খুলনায় যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমানকে গুলি করে হত্যা

খুলনার দৌলতপুরে নিজ বাড়ির সামনে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লাকে (৪৫)। শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা পশ্চিমপাড়ায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
নিহত মাহবুব খুলনা মহানগর যুবদলের দৌলতপুর থানা শাখার সহসভাপতি ছিলেন।
নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের পর খুলনা-যশোর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। তারা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে মিছিল করেন এবং দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, দুপুর দেড়টার দিকে সদ্য কেনা প্রাইভেটকারটি পরিষ্কার করছিলেন মাহবুব। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে আসা তিন ব্যক্তি হেলমেট পরে এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। মাহবুব দৌড়ে বাড়ির দিকে পালানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে তাকে এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তার পাশে পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল থামিয়ে নেমে তার পায়ের রগ কেটে দেয় এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টে মাহবুবের শরীরে ৯টি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতের বোন শান্তা বলেন, “দলের জন্য কত কিছু করল ভাইটা। গুলিও খাইছে, পলায় বেড়াইছে। এখন ভালো সময় আসার আগে চলে গেল।”
এক প্রত্যক্ষদর্শী যুবক জানান, “আমি মাহবুব ভাইয়ের সঙ্গে গাড়ি পরিষ্কার করছিলাম। হঠাৎ গুলির শব্দ শুনে মাথা তুলতেই আমার দিকেও গুলি ছোড়ে ওরা। আমি দৌড়ে পালিয়ে যাই।”
দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী বলেন, “তিনজন যুবক মোটরসাইকেলে করে এসে হত্যাকাণ্ড চালায়। তারা তেলিগাতির দিকে পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল ও আশপাশে অভিযান চলছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।”
তিনি আরও জানান, নিহত মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদকসহ অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। এসব তথ্য মাথায় রেখেই তদন্ত চলছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) তাজুল ইসলাম বলেন, “এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা ও জমি নিয়ে বিরোধের বিষয়গুলোও আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।”
নিহত মাহবুব গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এলাকায় ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের সংঘর্ষে রামদা হাতে অংশ নেন। ঘটনার ছবি ছড়িয়ে পড়লে তাকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। তবে তিনি নিয়মিত দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন।
এছাড়া স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে জমি ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর অভিযোগ ছিল বলে এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা বলেন, “খুলনায় একের পর এক রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড ঘটছে। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মাহবুব হত্যায় অবিলম্বে আসামিদের গ্রেপ্তার এবং পুলিশে বড় রদবদলের দাবি জানাচ্ছি।”
অন্যদিকে বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা দাবি করছেন, কুয়েটের ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
সত্য প্রতিবেদন/আশিক
খুলনায় প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ী খুন
খুলনা মহানগরীর খালিশপুর থানাধীন হাউজিং বাজার এলাকায় প্রকাশ্যে মো. সবুজ খান নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নুরানি স্কুলের সামনে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।
পারিবারিক শত্রুতার জের
জানা গেছে, সকালে বাজার করার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন সবুজ খান। পথে পূর্বশত্রুতার জেরে একই এলাকার ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত একযোগে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। তারা সবুজ খানের দুই হাত, হাঁটু ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সকাল ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সবুজের ছেলে বলেন, স্থানীয় কালাম, তার স্ত্রী নাজমা বেগম, তাদের ছেলে সোহেল, সুজন, সাগর, প্রতিবেশী নজরুল ও মণ্ডল চাপাতি দিয়ে আমার বাবাকে মেরেছে। তিনি বলেন, “টাকার জন্য একজনকে মারতে গেছিল, আমরা ছাড়িয়ে দিয়েছিলাম। আমার ছোট ভাইকে তাড়া করছিল, মারতে পারেনি। আজকে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা হত্যার বদলে মৃত্যুদণ্ড চাই।”
