"৭১-এর চেতনার মতো ২৪-এর অভ্যুত্থান যেন চেতনা ব্যবসায় না পরিণত হয়"

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে বিভাজন নয়, বরং জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, “স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে আমরা সবাই স্বাধীনতাকে আপন করে নিয়েছি। এখন প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য ফ্যাসিবাদবিরোধী, গণতান্ত্রিক চেতনায় গড়ে ওঠা ঐক্য, যা ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্পষ্টভাবে প্রকাশ পেয়েছে।” রোববার (২০ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে আদর্শ পাবলিকেশন আয়োজিত ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল: অভ্যুত্থানের অজানা অধ্যায়’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “স্বাধীনতার পক্ষে কিংবা বিপক্ষে কে ছিল, এই বিতর্ক জাতিকে বিভক্ত করেছে। আমরা সে পথে হাঁটতে চাই না। বরং একাত্তরের চেতনার মতোই ২০২৪ সালের অভ্যুত্থান আমাদের জাতীয় শক্তির প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখন প্রয়োজন এই অভ্যুত্থানের গৌরবকে ঐক্যের মাধ্যমে কাজে লাগানো।” তিনি আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে বলেন, “কারা স্বাধীনতার বিপক্ষে ছিল এই প্রশ্নকে রাজনীতির হাতিয়ার বানিয়ে বিভক্তি তৈরি করেছে তারাই। বিএনপি বরাবরই সংহতির পক্ষে, বিভেদের বিরুদ্ধে।”
তিনি বলেন, “পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো স্বৈরাচার স্বাভাবিকভাবে ক্ষমতা ছাড়ে না। যেমন শেখ মুজিব ক্ষমতা পরিবর্তনের কোনো পথ রেখে যাননি সেটি তাজউদ্দীনের মেয়ে তার বইতেই উল্লেখ করেছেন। একইভাবে শেখ হাসিনাও ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন না।” সালাহউদ্দিন আহমদের মতে, বর্তমান সরকারও গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ রুদ্ধ করে রেখেছে, যা ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক।
বিএনপির এই প্রবীণ নেতা সতর্ক করে দেন যে, “যেভাবে একাত্তরের চেতনা আজ একটি বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক পণ্যে পরিণত হয়েছে, একইভাবে ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে নিয়েও যেন কেউ চেতনা ব্যবসা করতে না পারে।” তার মতে, এই অভ্যুত্থান ছিল একটি নির্জলা গণতান্ত্রিক দাবির প্রতীক, যার রাজনৈতিক মর্যাদা রয়েছে সেটিকে ব্যবহারিক ঐক্য ও পরিবর্তনের জন্য কাজে লাগাতে হবে, পণ্য করে তুললে নয়।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের ইতিহাসে যত দিন রক্ত ও বিদ্রোহের কথা লেখা হবে, তত দিন শহীদ আবু সাঈদের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি ছিলেন ২৪-এর অভ্যুত্থানের প্রতীকী শহীদ, যিনি গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছেন।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শামীমা সুলতানা এবং বাসস-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহবুব মোর্শেদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আদর্শ প্রকাশনীর প্রকাশক মাহাবুর রাহমান।
বক্তারা বলেন, ‘স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল’ শুধু একটি শিরোনাম নয়, বরং এটি দেশের ইতিহাসের এক অনুপম রাজনৈতিক রূপান্তরের চিত্র। এই অভ্যুত্থান একদিকে যেমন ছাত্র-যুবকের আত্মত্যাগের প্রতীক, তেমনি এটি ফ্যাসিবাদবিরোধী জনতার ঐক্য ও শক্তির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
-শরিফুল, নিজস্ব প্রতিবেদক
নূর শুরু, নুর দিয়ে শেষ হবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর হামলার বিচার না হলে অন্তর্বর্তী সরকারকে ভয়াবহ পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, “ফাঁসির মঞ্চে যাওয়ার আগে নিজেদের গলার রশিটার যত্ন নিতে হবে। মাথায় রাখবেন—নুর শুরু, নুর দিয়ে শেষ হবে না।”
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহত নূরকে দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
হামলার বিচার না হলে পরিণতি ভয়াবহ
