ওষুধের খরচ মেটাতে গিয়ে বছরে দরিদ্র হচ্ছে লাখ মানুষ
ওষুধের বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই সরকারের, ভাঙেনি পুরোনো সিন্ডিকেট

রাজধানীর উত্তরায় বসবাসকারী বেসরকারি চাকরিজীবী শামীমের মাসিক আয় পঁচাত্তর হাজার টাকা হলেও মায়ের ক্যানসারের চিকিৎসার খরচ মেটাতে গিয়ে তিনি এখন পুরোপুরি বিপর্যস্ত। ক্যানসার আক্রান্ত মায়ের জন্য প্রতি মাসে অত্যাবশ্যকীয় ইনজেকশন পেগফিলগ্রাস্টিম কিনতে হয় তাকে, যার দাম গত এক বছরের ব্যবধানে আট হাজার টাকা থেকে বেড়ে পনেরো হাজার টাকায় ঠেকেছে। শামীমের মতো হাজারো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এখন প্রধান দুশ্চিন্তার নাম ওষুধের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় এক লাখ সাতষট্টি হাজার মানুষ নতুন করে ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন লক্ষাধিক মানুষ। গবেষণায় দেখা গেছে, অর্থাভাবে চিকিৎসা মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়ার কারণেই বেশিরভাগ রোগীর মৃত্যু হচ্ছে।
এক সময় ক্যানসারের ওষুধের জন্য বাংলাদেশ পুরোপুরি আমদানিনির্ভর থাকলেও বর্তমানে স্থানীয় কোম্পানিগুলো চাহিদার প্রায় পঁচানব্বই শতাংশ ওষুধ উৎপাদন করছে। সরকার কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিলেও ওষুধের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে। পেগফিলগ্রাস্টিমের মতো জীবনদায়ী ওষুধের দাম কোম্পানিভেদে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা রাখা হচ্ছে, অথচ পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে একই ওষুধের দাম মাত্র দেড় হাজার রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই হাজার টাকার কিছু বেশি। আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বাংলাদেশে ওষুধের দামের এই বিশাল পার্থক্যের জন্য বিশেষজ্ঞরা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ব্যর্থতা এবং কোম্পানিগুলোর সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন। অভিযোগ রয়েছে, গত ১৫ বছর ধরে সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ করত এবং সরকার পরিবর্তনের পরও সেই প্রভাবে ভাটা পড়েনি।
গত পাঁচ বছরে দেশে সব ধরনের ওষুধের দাম অন্তত তিন গুণ বেড়েছে। গ্যাস্ট্রিক, অ্যান্টিবায়োটিক, ডায়াবেটিসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম গত দেড় বছরেও কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। গেঁটে বাতের ওষুধ অ্যানাফ্লেক্স ম্যাক্স কিংবা দাঁত ব্যথার ওষুধ মারভ্যানের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। অ্যাজমা রোগীদের জন্য জরুরি ডক্সোমা ট্যাবলেটের দামও বেড়েছে প্রায় ষাট শতাংশ। বিক্রেতারা বলছেন, কোম্পানিগুলো ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও পরিচালন ব্যয় বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছে। তবে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার কাছ থেকে মেধাস্বত্বে ছাড় পাওয়ার পরেও বাংলাদেশে ওষুধের উৎপাদন খরচ কম হওয়া উচিত। কিন্তু কোম্পানিগুলোর অতিমুনাফার প্রবণতা এবং খুচরা বাজারে তদারকির অভাবে সাধারণ মানুষের পকেট কাটা যাচ্ছে।
ওষুধের এই উচ্চমূল্য কেবল স্বাস্থ্যগত সমস্যাই নয়, বরং বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকটও তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইকিউভিআইএ-র তথ্যমতে, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয়ের ৪৪ শতাংশই খরচ হয় শুধু ওষুধ কিনতে, যেখানে বৈশ্বিক গড় মাত্র ১৫ শতাংশ। ২০২২ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপে উঠে এসেছে এক ভয়াবহ চিত্র, যেখানে দেখা গেছে ওষুধের অতিরিক্ত ব্যয়ের ভার সইতে না পেরে প্রতি বছর প্রায় ৬১ লাখ মানুষ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাচ্ছে। সরকার গত আগস্টে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নিলেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন বাজারে দেখা যাচ্ছে না।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।
হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দেশে এসে পৌঁছাবে। ইনকিলাব মঞ্চের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে জানানো হয়েছে, সিঙ্গাপুরে প্রথম জানাজা শেষে বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে হাদির মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে স্বজনরা। সব ঠিক থাকলে সন্ধ্যা ৬টা ০৫ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুরের দ্য আঙ্গুলিয়া মসজিদে (The Angullia Mosque) শহীদ ওসমান হাদির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। দেশে ফেরার পর আগামীকাল শনিবার বাদ জোহর রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে তার দ্বিতীয় ও প্রধান জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আততায়ীর গুলিতে বিদ্ধ হয়ে টানা সাত দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের এই সম্মুখসারির যোদ্ধা।
