জুলাই ঘোষণাপত্রে ২৮ দফা রাষ্ট্রগঠনের রূপরেখা ঘোষণা

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এ ২৮ দফা রাষ্ট্রচিন্তা: অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রকাশঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন। এতে বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোগত সংকট তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন রাষ্ট্রচিন্তার ২৮টি দিকনির্দেশনা উপস্থাপন করা হয়।
ঘোষণাপত্রে উঠে আসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ব্যর্থতা, রাজনৈতিক শাসনের সংকট ও কাঠামোতান্ত্রিক দুর্বলতার বিষয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও করণীয় স্পষ্টভাবে জানানো হয়।
ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত মূল ২৮ দফা পরিকল্পনা:
১। যেহেতু উপনিবেশ বিরোধী লড়াইয়ের সুদীর্ঘকালের ধারাবাহিকতায় এই ভূখণ্ডের মানুষ দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল;
২। যেহেতু, বাংলাদেশের আপামর জনগণ দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ডে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বিবৃত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে;
৩। যেহেতু স্বাধীন বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন পদ্ধতি, এর কাঠামোগত দুর্বলতা ও অপপ্রয়োগের ফলে স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছিল এবং গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা ক্ষুণ্ণ করেছিল;
৪। যেহেতু স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে বাকশালের নামে সাংবিধানিকভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করে এবং মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশে সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং পরবর্তী সময়ে একদলীয় বাকশাল পদ্ধতির পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনঃপ্রবর্তনের পথ সুগম হয়;
৫। যেহেতু আশির দশকে সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছর ছাত্র-জনতার অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং ১৯৯১ইং সনে পুনরায় সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
৬। যেহেতু দেশী-বিদেশী চক্রান্তে সরকার পরিবর্তনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় ১/১১ -এর ষড়যন্ত্রমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার একচ্ছত্র ক্ষমতা, আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করা হয়;
৭। যেহেতু গত দীর্ঘ ষোল বছরের ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী শাসনব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে এবং একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অতি উগ্র বাসনা চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে সংবিধানের অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক পরিবর্তন করা হয় এবং যার ফলে একদলীয় একচ্ছত্র ক্ষমতা ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়;
৮। যেহেতু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, গুম-খুন, আইন-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং একদলীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করে;
৯। যেহেতু, হাসিনা সরকারের আমলে তারই নেতৃত্বে একটি চরম গণবিরোধী, একনায়কতান্ত্রিক, ও মানবাধিকার হরণকারী শক্তি বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রের রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে;
১০। যেহেতু, তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী নেতৃত্বে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বিগত পতিত দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ ও এর অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং এর পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য ও জলবায়ুকে বিপন্ন করে;
১১। যেহেতু শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণ গত প্রায় ষোল বছর যাবত নিরন্তর গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করে জেল-জুলুম, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়;
১২। যেহেতু বাংলাদেশে বিদেশী রাষ্ট্রের অন্যায় প্রভুত্ব, শোষণ ও খবরদারিত্বের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে বহিঃশক্তির তাবেদার আওয়ামী লীগ সরকার নিষ্ঠুর শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে দমন করে;
১৩। যেহেতু অবৈধভাবে ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন) এদেশের মানুষকে ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত করে;
১৪। যেহেতু, আওয়ামী লীগ আমলে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থী ও তরুণদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয় এবং সরকারী চাকুরীতে একচেটিয়া দলীয় নিয়োগ ও কোটাভিত্তিক বৈষম্যের কারণে ছাত্র, চাকুরী প্রত্যাশী ও নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম হয়;
