২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: সুপ্রিম কোর্টে বড় লড়াই মঙ্গলবার

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী মঙ্গলবার (২৭ মে)। সোমবার (২৬ মে) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই দিন নির্ধারণ করেন।
এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্যান্য আসামিকে হাইকোর্ট খালাস প্রদান করে। গত বছরের ১ ডিসেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আলোচিত রায় দেন, যা পরে ১৯ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রকাশিত হয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিলের অনুমতির আবেদন জানায়। চলতি বছরের ১৩ মার্চ আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠায়। শুনানির প্রথম দিন ১৫ মে হলেও সেটি মুলতবি করে আজকের দিনে স্থানান্তর করা হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় দলের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন এবং আহত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাসহ শতাধিক নেতা-কর্মী। এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম ঘৃণিত ও সংগঠিত সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার একটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এই মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ মোট ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন। আরও ১১ জন সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
প্রাথমিকভাবে মামলার অভিযোগপত্রে ২২ জনকে আসামি করা হলেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই তদন্ত শেষে আরও ৩০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ফলে আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫২ জনে। তবে এই ৫২ জনের মধ্যে তিনজনের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এখন কার্যত আসামি ৪৯ জন।
এই মামলার হাইকোর্টের রায়ে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসে। যেমন, অপরাধ সংঘটনের প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও হাইকোর্ট কিছু আসামিকে খালাস দিয়েছেন যা রাষ্ট্রপক্ষ "বিচারিক বিচ্যুতি" হিসেবে উল্লেখ করেছে। এখন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সামনে সেই রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এই মামলাটি শুধু একটি সন্ত্রাসী হামলার বিচার নয়, বরং দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় গভীর প্রভাব ফেলে আসছে। আওয়ামী লীগ সরকারের দাবি অনুযায়ী, এটি ছিল একটি ‘রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট হত্যাকাণ্ড’। অন্যদিকে, বিএনপি বরাবরই এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ বলে আখ্যায়িত করে আসছে।
মঙ্গলবারের শুনানির মধ্য দিয়ে এই বহুল আলোচিত মামলার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে। রাষ্ট্রপক্ষ যদি আপিলের অনুমতি পায়, তবে মামলাটি পূর্ণাঙ্গভাবে আপিল বিভাগে শুনানি হবে এবং উচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চূড়ান্ত রায় আসবে যা দেশের আইনি ও রাজনৈতিক ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারে।
-ইসরাত, নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে আর জিডি করতে হবে না: ইসি
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) হারানোর ক্ষেত্রে আর জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করতে হবে না বলে আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসির এনআইডি উইংয়ের সহকারী পরিচালক (ভ্যালিড অ্যান্ড ভেরিফাই) মোহাম্মদ সরওয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি মঙ্গলবার জারি করা হয়। এতে বলা হয়, প্রথম এনআইডি হারালে দ্বিতীয় এনআইডি পেতে জিডি জমা দেওয়ার শর্ত আর থাকছে না। এই সিদ্ধান্তের ফলে নাগরিকদের জন্য এনআইডি সেবা হবে আরও সহজ ও ঝামেলামুক্ত।
