জুলাই ঘোষণাপত্রে ২৮ দফা রাষ্ট্রগঠনের রূপরেখা ঘোষণা  

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৫ ১৭:৪৩:১৭
জুলাই ঘোষণাপত্রে ২৮ দফা রাষ্ট্রগঠনের রূপরেখা ঘোষণা
 

‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এ ২৮ দফা রাষ্ট্রচিন্তা: অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রকাশঐতিহাসিক ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করেন। এতে বর্তমান রাষ্ট্রব্যবস্থার কাঠামোগত সংকট তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন রাষ্ট্রচিন্তার ২৮টি দিকনির্দেশনা উপস্থাপন করা হয়।

ঘোষণাপত্রে উঠে আসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ব্যর্থতা, রাজনৈতিক শাসনের সংকট ও কাঠামোতান্ত্রিক দুর্বলতার বিষয়। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি ও করণীয় স্পষ্টভাবে জানানো হয়।

ঘোষণাপত্রে উল্লিখিত মূল ২৮ দফা পরিকল্পনা:

১। যেহেতু উপনিবেশ বিরোধী লড়াইয়ের সুদীর্ঘকালের ধারাবাহিকতায় এই ভূখণ্ডের মানুষ দীর্ঘ ২৩ বছর পাকিস্তানের স্বৈরশাসকদের বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল এবং নির্বিচার গণহত্যার বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণা করে জাতীয় মুক্তির লক্ষ্যে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল;

২। যেহেতু, বাংলাদেশের আপামর জনগণ দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই ভূখণ্ডে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বিবৃত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের ভিত্তিতে উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছে;

৩। যেহেতু স্বাধীন বাংলাদেশের ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রণয়ন পদ্ধতি, এর কাঠামোগত দুর্বলতা ও অপপ্রয়োগের ফলে স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযুদ্ধের জনআকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছিল এবং গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকারিতা ক্ষুণ্ণ করেছিল;

৪। যেহেতু স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীনতার মূলমন্ত্র গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার বিপরীতে বাকশালের নামে সাংবিধানিকভাবে একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করে এবং মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করে, যার প্রতিক্রিয়ায় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর দেশে সিপাহী-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং পরবর্তী সময়ে একদলীয় বাকশাল পদ্ধতির পরিবর্তে বহুদলীয় গণতন্ত্র, মতপ্রকাশ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনঃপ্রবর্তনের পথ সুগম হয়;

৫। যেহেতু আশির দশকে সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয় বছর ছাত্র-জনতার অবিরাম সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯০ সালের গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয় এবং ১৯৯১ইং সনে পুনরায় সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।

৬। যেহেতু দেশী-বিদেশী চক্রান্তে সরকার পরিবর্তনের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ায় ১/১১ -এর ষড়যন্ত্রমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার একচ্ছত্র ক্ষমতা, আধিপত্য ও ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করা হয়;

৭। যেহেতু গত দীর্ঘ ষোল বছরের ফ্যাসিবাদী, অগণতান্ত্রিক এবং গণবিরোধী শাসনব্যবস্থা কায়েমের লক্ষ্যে এবং একদলীয় রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অতি উগ্র বাসনা চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে সংবিধানের অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক পরিবর্তন করা হয় এবং যার ফলে একদলীয় একচ্ছত্র ক্ষমতা ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়;

৮। যেহেতু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের দুঃশাসন, গুম-খুন, আইন-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং একদলীয় স্বার্থে সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তন বাংলাদেশের সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে ধ্বংস করে;

৯। যেহেতু, হাসিনা সরকারের আমলে তারই নেতৃত্বে একটি চরম গণবিরোধী, একনায়কতান্ত্রিক, ও মানবাধিকার হরণকারী শক্তি বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিবাদী, মাফিয়া এবং ব্যর্থ রাষ্ট্রের রূপ দিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে;

১০। যেহেতু, তথাকথিত উন্নয়নের নামে শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী নেতৃত্বে সীমাহীন দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের মধ্য দিয়ে বিগত পতিত দুর্নীতিবাজ আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশ ও এর অমিত অর্থনৈতিক সম্ভাবনাকে বিপর্যস্ত করে তোলে এবং এর পরিবেশ, প্রাণবৈচিত্র্য ও জলবায়ুকে বিপন্ন করে;

