জুমার দিন কেন সেরা? হাদিসে বর্ণিত ৫টি বড় কারণ

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ১১:৩৫:০১
জুমার দিন কেন সেরা? হাদিসে বর্ণিত ৫টি বড় কারণ
শুক্রবারের বিশেষ ৫ বৈশিষ্ট্য ছবি: উইকিপিডিয়া

মুসলমানদের জন্য সপ্তাহের জুমার দিনটি ধর্মীয়ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এই দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ এ দিনটিকে মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। তাই যে ব্যক্তি জুমার নামাজ আদায় করতে আসবে সে যেন গোসল করে এবং সুগন্ধি থাকলে তা শরীরে লাগায়। মিসওয়াক করাও তোমাদের কর্তব্য। (সুনানে ইবনে মাজা: ৮৩)

জুমার দিনের এই বিশেষ মর্যাদার পেছনে ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় বহু কারণ রয়েছে। একটি হাদিসে জুমার দিন ঘটিত ও ঘটিতব্য পাঁচটি বিশেষ ঘটনার কথা উল্লেখ করে নবীজি (সা.) বলেন, জুমার দিন দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। জুমার দিন আল্লাহ তাআলার কাছে সবচেয়ে মহান দিন। এ দিন আল্লাহ তাআলার কাছে ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর তথা ইসলামের দুই ঈদের দিন থেকেও মহান। জুমার দিনের বিশেষ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। এ দিনই তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। এ দিনই আল্লাহ তাকে মৃত্যু দিয়েছেন। জুমার দিন একটা সময় আছে, যে সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যা চাইবে আল্লাহ তাআলা তাকে তা-ই দান করবেন, যদি না সে হারাম কোনো কিছু প্রার্থনা করে। কেয়ামতও সংঘটিত হবে জুমার দিন। জুমার দিন নৈকট্যপ্রাপ্ত ফেরেশতারা কেয়ামতের আশঙ্কায় ভীত-সন্ত্রস্ত থাকেন। উদ্বিগ্ন থাকে পৃথিবী, আকাশ, বাতাস, পাহাড়, পর্বত, সাগর সবকিছু। (মুসনাদে আহমাদ: ১৫৫৪৮, সুনানে ইবনে মাজা: ১০৮৪১)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আরেকটি হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, দিনসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমার দিন। এ দিন আল্লাহ তাআলা আদমকে (আ.) সৃষ্টি করেছেন। তাকে দুনিয়াতে নামানো হয়েছে এ দিন। তার মৃত্যুও হয়েছে এ দিন। তার তাওবা কবুল হয়েছে এ দিন। এ দিনই কেয়ামত সংঘটিত হবে। মানুষ ও জিন ছাড়া এমন কোনো প্রাণী নেই, যা কেয়ামত কায়েম হওয়ার ভয়ে জুমার দিন ভোর থেকে সূর্য ওঠা পর্যন্ত চিৎকার করতে থাকে না। জুমার দিন একটা সময় আছে, কোনো মুসলিম যদি সে সময় নামায আদায় করে আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করে, আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাকে তা দান করবেন। (সুনানে আবু দাউদ: ১০৪৬, সুনানে নাসাঈ: ১৪৩০)

আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের জন্য এই দিনটি নির্ধারণ করে বিশেষ অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমরা সর্বশেষ উম্মাত কিন্তু কিয়ামতের দিন আমরা হব অগ্রগামী। যদিও সব উম্মতকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের আগে, আর আমাদের কিতাব দেয়া হয়েছে সকল উম্মাতের শেষে। যে দিনটি আল্লাহ আমাদের জন্য নির্ধারণ করেছেন, সে দিন সম্পর্কে তিনি আমাদের হিদায়াতও দান করেছেন। সে দিনের ব্যাপারে অন্যান্যরা আমাদের পিছনে রয়েছে, (যেমন) ইহুদিরা (আমাদের) পরের দিন (শনিবার) এবং খৃষ্টানরা তাদেরও পরেন দিন। (রবিবার) (সহিহ মুসলিম: ১৮৬৩)