এনআইডি সংশোধন ক্র্যাশ প্রোগ্রামের আওতায় চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৯ লাখ ৭ হাজার ৬৬২টি সংশোধন আবেদন নিষ্পত্তি করেছে ইসি। একই সময়ে মোট ৯ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫৬টি আবেদন জমা পড়েছিল।
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এই উদ্যোগ নাগরিকদের এনআইডি সংশোধন সংক্রান্ত ভোগান্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে এবং সেবার গতি ও মান বাড়িয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই নতুন নীতি নাগরিকদের দ্রুত এনআইডি পুনঃপ্রাপ্তি নিশ্চিত করবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিডি বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়ায় এনআইডি হারানোর পর নাগরিকদের সময় ও খরচ দুটোই বাঁচবে। তাছাড়া, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় সেবা গ্রহণকারীর সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
-নাজমুল হোসেন
কর ফাঁকি তদন্তে শেখ হাসিনার ব্যাংক লকার সিলগালা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনস্থ সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) আজ রাজধানীর মতিঝিল একটি শাখায় বহিষ্কৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে থাকা একটি ব্যাংক লকার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
সকালে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সিআইসি এ অভিযান চালায় বলে নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে লকারটি উন্মুক্ত করা হবে।
এনবিআরের এই পদক্ষেপ এসেছে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগে শুরু হওয়া বিস্তৃত তদন্তের অংশ হিসেবে। গণঅভ্যুত্থানের পর তিনি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই কর কর্তৃপক্ষ তার আর্থিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে।
ইতোমধ্যে এনবিআর শেখ হাসিনার ব্যাংক হিসাবগুলোও ফ্রিজ করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর ফাঁকির পাশাপাশি সম্পদের উৎস সম্পর্কেও তদন্ত চলছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে, কারণ এটি উচ্চপর্যায়ের আর্থিক জবাবদিহির নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, তদন্তের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রতিটি ধাপ বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে সম্পন্ন করা হচ্ছে। কর ফাঁকি ও অঘোষিত সম্পদ উদ্ধারের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় রাজস্ব আহরণ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই এর মূল লক্ষ্য।
-সুত্রঃবি এস এস
কাপ্তাই বাঁধে ১৬ গেট খোলা: কর্ণফুলীতে তীব্র পানি প্রবাহ
কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত পানি ছাড়তে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে গেট একযোগে খুলে দিয়েছে। ফলে বিপুল পরিমাণ পানি এখন কর্ণফুলি নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে এবং এর প্রভাবে রাঙামাটি শহর ও আশপাশের নিম্নাঞ্চল ইতোমধ্যেই প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান জানান, বুধবার ভোররাত ৩টায় প্রতিটি গেট সাড়ে তিন ফুট উঁচু করে খোলা হয়। বর্তমানে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬৩ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল ৮টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয় ১০৮ দশমিক ৯০ ফুট মীন সি লেভেল (এমএসএল)। অথচ হ্রদের সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল। পানির স্তর যাতে বিপদসীমা অতিক্রম না করে, সেজন্যই গেটগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবাহ আরও বাড়লে পানির নিষ্কাশনের মাত্রাও সমন্বয় করা হবে।
