উত্তরায় ফাইটার জেট বিধ্বস্ত: বিএনপির টিম রওনা

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ জুলাই ২১ ১৪:৩৯:৪১
উত্তরায় ফাইটার জেট বিধ্বস্ত: বিএনপির টিম রওনা

রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে আজ সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে মর্মান্তিক একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাস এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নিরাপত্তা বাহিনীর প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই দুর্ঘটনায় একাধিক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার স্থানটি ছিল জনবহুল ও শিক্ষার্থীদের চলাচলের মধ্যে, যে কারণে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ব্যাপক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের একাধিক ইউনিট এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং আহতদের উদ্ধার করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঘটনাস্থলে এখনো ধোঁয়া ও চাঞ্চল্যপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এদিকে, এই দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাৎক্ষণিকভাবে রাজনৈতিক দল বিএনপি সহমর্মিতা ও নাগরিক দায়িত্ব পালনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক জরুরি নির্দেশনায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল এবং দলের অধীনস্থ স্বাস্থ্য সহায়তা ইউনিটকে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বার্তায় বলা হয়, “এই মানবিক সংকটময় মুহূর্তে দলীয় নেতাকর্মীদের উচিত আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, প্রাথমিক চিকিৎসা ও সহায়তা দেওয়া এবং প্রয়োজন হলে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে সহায়তা করা।”

এই দুর্ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মানবিক দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক দলগুলোর তৎপরতা প্রশংসিত হচ্ছে। বিএনপির এই দ্রুত উদ্যোগকে একটি সচেতন ও মানবিক রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, সামরিক বা প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ইস্যু হিসেবে বিবেচিত হয়। এই দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং এর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করার সম্ভাবনা রয়েছে।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, উদ্ধার কাজ এখনো চলছে এবং হাসপাতালগুলোতে জরুরি প্রস্তুতি জারি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল এবং তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের সেবা না দেওয়া গেলে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়তে পারে। জনগণকে ওই এলাকায় ভিড় না করতে এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে উদ্ধার কাজ চালাতে সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক


শেখ হাসিনার মতো আর কাউকে একনায়ক হতে দেব না:  সারজিস আলম

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৮:২৯:২৩
শেখ হাসিনার মতো আর কাউকে একনায়ক হতে দেব না:  সারজিস আলম
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশের কোথাও শেখ হাসিনার মতো আর কাউকে একনায়ক হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আজও অনিয়ম, দুর্নীতি, হুমকি ও অপকর্ম চলছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে। তিনি বলেন, “যেই হোক চোর, বাটপার, চাঁদাবাজ বা হুমকিদাতা, আমরা তাদের নাম-পরিচয়সহ তালিকা প্রকাশ করব।”

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার ছাত্রলীগ যা করতে পারেনি, আজ বিএনপির ছাত্রদল স্কুল পর্যায়ে কমিটি গঠন করে সেই নোংরা চর্চা শুরু করেছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “কোনো স্কুল-কলেজে রাজনীতির নামে নোংরা চর্চা ঢুকতে দেওয়া হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা আমরা প্রতিরোধ করব।”

এনসিপি নেতা বলেন, তাদের প্রতিপক্ষ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তিনি বলেন, “বিএনপি বা অন্য কোনো দল যদি ভালো কাজ করে, আমরা তাদের সম্মান জানাব। তবে কোনো অপকর্ম হলে তা যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করা হবে। যে অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে জনগণ গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, সেই ধরনের অপচেষ্টা সহ্য করা হবে না।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে এনসিপির নতুন কর্মীদের বিএনপি নেতাকর্মীরা হুমকি দিচ্ছেন। তিনি একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বিএনপি সমর্থিত ফরিদুল ইসলাম সম্প্রতি এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে এবং তার বাবাকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন। সারজিস আলম এটিকে বাংলাদেশের রাজনীতির স্থিতিশীলতার জন্য ভয়ংকর দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ পঞ্চগড় জেলা এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।


বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো আর কোনো একনায়ক জন্ম নেবে না: সারজিস

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৮:২৩:৫৪
বাংলাদেশে শেখ হাসিনার মতো আর কোনো একনায়ক জন্ম নেবে না: সারজিস
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে একনায়কতন্ত্রের পুনরাবৃত্তি রোধ এবং গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি পুনঃপ্রতিষ্ঠার ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের কোথাও শেখ হাসিনার মতো আর কাউকে একনায়ক হয়ে উঠতে দেওয়া হবে না।”

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে এনসিপির জেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান’ শীর্ষক কর্মশালা ও সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এখনও অনিয়ম, দুর্নীতি, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষ আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থা হারাতে শুরু করেছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা চোর, বাটপার, চাঁদাবাজ বা হুমকিদাতা—তাদের নাম-পরিচয়সহ তালিকা প্রকাশ করা হবে। তার ভাষায়, “আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, শেখ হাসিনার মতো আর কোনো একনায়ক বাংলাদেশের কোথাও জন্ম নিতে পারবে না।”

তিনি সমালোচনা করে বলেন, শেখ হাসিনা ও তার ছাত্রলীগ যা করতে পারেনি, এখন বিএনপির অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল সেটি শুরু করেছে। তারা স্কুল পর্যায়ে কমিটি গঠন করছে। সারজিস আলম স্পষ্ট ভাষায় জানান, “কোনো স্কুল-কলেজে রাজনীতির নামে নোংরা চর্চা ঢুকতে দেওয়া হবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত করার যেকোনো প্রচেষ্টা আমরা প্রতিহত করব।”

এনসিপি নেতা আরও বলেন, তাদের প্রতিপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নয়। বিএনপি বা অন্য কোনো দল যদি দেশের জন্য ভালো কিছু করে, এনসিপি তাদের সম্মান জানাবে। কিন্তু যদি কেউ অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে বা জনগণকে কষ্ট দেয়, তবে তার বিরুদ্ধাচরণ করা হবে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “যে ধরনের অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে জনগণ গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, সেই ধরনের অপচেষ্টা আর সহ্য করা হবে না।”

সভায় সারজিস আলম অভিযোগ করেন, পঞ্চগড়ের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে এনসিপির নতুন কর্মীদের বিএনপির নেতাকর্মীরা হুমকি দিচ্ছেন। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফরিদুল ইসলাম সম্প্রতি এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারীর বাড়িতে গিয়ে তাকে এবং তার বাবাকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন। সারজিস আলম এ ঘটনাকে বাংলাদেশের রাজনীতির স্থিতিশীলতার জন্য ভয়ংকর দৃষ্টান্ত হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

কর্মশালা ও সমন্বয় সভায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় নেতারা বিচার, সংস্কার এবং গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

-রফিক


মুন্সীগঞ্জে বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রণক্ষেত্র, হাসপাতালে ৮

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৮:০৬:৩৬
মুন্সীগঞ্জে বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দলে রণক্ষেত্র, হাসপাতালে ৮
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সিকান্দি এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে আনন্দপুর এলাকায় সংঘর্ষ শুরু হয় এবং এতে অন্তত আটজন গুলিবিদ্ধ হন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা ওয়াহিদ মোল্লা ও উজির আলীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। শুক্রবার রাতে সেই বিরোধের জেরে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে শহিদুল মাদবর (৪৫), মজনু সরকার (৫৫), শামীম সরকার (২৭), জাহাঙ্গীর সরকার (৩৫), নজরুল সরকার (৬৫), শরীফ মাদবর (৬৫), সোহেল (৩৫) ও লিটন (২৫) গুলিবিদ্ধ হন। আহতদের মধ্যে সোহেল ও লিটনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদ পারভেজ জানান, গুলিবিদ্ধ আটজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং তাদের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলির আঘাত রয়েছে।

ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম বলেছেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার বিষয়ে তাদের কাছে আনুষ্ঠানিক তথ্য নেই। তিনি আরও জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