১৫। যেহেতু বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ওপর চরম নিপীড়নের ফলে দীর্ঘদিন ধরে জনরোষের সৃষ্টি হয় এবং জনগণ সকল বৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই চালিয়ে যায়;
১৬। যেহেতু, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার বিলোপ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ব্যাপক দমন-পীড়ন, বর্বর অত্যাচার ও মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ড চালানো হয়, যার ফলে সারা দেশে দল-মত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়;
১৭। যেহেতু ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে অদম্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ যোগদান করে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাহিনী রাজপথে নারী-শিশুসহ প্রায় এক হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে, অগনিত মানুষ পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করে এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন প্রদান করে;
১৮। যেহেতু, অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের পতন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জনগণ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে, পরবর্তী সময়ে ৫ আগস্ট ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ পরিচালনা করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনরত সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র-জনতা তথা সর্বস্তরের সকল শ্রেণী, পেশার আপামর জনসাধারণের তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণভবনমুখী জনতার উত্তাল যাত্রার মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়;
১৯। যেহেতু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবেলায় গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগ রাজনৈতিক ও আইনি উভয় দিক থেকে যুক্তিসঙ্গত, বৈধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত;
২০। যেহেতু জনগণের দাবি অনুযায়ী এরপর অবৈধ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রীম কোর্টের মতামতের আলোকে সাংবিধানিকভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে একটি অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করা হয়;
২১। যেহেতু, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের ফ্যাসিবাদবিরোধী তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়;
২২। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ, আইনের শাসন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিদ্যমান সংবিধান ও সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে;
২৩। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ বিগত ষোল বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম কালে এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালীন সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও সকল ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধসমূহের দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে;
২৪। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গনঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।
২৫। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ যুক্তিসঙ্গত সময়ে আয়োজিতব্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রতিশ্রুত প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।
২৬। সেহেতু বাংলাদেশের জনগণ এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে যে একটি পরিবেশ ও জলবায়ু সহিষ্ণু অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন কৌশলের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অধিকার সংরক্ষিত হবে।
২৭। বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।
২৮। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এই ঘোষণাপত্র প্রনয়ণ করা হলো।
এই ২৮টি ঘোষণার মধ্য দিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সংকট থেকে উত্তরণের একটি বিকল্প রূপরেখা এবং গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময় ড. ইউনূস বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ তরুণদের হাতে। নতুন প্রজন্মকে এই রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।”
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, তরুণ প্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
/আশিক
আজ ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না, জেনে নিন কোন কোন এলাকা প্রভাবিত হবে
পাইপলাইনের জরুরি মেরামত কাজের জন্য শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে পরবর্তী ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ কারণে নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা এবং মুন্সিগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল ভালভ স্টেশনগামী ১০ ইঞ্চি, ১২ ইঞ্চি ও ১৪ ইঞ্চি মুখ্য বিতরণ পাইপ লাইনের অংশবিশেষ বিচ্ছিন্নকরণ এবং মেরামতের কাজ করা হবে। এর ফলে ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা থেকে ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহর, সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, দেলপাড়া, পাগলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, মোক্তারপুর এবং মুন্সিগঞ্জ এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়া, আশেপাশের এলাকাগুলোতেও গ্যাসের স্বল্পচাপ থাকতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে।
