খুলনার আন্দোলন গোটা দেশকে অনুপ্রাণিত করেছে: জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেছেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় খুলনার আন্দোলন ছিল অনন্য। এটি শুধু খুলনাই নয়, সারা দেশের মানুষকে প্রেরণা জুগিয়েছে।”
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) খুলনায় আয়োজিত ‘জুলাই স্মৃতিচারণ ও উন্মুক্ত আলোচনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জুলাই বিপ্লবের শহীদ পরিবার, আহত শিক্ষার্থী, আন্দোলনকারী ও রাজনৈতিক নেতাদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বলেন, “গত বছরের এই দিনে দেশের সর্বস্তরের মানুষ আশা-ভরসা নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল, রক্ত দিয়েছিল। আজ সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়েছে। আমরা চাই জনগণের এই আকাঙ্ক্ষা ও সংহতি নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালিত হোক।”
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন শহীদ জুলাই যোদ্ধা সাকিব রায়হানের বাবা। তিনি বলেন, “সাকিবের এক বন্ধু তাকে বলেছিল, তুই যদি কিছু হয়ে যাস? সাকিব জবাবে বলেছিল, আমার কিছু হলে মা-বাবার দেখার মতো আরও একটা ছেলে আছে। কিন্তু আমরা না গেলে দেশ কখনোই ফ্যাসিবাদমুক্ত হবে না।”
জুলাই যোদ্ধারা তাদের বক্তব্যে বলেন, “জুলাই বিপ্লব শুধু একটা তারিখ নয়, এটি এক গণজাগরণ। প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান—জুলাইয়ের চেতনা অনুসরণ করে রাষ্ট্র চালান। নইলে সেই চেয়ারের দায়িত্ব ছেড়ে দিন। যারা গণহত্যার পক্ষে ছিল, তাদের সঙ্গে কোনো আপস নয়।"
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মো. রেজাউল হক, খুলনা জেলা পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন এবং আন্দোলনে নিহত পাঁচ শহীদের পরিবারের সদস্যসহ সাধারণ ছাত্র-জনতা।
/আশিক
খুলনায় সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শলুয়া বাজারে বৃহস্পতিবার রাতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইমদাদুল হক মিলন নামের পয়তাল্লিশ বছর বয়সী এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে আড্ডারত অবস্থায় এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দেবাশীষ নামের এক পশু চিকিৎসকও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহত মিলন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘খুলনার বর্তমান সময় ডটকম’-এর সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, ঘটনার সময় মিলন শলুয়া বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে করে চারজন দুর্বৃত্ত সেখানে উপস্থিত হয় এবং কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দোকানে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন সাংবাদিক মিলন। অন্যদিকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পশু চিকিৎসক দেবাশীষকে উদ্ধার করে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যেখানে তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) উপ-পুলিশ কমিশনার সুদর্শন কুমার রায় জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং সেখান থেকে হত্যাকাণ্ডের আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ঠিক কী কারণে বা কারা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জনাকীর্ণ বাজারে এমন প্রকাশ্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুরো এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘুমেও নিরাপত্তা নেই: লুট হওয়া অস্ত্রে কাঁপছে খুলনা