১১। যেহেতু শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল, ছাত্র ও শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণ গত প্রায় ষোল বছর যাবত নিরন্তর গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করে জেল-জুলুম, হামলা-মামলা, গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়;

১২। যেহেতু বাংলাদেশে বিদেশী রাষ্ট্রের অন্যায় প্রভুত্ব, শোষণ ও খবরদারিত্বের বিরুদ্ধে এদেশের মানুষের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে বহিঃশক্তির তাবেদার আওয়ামী লীগ সরকার নিষ্ঠুর শক্তিপ্রয়োগের মাধ্যমে দমন করে;

১৩। যেহেতু অবৈধভাবে ক্ষমতা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচন) এদেশের মানুষকে ভোটাধিকার ও প্রতিনিধিত্ব থেকে বঞ্চিত করে;

১৪। যেহেতু, আওয়ামী লীগ আমলে ভিন্নমতের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, শিক্ষার্থী ও তরুণদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করা হয় এবং সরকারী চাকুরীতে একচেটিয়া দলীয় নিয়োগ ও কোটাভিত্তিক বৈষম্যের কারণে ছাত্র, চাকুরী প্রত্যাশী ও নাগরিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের জন্ম হয়;

১৫। যেহেতু বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের ওপর চরম নিপীড়নের ফলে দীর্ঘদিন ধরে জনরোষের সৃষ্টি হয় এবং জনগণ সকল বৈধ প্রক্রিয়া অবলম্বন করে ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াই চালিয়ে যায়;

১৬। যেহেতু, সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার বিলোপ ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক ব্যাপক দমন-পীড়ন, বর্বর অত্যাচার ও মানবতাবিরোধী হত্যাকাণ্ড চালানো হয়, যার ফলে সারা দেশে দল-মত নির্বিশেষে ছাত্র-জনতার উত্তাল গণবিক্ষোভ গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়;

১৭। যেহেতু ফ্যাসিস্ট শক্তির বিরুদ্ধে অদম্য ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দল, ধর্মীয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, শ্রমিক সংগঠনসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষ যোগদান করে এবং আওয়ামী ফ্যাসিবাদী বাহিনী রাজপথে নারী-শিশুসহ প্রায় এক হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে, অগনিত মানুষ পঙ্গুত্ব ও অন্ধত্ব বরণ করে এবং আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে সামরিক বাহিনীর সদস্যগণ জনগণের গণতান্ত্রিক লড়াইকে সমর্থন প্রদান করে;

১৮। যেহেতু, অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারের পতন, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জনগণ অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে, পরবর্তী সময়ে ৫ আগস্ট ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ পরিচালনা করে এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনরত সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র-জনতা তথা সর্বস্তরের সকল শ্রেণী, পেশার আপামর জনসাধারণের তীব্র আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে গণভবনমুখী জনতার উত্তাল যাত্রার মুখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়;

১৯। যেহেতু বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট মোকাবেলায় গণঅভ্যূত্থানের মধ্য দিয়ে ব্যক্ত জনগণের সার্বভৌমত্বের প্রত্যয় ও প্রয়োগ রাজনৈতিক ও আইনি উভয় দিক থেকে যুক্তিসঙ্গত, বৈধ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত;

২০। যেহেতু জনগণের দাবি অনুযায়ী এরপর অবৈধ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়া হয় এবং সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রীম কোর্টের মতামতের আলোকে সাংবিধানিকভাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ৮ আগস্ট ২০২৪ তারিখে একটি অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠন করা হয়;

২১। যেহেতু, বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণের ফ্যাসিবাদবিরোধী তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ, বৈষম্য ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণের অভিপ্রায় প্রকাশিত হয়;

২২। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ সুশাসন ও সুষ্ঠু নির্বাচন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি রোধ, আইনের শাসন এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বিদ্যমান সংবিধান ও সকল রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক সংস্কার সাধনের অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে;

২৩। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ বিগত ষোল বছরের দীর্ঘ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন-সংগ্রাম কালে এবং ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানকালীন সময়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক সংঘটিত গুম-খুন, হত্যা, গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও সকল ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন এবং রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি লুণ্ঠনের অপরাধসমূহের দ্রুত উপযুক্ত বিচারের দৃঢ় অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে;

২৪। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গনঅভ্যুত্থানের সকল শহীদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহীদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

