রাথমিক পর্যায় থেকে সম্প্রসারণ পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পাওয়ার সুযোগ পাবেন।
নতুন উদ্যোগ ও অংশীদারত্ব
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ৫২টি অংশীদার ব্যাংকের সমন্বয়ে একটি ইক্যুইটি বিনিয়োগ কোম্পানি গঠনের বিষয়েও আলোচনা চলছে। এই কোম্পানি গঠিত হলে উদ্যোক্তারা ঋণের পাশাপাশি শেয়ারভিত্তিক অর্থায়নও পেতে সক্ষম হবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রত্যাশা
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উদ্ভাবনী ব্যবসা উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব বৃদ্ধিতে স্টার্ট-আপ খাতের সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। নতুন এই উদ্যোগ উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন প্রাপ্তিকে আরও সহজ করবে এবং দেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমের টেকসই বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
-শরিফুল
পাঠকের মতামত:
- ডিএসই’র বাজার প্রতিবেদন: এক নজরে আজকের লেনদেন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ইসরায়েলে বাসে হামলা: হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে, চলছে ব্যাপক অভিযান
- সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপির বিজয় ঠেকানো যাবে না: রুমিন ফারহানা
- সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খান গ্রেপ্তার
- বাণিজ্যযুদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ’, তবে চ্যালেঞ্জ আছে ৫টি
- দুর্গাপূজা নিরাপত্তা নিয়ে কড়া বার্তা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
- “একদিনও মাথা নত করেননি”-খালেদা জিয়াকে নিয়ে ফখরুল
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে টেকসই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনব: মির্জা ফখরুল
- যুক্তরাজ্যের প্রথম মুসলিম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে এই শাবানা মাহমুদ
- ‘প্রতিযোগিতা বাড়িয়েই উন্নত হবে সেবা’—উপদেষ্টা এস কে বশির
- ইউএস ওপেনে নতুন সম্রাটের দাপট: আলকারাজের দ্বিতীয় শিরোপা
- বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের রঙিন রাত: স্পেনের দাপট, জার্মানির জয়, ডিপাইয়ের ইতিহাস
- গুপ্ত রাজনীতি আর সন্ত্রাস নয়: উমামা ফাতেমা
- ভিত্তিহীন তথ্য ছড়িয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্টের চেষ্টা: সেনাবাহিনী
- কক্সবাজার সৈকতে ক্রিকেটার মুশফিকুরের ভাতিজার মর্মান্তিক মৃত্যু
- শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের সামনে এক অমীমাংসিত সংকট
- হাঁটার জাদু: সপ্তাহে পাঁচ দিনেই দূরে রাখুন হৃদরোগ ও চাপ
- রাশিয়ার নজিরবিহীন হামলার পর নতুন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
- কপ-৩০ ঘিরে ব্রাজিলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার অঙ্গীকার বাংলাদেশের
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথে নতুন রূপরেখা চূড়ান্ত
- রঙিন প্রচারণায় বর্ণিল ডাকসু—ভোট মঙ্গলবার
- আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি চোরে চোরে মাসতুতো ভাই: সারজিস আলম
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল
- হামাসকে আত্মসমর্পণের আহ্বান ইসরায়েলের
- হোন্ডা-গুন্ডার রাজনীতি আর চলবে না: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- জুলাই যোদ্ধাদের পুনর্বাসন ও মাসিক ভাতা দেওয়া হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা
- চার দফা দাবিতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে গ্রাহক
- সুস্থ ফুসফুসের জন্য যে ৫ খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি
- চবিতে চতুর্মুখী আন্দোলন, উত্তাল ক্যাম্পাস
- শান্তির পুরস্কার চাইছেন, অথচ ঝামেলা পাকাচ্ছেন’ সালমানের খোঁচা ট্রাম্পকে
- ভিপি পদে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ছাত্রদল মনোনীত প্রার্থী আবিদুল
- বিবিএসের প্রতিবেদন: ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতি
- কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান
- ওসমান হাদির নামে ভিন্ন যুগলের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ফুটেজ ভাইরাল
- আওয়ামী লীগ নেতারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়নি: বদরুদ্দীন উমরের বিস্ফোরক মন্তব্য
- সামনে যাকে পাচ্ছে তাকেই কামড়াচ্ছে পাগলা ঘোড়া
- নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না কোনো শক্তি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব
- রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে নতুন মোড়: বাফার জোনের নিরাপত্তার দায়িত্বে কি বাংলাদেশ?
- ডাকসু নির্বাচন: শেষ দিনের প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থী ও সমর্থকরা
- পঞ্চগড়ের সফল মানুষ সারজিস আলম হয়ে যায়: জয়
- অবসরের পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র মাতাবেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
- গণতন্ত্রের জন্য জবাবদিহিমূলক গণমাধ্যম অপরিহার্য: রিজওয়ানা হাসান
- ইলিশের বাজারে আগুন: দুই বছরে চাঁদপুরে দাম বেড়েছে দ্বিগুণ
- ঢালিউডে শাকিব খানের ছবিতে আসছেন ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার ডিওপি
- ডিএসই’র বাজার প্রতিবেদন: এক নজরে আজকের লেনদেন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ইউক্রেনের মন্ত্রিসভার ভবনে রাশিয়ার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ডিএসই–৩০ সূচকের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর লেনদেনের চিত্র
- ০১ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ১ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- শেয়ারবাজারে ফিরল স্বস্তি, শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গোয়ালন্দে কবর অবমাননার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা
- নোয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুরের অবৈধ সম্পদের পাহাড়
- “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”
- দেড় বছর পর ঢাকায় স্থায়ী রাষ্ট্রদূত পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ০২ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের আজকের লেনদেন: বাজারের সামগ্রিক বিশ্লেষণ