-রফিক


সংসদকেন্দ্রিক সংস্কারের ওপর জোর, সরকারের সমালোচনায় গয়েশ্বর

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৭:৩৯:৫৫
সংসদকেন্দ্রিক সংস্কারের ওপর জোর, সরকারের সমালোচনায় গয়েশ্বর
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মনে করেন, সংসদকে বাদ দিয়ে কোনো সংস্কার স্থায়ী হতে পারে না। তার মতে, সংস্কারের আসল শর্ত হলো মানসিক পরিবর্তন এবং জনগণের আস্থা অর্জন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) কেন্দ্রীয় পরিষদের শপথগ্রহণ ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, যদি প্রকৃত সংস্কার করতে হয়, তাহলে আগে মানসিক সংস্কার করতে হবে। কেবল বক্তব্য দিলেই হবে না, সেটিকে জনগণের আস্থায় আনতে হবে। চিকিৎসকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিভাগের নানা দাবি-দাওয়া ও যৌক্তিকতা থাকতে পারে। কিন্তু এসব নিয়ে রাস্তাঘাটে জটলা তৈরি করা কিংবা যানজট সৃষ্টি করার মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, একজন গর্ভবতী নারী সন্তান জন্ম না দেওয়া পর্যন্ত সবসময় উদ্বেগে থাকেন। একইভাবে, নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়া এবং ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত জনগণও অনিশ্চয়তায় ভুগবে। সরকারের দায়িত্ব সেই আশঙ্কা দূর করা, আর রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব হলো জনগণকে গণতান্ত্রিক পথে রাখার ব্যবস্থা করা।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সমস্যার প্রতি কোনো মনোযোগ দেয় না। তাদের শোনার কান নেই, চোখ থাকলেও দেখা হয় না। কারণ, জনগণের প্রতি তাদের কোনো প্রতিশ্রুতি নেই। সরকার কোনো প্রস্তুতি নিয়েই ক্ষমতায় আসেনি। তিনি সরকারের উপদেষ্টাদের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তার মতে, উপদেষ্টাদের মধ্যে সমন্বয় নেই, এমনকি তারা একে অপরকে চিনেন কি না, রাতের বেলায় তারা একসঙ্গে বসে আলাপ করেন কি না, সেটিও সন্দেহের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, সরকারের কার্যক্রমে দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন নেই। বরং কয়েকজন ব্যক্তি সক্রিয় হয়ে নতুন ষড়যন্ত্রের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যারা একসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে প্রশংসিত ছিলেন, তারাই এখন নতুন বৈষম্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ড. মোহাম্মদ ইউনূসের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে এমনটি তিনি মনে করেন না। একইভাবে নির্বাচন কমিশনেরও আন্তরিকতা নেই এ কথাও তিনি বলবেন না। তবে তাদের আন্তরিকতা পর্যাপ্ত নয় বলেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কাঙ্ক্ষিতভাবে এগোচ্ছে না।

গয়েশ্বর সরকারের ভেতরে দ্বৈত অবস্থানের কথাও উল্লেখ করেন। তার মতে, প্রধান উপদেষ্টা একরকম বক্তব্য দেন, আর তার ব্যক্তিগত সহকারী অন্যরকম কিছু বলেন। এই অসঙ্গতিই সরকারের দুর্বলতাকে প্রকাশ করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জবাবদিহিতার সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা না হলে কোনো সংস্কার কার্যকর হবে না।

-শরিফুল


“২০২৬ নির্বাচনে ধানের শীষে বিজয়, তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী”