পূর্ববর্তী জাতিসমূহ মতানৈক্যের কারণে এই শ্রেষ্ঠ দিনটি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমাদের আগমন সবার শেষে। কিন্তু আমরা কিয়ামতের দিবসে থাকব সবার প্রথমে। আমরা জান্নাতে প্রবেশকারীদের মধ্যে অগ্রগামী থাকব। তবে তাদের কিতাব দেওয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে এবং আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে তাদের পর। তারা মতবিরোধ করেছে, আর আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সেই সত্যের হিদায়াত দিয়েছেন যা নিয়ে তারা মতভেদ করেছে। এটাই সেই দিন— যে সম্পর্কে তারা মতবিরোধ করেছে এবং আল্লাহ আমাদেরকে এ ব্যাপারে হেদায়াত করেছেন। আমাদের বিশেষ দিন জুমার দিন। ইহুদিদের পরের দিন, খৃষ্টানদের তার পরের দিন। (সহিহ মুসলিম: ১৮৫৩)


আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৯ ডিসেম্বর

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৯ ০৮:১৮:২৩
আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৯ ডিসেম্বর
ছবি: সংগৃহীত

ইসলামের মৌলিক ইবাদতগুলোর মধ্যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সর্বাধিক গুরুত্ব বহন করে। নিয়মিত ও সময়মতো নামাজ আদায় করলে আল্লাহ তায়ালা বান্দার গুনাহ ক্ষমা করেন এবং জান্নাতের সুসংবাদ দেন বলে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। যারা নির্ধারিত সময়ের আগেই নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে উপস্থিত হয়ে অপেক্ষা করেন, ফেরেশতারা তাদের জন্য দোয়া করতে থাকেন—এমন ফজিলতের কথাও হাদিসে উল্লেখ রয়েছে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজের মর্যাদা ও গুরুত্ব বোঝাতে বলেছেন, আজান দেওয়া ও প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর যে মর্যাদা রয়েছে, তা মানুষ পুরোপুরি জানলে সেই সুযোগ অর্জনের জন্য প্রয়োজনে লটারির আশ্রয় নিত। তিনি আরও বলেন, জোহরের নামাজ এবং বিশেষ করে এশা ও ফজরের নামাজের ফজিলত মানুষ যদি সত্যিকার অর্থে উপলব্ধি করত, তবে তারা কষ্ট হলেও হামাগুঁড়ি দিয়ে মসজিদে এসে নামাজ আদায় করত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৮৬৭)

এই প্রেক্ষাপটে আজ শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাংলা ০৩ পৌষ ১৪৩২, হিজরি ২৫ জমাদিউস সানী ১৪৪৬) ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করা হলো।

ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি (শুক্রবার)

ফজর: সকাল ৫টা ১৫ মিনিটজুমা: দুপুর ১১টা ৫৬ মিনিটআসর: বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটসূর্যাস্ত: বিকাল ৫টা ১৬ মিনিটইফতার: বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটমাগরিব: বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটইশা: সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিট

শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

ফজর: সকাল ৫টা ১৫ মিনিটতাহাজ্জুদ ও সেহরির শেষ সময়: ৫টা ১৪ মিনিটসূর্যোদয়: সকাল ৬টা ৩৬ মিনিট

বিভাগভিত্তিক সময়ের পার্থক্য

ঢাকার সময়ের সঙ্গে বিভাগভেদে নামাজের সময় কিছুটা কম-বেশি হতে পারে।

সময় বিয়োগ করতে হবেচট্টগ্রাম: ৫ মিনিটসিলেট: ৬ মিনিট

সময় যোগ করতে হবেখুলনা: ৩ মিনিটরাজশাহী: ৭ মিনিটরংপুর: ৮ মিনিটবরিশাল: ১ মিনিট

ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য নির্ধারিত সময় অনুযায়ী নামাজ আদায়ের মাধ্যমে ইবাদতের পূর্ণতা অর্জন করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের সুযোগ তৈরি হয় বলে আলেমরা মনে করেন।

সূত্র : ইসলামিক ফাউন্ডেশন


১৮ ডিসেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি জেনে নিন

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৮ ০৯:৩৭:১২
১৮ ডিসেম্বর: আজকের নামাজের সময়সূচি জেনে নিন
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের ৫টি রুকনের মধ্যে নামাজ অন্যতম। ইমান বা বিশ্বাসের পর নামাজই ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। কিয়ামতের দিন প্রথম হিসাব নেওয়া হবে নামাজের। তাই যতই ব্যস্ততা থাকুক না কেন, ওয়াক্তমতো ফরজ নামাজ আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অত্যন্ত জরুরি।

আজ বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি, ৩ পৌষ ১৪৩২ বাংলা, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ হিজরি।

ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি:

জোহর: ১১:৫৭ মিনিট

আসর: ৩:৩৯ মিনিট

মাগরিব: ৫:১৫ মিনিট

এশা: ৬:৩৫ মিনিট

ফজর (আগামীকাল শুক্রবার): ৫:১৩ মিনিট

বিভাগীয় সময়ের সামঞ্জস্য: ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্য বিভাগের সময়ের কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। নিজ নিজ এলাকার সঠিক সময় জানতে নিচের নিয়ম অনুসরণ করুন:

বিয়োগ করতে হবে:

চট্টগ্রাম: ০৫ মিনিট

সিলেট: ০৬ মিনিট

যোগ করতে হবে:

খুলনা: ০৩ মিনিট

রাজশাহী: ০৭ মিনিট

রংপুর: ০৮ মিনিট

বরিশাল: ০১ মিনিট


জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৭ ০৯:৩৬:০১
জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের সময়সূচি প্রকাশ করেছে। আজ বুধবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ যা বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জি মতে ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। প্রকাশিত সময়সূচি অনুযায়ী ঢাকায় আজ জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৮ মিনিটে এবং আসরের নামাজ আদায়ের সময় শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে।

সন্ধ্যার দিকে সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাওয়ার পর মাগরিবের নামাজ শুরু হবে ৫টা ১৮ মিনিটে এবং পরবর্তীতে এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে। যারা আগামীকাল বৃহস্পতিবারের ফজর নামাজের প্রস্তুতি নেবেন তাদের জন্য সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১৮ মিনিটে। এছাড়া আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১৪ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে যা দিন ও রাতের দৈর্ঘ্য নির্ধারণে সহায়ক হবে।


জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৬ ০৯:২৩:৩৯
জেনে নিন আজকের নামাজের সময়সূচি: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবি : সংগৃহীত

আজ মঙ্গলবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ যা বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ এবং হিজরি বর্ষপঞ্জির ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৭ তারিখ। মহান বিজয় দিবসের এই বিশেষ দিনে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের সুবিধার্থে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্যানুযায়ী নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। আজকের দিনে জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে দুপুর ১১টা ৫৮ মিনিটে এবং এরপর বিকেলের দিকে আসরের নামাজের সময় শুরু হবে ৩টা ৩৮ মিনিটে।

দিনের আলো ফুরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে মাগরিবের নামাজের জন্য নির্ধারিত সময় হলো বিকেল ৫টা ১৮ মিনিট যা একইসঙ্গে আজকের সূর্যাস্তের সময়কেও নির্দেশ করে। মাগরিবের পর রাতের ইবাদত অর্থাৎ এশার নামাজের ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৭ মিনিটে। এছাড়া যারা আগামীকাল বুধবার রোজা রাখবেন বা ভোরের নামাজ আদায় করবেন তাদের জন্য ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে। আজকের দিনে ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয়ের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৬টা ২৭ মিনিট। উল্লেখ্য, এই সময়সূচিটি মূলত ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য প্রযোজ্য তবে অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে ভৌগোলিক অবস্থানভেদে কয়েক মিনিটের ব্যবধান হতে পারে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


১৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৫ ০৮:২৪:১২
১৫ ডিসেম্বর ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নামাজের সময়সূচি
ছবি: সংগৃহীত

আজ সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি সনের হিসাবে আজ ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার মুসল্লিদের জন্য আজকের নামাজের নির্ধারিত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ ঢাকায় জোহরের নামাজের সময় শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে। এরপর আসরের নামাজ আদায় করা যাবে বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিট থেকে। দিনের শেষ ভাগে সূর্যাস্তের পর মাগরিবের নামাজ শুরু হবে বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে। রাতের এশার নামাজের সময় নির্ধারিত হয়েছে সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিট থেকে।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ঘটবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে। অন্যদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে। আগামী দিনের সূর্যোদয় নির্ধারিত হয়েছে সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও স্থানীয় জ্যোতির্বিদ্যা তথ্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত এই সময়সূচি ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্যও প্রযোজ্য। তবে ভৌগোলিক অবস্থানভেদে কয়েক মিনিট এদিক-সেদিক হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের আগে স্থানীয় মসজিদের সময়সূচি অনুসরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


