তপশিল ঘোষণার আগে ইসিকে চিঠি দিচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান

তপশিল চূড়ান্ত করতে ইসিকে চিঠি দেবে সরকার, রাতেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি পাঠাতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ বিষয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঘোষণা দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টা ২০ মিনিটে এ ভাষণ সম্প্রচার করা হবে।
সরকার ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ভাষণে ড. ইউনূস নির্বাচন কমিশনকে একটি আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানোর ঘোষণা দেবেন। সেই চিঠিতে কমিশনকে দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হবে, যাতে যথাসময়ে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা যায়।
তবে প্রধান উপদেষ্টা নিজে নির্বাচনের তারিখ বা তপশিল ঘোষণা করবেন না বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। সংবিধান অনুযায়ী, এই দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপরই বর্তায়। তাই চিঠির মাধ্যমে কমিশনকে নির্বাচন প্রস্তুতির নির্দেশনা দেওয়া হবে। তপশিল ঘোষণার এখতিয়ার ইসির হাতেই থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, আজকের ভাষণটি মূলত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে। তবে এই ভাষণেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করা হবে।
এর আগে আজ বিকাল ৫টায় ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেছেন ড. ইউনূস। জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় এই অনুষ্ঠান হয়। এতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহত যোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান ও উদযাপন কার্যক্রমে দেশের সব বয়সী মানুষকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
/আশিক
জাতীয় নির্বাচনে চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল ৩ দল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন তিনটি রাজনৈতিক দল চূড়ান্ত নিবন্ধন পেয়েছে। দলগুলো হলো— জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ আমজনগণ পার্টি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিনিয়র ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দাবি আপত্তি জানানোর সময়সীমা
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, চূড়ান্ত নিবন্ধন পাওয়া এই দলগুলোর বিষয়ে দাবি বা আপত্তি জানিয়ে বুধবার (৫ নভেম্বর) পত্রিকায় একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ১২ নভেম্বর পর্যন্ত এই দাবি আপত্তি জানানো যাবে। নির্ধারিত এই সময় শেষ হওয়ার পর, অর্থাৎ দাবি আপত্তির সময়সীমা পেরিয়ে গেলে, দলগুলোর চূড়ান্ত নিবন্ধনের গেজেট প্রকাশ করা হবে।
নিবন্ধন বঞ্চিত অন্য দলগুলো
ইসি সচিব আরও জানান, নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা আরও ৮টি রাজনৈতিক দল শেষ পর্যন্ত কোয়ালিফাই করতে পারেনি এবং তারা নিবন্ধন পাচ্ছে না।
এছাড়াও, নেজামে ইসলাম পার্টির নিবন্ধনের বিষয়টি উচ্চ আদালতের আদেশের ওপর নির্ভর করছে এবং আদালতের নির্দেশনা পাওয়ার পরই নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া, আরও ৩টি দলের বিষয়ে কমিশন অধিকতর তদন্ত করে মনে করেছে যে তারা নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করতে পারেনি, ফলে তারা নিবন্ধন পাবে না।
নির্বাচনে 'না ভোট' বিধান যুক্ত করে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এ গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন এনে একটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার, যার মাধ্যমে নির্বাচনে 'না ভোট' দেওয়ার বিধান যুক্ত হলো। এই বিধান আনার মূল লক্ষ্য হলো, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের মতো ঘটনা, যেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন 'এমপি' নির্বাচিত হয়েছিলেন, তার পুনরাবৃত্তি যেন এই দেশে না হয়।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ থেকে গণপ্রতিনিধিত্ব (আরপিও) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়। দেশের সংবিধানের ৯৩ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই অধ্যাদেশটি জারি করেছেন। এর আগে অধ্যাদেশের খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