ফুয়াদ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা গণঅভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করতে সব ধরনের চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের সময়কার গুম, খুন ও হত্যার বিচার না হওয়ার যে সংস্কৃতি ছিল, এখনো একই অবস্থা চলছে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে বলেন, “যদি দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হয়, তবে আপনাদের অনেক উপদেষ্টার নাম ইতোমধ্যেই অ্যাসাসিনেশন প্ল্যানের তালিকায় আছে। তাদের লাশও কয়েক দিন পর পড়বে। তখন বিচার করার মতো মানুষও থাকবে না।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত সপ্তাহে যৌথবাহিনী ও পুলিশ নির্মমভাবে নূরের ওপর হামলা চালায়। এই হামলায় নূর গুরুতর অসুস্থ। তার নাকের হাড় ভেঙে যাওয়ায় শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হচ্ছে এবং তিনি ঘুমাতে পারছেন না। রক্ত পরিষ্কার করতে তাকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ সেবা দিচ্ছেন, যার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই ঘটনায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসানও গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানান ফুয়াদ।
ফুয়াদ বলেন, “যৌথবাহিনী ও পুলিশ তাকে বেধড়ক পিটিয়েছে। কোমরের হাড় ডিসপ্লেস হয়ে যাওয়ায় সে হাঁটতে পারছে না। তার পা ও কোমরে গুরুতর চোট লেগেছে এবং দীর্ঘ সময় চিকিৎসা নিতে হবে।”
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার ক্ষোভহামলার এক সপ্তাহ পার হলেও কোনো অভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবি পার্টির এই নেতা। তিনি বলেন, “যারা কমান্ড দিয়েছে—সিনিয়র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, মেজর জেনারেল—তাদের কাউকেই সাসপেন্ড করা হয়নি। সেনাবাহিনীতে এখনো 'আয়না ঘরের' সেই ক্রিমিনাল নেটওয়ার্ক আছে। তাদের অনেকে জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরের আত্মীয় হয়ে সুবিধা নিচ্ছে।”
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেবল উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং বিদেশে পাঠানোর কথা বলছে, কিন্তু প্রকৃত কাজ করছে না। “২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ী পুলিশ সদস্য ও যৌথবাহিনীর সদস্যদের স্ট্যান্ড রিলিজ করা উচিত ছিল,” মন্তব্য করে তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে “সম্পূর্ণ অযোগ্য, অপদার্থ ও ইউজলেস” হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তার মতে, “তারা প্রতিদিন গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে অন্যায় ও বেইমানি করছে।”
হামলাকে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ দাবি
ফুয়াদ অভিযোগ করেন, নূরের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক সহিংসতা নয়, বরং একটি বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অংশ। তিনি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে খবর পাচ্ছি, এস আলমের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে হাইপ্রোফাইল অ্যাসাসিনেশনের পরিকল্পনা হয়েছে। এর সঙ্গে 'র', আওয়ামী লীগ ও দিল্লিভিত্তিক শেখ হাসিনা কাজ করছে।” তিনি আরও দাবি করেন, বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার নামও সেই তালিকায় আছে। দিল্লির আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছে, তাদেরও টার্গেট করা হচ্ছে বলে তিনি জোর দিয়ে বলেন।
জাতীয় পার্টিকে নিয়ে অভিযোগ
জাতীয় পার্টিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা একা মিলে গত ১৬ বছরে দিল্লির আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হতো না। এ কাজে জাতীয় পার্টিই ছিল মূল হাতিয়ার।”
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভারতের তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিং কিভাবে জাতীয় পার্টিকে দিয়ে নির্বাচন করিয়েছিলেন। এরপর ২০১৮ বা ২০২৪ সালের নির্বাচনেও জাতীয় পার্টি জড়িত ছিল।