খুলনা মহানগরী ও জেলাজুড়ে আধিপত্য বিস্তার মাদক ব্যবসা এবং ভূমি দখলের জের ধরে খুন ও পাল্টা খুনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যার নেপথ্যে রয়েছে অবৈধ আধুনিক অস্ত্রের অবাধ ব্যবহার। বিগত পনেরো মাসে এই অঞ্চলে ১০৬টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে যা নাগরিক সমাজের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের মতে গত বছরের ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থানা থেকে লুট হওয়া বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে চলে গেছে এবং এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে আসা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের চালান। পুলিশ ও স্থানীয় গোয়েন্দা সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ধারকৃত অস্ত্রগুলোর বেশিরভাগই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীন থেকে চোরাইপথে খুলনায় প্রবেশ করেছে এবং এগুলো সন্ত্রাসীদের শক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
জেলা পুলিশের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট থেকে গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত জেলায় মোট ৬২টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে যার মধ্যে রূপসা থানায় সর্বাধিক ১৫টি খুনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ডুমুরিয়া থানায় ১১টি ফুলতলায় ১০টি দাকোপে ৭টি এবং দিঘলিয়া পাইকগাছা ও কয়রাসহ অন্যান্য থানায় একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে যা গ্রামীণ জনপাদেও অস্থিরতার ইঙ্গিত দেয়। অন্যদিকে খুলনা মহানগরীতে গত পনেরো মাসে ৪৪টি খুনের ঘটনা ঘটেছে এবং এই সময়ের মধ্যে গুলি ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শতাধিক মানুষ জখম হয়েছে। ছিনতাই ও চাঁদাবাজির ঘটনাও অর্ধশতাধিক ছাড়িয়েছে যা গত বছরের তুলনায় অপরাধের মাত্রা প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধির প্রমাণ দেয়। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে নগর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩২টি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করেছে যার মধ্যে বিদেশি পিস্তল রিভলভার এবং শ্যুটার গান রয়েছে এবং এ সংক্রান্ত ৩৪টি মামলায় ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ের অপরাধ চিত্র পর্যালোচনায় দেখা যায় গত ৩০ নভেম্বর দুপুরে একটি অস্ত্র মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলায় হাসিব হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজন নামের দুইজন নির্মমভাবে নিহত হন। একই দিন সন্ধ্যায় নগরীর জিন্নাপাড়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সম্রাট নামের এক যুবক আহত হন এবং এর আগে ২৮ অক্টোবর দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশায় গভীর রাতে মোটরসাইকেলে আসা একদল দুর্বৃত্ত আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে দুই বাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এছাড়া পহেলা অক্টোবর ঘুমের মধ্যে তানভীর হোসেন আগস্টে আলামিন এবং জুলাই মাসে যুবদল নেতা মাহাবুবুর রহমানকে গুলি করে হত্যার ঘটনাগুলো খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে। মাদক কারবারিদের আস্তানায় হামলার ঘটনাও ঘটছে হরহামেশা যেমনটি দেখা গেছে রূপসার রাজাপুরে যেখানে গোলাগুলির সময় সাব্বির নামের এক সন্ত্রাসীর চোখ ভেদ করে গুলি বেরিয়ে যায়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে সর্বশেষ জোড়া খুনের ঘটনায় ভারতীয় ৯.৬৫ মডেলের অস্ত্রের ব্যবহার লক্ষ্য করা গেছে এবং উদ্ধারকৃত অস্ত্রের বড় একটি অংশই ভারতীয় বা চাইনিজ তৈরি। তবে খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান দাবি করেছেন যে জেলা পুলিশ অধিকাংশ হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তাদের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মনে করছে ৫ আগস্টের পর খোয়া যাওয়া অস্ত্রগুলো উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত এবং সীমান্তের চোরাচালান বন্ধ না করা গেলে এই সহিংসতা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।
খুলনায় জোড়াগেটে অস্ত্রের কারখানার সন্ধান