এদিকে, বাড়তি পানির প্রবাহে রাঙামাটি শহরের বেশ কয়েকটি নিচু এলাকা এবং আশপাশের উপজেলাগুলো আংশিকভাবে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হ্রদের পানি বাড়তে থাকায় অনেক পরিবার ঘরবাড়ি ও জমিজমা ডুবে যাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্ষা মৌসুমে হঠাৎ পাহাড়ি ঢল নামলে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা দ্রুত বেড়ে যায়। এ সময় বাঁধের নিরাপত্তা রক্ষায় ও নিচের দিকে নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্পিলওয়ে গেট খোলা ছাড়া বিকল্প থাকে না। তবে অতিরিক্ত পানি প্রবাহে পার্বত্য চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।
-সুত্রঃ বি এস এস
মহেশখালী-মাতারবাড়ি: পর্যটন ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল মহেশখালী ও মাতারবাড়ি শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য নয়, বরং শিল্প ও পর্যটনের সম্ভাবনা নিয়েও দ্রুত আলোচনায় আসছে। সরকার ইতিমধ্যেই দ্বীপাঞ্চলটির উন্নয়নে একটি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যার মাধ্যমে মহেশখালীকে দেশের পরবর্তী শিল্পকেন্দ্র ও ইকো-ট্যুরিজম হাবে রূপান্তরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই পরিকল্পনায় শুধু শিল্পায়ন নয়, বরং পরিবেশ সংরক্ষণকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইকো-ট্যুরিজম পার্ক, সংরক্ষণ এলাকা ও সবুজ করিডর গড়ে তোলা হবে, যাতে একদিকে পর্যটন বাড়ে, অন্যদিকে স্থানীয় জনগণের জন্য টেকসই কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। সম্প্রতি মহেশখালী ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (মিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এ পরিকল্পনা প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুসের কাছে উপস্থাপন করেছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, মাতারবাড়ির সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ ভিড় করছেন। কেউ গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্প এলাকায় ঘুরতে যাচ্ছেন, কেউ বিদ্যুৎকেন্দ্রের চারপাশের দৃশ্য উপভোগ করছেন, আবার অনেকে বিকেলে শুধু সমুদ্রের সৌন্দর্য দেখতে আসেন। স্থানীয় বাসিন্দা সানাউল্লাহ মুস্তাফা জানান, সরকারিভাবে পর্যটন জোন তৈরি হলে মাতারবাড়ি দ্রুত জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠবে।
অন্যদিকে, মহেশখালীর বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম মনে করেন, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শুধু পর্যটনই নয়, বরং স্থানীয়দের জন্য বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তার মতে, কক্সবাজারের মতো প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক পর্যটক মহেশখালী-মাতারবাড়ি ভ্রমণে আসবেন। বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে এক থেকে দেড় হাজার পর্যটক মহেশখালী ভ্রমণে আসেন, যা পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বহুগুণে বাড়বে।
সরকারের ধারণা, এ উদ্যোগ সফল হলে কক্সবাজারের পর্যটন খাত অন্তত ১.৫ গুণ বৃদ্ধি পাবে। নতুন হোটেল-রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, পরিবহন ও গাইডিং সেবা চালু হলে কর্মসংস্থানও বাড়বে বহুগুণ।
ঢাকায় মিডার সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, ইকো-ট্যুরিজমের পাশাপাশি বনায়ন কার্যক্রমকেও গুরুত্ব দিতে হবে। “আমাদের পরিকল্পনা করতে হবে—ভবিষ্যতে কেমন বন চাই,” তিনি মন্তব্য করেন।
প্রকল্পটি তিন ধাপে বাস্তবায়িত হবে: ২০২৫ থেকে ২০৩০, ২০৩০ থেকে ২০৪৫ এবং ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ সাল পর্যন্ত। ইতিমধ্যে মিডার ১২০ দিনের কর্মপরিকল্পনা শুরু হয়ে গেছে, আর পুরো মাস্টারপ্ল্যান ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ প্রস্তুত হওয়ার কথা।