জুলাই-আগস্টে ৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন হার একেবারেই শূন্য
চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে প্রথম দুই মাসে ৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কোনো প্রকল্পেই এক টাকাও খরচ করতে পারেনি। এই দুই মাসে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও তাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ‘শূন্য’ দেখা গেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
এডিপি বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকা এই পাঁচ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ হলো—জননিরাপত্তা বিভাগ, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং সংসদ সচিবালয়।
আইএমইডির তথ্য অনুযায়ী, এই পাঁচ মন্ত্রণালয় ও বিভাগে মোট বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ১৮২ কোটি টাকা। এর মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের ১৪টি প্রকল্পে ১ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০টি প্রকল্পে ৮৬৭ কোটি টাকা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৪ প্রকল্পে ১২১ কোটি টাকা, দুদকের ২ প্রকল্পে প্রায় ১০ কোটি টাকা এবং সংসদ সচিবালয়ের ২ প্রকল্পে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ থাকলেও জুলাই ও আগস্ট মাসে কোনো অর্থই খরচ করা হয়নি।
চলতি অর্থবছরে সরকার মোট ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৯৫ কোটি টাকার এডিপি হাতে নিয়েছে, যার আওতায় ১ হাজার ১৯৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। প্রথম দুই মাসে সামগ্রিক এডিপি বাস্তবায়ন হার মাত্র ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। এ সময়ে মোট ব্যয় হয়েছে ৫ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা কম।
বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বাংলাদেশ-চীন কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীন তাদের কৌশলগত সহযোগিতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, এই সহযোগিতা উভয় দেশ ও বিশ্বের জনগণের জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও সুখ বয়ে আনবে। বুধবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে চীনা দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
চীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও প্রশংসা
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের প্রতি চীনের দীর্ঘস্থায়ী আস্থা, সহায়তা ও সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন এবং দারিদ্র্য বিমোচনের মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সাফল্যের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে, তিনি গ্লোবাল সাউথ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি চীনের অবদানের কথাও তুলে ধরেন। অধ্যাপক ইউনূস চীনকে বাংলাদেশের 'সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার' হিসেবে উল্লেখ করেন।
চীনা রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য
চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ২০২৫ সাল কেবল চীনের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নয়, বরং জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকীও। তিনি বিশ্ব শান্তিতে চীনের ত্যাগের কথা স্মরণ করে বলেন, চীন এখন শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে একটি শক্তিশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। তিনি আরও বলেন, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে দেশটি নিরঙ্কুশ দারিদ্র্য দূরীকরণের অলৌকিক সাফল্য অর্জন করেছে।
ইয়াও ওয়েন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের গ্লোবাল গভর্নেন্স ইনিশিয়েটিভের ওপরও জোর দেন এবং বলেন, চীন বাংলাদেশের আধুনিকায়নের যাত্রায় সহায়তা অব্যাহত রাখতে এবং ভবিষ্যতে একটি নতুন অধ্যায় লিখতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, দুই দেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা এবং সমান সহযোগিতার ভিত্তিতে ‘ভালো প্রতিবেশী, আন্তরিক বন্ধু ও নির্ভরযোগ্য অংশীদার’ হয়ে থাকবে।
অন্যান্য অতিথিদের মন্তব্য
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের উন্নয়ন অবকাঠামো, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্যসেবায় চীনের অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা বাংলাদেশের জনগণের জন্য বাস্তব সুবিধা নিয়ে এসেছে। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে গভীর বন্ধন তৈরি হয়েছে এবং বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক এখন সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