নিহতের স্ত্রী শাহিনুর বলেন, “নাজমা আমার ছোট বোন। আমাদের সঙ্গে পারিবারিক সমস্যা। নাজমার তিন ছেলে সোহেল, সুজন, সাগরসহ আরও অনেকে মিলে আজ আমার স্বামীরে মেরে ফেলেছে।”
পুলিশের পদক্ষেপ
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।” তিনি জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে নাজমা নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
নিহতের মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
২০৫০ সালের চাহিদা পূরণে খুলনাকে ১৫ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি
খুলনাবাসীকে লবণমুক্ত সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এই বিপুল অঙ্কের ঋণের পাশাপাশি সংস্থাটি এই প্রকল্পে অতিরিক্ত ৪ মিলিয়ন ডলার অনুদানও দেবে।
এই ঋণ-অনুদানসহ মোট তিনটি প্রকল্পে এডিবি ২৯ কোটি ৯৬ লাখ ডলার ঋণ-অনুদান দেবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নগরীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং এডিবি কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং এ সম্পর্কিত চুক্তিতে সই করেন।
ভূগর্ভস্থ লবণাক্ততা মোকাবিলাই প্রধান লক্ষ্য
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর জানান, খুলনা শহরের সুবিধাবঞ্চিত বাসিন্দাদের জন্য পানি সরবরাহ পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং শুষ্ক মৌসুমে টেকসই পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করাই এই অর্থায়নের মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়) জলবায়ু-সহনশীল এবং টেকসই সমাধান প্রবর্তনের মাধ্যমে খুলনা শহরের ভূ-পৃষ্ঠের পানির রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এই প্রকল্পটি ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন মানুষকে নির্ভরযোগ্য, নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহ করবে এবং বিদ্যমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন করবে। প্রকল্পটি ২০৫০ সাল পর্যন্ত পানির চাহিদা মেটাতে পরিকল্পিত একটি সিস্টেমের মাধ্যমে সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়গুলোতে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি পরিষেবা সম্প্রসারণ করবে। মূল উদ্যোগগুলোর মধ্যে রয়েছে স্মার্ট পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা এবং তত্ত্বাবধান নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সম্প্রসারণ।
খাবার পানি লবণমুক্ত হবে না, ২৫৯৮ কোটি টাকার প্রকল্পে ক্ষুব্ধ খুলনাবাসী
খুলনার পানি সংকট দূর করতে মধুমতী নদী থেকে পানি আনার জন্য নতুন একটি প্রকল্প নিয়েছে খুলনা ওয়াসা, যার নাম ‘পানি সরবরাহ প্রকল্প ফেজ-২’। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। তবে শুরুতেই এই প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে এর কার্যকারিতা এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধুমতী নদীর পানি লবণাক্ত হওয়ায় এই বিপুল অঙ্কের অর্থ অপচয় হতে পারে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওয়াসা এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিদিন ১৩ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করবে। শুষ্ক মৌসুমের জন্য ১১৫ কোটি লিটার পানি রিজার্ভারে মজুত রাখার কথা থাকলেও, বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই পরিমাণ পানি মাত্র ৯ দিনের চাহিদা মেটাবে।
বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ
পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা ওয়াসা’র এই পরিকল্পনাকে আত্মঘাতী বলে মনে করছেন। তাদের মতে, মধুমতী নদীর পানি বছরে দেড় থেকে দুই মাস অতিমাত্রায় লবণাক্ত থাকে। বৃষ্টি কম হলে এই লবণাক্ততা চার মাস পর্যন্ত থাকতে পারে। সাত বছর আগে ২ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত প্রথম ধাপের প্রকল্পটিও শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট দূর করতে পারেনি। তখন মানুষকে টাকা খরচ করে লবণ পানি কিনতে বাধ্য হতে হয়েছিল।
খুলনার ভূগর্ভের পানির স্তরও সংকটের মধ্যে রয়েছে। নগরবাসী প্রতিদিন ভূগর্ভ থেকে ১৫-১৬ কোটি লিটার পানি উত্তোলন করছে। এমন পরিস্থিতিতে ওয়াসাও যদি প্রতিদিন আরও ৫-১০ কোটি লিটার পানি উত্তোলন শুরু করে, তা দীর্ঘ মেয়াদে সংকট আরও ঘনীভূত করবে।
পানি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, “ভবিষ্যতে মধুমতীর লবণাক্ততা আরও বাড়বে। তাই ওয়াসাকে বিকল্প চিন্তা করতে হবে। তা না হলে এই প্রকল্প ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।”
