কলাপাড়ার ইলিশ মোকামে ফের গর্জন, ঘাটে জমে উঠল ক্রেতার ভিড়

সারাদেশ ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৫ ২০:০০:৪১
কলাপাড়ার ইলিশ মোকামে ফের গর্জন, ঘাটে জমে উঠল ক্রেতার ভিড়
ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মহিপুর-আলীপুর মৎস্য বন্দরে ইলিশের সরবরাহ গত কিছুদিনে ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। সাগর থেকে প্রত্যাশিত ইলিশ নিয়ে ফিরে আসছেন জেলেরা, যার কারণে তাদের মুখে প্রকাশ পাচ্ছে স্বস্তির ছাপ। ১১ জুন নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন ধরে জেলেরা সাগরে যেতেও খালি হাতে ফিরছিলেন, যা তাদের জন্য বড় ধরনের ক্ষতির কারণ ছিল। তবে সোমবার থেকে ইলিশ ধরা শুরু হওয়ায় জেলে, ট্রলার মালিক ও আড়তদারদের মধ্যে প্রাণ ফিরেছে। খাপড়াভাঙা নদীর দুই তীরবর্তী ইলিশ মোকামে বর্তমানে কর্মমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে এবং দখিণ অঞ্চলের এই ইলিশ ভিত্তিক অর্থনীতি আবার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে।

মাঝারি আকারের মাঝি আলম হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার সকালে তাদের জালে ৯৫ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে, যা এবছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। মালিক খলিলুর রহমান জানান, এই ইলিশ ২২ হাজার টাকায় মণ বিক্রি হয়ে মোট ২০ লাখ টাকার ব্যবসা হয়েছে। যদিও মাছের সাইজ বড় নয়। অন্যদিকে বড় ট্রলারের মাঝি সিদ্দিক বেপারী ৪২ মণ ইলিশ বিক্রি করে ২৬ লাখ টাকার আয়ের কথা জানান। ঘাটে ফেরা ট্রলারগুলো প্রায় সবাই ইলিশ নিয়ে ফিরছেন, যা জেলেদের মধ্যে স্বস্তির সঞ্চার করছে। স্থানীয় বাজারগুলোতেও বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ছোট-বড় ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।

মহিপুর আড়ত মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাজু আহমেদ রাজা জানান, গত সোমবার থেকে অধিকাংশ ট্রলার ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরছে। তবে কেজিসাইজের ছোট ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে। গভীর সাগরে লাল জাল দিয়ে ধরা ইলিশ মাঝারি ও বড় সাইজের হয় এবং এদের দামও তুলনামূলক বেশি। যদিও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইলিশের দাম কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এক কেজি ইলিশের দাম এখনো মণপ্রতি প্রায় এক লাখ টাকায় বিক্রি হলেও ছোট সাইজের মাছ ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকায় মণ বিক্রি হচ্ছে।

তবে সরবরাহ বেড়েছে সত্ত্বেও জেলেরা মণ প্রতি ওজন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, মণ বিক্রির সময় দাড়িপাল্লায় ওজন কম দেখানো হয়, তাই ডিজিটাল মিটারের মাধ্যমে ওজন করা এবং ৪০ কেজিতে মণ বিক্রি করার দাবি তুলেছেন।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