হাদির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গভীর শোক প্রকাশ করেন। ভাষণে তিনি বলেন, তিনি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক সংবাদ নিয়ে হাজির হয়েছেন এবং জাতি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদিকে হারিয়েছে। হাদির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন গভীর শোক জানিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আজ শুক্রবার সারাদেশে দোয়া মাহফিল এবং আগামীকাল শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতার আনার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সরকার।
হাদি মৃত্যুতে জ্বলছে দেশ: মিডিয়া অফিস ও হাই কমিশনে হামলা
জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে সারা দেশ। পাহাড় থেকে সমতল পর্যন্ত সবখানেই হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজপথে নেমে এসেছেন সাধারণ ছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতেই রাজধানীর শাহবাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন জুলাইয়ের সম্মুখসারির যোদ্ধারা। এসময় তারা পতিত আওয়ামী লীগ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং নিরাপত্তার ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন। ছাত্র-জনতার সঙ্গে এক কাতারে মাঠে নেমেছেন জুলাই অভ্যুত্থানের নেতা ও সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং মাহফুজ আলম। তারা শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর দেশব্যাপী কঠোর বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন।
হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ও শনিরআখড়া এলাকায় ছাত্র-জনতা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে। এর ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-মাওয়া ও ঢাকা-ডেমরা সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং চরম ভোগান্তিতে পড়েন শত শত রোগী ও যাত্রী। রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরেও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলো এবং ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। ডেইলি স্টার কার্যালয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভেতরে বেশ কয়েকজন কর্মী আটকা পড়েন, যাদের পরে দমকল বাহিনীর সহায়তায় উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এবং ছায়ানট ভবনেও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
শুধু রাজধানী ঢাকাতেই নয়, ওসমান হাদির মৃত্যুর খবরে মুহূর্তের মধ্যে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করে বিক্ষুব্ধ জনতা এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। রাজশাহীতে নগর আওয়ামী লীগের অফিস গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিলেট, বরিশাল, নেত্রকোনা ও জামালপুরেও রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। হাদির নিজ জেলা ঝালকাঠিতেও বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় এবং হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানায়। ডাকসু নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, হত্যা করে আধিপত্যবিরোধী লড়াই বন্ধ করা যাবে না।
ধ্বংস নয়, পুনর্গঠনেই বাঁচবেন হাদি: হাসনাত আবদুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, কোনো কিছু ধ্বংস করে নয়, বরং পুনর্গঠনের মাধ্যমেই শরিফ ওসমান হাদিকে ধারণ করতে হবে। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদির মৃত্যুর পর বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন। হাসনাত আবদুল্লাহ তার অনুসারী ও দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, হাদিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে, একটি শক্তিশালী কালচারাল এস্টাবলিশমেন্ট গড়ে তুলে, আজাদির প্রশ্নে আপসহীন থেকে এবং জনতার প্রশ্নে সৎ ও স্বচ্ছ থেকে।