২৫। সেহেতু, বাংলাদেশের জনগণ যুক্তিসঙ্গত সময়ে আয়োজিতব্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ একটি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত জাতীয় সংসদে প্রতিশ্রুত প্রয়োজনীয় সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে দেশের মানুষের প্রত্যাশা, বিশেষত তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইনের শাসন ও মানবাধিকার, দুর্নীতি, শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন ও মূল্যবোধসম্পন্ন সমাজ এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।

২৬। সেহেতু বাংলাদেশের জনগণ এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে যে একটি পরিবেশ ও জলবায়ু সহিষ্ণু অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়ন কৌশলের মাধ্যমে বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মের অধিকার সংরক্ষিত হবে।

২৭। বাংলাদেশের জনগণ এই অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে যে, ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে।

২৮। ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসেবে এই ঘোষণাপত্র প্রনয়ণ করা হলো।

এই ২৮টি ঘোষণার মধ্য দিয়ে বর্তমান রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় সংকট থেকে উত্তরণের একটি বিকল্প রূপরেখা এবং গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ সময় ড. ইউনূস বলেন, “দেশের ভবিষ্যৎ তরুণদের হাতে। নতুন প্রজন্মকে এই রাষ্ট্র গঠনে এগিয়ে আসতে হবে।”

অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, তরুণ প্রতিনিধি ও মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

/আশিক


৪ ডিগ্রিতে নামবে পারদ: আসছে হাড় কাঁপানো তীব্র শীত

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৮:৩৩:৩৪
৪ ডিগ্রিতে নামবে পারদ: আসছে হাড় কাঁপানো তীব্র শীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন শীত মৌসুমে দেশজুড়ে একের পর এক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি নভেম্বর মাস থেকে জানুয়ারির মধ্যে অন্তত ১০টি শৈত্যপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে, যার মধ্যে ৩টি শৈত্যপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করার আশঙ্কা রয়েছে।

রবিবার রাতে প্রকাশিত এই মৌসুমি পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবারের শীতকাল স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা দীর্ঘ এবং বেশি শীতল হতে পারে। শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশা, বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার ব্যাপক ওঠানামা দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় তীব্রভাবে প্রভাব ফেলবে।

তাপমাত্রা ও শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, এবারের শীতে ৪ থেকে ৭টি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে, যেখানে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে আসতে পারে। এর মধ্যে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সময় থার্মোমিটারের পারদ নেমে যেতে পারে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।

আবহাওয়াবিদ মমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে।

মৌসুমি পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত হতে পারে মৌসুমের সবচেয়ে ঠাণ্ডা সময়। এ সময় দেশের বেশির ভাগ স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বইবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বৃষ্টিপাত, ঘূর্ণিঝড় এবং ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল

নভেম্বর মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বঙ্গোপসাগরে ৩টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা আছে। নভেম্বর মাস থেকেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে শুরু করবে। অন্যদিকে, নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাগরে দুই থেকে চারটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চল ও হিমালয়ঘেঁষা এলাকাগুলোতে এবার শীতের প্রভাব সবচেয়ে বেশি অনুভূত হতে পারে। আবহাওয়াবিদদের মতে, উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মধ্যে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নওগাঁ, নাটোর ও রাজশাহী এবারের শীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।


‘দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের পথ নির্বাচনে’-সিইসি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৭:০৮:৫৬
‘দেশ সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, গণতন্ত্রের পথ নির্বাচনে’-সিইসি
ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সোমবার বলেছেন, দেশের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি প্রতিফলিত হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, জাতি ও রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের আগামী পথ এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আমাদের অগ্রগতি সম্পূর্ণভাবে আসন্ন নির্বাচনের উপর নির্ভর করবে। এই মন্তব্য তিনি ঢাকার ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে করেন। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আগামী জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্র নিরাপত্তা মহড়া এবং ২০২৫-২০২৬ সালের চতুর্থ ধাপের আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী উদযাপন।

সিইসি নাগরিকদের দায়িত্বের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ কেমন হবে, এটি আমরা কিভাবে গড়ে তুলব এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব—এ বিষয়গুলো তিনি সারাক্ষণ ভাবছেন। তিনি জানান, এটিকে তিনি ব্যক্তিগত রুটিন কাজ বা চাকরির দায়িত্ব হিসেবে নেননি, বরং এটিকে একটি মিশন ও চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী (ভিডিপি) আগামী নির্বাচনে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সিইসির ভাষ্য, “সংখ্যা ও প্রশিক্ষণের দিক থেকে এটি দেশের সবচেয়ে বড় বাহিনী। ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব আনসার বাহিনী পালন করে, যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সর্বাধিক নিয়োজিত থাকেন। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে তাদের দায়িত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