খুলনা মহানগরীর ব্যস্ততম এলাকা জোড়াগেটে একটি অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এইচআরসি ভবনের পাশের গলিতে অবস্থিত ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। শহরের একেবারে মধ্যবর্তী ও জনবসতিপূর্ণ স্থানে এমন একটি অস্ত্রের কারখানা আবিষ্কার হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জোড়াগেট এলাকার দোহা আয়রন ফাউন্ডার নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। সেখানে লোহার কারখানার আড়ালে গোপনে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল।
পুলিশের অভিযানে কারখানাটি থেকে অস্ত্র তৈরির ছাঁচ সীসা ট্রিগার ও ট্রিগার গার্ডসহ অন্তত ৩০ থেকে ৩৫টি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। এসব সরঞ্জাম দিয়ে বড় ধরনের নাশকতার জন্য অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল বলে ধারণা করছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন দোহা আয়রন ফাউন্ডার কারখানার মালিক নজরুল এবং তার দুই কর্মচারী শহিদুল ও আকবর আলী। তাদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
স্থানীয়রা জানান দোহা আয়রন ফাউন্ডারে সাধারণত লোহালক্কড়ের কাজ হতো বলে তারা জানতেন। কিন্তু এর ভেতরে যে মারণাস্ত্র তৈরি হতো তা তাদের কল্পনারও বাইরে ছিল। শহরের এমন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে এতদিন ধরে এই অবৈধ কার্যক্রম চলছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।
আগের মতো নির্বাচন হলে দুর্ভোগ নামবে: খুলনায় জামায়াত নেতার হুঁশিয়ারি
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার মন্তব্য করেছেন, আগামী নির্বাচন যদি ২০১৪, ২০১৮ বা ২০২৪ সালের নির্বাচনের মতো হয়, তবে তা জাতির জন্য 'চরম দুর্ভোগ' বয়ে আনবে। শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকায় একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
সেখানকার পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গোলাম পরওয়ার বলেন, 'মানুষ পরিবর্তন চায়।' তিনি উল্লেখ করেন, গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর তারা স্বাভাবিকভাবে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, দেশের জনগণ 'শান্তির বাংলাদেশ' গড়ার জন্য তাদের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবে।
এসময় তিনি প্রশাসনের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান। গোলাম পরওয়ার বলেন, 'নিরপেক্ষ থাকুন, একটি স্বচ্ছ নির্বাচন দিন এবং সব প্রার্থীকে সমান সুযোগ নিশ্চিত করুন।'
জামায়াতের এই নেতা পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, অতীতে যারা রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতমূলক কাজে জড়িত ছিলেন, তাদের অনেককেই পরে আইনি জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, অন্যায় করলে কারও পালানোর পথ খোলা থাকবে না।
তিনি আরও দাবি করেন, 'নতুন প্রজন্মের মধ্য থেকেই পরিবর্তনের এই ধারা শুরু হয়েছে।'
নির্বাচনে 'কালো টাকার প্রভাব' বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, যারা শত কোটি টাকা খরচ করে মনোনয়ন নিচ্ছেন, তাদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। তিনি মনে করেন, এ ধরনের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে দেশে দুর্নীতি আরও বাড়বে।
শোভাযাত্রাটি খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে গুটুদিয়া, ডুমুরিয়া, খর্ণিয়া, চুকনগরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। পরে এটি শিরোমণি শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পথের দুপাশে গ্রামবাসীরা হাত নেড়ে গোলাম পরওয়ারকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় নেতাকর্মীরা 'দাঁড়িপাল্লা' প্রতীকের পক্ষে স্লোগান দিয়ে পুরো এলাকা মুখরিত করে তোলেন।
পথসভাটিতে সভাপতিত্ব করেন হরিণটানা থানা আমীর জি এম আব্দুল গফুর। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন খুলনা-১ আসনের দলীয় প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান এবং অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুসসহ অন্যান্য স্থানীয় নেতারা।
মঞ্জু বনাম হেলাল: খুলনার রাজনীতিতে দুই পরীক্ষিত নেতার লড়াই, কে এগিয়ে এই কঠিন সমীকরণে?