আবেগঘন ওই পোস্টে এনসিপির এই নেতা নেতাকর্মীদের শান্ত ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, আমাদের পথ ধ্বংসের নয়, আমাদের পথ পুনর্গঠনের। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে হাদির আদর্শকে সম্মান জানানো সম্ভব নয় বলে তিনি সতর্ক করে দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদি। তার এই অকাল প্রয়াণে সহযোদ্ধা ও রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণা শেষে রিকশায় ফেরার পথে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন হাদি। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেখানে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শরিফ ওসমান হাদি
রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনেছেন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাদির মৃত্যুর বিষয়টি তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ এবং ইনকিলাব মঞ্চের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়েছে। এই খবরে তার সহযোদ্ধা ও অনুসারীদের মধ্যে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল গত ১২ ডিসেম্বর। ওইদিন গণসংযোগের উদ্দেশ্যে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিটি সরাসরি তার মাথায় বিদ্ধ হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং সেখানে তার মাথায় জটিল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
সেখানেও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে জরুরি ভিত্তিতে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন ছিলেন। দীর্ঘ প্রায় এক সপ্তাহের জীবনযুদ্ধ শেষে বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার এই অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
ভারত থেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন হাসিনা: আসিফ নজরুল
ভারতে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একের পর এক জুলাই গণঅভ্যুত্থানকারীদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন এবং এই পরিস্থিতিতে তার দলের অনুসারীদের নির্বিচারে জামিন দেওয়া কোনোভাবেই নিয়মীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। আইন উপদেষ্টা হাইকোর্টের কিছু বেঞ্চের ‘অস্বাভাবিক’ জামিন দেওয়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং স্পষ্ট করে বলেন, জামিন পাওয়া কোনো ব্যক্তি যদি পরবর্তীতে জুলাই আন্দোলনের নায়কদের ওপর হামলা বা খুন করে, তবে সেই দায় সংশ্লিষ্ট বিচারককে নিতে হবে কি না, তা বিবেচনার সময় এসেছে।
আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান, হাইকোর্টের কিছু বেঞ্চ থেকে অস্বাভাবিকভাবে জামিন দেওয়া হচ্ছে, এমনকি চার ঘণ্টায় আটশ জামিন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি আগেও প্রধান বিচারপতির কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন এবং প্রধান বিচারপতি ব্যবস্থাও নিয়েছিলেন। তবে এখনো তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আইন উপদেষ্টা বলেন, একজন ভয়ংকর ব্যক্তি যিনি জামিন পেয়ে গণঅভ্যুত্থানের নায়কদের ওপর হামলা করতে পারেন, তাকে জামিন দেওয়া হলে সরকার অত্যন্ত শঙ্কিত ও উদ্বিগ্ন বোধ করে। আইন মন্ত্রণালয়ের হাইকোর্টের ওপর নিয়ন্ত্রণ নেই, তাই তিনি বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে এনেছেন এবং নতুন প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান।
বিদায়ী প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের প্রশংসা করে আইন উপদেষ্টা বলেন, জাতির এক ক্রান্তিলগ্নে দায়িত্ব নিয়ে তিনি বিচার বিভাগীয় সংস্কারে অভিভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা পূরণে এবং বিচার বিভাগের অনিয়ম দূর করতে তার অবদান অনস্বীকার্য। আসিফ নজরুল উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম যোগ্য ও সৎ এই প্রধান বিচারপতিকে পাওয়া ছিল জুলাই অভ্যুত্থানের একটি বড় অর্জন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে, ভবিষ্যতে যিনি প্রধান বিচারপতি হবেন, তার কাছেও এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে যে, আইনগতভাবে জামিন প্রাপ্যদের অধিকার থাকলেও, যারা বেরিয়ে এসে হত্যার কারণ হতে পারে, তাদের জামিন দেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
দুই দশকের আক্ষেপ ঘুচল: ২৭তম বিসিএসে বড় নিয়োগ