নির্বাচনের প্রস্তুতি বিষয়ে তিনি জানান, একযোগে ৭৪টি কেন্দ্রে আনসার বাহিনী এবং ১৩০টি কেন্দ্রে পুলিশ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে। তিনি বলেন, “বিশেষ করে সংকটকালীন মুহূর্তে সাধারণ প্রথা অনুসরণ করে কাজ করা যথেষ্ট নয়। আমাদেরকে প্রয়োজনীয় সমাধান ও কার্যক্রমের জন্য আউট অফ দ্যা ওয়েতে চিন্তা করতে হবে।”

প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ মোট প্রায় ১০ লাখ ব্যক্তি নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত হবেন। সিইসি বলেন, “সাধারণত যারা নির্বাচনে দায়িত্বে থাকেন, তারা নিজেরা ভোট দিতে পারেন না। এবার আমরা এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি যাতে দায়িত্বে থাকা ভোটাররাও ভোট দিতে সক্ষম হবেন। এজন্য ১৬ নভেম্বর একটি অ্যাপ চালু হবে। এতে ভোটাররা রেজিস্ট্রেশন করে বাড়িতে ব্যালট পাবেন এবং নির্দেশনা অনুযায়ী ভোট প্রদান করতে পারবেন। যারা নিজের এলাকার বাইরে থাকবেন, তারাও ভোট দিতে পারবে।”

সিইসি আরও জানান, জেলে থাকা নাগরিকরাও দেশের ভোটার এবং তাদের ভোট দেওয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা হয়েছে। তাছাড়া প্রবাসী ভোটাররাও এবার ভোট প্রদানে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব প্রতিরোধ বিষয়ে তিনি বলেন, “কোনো কিছু শেয়ার করার আগে সত্য-মিথ্যা যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। এই কাজের জন্য নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষ সেল খুলেছে। প্রয়োজনে ভোটাররা সেখানে যোগাযোগ করে তথ্য যাচাই করতে পারবেন।”

-রফিক


এবার ভোট দিতে পারবেন কারাবন্দী ও নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ কর্মীও

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৪:৫৪:০৩
এবার ভোট দিতে পারবেন কারাবন্দী ও নির্বাচন পরিচালনায় যুক্ত ১০ লাখ কর্মীও
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটদানের ক্ষেত্রে এবার বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে নির্বাচন কমিশন। কারাবন্দী আসামিদের পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রায় ১০ লাখ মানুষ এবার নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সোমবার (৩ নভেম্বর) এই যুগান্তকারী পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।

বন্দী, প্রবাসী ও নির্বাচন কর্মীদের ভোটদানের সুযোগ

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকেন, এত দিন কার্যত তারাই নিজের ভোটটি দিতে পারতেন না। এই সমস্যা দূর করতে নির্বাচন কমিশন এবার একটি বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য—অর্থাৎ, নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারীর সবাই এবার ভোট দিতে পারবেন।

তিনি জানান, ভোটদানের প্রক্রিয়া সহজ করতে একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করা হবে। যারা নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন, তারা এই অ্যাপে নিজেদের নিবন্ধন করবেন। এরপর তাদের নিজ নিজ বাড়ির ঠিকানায় ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে এবং নির্দেশনা অনুযায়ী তারা ভোট দিতে পারবেন।

কারাবন্দী আসামিদের ভোটাধিকার প্রয়োগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, আইনি হেফাজতে যারা কারাগারে রয়েছেন, তারাও এই দেশের নাগরিক। তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। এছাড়াও, এবারের নির্বাচনে প্রবাসী বাংলাদেশিরাও যাতে ভোট দিতে পারেন, সেই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

'রুটিন দায়িত্ব নয়, এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি'

নিজের দায়িত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, তিনি তার এই পদটিকে কেবল রুটিন দায়িত্ব বা চাকরি হিসেবে নেননি। বরং এটিকে একটি মিশন এবং চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তিনি সর্বদা এই ভাবনা নিয়ে কাজ করেন যে, ভবিষ্যতের জন্য কী ধরনের বাংলাদেশ রেখে যাওয়া হবে, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রেখে যাওয়া হবে কি না এবং তা কীভাবে নিশ্চিত করা হবে।