আরপিও-এর ১৯ নম্বর অনুচ্ছেদে এই নতুন 'না ভোট'-এর বিধান যুক্ত করা হয়েছে। সংশোধিত বিধান অনুযায়ী, কোনো আসনে যদি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র একজন অবশিষ্ট থাকে, তবে ব্যালট পেপারে 'না ভোট' দেওয়ার বিধান অবশ্যই থাকবে। অর্থাৎ, যে নির্বাচনে একক প্রার্থী থাকবে, সেখানে ভোটাররা প্রার্থীর পাশাপাশি 'না ভোট' প্রদানের সুযোগ পাবেন।
সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, যাচাই-বাছাই ও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর যদি কোনো নির্বাচনি এলাকায় কেবল একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তাহলেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই প্রার্থীও 'না ভোট'-এর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
যদি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট 'না ভোট'-এর চেয়ে বেশি হয়, তাহলে রিটার্নিং অফিসার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।
তবে, যদি কোনো আসনে প্রার্থীর চেয়ে 'না ভোট' বেশি পড়ে, তাহলে ওই এলাকায় নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয়বার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যদি শেষ পর্যন্ত কেবল একজন প্রার্থী অবশিষ্ট থাকেন, তবে তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া, সংশোধিত অধ্যাদেশে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে কোনো প্রার্থী যদি মনোনয়ন পত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে চান, তাহলে আপিলের নির্ধারিত সময় শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিংবা আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা যাবে না। এই বিধানটি প্রার্থিতা বাতিল সংক্রান্ত বিতর্কগুলো নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে।
নির্বাচনে পুলিশি পক্ষপাতিত্ব বরদাস্ত নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি
আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের অবৈধ সুবিধা দিলে পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনে পুলিশের কোনো অবহেলা বা 'নেগলিজেন্ট আচরণ' ধরা পড়লে দ্রুত তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আইনের আওতায় আসবে পুলিশের অবহেলা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, সরকার ইতোমধ্যেই একটি ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি গঠন করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে যদি পুলিশ কোনো দলকে বিশেষ সুবিধা প্রদান করে বা কারো কোনো অবহেলাপূর্ণ আচরণ ধরা পড়ে, তবে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। আগে এ ধরনের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে শুধু জিডি করা হলেও, এবার তা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।
পুলিশের প্রতি সরাসরি নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, "নির্বাচন হবে ফ্রি, ফেয়ার, ক্রেডিবল এবং উৎসবমুখর।" তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, পুলিশের কেউ যদি এই প্রক্রিয়ায় কোনো অনৈতিক কাজে জড়িত থাকে, তবে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হোক বা অন্য কোনো হত্যাকাণ্ড, সবই আইনের আওতায় আসবে।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান
অবৈধ অস্ত্র নিয়ে সাংবাদিকদের করা অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, লুট হওয়া অস্ত্র কত দ্রুত উদ্ধার করা যায়, সেই চেষ্টা চলছে। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, "রাউজানে অপারেশন করে অস্ত্র উদ্ধার করেছি।" সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সচেষ্ট রয়েছে বলে তিনি জানান।
বাংলাদেশকে আল্টিমেটাম: ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি আদানি পাওয়ারের