ওয়াসার ব্যাখ্যা
ওয়াসা কর্তৃপক্ষ বলছে, মধুমতী নদীতে লবণাক্ততা অন্য নদীর তুলনায় কম। লবণ পরিশোধন কেন্দ্র ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় তারা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে পরিশোধন করবে এবং শুষ্ক মৌসুমে ভূগর্ভের পানির সঙ্গে নদীর পানি মিশিয়ে সরবরাহ করা হবে।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু ছায়েদ মোহাম্মদ মনজুরুল আলম বলেন, “লবণ পরিশোধন কেন্দ্র স্থাপন করতে গেলে কয়েক হাজার কোটি টাকা বেশি খরচ হবে। এটি নিয়মিত পরিচালনা করাও ব্যয়সাপেক্ষ।” তিনি আরও বলেন, “এ জন্যই পাম্প বসানো হচ্ছে। এতে পরিবেশের ক্ষতি হবে না।”
সুদের টাকার জন্য মরদেহের দাফনে বাধা, চুয়াডাঙ্গায় অমানবিক ঘটনা
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় সুদের টাকা আদায় করতে এক মরদেহের দাফনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মর্জিনা খাতুন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) উপজেলার চিৎলা গ্রামের নতুনপাড়ায় এই অমানবিক ঘটনা ঘটে। অবশেষে টাকা পরিশোধ করেই দাফন করতে বাধ্য হয়েছে পরিবার।
হৃদয়বিদারক ঘটনা
নিহত হারুন (পেশায় রাজমিস্ত্রি) চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার চিতলা গ্রামের নতুন পাড়ার নিয়ামত আলীর ছেলে। মেয়ের বাড়ি মেহেরপুরের মহাজনপুরে বেড়াতে গিয়ে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হলে পরিবারের কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পরিবেশ। এদিন আসরের নামাজের পর তার দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। গোসল করানোর সময় সেখানে হাজির প্রতিবেশী মর্জিনা খাতুন।
মর্জিনা নামে ওই নারীর দাবি, হারুনের কাছে তিনি ১৫ হাজার টাকা পাবেন—আসল নয়, সুদের টাকা! মর্জিনার একটাই কথা, সুদবাবদ ওই ১৫ হাজার টাকা না পেলে হারুনকে দাফন করতে দেবেন না। উপস্থিত সবাই হতবাক হন এবং কেউ কেউ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। শেষমেশ হারুনের পরিবারের লোকজন দাবিকৃত সুদের টাকা পরিশোধ করলে পথ ছাড়েন মর্জিনা।
গ্রামবাসীর ক্ষোভ ও প্রশাসনের তৎপরতা
টাকা কুড়িয়ে নেওয়ার সময় উপস্থিত কেউ কেউ রাগে ও ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মরদেহ আটকে সুদের টাকা আদায়ের ঘটনায় হতবাক গ্রামবাসী। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে।
দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী বলেন, “এটি অমানবিক ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় জড়িত সুদ কারবারিদের বিচার হওয়া উচিত।”
এ বিষয়ে দামুড়হুদা ইউএনও তিথী মিত্র বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। ভিডিও দেখেছি। এটি অমানবিক। আমি আরও খোঁজখবর নেব।
খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে খুলনায় জাতীয় পার্টির কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নগরীর ডাক বাংলার মোড়ের কার্যালয়টিতে এই ভাঙচুর চালানো হয়। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা কার্যালয়টির প্রধান গেট, সাইনবোর্ড এবং ভেতরের আসবাবপত্র ভেঙে ফেলেন।
বিক্ষোভ চলাকালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। তারা অভিযোগ করেন যে, প্রশাসন এবং জাতীয় পার্টি এক হয়ে পরিকল্পিতভাবে নুরের ওপর হামলা চালিয়েছে।
একই দিন সন্ধ্যায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ফেরিঘাট মোড় অবরোধ করে ব্রিফিং করেন গণঅধিকার পরিষদের খুলনা জেলা ও নগরীর নেতাকর্মীরা। এতে মোড়টির ছয়টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ব্রিফিংয়ে, নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়।
গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগরীর নেতা এস কে রাশেদ বলেন, “নুরুল হক নুর ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। গণমাধ্যমে হামলার দৃশ্য প্রকাশ পেলেও সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো দুঃখ প্রকাশ বা আশ্বাস পাওয়া যায়নি।” তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছি, জেল খেটেছি, নির্যাতন সহ্য করেছি। সেই রক্তের বিনিময়ে আপনারা আজ দায়িত্বে বসে আছেন। অথচ সেই বিপ্লবীদের ওপরই সেনা ও পুলিশ হামলা চালিয়েছে।”
এস কে রাশেদ আরও বলেন, “নুরুল হক নুরের ওপর হামলার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এড়াতে পারেন না, তাই তাকে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
খুলনা শিপইয়ার্ড সড়কে অভিনব প্রতিবাদ: ধানের চারা রোপণ ও লাল কার্ড