জিএম কাদের ও তার দলের ভূমিকা নিয়ে ফুয়াদ বলেন, “জিএম কাদের আপাদমস্তক ভারতকেন্দ্রিক বক্তব্য দিয়ে আসছেন। সম্প্রতি তার দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাকিব রহমানকে কোনো নোটিশ ছাড়া সরিয়ে দেওয়া হয়। জিএম কাদের নিজেই বলেছেন, এটি ভারতের হাইকমিশনের নির্দেশে করা হয়েছে। একটি দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদককে যদি ভারতের নির্দেশে বরখাস্ত করা হয়, সেই দল বাংলাদেশের হতে পারে না। বরং সেটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।”
তিনি দাবি করেন, আশির দশক থেকে জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিপক্ষে কাজ করছে। এরশাদ থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য কাজ করেছে। তাই জাতীয় পার্টিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বলা যায় না। তিনি মনে করেন, যারা বাংলাদেশপন্থী নয়, তাদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে বা নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো অধিকার থাকা উচিত নয়।
জনগণ না চাইলে পিআর থেকে সরে আসবে জামায়াত: মিয়া গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, যদি জনগণ আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি না চায়, তাহলে তার দলও জনগণের সেই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানাবে। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে একটি সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
'জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি' শীর্ষক এই সেমিনারটির আয়োজন করে এগ্রিকালচারিস্টস্ ফোরাম অব বাংলাদেশ (এএফবি)।
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির পক্ষে জামায়াতের অবস্থান
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, যেসব দল বেশিরভাগ ভোটার এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব করে, তাদের কথা না শুনে কাদের কথায় পিআর পদ্ধতি দেওয়া হচ্ছে না, তা পরিষ্কার নয়। তিনি বলেন, "আমরা বলেছি, গণভোট দিন। গণভোটে যদি জনগণ পিআর পদ্ধতি চায়, তাহলে সব দলকে তা মানতে হবে। আর যদি জনগণ বলে পিআর লাগবে না, তাহলে আমরাও (জামায়াত) সেটাকে শ্রদ্ধা করি।"
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে তারা এখনো সংশয়ে আছেন। তিনি বলেন, "সরকার গতকাল (বুধবার) আমাদের কাছে একটি খসড়া চেয়েছে যে, এর আইনি পথ দেখান। গতকাল রাতেই আমরা মিটিং করে একটি ড্রাফট তৈরি করেছি। আমরা সবসময় সরকারকে সহযোগিতা করতে রাজি আছি, আমরা কোনো সংকট চাই না।"
পিআর পদ্ধতির ইতিবাচক দিক তুলে ধরে তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে কালো টাকা এবং পেশিশক্তির ব্যবহার কমে যাবে। এতে সংসদে সব দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হবে এবং সংসদ আরও সমৃদ্ধ হবে। তিনি আরও বলেন, যে দল ১% ভোটও পাবে, তারা তিনটি আসন পাওয়ার সুযোগ পাবে। এটি ছোট দলগুলোর জন্যও পার্লামেন্টে আসার সুযোগ তৈরি করবে। যারা একটি অংশগ্রহণমূলক সংসদ চান না এবং একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চান, তারাই পিআর পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, "আমরা অবশ্যই নির্বাচনে যাব, তবে তার আগে পিআর-এর দাবি পূরণ করে ইনশাআল্লাহ আমরা নির্বাচনে যাব। এই দাবি আমাদের চলতেই থাকবে। আমাদের দাবি মানতে হবে, তারপরে আমরা নির্বাচনে যাব। সবাইকে বাদ দিয়ে যদি এককভাবে নির্বাচন করতে চান, তাহলে দেশের মানুষ আর তা হতে দেবে না।" তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, "একাই নির্বাচন করবেন, ওই চিন্তা করে আর ঘুম নষ্ট করার দরকার নেই।"
অন্য দলগুলোর প্রতি জামায়াতের প্রতিক্রিয়া
অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, বহু কষ্টের বিনিময়ে জনগণ দেশকে সংস্কারের সুযোগ পেয়েছে। কোনো দলীয় সরকার এলে এই সংস্কারের সুযোগ আর থাকবে না। তিনি বলেন, "ইতিমধ্যে একটি দলের স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেছেন, 'আপনারা যত সংস্কার আইনকানুন বদলান, আমরা ক্ষমতায় এলে সব মুছে দেব।'" এই মন্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, "যাওয়ার আগেই যদি মুছে দেন, তাহলে ক্ষমতায় গেলে কী করবেন?"