স্থানীয় রিকশাচালক আব্দুর রহিম বলেন, প্রতিদিন মহেশখালী ঘাট থেকে তিনি প্রায় হাজারখানেক পর্যটক বহন করেন। তার আশা, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আয় ও কাজের সুযোগ আরও বাড়বে।
সব মিলিয়ে মহেশখালী-মাতারবাড়ি কেবল শিল্প ও অবকাঠামো নয়, বরং পর্যটন ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মিলনস্থল হিসেবে গড়ে উঠতে যাচ্ছে। এ পরিকল্পনা সফল হলে বাংলাদেশের উপকূলীয় অর্থনীতি নতুন গতি পাবে।
-এম জামান
ইইউ সংলাপ: ঢাকার অগ্রাধিকার বাণিজ্য, ইউরোপের নজর অনিয়মিত অভিবাসনে
বাংলাদেশে অভিবাসন ইস্যু নিয়ে নিয়মিত সংলাপে অংশ নিতে ইউরোপীয় কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় পৌঁছেছে। এ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মাইকেল শটার, যিনি ইউরোপীয় কমিশনের মাইগ্রেশন অ্যান্ড অ্যাসাইলাম বিভাগের পরিচালক।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এ সংলাপে বাংলাদেশ পক্ষ মূলত বাণিজ্য বিষয়ক এজেন্ডা জোরালোভাবে তুলে ধরবে, অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বেশি গুরুত্ব দেবে অনিয়মিত অভিবাসন ও এর প্রতিকূল দিকগুলোতে। প্রতিনিধি দল আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে।
এদিকে, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার উপকমিটির (ডিআরওআই) চেয়ারম্যান মুনির সাতৌরির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি পৃথক প্রতিনিধি দল আগামী ১৫ থেকে ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সফর করবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, সফরকালে তারা প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস, পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, এবং ন্যাশনাল কনসেনসাস কমিশনের ভাইস-চেয়ার প্রফেসর আলী রিয়াজের সঙ্গে বৈঠক করবেন। একই সঙ্গে তারা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি (এনসিপি)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।
প্রতিনিধি দল কক্সবাজারও সফর করবে, যেখানে তারা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে মতবিনিময় করবে এবং রোহিঙ্গা শিবিরের পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করবে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ও এর মানবাধিকার উপকমিটি বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার সুরক্ষা, উন্নয়ন এবং প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে এ সফর শুধু কূটনৈতিক সংলাপ নয়, বরং মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের প্রশ্নেও তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
-সুত্রঃ বি এস এস
খুনের পরিসংখ্যানে বৃদ্ধি: দেরিতে দায়ের হওয়া মামলার প্রতিফলন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ১৩ মাসের অপরাধের চিত্র আজ প্রকাশ করেছে সরকার। এতে দেখা গেছে, এ সময়ে খুনের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি মনে হলেও এর বড় অংশ আসলে পূর্ববর্তী ১৬ বছরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড, যেগুলোর মামলা ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের’ পর দায়ের করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তত ১,১৩০টি খুনের মামলা, যা শেখ হাসিনার শাসনামলে সংঘটিত হয়েছিল, সেগুলো দীর্ঘদিন গোপন রাখা হয় এবং পুলিশের নিরুৎসাহের কারণে মামলা করা যায়নি। কিন্তু শাসন পরিবর্তনের পর এসব মামলা আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে নথিভুক্ত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৫ সালের অপরাধের বিভিন্ন সূচক কিছুটা উঁচু মনে হলেও এটি নতুন কোনো সহিংসতার ঢেউ নয়; বরং দেরিতে বিচারপ্রাপ্তির প্রক্রিয়া। এখন সাধারণ নাগরিকরা রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের ভয়ে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন না, ফলে তারা অপরাধের মামলা করতে পারছেন নির্ভয়ে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডাকাতির ঘটনা ২০২৪ সালের ১,৪০৫ থেকে ২০২৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ১,৩১৪-তে। তবে ২০২৩ সালের আগের সময়ের তুলনায় এটি এখনো বেশি। এ ক্ষেত্রে ইতিবাচক দিক হলো—পুলিশি হস্তক্ষেপমুক্ত পরিবেশে এখন সব ডাকাতির মামলা নিবন্ধিত হচ্ছে এবং নাগরিকরা আরও বেশি সচেতন হয়ে অভিযোগ জানাচ্ছেন।