অনুষ্ঠানে বিমানবাহিনী প্রধানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, বিদেশি কূটনীতিক, শিক্ষাবিদ এবং মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ ৬০০ জনেরও বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি অতিথিরা চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি এবং জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপনের প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন।
টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নতুন বিতর্ক, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
ব্রিটিশ লেবার পার্টির এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটি দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন রয়েছে। দ্য টাইমস-এর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি অতীতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছেন। ঢাকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে টিউলিপের অতীতের বক্তব্যের সঙ্গে নতুন এই তথ্য সাংঘর্ষিক বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।
বাংলাদেশি পরিচয়পত্রের রেকর্ড
বাংলাদেশি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যৌথ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দ্য টাইমস জানিয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে ১৯ বছর বয়সে লন্ডনে একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। এছাড়া, ২০১১ সালের জানুয়ারিতে তার নামে একটি বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রও ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশের পাসপোর্ট অফিস এবং নির্বাচন কমিশনের ডেটাবেইসেও এ সংক্রান্ত রেকর্ড পাওয়া গেছে। উভয় ক্ষেত্রেই তার স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে ঢাকার ধানমণ্ডির একটি বাড়ি, যা তার খালা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মালিকানাধীন।
অভিযোগ ও অস্বীকার
দ্য টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, টিউলিপ সিদ্দিক বারবার দাবি করেছেন যে তিনি কোনো বাংলাদেশি পরিচয়পত্র পাননি এবং শৈশবের পর থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টও ব্যবহার করেননি। এমনকি গত আগস্টে তার আইনজীবী স্টিফেনসন হারউডও ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছিলেন যে টিউলিপ কখনো বাংলাদেশি পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি পাননি।
তবে এসব নথির বিষয়ে নতুন তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর টিউলিপ সিদ্দিক এবং তার দল (লেবার পার্টি) বিষয়টিকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছে। তাদের দাবি, এসব নথি জাল এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র করছে।
আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী বা বাংলাদেশি পিতা-মাতার সন্তান স্বয়ংক্রিয়ভাবে নাগরিকত্ব পান। টিউলিপ ব্রিটেনে জন্মগ্রহণ করলেও তার মা-বাবা উভয়ই বাংলাদেশি হওয়ায় তিনি দ্বৈত নাগরিকত্বের অধিকারী। তবে তিনি বারবার নিজেকে শুধু ব্রিটিশ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। ২০১৭ সালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমি ব্রিটিশ এমপি, আমি বাংলাদেশি নই।”
মামলা ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বর্তমানে বাংলাদেশে একটি দুর্নীতি মামলা চলছে। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি তার খালা শেখ হাসিনার প্রভাব খাটিয়ে মা ও ভাই-বোনদের জন্য জমি বরাদ্দ নিয়েছিলেন। টিউলিপ অবশ্য এই অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম দ্য টাইমসকে জানিয়েছেন, টিউলিপের পাসপোর্ট, এনআইডি এবং ট্যাক্স আইডির রেকর্ড পাওয়া গেছে। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেনও এই নথিগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচন কমিশনও ডেটাবেইস মিলিয়ে তথ্যটি যাচাই করেছে।
২০১১ সালে যখন টিউলিপের এনআইডি ও পাসপোর্ট ইস্যু হয়েছিল, তখন তাকে ঢাকায় বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে এবং খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে জাতিসংঘ অধিবেশন ও মস্কো সফরেও দেখা গিয়েছিল।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের অ্যান্টি-করাপশন মন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। একটি তদন্তে উঠে এসেছিল যে, তার পারিবারিক রাজনৈতিক যোগসূত্র লেবার সরকারের ভাবমূর্তিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। যদিও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমর্থন তার প্রতি ছিল। টিউলিপ তখন দাবি করেছিলেন, তিনি সরকারের সুনাম রক্ষার স্বার্থে পদত্যাগ করেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের মুখপাত্র এখনো তার আগের অবস্থানে অনড় রয়েছেন। তিনি বলেন, প্রায় এক বছর ধরে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। তাদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই তাকে জড়িয়ে নথি জাল করা হচ্ছে এবং ব্রিটিশ সরকারের উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসও তাকে নির্দোষ প্রমাণ করেছেন।