দীর্ঘ প্রায় দুই দশকের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ২৭তম বিসিএস পরীক্ষার (২০০৫) নিয়োগবঞ্চিত ৬৭৩ জনকে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নব নিয়োগ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে দীর্ঘ আইনি লড়াই ও বঞ্চনার শিকার প্রার্থীদের মুখে হাসি ফুটল। সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তাদের মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারের ৯০ জন, পুলিশ ক্যাডারের ৭০ জন, অডিট ক্যাডারের ৫ জন, খাদ্য ক্যাডারের ২ জন এবং সমবায় ক্যাডারের ৫ জনসহ বিভিন্ন ক্যাডারের কর্মকর্তারা রয়েছেন। তারা জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে ২২ হাজার থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা বেতনক্রমে এই নিয়োগ পেয়েছেন।
প্রজ্ঞাপনে নিয়োগের শর্তাবলী ও জ্যেষ্ঠতার বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জ্যেষ্ঠতা অক্ষুণ্ণ রাখার স্বার্থে তাদের ব্যাচের অন্য কর্মকর্তাদের যেদিন প্রথম নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল, সেই তারিখ থেকেই ভূতাপেক্ষিকভাবে এই নিয়োগ আদেশ কার্যকর হবে। এর অর্থ হলো, তারা তাদের ব্যাচমেটদের সঙ্গে ধারণাগত জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখবেন। তবে চাকরিতে যোগদানের আগ পর্যন্ত সময়কালের জন্য তারা কোনো বকেয়া বেতন-ভাতা বা আর্থিক সুবিধা পাবেন না। বিষয়টি দীর্ঘদিনের বঞ্চনার স্বীকৃতি হলেও আর্থিক দিক থেকে তারা বর্তমান সময় থেকেই বেতন ভোগ করবেন।
নিয়োগের শর্ত অনুযায়ী, নতুন কর্মকর্তাদের আবশ্যিকভাবে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বা সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। তাদের দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে, যা প্রয়োজনে সরকার আরও অনূর্ধ্ব দুই বছর বাড়াতে পারবে। শিক্ষানবিশকালে যদি কেউ চাকরিতে বহাল থাকার অনুপযুক্ত বলে বিবেচিত হন, তবে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরামর্শ ব্যতিরেকেই তাকে অপসারণ করা যাবে। এছাড়া প্রশিক্ষণের জন্য কর্মস্থল থেকে অব্যাহতির আগে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একজন জামানতদারসহ বন্ড সই করতে হবে। শর্ত অনুযায়ী, শিক্ষানবিশকাল বা এরপর তিন বছরের মধ্যে চাকরি ছাড়লে প্রশিক্ষণের যাবতীয় ব্যয়, বেতন ও উত্তোলিত অর্থ ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন তারা। প্রশিক্ষণ ও বিভাগীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই তাদের চাকরি স্থায়ী করা হবে।
গুম পরিবারের জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত: সম্পদ ব্যবহারে বাধা নেই
কোনো ব্যক্তি অন্যূন ৫ বছর ধরে গুম থাকলে এবং জীবিত ফিরে না আসলে ট্রাইব্যুনাল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিসাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে—এমন বিধান রেখে ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক বৈঠকে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন এই অধ্যাদেশের ফলে গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের সদস্যরা কমিশনের পূর্বানুমতি ছাড়াই গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার ট্রাইব্যুনালের জন্য পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবে এবং ভুক্তভোগী চাইলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ পাবেন।
বৈঠকে পরিবেশ সুরক্ষায় ‘বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়াও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলের ইকোসিস্টেম বা বাস্তুতন্ত্র বিশ্বে বিরল হলেও অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, কীটনাশকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার এবং পর্যটনের বিরূপ প্রভাবে তা এখন হুমকির মুখে। নতুন এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের দায়িত্ব ও ক্ষমতা সুস্পষ্ট করা হয়েছে। এখন থেকে হাওর এলাকায় যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা, নিষিদ্ধ কার্যক্রম নির্ধারণ এবং এসব কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।
কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে বাংলাদেশের একটি নতুন দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাবও অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। স্বাধীনতার পর থেকে জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থাকলেও বার্নে কোনো দূতাবাস ছিল না। সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী ও কৌশলগত অংশীদার হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজন রাষ্ট্রদূত ও কয়েকজন কর্মকর্তা নিয়ে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হবে। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মোট ৮২টি মিশন অফিস রয়েছে।