এছাড়া, দ্রুত বিচার আইনে অপরাধের মামলা ২০২৪ সালের ১,২২৬ থেকে ২০২৫ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৬৫১-এ। একই সময়ে দাঙ্গা মামলার সংখ্যা ১২৫ থেকে কমে ৫৯-এ এবং চুরির মামলা ৮,৬৫২ থেকে নেমে এসেছে ৬,৩৫৪-এ।
প্রকাশিত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “যদিও খুনের সংখ্যা বেশি মনে হচ্ছে, বাস্তবে এটি নতুন সহিংসতা নয়, বরং পূর্বের দমন করা মামলার প্রকাশ।” অনেক হত্যাকাণ্ডের মামলা এমনকি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পুরোনো সময়ের।
সরকারের দাবি, এখন ভুক্তভোগীরা রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের ভয়ে ভয় পাচ্ছেন না। পুলিশও আর মামলা নিতে বাধা দিচ্ছে না। ফলে খুনের মতো গুরুতর অপরাধের তথ্য সামনে আসছে, আবার সাধারণ অপরাধ যেমন চুরি, ডাকাতি ও দাঙ্গার ঘটনা কমছে।
এভাবে অপরাধের চিত্র নতুন বাস্তবতাকে তুলে ধরছে—একদিকে দেরিতে হলেও ন্যায়বিচারের পথ উন্মুক্ত হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির ইঙ্গিত দিচ্ছে।
-সুত্রঃবি এস এস
নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
নেপালে ব্যাপক অস্থিরতা ও সহিংস বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে কাঠমান্ডুস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সকল বাংলাদেশি নাগরিককে ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে। দূতাবাসের জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে নেপালে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের হোটেল বা বর্তমান আবাসস্থল থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এ মুহূর্তে নেপালে ভ্রমণ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশি নাগরিকদের জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগের জন্য দুটি হেল্পলাইন নম্বর চালু রাখা হয়েছে—সাদেক (+৯৭৭ ৯৮০৩৮৭২৭৫৯) এবং সারদা (+৯৭৭ ৯৮৫১১২৮৩৮১)।
নেপালে চলমান এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয় সরকারের সিদ্ধান্তে ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করার পর, যেগুলো নতুন নিয়ন্ত্রক নীতির আওতায় নিবন্ধন করতে ব্যর্থ হয়েছিল। এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ‘জেনারেশন জেড প্রোটেস্ট’ নামে পরিচিত বিক্ষোভে দেশজুড়ে হাজার হাজার তরুণ-তরুণী রাস্তায় নামে। মূলত ছাত্র-যুবকরাই এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়, যেখানে দুর্নীতি, কর্মসংস্থানের অভাব, শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা এবং ডিজিটাল সেন্সরশিপ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
পরিস্থিতি দ্রুত ভয়াবহ রূপ নেয়। কাঠমান্ডুসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১৯ জন নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন। এটি গত কয়েক দশকের মধ্যে নেপালের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সহিংসতা বলে উল্লেখ করছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। সহিংসতা ঠেকাতে রাজধানীসহ কয়েকটি বড় শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ দূতাবাসের এই সতর্কবার্তা বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
-সুত্রঃ বি এস এস
যে ভোট রাতেই করা যায়, সেটা দিনে টেনে রাখা কেন?- ফারুকী