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে খুলনা-২ (খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী—উভয় দলই প্রার্থী দেওয়ায় ভোটের সমীকরণ বেশ জটিল এবং তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই আসনে বিএনপির পক্ষে লড়ছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আর জামায়াতের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল।
খুলনা-২ আসনটি ঐতিহাসিকভাবেই বিএনপির একটি শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনগুলোতে বিএনপি এই আসনটিতে মোট চারবার জয়লাভ করেছে, যেখানে আওয়ামী লীগ জিতেছে দুবার। তবে এই নির্বাচনে দুই ইসলামপন্থী দলের প্রার্থীর উপস্থিতির কারণে ভোটের ফল অপ্রত্যাশিত হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর শক্তি ও চ্যালেঞ্জ
নজরুল ইসলাম মঞ্জু এই আসনের একজন পরীক্ষিত নেতা। সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং দলের কঠিন সময়েও স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ ধরে রাখার কারণে তার একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি রয়েছে।
অতীতের ফলাফল
মঞ্জু এই আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সঙ্গে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সেবার সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হলেও তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯০,৯৫০ (৫০.০%), যা তাঁর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তার প্রমাণ দেয়।
নেতৃত্বের মূল্যায়ন
দলের দুর্দিনে হাইকমান্ড তাকে এই আসন থেকে এককভাবে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন করে উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে, যা তাঁর নির্বাচনী গতিকে আরও বেগবান করতে পারে।
তবে এবার জামায়াতের প্রার্থী থাকায় ইসলামপন্থী ভোটের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ বিভক্ত হয়ে যেতে পারে, যা মঞ্জুর জয় নিশ্চিত করার পথে বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করবে।
জামায়াত প্রার্থী শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের প্রভাব
শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলালের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তার স্থানীয় পর্যায়ে পরিচিতি এবং জামায়াতের শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো।
স্থানীয় পরিচিতি
হেলাল খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে কাজ করার সুবাদে তিনি স্থানীয় জনগণের মধ্যে একটি পরিচিতি ও ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন।
ভোটের ব্যাংক
জামায়াতে ইসলামীর খুলনাসহ এই অঞ্চলে নিজস্ব একটি শক্তিশালী ভোট ব্যাংক রয়েছে। যদিও ১৯৯৬ সালের পর থেকে জামায়াত এই আসনে সরাসরি প্রার্থী দেয়নি, এবার হেলালের মতো একজন পরিচিত মুখকে প্রার্থী দেওয়ায় জামায়াতের ভোটগুলো পুরোপুরি একত্রিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভোটের সমীকরণ ও বিশ্লেষকদের মত
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই প্রধান প্রার্থীর উপস্থিতির কারণে ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ঘরানার ভোটগুলো বিভক্ত হওয়ার প্রবল শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১. ভোট বিভাজন: মঞ্জু এবং হেলাল উভয়েরই লক্ষ্য থাকবে ইসলামপন্থী ও জাতীয়তাবাদী ঘরানার ভোটারদের আকৃষ্ট করা। দুই নেতার উপস্থিতিতে এই ভোট ভাগ হয়ে গেলে তা শেষ পর্যন্ত অন্য দলের প্রার্থীর জন্য সুবিধা এনে দিতে পারে।
২. জোটের অভাব: দুই দলই (বিএনপি ও জামায়াত) গত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে থাকলেও নির্বাচনে কোনো আনুষ্ঠানিক জোট না হওয়ায় তাদের এই স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুলনার ভোটের হিসাবে নতুন পরিবর্তন আনবে। জামায়াত এই আসনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভোটাররা মনে করছেন, এই খুলনা শহরে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থীর অতীতের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, স্থানীয় গ্রহণযোগ্যতা এবং এলাকার সার্বিক উন্নয়নের বিষয়ই শেষ পর্যন্ত প্রাধান্য পাবে। এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর দ্বৈরথ খুলনা-২ আসনকে এবারের নির্বাচনের অন্যতম আকর্ষণীয় আসনে পরিণত করেছে।
১৪ বছরের প্রতীক্ষা শেষে খুলনায় আধুনিক কারাগার চালু ফুল দিয়ে বরণ করা হলো কয়েদিদের
দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রতীক্ষার পর অবশেষে খুলনায় আধুনিক নতুন কারাগারটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০০ জন বন্দিকে নিয়ে শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে এই কারাগারের যাত্রা শুরু হয়। খুলনা জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় পুরাতন কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজন ভ্যানে করে কয়েদিদের নতুন কারাগারে আনা হয়। নতুন কারাগারে আসা বন্দিদের কারা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
জেল সুপার প্রধান নাসির উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর ১০০ কয়েদি দিয়ে নতুন কারাগারের যাত্রা শুরু হলো। এর আগে গত ২৫ অক্টোবর চালুর কথা থাকলেও অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ থেকে নতুন কারাগারের কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টায় পুরাতন জেলা কারাগার থেকে কয়েদি স্থানান্তর শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে জেলার ৯টি উপজেলার কয়েদি এবং হাজতিদের নতুন কারাগারে রাখা হবে। পুরাতন কারাগারটি, যা ভৈরব নদীর তীরে জেলখানা ঘাটে অবস্থিত এবং ১৯১২ সালে নির্মিত, সেটি এখন থেকে খুলনা মেট্রোপলিটন এলাকার বন্দিদের জন্য খুলনা মহানগর কারাগার হিসেবে চালু থাকবে। পুরাতন কারাগারটির ধারণক্ষমতা মাত্র ৬৭৮ জন।
পুরাতন কারাগার থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে খুলনা শহরের বাইপাস সড়কে জিরো পয়েন্টের কাছে ৩০ একর জমির ওপর ২৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক নতুন জেলা কারাগারটি নির্মাণ করা হয়েছে। এটি সর্বোচ্চ ৪ হাজার বন্দি ধারণ করতে সক্ষম।
এই নতুন কারাগারটিকে একটি সংশোধনাগার হিসেবে নকশা করা হয়েছে। এখানে বিচারাধীন ও দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য পৃথক ইউনিট থাকার পাশাপাশি কিশোর ও নারী বন্দিদের জন্য আলাদা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এছাড়াও, এই নতুন কারাগারে ৫০ শয্যার হাসপাতাল, ওয়ার্কশপ, পাঠাগার, কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য বিদ্যালয়, ডে-কেয়ার সেন্টার এবং নারী বন্দিদের সন্তানসহ থাকার জন্য বিনোদন কেন্দ্রও থাকছে।
খুলনা-২ আসনে ত্রিমুখী লড়াই: কার হাতে উঠবে ধানের শীষ?
খুলনা-২ আসন নিয়ে জমে উঠেছে বিএনপির মনোনয়ন লড়াই। নানা নাটকীয়তার পর সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু হাইকমান্ডের ডাক পাওয়ায় এ আসন ঘিরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ত্রিমুখী হয়ে উঠেছে। দলীয় নেতাকর্মীরা ধারণা করছেন, এই আসনে ধানের শীষের কাণ্ডারী কে হচ্ছেন, সেটি নিয়ে বড় চমক অপেক্ষা করছে।
এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন তিনজন হেভিওয়েট নেতা: বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু, নগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা এবং সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।
মঞ্জুকে নিয়ে কেন এত আলোচনা?
সংগঠন থেকে বাদ: ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতির পদ হারান নজরুল ইসলাম মঞ্জু। আহ্বায়ক কমিটিতে শফিকুল আলম মনা ও শফিকুল আলম তুহিনকে পদ দেওয়া হয়। এরপর মঞ্জু তার অনুসারীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের ঘোষণা দেন এবং তাকে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মাঠে সক্রিয়তা: মঞ্জু পদ থেকে বাদ দেওয়ার পরও মাঠ ছাড়েননি। বিভিন্ন ব্যানারে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন এবং সমাবেশে কর্মীদের নিয়ে শোডাউন করেছেন। এমনকি সমাবেশের মঞ্চে আসন না পেয়ে কর্মীদের সঙ্গে মাঠে বসে সমাবেশে অংশ নেওয়ার নজিরও রয়েছে।
হাইকমান্ডের ডাক: সম্প্রতি গুলশান কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নজরুল ইসলাম মঞ্জুর ডাক পড়ায় চার বছরের সব হিসাব-নিকাশ ওলোট-পালট হয়ে যায়।
অন্যান্য প্রার্থীর তৎপরতা
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন এই আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্লাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন সাঁটিয়েছেন। এরপর নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনাও সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে প্রচারণা শুরু করেন। বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা শুরু হলে কেন্দ্রীয় বিএনপির এক নেতার হস্তক্ষেপে মনা ও তুহিন যৌথভাবে ধানের শীষের প্রচারণা শুরু করেন।