আজকের বাংলা ও হিজরি তারিখ এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৪ ০৯:৩৯:৩৯
আজকের বাংলা ও হিজরি তারিখ এবং ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি
ছবি : সংগৃহীত

আজ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী আজ ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি সন অনুযায়ী ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো। এই সময়সূচি ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা ঢাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে।

নামাজের সময়

জোহর জোহরের ওয়াক্ত শুরু হবে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটে।

আসর আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে।

মাগরিব মাগরিবের নামাজের সময় শুরু হবে বিকেল ৫টা ১৭ মিনিটে।

এশা এশার ওয়াক্ত শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে।

ফজর (আগামীকাল) আগামীকালের ফজরের ওয়াক্ত শুরু হবে ভোর ৫টা ১৭ মিনিটে।

সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় আবহাওয়া ও ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী আজ ঢাকায় সূর্য অস্ত যাবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে। অন্যদিকে আগামীকাল সোমবার সূর্যোদয় হবে ভোর ৬টা ২৭ মিনিটে।


ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শনিবারের নামাজের সঠিক সময়সূচি

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১৩ ০৯:২৪:৫৬
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় শনিবারের নামাজের সঠিক সময়সূচি
ছবি : সংগৃহীত

আজ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ইংরেজি তারিখ। বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী আজ ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং আরবি হিজরি সন অনুযায়ী ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা থেকে প্রাপ্ত আজকের ৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি নিচে তুলে ধরা হলো।

আজকের জোহরের সময় শুরু হয়েছে ১১টা ৫৬ মিনিটে। বিকেলের আসরের ওয়াক্ত শুরু হবে ৩টা ৩৭ মিনিটে। মাগরিবের আজান বা সূর্যাস্তের সময় ৫টা ১১ মিনিট তবে নামাজের ওয়াক্ত হিসেবে ৫টা ১৭ মিনিট ধরা যেতে পারে। এশার নামাজের সময় শুরু হবে ৬টা ৩৫ মিনিটে।

আগামীকাল রোববার ফজর নামাজের সময় শুরু হবে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে। এছাড়া আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত হবে ৫টা ১১ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ৬টা ২৭ মিনিটে। নিয়মিত নামাজ আদায়ে এই সময়সূচি ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপকারে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।


আজকের নামাজের সব সময়সূচি এক নজরে

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১২ ০৯:৫০:১৪
আজকের নামাজের সব সময়সূচি এক নজরে
ছবি: সংগৃহীত

আজ শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, বাংলা পঞ্জিকার ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ এবং হিজরি ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৭। রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের অঞ্চলে আজকের নামাজের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী।

জুমার নামাজের সময় আজ শুরু হবে সকাল ১১টা ৫৬ মিনিটে। দুপুরের পর বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে আসরের ওয়াক্ত প্রবেশ করবে। দিনের আলো মিলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায়ের সময় নির্ধারিত হয়েছে বিকেল ৫টা ১৬ মিনিটে। সন্ধ্যার পর এশার নামাজের সময় শুরু হবে রাত ৬টা ৩৫ মিনিটে।

আগামীকালের ফজরের নামাজ শুরু হবে ভোর ৫টা ১৬ মিনিটে। আজকের সূর্যাস্ত ঘটবে বিকেল ৫টা ১১ মিনিটে এবং পরদিন সূর্যোদয় হবে সকাল ৬টা ২৭ মিনিটে। সময়সূচি অনুযায়ী আজকের দিনের ইবাদত-বন্দেগি পরিকল্পনায় সহায়তার জন্য এই তথ্য মুসল্লিদের জন্য নির্ভরযোগ্য নির্দেশনা প্রদান করছে।

সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।


শুক্রবার সূরা কাহাফ পড়লে যে সওয়াব লাভ হয়

ধর্ম ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ ডিসেম্বর ১১ ২২:৪৬:৪০
শুক্রবার সূরা কাহাফ পড়লে যে সওয়াব লাভ হয়
ছবি: সংগৃহীত

ইসলাম ধর্মে প্রতি শুক্রবারকে আধ্যাত্মিক পুনর্জাগরণের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই দিনটিকে আরও বরকতময় করার অন্যতম উত্তম আমল হলো সূরা কাহাফের তেলাওয়াত। হাদিসশাস্ত্রে জুমার দিন এই সূরা পাঠের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে, যা মুমিনের জীবনে আলো, প্রজ্ঞা ও ঈমানের শক্তি সঞ্চার করে। আলেম সমাজ ব্যাখ্যা করেন যে, সপ্তাহের নির্দিষ্ট এই পাঠ মানুষকে আল্লাহর সাথে গভীর সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে এবং নৈতিক দৃঢ়তায় অনুপ্রাণিত করে।