ভারতের আদানি পাওয়ার লিমিটেড বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার চরম হুঁশিয়ারি দিয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না হলে, তার পরদিন ১১ নভেম্বর থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে। আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো চিঠিতে এই সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
আদানি পাওয়ারের ভাইস চেয়ারম্যান অবিনাশ অনুরাগ গত ৩১ অক্টোবর বিপিডিবির চেয়ারম্যানের কাছে চিঠিটি পাঠান। চিঠিতে জানানো হয়, বিপিডিবি এখনও মোট ৪৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বকেয়া পরিশোধ করেনি। এর মধ্যে ২৬২ মিলিয়ন ডলার বিপিডিবির নিজস্ব স্বীকৃত অপরিশোধিত বিল।
চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ বন্ধের অধিকার
আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে চিঠিতে বলা হয়, ধারাবাহিক যোগাযোগ এবং একাধিক চিঠি (সর্বশেষ ২৭ অক্টোবরের চিঠিসহ) পাঠানোর পরও বিপিডিবি পাওনা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। আদানি পাওয়ার বিশেষভাবে উল্লেখ করে, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর স্বাক্ষরিত পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্ট (পিপিএ)-এর ১৩.২(i)(i) ও (ii) ধারার অধীনে এমন পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার অধিকার তাদের রয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ বন্ধ থাকলেও তারা ‘ডিপেন্ডেবল ক্যাপাসিটির’ ভিত্তিতে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পাওয়ার অধিকার রাখে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছেও বকেয়া পরিশোধের আহ্বান
এর আগে, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়ে ৪৬৪ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধের আহ্বান জানিয়েছিলেন।
গৌতম আদানি চিঠিতে উল্লেখ করেন, জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ আংশিক অর্থ পরিশোধ করলেও এখনো একটি বড় অঙ্ক বাকি রয়ে গেছে। তিনি জানান, ২০২৫ সালের ২৩ জুন অনুষ্ঠিত বৈঠকে বিপিডিবি কর্মকর্তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব বকেয়া ও লেট পেমেন্ট সারচার্জ (এলপিএস) পরিশোধ করা হবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট সময়সূচি দেওয়া হয়নি। গৌতম আদানি অবিলম্বে পাওনা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানান, যাতে তাদের অপারেশন ও অর্থায়ন প্রক্রিয়ায় বাড়তি চাপ না পড়ে।
পিপিএ রিভিউ কমিটির পর্যবেক্ষণ
এদিকে, বিদ্যুৎ বিভাগের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিপিডিবি বর্তমানে সরকার গঠিত ন্যাশনাল রিভিউ কমিটি অন পাওয়ার পারচেজ অ্যাগ্রিমেন্টস (পিপিএ)-এর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে।
এই কমিটির প্রধান বিচারপতি মইনুল ইসলাম ২ নভেম্বর এক বৈঠকে ‘বেসিক গভর্ন্যান্স ফেইলিউর অ্যান্ড রিভিউ অব অ্যানোমালিজ ইন দ্য অ্যাপ্রুভাল প্রসেস অন আদানি’ শিরোনামে প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। কমিটি জানিয়েছে, এই বিষয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আগামী জানুয়ারিতে প্রকাশের কথা রয়েছে। এর পাশাপাশি, কমিটি আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রমও পর্যবেক্ষণ করছে।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
নির্বাচনি অনিয়মের ক্ষেত্রে ইসিকে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান
সরকার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে নতুনভাবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে। সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এই অধ্যাদেশ গেজেটে প্রকাশ করেছে। সংশোধিত অধ্যাদেশে নির্বাচনী অনিয়মের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বিস্তৃত করা হয়েছে।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম ধরা পড়লে শুধুমাত্র সেই কেন্দ্রের ভোট বাতিল করা যেত। তবে নতুন অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, প্রয়োজনে ইসি পুরো নির্বাচনি এলাকার ভোট ফল বাতিল করার ক্ষমতা রাখবে। অনুচ্ছেদ ৯১ অনুযায়ী, কেন্দ্রের ভোট বাতিলের পাশাপাশি পুরো নির্বাচনি এলাকার ভোট বাতিল করার সুযোগ রাখা হয়েছে, যা নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে।