বৈঠকে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির স্বাস্থ্যের অবনতি নিয়েও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তার অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন এবং সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান নিয়মিত প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। হাদির চিকিৎসার তদারকির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইতিমধ্যে সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন। এছাড়া চলতি বছর মহান বিজয় দিবস সুন্দরভাবে উদযাপনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে বিশেষ ধন্যবাদ জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
সাময়িক বন্ধের পর আজ স্বাভাবিক ভারতীয় ভিসা সেন্টার
নিরাপত্তাজনিত কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকার পর ঢাকার ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রের (আইভেক) কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিক নিয়মে চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই যমুনা ফিউচার পার্কস্থ এই ভিসা সেন্টারের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় হাইকমিশন। এর ফলে গতকালের অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ভিসা প্রত্যাশীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এর আগে বুধবার ঢাকায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠনের মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’-এর ব্যানারে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সম্ভাব্য নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বুধবার দুপুর ২টা থেকে হঠাৎ করেই ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূলত বিক্ষোভ ও ঘেরাও কর্মসূচির কারণে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই এই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবারও যথানিয়মে পাসপোর্ট জমা ও ভিসা প্রসেসিংয়ের কাজ চলছে।
জুলাই যোদ্ধা হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন: সিঙ্গাপুর থেকে জরুরি বার্তা
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। বুধবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই উদ্বেগজনক তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই হাসপাতালে গিয়ে হাদিকে দেখে এসেছেন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রেস সচিব তার পোস্টে উল্লেখ করেন, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান বুধবার দেশটির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাদিকে দেখতে যান। এরপর বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তিনি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে হাদির চিকিৎসার সর্বশেষ পরিস্থিতি অবহিত করেন। ফোনালাপে ড. ভিভিয়ান জানান যে হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। এই কঠিন মুহূর্তে প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এই সম্মুখযোদ্ধার সুস্থতার জন্য সবাইকে দোয়া ও প্রার্থনা করার অনুরোধ করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকার পল্টন এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আহত হন শরিফ ওসমান হাদি। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পর তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত রোববার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও হাদির পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এক জরুরি কনফারেন্স কলের মাধ্যমে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। এরপর সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পাঠকের মতামত:
- ওষুধের বাজার নিয়ন্ত্রণে নেই সরকারের, ভাঙেনি পুরোনো সিন্ডিকেট
- শুক্রবার সোনার বাজারে কী অবস্থা? জানুন আজকের দর
- হাদির মৃত্যু ঘিরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
- বদলে গেল ইতিহাস: পৃথিবীতে প্রাণের জন্ম নিয়ে বিজ্ঞানীদের নতুন দাবি
- প্রতিদিন হত্যার হুমকি পাচ্ছি: হাসনাত আব্দুল্লাহ
- হাড়ের ব্যথায় ভুগছেন? শুধু বয়স নয়, দায়ী আপনার ৫টি অভ্যাস
- লিখিত পরীক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তি
- হাদির প্রথম জানাজা কোথায় ও কখন? জানাল ইনকিলাব মঞ্চ
- হাদি মৃত্যুতে জ্বলছে দেশ: মিডিয়া অফিস ও হাই কমিশনে হামলা
- খেলার খবর: বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচসহ আজকের টিভি সূচি
- খুলনায় সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা
- ছুটির দিনেও উত্তপ্ত ঢাকা: আজ কোথায় কী কর্মসূচি?