নতুন করে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও এনআইডি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের পর টিউলিপ সিদ্দিকের নাগরিকত্ব এবং রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর: আগামী বইমেলার তারিখ ঘোষণা
সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অমর একুশে বইমেলা অনুষ্ঠিত হলেও ২০২৬ সালের বইমেলার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। আগামী বছর জাতীয় নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে মেলাটি এক মাস এগিয়ে আনা হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মেলা শুরু হবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর এবং চলবে ২০২৬ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলা একাডেমির শহীদ মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ এর তারিখ নির্ধারণ সংক্রান্ত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। সভায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং পবিত্র রমজান মাসকে বিবেচনায় নিয়ে এই সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সভায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক, সচিব ও পরিচালকরাসহ বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের বইমেলার চিত্র
চলতি বছরের বইমেলা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়। মেলায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মোট ৭০৮টি প্রতিষ্ঠানকে ১,০৮৪টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে বাংলা একাডেমিসহ ৩৭টি প্রতিষ্ঠান প্যাভিলিয়ন পেয়েছিল। শিশুদের জন্য ৭৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ বছর মেলায় মোট ৩,২৯৯টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছিল। মেলায় সব প্রতিষ্ঠানের বই ২৫ শতাংশ কমিশনে বিক্রি হয়। বাংলা একাডেমি একাই ২৭ দিনে ৬১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৩ টাকার বই বিক্রি করেছে।
চলতি বছর মেলায় বিভিন্ন সাহিত্য পুরস্কারও প্রদান করা হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য—সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ সাহিত্য পুরস্কার, কবি জসীমউদদীন সাহিত্য পুরস্কার এবং বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত ‘গুণীজন স্মৃতি পুরস্কার’।
সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ১৭ সেপ্টেম্বর একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা তাদের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা অংশীদারিত্বকে আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। আঞ্চলিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে এই চুক্তি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা সমীকরণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বাংলাদেশি আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, সৌদি আরব ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি মুসলিম বিশ্বের জন্য ইতিবাচক অগ্রগতি। তিনি মন্তব্য করেন, এখন থেকে সৌদি আরব বা পাকিস্তান আক্রান্ত হলে সেটিকে উভয় দেশ নিজেদের ওপর আগ্রাসন হিসেবে দেখবে এবং যৌথভাবে জবাব দেবে। তার মতে, মুসলিম দেশগুলোর সামনে এমন চুক্তি ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উপসাগরীয় আরব দেশগুলো দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সেই নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কাতারে ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলা সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে সৌদি আরব বিকল্প নিরাপত্তা সহযোগিতা খুঁজছে, যেখানে পাকিস্তানের সামরিক শক্তি ও বিশেষ করে তার পারমাণবিক সক্ষমতা তাৎপর্য বহন করছে।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এক সৌদি কর্মকর্তা বলেন, এই চুক্তি কোনো একক ঘটনার প্রতিক্রিয়া নয়, বরং বহু বছরের আলোচনার ফলাফল। তিনি জানান, চুক্তি অনুযায়ী সৌদি আরব বা পাকিস্তানের যেকোনো এক দেশের ওপর হামলা হলে সেটিকে অন্য দেশের ওপরও হামলা হিসেবে ধরা হবে। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ফুটেজে দেখা যায়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান একে অপরকে আলিঙ্গন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যিনি দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, এই চুক্তি দুই দেশের নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে এবং যৌথ প্রতিরোধ সক্ষমতা গড়ে তোলার অংশ। তবে সৌদি এক কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, যা আরেকটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, তার সঙ্গে সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সৌদি সম্পর্ক বর্তমানে ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে এবং সৌদি আরব এই সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায়, যাতে আঞ্চলিক শান্তিতে অবদান রাখা যায়।
