মির্জা ফখরুলের স্ট্যাটাস: মিথ্যাচার ও অপপ্রচার বন্ধে রাজনৈতিক পরিপক্বতার ডাক

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুন ০৯ ১৬:৫২:৪৮
মির্জা ফখরুলের স্ট্যাটাস: মিথ্যাচার ও অপপ্রচার বন্ধে রাজনৈতিক পরিপক্বতার ডাক

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলমান মিথ্যাচার, প্রোপাগান্ডা ও অপপ্রচার বন্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি ছাত্র সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অবিলম্বে এসব নেতিবাচক কর্মকাণ্ড বন্ধের আহ্বান জানান।

স্ট্যাটাসের মূল বক্তব্য (অনুবাদ):"সব দায়বদ্ধ রাজনৈতিক দল—বিশেষ করে তাদের ছাত্র সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহকে অবিলম্বে মিথ্যাচার, প্রোপাগান্ডা এবং একে অপরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের চক্র বন্ধ করতে হবে।সম্প্রতি ছাত্রদলকে লক্ষ্য করে সংঘটিত ঘটনা অত্যন্ত অগ্রহণযোগ্য। কিন্তু এর চেয়েও বেশি উদ্বেগজনক বিষয় হলো—কীভাবে কিছু গণমাধ্যম যাচাই না করেই এই অপপ্রচার ছড়িয়ে দিল। এটি সাংবাদিকতা নয়; এটি একধরনের সহযোগিতা।বাংলাদেশ একটি সংকটময় সন্ধিক্ষণে আছে—এমন এক রূপান্তরপর্বে, যা প্রতিটি রাজনৈতিক পক্ষের কাছ থেকে পরিপক্বতা, সংযম এবং সততা দাবি করে।আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বার্থে পরিষ্কার হয়ে বলা উচিত—মিথ্যাচার এবং প্রোপাগান্ডা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির অংশ হতে পারে না এবং হওয়া উচিত নয়।সত্য, জবাবদিহিতা এবং দায়িত্বশীল নেতৃত্বই প্রতিষ্ঠিত হতে হবে।”

মির্জা ফখরুলের এই বার্তা এমন এক সময় এসেছে, যখন দেশের রাজনীতি উত্তপ্ত এবং ছাত্র রাজনীতিতে বিভাজন ও সংঘাতের মাত্রা বেড়ে গেছে। সাম্প্রতিক সময়ের একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলকে ‘জামায়াত সংশ্লিষ্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করতে চাওয়া একটি মহলের অপচেষ্টা গণমাধ্যমেও প্রতিফলিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফখরুলের স্ট্যাটাসে এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধেই সরাসরি প্রতিবাদ রয়েছে, এবং তিনি সাংবাদিকতার নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

এই স্ট্যাটাসে কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ নয়, নিজ দল এবং এর অঙ্গসংগঠনের প্রতিও আত্মনিয়ন্ত্রণের আহ্বান রয়েছে, যা এক ধরনের দায়িত্বশীলতার প্রতিফলন। রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে বিরোধ থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই বিরোধ যদি মিথ্যা তথ্য ও গুজবের ওপর দাঁড়িয়ে থাকে, তাহলে তা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায়, যেখানে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং জাতীয় ঐকমত্যের প্রক্রিয়া চলছে, সেখানে এ ধরনের বার্তা ইতিবাচক সাড়া ফেলতে পারে। বিশেষ করে যখন মিডিয়া ট্রায়াল ও প্রোপাগান্ডা হয়ে ওঠে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার হাতিয়ার, তখন এমন বক্তব্য জনসচেতনতা তৈরির পাশাপাশি রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে সহনশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হতে পারে।

পাঠকের মতামত:

আপনার জন্য বাছাই করা কিছু নিউজ

লেনদেনের শীর্ষ দশে যেসব শেয়ার

লেনদেনের শীর্ষ দশে যেসব শেয়ার

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (২১ জুলাই) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন ছিল কিছুটা চাঙা। এই দিনে লেনদেনের... বিস্তারিত