২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি: কোটা নীতিমালায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

শিক্ষা ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২৪ ১৯:৫৭:৩২
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি: কোটা নীতিমালায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
ছবি: সংগৃহীত

চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির চূড়ান্ত নীতিমালা প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালা অনুযায়ী, ভর্তির জন্য আবেদন, নির্বাচন, নিশ্চয়ন এবং শেষে চূড়ান্ত ভর্তি—এই ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

এবারও ভর্তিতে ৭ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর বা সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানের জন্য সংরক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা শুধু তাঁদের ছেলে-মেয়েরা পাবেন, নাতি-নাতনিরা এই কোটার আওতায় আসবে না।

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্য প্রার্থী না থাকলে সেই আসন ফাঁকা না রেখে মেধা তালিকা অনুযায়ী অন্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি করাতে হবে। একইভাবে, পোষ্য কোটায়ও প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলে তাদের মধ্য থেকে মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করতে হবে। পোষ্য কোটার জন্য নির্ধারিত দপ্তর থেকে প্রমাণপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

অন্যদিকে, জুলাই মাসের শিক্ষার্থী আন্দোলনে আহত ও হতাহতদের পরিবারের জন্য প্রস্তাবিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোটা’ নীতিমালায় রাখা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে শিক্ষা বোর্ডের প্রস্তাবিত খসড়ার ওপর ভিত্তি করে আলোচনা শেষে তা বাদ দেওয়া হয়।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ৯৩ শতাংশ আসন উন্মুক্ত থাকবে এবং তা মেধার ভিত্তিতে ভর্তি নিশ্চিত করা হবে। তবে মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের প্রতিষ্ঠানগুলোতে পোষ্য কোটার আওতায় ২ শতাংশ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে, যদি তারা ন্যূনতম যোগ্যতা অর্জন করে।

মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত গেজেট বা সনদপত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে এবং ভর্তি চলাকালে মূল কপি দেখাতে হবে। সব ধরনের যাচাই-বাছাই শেষে কোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব বলেন, "প্রাথমিক খসড়া তৈরির সময় শিক্ষা বোর্ড কিছু সুপারিশ করেছিল। পরে সেসব বিষয়ে যুক্তিসঙ্গত আলোচনা করে চূড়ান্ত নীতিমালা করা হয়েছে, যেন ভবিষ্যতে কোনো বিতর্ক না হয়।"

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