সিইসি মনে করেন, বিশেষ করে দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে কেবল গতানুগতিক ধারায় কাজ করলে চলবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় 'আউট অব দ্য ওয়েতে' বা গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে কাজ করতে হবে।

সোমবারের এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদসহ বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।


গণভোটের তারিখ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আল্টিমেটাম দিলো সরকার

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১৩:৫৬:২৯
গণভোটের তারিখ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে আল্টিমেটাম দিলো সরকার
ছবিঃ সংগৃহীত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কর্তৃক প্রণীত জুলাই সনদ এবং এর বাস্তবায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভা থেকে জুলাই জাতীয় সনদের গণভোট নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে এবং সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ সভা শেষে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এই তথ্য জানান।

উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রস্তাবিত জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) আদেশ এবং গণভোট আয়োজনের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

উদ্বেগের কারণ সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় যে, ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘদিন আলোচনার পরও কয়েকটি সংস্কারের সুপারিশ বিষয়ে ভিন্ন মত রয়েছে। গণভোট কবে অনুষ্ঠিত হবে ও এর বিষয়বস্তু কী হবে—এসব প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ দেখা দিয়েছে।

সরকারের আহ্বান এই প্রেক্ষিতে সরকার মনে করছে, গণভোটের সময়, বিষয়বস্তু এবং জুলাই সনদে বর্ণিত ভিন্নমত প্রসঙ্গে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত জানানো জরুরি।

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের দীর্ঘদিনের মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোকে স্বীয় উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে দ্রুততম সময়ে (সম্ভব হলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে) সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিকনির্দেশনা প্রদান করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এমন নির্দেশনা পেলে সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ অনেক সহজ হবে।

নির্বাচনের সংকল্প সভায় ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

কমিশনের প্রতি ধন্যবাদ সভায় সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপনের প্রচেষ্টা এবং বহু বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি ধন্যবাদ জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।


উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা শেষে আসিফ নজরুলের ব্রিফিং

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১২:৪৩:১১
উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি সভা শেষে আসিফ নজরুলের ব্রিফিং
ছবি: সংগৃহীত

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য প্রণীত সুপারিশগুলি সরকারের কাছে হস্তান্তর হওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ভিন্নমত রয়েছে, তা সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার আর কোনো সরাসরি উদ্যোগ নেবে না। বরং এখন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে অভিন্ন মনোভাব বা সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বলা হয়েছে। এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য প্রাথমিকভাবে একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা এক সপ্তাহ।

আজ সোমবার এই বিষয়টি জানানো হয় আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের এক সংবাদ সম্মেলনে। তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যেই তার সীমারেখা স্পষ্ট করেছে এবং যেকোনো রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূরীকরণের জন্য দায়িত্ব নেবে না; বরং এটি এখন রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সমন্বয় ও আলোচনা প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে।

সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে। উল্লেখযোগ্য, অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম শুরু করার পর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক বা জরুরি প্রয়োজনে সাধারণত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। তবে এই ব্রিফিংটি আলাদা, কারণ এটি প্রথমবারের মতো সরাসরি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আয়োজন করা হলো। এতে বোঝা যায়, অন্তর্বর্তী সরকার সাংবাদিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের পথ সুগম করতে এবং গুরুত্বপূর্ন তথ্য প্রদান করতে সচেষ্ট।

-রফিক


জাকির নায়েকের সফর: উদ্বেগ-বিতর্ক সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসতে পারেন তিনি

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ১০:৩৯:৪০
জাকির নায়েকের সফর: উদ্বেগ-বিতর্ক সত্ত্বেও বাংলাদেশে আসতে পারেন তিনি
ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্বখ্যাত ইসলামি বক্তা ড. জাকির নায়েক আগামী নভেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন—এমন খবর ঘিরে দেশ-বিদেশে আলোচনার ঝড় উঠেছে। অর্থপাচার ও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত এই ধর্ম প্রচারককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো এবং তার সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

সফরের প্রস্তুতি ও স্থান নিয়ে বিভেদ

সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা ও পিরোজপুরে জাকির নায়েকের সমাবেশ আয়োজনের জন্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি) থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এটি হবে তাঁর প্রথম বাংলাদেশ সফর।