সংশোধিত আচরণবিধিতে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ১,৫০,০০০ টাকার জরিমানা আরোপের ক্ষমতা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দলগুলোর ক্ষেত্রেও একই ধরনের জরিমানা আরোপের বিধান রয়েছে। এছাড়া, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমসহ ইসির ক্ষমতাসম্পন্ন কর্মকর্তারও ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। হলফনামায় মিথ্য তথ্য প্রদান করলে ভোটের পরও ইসি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে।
অধ্যাদেশ প্রণয়নের সময়, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবনার ভিত্তিতে ইসি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে। পরবর্তী ধাপে উপদেষ্টা পরিষদ নীতিগতভাবে এবং চূড়ান্তভাবে অনুমোদন প্রদান করে। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর এটি সংশোধন অধ্যাদেশ হিসেবে কার্যকর হবে।
-রফিক
ভোটার প্রতি নির্বাচন খরচ যত টাকায় সীমাবদ্ধ
সরকার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন অধ্যাদেশ-২০২৫ জারি করেছে, যা আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, একজন সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রতিটি ভোটারের জন্য সর্বোচ্চ ১০ টাকা ব্যয় করতে পারবেন। নির্ধারিত সীমা ছাড়ালে নির্বাচন কমিশন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সক্ষম।
সোমবার (৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশটি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। সংশোধনীতে নির্বাচনি ব্যয়, রাজনৈতিক দল এবং অনুদান সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় বিশদভাবে পরিমার্জন করা হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, প্রার্থীর অনুদান হিসেবে প্রাপ্ত অর্থের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এবং তা নির্ধারিত ওয়েবসাইটে স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়া, চূড়ান্ত আরপিও অনুচ্ছেদ ৪৪-এ ভোটার প্রতি নির্বাচনি ব্যয় ১০ টাকা সীমায় নির্ধারণ করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে ৫০ হাজার টাকার জামানত, যা পূর্বের ২০ হাজার টাকা থেকে উচ্চতর করা হয়েছে। এই পরিবর্তনের লক্ষ্য নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও শক্তিশালী করা।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষেত্রে নতুন বিধানে উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শককে সংশ্লিষ্ট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, অনুচ্ছেদ ৭৩-এ প্রার্থী ও দলের বিরুদ্ধে মিথ্য তথ্য, অপতথ্য, গুজব এবং এআই অপব্যবহার রোধে অপরাধ সংক্রান্ত নিয়ম সংযোজন করা হয়েছে।
অনুচ্ছেদ ৭৪, ৮১, ৮৭ ও ৮৯-এ ছোটোখাটো পরিমার্জন আনা হয়েছে। এছাড়া, অনুচ্ছেদ ৯০-এ দল নিবন্ধন, আর্থিক অনুদান এবং নিবন্ধন স্থগিত হলে প্রতীক স্থগিতকরণের বিধান সংযোজন করা হয়েছে।
-রাফসান
প্রতীক বদল বন্ধ: বিএনপি-র দাবির বিপক্ষে সরকারের অধ্যাদেশ
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে নতুন একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এই অধ্যাদেশ, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ, ২০২৫, অনুযায়ী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও, প্রার্থীদের তাদের নিজ নিজ দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
সোমবার (০৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয় থেকে এই অধ্যাদেশটির গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনি আইনের সব সংস্কার কার্যক্রম সম্পন্ন হলো।
রাজনৈতিক দলগুলোর টানাপোড়েন
এই ধারাটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি টানাপোড়েন তৈরি করেছিল। গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেই বৈঠকের পর বিএনপি এই ধারার তীব্র বিরোধিতা করে দাবি জানায় যে, জোটভিত্তিক নির্বাচনে এক দলের প্রার্থী অন্য দলের প্রতীক ব্যবহার করতে পারবে।