- এবার এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে মেরে ফেলার হুমকি
- হাদির মৃত্যুতে শায়খ আহমাদুল্লাহ ও আজহারীর আবেগঘন বার্তা
- দিল্লি না ঢাকা? স্লোগানে স্লোগানে কাঁপছে শাহবাগ চত্বর
- শুক্রবার কেমন থাকবে ঢাকার আকাশ? জেনে নিন
- রাজধানীতে আজ কেমন থাকবে আবহাওয়া, জানাল অধিদপ্তর
- প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারে হামলার প্রতিবাদে মির্জা ফখরুল
- ধ্বংস নয়, পুনর্গঠনেই বাঁচবেন হাদি: হাসনাত আবদুল্লাহ
- যুব এশিয়া কাপসহ আজকের পূর্ণ ক্রীড়া সূচি
- আজ বাংলাদেশ–পাকিস্তান সেমিফাইনাল এর সময় জানুন
- আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৯ ডিসেম্বর
- যখন দেশে ফিরছে শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ
- সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে শরিফ ওসমান হাদি
- ৭১-এর পর ভারতের বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ এখন বাংলাদেশ
- টাকার চিন্তায় ঘুম নেই জেন-Z প্রজন্মের: গবেষণায় চমকপ্রদ তথ্য
- শীতে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কেন বাড়ে? জানুন বাঁচার উপায়
- বক্স অফিসে রণবীরের তাণ্ডব: আয়ের অংক শুনলে চমকে যাবেন
- সব জুলাইযোদ্ধাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখছি: সামান্তা শারমিন
- রিজার্ভের নতুন মাইলফলক: একদিনেই বাড়ল বড় অংক
- ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি
- তারেক রহমানের ফেরা: ৭ রুটে স্পেশাল ট্রেন চায় বিএনপি
- ২৫ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক শোডাউন: অভ্যর্থনার প্রস্তুতি নিয়ে সালাহউদ্দিনের বার্তা
- ভারত থেকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন হাসিনা: আসিফ নজরুল
- দুই দশকের আক্ষেপ ঘুচল: ২৭তম বিসিএসে বড় নিয়োগ
- গুম পরিবারের জন্য ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত: সম্পদ ব্যবহারে বাধা নেই
- ১৮ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারের পূর্ণাঙ্গ বিশ্লেষণ
- ১৮ ডিসেম্বরের বাজারে লুজার শেয়ারের তালিকা
- ১৮ ডিসেম্বর ডিএসই টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- পদত্যাগের পরও সরকারি বাসায় আসিফ-মাহফুজ: কারণ কী?
- মহাবিশ্বের ‘ডাইনোসর’ নক্ষত্রের খোঁজ পেল জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ
- ফ্রিজে রাখলে বিষ হতে পারে যেসব খাবার: সতর্ক থাকুন
- শীতে দিনে কত লিটার পানি পান করা জরুরি? জেনে নিন
- বিপাকে ৩,৫০০ শিক্ষক-সাংবাদিক: হাই কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি
- সাময়িক বন্ধের পর আজ স্বাভাবিক ভারতীয় ভিসা সেন্টার
- জুলাই যোদ্ধা হাদির অবস্থা সংকটাপন্ন: সিঙ্গাপুর থেকে জরুরি বার্তা
- ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে ফেলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল নৌবহর
- ডলার ও পাউন্ডের দাম কত? জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- জাপানিদের মতো সুন্দর ত্বক চান? ব্যবহার করুন চালের পানি
- ১৮ ডিসেম্বর টিভিতে খেলার সময়সূচি: মিস করবেন না যে ম্যাচগুলো
- দুইদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে যেসব এলাকায়
- বুধবার টানা ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না যেসব এলাকায়
- চিকিৎসক জানাল ওসমান হাদীর বর্তমান অবস্থা
- শনি-রবিবার বিদ্যুৎ থাকবে না বহু এলাকায়
- মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি শুরুর সময়সূচি প্রকাশ
- এমপি হওয়ার আগেই ভিআইপি প্রোটোকল পেলেন হাদি: ডা. মাহমুদা মিতু
- রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন যেসব এলাকা
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা আজ শুরু, একটি আসনের জন্য লড়াই যতজনের
- ১২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা
- দেশের বাজারে স্বর্ণের দামের নতুন রেকর্ড
- বাজুসের নতুন ঘোষণা: আজ থেকে কার্যকর স্বর্ণের বর্ধিত দাম
- শীতে ত্বক শুষ্ক ও র্যাশ কেন হয়, জানুন সমাধান
- ১৬ অক্টোবর ২০২৫: জেনে নিন আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- দক্ষিণ আফ্রিকার দাপটে ভারতের বড় হার চণ্ডীগড়ে
- মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা জাহাঙ্গীর আলম শান্ত