স্থান বাছাই পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা ও পিরোজপুর অঞ্চলে সুফিবাদ ও মাজারকেন্দ্রিক ধর্মীয় অনুসারী তুলনামূলকভাবে কম, তাই জাকির নায়েকের মতাদর্শ নিয়ে সেখানে ধর্মতাত্ত্বিক সংঘাতের আশঙ্কা কম।

যেখানে অনুমতি নেই তবে সুফি মতাদর্শের অনুসারী বেশি থাকার কারণে চট্টগ্রাম ও ভারত সীমান্তঘেঁষা সিলেটে প্রস্তাবিত অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দেয়নি এসবি।

সময়সূচি ইমিগ্রেশন পুলিশের সূত্র বলছে, জাকির নায়েক ২৬ নভেম্বর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেন। পরদিন ঢাকায় একটি ইনডোর ইসলামিক অনুষ্ঠানে এবং ২৮ নভেম্বর পিরোজপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে একটি আউটডোর সমাবেশে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।

ভারত ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক বক্তব্য

জাকির নায়েকের সম্ভাব্য সফর নিয়ে ভারত আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

ভারতের বার্তা ৩০ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “জাকির নায়েক একজন পলাতক আসামি; তিনি ভারতে ওয়ান্টেড।” তিনি আশা করেন, সংশ্লিষ্ট দেশ ভারতের নিরাপত্তা উদ্বেগের বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখবে।

বাংলাদেশের ইঙ্গিত বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এস. এম. মাহবুবুল আলম ভারতের মন্তব্যের জবাবে বলেন, “আমরাও বিশ্বাস করি যে, কোনো দেশের অন্য দেশের কোনো অভিযুক্ত বা পলাতক ব্যক্তিকে আশ্রয় দেওয়া উচিত নয়।” এই মন্তব্যটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতের আশ্রয় নেওয়ার প্রসঙ্গে পাল্টা ইঙ্গিত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

ধর্ম উপদেষ্টার অবস্থান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনও বলেন, জাকির নায়েকের সফর অনুমোদনের বিষয়টি স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার এখতিয়ারে নেই।”

পুলিশের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ

ডিএমপি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, ডিএমপিকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি এবং এখনো কোনো অনুষ্ঠানস্থলের অনুমতি দেওয়া হয়নি।

এসবি কর্মকর্তার মত স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, “ভারত তার বিষয়ে ভিন্ন অবস্থান নিতে পারে, কারণ তার জন্ম সেখানেই। আমাদেরও অনেক পলাতক আসামি ভারতে রয়েছে, যাদের ফেরত দেওয়া হয়নি। তাই আমরা তাকে অতিথি হিসেবেই দেখছি।”

জাকির নায়েক ২০১৬ সালে অর্থপাচার ও ঘৃণামূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর ভারত ত্যাগ করেন এবং বর্তমানে মালয়েশিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন।

সূত্র: টিবিএস


আজ জরুরি বৈঠক, কি হবে জুলাই সনদ গণভোটের ফলাফল

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০৩ ০৯:৪২:৩৭
আজ জরুরি বৈঠক, কি হবে জুলাই সনদ গণভোটের ফলাফল
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ আজ সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসছে। সরকারের বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে জুলাই সনদ সংক্রান্ত গণভোটের বিষয় চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করা হতে পারে। বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে জনগণকে জানানো হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং রবিবার রাতে জানিয়েছে, দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের করবী হলে প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হবে। তবে, ব্রিফিংটি কে করবেন তা এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর সাধারণত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পরে বা প্রয়োজন অনুযায়ী সংবাদ সম্মেলন ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজন করা হতো। কিন্তু এবার প্রথমবার এই ব্রিফিং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজন করা হচ্ছে।

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজনের বিষয়ে পূর্বে সব রাজনৈতিক দল ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে একমত হয়েছিল। তবে গণভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখ নিয়ে মতভেদ রয়ে গেছে। কমিশন সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখায় গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করেছিল, কিন্তু নির্ধারণের অধিকার সরকারকে অর্পণ করা হয়।

বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট চায়। অন্যদিকে, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো চাইছে গণভোট নভেম্বরের মধ্যেই, বা অন্তত জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হোক। এনসিপি গণভোটের তারিখ নিয়ে কোনো বিশেষ পছন্দ ব্যক্ত করেনি।

