‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ কেলেঙ্কারিতে হাইকোর্টে রিট

২০২৫ আগস্ট ০৫ ১০:২১:৫৯
‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ কেলেঙ্কারিতে হাইকোর্টে রিট
ছবি: সংগৃহীত

নতুন একটি গুরুতর অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে দেশের অন্যতম বড় অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেড’। শতকোটি টাকা নিয়ে মালিকপক্ষ দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আইনজীবী পাভেল মিয়া হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট আবেদন করেন, যেখানে ফ্লাইট এক্সপার্ট লিমিটেড ও এর পরিচালকদের সমস্ত আর্থিক হিসাব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, মোবাইল ব্যাংকিং এবং পেমেন্ট গেটওয়ের হিসাবসমূহ জব্দ করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞার আবেদনও করা হয়েছে। রিট আবেদনের বিবাদী হিসাবে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, পুলিশের বিশেষ শাখার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ ঢাকা জেলা প্রশাসক ও পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

ঘটনাটি ২ আগস্টে সংবাদমাধ্যমে প্রথম প্রকাশিত হয়, যেখানে বলা হয়, দেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন টিকিটিং প্ল্যাটফর্ম ‘ফ্লাইট এক্সপার্ট’ হঠাৎ করেই অফিস বন্ধ করে ফেলে এবং তাদের ওয়েবসাইটও হঠাৎ অচল হয়ে যায়। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটির একাধিক এজেন্সি ও বিনিয়োগকারী শত শত কোটি টাকা এতে বিনিয়োগ করেছিলেন, যা বর্তমানে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে আছে। প্রতিষ্ঠানটির সেলস ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ জানান, ১ আগস্ট রাতে প্রতিষ্ঠানটির মালিক দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন এবং তারা এখন বিষয়টি আইনগত পর্যায়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অন্যদিকে, ফ্লাইট এক্সপার্টের সিইও সালমান তার সহকর্মীদের উদ্দেশে একটি অভ্যন্তরীণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রকাশ করেন যে, তার কয়েকজন সহযোগী সাঈদ, হোসাইন এবং সাকিব তার প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সালমান দাবি করেন, তারা গত ৩১ জুলাই অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে পরিকল্পিতভাবে সমস্ত দোষ তাঁর ওপর চাপিয়েছেন এবং তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয়নি। ওইদিন সকালে তারা প্রায় ৩ কোটি টাকা তুলে নিয়ে নিজেদের কাছে রাখে, যার কারণে প্রতিষ্ঠানটি কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।

-রফিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