সাবেক সেনা কর্মকর্তার মন্তব্য
সেমিনারে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসির বলেন, "সশস্ত্র বাহিনীকে ভিপি নূরকে মারতে দেখছি। আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের কাউকে আটক করতে দেখিনি।" তিনি আরও বলেন, "সশস্ত্র বাহিনীর এই সমালোচনার কারণে তাদের জুলাই যোদ্ধাদের দিকে নজর দেওয়া উচিত। প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন আজ পর্যন্ত হয়নি। যে সেটআপ হাসিনা করেছেন, সেটাই আছে। তারা দ্রুত নির্বাচন চান যেন পলাতকদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে পারেন।"
মূল প্রবন্ধের সারসংক্ষেপ
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহা. ইয়ামিন হোসেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই সনদ জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল। এটি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আইনি ভিত্তি তৈরি করেছে, তবে এর অস্পষ্টতা এবং রাজনৈতিক ভিত্তির কারণে বাস্তবায়ন একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে ফ্রান্সের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
রাত ৯টায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাক্ষাতের সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির হাতেই বাংলাদেশ ও দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষিত: আবু নাসের
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিএনপির ভূমিকার কথা তুলে ধরে দলটির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশ ও দেশের গণতন্ত্র বিএনপির হাতেই নিরাপদ। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বরিশালে বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে নগরীর টাউন হলে আয়োজিত দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। পরবর্তীতে জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। এরপর এরশাদের সময়ে সেই গণতন্ত্র আবারও হত্যা করা হয়, যেখান থেকে বেগম খালেদা জিয়া দেশকে উদ্ধার করে পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে দেশের গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত হয়েছে এবং সাধারণ মানুষ জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৭ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল হিসেবেই এ বছরের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। তার মতে, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই দেশে পুনরায় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।
আবু নাসের রহমাতুল্লাহ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘যতবার বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশজুড়ে শান্তি বিরাজ করেছে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তা পেয়েছে। সুতরাং বিএনপির হাতেই দেশ থাকবে সুরক্ষিত ও নিরাপদ।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, যারা নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে আপস করে দল ভারী করার চেষ্টা করছে, তারা বিএনপির উপকারের বদলে ক্ষতি করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, এসব অপকর্ম কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। একই সঙ্গে তিনি আগামী ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।
সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কাজী এনায়েত হোসেন বাচ্চুর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন খান, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন এবং সদস্য নুরুল আমিনসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম সেলিম।
মৃত্যুর ফয়সালা জমিনে না, আসমানে হয়: নিরাপত্তা নিয়ে মুখ খুললেন ওসমান হাদি
গণআন্দোলনের মুখপত্র ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার অনুসারীরা। হাদি নিজেও তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। বুধবার দিবাগত রাত ১টায় তিনি এই পোস্টটি দেন।
ফেসবুকে হাদি লিখেছেন, “মৃত্যুর ফয়সালা জমিনে নয়, আসমানে হয়।” তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মহল থেকে তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এর জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশে দখলদারদের আগ্রাসন যতদিন থাকবে, ততদিন এই মাটির সন্তানেরা আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে। তার মতে, “আমাদেরকে হত্যার মধ্য দিয়ে এই লড়াই কোনোদিন বন্ধ হবে না।”
তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, “ওরা এক আবরারকে হত্যা করলে ফের লক্ষ আবরার জন্মায় এই জমিনে।” হাদি আরও বলেন যে তিনি চলে গেলেও তার সন্তান এবং তার পরবর্তী প্রজন্ম এই লড়াই চালিয়ে যাবে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, “অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে আমরা আমাদের কাজকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দিব না।” তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের কাছে মাথা নত না করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পোস্টের শেষে তিনি বলেন, “মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা তো শাহাদাতের জন্যই মায়ের উদর হতে পৃথিবীতে পা রেখেছি।” তিনি তার পোস্টে আল্লাহর কাছে সাহস ও ইনসাফের জন্য প্রার্থনা করেন এবং ঘোষণা দেন, “লড়াই চলবে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।”
/আশিক
ফজলুর রহমানকে ঘিরে নতুন বিতর্ক, ছাত্রদল নেতার বহিষ্কারের দাবি
জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের কড়া সমালোচনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক জিএস প্রার্থী ও ছাত্রদল নেতা শেখ তানভির বারী হামিম। তিনি ফজলুর রহমানকে দল থেকে বহিষ্কার করারও দাবি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি একটি টকশোতে হামিম বলেন, 'ওয়ান্স অ্যা আওয়ামী লীগ, অলওয়েজ আওয়ামী লীগ।' তিনি ফজলুর রহমানের অতীত রাজনৈতিক জীবনের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন যে, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফজলুর রহমান বিএনপির হয়ে কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও তিনি এর আগে আওয়ামী লীগেরও এমপি ছিলেন। হামিম অভিযোগ করেন, ফজলুর রহমান ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে ছোট করে বলেছেন, '৫ আগস্ট কালো শক্তি।'
ছাত্রদলের এই নেতা আরও বলেন, ফজলুর রহমান তার মন্তব্যের মধ্য দিয়ে তার চরিত্রের প্রমাণ দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, ফজলুর রহমানের মতো নেতারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে খাটো করছেন। হামিম বিএনপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কারণ তারা ফজলুর রহমানকে শোকজ করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, দল তাকে বহিষ্কার করবে।
উল্লেখ্য, জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার কারণে বিএনপি ফজলুর রহমানকে শোকজ করেছে।
আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ভারতের দল: রাশেদ খান
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল এবং পল্টন মোড় অবরোধ করেছে দলটি। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা পল্টন মোড়ে এসে রাস্তা অবরোধ করে। এ সময় তারা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভিপি নুরের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—এর মতো বিভিন্ন স্লোগান দেন।
‘হামলার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার’
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিচার অবশ্যই হতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, এই হামলা কেবল নুরুল হক নুরের ওপর নয়, বরং এটি একটি গণঅভ্যুত্থানের ওপর হামলা। এই হামলার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।
রাশেদ খান বলেন, “আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি বাংলাদেশের দল নয়। এরা ভারতের দল। আমরা যেমন আওয়ামী লীগকে ভারতে পাঠিয়েছি, তেমনি জাতীয় পার্টিকেও ভারতে পাঠাতে হবে।” তিনি প্রশ্ন তোলেন, মেনন ও হাসানুল হক ইনুর মতো নেতারা গ্রেফতার হলে জিএম কাদের কেন গ্রেফতার হন না? রাশেদ খান আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্ট হিসেবে নিষিদ্ধ হয়েছে, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।”
‘ঐক্য না থাকলে আওয়ামী লীগ আবারও আসবে’
রাশেদ খান জানান, তাদের পরবর্তী কর্মসূচি ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য’-এর ব্যানারে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টায় শাহবাগ জাদুঘরের সামনে সংহতি সমাবেশ। তিনি বলেন, এই সমাবেশ তাদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার সমাবেশ। তিনি সতর্ক করে বলেন, “আমাদের মধ্যে ঐক্য না থাকলে আওয়ামী লীগ আবারও ফিরে আসবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, এই সুযোগে সেনাবাহিনী ও পুলিশের একটি অংশ হামলার সুযোগ পেয়েছে। এর দায় সরকার এড়াতে পারে না। তিনি বলেন, এই হামলার বিচার না হলে পুরো বাহিনীকে কলুষিত করা হবে। আজকের এই অবরোধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “ঠান্ডা কথা সরকারের কানে ঢোকে না, যে কারণে নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছেন।”
এই কর্মসূচিতে দলের মুখপাত্র ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