গত বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানান, গণভোটের তারিখ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত প্রধান উপদেষ্টার হাতে রয়েছে। তিনি নিজে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং তাদের ভূমিকা শুধু সহায়তা করা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকবে। উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত খুব দ্রুত নেওয়া হবে।

-রফিক


ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা জানালেন ইসি সচিব 

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ২০:১৫:৪০
ভোটার তালিকা হালনাগাদ শেষে দেশে মোট ভোটার সংখ্যা জানালেন ইসি সচিব 
ছবিঃ সংগৃহীত

তৃতীয় ধাপের হালনাগাদের পর দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার ৩৮৪ জন। রোববার (২ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ইসি সচিব জানান, বর্তমানে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার ৩৮২ জন এবং নারী ভোটার রয়েছেন ৬ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৭২ জন; এছাড়াও হিজড়া ভোটারের সংখ্যা হলো ১ হাজার ২৩০ জন।

তিনি বলেন, এই ভোটার তালিকা দিয়েই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত হালনাগাদের এই ধাপে নতুন ভোটার হিসেবে ১৩ লাখ ৪ হাজার ৮৮০ জন যুক্ত হয়েছেন।

ইসি সচিব আরও বলেন, দাবি-আপত্তি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে; তবে দাবি-আপত্তি শুধু এই নতুন যুক্ত হওয়া ভোটারদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। তিনি উল্লেখ করেন, চলতি মাসের ১৮ তারিখ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে।


ড. ইউনুস বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমের মধ্যে ৫০তম

জাতীয় ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ নভেম্বর ০২ ১৯:৪৮:২৭
ড. ইউনুস বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিমের মধ্যে ৫০তম
ছবি: সংগৃহীত

জর্ডানভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘দ্য রয়াল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার’ সম্প্রতি ‘দ্য মুসলিম ৫০০: ৫০০ ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস ২০২৬’ শীর্ষক তালিকা প্রকাশ করেছে, যেখানে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্থান পেয়েছেন। তিনি তালিকায় ৫০তম স্থানে আছেন এবং তাকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২৬ সালের তালিকার শীর্ষে রয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন পাকিস্তানের প্রখ্যাত মুফতি ও ইসলামি স্কলার শেখ মুহাম্মদ তাকি উসমানি, এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ইয়েমেনি সুফি আলেম শেখ হাবিব উমর বিন হাফিজ।

শীর্ষ দশে আরও যারা স্থান পেয়েছেন তারা হলেন:৪র্থ—ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি,৫ম—জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ দ্বিতীয় ইবনে আল-হুসেইন,৬ষ্ঠ—আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড শেখ ড. আহমদ মুহাম্মদ আল-তায়্যিব,৭ম—তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রজব তাইয়্যেব এরদোগান,৮ম—সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল-আজিজ আল-সৌদ,৯ম—সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান,১০ম—মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।

শীর্ষ ৫০-এর মধ্যে আরও উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন—ইরাকের আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী হুসেইন আল-সিস্তানি, সৌদি স্কলার শেখ সালমান আল-আওদা, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রবোও সুবিয়ান্তো, ভারতের মাওলানা মাহমুদ মাদানী, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামি নেতা শেখ হামজা ইউসুফ হ্যানসন, পাকিস্তানের মাওলানা তারিক জামীল, মিশরীয় ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ, তালিবান নেতা মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এবং মালয়েশিয়ার দার্শনিক সৈয়দ মুহাম্মদ নাকীব আল-আত্তাস।

বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ২০০ কোটি, যা মোট বিশ্ব জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। মুসলিমরা বিশ্বের ৫৬টি দেশে বাস করে, এবং এদের প্রায় ২০% এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর রাজনৈতিক, ধর্মীয়, সমাজসেবা, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও মিডিয়া খাতে প্রভাবশালী মুসলিমদের এই তালিকা প্রকাশ করে আসছে। এটি বিশ্বের মুসলিম সমাজে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব ও অবস্থান নির্ধারণের একটি মানদণ্ড হিসেবে বিবেচিত হয়।

পাঠকের মতামত:

সংষ্কারের নামে বিরাজনীতিকরণ: বিএনপির বাস্তববাদী অবস্থান ও এন্টি পলিটিক্সের ফাঁদ

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সংষ্কার প্রসঙ্গটি এখন এক ধরনের নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় বিএনপির অবস্থান নিয়ে... বিস্তারিত