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টায় শুরু হয়েছে এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। দীর্ঘ বিরতির পর আয়োজিত এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
নির্বাচনের দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও খ্যাতনামা নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ভোট শুরুর পরপরই নিজের পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন, “ডাকসুর মধ্য দিয়ে ইলেকশনের ট্রেনে উঠে গেল বাংলাদেশ। এরপর আসবে জাতীয় নির্বাচনের ট্রেন। সবাইকে নির্বাচন মোবারক।”
ফারুকী আরও লেখেন, “যে ভোট রাতারাতি করে ফেলা যায়, সেটি দিনের বেলায় পর্যন্ত ঠেকিয়ে রাখা হলো কেন? সময়মতো কাজ না করার প্রবণতা আমাদের জাতির বড় দুর্বলতা।”
তার মন্তব্যে ইঙ্গিত করা হয়, নির্বাচনকে সময়োপযোগী ও সুষ্ঠু আয়োজনের প্রতি জাতীয় মানসিকতার অভাব আজও প্রবলভাবে বিদ্যমান।
এদিকে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সমালোচনা করতে গিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই ইঙ্গিত করেছেন, দেশের ইতিহাসে সংঘটিত বিভিন্ন বিতর্কিত ও অশুভ রাজনৈতিক ঘটনার দায়ে অভিযুক্ত শক্তিগুলো আজ নির্বাচনী সংস্কৃতির স্বচ্ছতায় কথা বলার অবস্থায় নেই। তারা উল্লেখ করেছেন, লাইলাতুল ইলেকশনের জননী, ব্যাংক লুটের দায়ীরা, গুমের মাস্টারমাইন্ডরা, বিডিআর-পিলখানা ও জুলাই হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনাকারীরা এই শক্তিগুলোই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় বাধা ছিল।
তাদের মতে, যারা গণতন্ত্রকে রাতের আঁধারে বন্দি করে রেখেছিল, তারাই এখন নির্বাচনের প্রশ্নে নীরব থেকেছে। ইতিহাসের আলোকে এসব নীরবতা আসলে প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দুর্দশার পেছনে তাদের ভূমিকা কতটা ভয়াবহ ছিল।
-রফিক
ভারতে ১২০০ টন ইলিশ পাঠাচ্ছে সরকার
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ১২.৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি-২ শাখার উপসচিব এস এইচ এম মাগফুরুল হাসান আব্বাসী স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগ্রহী রপ্তানিকারকদের আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের (বিকেল ৫টা) মধ্যে আবেদন করতে হবে। আবেদনের সঙ্গে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র এবং মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
রপ্তানি কমার কারণ কী?
গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যা পরে ২ হাজার ৪২০ টনে নামিয়ে আনা হয়েছিল। এবার সেই পরিমাণ আরও কমে ১ হাজার ২০০ টন করা হলো।
যেসব রপ্তানিকারক এর আগে আবেদন করেছিলেন, তাদেরও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
পাঠকের মতামত:
- শিবিরের অভিযোগ, ছাত্রদলের বর্জন—প্রশ্নের মুখে ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন
- শির্কের ভয়াবহতা বুঝতে সহজ উদাহরণ
- দিনের বেলা ভাতঘুম: উপকারী নাকি ক্ষতিকর?
- সপ্তাহের শেষ দিনে ডিএসইতে সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
- জাকসুতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন সাদীর
- গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কার্ক
- ডাকসুতে শিবিরের নিরঙ্কুশ জয়ের পেছনে যত কৌশল
- অস্থির নেপাল থেকে দেশে ফিরছে বাংলাদেশ ফুটবল দল
- নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য প্রধান পছন্দ সুশিলা কার্কি, বলছে ‘জেন জেড’ আন্দোলন
- মার্কিন রাজনীতিতে নতুন বিভাজনের আশঙ্কা
- নেপালে রাজনৈতিক শূন্যতা: সেনা তত্ত্বাবধানে উত্তাল দেশ, নতুন নেতৃত্ব কে?
- ৩৩ বছর পর জাকসু নির্বাচন: নিরাপত্তা, অনিয়ম ও বিতর্কে সরগরম ক্যাম্পাস
- ১০ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারের সার্বিক চিত্র ও বিশ্লেষণ
- ডিএসই ব্লক মার্কেট: বড় লেনদেনে যেসব কোম্পানি
- ১০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- জলবায়ু ইস্যুতে গণমাধ্যমের দায়িত্ব বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পিকেএসএফ চেয়ারম্যান