তবে জামায়াতে ইসলামী এবং ন্যাশনাল কনসেনসাস পার্টি (এনসিপি) আরপিও-এর ২০ ধারার সংশোধন বহাল রাখার পক্ষে নিজেদের অবস্থান নেয়। রাজনৈতিক দলগুলোর এই বিপরীতমুখী দাবির মধ্যেই সরকার আগের প্রস্তাব অনুযায়ী অধ্যাদেশটি জারি করেছে। ফলে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো নিবন্ধিত দল জোট করলেও, জোটের মনোনীত প্রার্থী অন্য দলের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না; তাঁকে অবশ্যই নিজের দলের প্রতীকেই ভোট করতে হবে।
নির্বাচনী আইনের অন্যান্য সংস্কার
আরপিও সংশোধন ছাড়াও নির্বাচন কমিশন (ইসি) ইতোমধ্যে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি আইন সংস্কার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে— ভোটার তালিকা আইন, নির্বাচন কর্মকর্তা বিশেষ বিধান আইন এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন। পাশাপাশি ভোটকেন্দ্র নীতিমালা, দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষণ নীতিমালা এবং সাংবাদিকদের আচরণবিধিও হালনাগাদ করা হয়েছে।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, আরপিও সংশোধনের পর জারি হওয়া নতুন বিধান অনুযায়ী ‘দল ও প্রার্থীর আচরণবিধি’ও শিগগিরই জারি করা হবে।
৪ ডিগ্রিতে নামবে পারদ: আসছে হাড় কাঁপানো তীব্র শীত
আসন্ন শীত মৌসুমে দেশজুড়ে একের পর এক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি নভেম্বর মাস থেকে জানুয়ারির মধ্যে অন্তত ১০টি শৈত্যপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে, যার মধ্যে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে।
রবিবার রাতে প্রকাশিত এই মৌসুমি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবারের শীতকাল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা দীর্ঘ এবং বেশি শীতল হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা, বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ব্যাপক ওঠানামা দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় তীব্রভাবে প্রভাব ফেলবে।
তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, এবারের শীতে ৪ থেকে ৭টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। এর মধ্যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সময় থার্মোমিটারের পারদ নেমে যেতে পারে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
আবহাওয়াবিদ মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।
মৌসুমি পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে মৌসুমের সবচেয়ে ঠাণ্ডা সময়। এ সময় দেশের বেশির ভাগ স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিঝড় এবং ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল
নভেম্বর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বঙ্গোপসাগরে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে। নভেম্বর মাস থেকেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করবে। অন্যদিকে, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাগরে দুই থেকে চারটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চল ও হিমালয়ঘেঁষা এলাকাগুলোতে এবার শীতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি অনুভূত হতে পারে। আবহাওয়াবিদদের মতে, উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহী এবারের শীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
‘দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের পথ নির্বাচনে’-সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সোমবার বলেছেন, দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের আগামী পথ এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমাদের অগ্রগতি সম্পূর্ণভাবে আসন্ন নির্বাচনের উপর নির্ভর করবে। এই মন্তব্য তিনি ঢাকার ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে করেন। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আগামী জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা মহড়া এবং ২০২৫-২০২৬ সালের চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী উদযাপন।