চাঁদাবাজদের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না: চরমোনাইর পীর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাইর পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, “চাঁদাবাজদের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।” আগামী নির্বাচনে ইসলামী নীতি ও আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য তার দল কাজ করবে বলেও তিনি জানান।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নরসিংদীর রায়পুরা পৌরসভার মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা পরিষ্কার করে বলছি যে, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের কোনো শত্রুতা নেই। কিন্তু যারা আমাদের বাংলাদেশকে ভারত বানিয়েছে, সেই চাঁদাবাজ ও খুনিদের বাংলার মানুষ সংসদে দেখতে চায় না।” তিনি আরও বলেন, এ দেশের মানুষ এখন সজাগ এবং চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে একযোগে আন্দোলন করতে প্রস্তুত। চরমোনাইর পীর বলেন, দেশের মানুষ একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় এবং এর জন্য পিআর (portional Representation) পদ্ধতিতে নির্বাচন হওয়া জরুরি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রায়পুরা উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ আব্দুল মতিন শিপলু মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী সাংস্কৃতিক সংগঠন কলরবের নির্বাহী পরিচালক হাফেজ মাওলানা মো. বদরুজ্জামান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ এই জনসভায় অংশগ্রহণ করেন।
গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভে অচল পল্টন মোড়
গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা তিন দফা দাবিতে রাজধানীর পল্টন মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ কর্মসূচি এখনো চলমান রয়েছে।
অবরোধ চলাকালে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ এবং ‘ভিপি নুরের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—এর মতো বিভিন্ন স্লোগান দেন।
তাদের তিন দফা দাবিগুলো হলো:
১. গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার।
২. স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ।
৩. জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা।
এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের নেতারা অভিযোগ করেন, নুরুল হক নুরের ওপর হামলা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা বলেন, এ হামলার দায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ওপর বর্তায়। তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করারও দাবি জানান তারা।
পাঠকের মতামত:
- ৭ সেপ্টেম্বর আকাশে চোখ রাখুন: দেখা মিলবে দীর্ঘস্থায়ী চন্দ্রগ্রহণের
- মহানবী (সা.)-এর আদর্শ অনুসরণেই ইহকাল ও পরকালের মুক্তি: তারেক রহমান
- নূর শুরু, নুর দিয়ে শেষ হবে না: ব্যারিস্টার ফুয়াদ
- জনগণ না চাইলে পিআর থেকে সরে আসবে জামায়াত: মিয়া গোলাম পরওয়ার
- ডিম, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচের দামে লাগাম টানতে নতুন সুপারিশ
- জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানা প্রকাশ
- দেশে ফিরতে চাইলে তারেক রহমানকে সহায়তা দেবে সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ডিএসই’র বাজার প্রতিবেদন: এক নজরে আজকের লেনদেন
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ লুজার তালিকা প্রকাশ
- ডিএসইতে বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে টপ গেইনার তালিকা প্রকাশ
- বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে সামরিক শক্তির মহাপ্রদর্শনী:বেইজিং থেকে বিশ্বকে চীনের কৌশলগত বার্তা
- পোস্টারবিহীন নির্বাচন, প্রচারে নতুন বিধান যুক্ত করল ইসি
- গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে ফ্রান্সের বিদায়ি রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই
- টিকিট বিক্রির তিন ধাপ, ফিফা জানাল বিস্তারিত পরিকল্পনা
- ইয়েমেন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, তেল আবিব বিমানবন্দর বন্ধ
- নাচই বদলে দিল ধনশ্রীর জীবন
- জিএম কাদের ও তার স্ত্রীর বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি
- বিএনপির হাতেই বাংলাদেশ ও দেশের গণতন্ত্র সুরক্ষিত: আবু নাসের
- মা-কন্যার অনন্য বন্ধন: সুস্মিতা সেনের পোস্টে মুগ্ধ ভক্তরা
- মৃত্যুর ফয়সালা জমিনে না, আসমানে হয়: নিরাপত্তা নিয়ে মুখ খুললেন ওসমান হাদি
- অ্যাশেজে খেলতে ঝুঁকি নিতেও প্রস্তুত প্যাট কামিন্স
- বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অর্থ কর্তনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, হোয়াইট হাউসের রহস্যজনক পদক্ষেপ
- আওয়ামী লীগের পদ ছাড়লেন ইউপি সদস্য, জানালেন তিনি সব সময় বিএনপির ‘একনিষ্ঠ কর্মী’
- দুইবারের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়নের স্বপ্নযাত্রা আবার শুরু
- ফজলুর রহমানকে ঘিরে নতুন বিতর্ক, ছাত্রদল নেতার বহিষ্কারের দাবি
- অতিরিক্ত যাত্রীতে ট্র্যাজেডি:নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত ২৯
- ব্যয় সাশ্রয়ের পরিপত্র উপেক্ষা: মন্ত্রীদের জন্য ৬০টিসহ ২৮০ গাড়ি কিনছে সরকার
- ইকুয়েডরে আবারও মার্কিন উপস্থিতির সম্ভাবনা
- একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা: তারেক ও বাবরের খালাসের রায় বহাল
- হঠাৎ স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন! মোনালি ঠাকুরের সংসারে ভাঙনের সুর?