খুলনার শিপইয়ার্ড সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের কাজ দ্রুত চালুর দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) খুলনা শাখা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা সড়কের ওপর ধানের চারা রোপণ করে এবং খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (কেডিএ) লাল কার্ড প্রদর্শন করে। এই কর্মসূচিতে খুলনার নাগরিক সমাজ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খানজাহান আলী (রূপসা সেতু) সেতুর পশ্চিম পাশে অবস্থিত শিপইয়ার্ড সড়কে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, খুলনা মহানগরীর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত সড়ক রূপসা ট্র্যাফিক মোড় থেকে খানজাহান আলী (র.) সেতু পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত ১২ বছরেও সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় এখানে বড় বড় গর্ত ও ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
বক্তারা অভিযোগ করেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সের গাফিলতি ও অনিয়মের কারণে সড়কের কাজ শেষ হয়নি। নিম্নমানের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সড়কটিতে এখন বড় বড় গর্তে পানি জমে আছে। বছরের পর বছর ধরে রাস্তার দুই পাশ খুঁড়ে ফেলে রাখায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। বক্তারা বলেন, প্রকল্প ধীরগতি এবং ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও কেন ঠিকাদারকে প্রায় ৭০ কোটি টাকা দেওয়া হলো এবং তাদের কেন জবাবদিহির আওতায় আনা হলো না।
বক্তারা এই ব্যর্থতার জন্য কেডিএ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সকে দায়ী করে বলেন, এই প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সবার বিচার করতে হবে। তারা অবিলম্বে সড়কটির নির্মাণ কাজ পুনরায় চালুর দাবি জানান। অন্যথায়, কেডিএ এবং মাহবুব ব্রাদার্সের বাড়ি ঘেরাও করারও হুমকি দেন তারা।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহকারী মহাসচিব এহতেশামুল হক শাওন, খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর প্রতিষ্ঠাতা সরদার আবু তাহের এবং সাংবাদিক মোহাম্মদ নুরুজ্জামানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
শেখ মুজিব ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন: দুদু
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, এ দেশে নির্বাচন হবে এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন ঠেকানোর মতো কোনো শক্তি নেই। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছয় দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিনে খুলনা মহানগর ও জেলা কমিটি এই সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশ পরবর্তী শোভাযাত্রা কর্মসূচি থাকলেও জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সেটি বাতিল করা হয়।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “শেখ মুজিব ’৭২ থেকে ’৭৫ এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছিলেন এবং দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিলেন। তিনি বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলেন।”
তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ঘোষণার কথা ছিল শেখ মুজিবের। কিন্তু তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনি তার আগেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন। এরপর জিয়াউর রহমান নিজে কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তিনি শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই করেননি, নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে ফেলে রেখে মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন।”
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, প্রতিবেশী দেশ গণহত্যাকারী ও লুটেরাকে আশ্রয় দিয়েছে। এজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপির তথ্য সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেন, “যখনই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হয়েছে, তখনই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন।” তিনি বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা।
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে বিভিন্নভাবে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পরাজিত মাফিয়া শক্তি যারা এই দেশের গণতন্ত্র চায় না, তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।” আজিজুল বারী হেলাল জানান, সারা বাংলাদেশের মানুষ ভোটযুদ্ধে নেমে গেছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, “যদি বিএনপির সৃষ্টি না হতো, তাহলে আওয়ামী দুঃশাসনের পতন হতো না। অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত অব্যাহত আছে। আবারও যদি কোনো কারণে বিএনপি পরাজিত হয়, তাহলে বাংলাদেশের গণতন্ত্র পরাজিত হবে।”