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৬ ০৭:৩৪:৪৫
“২০২৬ নির্বাচনে ধানের শীষে বিজয়, তারেক রহমান হবেন প্রধানমন্ত্রী”
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ২০২৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে দেশের জনগণ ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনবে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, দেশনায়ক তারেক রহমান জিয়া পরিবারের উত্তরসূরি হিসেবে বাংলাদেশের আগামী প্রধানমন্ত্রী হবেন এবং জনগণ বিজয়ের মালা পরিয়ে তাকে সেই আসনে বসাবে। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক দল যুব কমিটির উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ বিএনপির কার্যালয় মাঠে দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন তার বক্তব্যে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ভূমিকা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া চাইলে তার দুই সন্তান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানকে নিয়ে ব্যক্তিগত জীবনে সীমাবদ্ধ থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। এরশাদের স্বৈরশাসন, দমননীতি, নির্যাতন ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে তিনি সাহসিকতার সঙ্গে রাজপথে নেমে আসেন। সেই সময় তিনি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে শক্তিশালী করেন এবং দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তাদের নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে গতিশীল করেন। তার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই এরশাদ সরকারের পতন দ্রুত ঘটে।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বারবার এরশাদের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। ১৯৮৬ সালে তিনি এরশাদের নির্বাচনে যোগ দিলেও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়ার অদম্য নেতৃত্বের কারণে আর অংশগ্রহণ করতে পারেননি। অন্যদিকে, ১৯৯১ সালের সবচেয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে দেশের জনগণ ভোট দিয়ে খালেদা জিয়াকে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছিল। পরবর্তী সময়ে নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যেও তিনি জনগণের পাশে থেকেছেন।

ডা. শাহাদাত বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়াকে হটানোর জন্য মাইনাস টু ফর্মুলা প্রয়োগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তখন শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান, অথচ খালেদা জিয়া দেশের মানুষের সঙ্গে থেকে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। তার মতে, বিগত ১৬ বছরে দেশে অমানবিক নির্যাতন, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মৌলিক অধিকার খর্ব হলেও বিদেশে থেকে তারেক রহমান সংগঠনকে একত্রিত রেখেছেন এবং সারা দেশের ১৬ কোটি মানুষের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সাম্প্রতিক জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে সংগঠিত ও উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রেও তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর শ্রমিক দল যুব কমিটির সভাপতি হাসিবুর রহমান বিপ্লব। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দীন ও নির্মাণ শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মিটু ইসলাম। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম এবং বিভাগীয় শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।

এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিভাগীয় শ্রমিক দলের সদস্য অপু সিংহ, মহানগর যুব কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হোসেন, সহ-সভাপতি মো. পারভেজ, আজিজ মিয়া, লাকি আক্তার, মো. শহীদুল্লাহ, মো. শাহজান, আব্দুর রহমান, রেজাউল করিম, যুগ্ম সম্পাদক এরশাদ মাহমুদ বাপ্পি, হাজেরা বেগম তানিয়া, জামাল হোসেন, সহ-সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মো. মোস্তফা, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রুবেল, দপ্তর সম্পাদক সোহাগ হোসেন, প্রচার সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আলভী, মহিলা সম্পাদিকা জান্নাতুল ফেরদৌস রুবি, অর্থ সম্পাদক রমজান আলী, ধর্ম সম্পাদক মো. সুমন এবং সদস্য মো. কাশেম প্রমুখ।

-রফিক


দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থায় আস্থা প্রকাশ করলেন জামায়াতের আমির

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১৩:১৬:৪০
দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থায় আস্থা প্রকাশ করলেন জামায়াতের আমির
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশমুখী হওয়ার পথে হাঁটেননি। শুধু অর্থ সাশ্রয় করার জন্য নয়, বরং দেশীয় চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস থেকেই তিনি দেশের অভ্যন্তরে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। তাঁর মতে, এটি বিদেশমুখী মানসিকতার বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ এবং দেশের সক্ষমতার প্রতি আস্থা জাগ্রত করার একটি উদাহরণ।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত এক মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ক্যাম্পটি অনুষ্ঠিত হয় মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ইব্রাহীমপুর শাখায়। এ সময় জামায়াতের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নিজস্ব চিকিৎসা-অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, তিনি দেশে থেকে সফলভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং এতে তিনি সন্তুষ্ট। এজন্য সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি তিনি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাঁর মতে, দেশের চিকিৎসকরা আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে মানুষের আস্থা আরও বৃদ্ধি পাবে এবং বিদেশমুখী চিকিৎসার প্রবণতা কমে আসবে।