ধর্মীয় শিক্ষায় উল্লেখ আছে যে প্রতি বৃহস্পতিবার মাগরিবের পর থেকে শুক্রবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে সূরা কাহাফ পাঠ করা উত্তম। এই সময়সীমাকে ‘জুমার রাত এবং দিন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে দিনটি কর্মব্যস্ত থাকলেও রাতে বা সকালবেলা সূরা পাঠ করে মুসলমানরা সহজেই এ আমল সম্পাদন করতে পারে।

ইসলামি বিদ্বানরা মনে করেন, সূরা কাহাফ পাঠ মুসলমানদের আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি করে এবং দুনিয়াবি বিভ্রান্তি থেকে তাদের মনকে রক্ষা করে। বিশেষভাবে দাজ্জালের ভয়াবহ ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকার উপায় হিসেবে এই সূরার প্রথম দশ অথবা শেষ দশ আয়াত পাঠের কথা নবী মুহাম্মদ (সা.) বর্ণনা করেছেন। পুরো সূরা পাঠ করা বেশি উত্তম হলেও সময়ের সংকটে আংশিক পাঠও উল্লেখযোগ্য ফজিলত প্রদান করে।

সূরা কাহাফ কুরআনের ১৮তম অধ্যায়, মোট ১১০ আয়াত নিয়ে গঠিত এবং এটি মাক্কায় অবতীর্ণ। সূরাটিকে তাফসিরবিদরা ‘পরীক্ষার সূরা’ বলেন, কারণ এখানে চারটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মাধ্যমে আল্লাহ মানুষের ঈমান, ধৈর্য, নৈতিকতা এবং দৃঢ়তার শিক্ষা দিয়েছেন। গুহাবাসী নবীন যুবকদের কাহিনি, ধনবান দুজন মানুষের পরীক্ষা, হযরত মুসা ও খিযির (আ.)-এর শিক্ষা এবং যুলকারনাইনের ঘটনা এই সূরাকে আত্মোন্নয়ন ও জ্ঞানাচর্চার এক অনন্য উৎসে পরিণত করেছে।

আধ্যাত্মিক দিক থেকে সূরা কাহাফ পাঠ করলে মুমিনের হৃদয়ে একটি সাপ্তাহিক নূর সৃষ্টি হয় যা এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত থাকে। এই নূরকে শুধু আসমানি বরকতের প্রতীক নয়; বরং আলোকিত চরিত্র, দিব্য বোধ এবং সঠিক পথনির্দেশের প্রতীক হিসেবেও ব্যাখ্যা করা হয়। গবেষকরা বলেন, নিয়মিত সূরা কাহাফ পাঠ মানুষকে মানসিক চাপ, হতাশা এবং ভয়ের মতো নেতিবাচক প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকতে সহায়তা করে।

এছাড়া, আলেমরা উল্লেখ করেন যে এই সূরার তিলাওয়াত মানুষকে আল্লাহর কুদরতের স্মরণ করিয়ে দেয়, জীবনের অস্থায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে এবং দুনিয়ার সাময়িক মোহমায়া থেকে মানবহৃদয়কে দূরে রাখে। এই সূরাটি ব্যক্তির বিশ্বাসকে শক্তিশালী করে এবং প্রতিকূল পরিস্থিতিতে স্থিতধী থাকতে সহায়তা করে।

জুমার দিনের আমলগুলো মুমিনজীবনের সার্বিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও সপ্তাহে মাত্র কয়েক মিনিট সময় ব্যয় করে সূরা কাহাফ পাঠ করলে একজন মুসলমান তার আত্মিক যাত্রায় একটি দৃঢ় পদক্ষেপ রাখতে পারেন।

পাঠকের মতামত:

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক সমাজ গড়তে হলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই তার সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতা পুনরুদ্ধার করতে হবে

রাষ্ট্রের ধারণাটি একসময় কেবল প্রশাসনিক ক্ষমতা, আইনের শাসন এবং নিরাপত্তা প্রদানের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল। কিন্তু আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্রের ভূমিকা এখন... বিস্তারিত