/আশিক
মা-মেয়েকে অজ্ঞান করতে গিয়ে ধরা, নিজ জুসেই বেহুঁশ অজ্ঞান পার্টির সদস্য
খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী সীমান্ত এক্সপ্রেসে জুস খাইয়ে মা-মেয়েকে অজ্ঞান করে অলংকার লুটের চেষ্টার সময় এক ব্যক্তিকে আটক করেছেন সহযাত্রীরা। জুস পান করতে বাধ্য করার পর অজ্ঞান হয়ে পড়েন সেই ব্যক্তি। শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ঠাকুরগাঁওয়ের করনাই এলাকার কৌশলা রাণী (৫০) ও তার মেয়ে বীথি রানী (২৮) এবং অজ্ঞান পার্টির সদস্য ফুল মিয়াকে উদ্ধার করেছে সৈয়দপুর রেলওয়ে পুলিশ।
যেভাবে ধরা পড়ল অজ্ঞান পার্টির সদস্য
জানা গেছে, কৌশলা রাণী তার মেয়ে বীথি রানীকে নিয়ে দিনাজপুরের বিরামপুর থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ট্রেনের ‘ঝ’ বগির ৭৮ ও ৭৯ নম্বর সিটে তারা বসেছিলেন। ৭৭ নম্বর সিটের যাত্রী ফুল মিয়া আলাপের একপর্যায়ে কৌশলা ও বীথিকে জুস পান করিয়ে অজ্ঞান করে কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পাশের যাত্রী আব্দুর রহিম ঘটনাটি দেখে ফুল মিয়াকে আটক করেন।
অন্যান্য যাত্রীদের চাপের মুখে ফুল মিয়াকে তার নিজের তৈরি বোতলে থাকা অবশিষ্ট জুস পান করতে বাধ্য করা হয়। জুস পান করার পর তিনি নিজেও জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ট্রেনটি সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালে রেলওয়ে পুলিশ সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পুলিশের বক্তব্য
আটক হওয়া ফুল মিয়া রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আব্দুল্লাপুর এলাকার মো. আব্দুস সামাদের ছেলে। সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ-উন নবী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামি সুস্থ হলে তাকে নীলফামারী আদালতে পাঠানো হবে।
/আশিক
খুলনা-৪ আসনে নতুন মাত্রা: প্রবাস থেকে ফিরে লড়তে চান পারভেজ মল্লিক
খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে অন্যতম আলোচিত নাম পারভেজ মল্লিক। যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি হিসেবে রাজনৈতিক অঙ্গনে তার দীর্ঘদিনের পরিচিতি রয়েছে।
সম্প্রতি তিনি খুলনা-৪ আসনে ব্যাপক গণসংযোগ, দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং স্থানীয় নানা সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ শুরু করেছেন। তার ঘন ঘন এলাকায় উপস্থিতি, তরুণ প্রজন্ম ও নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারণা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে তিনি জোরালো অবস্থানে আছেন।
পারভেজ মল্লিক বিশেষত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। পাশাপাশি তিনি তার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তার এসব মানবিক উদ্যোগে উপকৃতরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তার সাফল্য কামনা করেছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির প্রবাসী নেতৃত্ব থেকে সরাসরি জনগণের কাছে ফিরে এসে তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এটি পারভেজ মল্লিকের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত।
খুলনা-৪ আসনটি ঐতিহ্যগতভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক এলাকা, যেখানে অতীতে একাধিকবার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও রাজনৈতিক পরিবর্তন দেখা গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এখানে আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকলেও, বিএনপি সবসময়ই একটি শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। আসন্ন নির্বাচনে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদ্য সাবেক সভাপতি আজিজুল বারী হেলালও এই আসনের একজন হেভিওয়েট প্রার্থী এবং ধানের শীষের দাবিদার। তবে ক্রমেই এ আসনে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে ভোটারদের মনে জায়গা করে নিচ্ছেন পারভেজ মল্লিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরে তিনি রূপসা, দিঘলিয়া ও তেরখাদা উপজেলায় ব্যাপক গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম এবং ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, পারভেজ মল্লিক নিজেকে একজন আধুনিক রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে চাইছেন। তার প্রচারণায় প্রবাসে থাকা বাংলাদেশি ভোটার ও তরুণ সমাজের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব এবং এই অঞ্চলের মানুষের মৌলিক চাহিদা ও জীবনমান উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। নেতাকর্মীরা আরও বলছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার সক্রিয় উপস্থিতি এবং রাজনৈতিক বার্তাগুলোতে উন্নয়ন, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জনগণের অধিকারকে তিনি গুরুত্ব দিচ্ছেন।