সিইসি নাগরিকদের দায়িত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কেমন হবে, এটি আমরা কিভাবে গড়ে তুলব এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব—এ বিষয়গুলো তিনি সারাক্ষণ ভাবছেন। তিনি জানান, এটিকে তিনি ব্যক্তিগত রুটিন কাজ বা চাকরির দায়িত্ব হিসেবে নেননি, বরং এটিকে একটি মিশন ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) আগামী নির্বাচনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সিইসির ভাষ্য, “সংখ্যা ও প্রশিক্ষণের দিক থেকে এটি দেশের সবচেয়ে বড় বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব আনসার বাহিনী পালন করে, যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সর্বাধিক নিয়োজিত থাকেন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি জানান, একযোগে ৭৪টি কেন্দ্রে আনসার বাহিনী এবং ১৩০টি কেন্দ্রে পুলিশ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। তিনি বলেন, “বিশেষ করে সংকটকালীন মুহূর্তে সাধারণ প্রথা অনুসরণ করে কাজ করা যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সমাধান ও কার্যক্রমের জন্য আউট অফ দ্যা ওয়েতে চিন্তা করতে হবে।”
প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মোট প্রায় ১০ লাখ ব্যক্তি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত হবেন। সিইসি বলেন, “সাধারণত যারা নির্বাচনে দায়িত্বে থাকেন, তারা নিজেরা ভোট দিতে পারেন না। এবার আমরা এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি যাতে দায়িত্বে থাকা ভোটাররাও ভোট দিতে সক্ষম হবেন। এজন্য ১৬ নভেম্বর একটি অ্যাপ চালু হবে। এতে ভোটাররা রেজিস্ট্রেশন করে বাড়িতে ব্যালট পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ভোট প্রদান করতে পারবেন। যারা নিজের এলাকার বাইরে থাকবেন, তারাও ভোট দিতে পারবে।”
সিইসি আরও জানান, জেলে থাকা নাগরিকরাও দেশের ভোটার এবং তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাছাড়া প্রবাসী ভোটাররাও এবার ভোট প্রদানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ বিষয়ে তিনি বলেন, “কোনো কিছু শেয়ার করার আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। এই কাজের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষ সেল খুলেছে। প্রয়োজনে ভোটাররা সেখানে যোগাযোগ করে তথ্য যাচাই করতে পারবেন।”
-রফিক
পাঠকের মতামত:
- দুই বন্ধুর ক্ষমতার লড়াইয়ে রক্তগঙ্গা সুদানে: লাশের গন্ধে ভারী বাতাস, দেড় কোটি মানুষ ঘরছাড়া
 - বিচার বিভাগে বড় পরিবর্তন: ২৬৭ জনকে জেলা জজ পদে পদোন্নতি
 - রোজ এক কোয়া কাঁচা রসুন: এক মাস পর শরীরে দেখা যায় ৪টি আশ্চর্য পরিবর্তন
 - কারা পাবেন বিনা হিসাবে জান্নাত? হাদিসের আলোকে জানুন সৌভাগ্যবানদের বিশেষ গুণাবলী
 - শততম টেস্টের হাতছানি মুশফিকের: আয়ারল্যান্ড সিরিজের দল ঘোষণা করল বিসিবি
 - ক্ষমতায় গেলে জনগণ বুঝবে কত ধানে কত চাল, বিএনপিকে হুঁশিয়ারি ফয়জুল করীমের
 - জুলাইয়ে হামলায় জড়িত ৪০৩ ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ নোটিশ দিল ঢাবি
 - রপ্তানি আয়ে বড় ধস; যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কে চাপে পোশাক শিল্প
 - 'জয় বাংলা' বলে মনোনয়ন হারালেন বিএনপি প্রার্থী কামাল জামান
 - খুলনার ৫টি আসনে বিএনপির প্রার্থী যারা
 - বিরাট কোহলির রেকর্ড ছাড়িয়ে ওয়ানডেতে নজির গড়লেন যিনি
 - আপনার সুরক্ষা এখন ক্রোমের হাতে: অনিরাপদ ওয়েবসাইটে ঢুকতে দেবে না নতুন ফিচার
 - বাজারে স্বর্ণের পুনরায় উত্থান, দাম ছুঁতে পারে ৪,০০০ ডলার
 - চেঙ্গিস খানের অজানা গল্প: এক গরীব বালক যেভাবে পৃথিবীর ৪০% মানুষের যমদূত হয়ে উঠেছিল!
 - ৩০০ আসন থেকে সরে এলো এনসিপি; সম্মান জানাল খালেদা জিয়ার আসনকে
 - কালাত জেলায় অভিযান: পাক-বাহিনীর গুলিতে নিহত 'ভারতীয় প্রক্সি বাহিনীর' ৪ সদস্য
 - সুস্থ ও সতেজ থাকতে জিমে যাওয়ার প্রয়োজন নেই: ঘরে বসেই করুন এই ৫টি সহজ ব্যায়াম
 - 'শাপলা কলি' প্রতীকে নিবন্ধন: নির্বাচন কমিশনের তালিকায় জাতীয় নাগরিক পার্টি