জামায়াতের তরুণ ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, যদি দলের কেউ নির্বাচিত হয় তবে তারা যেন স্বল্পমূল্যে ফ্ল্যাট কিংবা ট্যাক্সবিহীন গাড়ির মতো ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ না করে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা জনসেবার জন্য দায়িত্ব নেবো, কিন্তু ব্যক্তিগত স্বার্থে লিপ্ত হবো না।”

তিনি আরও দাবি করেন, অতীতে জামায়াতের দুজন মন্ত্রী জনগণের কল্যাণে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন, যা দলীয় নীতি ও আদর্শের প্রতিফলন। শফিকুর রহমান বলেন, “আল্লাহ সবকিছু দেখেন। তাঁকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। যারা এই বিশ্বাসে জীবন পরিচালনা করে, তারা জনগণের সম্পদে কখনো হাত দিতে পারে না।”

-রাফসান


“তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১০:২৯:০৭
“তারেক রহমানের নেতৃত্বেই ঐক্য সম্ভব”
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলায় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে ভোলাহাট রামেশ্বর স্কুল মাঠ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সারাদিন জুড়েই ভোলাহাটে বিএনপি নেতাকর্মীদের প্রাণচাঞ্চল্য ও উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাউসারুল ইসলাম রঞ্জু এবং সঞ্চালনা করেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম সেলিম।

আলোচনা সভার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার ইমদাদুল হক মাসুদ। তিনি বলেন, “আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিকে বিজয়ী করতে হলে এবং দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হলে আমাদের সবাইকে এক কাতারে দাঁড়াতে হবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বেই এই ঐক্য সম্ভব।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে বিএনপি সব ধরনের গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি খিজির হায়াত মোল্লা, সহসভাপতি মো. সারওয়ারদ্দী, সহসভাপতি জামাল উদ্দিন মেম্বার, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান, এবং প্রচার সম্পাদক মো. শামিম আকতার। তাঁরা সবাই দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সরকারের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনকে আরও বেগবান করার আহ্বান জানান।

আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে দেশাত্মবোধক গান, নাটক ও অন্যান্য পরিবেশনা দর্শকদের মাতিয়ে তোলে। নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ একসঙ্গে অনুষ্ঠান উপভোগ করেন, যা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।

অনুষ্ঠান ঘিরে ভোলাহাট উপজেলায় এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। বিএনপি নেতারা আশা প্রকাশ করেন, এ ধরনের কর্মসূচি দলকে সংগঠিত করবে, কর্মীদের মনোবল বাড়াবে এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণের সমর্থন আদায়ে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

-রাফসান


কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির কোন্দল, হাসনাত আবদুল্লাহ কি চমক দেখাবেন?

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ১০:০৮:১১
কুমিল্লা-৪ আসনে বিএনপির কোন্দল, হাসনাত আবদুল্লাহ কি চমক দেখাবেন?
ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার দেবিদ্বার আসনে বিএনপির রাজনীতি এখন ত্রিমুখী বিভক্তির মধ্যে দিয়ে চলছে। একসময় দলের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এ আসনে বর্তমানে তিনটি আলাদা গ্রুপ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এ বিভাজনকে কেন্দ্র করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি বিএনপি ধরে রাখতে পারবে কিনা, নাকি নবীন রাজনৈতিক দল এনসিপি অঘটন ঘটাবে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে।

নবীন শক্তি হিসেবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি আগামী নির্বাচনে কুমিল্লা-৪ দেবিদ্বার আসন থেকে প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেছেন। শুধু সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডই নয়, এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রমও তিনি নিবিড়ভাবে তত্ত্বাবধান করছেন। ফলে স্থানীয়ভাবে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে এবং বিএনপির বিভক্ত রাজনীতিকে পুঁজি করে হাসনাত কতটা সফল হতে পারেন, তা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