নেতাকর্মীরা মনে করেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন প্রক্রিয়া শুরু না করলেও, পারভেজ মল্লিকের আগাম প্রস্তুতি বিএনপির হাইকমান্ডের নজর কেড়েছে। তার সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বের দক্ষতা এবং প্রবাসে দলের প্রতিনিধিত্ব তাকে মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সান্নিধ্যও তার জন্য একটি ইতিবাচক দিক বলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা দাবি করছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত, স্থানীয় ভারসাম্য এবং নির্বাচনী সমীকরণের ওপর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পারভেজ মল্লিক বলেন, "আমি দেশের বাইরে থাকলেও এলাকার মানুষের সঙ্গে সব সময় সংযুক্ত ছিলাম। আমি যেহেতু বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, এ আসনে যখন যাকে মনোনয়ন দিয়েছে আমি তার পক্ষেই কাজ করেছি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশে ফিরে এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তাদের জন্য কাজ শুরু করেছি।"
তিনি আরও বলেন, "এই আসনে অন্য যারা প্রার্থী আছেন, তারাও কাজ করছেন। আমি বলছি না যে এই আসনে আমিই যোগ্য। সার্বিক পরিস্থিতি ও অন্যান্য দিক বিবেচনায় দল প্রার্থীদের মূল্যায়ন করবে। তবে আমি শতভাগ আশাবাদী যে খুলনা-৪ আসনে দল আমাকে ধানের শীষ প্রতীক দিয়ে তেরখাদা, রূপসা ও দিঘলিয়াবাসীর সেবা করার সুযোগ দেবে।"
তিনি বলেন, "ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। দেশের জনগণ এখন ভোট দিতে আগ্রহী। আগামী নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে ভোট দিয়ে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ক্ষমতায় আনবে।"
পাঠকের মতামত:
- ১৭ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- বন্ধুরূপী শত্রু: যে ৫টি লক্ষণ দেখে বুঝবেন আপনার বন্ধুত্বের বন্ধন বিপদজনক
- পায়ের পাতায় লুকানো নীরব ইঙ্গিত: কিডনি বিকলের এই সংকেত অবহেলা করলেই বিপদ
- খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষির উন্নয়নে তারেক রহমানের ৬ দফা পরিকল্পনা
- চট্টগ্রাম সিইপিজেডের কারখানায় আগুনে ১০৫০ শ্রমিককে নিরাপদে উদ্ধার করল অ্যালার্ম!
- রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ? ট্রাম্পের দাবির পর দিল্লি নীরবতা ভাঙল
- জুলাই সনদে সইয়ের বিষয়ে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে: ফখরুল
- সিইপিজেডে আগুন: ৬ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি, বাড়ছে ঝুঁকি
- শিক্ষক আন্দোলনের মোড়বদল: ‘লংমার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
- ১৬ অক্টোবর ডিএসই লেনদেনের সারসংক্ষেপ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ১৬ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- ১ হাজার ৪০০ বার মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত: ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি
- নির্বাচিত হলে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ করব: মির্জা ফখরুল
- জুলাই হত্যা মামলার আসামির মুক্তি: আদালত অঙ্গনে তোলপাড়
- এইচএসসি পরীক্ষার ফল বিস্মিত করেছে, দায় এড়াতে পারে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়
- রূপনগর অগ্নিকাণ্ডের পর সামনে এল ঢাকার আরেক ‘রাসায়নিক বোমা’র খবর
- মাইগ্রেন কি শুধু মাথাব্যথা? জেনে নিন এর ৫টি ভিন্ন ধরন
- জান্নাত-জাহান্নামের প্রহরী কারা এবং তাদের বৈশিষ্ট্য কী?
- জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে না এনসিপি, ‘নাটকীয়তায় অংশ নয়’
- রাকসু নির্বাচন: ঘষা দিলেই উঠে যাচ্ছে কালির দাগ
- সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ নিয়ে জটিলতা: খসড়ায় ক্ষুব্ধ বিচারকরা
- শিক্ষার মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্ন: এইচএসসি পরীক্ষায় এত বড় ব্যর্থতার কারণ কী?
- ৪০০ কোটি বছর আগের সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন: নতুন বস্তু অ্যামোনাইট
- খালি পেটে এলাচের পানি: যে ৫টি রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
- ওজন কমাতে সহায়ক: দিনে দুবার পান করুন এই বিশেষ ডিটক্স পানীয়
- সকালে ব্রাশ না করে পানি খেলে কী হয় শরীরের ভেতরে?