পাকিস্তান কি সৌদি আরবকে পারমাণবিক নিরাপত্তা বা তথাকথিত ‘নিউক্লিয়ার আমব্রেলা’ প্রদান করবে কিনা—এমন প্রশ্নের উত্তরে সৌদি কর্মকর্তা জানান, এটি একটি সর্বাত্মক প্রতিরক্ষা চুক্তি, যেখানে সব ধরনের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এর ফলে দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও গভীর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের প্রায় ৭০ শতাংশ কেনাকাটা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ইসি সচিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ব্যবহৃত মূল সরঞ্জামগুলোর মধ্যে স্বচ্ছ ব্যালট বক্সের লক, অফিসিয়াল সিল, মার্কিং সিল, ব্রাস সিল, হেসিয়ান বড় ব্যাগ, হেসিয়ান ছোট ব্যাগ এবং গানি ব্যাগ কেনা সম্পন্ন হয়েছে। এসবের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচন সামগ্রী সংগ্রহের কাজ এখনো চলমান। প্রাথমিকভাবে ১০ ধরনের সরঞ্জাম এবং কিছু স্থানীয় ক্রয় বাকি রয়েছে। তবে সেগুলোও দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে। বর্তমানে মোট প্রয়োজনীয় সামগ্রীর প্রায় ৭০ শতাংশ ক্রয় শেষ হয়েছে এবং সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই অবশিষ্ট অংশ সংগ্রহের কাজ শেষ হয়ে যাবে।
আখতার আহমেদ বলেন, নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে কোনো ধরনের সংকট বা জটিলতা তৈরি হবে না। সরবরাহ ব্যবস্থাও যথাযথভাবে কার্যকর রয়েছে। বরং নিশ্চিতভাবে বলা যায়, সেপ্টেম্বরেই যাবতীয় সামগ্রী নির্বাচন কমিশনের হাতে এসে পৌঁছাবে। তাই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সরঞ্জাম সরবরাহের বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিত বা “স্ট্যাবলিশড” হয়ে গেছে।
শুক্রবার রাতে গ্যাস থাকবে না হাজারো গ্রাহকের ঘরে
পাইপলাইনের গুরুত্বপূর্ণ অংশে জরুরি মেরামতকাজের কারণে নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় টানা ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ তথ্য বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এক সরকারি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ডেমরা-সিদ্ধিরগঞ্জ-গোদনাইল ভাল্ভ স্টেশনের সঙ্গে যুক্ত ১০, ১২ এবং ১৪ ইঞ্চি ব্যাসের মুখ্য বিতরণ পাইপলাইনের একটি অংশ বিচ্ছিন্ন করার প্রয়োজনীয় মেরামতকাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এ কাজের জন্য আগামী শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ৮ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এ সময়ে নারায়ণগঞ্জ শহর ও আশপাশের সিদ্ধিরগঞ্জ, মৌচাক, দেলপাড়া, পাগলা, ফতুল্লা, পঞ্চবটি, মোক্তারপুর এবং মুন্সিগঞ্জ এলাকার সব শ্রেণির গ্রাহক – আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প কারখানার ব্যবহারকারীরা গ্যাস সরবরাহ থেকে সম্পূর্ণ বঞ্চিত থাকবেন। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কিছু এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ অনুভূত হতে পারে বলে সম্ভাব্য ভোক্তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
তিতাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সময়সীমায় গ্রাহকরা সাময়িক ভোগান্তির শিকার হতে পারেন। তবে জরুরি মেরামতের কাজটি শেষ করা অত্যাবশ্যক হওয়ায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদের অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
-রফিক
শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি তার জবানবন্দিতে দাবি করেন, গত বছরের ৪ আগস্ট নতুন সরকার গঠনের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল এবং তাকে নতুন সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চে এই জবানবন্দি দেন নাহিদ।
জবানবন্দিতে নাহিদ ইসলাম বলেন, গত বছরের ৪ আগস্ট পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তারা শাহবাগে অবস্থান ও বিক্ষোভ করেন। ওই দিনই ৬ আগস্ট ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। তবে সরকার দেশব্যাপী ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে কারফিউ জারি করে। তিনি জানতে পারেন, সরকার ৬ আগস্টের কর্মসূচি ব্যর্থ করার উদ্দেশ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিল। মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া এবং নেতাকর্মীদের হত্যা বা গুম করার পরিকল্পনা ছিল সরকারের। তাই তারা কর্মসূচি একদিন এগিয়ে ৫ আগস্ট নির্ধারণ করেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক নাহিদ ইসলাম এই মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিলেন। তার জবানবন্দির পরেই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
পাঠকের মতামত:
- আজ ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না, জেনে নিন কোন কোন এলাকা প্রভাবিত হবে
- মাদক ইস্যুতে এবার ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর পদক্ষেপ
- চিয়া সিড খাচ্ছেন? এই ৫টি খাবার এর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিপদ!
- ইয়েমেন থেকে ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে
- জুলাই-আগস্টে ৫ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রকল্প বাস্তবায়ন হার একেবারেই শূন্য
- চট্টগ্রামের রাউজানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিঃস্ব ১৩ পরিবার
- দেখে নিন সুপার ফোরে বাংলাদেশের টানা তিন ম্যাচের সময়সূচি