মঞ্জু ২০০৯-২০১৪ সাল পর্যন্ত এই আসনটির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতাকে পরাজিত করে। সেই হিসাবে এই আসনটিতে তার গ্রহণযোগ্যতা তিনজনের মধ্যে বেশি বলে ভোটাররা জানিয়েছেন।
দলের বার্তা
সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “দীর্ঘদিন পর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান খুলনার জনপ্রিয় নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে ডেকেছেন, এটা আমাদের বড় পাওয়া। আমরা চাই আগামীতে খুলনা-২ আসনে তাকে মনোনয়ন দেওয়া হোক।”
তবে কেন্দ্রীয় বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, তারেক রহমান সব আগ্রহী প্রার্থীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য ডেকেছেন। কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়। বিষয়টি এমনও হতে পারে, তিনজনের মধ্যে কাউকে না দিয়ে নতুন কোনো চমকও থাকতে পারে।
খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী খুন
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন হাউজিং বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে মো. সবুজ খান নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নুরানি স্কুলের সামনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পারিবারিক শত্রুতার জের
জানা গেছে, সকালে বাজার করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন সবুজ খান। পথে পূর্বশত্রুতার জেরে একই এলাকার ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত একযোগে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা সবুজ খানের দুই হাত, হাঁটু ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সকাল ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সবুজের ছেলে বলেন, স্থানীয় কালাম, তার স্ত্রী নাজমা বেগম, তাদের ছেলে সোহেল, সুজন, সাগর, প্রতিবেশী নজরুল ও মণ্ডল চাপাতি দিয়ে আমার বাবাকে মেরেছে। তিনি বলেন, “টাকার জন্য একজনকে মারতে গেছিল, আমরা ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাইকে তাড়া করছিল, মারতে পারেনি। আজকে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা হত্যার বদলে মৃত্যুদণ্ড চাই।”
নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বলেন, “নাজমা আমার ছোট বোন। আমাদের সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা। নাজমার তিন ছেলে সোহেল, সুজন, সাগরসহ আরও অনেকে মিলে আজ আমার স্বামীরে মেরে ফেলেছে।”
পুলিশের পদক্ষেপ
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।” তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নাজমা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নিহতের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
২০৫০ সালের চাহিদা পূরণে খুলনাকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
খুলনাবাসীকে লবণমুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই বিপুল অঙ্কের ঋণের পাশাপাশি সংস্থাটি এই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদানও দেবে।
এই ঋণ-অনুদানসহ মোট তিনটি প্রকল্পে এডিবি ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার ঋণ-অনুদান দেবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং এ সম্পর্কিত চুক্তিতে সই করেন।
ভূগর্ভস্থ লবণাক্ততা মোকাবিলাই প্রধান লক্ষ্য
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর জানান, খুলনা শহরের সুবিধাবঞ্চিত বাসিন্দাদের জন্য পানি সরবরাহ পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং শুষ্ক মৌসুমে টেকসই পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করাই এই অর্থায়নের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই সমাধান প্রবর্তনের মাধ্যমে খুলনা শহরের ভূ-পৃষ্ঠের পানির রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এই প্রকল্পটি ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষকে নির্ভরযোগ্য, নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবে। প্রকল্পটি ২০৫০ সাল পর্যন্ত পানির চাহিদা মেটাতে পরিকল্পিত একটি সিস্টেমের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়গুলোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি পরিষেবা সম্প্রসারণ করবে। মূল উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে স্মার্ট পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা এবং তত্ত্বাবধান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ।