- কোরআনের আলোকে পরকাল: অবিশ্বাসীদের শেষ পরিণতি
- জুলাই সনদে আসছে বড় পরিবর্তন
- পুতিন জানালেন, কেন তিনি এখনো ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব গ্রহণ করেননি
- অভিষেক রাঙাতে পারলেন না কিউবা: এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে শুরুতেই হোঁচট খেলো বাংলাদেশ
- মাদকের ভয়াবহ পরিণতি: অকালে ঝরে যাচ্ছে জীবন, পঙ্গু হচ্ছে তরুণ সমাজ
- বিধ্বস্ত হচ্ছে একের পর এক মহল্লা, গাজায় এবার মানবিক সংকট চরমে
- সকালে খালি পেটে এই ৬টি খাবার খান, নিয়ন্ত্রণে থাকবে ডায়াবেটিস-উচ্চ রক্তচাপ
- আজ কেমন থাকবে ঢাকার আবহাওয়া? জেনে নিন আজকের পূর্বাভাস
- গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
- ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা: আপিলের রায় আজ, কী হবে তারেক রহমানের ভাগ্য?
- কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি: যেসব ফল খেলে মিলবে সমাধান
- বেইজিং সফরে কিম জং-উন, আলোচনায় তার মেয়ে জু আয়ে
- মেসির বিদায়ী ম্যাচে পানি ঢালতে চান ভেনেজুয়েলার কোচ বাতিস্তা
- ইতিহাসে সর্বোচ্চ: বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম আবারো বাড়লো
- নুরের চিকিৎসা দেশে করাই সম্ভব: ঢামেক পরিচালক
- খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর
- আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ভারতের দল: রাশেদ খান
- চাঁদাবাজদের মানুষ ক্ষমতায় দেখতে চায় না: চরমোনাইর পীর
- আফগানিস্তানে নতুন আতঙ্ক: বাড়ি থেকেও আশ্রয়হীন হাজারো পরিবার
- লিটনের ব্যাটে ঝড়, শেষ টি-টোয়েন্টিতে দারুণ শুরু বাংলাদেশের
- যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের আস্থার শীর্ষে এএইচজেড
- জ্ঞান ফিরেছে নুরুল হক নুরের
- "জাতীয় নাগরিক পার্টি আসলে ইউনূসের দল, জামায়াতই দেশ চালাচ্ছে"
- ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ভ্যালু, ভলিউম ও ট্রেডে শীর্ষ ২০ কোম্পানি
- ডিএসই–৩০ সূচকের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর লেনদেনের চিত্র
- জুলাই সনদ নিয়ে মতভেদ চরমে, আজ তিন দলের সঙ্গে বৈঠক অন্তর্বর্তী সরকারের
- ১ সেপ্টেম্বর শেয়ারবাজারে দরপতনের শীর্ষ ১০ শেয়ার
- ০১ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে দর বৃদ্ধির শীর্ষ ১০ শেয়ার
- শেয়ারবাজারে ফিরল স্বস্তি, শীর্ষে থাকা কোম্পানির তালিকা প্রকাশ
- নিহত গাজা সাংবাদিকের চিঠি পড়ে কেঁদে ফেললেন জাতিসংঘে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত
- সংসদ ভবনে আগুন দিল বিক্ষোভকারীরা
- ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্স ২০২৪ সালের নগদ লভ্যাংশ বিতরণ সম্পন্ন
- ডা. তাহেরের বিতর্কিত মন্তব্যে চিকিৎসক সমাজে তীব্র প্রতিক্রিয়া
- নোয়াখালীর সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুরের অবৈধ সম্পদের পাহাড়
- ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা আনতে কঠোর আইন: অনলাইনে মিথ্যা তথ্য দিলেই কারাদণ্ড