 - আইনজীবীর দাবি: অহেতুক হয়রানি করতেই কোমলমতি বর্ষাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
 - উপকূলীয় জেলায় ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত
 - জাতীয় নির্বাচনে চূড়ান্ত নিবন্ধন পেল ৩ দল
 - আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ আবার পেছাল
 - ০৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
 - ০৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
 - ০৪ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
 - বুক জ্বালা কমাতে ওষুধ নয়, ভরসা রাখুন প্রাকৃতিক পানীয়ে; জেনে নিন ৪টি কার্যকর উপায়
 - নির্বাচনে মনোনয়নের পর মির্জা ফখরুল দিলেন 'শেষ নির্বাচনের' বার্তা
 - নির্বাচনে 'না ভোট' বিধান যুক্ত করে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশ জারি
 - ১৫ বছরের সরকারি বন্ড কুপন পেমেন্টের জন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারিত
 - ৫ ও ৬ নভেম্বর বন্ধ থাকবে ২ বছরের সরকারি ট্রেজারি বন্ড
 - রেকর্ড ডেট ঘিরে দুই দিন লেনদেন বন্ধ থাকবে
 - ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড এর ক্রেডিট রেটিং প্রকাশ
 - নির্বাচনে পুলিশি পক্ষপাতিত্ব বরদাস্ত নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার হুঁশিয়ারি
 - ফ্যাসিস্ট খুনি' শেখ হাসিনার বিচারের রায় আসছে: তথ্য উপদেষ্টার ঘোষণা
 - বাংলাদেশকে আল্টিমেটাম: ১১ নভেম্বর থেকে বিদ্যুৎ বন্ধের হুমকি আদানি পাওয়ারের
 - পানি ও খাদ্য নিরাপত্তা: ভবিষ্যতের সম্ভাব্য যুদ্ধের কারণ
 - বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আকাশচুম্বী ভবনের খেতাব মালয়েশিয়ায় যে টাওয়ারের
 - ডিএসই-সিএসইতে সকালের লেনদেনের মধ্যে সূচক বৃদ্ধি
 - আজকের নামাজের সময়সূচি: ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য
 - বিএনপির ৬৩ খালি আসনে যারা পেতে পারেন প্রাধান্য
 - নির্বাচনি অনিয়মের ক্ষেত্রে ইসিকে ব্যাপক ক্ষমতা প্রদান
 - বিনিয়োগকারীদের জন্য ডেব্ট মার্কেটের বর্তমান অবস্থা প্রকাশ
 - মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক বন্ডের নতুন কুপন সময়সীমা ঘোষণা
 - মনোনয়ন ‘অন হোল্ড’; তালিকা থেকে বাদ পড়া নিয়ে মুখ খুললেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
 - ভোটার প্রতি নির্বাচন খরচ যত টাকায় সীমাবদ্ধ
 - প্রতীক বদল বন্ধ: বিএনপি-র দাবির বিপক্ষে সরকারের অধ্যাদেশ
 - ডিভিডেন্ড ঘোষণা করল সানলাইফ ইনস্যুরেন্স
 - খামেনি যুক্তরাষ্ট্রকে দিলেন কড়া শর্তাবলী
 - রিয়াল বনাম লিভারপুল: চ্যাম্পিয়নস লিগে হাইভোল্টেজ লড়াই আজ যখন
 - আজ মঙ্গলবার ঢাকার কোথায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে
 
- ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক সংলাপ: জ্ঞানচর্চায় উপনিবেশের ছায়া কাটাতে আহ্বান বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানীর
 - রাজনীতি, নির্বাসন ও নৈতিকতা: শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার দক্ষিণ এশিয়ার বাস্তবতাকে কোথায় নিচ্ছে
 - ধ্বংসস্তূপ থেকে মহাশক্তি: চীনের পুনর্জন্মের বিস্ময়গাঁথা
 - চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে আবারও পর্দায় পূজা চেরি
 - IFIC ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
 - পূবালী ব্যাংকের Q3 আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ
 - ইতিহাসের পাতায় আজ: ৩০ অক্টোবর - বিজয়, বিপ্লব আর বেদনার দিন
 - ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
 - শেয়ারবাজারে শীর্ষ বিশ শেয়ারের তালিকা প্রকাশ
 - ২৯ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
 - GSP ফাইন্যান্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
 - রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স এর Q3 আর্থিক ফলাফল প্রকাশ
 - ১২১তম ১০০ টাকা প্রাইজবন্ড ড্র, প্রথম পুরস্কার ৬ লাখ টাকা
 - ০৩ নভেম্বর ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
 - গ্রিন সিগন্যাল কী পেল মান্না, নুর, পার্থসহ ১২ জোটনেতা
 
								
                          