- জুমার দিনে মসজিদে কাঁধ ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া কেন নিষিদ্ধ?
- নেপালে নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রবাসীরাও পাবেন ভোটের অধিকার
- বরিশালে এনসিপি নেতাদের জন্য ‘লাল কার্ড’ শিক্ষার্থীদের
- কোলেস্টেরল বাড়ছে? মাত্র ১ মাসেই নিয়ন্ত্রণে আনার উপায়
- গাজায় হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত: ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়েও প্রাণহানি
- বাংলাদেশ ও চীন হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাবে: অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
- পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতেই হবে: ফয়জুল করীম
- দেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর: রেমিট্যান্স প্রবাহে আবারও রেকর্ড
- টিউলিপ সিদ্দিককে ঘিরে নতুন বিতর্ক, নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন
- শাকিবের বিপরীতে ঢালিউডে অভিষেকের পথে পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির
- বিরল ‘মস্তিষ্ক-খেকো’ অ্যামিবার বিস্তার, কেরালায় স্বাস্থ্য সতর্কতা
- নুরের শারীরিক অবস্থা নিয়ে জরুরি বার্তা
- স্মার্টফোনের পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন? ঘরে বসেই সমাধান করার উপায়
- গাজার পর এবার পূর্ব জেরুজালেমকে ঘিরে ফেলছে ইসরায়েল
- বাউফলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আটক, ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা
- চাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল ঘোষণা
- মোদি সরকারের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
- বইপ্রেমীদের জন্য সুখবর: আগামী বইমেলার তারিখ ঘোষণা
- অবহেলা নয়: ক্যান্সারের ৫টি প্রাথমিক উপসর্গ, যা জানা জরুরি
- বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো আইন করবে না: মেজর হাফিজ
- আলোচনার সময় কর্মসূচি দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য শুভ নয়: মির্জা ফখরুল
- আমীর খসরু: নির্বাচিত সরকার ছাড়া অস্থিতিশীলতা কাটবে না
- সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আসিফ নজরুলের পোস্ট
- জাতীয় নির্বাচন: ৭০% সরঞ্জাম কেনা শেষ
- সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ, নাহিদ ইসলামের জেরা অব্যাহত ট্রাইব্যুনালে
- শুক্রবার রাতে গ্যাস থাকবে না হাজারো গ্রাহকের ঘরে
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানি
- ব্লক মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের দাপট
- ১৮ সেপ্টেম্বরের শেয়ারবাজার বিশ্লেষণ প্রতিবেদন
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে ১০টি শেয়ারে বড় দরপতন
- ১৮ সেপ্টেম্বর লেনদেনে উত্থান যে ১০ টি শেয়ারে
- জনগণের আস্থা পূরণে ব্যর্থ অন্তর্বর্তী সরকার: রাশেদ খান
- রানরেটের কঠিন অঙ্ক: আবুধাবির মাঠে আজ বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারিত হবে
- চবিতে ছাত্রদলের নির্বাচনী প্যানেল ঘোষণা
- শাহবাগ বিক্ষোভ ও মার্চ টু ঢাকা প্রসঙ্গে নাহিদের বিস্ফোরক তথ্য
- পুজোর আগে চড়া দামে ইলিশ: কলকাতায় বাংলাদেশের ইলিশের দাম কত?
- আজ বিশ্ব বাঁশ দিবস
- দাফনের সময় নড়ে উঠল নবজাতক, চাঞ্চল্যকর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল
- নিষিদ্ধ দলের লোকজনকে বাসা ভাড়া নয়, চট্টগ্রামে পুলিশের মাইকিং
- ডিএসই প্রকাশ করল মার্জিনযোগ্য সিকিউরিটিজ তালিকা
- বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় ভারতেরও ব্যাপার: নির্বাচন নিয়ে শ্রিংলার কড়া বার্তা
- ১৮ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজার চিত্র
- সার্কিট ব্রেকারে আটকালো ইসলামী ব্যাংক ও বেক্সিমকো শেয়ার
- এফটির তথ্যচিত্র: শেখ হাসিনার আমলে বাংলাদেশের হারানো বিলিয়ন ডলারের গল্প
- উন্নয়ন, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতি: জাপান–বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সমীকরণ
- অটোমান সাম্রাজ্যের ইতিহাস: উত্থান, পতন ও সভ্যতা–বিজ্ঞানে অবদান
- নেপালে অন্তর্বর্তী সরকার, নেতৃত্বে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি
- গ্রেফতার বিএনপি নেতা হাজতে সিগারেট–ফোনে ব্যস্ত, ফাঁস হলো ছবি
- বরিশালে ১৭ বিয়ে কাণ্ড: বন কর্মকর্তা কবির হোসেন বরখাস্ত
- বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা: আইনি প্রতিকার ও প্রতিরোধমূলক কৌশল
- জাকসু নির্বাচনী দায়িত্বে শিক্ষকের মৃত্যু
- ১৩তম জাতীয় নির্বাচনের আগে ইসি’র নতুন সীমানা, ভোটারদের উদ্বেগ বহাল
- আদালত চত্বরে ব্যারিস্টার সুমনের বারবার উচ্চারণ: ‘ভালো থাকুক বাংলাদেশ’
- নেপালের গণঅভ্যুত্থান থেকে বাংলাদেশের শিক্ষা: বৈধতার সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আগামীর চ্যালেঞ্জ
- তারেক জিয়ার কেন দেশে ফেরা কেন জরুরি?
- ভদ্রতার নিয়ম ভাঙল ভারত, ক্ষুব্ধ পাকিস্তান
- শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনামলে অর্থ পাচারের অভিযোগে নতুন করে আলোড়ন
- যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে ভারতীয় প্রৌঢ় খুন: অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা ট্রাম্পের