- ভারতের ৩টি কাশির সিরাপ নিয়ে WHO-এর বিশ্বব্যাপী সতর্কতা
- দেশের ১০ জেলায় বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা, সতর্কতা জারি করল বিডব্লিউওটি
- এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ, জেনে নিন ফলাফল জানার সহজ উপায়
- দৈনিক রাশিফল: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫
- ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি: গাজায় ফের অভিযান চালাতে পারে ইসরায়েল
- ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন শুরু, উৎসবে মেতেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- ৪৪ বছর পর চাকসু’তে নেতৃত্বে ফিরল ছাত্রশিবির
- ১৬ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধান অঞ্চলের নামাজের সময়সূচি
- শীতে চুল ঝরা ও খুশকি: সমাধান মিলবে এই ৬ অভ্যাসে
- জাল টাকার প্রচলন রোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- চট্টগ্রামে নতুন মাইলফলক: বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে পরীক্ষামূলক কাজ শুরু
- মাথাব্যথার ৪টি ‘রেড ফ্ল্যাগ’: যে লক্ষণ দেখলে মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবেন
- পাকিস্তান-আফগান সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি
- প্রাচুর্যের আড়ালে নির্মমতা: জাপানের হাশিমার বুকে চাপা পড়া কান্না ও এক রক্তাক্ত অধ্যায়
- আমাজনের গভীরে লুকানো রহস্যময় সোনালী শহর, যা খুঁজছে বিশ্ব
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া উপায় নেই: রিজভী
- ড. ইউনূস: ‘কথার কথা নয়, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতেই হবে’
- এ কেমন যুদ্ধবিরতি: গাজায় রক্তক্ষরণ থামছে না
- আখেরাতের সাফল্য: আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের ৯টি সহজ পথ
- নামাজে মোবাইল বাজলে কী করবেন? সাইলেন্ট করা কি শরিয়তে জায়েজ?
- পুরোনো স্মার্টফোনকে নতুন ফোনের মতো দ্রুত করুন ৫টি সহজ উপায়ে
- আয়নাঘরের অভিজ্ঞতা জানালেন আমীর হামজা
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবি মানতে হবে: এনসিপি নেতা সারজিস আলমের সমর্থন
- ওয়েস্টফালিয়ার শান্তিচুক্তি ১৬৪৮: যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে আধুনিক রাষ্ট্রব্যবস্থার উত্থান
- মাইগ্রেন বোঝার সহজ পথ: কোন লক্ষণে চিনবেন, কীসে বাড়ে, কীভাবে সামলাবেন
- স্বাস্থ্যকর রান্না: ৫টি কৌশলে খাবারে তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ভর করে চাঙ্গা রাজধানীর শেয়ারবাজার
- হিটলার কেন ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন? নেপথ্যের কারণ কী?
- বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান ড্রামার ঝড়: যে ১০টি সিরিজ আপনাকে মুগ্ধ করবেই
- ১৩ অক্টোবরের ডিএসই লেনদেনে শীর্ষ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- রাতে ঘুম আসে না? শোয়ার ঘরে যে সামান্য বদল আনলে মিলবে শান্তি
- সাবধান! আপনার হোয়াটসঅ্যাপ কি অন্য কেউ ব্যবহার করছে? বুঝবেন যেভাবে
- জায়ান-শমিতকে নিয়েই একাদশ, বেঞ্চে বসলেন দলের অন্যতম তারকা
- গুমের বিচার শুরু: শেখ হাসিনা ও সাবেক শীর্ষ সেনা–পুলিশ কর্মকর্তারা আসামির তালিকায়
- মধু খাঁটি না ভেজাল? আগুন দেওয়া বা পানিতে মেশানো নয়, যা বলছেন গবেষকরা
- পূর্বাচল প্লট অনিয়ম মামলা: শেখ হাসিনা ও পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচজনের সাক্ষ্য
- সমুদ্রের মাঝে সভ্যতা: ইতিহাস, ঐতিহ্য, জলবায়ু ও কূটনীতির মিলনে মালদ্বীপের টিকে থাকার গল্প
- ট্যাঙ্গো, পাম্পাস আর বিপ্লবের দেশ: আর্জেন্টিনার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি