মগবাজারে ছিনতাই: চাপাতির কোপে জখম ছাত্র আব্দুল্লাহ

রাজধানীর মগবাজারে ভোরবেলা প্রকাশ্য রাস্তায় ভয়ঙ্কর ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্র ও চাকরিজীবী আব্দুল্লাহ। চাপাতির কোপে জখম হয়ে চোখের সামনে হারিয়েছেন ব্যাগভর্তি টাকা, মানিব্যাগ এবং মোবাইল ফোন। ১৯ মে ভোরে এই লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটে, যা সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে।
ঘটনার দিন মামাতো বোনের বাসা থেকে কুমিল্লার দেবিদ্বারে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন আব্দুল্লাহ। মগবাজারের গ্রিনওয়ে গলিতে পৌঁছানোর পরেই একটি বাইকে তিনজন হেলমেট পরিহিত যুবক তার গতিরোধ করে। তাদের মধ্যে দুজন নেমে চাপাতি হাতে আক্রমণ করে। একপর্যায়ে তাকে একটি বাড়ির গেটের সামনে টেনে নিয়ে যায় এবং ঘাড়ে ঝোলানো ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। অন্যজন তার মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে নেয়। প্রতিরোধের চেষ্টা করায় তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়।
আব্দুল্লাহ বলেন, “কোনো কথা না বলেই ওরা এসে চাপাতি ঘুরিয়ে আমার ব্যাগ, ব্যাগে থাকা চৌদ্দ হাজার টাকা, মানিব্যাগ ও ফোন নিয়ে গেল। আমি অনেক অনুরোধ করেছিলাম অন্তত ব্যাগটা যেন দিয়ে যায়। তারা শুধু চাপাতি চালিয়েছে, একটাও কথা বলেনি। পাঁচটা কোপ লেগেছে শরীরে। না কাটলেও খুব ব্যথা পেয়েছি।”
আব্দুল্লাহ জানান, তার ব্যাগে ছিল পরীক্ষার ফি, কলেজের টাকা এবং অফিসের কিছু জরুরি অর্থ। তাই শেষ মুহূর্তে ছিনতাইকারীদের বাইকের চাকা ধরে আকুতি জানান তিনি। “আমি চেয়েছিলাম অন্তত ব্যাগটা দিক, কিন্তু তারা আমার অনুরোধেও সাড়া দেয়নি, বরং আরও ভয়ংকরভাবে আক্রমণ করে,” বলেন তিনি।
ঘটনার পরই হাতিরঝিল থানায় গেলে পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকৃতি জানায় বলে অভিযোগ করেছেন আব্দুল্লাহ। “থানায় গেলে তারা বলে আগে হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। আমি তখনই স্থানীয় হাসপাতালে যাই, কিন্তু তারা বলে ঢাকা মেডিকেলে যেতে হবে। শরীর ভালো না থাকায় আর যাওয়া হয়নি, মামলাও করা হয়নি।”
তবে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গত রোববার রাতে আব্দুল্লাহর মামাতো বোনের স্বামী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ নড়েচড়ে বসে। এরপর থানার ওসিসহ একাধিক পুলিশ সদস্য আব্দুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেন এবং মামলা গ্রহণ করেন।
হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু বলেন, “এমন কোনো অভিযোগ আমার জানা নেই। এখন আমরা মামলা নিয়েছি, তদন্ত করছি। অপরাধীদের প্রায় শনাক্ত করা গেছে, শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।”
আব্দুল্লাহ বর্তমানে রাজধানীর পল্টনে একটি চাকরি করছেন এবং পড়াশোনাও চালিয়ে যাচ্ছেন। মামাতো বোনের বাসায় রাখা পরীক্ষার ফি এবং অন্যান্য জরুরি টাকাগুলো নিয়েই সে রওনা দিয়েছিল গ্রামের বাড়িতে। কিন্তু শহরের বুকে, সকালের আলো ফোটার আগেই তার স্বপ্ন ও নিরাপত্তা—দুয়োটাই ছিনতাইকারীদের হাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ
- শেয়ারবাজারে গেম্বলারদের দৌরাত্ম্য: আস্থা ফেরাতে চাই কঠোর শাস্তি ও কাঠামোগত সংস্কার
- বাংলাদেশে সেনা-সরকার উত্তেজনা ও ‘কু’ এর গুঞ্জন: নেপথ্যে কি?
- নতুন রাজনৈতিক সমীকরণে কারা টিকে থাকবে, কারা হারিয়ে যাবে?
- জবি’র সাবেক অধ্যাপক আনোয়ার বেগম হত্যাচেষ্টা মামলায় সুত্রাপুরে আটক
- সেনাপ্রধানের বক্তব্য, জুলকারনাইন তাতে যা বললেন!
- তারকা পরিচিতি: রক্ষাকবচ না কি সমাজবিমুখ অব্যাহতি?
- নাহিদের স্পষ্ট বার্তা: এনসিপিতে নেই দুই উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ
- বিএনপির সালাউদ্দিনকে নিয়ে কি লিখলেন প্রেস সচিব শফিকুল?
- সড়ক দুর্ঘটনায় সেনা কর্মকর্তা নিহত
- বাংলাদেশে আন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপে মৌলিক অধিকার হুমকিতে
- মুহাম্মদ ইউনূস প্রশাসনের ভবিষ্যৎ কেন অনিশ্চিত
- ডিসেম্বরে নির্বাচন চান সেনাপ্রধান
- "ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সব রাজনৈতিক দল অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে"
- জেনে নিন ঈদের ছুটিতে কোন কোন এলাকায় ব্যাংক খোলা থাকবে
- ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের পর চীনের পুরস্কার