পাঠকের মতামত:
- জরুরি বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটি, সভাপতিত্বে তারেক রহমান
- এবার মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান
- হাদির আসনে নির্বাচনে নামছেন যিনি
- হাদির জানাজা উপলক্ষে রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা
- মরুভূমির দেশে সাদা চাদর, তুষারে ঢাকল সৌদি পাহাড়
- শনিবারের যে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা
- ওসমান হাদির জানাজা শনিবার জানাজা কোথায় ও কখন
- জুমার দিনে দরুদ পাঠের বিশেষ ফজিলত
- শেয়ারবাজারের সাপ্তাহিক পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- হাদি হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল শাহবাগ: বাড়ছে জনস্রোত
- থামবে বয়সের চাকা: বৃদ্ধ কোষকে তারুণ্য দেবে ‘জাদুকরী ফুল’
- রাজশাহী আ.লীগ অফিস এখন ধ্বংসস্তূপ
- জুমার দিন কেন সেরা? হাদিসে বর্ণিত ৫টি বড় কারণ
- হাসিনার গুলিই দমাতে পারেনি, সন্ত্রাসীদের তোয়াক্কা করি না
- ওষুধের বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই সরকারের, ভাঙেনি পুরোনো সিন্ডিকেট
- শুক্রবার সোনার বাজারে কী অবস্থা? জানুন আজকের দর
- হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- বদলে গেল ইতিহাস: পৃথিবীতে প্রাণের জন্ম নিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন দাবি
- প্রতিদিন হত্যার হুমকি পাচ্ছি: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- হাড়ের ব্যথায় ভুগছেন? শুধু বয়স নয়, দায়ী আপনার ৫টি অভ্যাস
- লিখিত পরীক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- হাদি মৃত্যুতে জ্বলছে দেশ: মিডিয়া অফিস ও হাই কমিশনে হামলা
- খেলার খবর: বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচসহ আজকের টিভি সূচি
- খুলনায় সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা
- ছুটির দিনেও উত্তপ্ত ঢাকা: আজ কোথায় কী কর্মসূচি?
- এবার এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে মেরে ফেলার হুমকি
- হাদির মৃত্যুতে শায়খ আহমাদুল্লাহ ও আজহারীর আবেগঘন বার্তা
- দিল্লি না ঢাকা? স্লোগানে স্লোগানে কাঁপছে শাহবাগ চত্বর
- শুক্রবার কেমন থাকবে ঢাকার আকাশ? জেনে নিন
- রাজধানীতে আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া, জানাল অধিদপ্তর
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার প্রতিবাদে মির্জা ফখরুল
- ধ্বংস নয়, পুনর্গঠনেই বাঁচবেন হাদি: হাসনাত আবদুল্লাহ
- যুব এশিয়া কাপসহ আজকের পূর্ণ ক্রীড়া সূচি
- আজ বাংলাদেশ–পাকিস্তান সেমিফাইনাল এর সময় জানুন
- আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৯ ডিসেম্বর
- যখন দেশে ফিরছে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ
- সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শরিফ ওসমান হাদি
- ৭১-এর পর ভারতের বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ এখন বাংলাদেশ
- টাকার চিন্তায় ঘুম নেই জেন-Z প্রজন্মের: গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য
- শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কেন বাড়ে? জানুন বাঁচার উপায়
- বক্স অফিসে রণবীরের তাণ্ডব: আয়ের অংক শুনলে চমকে যাবেন
- সব জুলাইযোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখছি: সামান্তা শারমিন
- রিজার্ভের নতুন মাইলফলক: একদিনেই বাড়ল বড় অংক
- ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি
- তারেক রহমানের ফেরা: ৭ রুটে স্পেশাল ট্রেন চায় বিএনপি
- ২৫ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শোডাউন: অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নিয়ে সালাহউদ্দিনের বার্তা
- ভারত থেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন হাসিনা: আসিফ নজরুল
- দুই দশকের আক্ষেপ ঘুচল: ২৭তম বিসিএসে বড় নিয়োগ
- গুম পরিবারের জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত: সম্পদ ব্যবহারে বাধা নেই
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান
- ১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- সিঙ্গাপুরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ওসমান হাদি
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা জাহাঙ্গীর আলম শান্ত
- আগামী ৫ দিনের আবহাওয়ার আগাম বার্তা দিল আবহাওয়া অফিস
- ২৩ ছক্কায় বিধ্বস্ত প্রতিপক্ষ, ঝড় তুললেন এডওয়ার্ডস








