“ভয় আর আশার সকাল, বিজয়ের দুপুর”—বাঁধনের অভিজ্ঞতা

বিনোদন ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ আগস্ট ০৫ ১৮:১৭:৪৭
“ভয় আর আশার সকাল, বিজয়ের দুপুর”—বাঁধনের অভিজ্ঞতা
ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের ৫ আগস্টের ঐতিহাসিক ঘটনার স্মৃতি এখনো গভীরভাবে নাড়া দেয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনকে। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণআন্দোলনের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য হওয়ার সেই দিনটি ছিল বাঁধনের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা—যা তিনি আজও গভীর আবেগে স্মরণ করেন।

শুরু থেকেই তিনি রাজপথে ছিলেন—কখনো শিল্পী সমাজের ব্যানারে, কখনো আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়ে। আগস্টের শুরু থেকেই আন্দোলনের নানা মুহূর্ত সামাজিক মাধ্যমে স্মরণ করছেন বাঁধন। বিশেষ করে ৫ আগস্ট ২০২৪-এর সকাল এবং দুপুরের স্মৃতি বারবার ফিরে এসেছে তাঁর লেখায়।

মঙ্গলবার সকালে দেওয়া একটি ফেসবুক পোস্টে বাঁধন লিখেছেন, “আমি এই দিনটি চিরকাল মনে রাখব। ৫ আগস্ট ২০২৪-এর সকাল—ভয় আর আশায় ভরা, কিন্তু সাহস আর অটল দৃঢ়তায় পূর্ণ ছিল। কী এক মুহূর্ত ছিল! কী এক অভিজ্ঞতা! এই দিনটা চিরদিনের জন্য আমার স্মৃতিতে খোদাই হয়ে গেছে।”

এর কয়েক ঘণ্টা পর দেওয়া আরেকটি পোস্টে তিনি আরও আবেগভরা ভাষায় লেখেন, “যখন খবর এলো, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন—জনতার গর্জনের মুখে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছে—তখন মানুষের যে উল্লাস দেখেছি, তা ভাষায় বোঝানো যাবে না। সেই মুহূর্তে যে বিস্ফোরণ ঘটেছিল জনতার মাঝে, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।”

বাঁধনের বর্ণনায়, “পুরো জাতি যেন একসঙ্গে জেগে উঠেছিল। কেউ কাঁদছিল, কেউ হাসছিল, কেউ নাচছিল, কেউ স্লোগানে গলা ফাটাচ্ছিল। বাতাসে ছিল বিজয়ের বিদ্যুৎ। সেটাই আমার জীবনের সবচেয়ে দামী মুহূর্ত। আমি গর্বিত—বাংলাদেশের মানুষদের নিয়ে, এই আন্দোলনের অংশ হতে পেরে। কী এক বিজয়! কী অসাধারণ সাফল্য!”

উল্লেখযোগ্য যে, আন্দোলনের সূচনা থেকেই অনলাইন এবং রাজপথে ছিলেন আজমেরী হক বাঁধন। এখন সেই অধ্যায়ই হয়ে উঠেছে তাঁর জীবনের সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল ও আবেগঘন স্মৃতির একটি।

/আশিক

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