- ১০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর পতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা: নিরাপত্তায় ১২০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ
- ১০ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, একদিনে আক্রান্ত ৬২৫
- ভাঙ্গায় ১১ ঘণ্টা অবরোধ শেষে ফের নতুন ঘোষণা
- জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে আর জিডি করতে হবে না: ইসি
- ডাকসুতে জয়ীদের উদ্দেশ্যে জামায়াত আমিরের বার্তা
- কর ফাঁকি তদন্তে শেখ হাসিনার ব্যাংক লকার সিলগালা
- "ষড়যন্ত্র ভেদ করে ধানের শীষের জয় নিশ্চিত করতে হবে"
- ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৫: কারা পেলেন সেরা সম্মাননা
- যুক্তরাষ্ট্রে আটক কোরীয় শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে চার্টার্ড ফ্লাইট
- কাপ্তাই বাঁধে ১৬ গেট খোলা: কর্ণফুলীতে তীব্র পানি প্রবাহ
- জরায়ুর যত্নে সচেতনতা: নারীর সুস্থ জীবনের অপরিহার্য শর্ত
- মহেশখালী-মাতারবাড়ি: পর্যটন ও অর্থনীতির নতুন দিগন্ত
- ডোপ টেস্ট কী, কেন করা হয়, কেন এত এখন জরুরি
- একীভূতকরণ প্রসঙ্গে এক্সিম ব্যাংকের ব্যাখ্যা
- বিজয়ের পর শিবিরের তিনটি কাজের নির্দেশ
- ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে নিয়ে জুলকারনাইন সায়েরের বার্তা
- স্বাস্থ্য জটিলতায় স্ত্রীকে নিয়ে বিদেশে বিএনপি মহাসচিব
- মাত্র ২৪ ঘণ্টায় নতুন প্রধানমন্ত্রী
- আসন পুনর্বিন্যাসে উত্তাল ফরিদপুরের ভাঙ্গা
- ইসরায়েলের হামলা, কাতারের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া
- ঢাবি ডাকসু: ভিপি–জিএস–এজিএস পদে শিবিরের দাপট
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- নিরাপদ কাতারেও হামলা! দোহায় ইসরাইলি হামলায় তোলপাড় আরব বিশ্ব
- ইইউ সংলাপ: ঢাকার অগ্রাধিকার বাণিজ্য, ইউরোপের নজর অনিয়মিত অভিবাসনে
- খুনের পরিসংখ্যানে বৃদ্ধি: দেরিতে দায়ের হওয়া মামলার প্রতিফলন
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- বিক্ষোভে রক্তক্ষয়, নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
- ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে, নির্বাচন স্বচ্ছ দাবি ঢাবি ভিসির
- টিএসসি কেন্দ্রে তিন ঘণ্টায় ৩৫% ভোট
- অল্প সময়েই ছয় দফা বৃদ্ধি: স্বর্ণের বাজারে আগুন
- আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ইরান: সেনাপ্রধান হাতামির হুঁশিয়ারি
- থাকসিন শিনাওত্রার কারাদণ্ড: রাজনৈতিক বংশপরিচয়ের পতনের আভাস
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট শেষ, ফলাফলের আগে অস্থির ঢাবি—পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত পরিবেশ
- ডিএসইতে আজকের লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- গোয়ালন্দে কবর অবমাননার ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র নিন্দা
- “তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ডাকসু নির্বাচন: ৪৭১ প্রার্থী, ৩৯ হাজার ভোটার, টানটান নিরাপত্তায় উৎসবমুখর ভোটযুদ্ধ
- প্রথমবার আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রী বিদায়, ইতিহাস গড়ল ফ্রান্স
- নেপালে অস্থিরতা: বাংলাদেশি নাগরিকদের ঘরে থাকার নির্দেশ দূতাবাসের
- চাকরির প্রলোভনে কোটি টাকা হাতিয়ে ৩ প্রতারক গ্রেপ্তার
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- শেখ হাসিনার উত্তরাধিকার প্রশ্ন: আওয়ামী লীগের সামনে এক অমীমাংসিত সংকট
- নিরাপদ কাতারেও হামলা! দোহায় ইসরাইলি হামলায় তোলপাড় আরব বিশ্ব
- জ্বর, মাথাব্যথা, আর্থ্রাইটিস—ভিন্ন ভিন্ন সমস্যায় ভিন্ন ডোজ প্যারাসিটামল
- শেয়ারদর বৃদ্ধি নিয়ে ডিএসইকে যে ব্যাখ্যা দিল বিডিকম অনলাইন
- আবারও যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ইরান: সেনাপ্রধান হাতামির হুঁশিয়ারি