অন্যদিকে, জামায়াত ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সহিদও নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সক্রিয় উপস্থিতি নির্বাচনের সমীকরণকে আরও জটিল করে তুলছে।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, বিএনপির ভেতরে তিনজন মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ঘিরে তিন ভাগে বিভক্ত রাজনীতি চলছে। সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এএফএম তারেক মুন্সী এবং সাবেক ছাত্রনেতা এমএ আউয়াল খান এই তিনটি গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের মধ্যে মঞ্জু ও তারেকের গ্রুপকে তুলনামূলকভাবে বেশি শক্তিশালী মনে করা হচ্ছে। প্রতিটি গ্রুপ আলাদা শোডাউন করছে, লোকসমাগম ঘটিয়ে নিজেদের অপরিহার্যতা প্রমাণের চেষ্টা করছে এবং মনোনয়ন পেতে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার কৌশল নিচ্ছে।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপির এই ত্রিমুখী দ্বন্দ্ব এনসিপির হাসনাত আবদুল্লাহর জন্য বড় সুযোগ তৈরি করেছে। তিনি কোনো নেতিবাচক মন্তব্য বা রাজনৈতিক উসকানিতে না জড়িয়ে সংগঠনকে তৃণমূল পর্যায়ে শক্তিশালী করছেন। পাশাপাশি জনগণকে উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলছেন। এ কারণেই অনেকে মনে করছেন, বিএনপির বিভক্তি যদি অব্যাহত থাকে, তবে হাসনাত আবদুল্লাহ আসন্ন নির্বাচনে চমক দেখাতে পারেন।

তবে স্থানীয়রা মনে করেন, দেবিদ্বার বরাবরই বিএনপির শক্ত ঘাঁটি। এখানে ধানের শীষ প্রতীককে মানুষ আবেগের সঙ্গে দেখেন। স্থানীয় ভোটারদের মতে, বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা যদি বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন, তবে ভোটের মাঠে বিএনপি আবারও বিজয়ী হতে পারে।

ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর ছেলে ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রেজবীউল আহসান মুন্সী বলেছেন, “আমার বাবার হাত ধরে এই এলাকায় বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের পরিবারের নেতৃত্বে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠন ঐক্যবদ্ধ আছে।” অপরদিকে, এএফএম তারেক মুন্সী বলেন, “আমি দলের জন্য কাজ করছি। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, আমরা তার জন্য কাজ করব। ধানের শীষ প্রতীক যাকে দেওয়া হবে, দেবিদ্বারে তিনিই বিজয়ী হবেন।”

এদিকে, নবীন সংগঠক হিসেবে হাসনাত আবদুল্লাহ ইতিমধ্যেই এলাকায় আলোচনায় উঠে এসেছেন। ’২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের সামনের সারির এ নেতা মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে উঠান বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব বৈঠকে তিনি বলেন, “কোনো প্রার্থী যেন জনগণকে ধোঁকা দিতে না পারে, সেজন্য আমরা মানুষকে সচেতন করছি। এনসিপি গুণগত পরিবর্তনের রাজনীতি চায়। আগামী নির্বাচনে জনগণ যাকে চাইবে, তিনিই সংসদ সদস্য হবেন।”

-রাফসান


তারাকান্দায় বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

রাজনীতি ডেস্ক . সত্য নিউজ
২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ০৯:৫৫:১১
তারাকান্দায় বিএনপি’র ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ উপলক্ষে উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি ও আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন তারাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মালেক আর্মি। র‌্যালিটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশে রূপ নেয়। এতে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন এবং দলীয় স্লোগানে পরিবেশ মুখরিত হয়ে ওঠে।

পরে আয়োজিত সমাবেশে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর তাৎপর্য তুলে ধরে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদার। তিনি ফুলপুর-তারাকান্দা আসন (ময়মনসিংহ-২, আসন নং ১৪৬) থেকে আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবেও পরিচিত। তার উপস্থিতি নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস আরও বাড়িয়ে তোলে।

এ সময় উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে দলকে এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

-শরিফুল

পাঠকের মতামত: